নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
সমস্যা হচ্ছে, একটা করে অঘটন ঘটে, অমনি ফেসবুকে সবাই বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হয়ে যান। ফেসবুক স্ট্যাটাসের নামে যে যার মতন বিচার শুনিয়ে দেন। সেটা যে কারনেই হোক না কেন।
ধরা যাক আধুনিক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফাজিল আইসিসের কথা। এরা যে সন্ত্রাসী, এই ব্যপারে দ্বিমত নেই বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের। সমস্যা হচ্ছে, একই সময়ে বিশ্বের কয়েক লক্ষ মানুষের কাছে এরাই হিরো, জিহাদী মুক্তিযোদ্ধা। এদের সমর্থকের সংখ্যা উন্নত বিশ্বে যেমন আছে, বাংলাদেশেও তেমনি আছে। এরা যে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ মেরে ফেলছে, তাতেও কোন দোষ খুঁজে পান না। স্কুলের ধর্মশিক্ষা পরীক্ষাও যে ছাত্র নকল করে পাশ করেছিল, সেও ফতোয়া শুনিয়ে দেয় - আইসিস সহিহ ইসলামের পথে আছে। সব দোষ অ্যামেরিকার। ওরাই আইসিস সৃষ্টি করেছে, ওদেরকেই পিটানো উচিৎ। এবং সেই সাথে আছে ইজরায়েল। পৃথিবীর নিকৃষ্টতম জাতি হচ্ছে এই ইহুদিরা। হিটলার সাহেব ঠিকই করেছিলেন।.......শুরু হয়ে যায় ইতিহাস ঘাটাঘাটি।
ঘটনা আংশিক সত্য। বেন সোয়ান ভাইয়ের সাম্প্রতিক টিভি রিপোর্ট আরেকবার আমাদের (মার্কিন বিদেশনীতির কথা বলছি) হিপোক্রেসীকে সবার সামনে তুলে ধরেছে। কিন্তু তাতে কারও টনক নড়বে না। আগেও বহুবার অনেকেই এমনটা করেছেন, ভবিষ্যতেও করবেন। কেউ একটুও ভাববে না, একদল উন্মাদ, প্রায় ফকির সন্ত্রাসীদের হাতে এত দামী দামী অস্ত্র কে তুলে দিল? আয়েশী আরবরাতো নিজের দেশের মাটিতে সামান্য সুঁই সূতা পর্যন্ত উৎপাদন করতে পারেনা। তারা কী করে অ্যাসল্ট রাইফেল, এন্টি ট্যাংক মাইন, বিমান বিদ্ধংসী অস্ত্র ও আধুনিক ট্যাংক পেল? একটু খুঁটিয়ে দেখুন, ওদের চড়া ট্যাংকগুলো কী পরিচিত মনে হয়? জ্বী, ওসব আমাদেরই মার্কিন মুল্লুকের সেনাবাহিনীর ফেলে আসা ট্যাংক। ইরাক যুদ্ধের সময়ে যেগুলো ব্যবহৃত হয়েছিল এবং সেখান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের সময়ে যেগুলো ধ্বংস করে আসা হয়নি। এত বড় বড় অফিসারদের কারোর মাথাতেই কী আসেনি যে ওসব জঙ্গিদের হাতে পড়লে কী ঘটতে পারে? নাকি এটা ইচ্ছাকৃত ভুল?
অ্যাসল্ট রাইফেলের বেশির ভাগই একে৪৭, রাশিয়ার যুগান্তকারী আবিষ্কার। সাথে আছে ইজরায়েলি উজি, এবং আরও অন্যান্য অস্ত্র শস্ত্র। কিভাবে গেল তাদের হাতে?
আমাদের দেশের গ্রামের জমিদারদের একটা অতি প্রাচীন ফিলোসফি ছিল - চাষা ভুষাদের বেশি পড়ালেখা করানোর দরকার নেই। ওরা যদি শিক্ষিত হয়ে যায়, তবে চাষ করবে কারা?
একই নীতি এখনও আমাদের দেশের প্রতিটা সরকার ফলো করে থাকেন। দেশ থেকে দারিদ্র দূর হয়ে গেল মিছিল মিটিংয়ের জন্য এক প্লেট বিরানির লোভে কয়টা মানুষকে পাওয়া যাবে? ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানের জনসভা যদি লোকশূন্য হয়, তাহলেতো বিপক্ষ দল যে মুচকি মুচকি হাসবে!
একই নীতি আমাদের অ্যামেরিকানদেরও। বিশ্বের অন্যান্য দেশ যদি গরিব না থাকে, তাহলে আমার বড়লোক হবার ফায়দা কী? সিআইএ হচ্ছে আধুনিক শকুনি মামা, আমাদের দেশের কুটনা প্রতিবেশী মহিলাগুলির মতন, যারা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে গিট্টু লাগিয়ে মজা নেয়। তোরা কাটাকাটি করে মর, আমাদের কী?
