নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
বাংলাদেশ থেকে অ্যামেরিকায় পড়তে আসা এক যুবকের সাথে কিছু "ভদ্রলোক" যোগাযোগ করলেন। তাঁরা তাঁকে ইসলামের দাওয়াত দিলেন। নামাজ পড়তে বললেন। এবং ধীরে ধীরে তাঁর মধ্যে ধর্মীয় চেতনা জাগিয়ে তুললেন।
যুবকটি ইসলামী চেতনায় এমনই চেতিত হয়ে গেল যে সে বুঝে গেল কাফের নাসারার দেশ অ্যামেরিকা ইসলামের শত্রু, এবং একে একটা উচিৎ শিক্ষা না দিলে বেহেস্তে যাওয়া যাবে না।
কিভাবে শিক্ষা দেয়া যায়? আত্মঘাতী বোমা হামলায় ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক উড়িয়ে দিয়ে।
খুব ভাল বুদ্ধি! তা কখন উড়াবা বাবাজি?
অফিস টাইমে। যাতে "শহীদ" হবার সময়ে কিছু কাফেরকেও মেরে মরা যায়!
মারহাবা! মারহাবা!!
যেই ভাবা সেই কাজ। যুবককে বোমা তৈরির সব সরঞ্জাম এনে দেয়া হলো। তাঁর মুসলিম ভাইয়েরাই এগিয়ে দিলেন। নির্দিষ্ট দিনে সে আল্লাহর নাম নিয়ে ট্রিগার টেনে ধরলো।
কিন্তু কী আশ্চর্য! "কাবুম" শব্দতো হলো না।
পরিবর্তে ছোট একটা "ক্লিক" আওয়াজ হলো। তাঁর সাথের মুসলিম ভাই নিজের পিস্তলের সেফটি লক খুলে তাঁর দিকে তাক করে কড়া গলায় হুকুম দিলেন, "FBI! ফ্রীজ!"
ছেলেটা বিস্ময়েই "ফ্রিজড" হয়ে গেল।
পুরো পরিকল্পনাটাই এফ.বি.আইয়ের একটি সাজানো ফাঁদ ছিল। সে ধরা পড়ে গেছে!
সারা বাংলাদেশ ক্ষোভে ফুঁসে উঠলো। তাঁদের সোনার টুকরা ছেলেকে এফবিআই কেন ফাঁদ পেতে ধরলো? সব দোষ এফবিআইয়ের! ছেলেটি নির্দোষ!
একজন অপরাধীকে বিচার করা উচিৎ তার অপরাধ দিয়ে। এখানে জাতীয়তা আসছে কোত্থেকে?
কিন্তু না, যেহেতু নাফিস বাংলাদেশী এবং সে অ্যামেরিকান মানুষদের (পক্ষান্তরে "অবাঙালি") হত্যার পরিকল্পনা করেছিল, কাজেই ও নির্দোষ!
এখন যদি উল্টো ব্যপার ঘটতো? একটি পাকিস্তানি যুবক বাঙ্গালি হত্যার পরিকল্পনা করতো, তখন? তখন কী সারাদেশের মানুষ বলতে পারতেন, ছেলেটিকে মাফ করে দেয়া হোক?
এমন হিপোক্রেটিক দাবী করা লোকজনদের প্রতি আমার শুধু একটাই প্রশ্ন ছিল, কী হতো যদি ওরা এফবিআইয়ের এজেন্ট না হয়ে সত্যিকারের সন্ত্রাসী হতো? আমাদের দামাল ছেলেটা কী কিছু নিরীহ মানুষের প্রাণ নিত না?
সঠিক জবাব পাইনি। ওরা শুধু গলা উঁচিয়ে এফবিআইকেই দোষ দিচ্ছে। কোন যুক্তির ধার না ধেরেই।
অবশ্য আমার প্রিয় বাংলাদেশী ভাইবোনেরা যদি যুক্তিবাদী হতো, তাহলে আমাদের দেশের আজকে এই অবস্থা হতো না। সেই প্রসঙ্গে পরে আসছি। আগে এই কথা শেষ করি।
এফবিআই এইরকম হাজারো ছেলের জন্য ফাঁদ পেতেছিল। সবাই বাদ গিয়ে শুধু এই সোনার ছেলেটাই ধরা পড়লো কেন? এখানেইতো বোঝা যায় তার ভিতর কোন 'কিন্তু' ছিল।
কেউ কেউ মিনমিনে গলায় বলবেন, "আমাদের দেশের ছেলে বিপদে পড়েছে, আমরা সাহায্য করবো না?"
আবার প্রশ্ন করি, ছেলে কী নির্দোষ ছিল? সে অন্যকে বিপদে ফেলতে গিয়ে বিপদে পড়েছে। ওর কী শাস্তি প্রাপ্য নয়?
"মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই। এক ভাইয়ের বিপদে আরেক ভাই এগিয়ে আসবো না?"
এই এতক্ষণে এসেছেন আসল পয়েন্টে। "মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই!" এই একটা তত্ব, যা যুগ যুগ ধরে হাজারো উপায়ে অপব্যবহার হয়ে আসছে।
"অমুক খুন করেছে? মাফ করে দাও। মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই!"
"তমুক ধর্ষণ করেছে? মাফ করে দাও। মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই!"
"ওরা গণহত্যা চালিয়েছে? গণধর্ষণ করেছে? রাগ পুষে রেখো না। ভুলে যাও কেন, মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই।"
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলে গিয়েছিলেন, "এক বই পড়া "শিক্ষিত" পাঠকের থেকে সাবধান!"
তিনি মাওসে তুংয়ের চ্যালাদের উদ্দেশ্যে বললেও যেকোন ক্ষেত্রেই কথাটির অর্থ "অল্পবিদ্যা ভয়ংকর!"
এই অল্প বিদ্যার কুফলটাই আমরা তখন দেখি যখন কেউ স্পষ্ট অন্যায় করলেও আমাদের মুসলমান অথবা বাঙ্গালি ভাইয়েরা আরেক ভাইয়ের পাশে এসে দাঁড়িয়ে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করে।
সে যদি নিরপরাধী হতো, অবশ্যই আমাদের তাঁর পাশে দাঁড়ানো উচিৎ! এমনটা না হলে সেটা কাপুরুষতা।
কিন্তু সে অপরাধী হলে, অবশ্যই তাকে শাস্তি দিতে হবে। না দিলে, আমি নিজেও সমান পাপে পাপী।
একাত্তুরকে উদাহরণ নিন। "মুসলমান ভাইয়েরা" নিরীহ মানুষের উপর বন্দুক হাতে ঝাপিয়ে পড়লেন। ফতোয়া জারি হলো, "দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ! মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই! আমাদের অবশ্যই দেশপ্রেমিক মুসলমান পাক সেনাদের সাথে থাকতে হবে।"
একদল ঠিকই বুদ্ধি খাটিয়ে নিজের "নিরপরাধ" বাঙ্গালি ভাইদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন।
আবার আরেকদল লোক অতিরিক্ত বুদ্ধি খাটাতে গিয়ে চিন্তিত হয়ে গেলেন। তাহলে কী মুক্তিযুদ্ধ ইসলাম সম্মত নয়? মুক্তিযোদ্ধারা গাদ্দার?
এখনও কাউকে কাউকে একই প্রশ্ন করতে দেখি। তবে একটু ভিন্নভাবে।
"ইসলাম কী মুক্তিযুদ্ধকে সাপোর্ট করেনা? কারন পাকিস্তানিরাতো হাজার হলেও মুসলিম ছিল, এবং তারা দেশ টিকিয়ে রাখার উদ্দেশ্যেই কাজটা করেছিল।"
এই এক প্রশ্নের জবাবের উপর নির্ভর করে একদল জামাতে ইসলামীতে যোগ দেয়, আরেকদল নাস্তিকের খাতায় নাম লেখায়।
নাস্তিক এই কারনে যে, যে ধর্ম গণহত্যাকে সমর্থন করে, বঞ্চিতের পাশে এসে দাঁড়ায় না, সেই ধর্ম পালনের যুক্তি কিসের?
আমরাও তাদের সাথে সহমত। তেমন ধর্ম পালনের কোনই যুক্তি নেই।
আর জামাতে ইসলামীর সমর্থনতো একদম সহজ। ধর্ম ব্যবসা!
"আল্লাহ বলেছেন এই.....আল্লাহ বলেছেন ঐ....আমাদের মৃত্যুর পর সেই আল্লাহর কাছেই ফিরে যেতে হবে। এখন তুমি কী আল্লাহর বিরুদ্ধে যাবা?"
নাউজুবিল্লাহ! অবশ্যই না!
আপনার মনে কোন প্রশ্ন আসলে নেতা বলেন, "আপনি কী আমার চেয়ে বেশি বুঝেন?"
আপনি তার ইসলামী লেবাসে ধোঁকা খেয়ে বোকা হয়ে বলেন, "আস্তাগফিরুল্লাহ, অবশ্যই না!"
কিন্তু ভাইয়েরা ও বোনেরা আমার, আপনাদের এই প্রশ্নের জবাব যে আমাদের মহান সৃষ্টিকর্তা সেই চৌদ্দশ বছর আগেই দিয়ে দিয়েছিলেন সেটা কি জানতেন? অবশ্য, কেই বা কবে তাঁর কথা গুরুত্বের সাথে শুনেছিল?
