নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
ফেসবুকে এখন হট টপিকের নাম জাকির নায়েক। একদল কথা ছাড়া উনাকে নিষিদ্ধের পক্ষে, যেন উনিই সমস্যার মূল - তিনি বাদ গেলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। জঙ্গিবাদ বন্ধ হয়ে যাবে।
আরেকদল উনাকে নবী রাসূল বানিয়ে ছাড়ছেন। যেন তাঁর চ্যানেল নিষিদ্ধ হলেই বঙ্গভূমি থেকে ইসলাম বিদায় নিবে। মসজিদে মসজিদে উলুধ্বনি বাজে শুরু হবে।
ইনবক্সে অনেকেই মুন্নি সাহার মতন মাইক হাতে আমার মুখের সামনে এনে ধরে বলছেন, "আপনার অনুভূতি কী?"
ভাইরে, আমি ফেসবুকের একটা অসামান্য গ্ৰুপের অতি নগন্য এডমিন। আমার অনুভূতিতে কারোর কিছুই আসে যায় না। তবু যখন জানতেই চাইছেন, কিছু নাহয় বলেই ফেলি।
জাকির নায়েককে আমি চিনি সেই বাংলাদেশে থাকতে, মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম যখন দেখলাম একটা লোক ঠাস ঠাস করে কুরআনের রেফারেন্স দেয়ার সময়ে আয়াত নম্বর মুখস্ত বলে যাচ্ছেন। ব্যাপারটা যে কত কঠিন সেটা যে জানে সে বুঝবে। ধরুন, সূরা ইয়াসিন আমার মুখস্ত, এখন এর কত নম্বর আয়াতে সেই "নগরীর অপর প্রান্ত থেকে ছুটে আসা ব্যক্তিটির" কথা আল্লাহ বলেছেন, সেটা আমার পক্ষে বলা একদমই অসম্ভব ব্যাপার। সেখানে এই লোক শুধু কুরআনই না, গীতা, বাইবেল, হাদিস শরীফ ইত্যাদি এমনভাবে রেফার করছেন যেন তাঁর মস্তিষ্কে পিডিএফ ফাইল ওপেন করা আছে এবং তিনি কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করছেন ও চোখের পলকেই রেজাল্ট বেরুচ্ছে।
"চাচা চৌধুরীর মস্তিষ্ক কমিউটারের চেয়েও প্রখর।"
তাঁর ইসলামিক নলেজ নিয়ে কোন ডাউট নেই মনে, কিন্তু তাঁর আর্গুমেন্টের ধরণটা আমার কোনদিনই পছন্দের ছিলনা।
ব্যস, এই পর্যন্তই। তাঁকে ফেসবুকে পেয়ে বহু আগে লাইক দিয়েছিলাম সত্য, কিন্তু "ফলো" করা হয়নি।
এখন যেহেতু আমি তাঁকে সেভাবে চিনিনা, তাঁর শেষ লেকচার কবে শুনেছিলাম মনেও পড়েনা, কাজেই তাঁকে বিচার করতেও আমি যাবনা। সবকিছুর মতন আমি সেটাও "মালিকি আও মিদদ্বীনের" উপর ছেড়ে দিচ্ছি। তিনিই শ্রেষ্ঠ বিচারক।
আমি নাহয় আমার নিজের পছন্দের স্কলারদের কথা বলি।
সবার উপরে আমি রাখবো Mufti Ismail Menk কে। এই লোকটার কুরআন তেলাওয়াত শুনলে মুগ্ধ হয়ে যাবেন, এই লোকটার লেকচার শুনলে হাসতে হাসতে বিনোদিত হবেন। একই সাথে কোন টপিকে গভীরভাবে ভাবতে বাধ্য হবেন। সত্যি বলছি, জিম্বাবুয়েতে বেড়ে ওঠা এই অতি আধুনিক মনা অসাধারন মানুষটার সাথে দেখা করতে, কিছুক্ষন কথাবার্তা বলতে আমি পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে উড়ে যেতে রাজি আছি। তিনি আমার সুপারস্টার!