এনিওয়েজ এখন মূল কোথায় আসি, যে কারনে আজকের লেখা শুরু করেছিলাম।
According to আইসিস, ফকিরনিগুলি নাকি জিহাদ করছে। অতি উত্তম। কোথায় পেল এই কনসেপ্ট? ওরা আপনাকে এক ঝাক দলিল পেশ করবে। আপনি বিভ্রান্ত হয়ে যাবেন। দূর্বল ঈমানের লোকেরা সাথে সাথে ইসলাম ত্যাগ করবে। আপনি মিনমিনে গলায় বলবেন, "ইহা সহিহ নহে।" আর আরেকদল ফকিরনি মুচকি হাসতে হাসতে বলবে, "বলেছিলাম না, ইসলাম তলোয়ারের মাধ্যমে প্রচার পেয়েছিল। এখনও তাই পাচ্ছে।"
আসল ঘটনা বলার আগে বলে নেই - অ্যাপলোজেটিক মানসিকতা নিয়ে বেশি দূর এগোতে পারবেন না। ধরা খেয়ে যাবেন। Honesty is the best policy. সত্যের সাথে থাকুন, তাহলে আপনি হারবেন না। কারও যদি সত্যকথন পছন্দ না হয়, সে আপনাকে ত্যাগ করবে - ক্ষতিটা তাহলে কার বেশি হবে?
নবীজির (সঃ) সময়ে আরবের অবস্থা কী ছিল? মরু অঞ্চলে সভ্যতা থেকে বিচ্ছিন্ন মোটামুটি জংলি একটি জাতি ছিল তাঁরা। সমস্ত আরব অঞ্চলে কোন লাইব্রেরি নেই, শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা হাজারে দশও না। বেঁচে থাকার সংগ্রাম করতে করতেই তাঁদের জীবন শেষ - স্কুলে যাবার সময় কই? এমনকী আধুনিক সভ্যতার যে প্রধানতম বৈশিষ্ট্য, একটি একক সরকারি শাসন ব্যবস্থা, সেটা পর্যন্ত ছিল না। যে যার গোত্রে বিভক্ত। আমার গোত্রের মানুষ অন্যের গোত্রের মেয়ে উঠিয়ে এনেছে? কোন সমস্যা নাই। আমাকে লোকটাকে প্রটেক্ট করতেই হবে। প্রয়োজনে ধর্ষকের জন্য নিজের জান গেলে যাবে, তবু অন্য গোত্রের হাতে নিজের "ভাইকে" তুলে দেব না।
আধুনিক ইতালিয়ান মাফিয়া চক্রের সাথে যার হুবহু মিল।
তা আরব ভূখন্ডে যে কখনই বাইরের কোন পরাশক্তি আক্রমন করেনি, এর প্রধাণ কারনই ছিল কে চায় যেচে পরে ঐ মরুভূমিতে গিয়ে মরতে? না আছে পানি, না আছে চাষের জমি। কোথাও কোথাও আঙ্গুর আর খেজুরের ফলন হয়। বিগ ডিল! এরচেয়ে সবার চোখ ছিল বিস্তীর্ণ সমতল ভূমি আর প্রচুর পানির সাপ্লাইওয়ালা দেশ ভারতের উপর।
বলে রাখা ভাল, তখনও মাটির নিচে তেলের সন্ধান পাওয়া যায়নি। অ্যামেরিকা নামের রাষ্ট্রের জন্মও তখনও হয়নি।
এখন নবীজির ইন্তেকালের পরপরই যে মুসলমানেরা মরুভূমি থেকে বেরিয়ে এসে হাজার বছরের পারস্য এবং রোমান (সেই সময়ের দুই সুপার পাওয়ার, বর্তমান অ্যামেরিকা এবং চায়নার মতন) সভ্যতার পতন ঘটিয়ে দিল - সেটা কেন, কী উদ্দেশ্যে ছিল? রোমানরা বা পার্সিরাতো আরবের ব্যপারে তেমন ইন্টারেস্টেড ছিল না। আমর ইবনে আস মিশর দখল করে ফেললেন। মিশরীয়রা কবে আরবদের জন্য থ্রেট ছিল? কিংবা ভারতের সিন্ধু প্রদেশে ব্যবসা করতে আসা কিছু মুসলিম বনিককে অপমানিত হতে হয়েছিল, ফলাফল ভারত আক্রমন এবং মুলতান শহরের পত্তন। উপমহাদের প্রথম মুসলিম শহর ছিল মুলতান, যেখানে আমরা অল্পের জন্য প্রথমবারের মতন টেস্ট জয়ের স্বাদ পেতে পেতে পাইনি।
