নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
আমার কলেজ সিলেটের এম.সি কলেজ। ইতিহাসখ্যাত এই কলেজটি জোট সরকারের আমলে ছিল সিলেট ইসলামী ছাত্র শিবিরের ঘাটি। সেখানে ছাত্রলীগের বলতে গেলে কোনই অস্তিত্ব ছিল না, এমনকি ক্ষমতাসীন ছাত্রদলও লেজ গুটিয়ে চলতো।
কলেজে ভর্তির প্রথম দিনই শিবিরের বড় ভাইদের সাথে আমার কথোপকথন হয়েছিল। ওদের দাবি ছিল ওরা ছাড়া দেশে আর কেউই ইসলামের পথে নেই। কাজেই ঈমানি দায়িত্ব পালনের জন্যই ইসলামী ছাত্র শিবিরে যোগ দেয়া প্রতিটা মুসলিম ছাত্রের কর্তব্য।
আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, "শিবির করলে আমার কী লাভ হবে?"
বড় ভাই (অনেক হাই ranked নেতা, অতি অমায়িক, অতি ভদ্রলোক, অতি মিষ্টি কথাবার্তা) খুবই উৎসাহী স্বরে বললেন, "আমরা সময় মতন জামাতে নামাজ পড়ি। নামাজ শেষে হাদিস কুরআন নিয়ে আলোচনা করি। জীবন কিভাবে কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক সাজানো যায়, সেটাই শেখানো শিবিরের কাজ। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে মিছিল মিটিং আমরা কখনই করিনা।"
বাড়িতে মা-বাবার কড়া নিষেধ ছিল কলেজে উঠে কোনরকম রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পর্ক রাখা যাবেনা। বিশেষ করে শিবিরের সাথেতো অবশ্যই না। রগকাটার জন্য বহুদিন ধরেই তারা কুখ্যাত ছিল। যদি আমি পলিটিক্সে জড়াই, তাহলে আমাকে বিছানা পত্তর সহ লাথি দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়া হবে। কলেজ পড়াশোনার জায়গা, "আমার ভাই-তোমার ভাই" বলে নেতাদের পা চাটার জায়গা না।
আমি এবং আমার বন্ধুরা স্বযত্নেই সর্বপ্রকার ছাত্ররাজনীতি এড়িয়ে পড়াশোনা শেষ করে বেরিয়ে আসতে পেরেছি। আলহামদুলিল্লাহ!
যাই হোক, আজকে পত্রিকায় পড়লাম যুদ্ধাপরাধী সাবেক আমিরের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমে। এছাড়াও নাকি সারা দেশব্যাপী গায়েবানা নামাজে জানাজার ব্যবস্থা করেছে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্র শিবির।
আমার সেই অমায়িক, সজ্জন, ভদ্র (সিরিয়াস ভদ্র, আমি জীবনেও ওকে বা তাঁর সঙ্গীদের কোন মেয়ের দিকে চোখ তুলেও তাকাতে দেখিনি, ইভটিজিংতো বহুদূর) বড় ভাইটার কথা মনে পরে গেল। তিনি বলেছিলেন, "কুরআন সুন্নাহর আলোকে জীবন গঠনই শিবিরের কাজ।"
তা কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক "গায়েবানা" জানাজার নামাজ সম্পর্কে আমরা কী জানতে পারি জানেন?
নবীজি (সঃ) জীবনে একবারই গায়েবানা জানাজার নামাজ পড়েছিলেন, আবিসিনিয়ার মুসলিম সম্রাট আসহুমার মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর। কারন তাঁর দেশে তিনিই একমাত্র মুসলিম ছিলেন। তাঁর এলাকায় কেউই ছিল না নামাজে জানাজা পরার।
এছাড়া নবীজি (সঃ) জীবনেও আর কারও উদ্দেশ্যে গায়েবানা জানাজার নামাজ পরেননি।
তার মানে হচ্ছে, যদি কারো জানাজার নামাজ কেউ পরে ফেলে, তাহলে তাঁর জন্য গায়েবানা জানাজার নামাজের দরকার নেই। পড়লে সেটা বিদআত, সহজ ভাষায় নবীর (সঃ) উপর মাতবরি ফলানো।
কথা হচ্ছে, এই সহজ ব্যপারটিই যারা জানেনা, তারা কিনা দেশের একটি বিরাট অংশের মানুষকে "কুরআন সুন্নাহর আলোকে" জীবন যাপনের শিক্ষা দেয়!
আহারে!
কত হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ ছেলেদের ব্রেইনওয়াশ করে ভুল পথে পরিচালিত করছে দলটি!
বাংলাদেশে ধর্মের উপরে আসলেই কোন ব্যবসা নেই।
২| ১৩ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:১৮
চিক্কুর বলেছেন: গায়েবানা পড়ছে,এতেও গা জ্বলে।আর না জেনে এত অপপ্রচার করেন। ধিক আপনাকে।
১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:২৬
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক আছে ভাই - ধিক আমাকে। আপনিও একটু জেনে নিন। নিচে এক ভাই চমৎকারভাবে উত্তর দিয়েছেন। জানারতো কোন শেষ নেই।
৩| ১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১:১১
kajolrainু বলেছেন: গায়েবানা নামায জায়েজ কি না?
এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন এবং উত্তর?
