নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাখি ড্রেস

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২০

আমার এক বন্ধু আছে যে দুইহাতে টাকা খরচ করে।

কোন সমস্যা নেই। টাকা পয়সা মানুষ আয়ই করে খরচের জন্য।

আমারও একই ফিলোসফি। মারা যাবার পর আমি যখন কবরে যাব, সম্পূর্ন খালি হাতেই যাব। পেছনে ব্যাংকের সেভিংস অ্যাকাউন্টে এক ডলার রেখে গেলেও যা, মিলিয়ন ডলার রেখে গেলেও তা। কিছু যাবে আসবে না।

এই বিষয়ে একটি ঘটনা বলার লোভ সামলাতে পারছি না।

হযরত আলী(রাঃ) একদিন তাঁর সঙ্গী সাথীদের নিয়ে এক কবরস্থান জিয়ারতে গেলেন। তিনি সেখানে কবরবাসীদের উদ্দেশ্যে বলে উঠলেন, "তোমাদের স্ত্রীরা এখন অন্য মানুষের সংসার করছেন, তোমাদের রেখে যাওয়া সম্পত্তি নিয়ে তোমাদের ছেলে মেয়েরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে। তোমাদের বন্ধুবান্ধবেরা নিজেদের জীবন নিয়ে ব্যস্ত। তোমাদের কথা এখন কেউই স্মরণ করেনা। হে কবরবাসীগণ! তোমরা কেমন আছো?"

হযরত আলীর (রাঃ) উদ্দেশ্য ছিল তাঁর সাথের সঙ্গী সাথীদের একটি ম্যাসেজ পৌছে দেয়া। কবরে আমাদের সবাইকেই একা যেতে হবে। পৃথিবীর যাবতীয় সম্পত্তি, সন্তানসন্ততি, বন্ধুবান্ধব-আত্মীয় স্বজন, এমনকি স্ত্রীও সেখানে কোন কাজে আসবেনা।



আমার নিজের বন্ধুর কথায় ফেরা যাক। যে দুইহাতে টাকা খরচ করে। কিন্তু তার সমস্যা হচ্ছে, সে চায় যেন লোকজন জানে যে সে টাকা খরচ করে। সহজ কথায় 'শো অফ' আর কি!

উদাহরণ দেই।

আমরা হয়তো কোন এক বন্ধুর বাসায় এক হয়েছি। এক্সবক্সে ফিফা খেলছি অথবা ব্লু রেতে কোন মুভি দেখছি।

সে হেলতে দুলতে এসে উপস্থিত। হয়তো গায়ে দামী কোন শার্ট চড়িয়ে এসেছে।

যেহেতু আমরা গেম খেলছি, অথবা মুভি দেখছি, তাই কেউ পাত্তা দিচ্ছিনা। আমরা এমনিতেও পাত্তা দেই না কে কি পোশাক পড়ে।

কিন্তু সে উসখুস করতে থাকে। ইনিয়ে বিনিয়ে বলে, "আমার জানি কি হয়েছে......"

তার পাশের একজন হয়তো বলবে, "কেন কি হয়েছে আবার?"

বলে রাখা ভাল, আমাদের এই বন্ধু আবার বিরাট প্রেমিক পুরুষ। ধামাধাম প্রেমে পরে যায়। কারও বোন, খালাতো বোন, মামাতো বোন, মামী - কিচ্ছু মাথায় রাখেনা। অপরজন ভাবে হয়তোবা এইবারও নতুন কারও প্রেমে পড়ার ঘটনা ঘটেছে।

সে ইনিয়ে বিনিয়েই বলতে থাকে, "না মানে, আজকাল আমি দোকানে গেলে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারিনা। দামী জিনিস পেলেই কিনে ফেলি!"

পাশেরজন পাত্তা দিল না। এই ঘটনা নতুন না।

"ও আচ্ছা।"

সে গেম খেলায় অথবা মুভি দেখায় ব্যস্ত।

'শো অফ বন্ধু' তখন কিছুক্ষণ উসখুস করে বলে উঠে, "না মানে, এই যেমন ধর এই শার্টটা পড়ে এসেছি, এটা বারবারির শার্ট। পাক্কা আড়াইশ ডলার নিয়ে গেল। তবু কিনে ফেললাম।"

এইবার পাশের বন্ধু গেম থামিয়ে তার দিকে তাকিয়ে বেশ বিরক্ত গলায় বলল, "তুই এত শো অফ করিস ক্যান?"