দ্বিতীয়তে আমি রাখবো Nouman Ali Khan এবং Yasir Qadhi দুইজনকেই। দুইজনই আমেরিকান স্কলার। তাই আমাদের সাথে মেন্টালিটি ম্যাচ করে। সাথে বলে নেই, ড. ইয়াসির ক্বাদীর লেকচার প্রথদিকে হয়তোবা শুনতে বোরিং শোনাবে - কিন্তু এখন পর্যন্ত তাঁর চেয়ে অথেন্টিক জ্ঞানে জ্ঞানী এবং সত্যান্বেষী স্কলার আমি দ্বিতীয়টি খুঁজে পাই নি। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় (পৃথিবীর সেরা পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি) থেকে পিএইচডি করা এই ভদ্রলোক সত্যবচনে একদমই পিছপা হন না। সেটা যদি কাউকে অস্বস্তিতেও ফেলে, তাও সই। এবং স্কলারলি রেফারেন্স দরকার হলে তিনিই আমার প্রথম পছন্দ। নবীজির (সঃ) জীবনীর উপর দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর ধরে শতাধিক পর্বের তাঁর একটা লেকচার সিরিজ ইউটিউবে আছে - আরবি বাদে অন্য যেকোন ভাষায় এরচেয়ে অথেন্টিকভাবে বিস্তারিত এবং তথ্যবহুল সীরাত সিরিজ আর দ্বিতীয়টি নেই। আমার মতে প্রতিটা মুসলিমের এই সিরিজটা শোনা একান্তই বাধ্যতামূলক হওয়া উচিৎ। তাহলেই বুঝতে পারবেন, কিভাবে সাড়ে চৌদ্দশ বছর আগের ঘটনাগুলো আমাদের জীবনের সাথে মিলে যায় - কিভাবে ধর্মব্যবসায়ী ও জঙ্গিরা ভুলভাবে আমাদের কাছে ইসলামকে তুলে ধরে নিজের কাজ আদায় করে নেয়। বুঝতে পারবেন নিজের ধর্ম - যেটা ঠিকমতন না জানায়, না বুঝায় আপনি নিজের কাছেই অস্বস্তিতে পড়েন, সেটা আসলে কতটা "cool" এবং আপনার উল্টো গর্বে বুক ফুলে উঠবে নিজেকে "মুসলিম" ভেবে।
এই লেকচার সিরিজ একবার শুনে ফেললে আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, ওসামা বিন লাদেন, জাওয়াহিরি, আইসিস সবাই মিলে ককটেল হয়ে আপনাকে গুলে খাইয়ে দিলেও আপনি ঢেকুর তুলে ওদের হজম করে ফেলতে পারবেন। জঙ্গিবাদতো টয়লেটে ফ্লাশ করে দিবেন সেই কবেই।
নোমান আলী খানকে আমার ভাল লাগে কারন তিনি যেকোন বয়সী অডিয়েন্সের সাথে মিশে যেতে পারেন। মজা করতে করতে হঠাৎ করেই বকাঝকা করতে থাকেন। আবারও ফিরে যান মজাক মশকরায় এবং একটি পাঞ্চ দিয়ে লেকচার শেষ করেন। আমার পাশের শহরেই থাকেন তিনি, যদিও পুরো পৃথিবী চষে বেড়ান। "মক্কার লোকের হজ্জ্ব হয়না" তত্ব প্রমান করতেই তাঁকে ডালাসেই খুঁজে পাওয়া যায়না। ভদ্রলোকের সাথে আমার তিনবার দেখা হয়েছে - খুবই ডাউন টু আর্থ একজন মানুষ, খুবই ভদ্র এবং বিনয়ী। আমাদের গ্ৰুপ সত্যান্বেষী নিয়েও কথা বলেছিলাম তাঁর সাথে। তিনি বলেছিলেন কোন "কঠিন" প্রশ্ন থাকলে তাঁকে ইমেইল পাঠাতে, তিনি উত্তর দিবেন। তবে সাথে এও বললেন, প্রতিদিন তিনি হাজারখানেক ইমেইল পান, সবগুলির উত্তর দেয়া তাই সম্ভব হয়না।
বহুবার ইচ্ছা ছিল তাঁর স্কুলে ছাত্র হয়ে তাঁকে সরাসরি শিক্ষক হিসেবে পেতে। ব্যাটে বলে টাইমিংটাই হচ্ছেনা শুধু।
এই তিনজনের লেকচার শুনুন, নিজেকে ভিন্নভাবে আবিষ্কার করবেন। গ্যারান্টি দিচ্ছি। নাহলে আমাকে গালাগালি করার জন্য ইনবক্সতো আছেই।
