নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অতি সাধারণ একজন মানুষ। নতুন অ্যাকাউন্ট খুললাম শুধু নিজের জ্ঞান বাডানোর জন্য। আর যদি সময় পাই তাহলে নিজের মনের ভাব কিছুটা প্রকাশ করার চেষ্টা করবো। সবাই ভাল থাকবেন।

এ.এস.এম.মনজু

এ.এস.এম.মনজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুদ্ধিমানদের কাছে একটি সমসাময়িক জিজ্ঞাসা

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৭

আজকে Pond's এর একটা কোল্ড ক্রিম কিনতে গিয়েছিলাম দোকানে। দোকানদার আমাকে একই ব্র্যান্ডের, একই পরিমানের ২টি ক্রিম বের করে দেখাল।

১টির মোড়কে মুল্য লিখা ছিল Rs.75। এটা ছিল Made in India.

অন্যটিতে লিখা ছিল ১০০ টাকা। এটা Made in Bangladesh.

দুটোই Unilever এর পন্য।

আমি দুটোই হাতে নিয়ে কিছুক্ষন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে দোকানিকে Indian টির মুল্য জিজ্ঞেস করলাম। সে বলল ১৬০ টাকা তবে আমি তার নিয়মিত ক্রেতা হিসেবে আমার জন্য ১৫০ টাকা। এর থেকে ১ টাকা কমেও সে আর দিতে পারবেনা!

আমার হিসাব মতে, আজকের রেট অনুযায়ী এই ক্রিমের নিট মুল্য ৯৫ টাকা। তাহলে সে কেন এত টাকা বেশি নিচ্ছে! এই প্রশ্ন তাকে করতেই সে আমাকে অনেক হাবিজাবি হিসাব দেখাতে লাগলো! আর তার একটাই কথা ''মামা, ইন্ডিয়ানটি নিয়ে যান, ওটার মান অনেক ভাল করেছে বলেই দাম একটু বেশি''।

যাইহোক, মুল্য নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই। এক দেশের পন্য অন্য দেশে ব্যবহার করতে হলে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী শুল্ক দিতে হয়, পরিবহন খরচ, শ্রমিকের মজুরি, দোকানের ভাড়া, ইত্যাদি বিধায় মুল্য বেশি।

আমার কৌতূহলের বিষয় হল পন্যের মান। দুটোতো একই কোম্পানিরই পন্য, দেশ অনুযায়ী দুটো পন্যের মুল্যও প্রায় একই। কিন্তু দোকানদারেরা কেন বলে বাহিরেরটি ভাল? আচ্ছা, এখানে কি বাহিরেরটি বিক্রি করলে তারা বেশি মুনাফা পায়? নাকি আসলেই এর গুনগত মান আমাদের দেশের তুলনায় আরও ভাল?

হ্যাঁ, যদি বাহিরের পন্যের মান ভাল হয়েই থাকে তাহলে কেন Unilever আমাদের দেশে তাদের পন্য উৎপাদন করছে? আর যদি দোকানদার তার অধিক মুনাফার আশায় মিথ্যা বলে এইসব পন্য বিক্রি করতে চায় তাহলে বিদেশী পন্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করিনা।

কেউ যদি পারেন তাহলে দয়াকরে, আমি এই স্বল্প জ্ঞানী মানুষটিকে ব্যপারটি সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বলেন, আমি আপনার সাজেশনের অপেক্ষায় আছি......

