নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাব বিন আশরাফসহ যাদের অশ্লিল কবিতা লেখার অপরাধে মৃত্যুদন্ড হয়েছিল

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৪:২২

কোপাকুপি নিয়ে কিছু প্রমানসহ একটা লেখা লিখলাম। প্রতিটা প্রমান দিলাম কার জীবনী থেকে? হযরত মুহাম্মদ (সঃ), দি আল্টিমেট মুসলিম/ইসলামিক স্কলার অন আর্থ। দিনের আলোর মতই বুঝিয়ে দিলাম ইসলামের নামে আর যাই হোক কোপাকুপি নিষিদ্ধ। কিন্তু অনেকেই আমার কথা মানতে নারাজ।
কেউ কেউ বলছেন, ওদের অশ্লীলতা এত প্রকট যে মেজাজ ঠিক রাখাটাই দায়।
সহিহ বাত। অবশ্যই মেজাজ খারাপ হবে। আমার মা বাপকে নিয়ে কেউ ফালতু কথা বললে ঘুষায়ে দাঁত ফেলে দিতে ইচ্ছে করে। আমার দেশকে নিয়ে কেউ উল্টাপাল্টা কথা বললে আমি মুখ দিয়ে মেশিন গান ছোটাই। ক্রিকেটারদের অপমান করাটাই যা আমরা মেনে নিতে পারিনা সেখানে আল্লাহ এবং নবীর (সঃ) স্থানতো আরও অনেক অনেক উপরে। অবশ্যই রাগ করা উচিৎ। আমরাতো রোবট না - আমাদের ইমোশন আছে। তবে সেই আল্লাহ এবং নবীই (সঃ) শিক্ষা দিয়েছেন রাগকে কন্ট্রোল করতে। ঠিক যেমনটা সুন্দরী মেয়ে দেখে আমার মনে প্রেম জাগে, কিন্তু তার মানে এই না যে আমি গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে ফেলবো। নিজের মনকে কন্ট্রোল করাটাই ইসলাম। নাহলেতো আমার আর জংলি জানোয়ারের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকেনা।
অনেকেই আমাকে কিছু নাম দিয়ে বলছেন "এর সাথে তাহলে এমনটা হয়েছে কেন?"
তাঁদের আলাদা আলাদা করে বারবার একই প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে আজকের দিনটাই শেষ হয়ে গেল। এরচেয়ে ভাল একটা আস্ত পোস্ট দিয়ে দেই। কারও উত্তরের প্রয়োজন হলে সরাসরি আস্ত পোস্ট কপি পেস্ট করে দিবেন। যদি তাঁদের সামর্থ্য থাকে, তাহলে আমার উল্লেখ করা ঘটনাগুলো মিথ্যা প্রমান করে দেখাক। ঘটনাগুলো ডক্টর ইয়াসির ক্বাদী এবং ওস্তাদ নোমান আলী খানের মুখ থেকে শোনা। এই মুহূর্তে বিশ্বখ্যাত দুই ইসলামিক স্কলার।
তাহলে শুরু করি? বিসমিল্লাহ।
এক নম্বর নাম: কাব বিন আশরাফ। লোকটাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছিল। বিজ্ঞ জনের অভিমত এই কবি (তখনকার যুগের ব্লগার) ইসলাম, নবীজি (সঃ) ও মুসলিমদের বিশেষ করে মুসলিম নারীদের জড়িয়ে অশ্লীল থেকে অশ্লীলতম কবিতা (ব্লগ) রচনা করতো। একারনেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এই কাব বিন আশরাফ নিয়ে কথা তোলার আগে আমাকে বলুন সে কে ছিল? মানে তার গোত্র কী? বনু নাদির। জ্বী, এই সেই খন্দকের যুদ্ধের বিশ্বাস ঘাতক (আধুনিক টার্ম হবে "রাজাকার," মদিনাবাসী হয়েও মদিনা সনদ ভঙ্গ করে হানাদার কুরাইশদের সাহায্য করেছে যুদ্ধে - যদি সফল হতো মুসলিমরা এক ঝটকাতেই সব নিঃশেষ হয়ে যেত) বনু নাদির গোত্র। কাবকে শুধু একাই নয়, ওদের আস্ত গোত্রের যুদ্ধ করতে সমর্থ্য সব পুরুষদের মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছিল। আমাদের রাজাকার, আল বদর, আল শামসকেও সময় মতন এইভাবেই ঝুলিয়ে দিলে আজকে দেশটা অনেক সুন্দর হতো। নবীজির (সঃ) জীবনী থেকে আমরা কোন শিক্ষাই নিতে পারিনা, আফসোস।
