নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
অ্যামেরিকান অ্যাম্বেসীতে স্বপরিবারে বসে আছি। ইমিগ্রেশনের জন্য ইন্টার্ভিউর ডেট পড়েছে। আমরা আমাদের ডাকের অপেক্ষা করছি।
আব্বু বারবার ফাইল পত্র ঘাটাঘাটি করছেন। দেখে নিচ্ছেন কোন কাগজ বাদ পরে গেল কিনা। আমাদের এক চাচা কি একটা ফাইল ফেলে এসেছিলেন, উনার যাওয়া আট মাস হলো পিছিয়ে গেছে। আবার কবে ডাক পাবেন ওরাই ভাল বলতে পারবেন। আমাদের এই বিলাসিতা পোষাবে না। আমাদের এক চান্সেই ভিসা পেতে হবে।
আব্বুর টেনশন আমাকে নিয়ে। আগামী মে মাসে আমার বয়স একুশ(কাগজে কলমে) হয়ে যাবে। একুশ হয়ে গেলে আমি যেতে পারবো না। এখন ডিসেম্বর মাস। মে আসতে আসতে এখনও ছয় মাস বাকি আছে। এখনই ভিসা না হলে আমার খবর আছে।
আমি সেদিক দিয়ে চিন্তিত না। আমি উপরওলার হাতে নিজেকে ছেড়ে দিয়েছি। তিনি চাইলে আমার যাওয়া হবে, না চাইলে আমাকে দেশে থাকতে হবে। আমার হাতে যা আছে আমি করেছি, যা করার নেই তা নিয়ে টেনশনেরও কিছু নেই।
আম্মু গল্পজুড়ে দিয়েছেন আমাদের সামনের এক মহিলার সাথে। খ্রীস্টান বঙ্গ ললনা। এক বাচ্চা নিয়ে এসেছেন। কোলের বাচ্চা না। কথা বলতে বলতে দৌড় ঝাপ করনেওলা দুরন্ত বাচ্চা। একে খোঁচা দেয়, ওকে খোঁচা দেয় এমন বিরক্তিকর বাচ্চা। মহিলা বাচ্চাকে ধমক দিয়ে শান্ত হতে বলেন। বাচ্চা কিছুক্ষণ শান্ত থেকে আবার শুরু করে দৌড় ঝাপ। বাচ্চা সামলাতে সামলাতে মহিলা জানালেন তাঁর স্বামী থাকেন অ্যামেরিকায়। তাঁর জন্য অ্যাপ্লাই করে রেখেছিলেন। প্রথমবার তিনি রিজেক্টেড হয়েছেন। এবারে আরেকবার এসেছেন।
তখন দেশে গুজব ছিল মুসলমানরা অ্যামেরিকায় অসহায়। মুসলমান শুনলেই সবাই ভুরু কুঁচকে তাকায়। মুসলমানদের দেখা হয় ম্যাগ্নিফাইং গ্লাসের নিচে। মুসলমানদের ভিসা পেতে সমস্যা হয়। নামের আগে পিছে "আহমদ" "মুহাম্মদ" "রহমান" থাকলে নাকি কথাই নেই, ভিসা বাতিল!
আমার আব্বুর নাম মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান চৌধুরী। ধরেই নিয়েছিলাম আমাদের খবর আছে।
এরমধ্যে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী এক ভাষণে বলে দিয়েছিলেন "বাংলাদেশে এসে তালেবানেরা আশ্রয় নিয়েছে। এখন দেশ ভর্তি তালেবান!"
এরপর থেকেই অ্যামেরিকানরা মহা সতর্ক হয়ে গেল ভিসার ব্যপারে।
মহিলার কথা শোনার পরে দেখলাম, কেবল মোহাম্মদ নামঅলা মুসলমানেরাই নয়, রোজারিও, ডিকস্তা টাইটেলঅলা খ্রিষ্টানরাও সহজে ভিসা পায় না। অ্যামেরিকান ভিসা এখন এতই দুর্লভ!