যাই হোক, এইসব ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে সব জিহাদই "ডিফেন্সিভ" ছিল না। জ্বী, মুসলমানরা নিজেরা এগিয়ে গিয়েই সেসব সাম্রাজ্যের পতন ঘটিয়েছিল, এবং মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানেই আরব জংলি সমাজ থেকে উঠে এসে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সভ্যতায় পরিণত হয়েছিল।
এখন আসি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে, তাহলে কী ইসলাম তলোয়ারের মাধ্যমে প্রচার পেয়েছে? উত্তর হচ্ছে Hell No. যুক্তি সহজ, উপমহাদেশে কয়েকশ বছর ধরে মুসলমানেরা শাসন করেছে, তাহলে এখনও উপমহাদেশে কেন সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকসংখ্যা হিন্দু? ইতিহাস ঘাটুন, বঙ্গদেশে ইসলাম প্রচার পেয়েছে হজরত শাহজালালের (রঃ) মতন দরবেশদের হাত ধরে, মুসলিম শাসকরা প্রজাদের ধর্মের ব্যপারে হস্তক্ষেপ করেনি।
আরেকটা ব্যপার, যদি মুসলিমরা জোর করেই সবাইকে মুসলমান বানাতো, তাহলে প্রথম সুযোগেই সবাই ধর্মান্তরিত হয়ে যেত। মুঘলদের পরে উপমহাদেশে ইংরেজরা এলো, কয়টা মুসলমান আগের হিন্দু বা বৌদ্ধ ধর্মে ফেরত গিয়েছে? কিংবা কয়টা মুসলমান নতুন খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহণ করেছে? লজিক খাটান।
মিশরে এখনও একটা বড় অংশের জনসংখ্যা খ্রিষ্টান, কেন? ইরাক-মার্কিন যুদ্ধে সাদ্দাম হোসেনের ডান হাত তারিক আজিজের কথা কয়জনের মনে আছে? তিনি ছিলেন একজন ক্যাথলিক খ্রিষ্টান। লেবাননে যান, লাখে লাখে খ্রিষ্টান পাবেন। সবাই খাঁটি আরব। ইমিগ্র্যান্ট নন। পারস্যের পতনের পর একটাও অগ্নি পুজার মন্দির ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছিল? উহু, একটাও না। এবং আমার প্রিয় সাহাবী এবং খলিফা, হজরত উমার (রাঃ) যেদিন জেরুজালেমের পতন ঘটালেন, সেদিন তাঁর বাণী কী ছিল মনে আছে?
"তোমরা আমাদের ইবাদতে বাঁধা দিও না। আর কেউ যদি তোমাদের ইবাদতে বাঁধা দেয়, তাহলে সরাসরি আমাকে বল। আল্লাহর কসম, আমি ন্যায় বিচার পাইয়ে দিব।"
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, খলিফা উমারের (রাঃ) বিরুদ্ধে যাওয়ার কলিজা তাঁর রাজ্যে কারও ছিল না। এবং তাঁর রাজ্য কত বড় ছিল? আধুনিক বিশ্বের ম্যাপ হিসাবে ধরলে তিরিশটিরও বেশি দেশ!
তাহলে মুসলিমরা রাজ্য দখল করেছিল কেন?
একটাই কারন। সভ্যতা বিস্তারের সেটাই ছিল একমাত্র পথ। রোমানরা যেসব অঞ্চল দখল করেছে, সবাইকে রোমান বানিয়েছে। বাধ্যতামূলক। পার্সিরাও একই কাজ করেছে। ইংরেজরাও তাই। আজকে ব্রিটিশরা যদি ভারত দখল না করতো, তাহলে আমাদের দেশে এখনও হয়তো কোন আদালত থাকতো না, কাজির কাছে বিচার নিয়ে যেতে হতো। স্কুল কলেজে ইংরেজি শিখানো হতো না এবং চেয়ার টেবলে বসে খাওয়াও হতো না। ফ্যাক্ট!