যাই হোক, তা এই কাব বিন আশরাফ অশ্লীল, উস্কানিমূলক কবিতা লিখতো ঠিকই, কিন্তু স্রেফ কবিতা ছাড়াও এই একই লোক নবীজির (সঃ) খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছিল। বদর যুদ্ধের পর আবু সুফিয়ানের (রাঃ) বাড়িতে গিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিল তাঁকে হত্যার ব্যপারে। এখন আপনিই বলেন, যেকোন রাষ্ট্রে, যদি কেউ তার প্রধাণমন্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করে, attempt নিতে গিয়ে ধরা পড়ে - তবে তার শাস্তি কী হওয়া উচিৎ?
ঐতিহাসিক উদাহরণ আমাদের দেশেই আছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা চলছে জেনেও চুপ করে ছিলেন, হত্যাকারীরা এর আগেও অভ্যুন্থান ঘটাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল এবং তিনি তাদের মাফও করে দিয়েছিলেন, বলেছিলেন "বাংলার মানুষ আমাকে মারবে না।"
- ফলাফল "অগাস্ট ট্রাজেডি।"
রাষ্ট্র পরিচালনার কিছু রুলস আছে। কখনও কখনও শাসককে কঠোর হতেই হয়, নাহলে কিছুই লাইনে থাকেনা।
এখন আসি আরেকটা নামে।
এই লোকটার নাম অনেকেই জানেনা, কিন্তু ঘটনা ঠিকই জানেন। চলুন আগে ঘটনা জেনে নেই।
মক্কা বিজয়ের দিন ছয় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামির (দুইজন বাদে যাদের সবাইকেই ক্ষমা করে দেয়া হয়) একজন কাবার গিলাফ জড়িয়ে ধরে মুসলমানদের কাছে ক্ষমা চাইছিল। সাহাবীরা এই নাটকীয় ঘটনায় দ্বিধান্বিত হয়ে পড়েন। তাঁরা নবীজির (সঃ) কাছে যান, ঘটনা খুলে বলেন, এবং নবীজি (সঃ) তারপরেও মৃত্যুদন্ড ক্ষমা করেন না।
লোকটা কী করেছিল? সে অশ্লীল কবিতা লিখতো (ব্লগিং) এবং সে দুইজন দাসী নিয়োগ করেছিল যারা ইসলাম, নবীজি (সঃ) ও তাঁদের সাহাবীদের নিয়ে অশ্লীল কবিতা লিখতো।
ব্যস, এই পর্যন্তই সবাই পড়েন। আর বেশি পড়তে চান না। আরেকটু পেছনে যাবার ধৈর্য্য কই?
যাই হোক, যাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তার নাম আবদাল্লাহ ইবন খাতাল (কোথাও কোথাও বলা হয়েছে আবদাল্লাহ ইবনে আখতাল, যেই নামেই ডাকা হোক সে একই ব্যক্তি)। কবিতা রচনার আগে এই লোকটা প্রথমে মক্কা থেকে মদিনায় গিয়ে হিজরত করে মুসলিম হয়েছিল। নবীজি (সঃ) তাকে এবং আরেকজন সাহাবীকে একটি সফরে পাঠান। এই বিশ্বাসঘাতক সেই সাহাবীকে হত্যা করে তাঁর মালপত্র লুট করে মক্কা পালিয়ে এসে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালায়। তারপর দুইটা দাসী কিনে ওদের দিয়ে মুসলিমদের ব্যঙ্গ করে কবিতা লেখায়। মাথায় রাখুন, সেই লোকটা কবিতা লিখার চেয়েও বড় অপরাধ করেছিল, সাহাবী হত্যা। একটা মানুষ হত্যা সহজ অপরাধ না। কুরআন বলে, "যে একজন নিরপরাধ মানুষ হত্যা করলো, সে যেন সমস্ত মানব জাতিকে হত্যা করলো।"