যাই হোক, এখন আসি মূল কথায়। "পিস টিভি" নিষিদ্ধ হলেই জঙ্গিবাদ বন্ধ হয়ে যাবে - কথাটি যারা বিশ্বাস করে আছেন, তাঁদের জ্ঞাতার্থে বলছি - বঙ্গদেশে যখন রাজাকাররা মানুষ জবাই করতো - তখন কিন্তু পিস টিভি ছিল না। বাংলাদেশে শিবির যখন রগ কাটতো, তখনও পিস টিভি ছিল না। ইন্টারনেটের যুগে আপনি একটি টিভি চ্যানেল বন্ধ করলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবেনা। কেউ চাইলে আরামসে গুগল/ইউটিউব করে জাকির নায়েককে ফলো করতে পারবে।
মূল সমস্যা অন্য জায়গায়। শিক্ষায়, তারচেয়েও বেশি চিন্তায়, চেতনায়, মানসিকতায়। মানুষকে "মানুষ" হিসেবে গণ্য না করায়।
আমার মতে, "সিলেবাসেই" গন্ডগোল আছে। সেই সাথে আছে আশেপাশের পরিবেশে। তুমি যদি ছোটবেলা থেকেই এইটা শিখে বড় হও যে এক তুমি এবং তোমার ভাই ব্রাদার ছাড়া বাকি সবাই "খারাপ" এবং তোমার মা বাবা ও শিক্ষক এই তত্বে সাক্ষ্য প্রদান করেন, তাহলে তুমিতো মানুষ খুন করবেই। খারাপ মানুষ খুন করলে পাপ হয়না - এইটাতো সিনেমা থেকে শুরু করে ভিডিও গেমস সব জায়গাতেই দেখায়।
দেশের স্কুল কলেজ মাদ্রাসা থেকে তৃণমূল পর্যায়ে মানবিকতা বদলানো ফরজ হয়ে গেছে। শুরুতে কঠিন হবে, কিন্তু লেগে থাকলে একদিন ফল আসবেই। স্কুলের প্রতিটি ক্লাসে প্রতিদিন একটি করে পিরিয়ডে চরিত্র গঠনের উপর একটি ক্লাস রাখা বাধ্যতামূলক করতেই হবে। ক্লাস ওয়ান থেকে একদম ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত - সবক্লাসে এক শিক্ষা। জিপিএ ফাইভ থেকে সরে এসে সন্তান মানুষ করাটাকেই হাইয়েস্ট প্রায়োরিটি দিতে হবে। জঙ্গি সন্তানের জিপিএ ফাইভ দিয়ে আমি কী করবো?
সেই সাথে গ্রামেগঞ্জে মফস্বলে এবং শহরে এক্সপ্লিসিটলি মানবতা শিক্ষা। রেডিও টেলিভিশনেও তাই। বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে, বানাতে হবে নাটক, শর্টফিল্মস। একটি দুষ্টু ভিলেনকে খুন করে নায়ক হওয়ার চেয়ে একটি অসহায় মানুষকে সাহায্য করে নায়ক হওয়া - এই থিমের উপর বেজ করে কাহিনী লেখা কতটা কঠিন?
গ্রামীণ শিক্ষা কর্মসূচির একটা উদাহরণ দেই। একটু অশ্লীল, কিন্তু আপাতত এইটা ছাড়া কিছু মাথায় আসছে না।
দেশে তখন জনসংখ্যা বিস্ফোরণ ঘটছে। প্রতি মিনিটে জন্ম নিচ্ছে একাধিক শিশু। বিটিভিতে প্রতিদিন বিজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে, "দেশের জনসংখ্যা বর্তমানে এই - আগামী এত বছরে এর দ্বিগুন হবে" - বিজ্ঞাপন প্রচার শেষ হতে হতে জনসংখ্যা আরও বেড়ে যাচ্ছে। ভয়াবহ অবস্থা।
গ্রামের দিকে মাঠকর্মীরা সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনার করে বেড়াচ্ছেন। জন্মনিয়ন্ত্রনের বিভিন্ন পদ্ধতি শিক্ষা দিচ্ছেন।
সমস্যা হচ্ছে, আমাদের দেশ বরাবরই ছিল কনজার্ভেটিভ। কাজেই সরাসরি রাবার ইউজের কথা বলতে মাঠকর্মীরা অস্বস্তিতে পড়তেন। কাজেই প্যাকেট হাতে নিয়ে বলতেন, "এইটা সাথে রাখবেন, তাহলে নতুন শিশু জন্মাবে না।"
নয়মাস পরেও দেখা গেল যেই লাউ সেই কদু। জনসংখ্যাতো কমেনা।
"আপনাদের বলেছিলাম এটা সাথে রাখতে, তাহলেতো বাচ্চা হবার কথা না।"
গ্রামের লোক আরও অবাক হয়ে বললেন, "ঐটা সাথেইতো রাখছিলাম - কামতো হইলো না।"
পরে জানা গেল, চিত্তবিনোদনের অভাব মেটানোর সময়ে ওরা সেই সরকারি মাঠকর্মীর মতন প্যাকেটটা হাতে নিয়েই কাজ করতো। জনসংখ্যা কমবে কেমনে?