আপনি ক্যানাডায় যান, দেখবেন এখনও অফিসিয়াল ভাষা ফ্রেঞ্চ। মেক্সিকোতে যান, সবাই স্প্যানিশে কথা বলছে। ব্রাজিলে পর্তুগিজ। আর অ্যামেরিকানরা ইংরেজিতে কথা বলে কেন বলে আপনার ধারনা? যারা সভ্যতা বিস্তার করতে পারেনি, তাদের ভাষা বা সংস্কৃতি কেবল তাঁদের দেশের সীমানাতেই বন্দী হয়ে আছে।
মুসলমানেরাও রাজ্য জয় করেছে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যেই। তবে রোমানদের মতন, বা পার্সিদের মতন নিজ ধর্ম চাপিয়ে দেয়া হয়নি। ঐ দুই সুপার পাওয়ারের মতন অন্যের ধর্ম চর্চায়ও বাঁধা দেয়া হয়নি। তুমি ইসলাম গ্রহণ করলে করবে, না করলে নাই। তবে এইটা জেনে রাখ, কেউ যদি ইসলাম ধর্ম চর্চা করে, তবে তাঁর উপর অত্যাচার করতে পারবেনা।
মুসলিমরাতো উল্টো ফার্সি ভাষা, উর্দু ভাষা, হিন্দি ভাষা এবং বাংলা ভাষা শিখে সেই সভ্যতারই অংশ হয়েছে। ইতিহাসতো সেটাই চিৎকার করে বলছে। সেদিন যদি তাঁরা রাজ্য জয়ে না বেরুতেন, আজকের মঞ্জুর মোর্শেদের নাম হতো মনোহর কান্তি বা এই জাতীয় কিছু - এবং গোমাংসের কী স্বাদ, সেটা হয়তো কখনই আমার জানা হতো না।
এখন অনেকেই বলবেন, তাহলে আইসিসতো একই ফিলোসফি ফলো করছে।
এখানেই বুঝা যায় কারা স্কুলের ধর্ম শিক্ষা পরীক্ষায় নকল করে পাশ করেছিল এবং কারা করেনি।
ইসলামের জয়যাত্রা প্রথম যে অভিযানের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল, সেই অভিযানের সেনাপতি আবু উবায়দা আমর ইবনে জাররাহকে (রাঃ) পথে হেঁটে যেতে যেতে ইসলামের পথম খলিফা আবু বকর (রাঃ) যে নির্দেশ দিয়েছিলেন তাতে একটু দ্রুত চোখ বুলানো যাক। দেখা যাক, আইসিস বা তার সঙ্গপাঙ্গরা কতখানি খলিফার পথে আছে।
"নিজের প্রতি যত্নশীল থেক এবং নিজের সেনাবাহিনীর প্রতিও। কখনই নিজের প্রতি বা নিজের সেনাবাহিনীর প্রতি কঠোর হয়ও না এবং নিজের পরিকল্পনা নিয়ে তাঁদের সাথে আলোচনা করো। ন্যায়ের পথে থেক, অন্যায়কে এড়িয়ে চলো এবং মনে রেখ অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া কোন জাতিই কখনও উন্নতি করেনি; এবং কোন বাহিনীই, যারা অত্যাচার করে, কখনও নিজের শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে জিততে পারেনি।
যখন শত্রুর মুখোমুখি হবে, পিঠ দেখিয়ে পালিও না, কারন যে সেটা করে, সে আল্লাহর দরবারে অভিশপ্ত হয়, যদিনা সে রণকৌশলের খাতিরে পিছু হটে থাকে।
এবং যখন তুমি তোমার শত্রুপক্ষকে হারিয়ে দিবে, তাঁদের স্ত্রীদের মেরো না, না তাঁদের সন্তানদের বা বৃদ্ধদের এমনকি তাঁদের পশুদেরও - যদি না সেসব পশুকে হালাল উপায়ে তোমাদের খাবার প্রয়োজন পরে।
এবং খবরদার! কখনই ওদের কাছে দেয়া তোমাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করো না।
এবং তোমরা এমন এক দলের সাক্ষাৎ পাবে, যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যের উপাসনা করে। ওদের আল্লাহর হাতে ছেড়ে দিও - এবং তাঁদের উপাসনাস্থল ধ্বংশ করো না।
এবং যখন অস্ত্রধারী শত্রুর মুখোমুখি হবে, তখন নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে লড়ো, ইন শা আল্লাহ, বিজয় তোমাদের হবে।"
আইসিস কী আবু বকরের (রাঃ) প্রতিটা নির্দেশ ভঙ্গ করেনি?
তাছাড়া ইসলামের জিহাদের যে নাম্বার ওয়ান শর্ত, একজন সর্বজন স্বীকৃত খলিফা থাকতে হবে - সেটাই বা তারা কতটুকু মেনেছে?
যাই হোক, শেষে একটাই কথা বলি, অতি সহজ লজিক ভাই, মাথায় একটু ঘিলু থাকলেই যা বুঝতে পারার কথা, ইসলামে যদি সন্ত্রাসবাদ লিগ্যাল থাকতো, তাহলে বিশ্বজুড়ে এক বিলিয়ন মুসলিম বসে বসে আঙ্গুল চুষতো না। কবেই সবাইকে মেরে সাফ করে দিত এবং তা করতে করতে নিজেরাও সাফ হয়ে যেত।
আইসিস, বকো হারাম বা আল কায়েদার সংখ্যা পৃথিবীতে কয়টা? এক বিলিয়নের তুলনায় কত শতাংশ।
হিসাবটা এইবার মিলান অ্যামেরিকার মোট জনসংখ্যার সাথে ছোট বড় বিভিন্ন গ্যাং, সিরিয়াল কিলার, সিরিয়াল রেপিস্ট ইত্যাদির সাথে। অনুপাতের হিসাবটা পরের দলের জন্যই লজ্জাজনক হবে।
একটা ভিডিওতে দেখলাম প্যারিসের রাস্তায় এক মুসলিম যুবক চোখে স্কার্ফ বেঁধে দুই হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে আছে। নিচে কাগজে লেখা, আমি একজন মুসলিম, এবং কোন সন্ত্রাসী নই। যদি তুমি আমাকে বিশ্বাস করো, তবে Give me a hug.