(ও হ্যাঁ, আমার ভাল জিনিষটিই কেনা লাগবে তাই এতো কিছু না ভেবে তখন বিদেশিটিই কিনেছিলাম)

সবাইকে ধন্যবাদ :)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬

ভোরের সূর্য বলেছেন: আসলে বিভিন্ন দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে পণ্য তৈরি করা হয়। বিভিন্ন মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানী বিভিন্ন দেশে পণ্য তৈরি করে সেগুলোর মান ভিন্ন হয় তার মানে এই না বাংলাদেশের তৈরি পণ্য খারাপ কিন্তু দেখা যায় কাঁচামালের ভিন্নতা থাকে যার জন্য পণ্যের মানের তারতম্য হয় কিন্তু এর মানে এই না যে আমাদের দেশের টা খারাপ। আমারদের দেশেরগুলোও ভাল কিন্তু উন্নত দেশেরগুলো আরও ভাল আরোও বেশী কার্যকরী।

উদাহরণ হিসেবে আমাদের দেশের কোক আপনি খেয়েছেন অথচ একই কোক আপনি যখন মালয়েশিয়াতে খাবে দেখবেন তার স্বাদ কিংবা গন্ধ ভিন্ন।

আবার জনসন এ্যান্ড জনসনের পাউডার বাংলাদেশেরগুলো একরকম আবার উন্নত দেশের গুলোতে অন্য রকম অথচ এসব মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানী সমান মান বজায় রেখেই পণ্য তৈরি করে কিন্তু এখানে একটা ব্যাপার হল কাঁচামাল যদি খুব উন্নত মানের হয় তখন পণ্যটির যে দাম হবে সেই দামে কেনার মত লোক কম পাওয়া যাবে বাংলাদেশের।

আরো একটা উদাহণ দেই। বাংলাদেশে চা উৎপন্ন হয় কিন্তু আমরা সাধারণত সি গ্রেডের চা টা খাই। কিন্তু তার মানে এই না যে আমরা যা খাই সেটা খারাপ। আর এ এবং বি গ্রেডের মানের চা বাইরে রপ্তানী হয়।

নোকিয়া একটি বিদেশী কোম্পানী কিনতু একই মডেলের সেট যেটাতে লেখা থাকতো মেড বাই নোকিয়া মানে সেটা ভারতের তৈরি সেটার দাম কম ছিল আবার যেটা মেড বাই হাঙ্গেরি সেটার দাম ৫০০টাকা হলেও বেশী ছিল এর কারণ হল এসেম্বলীং এবং মানের উপর নির্ভর করে দাম কম বেশী কিনতি তার মানে ভারতের নোকিয়া যে খারাপ ছিল সেটা নয় কিন্তু দাম কমের জন্য ভারত কিংবা বাংলাদেশের মানু সেই ৫০০টাকা কম দামের সেট কি কিনতে পারতো।

এছাড়া অধিক ট্যাক্স, অধিক শ্রমমূল্য ইত্যাদি তো আছেই।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৪

এ.এস.এম.মনজু বলেছেন: উদাহরণ হিসেবে আমাদের দেশের কোক আপনি খেয়েছেন অথচ একই কোক আপনি যখন মালয়েশিয়াতে খাবে দেখবেন তার স্বাদ কিংবা গন্ধ ভিন্ন

(আমি কিছুদিন আগে মালয়েশিয়াতে গিয়েছিলাম ওখানে গিয়ে যখন কোক খেয়েছিলাম তখনই আমাদের দেশের সাথে পার্থক্যটা বুঝেছিলাম। তাছাড়া ওখানে বিভিন্ন স্বাদেরও কোক পাওয়া যায় :)

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪১

ঢাকাবাসী বলেছেন: সাধারণ ভাবে আমাদের দেশের শিল্প দ্রব্যের মান নীচু।

৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫৫

নতুন বলেছেন: কাঁচামাল যদি খুব উন্নত মানের হয় তখন পণ্যটির যে দাম হবে সেই দামে কেনার মত লোক কম পাওয়া যাবে বাংলাদেশের।

কাচামাল যদি উন্নত মানের না হয় তবে পন্যটি কিভাবে উন্নত মনের হবে?

আমার মনে হয় মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানীও দেশের আথ`সামাজিক অবস্হার উপরে ভিক্তি করে পন্যের মানেরও পাথ`ক্য করে থাকে...

