নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেফ উমরের ব্লগ :)

"সকল বস্তু তার বিপরীত বস্তুর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে উঠে"

উমর

হে আল্লাহ! তুমি আমায় হক রাস্তা দেখাও, হকের অনুসরণ করারও প্রতি মদদ কর, বাতিলকে বাতিলরুপে দেখাও এবং বাতিল হতে বেঁচে থাকার প্রতি সাহায্য কর। আর হকের হক রুপে দেখাও এবং তার অনুসরণ করার জন্য এমনভাবে মদদ কর যেন হক বা সত্য কথা আমার জন্য উহ্য না থাকে। হে আমার রব! তুমি জিবরাঈল, মিকাঈল, ইসরাফিল-এর পরওয়ারদিগার, আসমান-যমীনের একমাত্র সৃজনকারী, তুমি প্রকাশ ও অপ্রকাশ সবকথা ও কাজ সম্পর্কে অবগত আছ, তোমার বান্দাহগণ আপোষে যে মতভেদ করে তার মধ্যে মূল সত্য ও আসল হকের ফায়সালা তুমিই করতে সক্ষম। তুমি আমায় ঐ সমস্ত মতভেদের মদ্যে যা খাঁটি সত্য, আসল হক তাই আমায় হিদায়াত করতে থাক। একমাত্র তুমিই তোমার বান্দাহকে সঠিক পথের হিদায়াত করতে পার। আমীন।

উমর › বিস্তারিত পোস্টঃ

"লন্ডনে হাজার হাজার বাংলাদেশী ছাত্র খোলা আকাশের নীচে"

০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:১৯

লন্ডনে হাজার হাজার বাংলাদেশী ছাত্র খোলা আকাশের নিচে



তাইছির মাহমুদ লন্ডন



’মাসে ২৫০ পাউন্ড ভাড়া দিয়ে একটি বাসার সিটিং রুমের ফ্লোরে ঘুমাই। খেয়ে না খেয়ে কোনো মতে দিন কাটাই। দেশ থেকে যে সামান্য টাকা নিয়ে এসেছিলাম তা দিয়ে ভাড়া দিচ্ছি। ১৫ দিন হয় লন্ডন এসেছি। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জব সেন্টারগুলোতে ধরনা দিচ্ছি। কিন্তু কোনো কাজ পাচ্ছি না। হাতের টাকা শেষ হয়ে গেলে রাস্তায় না খেয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’

কথাগুলো ঢাকা সিটি কলেজের সাবেক ছাত্রী শামীমা আলম সুমিলার। এ প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় পূর্ব লন্ডনের ব্রিকলেনের প্রিন্সলেট স্ট্রিটের শাহনান জব অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট সেন্টারে।



ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা সুমিলা জানান, সাড়ে সাত লাখ টাকা খরচ করে লন্ডন এসেছেন। ঢাকার মতিঝিল এলাকার নাহার মার্কেটে (চতুর্থ তলা) ইউকে ভিসা রিফিউজড-সেন্টার তার ভিসা প্রসেসিং করেছে। পূর্ব লন্ডনের ওয়েস্টাহামে বাঙালি মালিকানাধীন ব্রিট কলেজে ভর্তি হয়েছেন। নামেমাত্র একটি কলেজ। ছোট ছোট কয়েকটি রুমসেখানে কিছু ডেস্ক-বেঞ্চ ছাড়া আর কিছুই নেই। অথচ কলেজের অফার লেটার ও ভিসা প্রসেসিং সেন্টারে কত না আকাশকুসুম সুযোগ-সুবিধার কথা বলা হয়েছিল। বলা হয়েছিল হোস্টেল আছে। এয়ারপোর্ট থেকে গিয়েই হোস্টেলে উঠতে পারব। কিন্তু হিথ্রো এয়ারপোর্টে পা রাখতেই বাস্তবতা বুঝতে শুরু করলাম। যত দিন যাচ্ছে ততই বুঝতে পারছি বাস্তবতা কাকে বলে। লেখাপড়া আর কলেজ বলতে এখানে কিছুই নেই। ভিসা প্রসেসিং সেন্টার থেকে বলা হয়েছিল লন্ডনে থাকা-খাওয়া ও অর্থের কোনো অভাব হবে না। সেখানে পৌঁছতে পারলেই কাজ পাবো। কাজের কোনো অভাব নেই। ঘন্টাপ্রতি সাত পাউন্ড করে ওয়েজেস পাবো। কিন্তু এখন দেখছি বাংলাদেশ থেকে এখানে কাজ পাওয়া আরো কঠিন। আমি যদি সাড়ে সাত লাখ টাকা খরচ করে না আসতাম তাহলে আজই দেশে ফিরে যেতাম। এখন ফিরে গিয়ে বাবা-মার সামনে কিভাবে মুখ দেখাব। জানি না কপালে কী আছে?