অ্যাম্বেসির দেয়ালে পোস্টার ঝোলানো দেখলাম, "মিথ্যা বলার পরিণতি জেল, সত্যি বললে যেতে পারবেন অ্যামেরিকা।"
এ যেন "পাপ করলে জাহান্নাম এবং পুণ্য করলে বেহেস্তের" নতুন সংস্করণ।
ইন্টার্ভিউ যারা নিচ্ছেন, তারা সবাই সাদা চামড়ার বিদেশী। অ্যামেরিকান। তবে যে জিনিসটা ইন্টারেস্টিং লাগলো, তা হচ্ছে তারা সবাই বাংলায় ইন্টার্ভিউ নিচ্ছেন। মনে হচ্ছিল যেন হানিফ সংকেতের ইত্যাদি দেখছি। বিদেশী চলচ্চিত্রের বাংলায় ডাবিং।
আমাদের ডাক পড়লো। আমরা গেলাম। শ্বেতাঙ্গিনী ভদ্রমহিলা বললেন, "আপনাডের কাগজ দেকি।"
আব্বু এগিয়ে দিলেন।
"আপনার পুরা নাম?"
আব্বু ইংরেজিতে বললেন, "মাই নেম ইজ মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান চৌধুরী।"
শ্বেতাঙ্গিনী কারও সাথে বাংলায় কথা বলায় আব্বু বেচারা অভ্যস্ত নন।
মহিলা বাংলায় ইন্টার্ভিউ নিতে নিতে ভুরু কুঁচকে কাগজপত্র দেখছেন। আমাদের দুই ভাইয়ের বয়স জিজ্ঞেস করলেন। আমাদের এসএসসি, এইচএসসি সার্টিফিকেট দেখছেন। আমি অবাক হলাম দেখে যে মহিলা কেবল বাংলা বলতেই পারেননা, বাংলা পড়তেও পারেন। তিনি আমাকে বললেন, "ইটা মাড্যমিক পরিক্কার সার্টিফিকেট, উচ্চ মাড্যমিকেরটা কই?"
বিদেশিনীর ভাষায় নিজের মাতৃভাষা শুনতে কী যে ভাল লেগেছিল!
চলে আসলাম অ্যামেরিকা।
এখানে এসেই নানান জাতের বাঙ্গালীর সাথে পরিচয় ঘটলো। একশ্রেণীর বাঙ্গালী ছেলেদের দেখলাম যাদের প্যান্ট পারলে খুলেই পড়ে যায়। একদিকে তার ইজ্জত বাঁচাতে তার কোমরের বেল্ট আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে, অন্যদিকে তার নিজের কোনই ভ্রুক্ষেপ নেই। সে হাঁটলেই প্যান্টের আড়ালে মিকিমাউসের ছবি আঁকা রঙ্গিন আন্ডারওয়ার উকিঝুকি দেয়। হাতে-গলায় চেইন, মাথায় ওভার সাইজড টুপি। কারও কারও গায়ে আবার ট্যাটু আঁকা! মুখ দিয়ে অশ্লীল ইংরেজি ছাড়া কোন কথাই বেরোয় না। ব্ল্যাক আমেরিকান সাজার আপ্রাণ চেষ্টা! কিন্তু এরা আবার জাতে মাতাল, তালে ঠিক। নিজের চামড়াটা বদলে কালো করতে রাজি নয়। গার্লফ্রেন্ড অথবা বিয়ের জন্য ফর্সা মেয়ে চাই!
আরেকদলকে দেখলাম যারা পারলে নিজের চামড়া বদলে সাদা করে ফেলে। হাবেভাবে এমন যেনবা তাহাদের গত সাত পুরুষ ধরিয়া এই মুল্লুকে বসবাস!
আমার বয়সী এক ছেলের সাথে পরিচয়, যে যথারীতি ইংরেজি ছাড়া বাংলা বলে না। তার কাছ থেকে জানা গেল সে মতিঝিল মডেল হাই স্কুলে পড়তো। গত দুবছর মাত্র হয়েছে ডালাস এসেছে। তার নাকি সব অ্যামেরিকান বন্ধুবান্ধব। বাংলা না বলতে বলতে সেই ভাষাটা একদমই ভুলে গিয়েছে। এখন একদমই বলতে পারেনা!
আমি মনে মনে ভাবি, "দুই বছরেই এই হাল! চারবছর থাকলেতো নিজের মাকেই চিনবি না ব্যাটা!"
