নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শয়তান আর মানুষের মধ্যে পার্থক্য....

১৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ৩:১০

কিছু হলেই দেশে ব্লগারদের কুপিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। পারিবারিক ও বন্ধুদের চাপে একটি বিশেষ দল বা গোষ্ঠীকে নিয়ে অনেকদিন কিছু লিখতে পারছি না। স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা ঐ দলকে ভয় পাচ্ছেন এবং আমাকে নিয়ে ভীষণভাবে চিন্তিত।
তবু এই ঘটনা বলার লোভ সামলাতে পারছিনা।
প্রথমেই আমি কুরআন শরীফের সবচেয়ে বিখ্যাত ঘটনাটা বলবো। সবাই জানে, তাই বুঝতে কারোরই সমস্যা হবার কথা নয়।
আদমকে(আঃ) সৃষ্টির পর আল্লাহ সব জ্বিন ও ফেরেস্তাদের নির্দেশ দিলেন তাঁকে সিজদাহ করতে। ইবলিস ছাড়া সবাই সিজদাহ দিল। আল্লাহ ইবলিসকে অভিশপ্ত করলেন, এবং জান্নাত থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন।
আবার আদমও (আঃ) খুব শীঘ্রই আল্লাহর নির্দেশ উপেক্ষা করলেন। নিষিদ্ধ ফল খেলেন। আল্লাহ তাঁকে শাস্তি দিতেই পৃথিবীতে পাঠিয়ে দিলেন। কিন্তু ইবলিসের মতন নিষিদ্ধ বা অভিশপ্ত করলেন না।
একদল এতটুকু জেনেই প্রশ্ন তুলেন, "আল্লাহ কী পক্ষপাতিত্য করেননি?"
তারপর নিজেরাই আলোচনা করে মন্তব্য করে বসলেন, "ইবলিসের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। হেন হয়েছে, তেন হয়েছে। ইত্যাদি ইত্যাদি।"
এবং লিখে ফেলা হলো "প্যারাডাইজ লস্ট।"
অথচ মূল ঘটনা আরেকটু জানলেই দেখা যাবে ইবলিসকে যখন বলা হলো "দূর হয়ে যা" তখনও সে বলতে লাগলো, "আমি আগুনের তৈরী এবং সে মাটির। আমিই শ্রেষ্ঠ।"
এবং তারপরেই সে বলল, "আমি আপনার দাসেদের আপনার পথ থেকে সরাতে থাকবো।"
এবং আদমকে(আঃ) যখন একই "বকা" দেয়া হলো, তিনি কী করলেন?
"হে আমার রব্ব, আপনি ক্ষমা না করলে কে আমাদের ক্ষমা করবেন?"
তিনি নিজের ভুলের জন্য অনুতপ্ত হলেন।
লজ্জিত হলেন। এবং সবচেয়ে বড় কথা, ক্ষমা চাইলেন।
আল্লাহ তাঁকে শাস্তি দিলেন ঠিকই, তবে ক্ষমাও করলেন।
এইবারে আরেকটা ঘটনা দেখা যাক।
"দেশপ্রেমিক জনতার" কাছ থেকে তথ্য পেয়ে পাকিস্তান মিলিটারী একাত্তুরের ২৯-৩০ আগস্ট ঢাকা শহরের নানান স্থান থেকে একদল সূর্যসন্তানদের ধরে নিয়ে গেল। বদি, রুমি, জুয়েল, আলতাফ মাহমুদ, আজাদ - ক্র্যাক প্লাটুনের সব উজ্জ্বল নক্ষত্র এই দুই দিনেই ওদের হাতে বন্দী হলেন। এই কিছুদিন আগেও যারা ঢাকা শহরের নানান স্থানে গেরিলা অপারেশন করে মিলিটারির কলিজা কাপিয়ে দিচ্ছিলেন।
অন্য যেকোন সময় হলে আর দেখতে হতো না। সরাসরি গুলি করে খেল খতম করে দেয়া হতো। বাগড়া বাঁধলো আন্তর্জাতিক চাপের কারনে। আন্তর্জাতিক চাপে পিষ্ট হয়ে প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান নাকি বন্দিদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করবেন। এই নিয়ে মিলিটারিতে কানাঘুষা চলছে। সেটা হলে বন্দিদের ছেড়ে দিতে হবে। অথচ এদের ছাড়ার কোনই কারন নেই। দেশদ্রোহের প্রমান এদের বিরুদ্ধে একদম স্পষ্ট।
মিলিটারী ক্যাম্পে সাধারণত কোন বাঙালির প্রবেশাধিকার ছিল না। তবে সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে কোন এক রাতে একদল বাঙালি যুবক ক্যাম্পে প্রবেশ করলো। এরা আল বদরের সদস্য। এদের একজন প্রস্তাব দিল, তারা স্বহস্তে কর্ম সমাধা করতে চায়।
দায়িত্বপ্রাপ্ত মিলিটারী অফিসার কোন বাঁধা দিলেন না। জেনারেলের নির্দেশের উপেক্ষাতো তিনি করেননি। বাঙালি বাঙালিকে মেরেছে। তার কী?
এর বহু বছর পর, সেই রাতের সেই আল বদর সদস্যকে টিভি সাংবাদিকরা প্রশ্ন করায় তিনি বলেছিলেন, "বাংলাদেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নাই। তার দল একাত্তুরে কোন অপকর্ম করে নাই। ব্লা ব্লা ব্লা!"
উপরে ইবলিসের গল্পটা কেন বললাম এখন বুঝতে পারছেন? শয়তান আর মানুষের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, শয়তান নিজের অপকর্মের কথা স্বীকার করেনা। উল্টা সেটাকেই জাস্টিফাই করার চেষ্টা করে।
আর মানুষ ভুল করলে সেই ভুলের জন্য অনুতপ্ত হয়। লজ্জিত হয়। ক্ষমা চায়। ও শাস্তি মাথা পেতে নেয়।
এদের ফাঁসিতে ঝুলাবার আগে দুইটা তথ্য আমার খুব জানার ইচ্ছা ছিল।
সেই শহীদদের মৃত্যু দিন কবে?
এবং, তাঁদের কোথায় কবর দেয়া হয়েছিল?
শহীদদের স্বজনেরা এখনও জীবিত। তাঁরা অন্তত সেই গণকবরে গিয়ে দু ফোঁটা অশ্রু ফেলতে পারতেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:২৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

ভালো লিখেছেন।

২২ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:০৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.