ঝাকে ঝাকে মানুষ যুবককে জড়িয়ে ধরেছে। কেউ কেউ তাঁকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদেছে। একজনকেও দেখলাম না তাঁকে ভর্ত্সনা করতে।
জ্বী ভাই, আমরা গর্বিত যে আমরা মুসলিম। আজ যদি আইসিস বা এই জাতীয় কোন সন্ত্রাসী দল কোন ব্যস্ত শহরের রাস্তায় সন্ত্রাসী হামলা করে, তবে মৃতের তালিকায় অবশ্যই আমাদের কারও না কারও নাম থাকবে। আমরা "মুসলিম" বলে ওরা যে আমাদের ছেড়ে দেয় এমন ভাববার কোনই কারণ নেই। সিরিয়ায়, লেবাননে, ফিলিস্তিনে, ইরাকে, পাকিস্তানে, মায়ানমারে, এবং এইরকম কয়েকশ দেশে প্রতিদিনই আমরা মরছি। আমরাও এইসব সন্ত্রাসীদেরই হামলার শিকার হচ্ছি। এমনকি যেসব মাথা নষ্ট মূর্খ এদের সমর্থন করে, তারাও কিন্তু এদের হাত থেকে বাঁচতে পারবে না। আজকে যারা প্যারিসের হামলার ঘটনায় আনন্দে দাঁত ক্যালাচ্ছেন, কাল হয়তো ইংল্যান্ডে কিংবা বাংলাদেশে এদের হামলার ঘটনায় আপনারই কোন স্বজন মারা যাবে। মরবেই, আল্লাহ এইভাবেই বিচার করেন। তখন কিন্তু হায় হায় করেও কোন কূল পাবেন না।
সবাইকে আল্লাহ জ্ঞান দান করুন। সবাইকে আল্লাহ বিবেক ও বুদ্ধি দান করুন।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৩৬
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!
২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০১
আজমান আন্দালিব বলেছেন: সবাইকে আল্লাহ জ্ঞান দান করুন। সবাইকে আল্লাহ বিবেক ও বুদ্ধি দান করুন।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৩৬
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আমিন
৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩১
গোধুলী রঙ বলেছেন: দারুন লিখেছেন, আল্লাহ আমাদের সবাইকে উত্তম জ্ঞান দান করুন।
আজ প্রথম পাতায় দেখলাম এক নতুন বাবার আমদানি হয়েছে, এই রকম লেখা যদি বাবার চোখে পড়ে আর বাবা যদি টিনের চশমা লাগিয়ে না থাকেন, তবে বুঝতে পারবেন আশা রাখি। বাবার নাম- আব্দুল্লা আল মামুন নিষিদ্ধ বাবা
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০১
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন:
৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০২
মায়াবী রূপকথা বলেছেন: ভাল লিখেছেন
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০১
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!
৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার একটি লেখা।
ইসলাম অন্যায় ভাবে কোথাও কাউকে খুন করতে বলেনি। কিন্তু এই শয়তানেরা যে কী শুরু করলো! নামধারী খলিফা বাগদাদি তো একটি ইহুদি।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০২
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!
৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০১
জাহিদ ২০১০ বলেছেন: অনেক ভাল একটি লেখা। চালিয়ে যান ভাই।।।।
ইসলাম কখনোই তলোয়ারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা পায়নি। ইসলাম প্রতিষ্ঠা পেয়েছে নবী কারীম (সাঃ) এবং সাহাবা আজমাঈনদের আমল, আখলাকের মাধ্যমে
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০২
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন
৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৭
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: বহুদিন পর সামুতে ঢুকেছি। বিভিন্ন পোস্টে শুধু ঢুঁ মেরে যাচ্ছিলাম।কিন্তু আপনার লেখাটি পড়ে পোস্টে মন্তব্য করার লোভ সামলাতে পারলাম না। অসাধারণ লিখেছেন। ধন্যবাদ।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০২
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই! আপনার মন্তব্য পড়েও ভাল লাগলো।
৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২২
গোধুলী বেলা বলেছেন: দারুন লাগল।
আপনার মত কিছু লেখক হলেই আমাদের ইসলাম এর বেপারে ভুল গুলো ভাংগা সম্ভব। আর সেই সাথে নাস্তিকদের ও জানিয়ে দেয়া যাবে।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০২
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ! সাথে থাকবেন
৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//একটা ভিডিওতে দেখলাম প্যারিসের রাস্তায় এক মুসলিম যুবক চোখে স্কার্ফ বেঁধে দুই হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে আছে। নিচে কাগজে লেখা, আমি একজন মুসলিম, এবং কোন সন্ত্রাসী নই। যদি তুমি আমাকে বিশ্বাস করো, তবে Give me a hug.
ঝাকে ঝাকে মানুষ যুবককে জড়িয়ে ধরেছে। কেউ কেউ তাঁকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদেছে। একজনকেও দেখলাম না তাঁকে ভর্ত্সনা করতে।//
টাচিং...
লেখাটিও টাচিং....!
