নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

চামচামি একটি আর্ট এবং দেশী নেতারা তাতে মায়েস্ত্রো

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০১

ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ সাধারণ জনতাকে প্রশ্ন করা হলো, "ইতিহাসের এই দিনে কি হয়েছিল?"

এক বাচ্চা মেয়েকে জিজ্ঞেস করা হলে সে বলল "সেদিন যুদ্ধ হয়েছিল।"

পোশাক আশাকে স্মার্ট এক তরুনীকে জিজ্ঞেস করা হলে সে সহজভাবেই বলে, "আমি ঠিক বলতে পারবো না।"

তার সাথে খুব সম্ভবত তার মা ছিলেন। তিনিও ভীষণ স্মার্ট, ক্যামেরার সামনে খুবই কনফিডেন্সের সাথে বলতে লাগলেন, "আমরা সবসময়ে একুশে ফেব্রুয়ারিতে আসি, সবসময়ে.....যাদের আত্ম.....(মহিলা কথা খুঁজে পাচ্ছেন না, তাই গ্যাপ পরে যাচ্ছে) ...... করেছে তাঁদের আমরা....."

"একুশে ফেব্রুয়ারী কি হয়েছিল?" আবারও একই প্রশ্ন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি তাঁর জ্ঞানের পরিধি স্বীকার করে নেন, "সেটাতো আমি সঠিক বলতে পারবো না।"

আরেকজন স্মার্ট যুবককে পাওয়া গেল। সাদা গেঞ্জিতে লেখা "ডিজেল জিন্স রকস!"

ছেলে ভীষণ সংগীত অনুরাগী, কান থেকে হেডফোন কাঁধে ঝুলছে। সে উত্তর দেয়, "এটা আমাদের....অনেক যুদ্ধের পর আমাদের....আমরা নয়মাস, সাত মাস (বেচারা জানেই না কয় মাস যুদ্ধ হয়েছে) যুদ্ধের পর আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি।"

"একুশের ফেব্রুয়ারীতে আমরা স্বাধীন হয়েছি?"

"জ্বী।"

"আমরা কি জন্য পালন করি এই দিনটা?"

"আমাদের অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছে এই দিনে। তার জন্য এই দিনটাকে আমরা খুব শোক হিসেবে পালন করি।"

যুবকের চেহারা উজ্জ্বল হয়ে উঠলো। তার ধারনা সে সঠিক উত্তর দিয়েছে। টিভি ইন্টার্ভিউতে পাশ করে ফেলেছে!

এবারে আরেকজন যুবককে খুঁজে পাওয়া গেল। মমতাজ হয়তো একে দেখেই গান গেয়েছিলেন, "পাড়ার লোকে নাম রাখছে তার পাঙ্কু আবুল!"

সে খুবই কনফিডেন্সের সাথে তার বক্তব্য শুরু করলো, "একুশে ফেব্রুয়ারীতো অমর, শহীদের রক্তে রাঙ্গানো।"

বুঝা যায় যে ছেলে মাছের তেলে মাছ ভাজা ধুরন্ধর পাবলিক। একুশের গানের লাইন থেকেই একুশের বর্ণনা দেয়ার তালে আছে।

ইন্টার্ভিউ গ্রহণকারীও কম চালাক নন, তিনিও সরাসরি প্রশ্ন করে বসলেন, "কি হয়েছিল সেদিন?"

এবারে চালাক বাবুর দৌড় ধরা পড়লো, "যুদ্ধ হয়েছিল Just!"



এই হচ্ছে আমাদের ইতিহাস জ্ঞান।

এক বাঙ্গালি যুবককে (খুবই ভাল ছাত্র, সবসময়ে ফার্স্ট সেকেন্ড হয়) আমরা দুই বন্ধু একবার প্রশ্ন করেছিলাম, ছাব্বিশে মার্চ কি হয়েছিল? ষোলই ডিসেম্বর আমাদের কি দিবস? বুদ্ধিজীবী দিবস কবে?

ছেলে বলতে পারেনা। তার এক্সকিউজ সে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়েছে। আমিও মাথা চুলকে ভাবি, লিটল জুয়েলস এবং আনন্দনিকেতনে কি তবে শুধুই বাংলা পড়ানো হতো?

সেই ছেলেই কিন্তু ফোর্থ অফ জুলাই অ্যামেরিকায় কি দিবস, সেটা ঠিকই বলতে পারে। থ্যাঙ্কস গিভিংয়ের পেছনের ইতিহাস তার মুখস্ত। জর্জ ওয়াশিংটন থেকে শুরু করে বারাক ওবামা পর্যন্ত প্রতিটা প্রেসিডেন্টের নাম তার মুখস্ত, এমনকি কে কবে সিংহাসনে বসেছেন, সেই সময়কালটাও তার মুখস্ত।

এই ছেলে জীবনের অর্ধেকেরও বেশি সময় বাংলাদেশে ছিল। অ্যামেরিকায় খুব বেশিদিন হয়নি এসেছে।

আমাদের দেশের কোথাও কোন একটা সমস্যা নিশ্চই আছে। নাহলে এমন হবে কেন?