আরেকটা ছেলেকে দেখলাম, যে এক বাঙ্গালী বিয়েতে তার অন্যান্য বাঙ্গালী বন্ধুবান্ধবদের অতি গর্বের সাথে বলছিল, "ও মাই গড! কতদিন পরে আমি এত্তগুলা ব্রাউন পিপলকে একসাথে দেখতে পারছি! হাহাহা।"
ভাবখানা এমন যেন জনাব নিজের গাত্রবর্ণখানা দর্পণে দেখিয়া অভ্যস্ত নহেন। অবশ্য তাহার গাত্রবর্ণখানাকে কোনক্রমেই "বাদামী" বলা সমুচিৎ হইবে না। বরং উহাকে মাটির চুলায় ঝলসাইয়া যাওয়া পাতিলের তলদেশের সাথে তুলনা করিলেই অধিকতর যুক্তিযুক্ত হইবে।
দেশের মাটিতে বিদেশী অ্যাম্বেসিতে এক শ্বেতাঙ্গিনীর মুখে মাতৃভাষা শুনে যেমন ভাল লেগেছিল, তেমনি বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশী অনুষ্ঠানে এক বাদামী চামড়ার বাঙ্গালীর মুখে ফাজলামি টাইপ কথাবার্তা শুনে তেমনই মেজাজ খারাপ হয়েছিল।
ডালাস হয়তোবা ভাল লাগতো না যদি না তৃতীয় ধরণের মানুষদের সাথে আমার দেখা হতো।
এঁরা বাংলাদেশ ছেড়েছেন বিশ পঁচিশ বছর হয়ে গেছে। অথচ এখনও দেশটিকে নিজেদের বুকে লালন করে চলেছেন। এঁরাই একুশে ফেব্রুয়ারীতে ছোটখাটো শহীদ মিনার নির্মাণ করেন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। ছাব্বিশে মার্চ পালন করেন। বৈশাখকে স্বাগত জানান রবীন্দ্র-নজরুলের গানের মাধ্যমে। ষোলই ডিসেম্বর আয়োজন করেন বিজয় মেলার! মাঝে বছরের বিভিন্ন সময়ে চলে পিঠা উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মঞ্চনাটক! একজনতো আছেন এখানে থেকেই বাংলা টেলিভিশনের জন্য নাটক বানাবার দুঃসাহস দেখান! এঁরা শুধু নিজেরাই নন, তাঁদের ছেলেমেয়েদেরও এসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করান, যাতে তারা জানতে পারে নিজেদের শেকড় সম্পর্কে, শিখতে পারে চৌদ্দ পুরুষের সংস্কৃতি।
এসমস্ত লোকেদের জন্যই আজকে আমাকে অফিস(ক্যারলটন সিটি) শেষে দৌড়াতে হবে এক সিটিতে, রিচার্ডসন, একুশের এক অনুষ্ঠানের জন্য রিহার্সেল আছে। যদি সেটা ভালয় ভালয় আগেভাবে শেষ হয়, তবে দৌড়াতে হবে আরেক সিটিতে, আর্ভিং, একুশের আরেকটা অনুষ্ঠানের জন্য রিহার্সেল। আর নিজের বাসাতো ডালাস, সেটা আরেক সিটি! সিটি থেকে সিটিতে এই ছোটাছুটির মধ্যেও আনন্দ আছে।
একদিকে নিজের দেশেই যেখানে বাংলাদেশকে ধুকে ধুকে মরতে হচ্ছে, অন্যদিকে বিদেশের মাটিতেও এঁদের কারণেই "বাংলাদেশ" বেঁচে আছে!
একুশের মহান দিনটিতে বাংলায় স্ট্যাটাস লিখতে পারার আনন্দের কোন তুলনা নেই। সবাইকে একুশের শুভেচ্ছা, এবং ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৬
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: এই শিরোনাম না হলে আপনি আমার লেখা পড়তেন? আমার আগের লেখা একটাও পড়েছেন?
২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:২৯
নীল জানালা বলেছেন: লেখাটা ভালো লাগলো..
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৩৭
পাঠক১৯৭১ বলেছেন:
আপনি লিখেছেন,
"এঁরাই একুশে ফেব্রুয়ারীতে ছোটখাটো শহীদ মিনার নির্মাণ করেন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। ছাব্বিশে মার্চ পালন করেন।"
- ছাব্বিশে মার্চ পালন করেন?