যদি মানের কথা বলেন... তবে কোক/পন্ডস/নোকিয়ার ফোন সব গুলুই একই মানের হবার কথা...

কিন্তু আমাদের দেশের প্রশাসনের গাফলতি বা দূনিতার কারনে.... এই মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানী গুলি বেশি মুনাফার জন্য খারাপ মানের পন্য বাজারে ছাড়ে বলে আমার মনে হয়...

৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০২

নতুন বলেছেন: আর আমাদের দেশে প্রচুর ভ্যাজাল পন্য আছে...

গতবার দেশে ওলে ক্রিম বিদেশি এবং আসল বলে যেই দাম চাইলো তা বাইরের বিক্রির দামের চেয়ে অধেক.....

আমি বুঝলাম যে এতো কমে যেহেতু দিচ্ছে তবে অবশ্যই এটা নকল পন্য... কিন্তু বিদেশি বলে বিক্রি করছে...

তার দোকানে সবই বিদেশি পন্য বলে দাবি করলেন দোকানী...

পাবলিক বিদেশি খোজে.... তাই তারাও বিদেশীই বিক্রি করে... ;)

৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৫

সাইফুর রহমান পায়েল বলেছেন: মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি গুলো কোন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে পণ্যের মান ও দাম ঠিক করে। যেমন বাংলাদেশের পন্য (যা বাংলাদেশের তৈরি বা বাংলাদেশের জন্য তৈরি) তার দাম কম। কারন উন্নত দেশের মানুষের পক্ষে দামি পন্য কেনা সহজ, কারন তাদের মাথাপিছু আয় বেশী। বাংলাদেশের কথা বিবেচনা করেই তারা সব ক্রেতার কথা মাথায় রেখে মান ও দাম নির্ধারণ করা হয়, প্রয়োজনে মান কমানও হয়ে থাকে।

উদাহরন হিসেবে ইউনিলিভার এর লাক্স সাবানকে ধরা যাক। বাংলাদেশে যে সাবান তৈরি করা হয় তা গ্রেড-২ মানের।

সাবানের মান নির্ধারণ করা হয় টিএফএম (টোটাল ফ্যাটি ম্যাটার) এর উপর ভিত্তি করে। কোন সাবানে টিএফএম এর পরিমান ৭৫%-৮০% হলে সেটা গ্রেড-১ মানের। ৬৫% এর বেশী হলে তা গ্রেড-২ মানের হয়। তার নিচে গেলে গ্রেড ৩ মানের।

উইকিতে দেখে নিতে পারেন।
http://en.wikipedia.org/wiki/Total_fatty_matter


লাক্স সাবান বাংলাদেশের জন্য গ্রেড-২ মানের করে বানানো হয়(খুব সম্ভবত ৭০%টিএফএম)। বাংলাদেশে মাত্র ২ টা সাবান আছে যা গ্রেড-১ মানের। (আর থেকে থাকলে আমার চোখে পরেনি।)
১। স্যান্ডালিনা ৮০% ( কোহিনূর কেমিক্যাল)
২। মেরিল স্প্ল্যাশ ৭৬% (মেরিল)
তবে বিদেশে যে লাক্স বানানো হয় তা কিন্তু গ্রেড-১ মানের। তাই বিদেশি লাক্স কিনতে দেশী সাবানের চেয়ে বেশী দামে কিনতে হয়।
প্রমানের জন্য বাংলাদেশের যে কোন লাক্স সাবানের প্যাকের গায়ের লেখা পরুন(পেছোনের পাশে)।
সব সাবানের গায়ে স্পষ্ট করে সাবানটি কোন গ্রেডের তা উল্লেখ করা আছে(বিএসটিআই অনুমোদিত হলে)।

৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০০

সুমন কর বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯

নতুন বলেছেন: ইউনিলিভার এর লাক্স সাবানের ব্যাপারটা ব্যবহার করে টের পেয়েছি..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.