শাহনান জব সেন্টারে মঙ্গলবার দুপুরে যখন সুমিলার সাথে কথা হচ্ছিল তখন তীর্থের কাকের মতো সারিবদ্ধভাবে সেখানে বসা ছিলেন অসংখ্য ছাত্র, যারা টিআর-৪-এর আওতায় স্টুডেন্ট ভিসা পদ্ধতি চালুর পর লন্ডন এসেছেন। সবারই দৃষ্টি জব সেন্টারের ম্যানেজার ও তার টেলিফোনটির দিকে। কাজের জন্য লোক চেয়ে কি কোনো ফোন কল আসে। হঠাৎ হয়তো বা কাজ চেয়ে কেউ একজন ফোন করল, তখনই সবাই আনন্দিত হয়ে ওঠেন বোধহয় একটি কাজ পাওয়া গেল। কিন্তু দেখা গেল কোনো কজের জন্য নয়, কাজ প্রার্থীর ফোন কল। এভাবেই সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রতিটি জব সেন্টারে ছাত্রদের উপচে পড়া ভিড়



জব সেন্টারের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার অফিস যতক্ষণ খোলা থাকে ততক্ষণই ছাত্ররা বসে থাকে। তাদের সাথে সারাদিন কথা বলে আমি হয়রান। এক হাজারেরও বেশি ছাত্রছাত্রীর একটি তালিকা দেখিয়ে তিনি বলেন, আমার কাছে সবাই নাম-ঠিকানা দিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিন বারবার এসে খোঁজ নিচ্ছেন, অনবরত ফোন করছেন। কিন্তু কাজ পাবো কোথায়? ব্রিটেনে যেখানে বিশ্বমন্দার কারণে প্রতি মিনিটে সাতজন লোক চাকরি হারাচ্ছেন, সেখানে জব আসবে কোথা থেকে? আবুল কালাম আজাদ বলেন, দিনে গড়ে একটি কাজও দিতে পারি না।

তিনি বলেন, এ অবস্খা শুধু তার জব সেন্টারেই নয়, পূর্ব লন্ডনে বাঙালি মালিকানাধীন যে ১০-১৫টি জব সেন্টার আছে সবগুলোরই একই চিত্র।



