![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ সন্ধেয় রমার সাথে বসে জীবনের অনেক কথাই হলো । ওকে বললাম:- জীবনের অনেক স্বপ্নই ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে, আবার অনেক স্বপ্নই তৈরী হয়েছে সময়ের সাথে । একসময় এমন হয়েছিল শক্রবারের সিনেমা দেখতে দেখতে সিনেমার নায়ক হবার স্বাদ জাগতো , তখন মনে হতো-তো তারাই পৃথিবীতেই সবচেয়ে সফল মানুষ । এখনো তো এমন দেখি সুদর্শন মানুষ দেখলে একজন আরেকজনকে বলে- ও সুন্দর ওর নায়ক হওয়া উচিত বা ওর নায়িকা হওয়া উচিত ও সুন্দরী, কেউ বলেনি ও সুন্দর -সুদর্শন ওর আরো শিক্ষিত হওয়া উচিত বা ওর ডাক্তার হওয়া উচিত । শরীরের সাথে পেশারও একটা মিল আছে কি?
রমাঃ সাংসার জীবনের এর মিল আছে?
আমিঃ একটা সময় ছিল, আমাদের বাড়ি এক টির্চার থাকতো সে হোমিও ডাক্তার ছিল তার কাছ থেকে অনেক শাদা ঔষধ খেতুম । খুব মিষ্টি ছিল ।
রমাঃ আমার জানালা ছিল দু'তলায় শোবার রুমে । কত কত রাত্রি জানালায় দাড়িয়ে জোসনা থেকে কাটিয়েছি, আর তোমার কথা ভেবেছি মানুষ ।
আমিঃ আমাকে তো তখন চিনতে না ।
রমাঃ না চিনতুম না, কল্পনায় তো ছিলে । স্বামী হবে -সাংসার হবে , ছোট্ট একটা ফ্লাট হবে । তুমি আপিসে যাবে আমি সারাক্ষন তোমার অপেক্ষায় থাকবো । শক্রবারে কখনো সিনেমা দেখতে যাব বা বুড়িগঙ্গায় কালো জলে নৌকো বাসিয়ে খই ক্ষেতের ভেতর দিয়ে অন্তহীন । তোমার চোখের সীমানায় আকঁবো মৃদুরঙ , পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় দীঘিতে তোমায় নিয়ে স্নান করবো । তোমাকে তেমনি পেয়েছিলাম কিন্তু মাঝে মাঝে তুমি হারিয়ে যাও , এটাতো ঠিক কেউ কারো পুরো সময় দিতে পারে না । মানুষ কতদিন হয় তুমি কোন ডাইরী লিখ না কেন?
আমিঃ যা লিখি না তা শরীর ভেতরই আছে । কানপেতে শুনে নিও বুকে মাথা রেখে ।
রমাঃ কোথায় ? কবে থেকেই তো আমরা পরস্পর-পরস্পরের শরীরের ভেতর দিয়েই বেচেঁ আছি শুনতে পেলাম না যে ।
আমিঃ পাবে, আমি তোমারটাও শুনে নিব ।
রমাঃ কি শুনবে?
আমিঃ তুমি কখনো আমি ছাড়া প্রেমে পড়েছিলে কিনা, তাকে কখনো মনে পড়ে কিনা ।
রমাঃ পড়েছিলাম অনেকদিন আগে ।
আমিঃ কার প্রেমে ।
রমাঃ আমার কাকীর ভাইয়ের ছেলের ও আমাদের বাড়ি তখন প্রায়ই আসতো আমি তখন ক্লাস নাইনে পড়ি কিন্তু কোনদিন বলিনি ওকে ।
আমিঃ বলোনি কেন?
রমাঃ কাকীমা আমাকে গাল দিবে যে ! বলবে- তুই আমার ভাইপুর মাথা নষ্ট করেছিস । তখন তো মেয়েদের উপর সমস্ত দুষ চাপিয়ে দিত ।
আমিঃ এখনো কি ওকে মনে পড়ে ?
রমাঃ পড়ে ।
আমিঃ দেখা হয় না এখন ওর সাথে, বা দেখা হলে কি মনে হয় ।
রমাঃ এখন কিছু মনে হয় না । এখন মনে হয় আমি যাকে চিনতাম ও সে নয় ।
আমিঃ ও ।
রমাঃ আচ্ছা স্বামী , তুমি এগুলো জিজ্ঞাসা করছো কেন আমাকে ? পর কি আমার সাথে ঝগড়া করে -এগুলো নিয়ে অপবাদ দিয়ে, খোটা দিবে নাতো ?
আমিঃ না দিব না । তোমার সে জীবনে তো আমি ছিলাম ওটার স্মৃর্তির মালিকও আমি নই ।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১২
মানুষ আজিজ১ বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪১
বিজন রয় বলেছেন: সুন্দর।
++++
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১২
মানুষ আজিজ১ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৫৮
জনৈক অচম ভুত বলেছেন: সব স্বামী-স্ত্রীরই এমন খোলা মনে আলোচনা করবার যোগ্যতা থাকা উচিত।