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: হ্যা, ছাব্বিশে মার্চ পালন করেন। সমস্যা আছে?
৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৩৭
ভাইটামিন বদি বলেছেন: অা'মরি বাংলা ভাষা।
৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৫৩
স্টকহোম বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
যাদের বর্ননা দিয়েছেন, তারা আছেন সবখানেই!
ঠিকই বলেছেন, আমি মনে মনে ভাবি, "দুই বছরেই এই হাল! চারবছর থাকলেতো নিজের মাকেই চিনবি না ব্যাটা!"
অতি সম্প্রতি একজনকে পেয়েছি, যিনি বাংলাদেশী দোকানে ডিসকাউন্ট পান না বলে বাংলায় কথা বলেন না!
এসব লিখলে গীবৎ মনে হবে।
ভালো থাকুন।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১০
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন:
৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:০৬
খেয়া ঘাট বলেছেন: ব্ল্যাক আমেরিকান সাজার আপ্রাণ চেষ্টা!
খুউব চোখে লাগে ব্যাপারটা।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক।
৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৩৮
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মডেল স্কুলতো আইডিয়াল স্কুলের গর্ভজাত।। বক্সী স্যারের।। তাহলে আমরা ফজলুল স্যারের গুনগান গাইবো কখন>>??
৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৫৯
সাজ্জাদ হোসেন রাকিব বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন, তবে হেডলাইনটা কেমন কেমন জানি...
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১১
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: এই হেডলাইন না হলে যে আপনি পড়তেন না!
৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৫
বাহলুল আহসান বলেছেন: সুন্দর তবে থাবড়ানোর কথাটা না লিখলে ভাল ছিল।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১১
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আমারও ভাল লাগেনি, কিন্তু ভাল হেডলাইনের লেখা কেউ পড়ে না কিনা!
১০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪৫
জানা বলেছেন:
খুব ভাল লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে। অন্যান্যদের মত আমারও একটি অনুরোধ আছে। আর তা হলো এত সুন্দর একটি লেখার শিরোণামটা একটু ভেবে দেখুন, সুন্দর কোন শব্দ বেছে নিন।
প্রবাসে থেকে সবরকম ভাবনায়/অভিজ্ঞতায় লেখালিখির পাশাপাশি স্বদেশ, মাতৃভাষা এবং সেখানে এর চর্চা নিয়ে আপনার কাছে আরও লেখা আশা করি।
মঙ্গলময় হোক আপনার প্রবাস জীবন।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক। লেখা ভাল লেখার চেষ্টা করি, কিন্তু ভাল শিরোনামওলা লেখাতে পাঠক পাইনা। এই শিরোনাম না হলে আপনি নিজে কী আসতেন? আমার আগের কয়টা লেখা পড়েছেন?
১১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: shirunamey kkhub jhorey porlo..... probashey valo thakun
১২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১২
তাসজিদ বলেছেন: ভালমন্দ সব স্থানেই আছে।
সাদা চামড়ার দেশে গিয়ে নিজেদের বিলাতি মনে করে, এমন মানুষের সংখ্যাই মনেহয় বেশি?
Fuck ছাড়া কথা বের হয় না।
যত অশ্লীল তত স্মার্ট।
১৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২০
গ্রীনলাভার বলেছেন: মজার ব্যাপার হলো, থাবরানোর শিরোনাম দেখে প্রথমে পড়তে ইচ্ছে জাগেনি।
আপনার জীবনযাপন, স্মৃতিকথা, ভ্রমন গুলো নিয়ে নিয়মিত লিখুন।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৩
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: স্যাড বাট ট্রু, আমার এই লেখায় ছয়শোর বেশি পাঠক, অন্যান্য লেখায় একশোও নয়।
১৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩
সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন।
১৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৬
অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: +++
১৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪১
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: ভাইয়া লেখায় পাঠক পাওয়ার উদ্দেশ্যে ই হোক বা অন্য কোন , কারও ভুল অন্যায় ধরিয়ে দেওয়ার জন্য নিজে অন্যায় বা ভুল করাটা কতটুকু যুক্তিক সেটা কি একটু ভেবে দেখবে? ?
লেখায় কি ধরেনের পাঠকের মন্তব্য চাচ্ছি আমরা তাও কিন্তু এই শিরোনামে র উপরেই নির্ভর করে । যদিও ভালো মন্দের বিচারের হিসেবটা আপেক্ষিক !!
