নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্ধ-কালা-বোবা! - তিনটি আলাদা বানর নয়, আমরা একের ভেতরেই তিন।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:৫৪

"কীরে, একা একা হাসছিস কেন?"

"এইযে ভিডিওটা দেখে।"

"হু! এতে হাসির কী হলো?"

"দ্যাখ, নেতা(নাম বললাম না, বিতর্ক হতে পারে) কিভাবে কথা বলছে!"

"হু, আমিতো কোন সমস্যা দেখছি না।"

"তোর মনে হচ্ছে না বেচারা বঙ্গবন্ধুকে নকল করার চেষ্টা করছে? দ্যাখ! কথায় কথায়, প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে তর্জনী তুলছে। হাহাহা।"

"নকল করতে যাবে কেন? এই স্বভাব তার মধ্যে এমনিতেই থাকতে পারে।"

"হতে পারে, কিন্তু তার সুযোগ অত্যন্ত কম! তুই একটা জিনিস খেয়াল করেছিস, আওয়ামীলীগের সবকটা নেতাই শেখ মুজিবুর রহমানের মত করে বক্তৃতা দেয়ার চেষ্টা করে? কথায় কথায় তর্জনী তুলে, গলায় গাম্ভীর্য আনার চেষ্টা করে?"

"তাতে দোষের কিছু আছে?"

"অবশ্যই না। একটা মানুষ যতই আওয়ামী বিদ্বেষী হোক, কিছুতেই একাত্তুরে শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অস্বীকার করতে পারবে না। তিনিই ছিলেন বাঙ্গালীর অবিসংবাদিত নেতা! 'বঙ্গবন্ধু' উপাধিটি তিনি জনতার কাছ থেকে আয় করেছেন, কাউকে তোষামোদ করে নেননি।"

"তাহলে তাঁকে নকল করায় দোষের কী আছে?"

"আছে। কারন নকল করে কেউ বড় হতে পারেনা। নকল তারাই করে যাদের ব্যক্তিত্বে সমস্যা আছে। বঙ্গবন্ধুকন্যাকে খুশি করার চাটুকারিতা এর পেছনে কাজ করতে পারে। এই ধারনাও থাকতে পারে যে দেশের মানুষ তাঁর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ছায়া খুঁজে পেয়ে খুব আহ্লাদিত হবে। আসলে সবই ফালতু। শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতি শিখেছেন মাওলানা ভাসানীর কাছ থেকে। অথচ তাঁদের দুইজনের বক্তৃতার ধরন সম্পূর্ন ভিন্ন। ব্যক্তিত্বও ভিন্ন। যদি শেখ মুজিবুর রহমান 'মজলুম জননেতাকে' নকল করতেন, তাহলে আজকে তিনি 'বঙ্গবন্ধু' হতে পারতেন না। আর তাছাড়া শেখ মুজিবুর রহমান শুধু তর্জনী উঁচিয়ে কথা বলেই নেতা হয়ে যাননি। সাধারণ মানুষের কাছাকাছি চলে আসার একটা সহজাত গুণ তাঁর চরিত্রে ছিল। তাঁর কন্ঠস্বরে একটা জাদুকরী মোহনীয়তা ছিল। নেতারা জন্মে থাকেন, ট্রেনিং দিয়ে বা নকল করে নেতা হওয়া সম্ভব না।"

"খারাপ বলিসনি।"

"হ্যা, তুই দেখবি, একই ব্যপার বিএনপির ক্ষেত্রেও। বিএনপির নেতারা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নকল করে। আরেকটা ব্যপার আমার সবচেয়ে বেশি হাস্যকর লাগে। সাথে হতাশও করে।"

"কোনটা?"

"আমার মা চমৎকার রান্না করতে পারেন, তার মানে এই না যে আমিও পাকা বাবুর্চি!"

"মানে?"

"মানে হলো, আমির খান দূর্দান্ত অভিনেতা হলেও তাঁর স্ত্রীও যে পাকা অভিনেত্রী, এর নিশ্চয়তা কী?"

"তুই কী আমাদের দেশের রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করছিস?"