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৩
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন:
১০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভাল বলেছেন। তবে অনেক তথ্যের সাথে সহমত নই তবে তর্ক করারও মানসিকতা নাই।
১১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩
পরিশেষের অপেক্ষায় বলেছেন: অসাধারণ লেখা। মানুষের ভুলভ্রান্তি কেটে যাক এমনটাই প্রত্যাশা
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৩
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!
১২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৬
মদন বলেছেন: অসাধারণ
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৩
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!
১৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৬
এস কাজী বলেছেন: অতি সুন্দর বিশ্লেষণ। পড়ে খুব ভাল লাগল।
খুব গুছিয়ে আপনি লিখেছেন।
ভাল থাকবেন।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৪
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!
১৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩
জ্ঞানহীন মহাপুরুষ বলেছেন: খুব সুন্দর উপস্থাপন। সাজানো লেখা। এবং বক্তব্যে আপনার মনোভাব স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়েছে।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৪
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!
১৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৮
প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার লেখা। ধন্যবাদ
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৪
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সাথে থাকার জন্য!
১৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০১
শাহাদাত হোসেন বলেছেন: আপনার লেখা বরাবরের মতোই ভালো লাগলো ।দারুন একটা সময়পযোগী লেখা ।ভালো থাকবেন ।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৪
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে!
১৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পূর্ব বঙ্গে ইসলাম বিস্তারে সুফি-দরবেশদের অবদানই বেশি । এঁদের মধ্যে শাহ জালাল, শাহ পরান, খান জাহান অালী প্রমুখ অগ্রগণ্য । ভারতের ক্ষেত্রে নিজাম উদ্দিন অাউলিয়া, মঈনুদ্দীন চিশতীর নাম সর্বাগ্রে ।
তলোয়ারের মাধ্যমে যে এ উপমহাদেশে ইসলাম কায়েম হয়েছে, এ যুক্তিও অসত্য নয় । খিলজী কিংবা বাবরের শাসনামলের দিকেই তাকান, কিংবা তাকান অাওরঙ্গজেবের শাসনামলের দিকে । মুসলিম শাসনামলে প্রায় অাট কোটি অন্য ধর্মের লোক হত্যা করা হয় ।
তবে হ্যাঁ, যারা এই হত্যাকান্ডগুলো সংগঠিত করেছেন, তাদের বেশিরভাগ লুটপাটের জন্যই এসেছিলেন, ধর্ম কায়েমের জন্য নয় ।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০১
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম থাকে কোন দেশে? ইন্দোনেশিয়াতে। ২২০ মিলিয়ন। পাশে মালয়েশিয়া ও ব্রুনেইও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। এসব দেশে তলোয়ার নিয়ে কে গিয়েছিল? কেউ না। মুসলিমরা ব্যবসার উদ্দেশ্যে যেতেন। তাদের মাধ্যমেই স্থানীয়রা ইসলামের বাণী গ্রহণ করে দ্বাদশ থেকে ষোড়শ শতাব্দীতে।
এছাড়াও যেসব দেশে মুসলিমরা সেনাবাহিনী নিয়ে গিয়েছিলেন, সেখানেও তারা অপশন দিতেন ইসলাম গ্রহণের অথবা অমুসলিম হিসেবে থাকার। যারা অমুসলিম থাকত তারা কর দিত। (বাই দা ওয়ে সব মুসলিমরা যাকাত দেয়, অমুসলিমদের যাকাত দিতে হত না)
এমন অনেক উদাহরণ আছে যে কোনো গোত্র বা জাতি ইসলাম গ্রহণ করেছে, তাদের আগের নেতাই তাদের নেতা থেকেছেন, সব সহায় সম্পত্তি যেমন ছিল তেমন থেকেছে। মুসলিমরা ইসলাম প্রচার করেই ফিরে গেছেন।
লুটপাটের ঘটনার মধ্যে ধর্ম মেশানো কোনভাবেই জাস্টিফায়েড না। ধর্ম চিরদিনই নিজের স্বার্থে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে, এখনও যেমনটা হচ্ছে।
১৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০০
শাহ মোহাম্মদ ইসমাইল বলেছেন: অসাধারণ একটা লেখা।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৩
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!
১৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫৮
আব্দুল্যাহ বলেছেন: সাধারণত বড় লেখা পড়তে পারিনা, আজও পারলাম না। হয়তো একদিন শেষ করব, তবে যতোটুকু পড়েছি ভালোই লেগেছে।
"স্কুলের ধর্মশিক্ষা পরীক্ষাও যে ছাত্র নকল করে পাশ করেছিল, সেও ফতোয়া শুনিয়ে দেয় - আইসিস সহিহ ইসলামের পথে আছে।" চমৎকার উদাহারণ
২০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫১
আকবর উদ্দীন ভূঁঞা বলেছেন: ওরা আপনাকে এক ঝাক দলিল পেশ করবে। আপনি বিভ্রান্ত হয়ে যাবেন।
এটাই বড় সমস্যা
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪১
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন:
২১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১২
রাহমান বিপ্লব. বলেছেন: সুন্দর একটি বিশ্লেষণ পড়েছি। লেখাটিতে বারবার একটি বিষয় খুব শক্তিশালী টার্ন তৈরি করেছে। সেটা হল, "ধর্মশিক্ষায় নকল করে পাশ না করে থাকলে বুঝার কথা ছিলো" এই কথাটা মোটামুটি দুইবার এসেছে। আবার লেখাটি শেষ হয়েছে মহান আল্লাহর নিকট জ্ঞান, বিবেক ও বুদ্ধি কামনার দ্বারা।
খুব সহজ। যারা ইসলামের সত্যকে মিথ্যা দ্বারা কলুষিত করতে চাচ্ছে তারা দুইটা সম্প্রদায়। এক- ইসলাম বিদ্বেষী। দুই- মোসাদের প্রজেক্ট আইসিস।
অথচ আমরা যদি ইসলামী জ্ঞান অর্জন করতাম তাহলে এই দুই শ্রেণী মোটেও ছিনিমিনি খেলতে স্বক্ষম হতনা।
ইসলামী জ্ঞানটা আজকের বিশ্ব শান্তির জন্য এক নাম্বারে প্রয়োজন। অথচ বিভিন্ন ভাবে ইসলাম ধর্ম শিক্ষার মান কমিয়ে গুরুত্ব কমিয়ে দেয়া হচ্ছে। যেখানে জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় বরং ইসলাম শিক্ষাকে সমগ্র মুসলিম বিশ্বের জন্য আবশ্যক হিসেবে জাতীধর্ম নির্বিশেষে ঐক্যমত্য থাকবার কথা। আমাদের মিডিয়া, সিনেমা, নাটকেও ইসলামী পোশাক, দাড়ি,টুপিধারী ভিলেন চর্চার বাহুল্য ইসলাম সম্পর্কে ধারনাকে নেতিবাচক করার জন্য বড় ভূমিকা রেখে আসছে। যার পরিনতি হল ইসলাম ও ইসলামী জ্ঞানে অবহেলা। আমাদের পূর্বপুরুষের আমলে যেভাবে ইসলামী জ্ঞানের চর্চাটা পরিবার ভিত্তিক আবশ্যক চর্চা ছিলো সেটা আমাদের সচেতন নাগরিক ব্যাক্তত্বরা সচেতন ভাবেই অবজ্ঞা করেছেন। ফলাফল ইসলামী জ্ঞানে অজ্ঞ একটি মুসলিম সম্প্রদায়।
আর এমন অজ্ঞ সম্প্রদায়কে দুই চারটা ভুয়া দলিল গিলিয়ে জঙ্গি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করানোটা ইহুদিদের প্রজেক্টে অনেক সহজ। বিশেষত জঙ্গি হয়ে বের হওয়া দলটিকে চ্যালেঞ্জের ক্ষেত্রে নিশ্চুপ অজ্ঞ ধর্মভীরু সমাজের দায়টাই বেশি। এমন একটি অজ্ঞ সমাজে সবার ধারনা ঠাকে- আমি 'জিহাদে বের হতে পারিনি, কিন্তু তারা তো বের হচ্ছে! তাহলে এদের বিরুদ্ধে কথা বলে ইমান হারাব কেন!"
যখন অজ্ঞ মানুষ জিহাদের অপব্যাখ্যা বিশ্বাস করে তখন এমন একটা জঙ্গি প্রজনন কেন্দ্রই তৈরি হয়।
অথচ সবাই সমালোচনা করেছে কিন্তু কেউই মূল কারনটা ফাইন্ড আউট করে তার সমাধান সার্বজনীন ইসলাম শিক্ষার প্রসারের দাবি নিয়ে এগিয়ে এসে কথা বলছেনা।
২২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৯
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: ভাই, আগেকার গত ১০০-২০০ বছরে কোন কোন দেশে ঝাকে ঝাকে মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেছে? এখন আর ঝাকে ঝাকে করে না, সুবিধা দিলে বা বিবাহ কারণে করে।
২৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩০
নিরীহ_প্রাণী বলেছেন: আপনার পুরো লেখাটা ডাটা হিসাবে যদি আবালদের মাথায় আপলোড করা যেত, তারা আর আবাল থাকতো না।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪০
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: হাহাহা
২৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪০
শামছুল ইসলাম বলেছেন: অনেক চমৎকার, বিশ্লেষণধর্মী একটা পোস্ট।
প্রিয়তে নিলাম।
এবং আপনার লেখার বিশেষ ভাল লাগার অংশটুকু আবার পড়তে ইচ্ছে করছেঃ
//পারস্যের পতনের পর একটাও অগ্নি পুজার মন্দির ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছিল? উহু, একটাও না। এবং আমার প্রিয় সাহাবী এবং খলিফা, হজরত উমার (রাঃ) যেদিন জেরুজালেমের পতন ঘটালেন, সেদিন তাঁর বাণী কী ছিল মনে আছে?