এটা জাতি হিসেবে অ্যামেরিকানদের স্বার্থকতা যে তাঁরা তাঁদের দেশে আসা প্রতিটা বিদেশীকে নিজেদের ইতিহাস শেখাতে পেরেছে। অ্যামেরিকান হিস্টরি ওয়ান এবং টু কোর্স দুটি পাশ না করলে কেউ এদেশে ব্যাচেলরস ডিগ্রী অর্জন করতে পারেনা।

একই সাথে জাতি হিসেবে আমাদের চরম ব্যর্থতা যে আমরা আমাদের দেশে জন্ম নেয়া মানুষদের নিজেদের গর্বের ইতিহাস শেখাতে পারিনি।

গেরিলাদের উৎসর্গ করে আমরা সেদিন রেডিওতে "গেরিলা দিবস" পালন করতে গিয়ে তাঁদের আত্মত্যাগের গল্প বলতে বলতে লাইভ রেডিওতেই স্টুডিওর সবাই কেঁদে দিয়েছিলাম।

তারেক জিয়ার কারামুক্তি দিবস দেশে পালন করা হয়, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করা হয়, শেখ হাসিনারও কারামুক্তি দিবস কোথাও কোথাও পালন করা হয়.....অথচ যাঁদের রক্ত না ঝড়লে পাকিস্তানি হানাদাররা ভেসে যেত না, তাঁদের স্মরণ করার জন্য একটি "গেরিলা দিবস" দেশে নেই। মানুষ জানেই না তাঁদের আত্মত্যাগ সম্পর্কে। তাই ব্যক্তিগত উদ্যোগেই আমরা রেডিওতে অনুষ্ঠানটি প্রচার করি।

তখনই আমাদের কাছে একটি ফোন রিকোয়েস্ট আসে, তালাত মাহমুদের "তোমাকে লেগেছে এত যে ভাল" গানটা ছাড়তে।

রিকোয়েস্টকারী ভদ্রলোকও একজন বাঙ্গালি। তাঁর কাছে হয়তো মুক্তিযুদ্ধ একটি বোরিং বিষয়, বিপ্লবীদের নিয়ে রচিত প্রতিটা গান হয়তো খুবই বিরক্তিকর। রোমান্টিক গান না হলে চলে?

মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সামান্য জ্ঞান যে রাখে, এ.কে.খন্দকারকে সেই চিনতে বাধ্য। তিনি যখন একাত্তুরকে নিয়ে একটি বই লিখেন, সেটা তখন স্রেফ বই থাকে না, হয়ে যায় ইতিহাস। হতভাগা এক জাতির একমাত্র গর্বের ইতিহাস।

অথচ সেই বই নিয়েই এখন কত তোলপাড়! তিনি নাকি ইতিহাস বিকৃতি করেছেন। বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক সাতই মার্চের ভাষণ শেষে জয় বাংলার পাশাপাশি জয় পাকিস্তান বলেছেন, এই কথাটা নাকি অসত্য।

কবি শামসুর রাহমানের আত্মজীবনীতেও কিন্তু কবি বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু সেদিন ভাষণ শেষে "জিয়ে পাকিস্তান" বলেছিলেন। ("কালের ধুলোয় লেখা," ধারাবাহিকভাবে পত্রিকায় প্রকাশিত, খুব সম্ভবত "জনকন্ঠ")

কারও কারও কাছেও শুনেছি এমন কথা। কিন্তু প্রমাণ নেই।

সেই সময়ে আমার জন্ম হয়নি। আমি জানি না বঙ্গবন্ধু কি বলেছিলেন।

কথা হচ্ছে, শেখ মুজিবুর রহমান অত্যন্ত জাঁদরেল নেতা ছিলেন। তিনি যদি "জিয়ে পাকিস্তান" বলেও থাকেন, তাতেও তাঁকে দোষ দেয়ার কিছু নেই। তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি। তিনিই তখন আনঅফিসিয়াল সরকার প্রধাণ। শুধু শপথ নেয়াটাই বাকি ছিল। ইয়াহিয়া খানের সাথে তা নিয়ে আলোচনাও হবে শীঘ্রই। সেই আলোচনা পঁচিশে মার্চ পর্যন্ত চলেও ছিল। বঙ্গবন্ধু গাড়িতে কালো পতাকা উড়িয়ে প্রেসিডেন্ট ভবনে গিয়েছিলেন, টিভিতে এই ভিডিও দেখে সবাই বাহ্ বাহ্ দিয়েছিলেন। তাঁকে যদি ক্ষমতা দিয়ে দেয়াই হয়, তবে তিনি কেন দেশ ভাঙ্গতে চাইবেন? স্বাধীন দেশেও থেকে পরাধীন বাঙ্গালীকে তিনি ক্ষমতায় গিয়ে মুক্তি দিবেন, এই কি সহজ ব্যাখ্যা নয়? এতে দোষের কী হলো?