বন্ধু আমার তখন যেন হঠাৎ করেই আসমান থেকে পড়েন।

চোখ বড় বড় করে অবাক হয়ে বলে, "আমি শো অফ করি! আমি? তুই জানিস, এই যে আমি আরমানির প্যান্ট পড়ে আছি, সেটা কি আমি তোকে দেখিয়ে বেড়াচ্ছি? তাহলে কি করে বলিস আমি শো অফ করছি?"

"যেদিন এই প্যান্টটা কিনেছিলি, সেদিনই কিন্তু বলে ফেলেছিলি।"

বেচারা খুব আহত চেহারায় তাকিয়ে থাকে। বন্ধুর আচরণে সে খুব কষ্ট পেয়েছে।



আরেকটা ঘটনা উল্লেখ করা যাক।

আমার এক বন্ধু জুতা কিনবে। ফর্মাল স্যুজ। সে গিয়েছে একটি ফর্মাল কাপড় পাওয়া যায় এমন দোকানে।

আমরা যাচ্ছি শুনে শো-অফ বন্ধুও এসে হাজির। আমার সাথে দোকানের গেটে দেখা। আমাকে দেখেই বলল, "Oops! ওয়ালেট আনতে ভুলে গেছি!"

আমি চুপ করে রইলাম। কারন আমি জানি এখনই সে 'গা জ্বালানি' মার্কা কিছু একটা বলবে যা শুনে আমার অঙ্গে অঙ্গে আগুন জ্বলে উঠবে।

বন্ধু আমার আমাকে হতাশ করলো না। সাথে সাথে বলে উঠলো,

"অবশ্য ভালই হয়েছে। ওয়ালেট সাথে থাকলেইতো শপিং করে ফেলতাম!"

আমার আরেক বন্ধু, যে জুতা কিনতে গেছে, সে কিন্তু আমার মত চুপ থাকেনা। সে ফট করে বলে ফেলল, "কোনই অসুবিধা নাই। তুই শপিং কর। আমি পে করবো। পরে তুই আমাকে দিয়ে দিস।"

এইবার আমতা আমতা করে উঠে, "না মানে, ইয়ে, না থাআআআক! শপিং করতে হলে নিজের টাকাতেই করবো।"



যাই হোক। পোলা শো অফ করলেও মানুষ ভাল। আমাদের কারও বিপদে সবার আগে সেই দৌড়ে আসে। আমরা তাকে খুবই ভালবাসি। সেও আমাদের ভালবাসে। শুধু অবিবাহিতা মামাতো-চাচাতো-খালাতো বোন নিয়ে তার কাছে যেতে পারিনা - এই আর কি। ওর হৃদয়ে অনেক অনেক ভালবাসা কিনা!



শো অফের কথাই যখন উঠেছে, তখন এই চান্সে কিছু বলে নেই।

ফেসবুকে দেখি মানুষ একটা দামী জুতা, দামী ঘড়ি, এমনকি দামী শার্ট কিনলেও ছবি আপলোড করে ফেলে! শুধু ছেলেদের কথাই বললাম। মেয়েদের শো অফ তারচেয়ে আরও অনেক বেশি।

ছবি দেখে অনেকেই চোখ কপালে তুলে ফেলে লাইক দেন, কমেন্টে লেখেন, "ও মাই গড! লাকি ইউ!"

কোন ব্যান্ডের প্রমোশন বা ডিমোশন না করেই উদাহরণ দিচ্ছি, যাতে বুঝতে সুবিধা হয়।

কেউ একজন বাংলাদেশের ক্যাটস আইয়ের শার্ট কিনলো, ছবি তুলে দিল। শো অফ।

তার ফ্রেন্ড লিস্টে হয়তো কেউ আছে, যে ক্যালভিন ক্লাইনের (অরিজিনাল) শার্ট ছাড়া পরেনা। সে হয়তো মুচকি হেসে নিজের শার্টের ছবি আপলোড করে দিল।