"তোমরা আমাদের ইবাদতে বাঁধা দিও না। আর কেউ যদি তোমাদের ইবাদতে বাঁধা দেয়, তাহলে সরাসরি আমাকে বল। আল্লাহর কসম, আমি ন্যায় বিচার পাইয়ে দিব।"//
//ইসলামের জয়যাত্রা প্রথম যে অভিযানের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল, সেই অভিযানের সেনাপতি আবু উবায়দা আমর ইবনে জাররাহকে (রাঃ) পথে হেঁটে যেতে যেতে ইসলামের পথম খলিফা আবু বকর (রাঃ) যে নির্দেশ দিয়েছিলেন তাতে একটু দ্রুত চোখ বুলানো যাক। দেখা যাক, আইসিস বা তার সঙ্গপাঙ্গরা কতখানি খলিফার পথে আছে।
"নিজের প্রতি যত্নশীল থেক এবং নিজের সেনাবাহিনীর প্রতিও। কখনই নিজের প্রতি বা নিজের সেনাবাহিনীর প্রতি কঠোর হয়ও না এবং নিজের পরিকল্পনা নিয়ে তাঁদের সাথে আলোচনা করো। ন্যায়ের পথে থেক, অন্যায়কে এড়িয়ে চলো এবং মনে রেখ অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া কোন জাতিই কখনও উন্নতি করেনি; এবং কোন বাহিনীই, যারা অত্যাচার করে, কখনও নিজের শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে জিততে পারেনি।
যখন শত্রুর মুখোমুখি হবে, পিঠ দেখিয়ে পালিও না, কারন যে সেটা করে, সে আল্লাহর দরবারে অভিশপ্ত হয়, যদিনা সে রণকৌশলের খাতিরে পিছু হটে থাকে।
এবং যখন তুমি তোমার শত্রুপক্ষকে হারিয়ে দিবে, তাঁদের স্ত্রীদের মেরো না, না তাঁদের সন্তানদের বা বৃদ্ধদের এমনকি তাঁদের পশুদেরও - যদি না সেসব পশুকে হালাল উপায়ে তোমাদের খাবার প্রয়োজন পরে।
এবং খবরদার! কখনই ওদের কাছে দেয়া তোমাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করো না।
এবং তোমরা এমন এক দলের সাক্ষাৎ পাবে, যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যের উপাসনা করে। ওদের আল্লাহর হাতে ছেড়ে দিও - এবং তাঁদের উপাসনাস্থল ধ্বংশ করো না।
এবং যখন অস্ত্রধারী শত্রুর মুখোমুখি হবে, তখন নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে লড়ো, ইন শা আল্লাহ, বিজয় তোমাদের হবে।"
আইসিস কী আবু বকরের (রাঃ) প্রতিটা নির্দেশ ভঙ্গ করেনি?//
পরিশেষে মইনুল ভাইয়ের মত আমিও বলতে চাইঃ
//একটা ভিডিওতে দেখলাম প্যারিসের রাস্তায় এক মুসলিম যুবক চোখে স্কার্ফ বেঁধে দুই হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে আছে। নিচে কাগজে লেখা, আমি একজন মুসলিম, এবং কোন সন্ত্রাসী নই। যদি তুমি আমাকে বিশ্বাস করো, তবে Give me a hug.
ঝাকে ঝাকে মানুষ যুবককে জড়িয়ে ধরেছে। কেউ কেউ তাঁকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদেছে। একজনকেও দেখলাম না তাঁকে ভর্ত্সনা করতে।//
টাচিং...
লেখাটিও টাচিং....!
ভাল থাকুন। সবসময়।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪০
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ
২৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৬
ক্লান্ত তীর্থ বলেছেন: ভালো লেগেছে!
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৮
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ
২৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৪
ফেরিওয়ালা দাদা বলেছেন: অসাধারণ ভাই। কথা দিলাম আজ থেকে আপনার লেখা পড়বো।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৮
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
২৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩২
খোলা মনের কথা বলেছেন: অসাধারণ একটি লেখা যেটি মুসলিমদের মনের খোরক হিসেবে কাজে লাগার মত। আল্লাহ পাক এর চেয়ে ভাল লেখা আপনার লেখার তওফিক দান করুক। ধন্যবাদ ভাই
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৮
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
২৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০২
শয়ন কুমার বলেছেন: আজকাল ভিন্ন সম্প্রদায়ের (শিয়া-কাদিয়ানী-হিন্দু-খৃষ্টান সংখ্যালঘুদের ) বেসামরিক সাধারণ মানুষজনের উপর যে হারে জঙ্গীরা হামলা করছে, খুন করছে ! ভাই , পারলে আপনার এই লিখাগুলো আপনাদের মুসলমানদেরই বেশি করে বুঝান।আপনাদেরই এটা বুঝার জন্য বেশি জরুরী।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫০
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: দারুন লেখেছেন। এমন একটা লেখা পড়ে গৌরবিত বোধ করছি।