এবং লিস্টের তৃতীয় নাম তার দুই দাসীর (ফারতানা এবং সারা), যাদেরকেও মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। তবে কেবল একজনের বিরুদ্ধে সেটা কার্যকর করা হয় (ফারতানা)। দ্বিতীয়জনকে (সারা) ছেড়ে দেয়া হলো কেন? কেন? সে শুধু বলল "Sorry."
তারমানে প্রথমজনও যদি দুঃখিত হতো তাকেও মাফ করা হতো।
তারমানে আবদাল্লাহকেও মাফ করা হতো যদি না সে মানব হত্যার মতন জঘন্য পাপে পাপী হতো।
লজিক মিলছে? বাকি সত্য আল্লাহ জানেন। ভুল হলে তিনি মাফ করুন। আর সত্য হলে তিনি সবাইকে জ্ঞানী করুন। জোরে বলেন আমীন!
শেষ করি, কা'ব বিন আশরাফ থেকে শুরু করে দাসী ফারতানা পর্যন্ত উদাহরণগুলো যারা বারবার ব্যবহার করছেন, তাঁদের জ্ঞাতার্থে হযরত আয়েশার (রাঃ) একটি সহিহ হাদিস বয়ান করে, নবীজির (সঃ) জীবন সঙ্গিনী এবং সবচেয়ে বেশি হাদিস বয়ানকারী মা আয়েশা (রাঃ) বলেছেন, "নবীজি (সঃ) জীবনেও নিজের ব্যক্তিগত প্রতিশোধ নিতে কাউকে শাস্তি দেননি।"
শুনেছেন? আবার শোনেন, তিনি, কখনও, নিজের ব্যক্তিগত প্রতিশোধ নিতে, কাউকে, শাস্তি দেননি। জীবনেও না।
এমনি এমনি কাউকে রাহমাতাল্লিল আলামিন ডাকা হয়না।
এখন কথাটা মাথায় ভাল মতন ঢুকিয়ে নিয়ে বাড়িতে গিয়ে ঘুমান। কোন অশ্লীল ব্লগারের মাথা কাঁটার আগে ভাল করে নবীজির(সঃ) জীবনী, সাহাবীদের জীবনী, এবং অবশ্যই অবশ্যই আল কুরআনের বাণীগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ুন।
তারপরে আপনার যদি কাউকে (যেকোন আল্লাহর বান্দা, হিন্দু হোক, মুসলিম হোক কিংবা নাস্তিক) গালি দিয়ে মনে মনে অনুতাপ না হয়, ভয় না হয় যে "আমি গালিটা না দিয়ে আরেকটু ভালভাবে বুঝালেও পারতাম, গালির জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে" তাহলেও বুঝবেন আপনার ঈমান পোক্ত হয়নি।
খাঁটি মুসলিম গলা চড়িয়েও কথা বলেনা। এটাই ইসলামের শিক্ষা।
(আগের পোস্টের লিংক:
http://www.somewhereinblog.net/blog/manzur_mc/30059869)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৪:৩৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: গত কয়েক বছর ধরে দেখেছি সরকার কোন বড় ইস্যু কে ধামাচাপা দিতে আরেকটি নতুন ইস্যু দাড় করিয়ে দেয় মানুষের সামনে। মনে আছে ৮০০ কোটি টাকা চুরির কথা? তনু,সামাদ হত্যাকান্ড।। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কারা ব্যাংকিং চ্যানেলে এসব অর্থ গুম করে?? জল অনেক ঘোলা হবে বলে!!

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:২০

মোঃ আমানউল্লাহ বলেছেন: এক সাহাবির স্ত্রী রাসূল (সাঃ) কে গালি দেবার কারনে ঐ সাহাবি তাঁর স্ত্রীকে কোদাল দিয়ে দুই খন্ড করে রাসূলের (সাঃ) এর সাথে দেখা করেন। আর সেখানে গালি দেয়া তো সামান্য ব্যাপার।

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার বিরাট ভাবনা, হয়তো আপনি নিজেও বুঝেন না

৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:২৪

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: যুক্তিবাদী লেখা ! চিন্তার খোরাক !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.