নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

খ্রিষ্ট ধর্মের মহাপবিত্রতম চার্চটির চাবি এত শত বছর পরেও এখনও একটি মুসলিম পরিবারের হাতে

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২০

আজকের তারিখটা খুবই ইন্টারেস্টিং, ২৫শে ডিসেম্বর এবং ১২ই রবিউল আউয়াল। দুই ধর্মমতে দুই মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এবং যিশু খ্রিষ্টের (আঃ) (হযরত ঈসা (আঃ)) জন্মদিন। দুই ক্যালেন্ডার মতে দুই ভিন্ন দিবস আমাদের জীবনে আর কোনদিনই এক বিন্দুতে এসে মিলবে না।
যদিও তাঁদের জন্ম তারিখ নিয়ে দুই ধর্মেই নানান মুনির নানান মত আছে, তবে সেটা আজকের লেখার ইস্যু না। আজকের এই বিশেষ দিবস উপলক্ষ্যে একটা ইন্টারেস্টিং ঘটনা বলে ফেলা যাক।
জেরুসালেমে shuk ha tsaba'im st (সঠিক হিব্রু উচ্চারণ আমার বাপের দ্বারাও সম্ভব না) নামের এক রাস্তার একপাশে আছে চার্চ অফ দ্য হোলি সেপালকার। খ্রিষ্টান ধর্ম বিশ্বাসীরা মনে করেন এই স্থানেই যিশু খ্রিস্টকে ক্রুসিফাইড করা হয়, এবং এ স্থানেই আবার তাঁর পুনরুত্থান ঘটে। এই চার্চকে বলা হয় পবিত্রতার মধ্যেও পবিত্রতম।
ইন্টারেস্টিং ঘটনাটা হচ্ছে, যেদিন খলিফা উমারের (রাঃ) হাতে জেরুসালেম আত্মসমর্পণ করে, তখন এই শহরের নেতৃত্বে থাকা খ্রিষ্টান ধর্মগুরু খলিফা উমারকে (রাঃ) তাঁদের ধর্মের মহাপবিত্রতম চার্চটি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখান।
এই সময়ে জোহরের নামাজের সময় হয়ে যায়, এবং খলিফা জানান তাঁকে নামাজ পড়তে হবে।
খ্রিষ্টান ধর্মগুরু খলিফাকে চার্চের মধ্যেই নামাজ পড়ার অনুরোধ করেন।
উমার (রাঃ) একজন বিচক্ষণ নেতা ছিলেন। তিনি তাঁর লোকেদের ভাল মতই চিনতেন। তাই তিনি বলেন, "সেটা আমার করা উচিৎ হবেনা। তাহলে ভবিষ্যতে মুসলিমরা এই স্থানেই মসজিদ বানিয়ে ফেলবে।"
খলিফা চার্চ থেকে বেরিয়ে এসে খালি ময়দানে নামাজ আদায় করেন। এবং সত্যি সত্যিই shuk ha tsaba'im স্ট্রিটের অপর পাশে একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা আজও মসজিদ উমার(রাঃ) নামে পরিচিত।
খলিফার এমন বিচক্ষণতায় মুগ্ধ হয়ে যাজক তাঁর হাতে চার্চের চাবি তুলে দিলেন।
এবং ইন্টারেস্টিং ঘটনাটা হচ্ছে, খ্রিষ্ট ধর্মের মহাপবিত্রতম চার্চটির চাবি এত শত বছর পরেও এখনও একটি মুসলিম পরিবারের হাতেই সংরক্ষিত আছে।
ধর্মীয় সহমর্মিতা ও সহনশীলতার এমন উদাহরণ আর কোথায় আছে?

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫১

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: জানা ছিলো না।অজানা তথ্য জানতে পারলাম।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুপ্রিয় ব্লগার

২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


বিদায় হজ্জের ভাষণেও প্রিয় নবী বলে গেছেন আমরা যেন অন্য ধর্ম নিয়ে সহনশীল থাকি। যার যার ধর্ম তাঁর তাঁর। এই নিয়ে বাড়াবাড়ি করা নিষেধ আছে। আর আজকের দিনটি আসলেই খুব ইন্টারেস্টিং। মতভেদ থাকলেও একই দিনের মিল হওয়াটা বেশ তাৎপর্য মন্ডিত।

৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৮

প্রামানিক বলেছেন: ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি ইসলামে নেই তারপরেও আমরা করে থাকি। পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ

৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০২

বিপরীত বাক বলেছেন: বিশ্বাস হলো না। এরকম একটা মহামূল্যবান জিনিস জেরুজালেমের মত জায়গায় একটা মুসলিম পরিবারের হাতে থাকবে অার ঈসরাইলিরা ,, বিশেষ করে মোসাদ তা চুপ করে মুখে অাঙুল পুরে বসে থাকবে অামার মনে হয় না।

ভালমতো খোজ নেন।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ভাল মতই খোঁজ নেয়া তথ্য এবং যিনি সেই চার্চটিতে গিয়েছেন, এবং চাবিওয়ালার সাথে কথা বলেছেন, তাঁর মুখ থেকেই শোনা। আমি অথেন্টিক সোর্স ছাড়া কিছু লিখিনা। আরেকটা কথা, ইজরায়েলিদের কিছুই যায় আসেনা গির্জার চাবি কার হাতে আছে বা নেই তা নিয়ে। ওদের সাথে আমাদের যুদ্ধ ধর্মভিত্তিক না, অঞ্চল ভিত্তিক। ওরা ভূমি দস্যু, আমরা আল্লাহর ইবাদত করি নাকি জিসাসকে গড মনে করি, সেটাতে তাদের মাথাব্যথা শুন্য। আমার আগের পোস্টেই এই ব্যপারে লিখেছিলাম। পড়ে দেখতে পারেন।

৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৬

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: কেন করি ? যারা করে তাদের সহ্য করি ।

৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: জানা ছিল না| মারাত্মক ব্যাপার

৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫

ধমনী বলেছেন: সকল ধর্মের প্রতিই এমন সহনশীলতা উদারতার উদাহরণ তৈরী হওয়া প্রয়োজন।

৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০

কল্লোল পথিক বলেছেন: গুরত্ব পূর্ণ তথ্য।

৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২

Ahmed Musa বলেছেন: ভাল পোস্ট

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.