কেউ কেউ বলছেন, "যিনি মোশতাক সরকারের সাথে হাত মিলিয়েছিলেন, তাঁর কথা বিশ্বাস করার প্রশ্নই আসেনা।"

ভাই, আপনারাই কিন্তু জনাব এ.কে খন্দকারকে মন্ত্রীর পদ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুদিনে ট্যাংকের ছাদে উঠে জুতা হাতে নৃত্যরত কুলাঙ্গার এখনও আপনাদের সংসদের মন্ত্রী। আপনারা এই যুক্তি আপাতত বাদ দিলেই ভাল হয়।

বিএনপির মির্জা সাহেব খুব উৎফুল্ল। যেহেতু খন্দকার সাহেব আওয়ামীলীগের রোষানলে পড়েছেন, সেহেতু মুহূর্তেই তাঁর দল তাঁকে দেবতা বানিয়ে ফেলেছেন। যারা জামায়াতে ইসলামীকে সাথে নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়, তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সত্বায়িত করার দায়িত্ব নিয়েছেন! হায়রে রাজনীতি!

আপনারাই ক্ষমতায় গেলে পারলে সাতই মার্চের ভাষণ ইতিহাস থেকেই মুছে ফেলেন। আপনাদের কথাতেই বা বিশ্বাস কিসের?

এ.কে.খন্দকার সাহেব নাকি লিখেছেন মিলিটারী কৌশলেই দেশ স্বাধীন হয়েছে। এতেও আওয়ামী নেতারা ভীষণ ক্ষেপেছেন। তাঁদের দাবী, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক নেতৃত্বেই দেশ স্বাধীন হয়েছে।

এই কথা নিয়ে কিছু বলার আগে ইতিহাসের কিছু ঘটনা উল্লেখ করা যাক।

পঁচিশে মার্চ অপারেশন সার্চ লাইট শুরুর সাথে সাথেই বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তান নিয়ে যাওয়া হয়। তাজউদ্দিন আহমেদ ভারতে চলে যান। সেখান থেকেই তিনি যুদ্ধ পরিচালনা করেন।

শুরুর দিকে বিচ্ছিন্নভাবে যুদ্ধ করতে থাকেন ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস, সেনাবাহিনীর কিছু বাঙ্গালি সৈনিক, পুলিশ বাহিনীর সদস্য এবং স্বাধীনতাকামী কিছু জনসাধারণ। বৈদ্যনাথ তলায় গঠিত হয় অস্থায়ী সরকার। তাজউদ্দিন আহমেদ বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব নেন। জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীকে বানানো হয় সর্বাধিনায়ক।

তাজউদ্দিন আহমেদের পরামর্শেই জেনারেল ওসমানী দেশকে এগারোটি সেক্টরে ভাগ করেন। পরবর্তীতে গঠিত হয় জেড, কে এবং এস ফোর্স। দলে দলে গেরিলারা ছড়িয়ে পড়েন দেশের আনাচে কানাচে। সুপরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হয় মুক্তিযুদ্ধ।

বঙ্গবন্ধু তখনও কারাগারে। বাইরের পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন। যেকোন সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি হয়ে যেতে পারে। ঝুলিয়ে দেয়া হতে পারে ফাঁসীর দড়িতে।

কিন্তু তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে না থেকেও সবার উপর ছায়া হয়ে ছিলেন। প্রতিটা অঞ্চল হানাদার মুক্ত হবার পর মুক্তিযোদ্ধারা আওয়াজ তুলেছেন, "জয় বাংলা!" সাথে সাথে বলেছেন, "জয় বঙ্গবন্ধু!"

এটা ঠিক শেখ মুজিবুর রহমান না থাকলে দেশ স্বাধীন হয়না। তবে আরও যাঁদের সম্মান প্রাপ্য, তাঁদের সেই সম্মান দিলে ক্ষতিটা কোথায়?

আওয়ামী নেতারা সবকিছুতেই বঙ্গবন্ধুকে হিরো বানাতে চান বুঝতে পারছি, কিন্তু তাজউদ্দিন আহমেদ, ওসমানীদের কি তাহলে কোনই অবদান নেই মুক্তিযুদ্ধে?