"হাহাহা, ঠিকই ধরেছিস। শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে নিহত হলেন, সবাই তাঁর বড় কন্যাকে এনে আওয়ামীলীগের হাল ধরিয়ে দিল। তেমনি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শহীদ হবার পরে তাঁর স্ত্রীকে বিএনপির কান্ডারী বানিয়ে দিল। তাঁদের নেতৃত্বের ফলাফল আমরা গত বিশ বছর ধরে দেখে আসছি। এখন তাঁদের অবসরে যাবার পালা। এখন মাঠে নামছেন তাঁদের সুযোগ্য পুত্রধনেরা। কেন? আমাদের দেশ না গণতান্ত্রিক? তাহলে পরিবারতন্ত্র চলছে কেন? বিএনপি বা আওয়ামীলীগে কী আর কোন যোগ্য নেতা নেই? সম্রাটের ছেলেই সম্রাট হয়, এ মধ্যযুগীয় প্রথা। গণতন্ত্রে যে যোগ্য, তাকেই নেতা বানানো উচিৎ। রবীন্দ্রনাথের ছেলে রথীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যে কিছুই করতে পারেননি। সত্যজিতের ছেলে সন্দীপ রায়, বাবার মত বিখ্যাত ডিরেক্টর হতে পেরেছেন? হালের অভিষেক বচ্চনকেই ধর, বেচারা ধুম সিরিজে লোক হাসিয়ে বেড়াচ্ছে। অথচ রাজনীতির ময়দান হলে, তারাই হতেন সম্রাট! কোন মানে হয়?"

"তাহলে কী করবে? নতুন কোন নেতা আসবে? আসুক না...আসতে বাঁধা কোথায়?"

"আসতে বাঁধা আছে। পরিবারতন্ত্রের রাজনীতিবিদেরাই তাঁদের আসতে দিচ্ছেনা। সাথে আমাদের দেশের মানুষেরও দোষ আছে। মুখে যাই বলুক না কেন, ভোট শেষ পর্যন্ত ঐ ‘মার্কা’ দেখেই দেয়। আমাদের ফরহাদ কাকার(ছদ্ম নাম) ব্যপারটাই দেখ, তাঁর মতন ভাল মানুষ তুই দেখেছিস একটাও? সত্যি করে বল! এই লোকটা সাধারণ মানুষের উপকারে নিজের জীবন পার করে দিচ্ছেন। তাঁর ক্ষমতা সীমিত, সেটা দিয়েই তিনি যা পারেন করেন। অথচ বেচারা নির্বাচনে স্বতন্ত্র পার্টি হয়ে দাঁড়ান, কয়জন মানুষ তাঁকে ভোট দেয়? ঐ দেলু চেয়ারম্যানকেই(ছদ্ম নাম) নির্বাচন করলো সবাই। ঘটনা কী ঘটলো? কেউ বিপদে পড়লে দেলু চেয়ারম্যানের কাছে গেলে সাহায্য পাওয়া যায়? না! সবাই সেই ফরহাদ কাকার কাছেই ছুটে আসে। কাজ শেষে বাড়ি যায়, ভুলেও যায়। আবার নির্বাচনে ভোটের সময় ভোট হয় নৌকায় দেয়, না হয় ধানের শীষে। ফরহাদ কাকার ব্যালট বাক্সে ভোট পড়ে কয়টা?"

"হুমম।"

"হুমম না। এখন সবাইকেই ভাবতে হবে। আমরা আর কতদিন চুপ করে থাকবো? দেশটা যে মারা যাচ্ছে, তার আর্তনাদ শুনে না শোনার ভান কতদিন করবো? আমরা কী এতই অন্ধ হয়ে গেছি যে দেশের কান্না দেখতে পাইনা?এতই পাষান হয়ে গেছি যে নিজের মায়ের আহ্বানেও সাড়া দিবো না?"

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:০৪

ভাইটামিন বদি বলেছেন: ....আসলেই আমরা অন্ধ!!!

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:১৭

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক ধরেছেন।

২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৩৫

ইয়াসিন কবির বলেছেন: আমরা অন্ধ নই, বিবেকহীন হয়ে পড়ছি দিন দিন।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৩

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.