মাঠকর্মী বুঝলেন, আরেকটু এক্সপ্লিসিট হতে হবে।
তিনি একটা বাঁশ আনলেন। তারপর ডেমো দেখিয়ে বললেন, "এইবার বুঝেছেন?"
গ্রামবাসি উৎসাহের সাথে বললেন, "আগে কইবেন না? তাইলেতো এই ঝামেলা হইতো না।"
নয়মাস পর আবারও কোল জুড়ে শিশু আসলো। এইবার ঘটনা কী? দেখা গেল এইবার চিত্তবিনোদনের সময়ে হাতে না রেখে বিছানার পাশে বাঁশ রেখে মাঠকর্মীর মতন সেটার আগায় ডেমো দিয়ে কাজ করেছেন।
আমাদের সেই মাঠকর্মীর মতন হলে চলবে না।
এক্সপ্লিসিটলি কথা বলতে হবে, পরিস্থিতির ভয়াবহতা ফুটিয়ে তুলতে হবে। যেহেতু ওরা ইসলামিক স্কলারদের কথার গুরুত্ব দেয়, কাজেই স্কলার দিয়েই বারবার ওদের বুঝাতে হবে। নোমান আলী খান, ইয়াসির ক্বাদী, মুফতি মেংকদের বাংলাদেশে নিতে হবে। দেশের স্কলারদের প্রয়োজনে ওদের হাতেই ট্রেনিং নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ে, বিশেষ করে মায়েদের শিক্ষিত করতে হবে। শিক্ষিত মা মানেই শিক্ষিত সন্তান। এবং অবশ্যই অবশ্যই জাজমেন্টাল মেন্টালিটি বর্জন করতে হবে।
"তুই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়িস, মানেই তুই জঙ্গিবাদের সাপোর্টার।" - আপনার ছোড়া এই উক্তি প্রতি একশটার মধ্যে একটাকেও যদি জঙ্গি বানিয়ে দেয় - তাহলেই কুকর্মটা ঘটে যাবে, সেটা আশা করি বুঝতেই পারছেন। অধিকাংশ জঙ্গিবাদ পার্সোনাল গ্রাজ থেকে হয়ে থাকে। এরা দোষ চাপায় আমেরিকার উপর, ইজরায়েলের উপর, নাস্তিক ব্লগারদের, বিধর্মী প্রতিবেশীর উপর ইত্যাদি। ভারতে গরু জবাই নিষিদ্ধ করেছে, কাজেই বাংলাদেশের হিন্দুদের মন্দির যারা জ্বালিয়ে দেয় - এদের থেকে সাউন্ড মাইন্ড আশাও করবেন না। কাজেই আপনি নিজে যদি সাউন্ড মাইন্ডের হয়ে থাকেন, আসলেই মুক্তচিন্তা ও বুদ্ধির মানুষ হয়ে থাকেন, তবে এই জেনারেলাইজ করা বন্ধ করুন।
এবং একই সাথে, কেউ কোন নাস্তিকের কোন তত্বের প্রশংসা, এবং ইসলামিক স্কলারের সমালোচনা করলেই "সে নাস্তিক/ইসলাম বিদ্বেষী" ইত্যাদি ট্যাগ মারা শুরু করবেন না। আপনি যদি ওর কল্লা নাও ফেলেন, কোন এক জঙ্গি হয়তো তাঁর নাম নিজের হিট লিস্টে তুলে ফেলবে। জঙ্গিদের বিস্তারিত পড়াশোনার অভ্যাস নাই এইটা প্রমাণিত সত্য। যদি থাকতো, তবে তারা জঙ্গি হতো না। এইটাই ফ্যাক্ট।
আপনার যদি কোন বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকে, তাহলে আল্লাহর ওয়াস্তে মুখ থেকে গু গোবর বের করবেন না। ব্যাপারটা খুবই বিরক্তিকর। ইন্টারনেটের যুগ ভাই, কোন বিষয়ে নিশ্চিত না হলে হাজার হাজার অথেন্টিক সোর্স পাওয়া যায়। How hard is it?