এইবার আরেক বন্ধুর পালা যে আরমানি ছাড়া পড়েনা। সেও আরমানি শার্টের ছবি তুলে দিল।

এইভাবে চলতেই থাকবে। এর কোন সমাপ্তি নেই।



আমার এক বন্ধু আছে যে বিএমডব্লিউ থ্রী সিরিজ কিনে ফেলার পরেও কাউকে জানায়নি। একদিন তার বাড়িতে গিয়ে দেখতে হলো গাড়িটা। ভিতরে ঢুকে দেখি কাস্টমাইজড ভার্সন। এই গাড়ি কিনতে যা খরচ হয়েছে, বেসিক স্পেকের একটা ফাইভ সিরিজ অনায়াসে কিনে ফেলতে পারতো। ছেলেটা কোনই শো অফে নেই।

তার চেয়েও বড় কথা আমার আরেক বন্ধু আছে যে লুই ভিটনের ব্যাগ ছাড়া পৃথিবীতে যে আর কোন ব্যাগ আছে, সেটা যেন জানেই না। তার ট্রাভেল ব্যাগ পর্যন্ত লুই ভিটনের! যারা জানেননা তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, একেকটি ট্রাভেল ব্যাগের দাম পাঁচ ছয় হাজার ডলারেরও বেশি। এই ছেলে দামী ব্র্যান্ডের(Dior, Dolce & Gabbana, Channel etc) ramp মডেলদের ব্যক্তিগতভাবেও চেনে। ওদের সাথে ডিনারে যায়। পার্টিতে হ্যাংআউট করে। আমাদের মত না যে দেশের কোন সেলিব্রেটি আমার ফেসবুকের ফ্রেন্ড লিস্টে আছেন, আর আমি খুশিতে রাতে ঘুমাতে পারলাম না! এরপরেও এই ছেলের মধ্যে কোন শো অফ প্রবণতা নেই।

ব্যাখ্যা সহজ। আমরা সাধারণত সেটাই শো অফ করি, যা আমাদের জীবনে এক দুইবারই আসে। এই কারনেই আমরা "ভাত খাচ্ছি" সেলফি তুলে ফেসবুকে আপলোড করে দেইনা।

যেমন আমার এক বন্ধু সেদিন প্লেনের বিজনেস ক্লাসে উঠে একটা সেল্ফি তুলে ফেলল। সেখানে তাকে শ্যাম্পেন দেয়া হলো, সেটার ছবি তুলে ফেলল। রেড ওয়াইন দেয়া হলো সেটারও ছবি তুলে ফেলল। সে চুমুক দিয়ে মদ খাচ্ছে, সেটারও ছবি তুলল। তারপর ফেসবুকে যখন আপলোড করলো, কাউকে কাউকে দেখলাম সেসব ছবিতে লাইকও দিতে। কমেন্টস পড়ে মন থেকেই বললাম, 'আহারে বেচারারা!'



সেদিক দিয়ে আমার বন্ধুটা জন্মের আগে থেকে দেখে আসছে তার আম্মাকে লুই ভিটন ব্যবহার করতে। সে হয়তো শ্যানেলের ছাপ মারা ডাইপার পড়ে বড় হয়েছে। তার কাছে এইসব শো অফ করার মত গুরুত্বপূর্ণ কিছু না।

অবশ্য এত এত যে কথা বলছি, আমি নিজেওতো কিছুদিন আগে একটা শো অফ করেছিলাম। গভীর রাতে জেমসের সাথে একই টেবিলে কফি খাবার ছবি আপলোড করে দিয়েছিলাম। এমন না যে জীবনেও কোন সেলিব্রেটি দেখিনাই। কেউ কেউ আমার বিয়ের দাওয়াতে এসেছেন। কেউ আমার বাড়িতে এসে ভাত খেয়েছেন। কিন্তু নগর বাউল আমার কাছে অন্য রকম একজন। ছোট বেলার প্রেম!

হয়তো হুমায়ূন আহমেদকে কাছে পেলেও একই কাজ করতাম!

আরেকটা করতে গিয়েছিলাম এই কিছুদিন আগে। গত জুম্মার নামাজে আমাদের মসজিদে উস্তাদ নোমান আলী খান এসেছিলেন। আমি তাঁর সাথে একটা ছবি তুলতে চাইলে তিনি বললেন মসজিদের বাইরে অপেক্ষা করতে, তিনি আসছেন। অফিসের তাড়া থাকায় আর সেলফি তোলা হলো না। তবুও স্ট্যাটাসে সবাইকে জানিয়ে দিলাম কার পেছনে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়েছি! এখন জ্বলে পুড়ে মর! হুহুহু!