সাতাশ মার্চ তারিখে কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে দেয়া মেজর জিয়ার ভাষণটাও আপনারা পারলে মুছে ফেলে দেন। কেন?

আফসোস যে আমাদের দেশে শেখ মুজিবুর রহমানকে হিন্দি সিনেমার হিরো বানিয়ে ফেলা হচ্ছে, যে একই সাথে নাচতে পারে, গাইতে পারে, একাই শ খানেক ভিলেনের সাথে মারামারি করে জিতে ফিরে আসে। গুলি খেলে ছুরি গরম করে গুলি বের করে আনতে পারে। প্রয়োজনবোধে বাস-ট্রাক-টেম্পো-প্লেন সব যানই চালাতে পারে। পড়ালেখায় সবসময়েই ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়, রোমান্টিকতায় রোমিওকেও হার মানায়।

বাস্তবে এত গুণসম্পন্ন মানুষ পাওয়া দায়। আসলেই তাই।

কিন্তু আপনারা বিশ্বাস করতে চান না। তাই সবকিছুতেই আপনারা তাঁকে টেনে আনেন। ক্রিকেটের সাফল্য থেকে শুরু করে ব্যবসা বানিজ্য, সবকিছুতেই তাঁকে নিয়ে টানাটানি। টেলিভিশনে একটি অনুষ্ঠান পর্যন্ত প্রচার করে ফেলেছেন, "ইসলাম ধর্ম প্রসারে বঙ্গবন্ধুর অবদান!"

চামচামি একটি আর্ট, এবং বাংলাদেশের নেতারা তাতে মায়েস্ত্রো।

দেশের নেতাদের নিয়ে, এবং সেটা আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি দুই দলেরই, একটি গল্প বলার লোভ সামলাতে পারছি না। গল্পটি ভারতীয় হলেও, আমাদের দেশের সাথে খুব যায়।

এক বিদেশী একবার চিড়িয়াখানা ভ্রমণে গেলেন। চিড়িয়াখানার প্রবেশদ্বারে একটি কুকুর বিদেশী ভদ্রলোককে দেখে খুব ঘেউ ঘেউ করতে লাগলো। বিদেশী তখন তাঁর পকেট থেকে একটি বিস্কিট বের করে কুকুরকে দিলেন।

কুকুরটি বিস্কিট পেয়ে লেজ নাড়তে নাড়তে বিস্কিট খেল। খাওয়া শেষে বিদেশীর জুতা এসে চাটতে লাগলো।

বিদেশী ভদ্রলোক "গুড বয়" বলে চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করলেন। প্রথমেই বাঘের খাচার সামনে পড়লেন।

বাঘ বিদেশীকে দেখে গর্জন করে উঠলো। বিদেশী ভদ্রলোকের ভয়ে হৃদপিন্ড কেঁপে উঠলো।

তিনি কুকুরটার মতই বাঘকেও বিস্কিট বের করে দিলেন।

বাঘ সে বিস্কিট খেল না। উল্টো বিদেশীর উপর ঝাপ দিতে চাইলো।

বিদেশীর ভাগ্য ভাল যে বাঘ খাঁচায় বন্দী ছিল। এই দেখে বিদেশীর উপলব্ধি হলো, "ধন্য হে বঙ্গ মাতা! পা চেটে খাওয়া কুকুররা এখানে স্বাধীন হয়ে ঘুরে বেড়ায়, আর গর্জনশীল বাঘেরা খাঁচায় বন্দী হয়ে থাকে।"



এ.কে. খন্দকার সত্যি বলেছেন কিনা মিথ্যা সেটা আমি জানিনা। যদি সত্যি বলে থাকেন, তাঁকে সাধুবাদ জানাই। যদি মিথ্যা বলে থাকেন, তাহলে খুবই দুঃখজনক। যদি আপনারাই আমাদের সঠিক ইতিহাস না জানান, তবে আমরা কার কাছ থেকে জানবো?

এই একটিই গর্বের ইতিহাসই আছে আমাদের।

সেটাও এত বেশি বিকৃতি করা হয় যে যখন কোন যুবক টিভি ইন্টার্ভিউতে বলে, "একুশে ফেব্রুয়ারী তারিখে সাত মাস যুদ্ধ শেষে আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম" তাকে দোষ দেয়া যায়না।https://www.facebook.com/groups/canvasbd/

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:১৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সত্য জানাটা খুবই দুষ্কর,তার উপর যদি হয় স্বাধীনতার ইতিহাস। ভাল লাগলো লেখাটি।
পুরো লেখাটির মর্মার্থ কিন্তু আপনারই টাইটেল-চামচামি একটি আর্ট, এবং বাংলাদেশের নেতারা তাতে মায়েস্ত্রো। আর কিছু বলার নেই।।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:২৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.