সুরাহ আল হুজরাতের নয় নম্বর আয়াতে তিনি বলেন, "যদি মুমিনদের দুই দল যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পড়ে, তবে তোমরা তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দিবে। অতঃপর যদি তাদের একদল অপর দলের উপর চড়াও হয়, তবে তোমরা আক্রমণকারী দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে; যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর নির্দেশের দিকে ফিরে আসে। যদি ফিরে আসে, তবে তোমরা তাদের মধ্যে ন্যায়ানুগ পন্থায় মীমাংসা করে দিবে এবং ন্যায় করবে। নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায় পরায়নকারীদেরকে পছন্দ করেন।"
এরচেয়ে স্পষ্ট নির্দেশনামা আর কিভাবে দেয়া সম্ভব? কেউ যদি অন্যায় করে, তবে দুর্বলের পক্ষ নিয়ে তার বিরুদ্ধে লড়াই করো! সে যদি মুমিনও হয়ে থাকে, তারপরেও।
জ্বী ভাই, ইসলামই আপনাকে অনুমতি দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ করতে।
কিন্তু আমরাতো মানুষ। আমরা এত সহজে সবকিছু বুঝে ফেললেতো কোন কথাই ছিল না।
আমরা জামাত শিবিরের সব অপকর্ম চোখ বুজে ক্ষমা করে দিব, কারন তারা আমাদের মতন মুসলমান, এবং আমাদের ভাই!
আমরা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে আলকায়েদার সমর্থন করবো, কারন তারাও মুসলমান, আমাদের ভাই।
আই.এসের বদমাইশগুলি যখন গণহারে নিরীহ স্বেচ্ছাসেবীদের শিরোচ্ছেদ করবে, আমরা বলবো, "ওরাতো কাফিরদের হত্যা করছে। কাফির মারলে গুনাহ কিসের?"
যখন জর্ডানিয়ান সুন্নি মুসলিম পাইলটকে পুড়িয়ে মারা হবে, তখন এরাই বলবে, "রাজাকার সবদেশেই আছে। রাজাকার মারলে দোষ কিসের?"
ওরে, আল্লাহ বলেছেন, একজন নিরীহ মানুষ হত্যা করা আর পুরো মানব জাতিকে হত্যা করা সমান পাপ!
তিনি বলেন নাই একজন "মুসলিম," তিনি বলেছেন "মানুষ!" সে মুসলিম হলেও যে পাপ, কাফির হলেও একই পাপ।
তারপরেও অন্ধের দল চোখ বন্ধ করে এক কথাই আওড়াই, "যাই বলো ভাই, মুসলমান মুসলমান কিন্তু ভাই ভাই!"
এই ভ্রাতৃত্ব কিন্তু ভাইয়ের আসল বিপদের সময়ে পুরোপুরি হাওয়া হয়ে যায়। ভাই বিপদে পড়ে আপনার কাছে টাকা চাইতে আসলে আপনি এই ঐ সেই হাজারো বাহানায় ভাইকে এড়িয়ে যান। তার উপর আপনার পরিচিত সবাইকে ফোন করে জানিয়ে দেন যাতে ওকে কেউ সাহায্য না করে!
আবারও অফ টপিক হয়ে যাচ্ছি, কিন্তু এইটা কী একদমই হচ্ছে না? অহরহই হচ্ছে। আপনি নিজেও হয়তো করছেন।
কাজেই আমার সোনার ছেলে একটু বেশিই সরল বলে বোমা মারতে গিয়ে ধরা পড়ে গেছে। ওকে মুক্তি দেয়া হোক! নাহলে পৃথিবীতে সরলতার কোন দাম থাকবে না।
ভাই, এই অতি আবেগের কারনেই আজকে বাংলাদেশের এই অবস্থা। পৃথিবীর যেকোন উন্নত দেশের কথা চিন্তা করুন। অ্যামেরিকা, ইংল্যান্ড, ক্যানাডা, অস্ট্রেলিয়া... যেকোন। সেখানে একটা ব্যপারে দারুন মিল পাবেন। সেসব দেশে অপরাধ করলে, কেউ সহজে পার পায় না।
আমাদের মতন না যে একটা ভ্রষ্ট রাজনৈতিক নেতাকে জেলে ঢুকানো হলে তার চামচারা দেয়ালের পর দেয়াল লিখে ভরিয়ে দেই, "অমুক ভাইয়ের নিঃশর্ত মুক্তি চাই!" "অমুক ভাইয়ের কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে!"
তারপর ডাকি হরতাল, ভাঙ্গি গাড়ি, মারি মানুষ!
আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে সিলেটের একটা বিখ্যাত সন্ত্রাসীকে চিনতাম, যে ছাত্রলীগ করতো, এবং যার মৃত্যুতে ছাত্রলীগ পুরো শহরে তান্ডব ঘটিয়ে দিয়েছিল। আর একেকজনের সে কী বক্তৃতা! যেন এইমাত্রই মহাত্মা গান্ধী বা নেলসন ম্যান্ডেলাকে কেউ গুলি করে মেরে ফেলেছে!