শাহনান জব সেন্টারে কথা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ধীমান শাহের সাথে। ভর্তি হয়েছেন ব্রিকলেনের ক্লিফটন হোটেলের ওপরে অবস্খিত এসডিএস কলেজে। ভিসা প্রসেসিং বাবদ তাকে গুনতে হয়েছে সাড়ে সাত লাখ টাকা। লন্ডন এসে যখন কলেজে গেলেন দেখেন এসব তো কোনো কলেজ না। বাংলাদেশের প্রাইমারি স্কুলও তো এর চেয়ে অনেক বড়। একটি রেস্টুরেন্টের ওপরে দু’টি রুমে কিছু ডেস্ক-বেঞ্চ বসিয়ে নামমাত্র একটি কলেজ। আসার সময় ধীমান দেশ থেকে সামান্য টাকা এনেছিলেন। ওগুলো দিয়ে আপাতত থাকা-খাওয়া ও পকেট খরচ চালাচ্ছেন। একটি ছাত্র মেসে আছেন। প্রতি সপ্তাহে থাকা-খাওয়া, বিদ্যুৎ, গ্যাস, টেলিফোন, ইন্টারনেট বিল বাবদ পরিশোধ করতে হয় ৬০-৭০ পাউন্ড, যা বাংলাদেশী টাকা সপ্তাহে প্রায় সাত হাজার টাকা। প্রতি সপ্তাহে সাত হাজার খরচ হলে দেশ থেকে আনা অর্থ শেষ হয়ে যাবে ক’দিনেই। তখন কী করবেন? কাজ পাওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না তিনি।



কথা হয় লন্ডন রিডিং কলেজের ছাত্র আরিফ আহমদের সাথে। জানালেন তারা দু-তিনজনের থাকার কোনো জায়গা নেই। রাত ১০টা পর্যন্ত পার্কে থাকেন। কিন্তু এর পর আর থাকা যায় না। কারণ পার্কের গেট বìধ করে দেয়া হয়। তখন কোনো মসজিদে আশ্রয় খুঁজতে হয়। গত রাতে একটি মসজিদের বারান্দায় চার-পাঁচ ছাত্র এক সাথে ঘুমিয়েছিল। সকালে ওঠে দেখেন রাতে তার মানিব্যাগ ও জরুরি কাগজপত্র চুরি হয়ে গেছে। পকেটে একটি টাকাও নেই। সকালে এক গ্লাস পানি খেয়ে জব সেন্টারে এসেছেন। বিকেল পর্যন্ত কিছু খাননি



মুন্সীগঞ্জ থেকে এসেছেন সুমি। ছেলেরা এক রুমে গাদাগাদি করে থাকতে পারলেও তাকে থাকতে হয় সিঙ্গেল রুমে। এতে তাকে পয়সা দিতে হয় বেশি। সাড়ে তিন মাস হলো অথচ এখনো কোনো কাজ পাননি।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে যেসব ফ্লাইট লন্ডন আসছে তার প্রতিটির ৯০ ভাগ যাত্রীই হচ্ছেন বাংলাদেশী ছাত্র



ভিসা প্রসেসিংয়ের নামে বাংলাদেশে একটি দালাল চক্র মোটা অঙ্কের অর্থ কামিয়ে নিচ্ছে। যেখানে মাত্র সাড়ে তিন হাজার পাউন্ড টিউশন ফি দিয়ে কলেজে ভর্তি হওয়া যাচ্ছে, সেখানে ভিসা প্রসেসিংয়ের নামে ছাত্রদের কাছ থেকে ৭ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।



তথ্যসুত্রঃ এখানে ক্লিক করুন

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +২৩/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:২৯

উমর বলেছেন: লন্ডনে পড়তে যাওয়া অনেক ছাত্রের কাছে স্বপ্নের মতো, কিন্তু স্বপ্নগুলো যদি ধূলিসাৎ হয়ে যায় এতগুলো কষ্টের টাকা খরচ করার পর তাহলে এই কষ্ট বয়ে চলা খুবই করুণ।

খবরটি কিছুক্ষণ আগে পড়লাম, ভাবলাম সবার সাথে শেয়ার করা উচিত, তাই এখানে দিলাম।

সুন্দর স্ব্প্নগুলো যেন বিভীষিকাময় ক্ষণে পরিণত না হয়।

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:২৯

রথে চেপে এলাম বলেছেন: কি ভয়ংকর অবস্থা !!!!!!!

৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:৩৪

কাব্য বলেছেন: :(

০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:৪৫

উমর বলেছেন: //এখন ফিরে গিয়ে বাবা-মার সামনে কিভাবে মুখ দেখাব।// :(

৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:৩৬

উমর বলেছেন: ব্রিটেনে যেখানে বিশ্বমন্দার কারণে প্রতি মিনিটে সাতজন লোক চাকরি হারাচ্ছেন, সেখানে জব আসবে কোথা থেকে?

বৃটেনের অর্থনৈতিক মন্দ কাটানোর গিনিপিগ হচ্ছে আমাদের দেশের ছাত্ররা। দূর্বলের প্রতি শোষণ করে বৃটিশদের অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন নতুন কোন ঘটনা নয়। বৃটেনে যাওয়া কিছুদিন আগেও অনেক কঠিন ছিল কিন্তু এখন এই মন্দার সময়ে কেন প্রক্রিয়া সহজ হলো তা সহজেই অনুমেয়।

৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:৪৬

চতুষ্কোণ বলেছেন: আমিও শুনেছি এমনটা।বেশীর ভাগ কলেজেই দু তিনটি রুম দিয়ে ক্লাস হচ্ছে।জব পাওয়া সো টাফ।

তবে ধীরে ধীরে পরিস্হিতির পরিবর্তন আসবে এই কামনা করি।

৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:৪৭

এন্তার এত্তেলা বলেছেন: যাইতে চাইতাম একসময়। এখন যাইতে মঞ্চায় না।। :(

০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:৪৯

উমর বলেছেন: :(:(:(

৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:৪৯

মইন বলেছেন: কয়েকদিন আগে একজনের কাছে শুনেছিলাম, বৃটেনে যেতে এখন নো ielts, টাকা দাও চলে যাও। তবে এই অবস্থা কল্পনাতেও ছিলনা।

০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:৫৫

উমর বলেছেন: NO IELTS!!! :-* :-* :-*

৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৪:০৬

প্রজন্ম বলেছেন: ছাত্র ভিসায় এসে কাজ করার সুযোগ শেষ।

৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৪:৩৯

রামন বলেছেন: যারা জেনে শুনে অর্থের জন্য নিরিহ ছাত্রদের অন্ধকার এবং অসহায় জীবনে ঠেলে দিচ্ছে সে সকল অর্থপিশাচদের চরম শাস্তির দাবি করি।

০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৪:৪৬

উমর বলেছেন: সহমত।

১০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৪:৪৫

দূরন্ত বলেছেন:

১১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৪:৫৫

দূরন্ত বলেছেন: বিশ্বমন্দার কথাটা কোনো গোপন বিষয় নয়। সারা পৃথিবীতেই এ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। পশ্চিমা দেশগুলোতে চাকরির বাজার খুবই সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে এ কারণে। আমরা যারা আগে থেকে আছি তারা অনেক কষ্টে নিজেদের চাকরি বাঁচাতেই ব্যস্ত। খুব স্বাভাবিক ভাবেই নতুন আসা মানুষদের চাকরি জোগাড় করা কঠিন। এ জিনিসটা স্বাভাবিক বুদ্ধি সম্পন্ন যে কোনো মানুষেরই বোঝার কথা।
এতোকিছু জানার পরও যারা লন্ডনে আসছে তাদের কমপক্ষে ছয় মাসের হাত খরচের টাকা হাতে করে নিয়ে আসা উচিত। আশা করা যায় ছয় মাস পরে সবাই একটা না একটা কিছু করে নিতে পারবে।
এ মুহূর্তে খালি হাতে আসলে খোলা আকাশের নিচেই থাকা লাগবে এটা সুস্থ বুদ্ধির সবারই বোঝা উচিত।

১২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৪:৫৭

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: এটা কিভাবে বন্ধ করা যায়? এতোগুলো ছেলেমেয়ে এভাবে দিনাতিপাত করছে দেখে একদিকে খুব কষ্ট লাগছে, আবার খুব রাগ ও হচ্ছে।
আমার মতো ইংল্যান্ডে যারা অনেকদিন ধরে আছেন তারা একটু হেল্প করেন যে যেভাবে পারেন। আফটারঅল নিজের দেশের মানুষই তো।

১৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৫:১১

মুরুববী বলেছেন: আবিয়াইত্তা মাইয়া গুলা হুদাই গেল কে? হেরা তো এমন ব্রিলিয়ান্ট ছাত্রিও না....বেশি উজাইলে এমনি হয়।

১৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৫:১৯

বেছু মেম্বার বলেছেন:
বাংলাদেশের অবুঝ মধ্যবিত্তের ছেলে মেয়েদের চিন্তা ভাবনায় সমস্যা আছে। তারা বাস্তবতার কথা চিন্তা না করে লন্ডন সহ পশ্চিমা বিশ্বের যে কোন দেশে যেতে মরিয়া।
কিন্তু যাওয়ার পরে যে কি হবে সে চিন্তা করে না। অনেক ছাত্র কে দেখেছি যারা পড়ালেখার জন্য মনে হয় আসে নি! চাকরী করতে এসেছে!! চিলের পিছে দৌড়ানো যে কবে বন্ধ হবে....:(

যাই হোক লেখাটা পড়ে খুব খারাপ লাগছে।

১৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৭:০৪

পুরাতন বলেছেন: ভয়ংকর অবস্থা

১৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৭:১৬

নষ্ট গিটার বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ বুঝতে চায়না। ইউকের অর্থনীতি তাজা করারই একটা পলিসি এই স্টুডেন্ট ভিসা।

১৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:১৭

অলস ছেলে বলেছেন: অবস্থা দেখি খুব খারাপ। কিন্তু দেশের অবস্থাও খারাপ তো, বাইরে গিয়ে হাতে নাতে ধরা না খেলে কেউ বুঝতে চায়না

১৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:১৯

তিথী ও টাটা বলেছেন: ছাত্র নামধারীরা বেশি ধরা খাইছে। যারা না জেনে এসেছে তারাই বেশি অসুবিধায় পড়েছে। এজেন্ট নামধারী কিছু কুকুরের বাচ্চা নিরীহ ছেলেদের মিথ্যা কথা বলেছে।
যারা আসতে চান তারা দয়া করে জেনে শুনে বুঝে আসবেন। ভাল ও কম টিউশন ফি'র কলজ আর সত্যিকারের ছাত্র না হলে ধরা খেয়ে যাবেন। সত্যিকারের ছাত্রদের আসতে কোন অসুবিধা নেই।

১৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:২৬

শাহাবুিদ্দন শুভ বলেছেন:
কিছুদিন আগে আমার পরিচিত একজন মেডিকেল করতে গেল স্টুডেন্ট ভিসায় ইউকে যাবার জন্য। গিয়ে সেখানে দেখলাম ঢাকা থেকে অনেকেই এসেছেন মেডিকেল করানোর জন্য। যে টিভি টেষ্ট করতে মাত্র ১২০ টাকার এক্সরে করতে হয় সেখানে দিতে হয় প্রায় ৩৮০০ টাকা। আর যেদিন আমার সেই পরিচিত জন কাগজ জমা দিলেন সেদিন তার সিরিয়াল নম্বর ছিলপ্রায় ২০০ জনের কাছকাছি সেদিন ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে স্টুডেন্ট এসে ঢাকা কাগজাদি জমা দিয়েছেন সিলেটে বিট্রিজ হাইকমিশনে। এটা একদিনের দৃশ্য নয় প্রায় প্রতিদিনে।
আর এত ছাত্র যাবার পর তারা কাজ পাবে কি করে। কিছু দিন আগে খবরের পড়লাম ২৫০০০ ছাত্র নাকী এখন শুধূ লন্ডন শহরে অবস্থান করছে। তাই কাজ পাওয়া অবশ্যই মুশকিল।

২০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:০২

পারভেজ রবিন বলেছেন: কইয়ের তেলে কই ভাজার পদ্ধতি।

২১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:১১

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: ভয়াবহ ব্যাপার

২২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:১৫

আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: কি নির্মম অবস্থা!

২৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:২৯

নাজিরুল হক বলেছেন: বাস্তবতা বড়ই নির্মম।

২৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:০৭

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: আমি যদি সাড়ে সাত লাখ টাকা খরচ করে না আসতাম তাহলে আজই দেশে ফিরে যেতাম। এখন ফিরে গিয়ে বাবা-মার সামনে কিভাবে মুখ দেখাব। :(

কত ভয়াবহ অবস্থা........... মালায়েশিয়া মিডিলইস্ট-এ অনেক শ্রমিকেরও একি অবস্থা। তারা মুখ বুজে সব সহ্য করে, ভাবে এতো টাকা খরচ করে এসেছি, কি বলবো দেশে ফিরে। পেটে খাবার নেই গোসল নেই ঘুমের জায়গা নেই। :(

০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:০৫

উমর বলেছেন: :(

২৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:১৬

জাকির হোসেন বিডি বলেছেন: উমর বলেছেন:বৃটেনে যাওয়া কিছুদিন আগেও অনেক কঠিন ছিল কিন্তু এখন এই মন্দার সময়ে কেন প্রক্রিয়া সহজ হলো তা সহজেই অনুমেয়!

--> ভাবছি এই সু্যোগে দেশে ফিরে গিয়ে ইউকে লাইন দিবো কিণা !!!

মুরুববী বলেছেন: আবিয়াইত্তা মাইয়া গুলা হুদাই গেল কে? হেরা তো এমন ব্রিলিয়ান্ট ছাত্রিও না....বেশি উজাইলে এমনি হয়।

--> বেশি উজাইলে এমনি হয়।

নষ্ট গিটার বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ বুঝতে চায়না। ইউকের অর্থনীতি তাজা করারই একটা পলিসি এই স্টুডেন্ট ভিসা।

--> বোধগম্য নয় এভাবে এখন কিভাবে অর্থনীতি তাজা হবে ! !

২৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:২০

রুদমী বলেছেন: করুণ অবস্থা!

২৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:২৪

কুয়াশায় ডাকা বলেছেন: তারপরও বেকুব ছাত্ররা যায় কেন ? না জাইনা শুইনা যায় কেন ? এখন সব জায়গায় এই নিয়ে কথা হচ্ছে, আলাপ হচ্ছে... তারপোরও কি তাদের মাথায় কিছুই ঢুকে না ? হায়রে বিদেশ-প্রীতি ...

০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:১৪

উমর বলেছেন: মধ্যবিত্ত পরিবারের বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু কারণ রয়েছে :

১. দেশে আশানুরূপ পড়ার বিষয়ে পড়তে না পাওয়া তথাপি সরকারী ভার্সিটিগুলো প্রয়োজনের তুলনায় আসন সংখ্যা কম।

২. বিদেশপ্রীতি আমাদের দেশের অনেক মানুষের রক্তের মধ্যে ঢুকে গেছে, কোন জিনিস কিনতে গেলেই বলে বিদেশী জিনিস ..... তাই বিদেশী ডিগ্রী নেওয়ার একটা অদম্য ইচ্ছা কাজ করে।

৩. টাকা উপার্জনের প্রতি অদম্য টান, দেশে থেকে যে ডিম ভেজে খেতে পারতো না, এখন বিদেশে যেয়ে তাকে সব কিছূ করে খেতে হয়, উদ্দেশ্য একটাই টাকা উপার্জন করতেই হবে! সে জন্য নিজের সব কিছু বিকিয়ে দিতেও বাধে না।