যাই হোক। যেকারনে আজকে এত কথার উদ্ভব ঘটলো তাতে আসা যাক।

"পাখি ড্রেস!"

ফেসবুকে দেখলাম এক মেয়ে নাকি এই ড্রেস না পাবার কষ্টে আত্মহত্যা করে ফেলেছে! কোথায় শুনেছি স্ত্রী স্বামীকে পিটিয়েছেন, কারন স্বামী 'পাখি ড্রেস' কিনে দেননি।

বাবারে! যে ড্রেস পড়লেই আকাশে উড়া যায়, সেই ড্রেস না পাবার কষ্টেওতো আত্মহত্যা জাস্টিফায়েড না। কোন এক হিন্দি সিরিয়ালের নায়িকার ডিজাইনের ড্রেসতো সেই তুলনায় কিছুই না।

গতকালকে আমি একটা লেখা লিখেছিলাম, যে বাংলাদেশের এক বিশেষ রেস্টুরেন্টের মুরগির দাম কত তা নিয়ে হৈচৈ না করে বরং এইটা লক্ষ্য রাখা উচিৎ যাতে আমরা কেউ খাবার অপচয় না করি।

আমার ব্লগে একেকজনের কমেন্ট পড়ে মনে হলো তারা পুরা লেখার মর্মার্থই বুঝতে পারেননি। তারা উঠে পরে লেগেছেন, কেন আমি বললাম, নান্দোসে লুঙ্গি পরে যাওয়া যাবেনা। কেন বললাম, কারও সামর্থ্য থাকলে সে দশ হাজার টাকায় মুরগি খেতেই পারে। কেন বললাম একটা দোকানের প্রোডাক্টের দাম তারা যা খুশি রাখতেই পারে, খাওয়া না খাওয়া আমাদের ব্যপার! একজনতো বললেন, "ক্যাপিটালিস্ট এবং কমিউনিস্ট প্রসংগ আনলেন কেন?"

পুরা গল্প পড়ে ভাবলাম, তাঁরা শুধু লুঙ্গিই শিখলো?

এই থেকে আমি উপলব্ধি করলাম, গোটা রমযান মাস কেটে যাওয়ার পর আমাদের দেশবাসীর শিক্ষা হলো "পাখি ড্রেস!"

সেদিন আইভি দি'র বাড়িতে গেলাম নিমন্ত্রণে। তিনি জানতে চাইলেন আমরা কিভাবে রোজা রাখি। কি এর উদ্দেশ্য।

তাঁকে খুব সহজ করে বুঝালাম যে আমাদের রোজার প্রধাণ উদ্দেশ্যই হচ্ছে ক্ষুধার্থের কষ্ট নিজে অনুভব করা। যাতে আমরা গরীবের পাশে এসে দাঁড়াই।

তিনি বললেন, "চমৎকার ব্যবস্থা!"

বলা হয়নি যে রমযানের উদ্দেশ্য এই নয় যে আমরা "পাখি ড্রেস" পড়ে ফেসবুকে ছবি আপলোড করি।

অ্যামেরিকায় বিভিন্ন মলে ক্রিস্টমাস মৌসুমে ক্রিস্টমাস ট্রিতে সান্টার মোজা ঝুলানো থাকে, যেখানে সান্টার কাছে শিশুদের লেখা চিঠি থাকে। সেখানে শিশুরা জানায় তারা এই ক্রিস্টমাসে সান্টার কাছে কি চায়। কেউ একটা টেডি বিয়ার চায়। কেউ চায় একটি সিডিম্যান। কেউ বা ফুটবল।

এইসব শিশুর প্রায় সবাই কোন না কোন এতিমখানায় থাকে। ক্রিস্টমাসে সান্টার উপহার থেকে তারা যেন বঞ্চিত না হয় সেজন্য এই ব্যবস্থা।

সাধারনত এদেশে শিশুদের মা বাবাই ট্রীর নিচে বাচ্চাদের গিফ্ট রেখে দেন। অনাথ শিশুদের জন্য তাই মানুষের কাছে হাত পাতা।

দেখা যায় কেউ না কেউ ঠিকই ব্যবস্থা নেন। তাঁরা কেউ সিডি ম্যান কিনে এনে মোজায় ঢুকিয়ে দেন, কেউ ছোট টেডি এনে রেখে দেন। ধীরে ধীরে উপহারে উপহারে ক্রিস্টমাস ট্রী ভরে উঠে।

আমাদের দেশে কেউ কি এমন করতে পারেন না?

