নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মার্গারিটা মামুন ও কলসিন্দুরের মেয়েরা

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০২

একটা পার্কে বাচ্চাসহ তিন মহিলা বেড়াতে গেছেন। একজন "দেশি" - মানে ভারতীয় উপমহাদেশের তিন দেশের যেকোন একটির। একজন আরব - মানে এরাবিয়ান পেনিনসুয়েলার যেকোন দেশের একটির। এবং অপরজন অ্যামেরিকান।
বাচ্চাগুলোর বয়স কম, চার পাঁচের মধ্যেই। দৌড়াদৌড়ি করতে শিখেছে কেবল - যেকোন কিছুই তাঁদের কাছে অ্যাডভেঞ্চার।
পার্কে বাচ্চাদের জন্য অনেক রকম খেলার সরঞ্জাম আছে। কিন্তু সবই দশ বারো বছরের বাচ্চাদের জন্য। শিশুদের জন্য যা আছে তাতে এই তিনজনের কোন আগ্রহ দেখা যাচ্ছেনা।
প্রথমে আরব বাচ্চাটা বড়দের জন্য বানানো সুইং সেটের সিঁড়ি বেয়ে উঠলো।
তার মা তখন আইসক্রিম খাচ্ছে।
বাচ্চা উপরে উঠে ইচ্ছা করেই এক পা শূন্যে ঝুলিয়ে দিল।
তার মা তখনও আইসক্রিম খাচ্ছে।
এইবার বাচ্চা দশ বারো ফুট উপর থেকেই লাফ দিয়ে মাটিতে পড়লো।
তার মা তখনও আইসক্রিম খাচ্ছে। বাচ্চার দিকে বিন্দুমাত্র পরোয়া নেই।
বাচ্চা নিজে নিজেই উঠে হাত পা ঝাড়াঝাড়ি করে উপলব্ধি করলো নতুন খেলাটা দারুন অ্যাডভেঞ্চারাস। আরও বেশি বেশি করে খেলতে হবে।
এই দেখে অ্যামেরিকান বাচ্চা এগিয়ে এলো। তাঁর মা ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল পড়ছিল। পত্রিকা থেকে চোখ সরিয়ে যুক্তি দিয়ে বোঝালেন কেন তাঁর বয়সী শিশুদের বড়দের খেলনা নিয়ে খেলা উচিৎ না। ছেলে যুক্তি মানলো না। এগিয়ে গেল সিঁড়ির দিকে। মা তাকিয়ে রইলেন। ছেলে উপরে উঠলো। মা তখনও তাকিয়ে রইলেন। অ্যামেরিকান শিশুটি মায়ের দিকে একবার তাকালো এবং তারপর আরব বাচ্চার মতন লাফ দিয়ে নিচে পড়লো।
মা এগিয়ে এলেন। বাচ্চা তখন ব্যথায় কাঁদছে।
মা জিজ্ঞেস করলেন, "Did it hurt?"
শিশু ফোঁপাতে ফোঁপাতে বলল, "yes mamma!"
মা কোমরে হাত দিয়ে বললেন, "Do you wanna talk about it?"
এরপরে ঘটনা নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে মাতা পুত্রে পার্ক ত্যাগ করলেন।
এইসব ঘটনা দেখে দেশি বাচ্চারও সাধ জাগলো একটু খেলাধুলা করার।
প্রথম কদম বাড়াতেই মা বললেন, "আরে রে রে.....আমার সোনা বাচ্চা! ওখানে যায়না। ব্যথা পাবা।"
বাচ্চা শুনলো না। মা বললেন, "ওখানে ভূত আছে। তোমার ঘাড় মটকে দিবে।"
বাচ্চা এর আগেই দেখেছে দুইটা বাচ্চা গিয়েছে, এবং কাউকেই ভূতে কামরায় নি। কাজেই সে আরেক কদম বাড়ালো।
মা বললেন, "খবরদার বলছি! কথা না শুনলে একদম ভালো হবেনা বলে দিলাম!"
বাচ্চা মায়ের হুমকি অমান্য করে আরেক পা বাড়াতেই মা বেঞ্চি ছেড়ে উঠে এসে ছেলের কানে ধরে গালাগালি শুরু করে দিলেন। "বদমাইশের বাচ্চা! একদম বাপের স্বভাব পেয়েছিস! কথা বললে কানে যায় না?" ঠাস ঠাস ঠাস! চড়ের শব্দ।
মোরাল অফ দ্য স্টোরি - এই কারণেই উপমহাদেশের বেশির ভাগ পোলাপান ডক্টর ইঞ্জিনিয়ার বা অ্যাকাউন্টেন্ট হয় - অ্যাডভেঞ্চারাস কোন কিছু তাঁদের দিয়ে হয়না। শিশুকাল থেকেই তাঁদের ওপথে যাওয়া নিষেধ।
আরবরা আবার একটু বেশিই অ্যাডভেঞ্চারাস। ওদের বাচ্চাদের সাথে মিশলে বুঝবেন।
অ্যামেরিকানরা ব্যালেন্সড। সায়েন্টিফিক স্টাডিজের রেজাল্টে যে বয়সের জন্য যেটা দরকার বলেছে - তার বাইরে কিছু করবে না।
কিছুদিন আগে অলিম্পিকে এক আধা বাঙালি মেয়ে রাশিয়ার হয়ে সোনা জিতেছে। পুরো বাংলাদেশকে দেখলাম উৎসব করতে। আমাদের মেয়ে গোল্ড জিতেছে! এই মেয়ের বাবা বাঙালি - এবং বাংলাদেশের সাথে তাঁর সম্পর্ক বলতে ব্যস এটুকুই। বেড়ে উঠা, ট্রেনিং ইত্যাদি সব রাশিয়ায়। তারপরেও ক্রেডিট নেবার কালে আমরা পারলে বাবা আদম (আঃ) থেকে আত্মীয়তা খোঁজা শুরু করি।
সমস্যা নেই। বাঙালি রক্ত শরীরে নিয়ে ভিনভাষাভাষী এক মেয়ে অলিম্পিকে সোনা জিতেছে, আমাদের গর্বতো হবেই।
সমস্যা বাঁধে যখন আমাদেরই প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেড়ে ওঠা একদল সুবিধা বঞ্চিত মেয়ে হয়েও কেবল মাত্র ঈশ্বর প্রদত্ত প্রতিভা এবং দাঁত কামড়ে ধরা জেদের জোরে দেশকে সত্যিকার অর্থেই গর্বে ভাসায় - বয়স ভিত্তিক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ধারাবাহিকভাবে দুর্দান্ত পারফর্ম করে, এবং চোখে তলোয়ার ঢুকিয়ে বুঝিয়ে দেয় সামান্য যত্ন পেলেই এরা বিশ্বশাসন করার ক্ষমতা রাখে - সেই সমস্ত হিরোদেরই কিনা আমরা লোকাল বাসে করে নিতান্তই অবহেলায় বাড়ি ফেরত পাঠাই। এবং একদল জানোয়ার ইভটিজার নানানভাবে টিজও করি। আজকে আবার শুনি এইসব মেয়েদের এলাকার স্কুল থেকে টিসি দেবারও হুমকি দেয়া হয়েছে। স্কুলের শরীর চর্চা শিক্ষক বলেছেন ওদের জুতাপেটা করবেন।
বাহারে বাহ বাঙালি! খুউব মজা! দে তালি!
এই সমস্ত মেয়েরা আমাদেরই মেয়ে। আমাদেরই ভাষায় কথা বলে। আমাদেরই মতন ডাল ভাত খায়। এদের সাথেই কিনা আমাদের এই আচরণ। ভাগ্য ভাল মার্গারিটা মামুন বঙ্গদেশে বেড়ে উঠেনি। নাহলে সেই শৈশবেই মায়ের চড় খেয়ে খেলাধুলার সাধ সিন্দুকে তুলে রেখে অন্যের বাড়ির আদর্শ বৌ হবার জন্য তোড়জোড় করতো।
কলসিন্দুরের আসল হিরোদের সালাম!
আমাদের আগাছার জঙ্গলে কিছু গোলাপ ফুটেছে - যথাযথ কর্তৃপক্ষ যেন ওদের যত্ন নেন - আপাতত এইটাই দাবি।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: তাসলিমা নামের মেয়ের বাবাকে নাকি মারপিট করা হইছে! B:-)