________________________
প্রশ্ন : আমাদের সমাজে
একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা
যায় যে, কোনো বড়
ব্যক্তি মারা গেলে তার
গায়েবানা জানাযা
পড়া হয়ে থাকে।
আমাদের এলাকার
কয়েকজন আলেমকে
জিজ্ঞাসা করা হলে
তারা এ পদ্ধতিকে সঠিক
বলেন। তারা বলেন যে,
রাসূলে কারীম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম হাবাশার
বাদশাহ নাজাশীর
গায়েবানা জানাযা
পড়েছিলেন। এখন জানার
বিষয় হল, গায়েবানা
জানাযা নামায বৈধ
কি না? আর নাজাশীর
ঘটনা দ্বারা গায়েবানা
জানাযা প্রমাণিত হয়
কি না? দয়া করে
বিস্তারিত জানাবেন।
উত্তর : জানাযা নামায
আদায়ের জন্য মৃতের লাশ
সামনে উপস্থিত থাকা
জরুরি। অনুপস্থিত লাশের
গায়েবানা জানাযা
নামায সহীহ নয়।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম-
এর জীবদ্দশায় তাঁর অসংখ্য
সাহাবী মদীনার বাইরে
শহীদ হয়েছিলেন। কিন্তু
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়সাল্লাম
থেকে তাদের
গায়েবানা জানাযা
পড়ার প্রমান নেই। অথচ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম
সাহাবাদের জানাযার
ব্যাপারে খুবই আগ্রহী
ছিলেন এবং তিনি
ঘোষণাও দিয়েছিলেন
যে, তোমাদের যে কেউ
মৃত্যুবরণ করলে তোমরা
আমাকে জানাবে। কারণ
আমার জানাযা নামায
তার জন্য রহমত। [সহীহ ইবনে
হিব্বান, হাদীস ৩০৮৩]
আর শুধু নাজাশীর
জানাযা পড়াটা
ব্যাপকভাবে
গায়েবানা জানাযা
জায়েয হওয়াকে প্রমাণ
করে না। এছাড়া
মুসনাদে আহমদ ও সহীহ
ইবনে হিব্বানে
নাজাশীর জানাযা
সম্পর্কিত একটি হাদীস
দ্বারা বোঝা যায় যে,
নাজাশীর লাশ
কুদরতিভাবে রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর সামনেই
উপস্থিত ছিল। ইমরান
ইবনে হুসাইন রা. থেকে
বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বললেন,
তোমাদের ভাই
নাজাশী ইন্তেকাল
করেছে। সুতরাং তোমরা
তার জানাযা আদায়
করো। ইমরান রা. বলেন,
অতপর রাসূলে কারীম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম দাঁড়ালেন।
আর আমরা তাঁর পেছনে
সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ালাম।
অতপর তিনি তার
জানাযা পড়ালেন।
আমাদের মনে হচ্ছিল যে,
নাজাশীর লাশ তাঁর
সামনেই রাখা ছিল।
[মুসনাদে আহমদ, হাদীস
২০০০৫;সহীহ ইবনে
হিব্বান, হাদীস ৩০৯৮]
এছাড়া অনেক
মুহাদ্দিসগণ নাজাশীর
জানাযা সংক্রান্ত
হাদীসের ব্যাখ্যায়
বলেছেন, এ ঘটনাটি
বিশেষ এক প্রয়োজনের
কারণে সংঘটিত
হয়েছিল। তা হল,
নাজাশীর মৃত্যু হয়েছিল
এমন এক ভূখণ্ডে যেখানে
তার জানা পড়ার মতো
কোনো (মুসলিম) ব্যক্তি
ছিল না। তাই আল্লাহর
রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম
সাধারণ নিয়মের বাইরে
তার জানাযা
পড়িয়েছেন। আল্লামা
যায়লায়ী রাহ.,
আল্লামা ইবনে
তাইমিয়াহ, আল্লামা
ইবনুল কাইয়্যিম ও
আল্লামা আনোয়ার শাহ
কাশ্মীরী রাহ. এ মতকে
প্রাধান্য দিয়েছেন।
[দেখুন : নাসবুর রায়া
২/২৮৩; যাদুল মাআদ ১/৫০২;
ফয়যুল বারী ২/৪৭০]
উলামায়ে কেরাম এ
ঘটনার আরো অন্যান্য
ব্যাখ্যাও প্রদান
করেছেন। যা হোক, এটা
ছিল নববী জীবনের
স্বাভাবিক রীতি
বহির্ভূত মাত্র একটি
ঘটনা। এর উপর ভিত্তি
করে ব্যাপকভাবে
প্রচলিত গায়েবানা
জানাযাকে বৈধ বলার
সুযোগ নেই। কেননা অনুসৃত
সুন্নাহর সাথে এটির
কোনো মিল নেই।
এছাড়া যে লাশের
কোথাও জানাযার
ব্যবস্থা আছে এবং তার
জানাযা হয়েছে বা
হচ্ছে তার গায়েবানা
জানাযা পড়ার একটি
ঘটনাও হাদীসের
কিতাবে পাওয়া যায়
না। তাই এটি অবশ্যই
পরিত্যাজ্য।
[সহীহ বুখারী, হাদীস
৪০৯০; ফাতহুল কাদীর ২/৮০,
৮১; আলমাবসূত, সারাখসী
২/৬৮; বাদায়েউস
সানায়ে ২/৪৮;
মাজমাউল আনহুর ১/২৭২;
ফাতাওয়া হিন্দিয়া
১/১৬৪; রদ্দুল মুহতার ২/২০৯;
ইলাউস সুনান ৮/২৮৩]
গ্রন্থনা ও সম্পদানা :
মাওলানা মিরাজ রহমান
সৌজন্যে : মাসিক আল-
কাউসার
১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:২৬
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ! চমৎকার বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৩৯
যাযাবর রাজা বলেছেন: এটা বাংলাদেশের ধর্মান্ধ আবালদের বোঝাবে কে?