নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
ওহুদের যুদ্ধে নবীজি (সঃ) অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন। তাঁর শরীর শরবিদ্ধ হলো, তাঁর দাঁত ভেঙ্গে গেল, মাথা থেকে রক্ত গড়িয়ে তাঁর জুতা ভিজে গেল।
তিনি তখন খুবই আফসোসের সাথে বললেন, "সেই জাতির কিভাবে মুক্তি ঘটবে যারা তাদের নবীদের হত্যা করতে চায়!"
নবী রাসুলদের একটাই কাজ ছিল। "সৎ কাজ কর, অসৎ কাজ এড়িয়ে চলো" - বাণী প্রচার করা।
দেখা গেল, সাধারন মানুষ ভাল কথা শুনতে কখনই আগ্রহী নয়।
আল্লাহ তখন তাঁর দাসকে স্মরণ করিয়ে দিলেন, "কাউকে শাস্তি দেবার, অথবা ক্ষমা করার অধিকার তোমাকে দেয়া হয়নি। যদিও নিঃসন্দেহে তারা অন্যায় কাজে লিপ্ত।" (সুরা আল ইমরান, ১২৮)
নবীজি (সঃ) সাথে সাথে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলেন, এবং কুরাইশদের সৎপথ দেখাবার জন্য দোয়া করলেন। এবং ইতিহাস সাক্ষী, ওহুদের ময়দানের সবচেয়ে দুর্ধর্ষ কুরাইশ সেনাপতি খালিদ বিন ওয়ালিদ একদিন স্বেচ্ছায় মদিনায় এসে নবীজির পায়ের কাছে বসে বলেন, "আমার সবসময়েই মনে হচ্ছিল আপনিই সঠিক ছিলেন এবং আমি ভুল দলের হয়ে লড়ছি।"
নবীজি(সঃ) তাঁকে উপাধি দেন, সাইফুল্লাহ, আল্লাহর তরবারী।
একশরও বেশি লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়ে বিজয়ী ইসলামের ইতিহাসের সর্বকালের সর্বসেরা সেনাপতির জীবনের সবচেয়ে বড় ট্রাজেডি ছিল অসুস্থ হয়ে বিছানায় শুয়ে মৃত্যু! যিনি আফসোস করে বলেছিলেন, "আমার শরীরের একটিও অঙ্গ বাকি নেই যেখানে শত্রুর অস্ত্রের আঘাত পড়েনি। অথচ আজকে আমি একটি বুড়ো উটের মতন বিছানায় শুয়ে মরছি।"
তিনি শহীদের মৃত্যু কামনা করেছিলেন। পাননি। বুঝতে পারেননি যে "আল্লাহর তরবারী" কী যুদ্ধের ময়দানে ভাঙ্গতে পারে?
যে কথা বলছিলাম, যেখানে নবীজিকে শারীরিক আঘাত করার পরেও তিনি আঘাতকারীর জন্য বারবার দোয়া করে গেছেন, সেখানে আমরা কোপাকুপি শুরু করে দেই। যেখানে আল্লাহ বলেছেন কে সৎ পথপ্রাপ্ত হবে আর কে হবে অভিশপ্ত - সেটা নির্ণয় করার অধিকার স্বয়ং নবীজিরও নেই, সেখানে আমরা কিছু হলেই কোপাকুপি শুরু করে দেই।
ওহুদের যুদ্ধের কুরাইশ নেতৃবৃন্দ, আবু সুফিয়ান, সোহেইল ইবনে আম'র, খালিদ বিন ওয়ালিদ, ইকরিমা ইবনে আবু জাহল, আমর ইবনে আ'স, এমনকি হজরত হামজাহকে (রাঃ) হত্যাকারী দাস ওয়াহশি পর্যন্ত কলিমা পাঠ করে মুসলিম হয়েছিলেন। সবাইকে কোপাকুপি করে মেরে ফেলার বিধান থাকলেতো আর কোন কথাই ছিল না।
অন্যকে ধর্ম শেখানোর আগে আমাদের নিজেদেরই নিজেদের ধর্ম ভালভাবে শেখা উচিৎ।
যে ছেলেটি মারা গেছে সে সব ধর্মের বিরুদ্ধেই লিখতো। এবং সব ধর্মেই উগ্রবাদী আছে। যে কেউ তাঁকে হত্যা করে থাকতে পারে। তাই পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কাউকে ডিরেক্টলি কিছু বলতে চাইছি না। সেটা বুদ্ধিমানের কাজও না।
এবং আমি অন্য ধর্মের ব্যপারে তেমন জানিনা, নিজের ধর্ম সম্পর্কে যা জানি বলে দিলাম।
সেই সাথে দাবি করছি, ওর হত্যাকারীর কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি হোক।
আর যদি ওর হত্যাকারী মুসলিম হয়ে থাকে, তবে তার ডবল শাস্তি কামনা করছি। মানুষ হত্যার জন্য একটি ফাঁসি। এবং মুসলিম হবার পরেও মানুষ হত্যার জন্য আরেকটা ফাঁসি।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৩৪
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: মূর্খরাই ত্যানা প্যাচায়। ধর্ম সম্পর্কে সঠিক ধারনা থাকলে এই কাজ কখনই করতো না।
২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:১১
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: সব ধর্মেই উগ্রবাদী আছে। যে কেউ তাঁকে হত্যা করে থাকতে পারে। তাই পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কাউকে ডিরেক্টলি কিছু বলতে চাইছি না। সেটা বুদ্ধিমানের কাজও না
চমৎকার বলেছেন
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:১৪
নতুন বলেছেন: মানুষ হত্যার খবরে যে কস্ট পায়না এবং ত্যানাপ্যাচাইয়া জাস্টিফাই করতে চায় তাদের কিভাবে মানুষ বলি?
(ব্লগে আর ফেসবুকের কমেন্টে এমন অনেককেই দেখলাম)
হত্যাকারীর কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি হোক। দৃস্টাস্তমুলক সাজার দরকার তবে বাকিরা ভয়ে এই চিন্তা বাদ দেবে।