ঈদের আগের রাতে খুব নিশীথে একটি বস্তি বাড়ির দরজায় কেউ কি একটি গিফট প্যাক রেখে দরজায় টোকা দিয়ে দূরে সরে আসতে পারেনা?

গৃহকর্তা যখন দরজা খুলে দেখবেন তাঁর দরজায় কেউ একজন একটি প্যাকেট রেখে গেছেন যেখানে একটি পাঞ্জাবি, একটি শাড়ি, ছোটদের হাতে পড়ার কাঁচের চুড়ি, একটা লাল লিপস্টিক, কিছু একটা খেলনা এবং কিছু খাবার রাখা আছে - তাহলে সেই পরিবারের সবার চেহারার অবস্থা কেউ কল্পনা করতে পারছেন?

সেই বিস্মিত চেহারার পরিবারের ছবি কেউ গোপনে ভিডিও করে আপলোড করে দিতে পারেননা?

সেটাও শো অফ হবে বটে। কিন্তু এইরকম শো অফের কি প্রয়োজন নেই?



আমি যেসব প্রোডাক্টের কথা বলেছি, তাই যে দিতে হবে তা না। অন্য যে কোন কিছু দিতে পারেন। শস্তায় অনেক কিছুই পাওয়া যায়। গরীব মানুষকে খুশি করতে খুব বেশি টাকা খরচ করতে হয়না।

এত শস্তায় একটি পরিবারের সুখ কেনার সামর্থ্য আপনার আছে। আপনি কেন তা ব্যবহার করবেন না?

আবারও মনে করে দেখুন, আপনি যখন মারা যাবেন, আপনার স্ত্রী-সন্তান-আত্মীয় স্বজন-বন্ধুবান্ধব এমনকি আপনার "পাখি ড্রেসও" এখানেই থেকে যাবে। সবাই আপনাকে ভুলে যাবে কেবল ঐ পরিবারটি ছাড়া। যাঁদের কাছে এক ঈদের রাতে 'কেউ একজন' আসমানী ফেরেস্তা এসেছিলেন, যিনি তাঁদের একটি ঈদে সত্যিকারের আনন্দ দিয়েছিলেন!



ঈদ আসছে। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা!

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২৫

দয়ালু বলেছেন: প্রিয়তে

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৪৭

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!

২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:০২

আজমান আন্দালিব বলেছেন: শস্তায় অনেক কিছুই পাওয়া যায়। গরীব মানুষকে খুশি করতে খুব বেশি টাকা খরচ করতে হয়না।
এত শস্তায় একটি পরিবারের সুখ কেনার সামর্থ্য আপনার আছে। আপনি কেন তা ব্যবহার করবেন না?
ভালো বলেছেন।

২৪ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:২৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ! ম্যাসেজটি যত বেশি মানুষের কাছে সম্ভব পৌছে দিতে পারবেন? একশোজনে যদি একজনও এগিয়ে আসেন ক্ষতি কী?

৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৩৭

আলম 1 বলেছেন: গরীব মানুষকে খুশি করতে খুব বেশি টাকা খরচ করতে হয়না।
এক সময় মাসের বাজেটে আামান্য কিছু টাকা আলাদা করে রাখতাম
আশে পাসের লোকদের সাহায্য করার জন্য।

২৪ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৪৬

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: এখনও রাখতে সমস্যা কোথায়? একটাকা করে হলেও সাহায্য কিন্তু সাহায্যই। :)

৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:২৬

আমিজমিদার বলেছেন: অনেক সুন্দর লেখছেন বস।

২৪ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:১২

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: থ্যাংকস!

৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:১৮

রাজিব বলেছেন: খুব সুন্দর লেখা। অনেক সুন্দর করে মনের ভাব পোস্ট করতে পেরেছেন। সারা বাংলাদেশে পথ শিশুর সংখ্যা বোধহয় ১০ লাখের বেশী হবে না। আমরা সবাই মিলে একটু চেষ্টা করলেই অন্তত ১ লাখের জীবন বদলে দেয়া কোন ব্যাপার নয়। যদি আমাদের মনে সান্তা ক্লজের মত স্বপ্ন থাকতো তাহলে সত্যিই কোন ব্যাপার নয়। পড়ে অনেক ভাল লাগলো।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.