তারা জানেনা এই ছেলে কয়টা খুনের সাথে জড়িত ছিল? আপনার দলের লোক বলেই সে ফেরেস্তা হয়ে গেল?
কাকে ধোঁকা দেয় তারা? পাবলিককে? না নিজেকে?
দলকানা রাজনীতি আমাদের এতই অন্ধ করে দেয়!
জোট সরকারের আমলে এমসি কলেজে পড়ার সময়ে মদন মোহন কলেজের এক ছেলেকে শিবিরের পোলাপান কুপিয়ে হত্যা করেছিল। ছাপ্পান্নটা কোপ পড়েছিল ছেলেটির শরীরে। ছাপ্পান্ন! পুরো শহরের সব কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
হত্যাকান্ডের ঠিক আগে আগে আমার বন্ধু কলেজের ঠিক পেছনের মসজিদেই আসরের নামাজ পড়ছিল। হত্যাকারীকে কিরিচ হাতে ছুটে যাবার সময়ে মসজিদের এক লোক বলেছিল, "নামাজ পড়ে যাও ভাই!"
সে জবাব দিয়েছিল, "দরকার হলে নামাজ কাজা করবো, তবু আজকে তারে ছাড়বো না..."
এই ছিল ইসলামী চেতনায় চেতীত এক ছাত্র সংগঠনের নেতার মন্তব্য! মাথায় টুপি, গায়ে পাঞ্জাবি পড়ে নামাজ বাদ দিয়ে মানুষ খুন করতে যায়! ছেলেটির অপরাধ ছিল, জুনিয়র ক্লাসের (ফার্স্ট ইয়ার) ছেলে হয়ে, যে কিনা কিছুদিন আগেও শিবির করতো, এখন ছাত্রদলে যোগ দিয়েছে, সে শিবিরের এক সিনিয়র ভাইয়ের গালে চড় দিয়েছে।
বড় কাউকে চড় দেবার শাস্তি হওয়া উচিৎ। অবশ্যই হওয়া উচিৎ। তাকে কানে ধরে সারা শহর ঘুরানো হোক। তাকে এক লক্ষবার কানে ধরে উঠবোস করানো হোক। তার মুখে চুনকালি মেখে ক্যাম্পাসে চক্কর দেয়ানো হোক। জুনিয়র ক্লাসের পাঁচশো ছেলে ডেকে এনে লাইন ধরে তার গালে চড় দেয়া হোক! কিন্তু ছাপ্পন্নটা কোপ?
ওদের বিচার হয় না। কারন, ওরা আমার দল করে, আমার ভাই!
আগেই বলেছি, ইসলাম বলে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে। অপরাধী যেই হোক না কেন।
আল্লাহ বলেন, ".....ন্যায়ের জন্য প্রয়োজনে নিজের বিরুদ্ধে যাও।..." (কুরআন ৪:১৩৫)
হযরত আলীর (রাঃ) সেই বিখ্যাত মামলাটির কথা আমরা ভুলে যাই, যেখানে সাক্ষীর অভাবে খলিফা আলী (রাঃ) মুসলিম কাজির দরবারে একজন ইহুদির কাছে মামলা হেরে গিয়েছিলেন। যদিও কাজী জানতেন খলিফা মিথ্যা মামলা করেননি।
মজার ব্যপার হচ্ছে, পৃথিবীতে প্রথম নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা কিন্তু ইসলামই প্রতিষ্ঠা করেছিল। আমরা এর থেকে মাইল খানেক দূরে সরে গেলেও, অন্যান্য ধর্ম ও নানান দেশের সরকার পরে একে অনুকরণ করে।
দাসদের (অধীনস্থ, কাজের লোক ইত্যাদি) অধিকার, নারীর অধিকার, সাধারণ মানুষের অধিকার সব অধিকার প্রথম প্রতিষ্ঠা করে ইসলাম।
আজকে আমাদের প্রবর্তিত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে অন্ধকার পৃথিবী কোথায় পৌছে গেছে, আর আমরা এখনও "মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই" ফতোয়া আঁকড়ে ধরে সেই অন্ধকারেই বসে আছি!
এ সবই জাতীয়তাবাদী চেতনার কুফল! রক্তের সাথে মিশে আছে।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৩৩
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন:
২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:২৬
মিতক্ষরা বলেছেন: এইরকম ভাবে ফাদ পেতে সাধারন মানুষকে সন্ত্রাসী বানানো সমর্থন করা যায় না।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৩৩
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৫৭
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: সচলায়তনে 'মানুষে'র খোয়াড়ে গিয়ে লিখুন, এটা 'ছাগলে'র খোয়াড় ।