আমি নিজে কালকে এই শিরোনাম দেখে বিরক্ত হয়েছি কাকে কি বলতে চাচ্ছজানতে পড়েছি ঠিকই কিন্তু মন্তব্য দিতে অনাগ্রহী ছিলাম
এখানে যারা বাংলা বলতে চায়না তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড খোজ করলেদেখবে বেসিরভাগই. কিছুটা সল্প শিক্ষিত বা নরবরে মুল্যবোধেথেকে । সঠিক বা শুদ্ধ ভাষার ব্যবহার ই কোনদিন শুনেনি ।আর যাদের শিকরের ভিত দুর্বল থাকে তারা খুব সহজেই পরগাছার মত আশেপাশের সবকিছু আক্রে ধরে. আমার কথাগুলো মিন শুনালেও এটাই সত্যি
মজার কথা হচ্ছে তোমার আব্বু বিদেশিদের মুখে বাংলা শুনে অবাক হয়েছে আর আমি এম্বাসি তে গিয়ে বাংগালী অফিসারদের কথা শুনে অবাক হয়েছিলাম , অনেক সময় লেগেছিল বুঝতে যে তারা বাংলায় বলছে
মফস্বল শহরে বেড়ে উঠায় গুলশান বনানীর বাংলিশ ভাষা র সাথে তখন পরিচিত ছিলাম না মিরপুর ধানমন্ডির মানুষ জন তখনও বাংলা ভাষা তেই বলতেন ।
" পাহাচ (৫) নাহাম্বর জ্যানলায় এয়াসুন! !
আর ফিট খেয়েছিলাম বনানীর এক কফিশপে ঢুকে কিছু ছেলেমেয়েদের গল্পমালা শুনে
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৮
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! নিজের এক্সপিরিয়েন্স শেয়ার করার জন্যও ধন্যবাদ! শিরোনাম নিয়ে সেই এক কথাই বলবো, আমার অন্যান্য লেখা পড়েছেন? সেসবের শিরোনাম কিন্তু ঠিক ছিল। অনেক অনেক ভাল লেখাও কেউ পড়েনি।
১৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:৫৬
ভবঘুরে_পথিক বলেছেন: আমার ভাই প্রশ্ন ছিল । ২১ পার হলে কি আর বাবা মা এর সাথে জাওা যায় না ? আমার ২১ পার হয়ে গিয়েছে, কিন্তু এখনো এম্বাসি থেকে ডাকে নাই। যদিও USA থেকে আমার জন্য টাকা পয়সা সব দাওয়া শেষ। এখনো বুঝতেসি না কি আছে কপালে... :/
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৫
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আমার সময়ে দিত না। এখন শুনেছি দেয়। ইনশাআল্লাহ হয়ে যাবে।
১৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২২
হেডস্যার বলেছেন:
আমি ও থাবড়াইতেই আসছিলাম, লেখা পড়ে ভালো লাগলো।
থাবরানোর কথা ভুলে গেলাম।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৬
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন:
১৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:০৩
মিনেসোটা বলেছেন: আরও দিন কতক থাকেন, তারপর নতুন আমদানীদের ফাপড় দেখে ওদেরকে থাপড়াতে ইচ্ছা করবে
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:২৮
অন্তরন্তর বলেছেন:
খুব সুন্দর লিখেছেন তবে হেডলাইনে থাবড়ানোর কথাটা
ভাল লাগল না। আমি আপনার লিখার তৃতীয় ধরনের মানুষদের
একজন। যেই কারণগুলোর জন্য আপনার ক্ষোভ কিছু বাঙ্গালীদের
উপর তা আমাদের মেনে নিতে হবে তবে আমি মনে করি
মা বাবা বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকে শিক্ষা দিলে কিছুটা হয়ত
কম দেখা যেত। সবচেয়ে বড় কারন এইসব দেশের কালচার যা
ছোট থেকে স্কুলে বা বন্ধুদের সাথে মিশে হচ্ছে। এটা আপনি বা
আমি বদলাতে পারব না যদি না নিজ দেশে ফেরত যাই।
মন্তব্য বড় হয়ে যাচ্ছে তাই আর লিখলাম না।
শুভ কামনা আপনার জন্য।