৪. অন্যকে দেখে অনুপ্রাণিত হওয়াও একটা কারণ।

২৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:১২

তিথী ও টাটা বলেছেন: ইন্ডিয়ান,চাইনিজ বা পাকিস্তানি ছাত্রদের এমন করুন দশা হয় না কেন আমাদের দেশের ছাত্রদের মত ???
চাইনিজ এবং ইন্ডিয়ান তো এসেছে বাংলাদেশিদের চাইতে আরো বেশি সংখ্যায়।
কারন আমাদের বাপে খেদানো মায়ে তাড়ানো সব ছেলে পেলে ছাত্র নামক ভিসা নিয়ে লন্ডনে খালি হাতে পড়ালেখা করতে চলে এসেছে।
সিস্টেমটা এবিউজ করার কারনে এখন যা হবে তা হল সত্যিকারের ছাত্রদের লন্ডনে আসার পথ রুদ্ধ হবে,এমন আবার কিছু শর্ত দেওয়া হবে তখন দেখা যাবে অনেক সত্যিকারের ছাত্র আর আসতে পারবে না।

২৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৫০

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: সবাই জানে যে এখন রেসেশন চলছে, ইংল্যান্ডের অবস্থা খারাপ।
তবু যারা আসছেন তাদের ভেবে আসা উচিত ছিল। খালি এজেন্সির দোষ দিয়ে কি লাভ? এজেন্সি বসেছে ষ্টুডেন্টকে কলেজে ভর্তি করিয়ে দেয়ার জন্যে। কাজ নিয়ে দেবার জন্যে নয়। যারা পড়াশোনা করতে এসেছে, তাদের তো কাজ নাই কাজ নাই করে হাহাকার করা উচিত নয়, কেননা তারা তো কাজ করতে আসেনি। আর যারা ষ্টুডেন্ট ভিসায় এসে কাজ করতে চায়, তারা বাঙালী কলেজ বলে আফসোস করতে পারে না, কেননা তারা তো এসেছেই এমন কলেজে যেখানে ক্লাস না করে থাকা যায়। আর তারা যে কাজ পাচ্ছে না তার জন্যে কার দোষ? জানা কথা এখন কাজের অভাব।

যদিও খুব খারাপ লাগে এই অবস্থার কথা শুনে, কিন্তু কথা একটাই, আসার আগেই হাজারবার ভাবা দরকার ছিল।

৩০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৫৪

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: আর ভিসা প্রসেসিং এ সাড়ে সাত লাখ টাকার গল্পটা মনে হয় আষাঢ়ে গল্প। ঢাকাতে এখন প্রায় সব গুলো এজেন্সি স্রেফ টিউশন ফি নিচ্ছে। ৩ থেকে ৪ হাজার পাউন্ড। আর যদি কোন এজেন্সি সাড়ে ৭ লাখ নেয়, তাহলে ষ্টুডেন্টের কি কোন বিবেচনা নেই, কেন যে টি্উশনফি নেয়া এজেন্ট বাদ দিয়ে সাড়ে সাত নেয়া এজেন্ট এর কাছে গেল?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:৫৯

উমর বলেছেন: বিবেচনা থাকলে কি আর এভাবে বিপদে পরে?

৩১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৬:৪৩

আমি পালোয়ান বলেছেন: কত জনরে কইলাম। কেউ কথাশোনে না।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:০২

উমর বলেছেন: মানুষের স্বভাবগুলোর মধ্যে একটি, কথা শোনে না কিন্তু যখন সে উদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে নিজেই পড়ে যায় তখন হাড়ে হাড়ে টের পায় কিন্তু এই টের পাওয়া তাকে ঐ বিপদ থেকে উদ্ধার করে না।

৩২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৩০

macsaens বলেছেন: এটা তো গেল ২০০৯ এর কথা। এখন লন্ডন বা ইংল্যান্ড এর পরিস্থিতি ক্যামন? কেউ একটু জানালে খুশি হতাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.