আশা করি জাকির নায়েক ইস্যু এখানেই সমাপ্ত হবে। তালগাছটা তোদের ভাই। সেটা নিয়া তোরা যা ইচ্ছা তাই কর, কোন সমস্যা নাই।
২| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:১১
মুচি বলেছেন: লেখা সুন্দর লাগলো।
দেশটা উচ্ছন্নে যাচ্ছে, সেই সাথে আমাদের নৈতিকতা।
একটি বাগানের একটা গাছে পোকা ধরেছে, পোকার উৎস না খুঁজে.... তাই বাগানের মালিককে ধরে জেলে পুরে দেই। এ-ই বর্তমান বাঙালি তত্ত্ব।
নিরাপদে থাকবেন, ভালো থাকবেন।
৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:২০
সংগ্রাম দেব বলেছেন: জাকির নায়েককে আমি সব সময়ই একজন ব্যবসায়ীর সাথে তুলনা করি, ধর্ম ব্যবসায়ী ! পিস টিভি বন্ধে এই ধান্ধাবাজের ব্যবসা অনেকটা লাঠে উঠবে, আমি খুশি
৪| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:৩০
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: @সংগ্রাম দেবঃ আপনি ক্যান খুশী আপ্নের নাম দেখেই বুঝা যায়।অসাধারণ এই পোষ্টটি পড়েও কিছু শিখতে পারলেন্না।সম্ভবত পড়েনওনি।
৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:১৮
মূল-উপদল বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট।
আমি মুফতি মেনক কে শুনে যেমন হাসি তেমন কাঁদিও। রেগুলারলি নুমান আলী খানের লেকচার শুনি, তার রিসোর্স গুলো স্টাডি করি, উনার কুরান উইকলি সিরিজ টা চমতকার। ইয়াসির কাদির লেকচারও শুনি মোটামুটি রেগুলারলি, ওনার থেকেই ধারনা পেয়েছি কারা খারিজি আর তারা কি চায়, ইমরান নজর হোসাইনের লেকচার শুনি আর বই পড়ি, বাংলাদেশের ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাংগীর স্যারের প্রায় সব পাব্লিক লেকচার শুনে ফেলেছি, তাঁর বই গুলো রেগুলারলি পড়ি। ওনাকে ফলো করে মাজহাব নিয়ে ক্যাচাল গুলো থেকে নিজেকে সযত্নে দূরে রাখতে পারি। আর কোরানের তরজমা পড়ি প্রায় ৬ টা ট্রান্সেলটরের, কুরান ডট কম থেকে। আরবি শেখার চেষ্টা করছি।
আমি পড়ার টাইমও ঠিকমত পাই না, ওরা জংগী ট্রেনিং নেবার সময় পায় কখন?
৬| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:১৫
সিগনেচার নসিব বলেছেন: উদাহরণ গুলো খুব ভাল ছিল।
সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ
৭| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৩০
কাগজের নাও বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট। কিন্তু আপনার ব্লগে সংগ্রাম দেব নামক তথাকথিত ব্লগারের সস্তা মন্তব্যে তার চারিত্রিক দীনতার পরিস্ফুটন ঘটেছে। সংগ্রাম দেব আশাকরি তার পরিবার থেকে যে বেয়াদবি শিখেছে, তা খুব শীঘ্র পরিবর্তন করে মানুষে পরিণত হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:০৮
মো সাদিকুর রহমান বলেছেন: অসাধারণ একটা পোস্ট।
আপনার যদি কোন বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকে, তাহলে আল্লাহর ওয়াস্তে মুখ থেকে গু গোবর বের করবেন না।
বাহ দারুন বলেছেন।