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৬

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক দোয়া আর ভালোবাসা ওদের জন্য।

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কাগজের পাতায় খবরটা দেখেই চোখ ভিজে যায় । যারা গুনীদেরকে কদর দিতে জানেনা তাদের জন্যতো শুধু নিন্দা টুকুই তোলা থাকে । কলসিন্দুরের মেয়েদেরকে ঢাকায় এনে তাদের শিক্ষা ও ফুটবলের উপর উন্নত মানের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থ করা হোক । এদের সঠিকভাবে পরিচর্চা করতে পারলে এরা দেশের জন্য আরো অনেক বেশি সন্মান ও গৌরব বয়ে আনবে ।
ধন্যবাদ এ গুরুত্বপুর্ণ লিখাটির জন্য ।

৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৭

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: কলসিন্দুরের আসল হিরোদের সালাম।

৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৫

প্রামানিক বলেছেন: দুঃখই লাগে বাংলােদেশের মেধাবীদের অবহেলা করায়।

৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৪

ইফতি সৌরভ বলেছেন: ইহার নাম "বাংলাদেশ"।

ধন্যবাদ এ গুরুত্বপুর্ণ লেখাটির জন্য ।

৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৯

মাহফুজ নাজিম বলেছেন: বাংলাদেশে প্রতিভার পরিচর্যা করার সংস্কৃতি এখনও গড়ে ওঠে নি।

৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩৫

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: বাহারে বাহ বাঙালি! খুউব মজা! দে তালি!

৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:০৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: পোষ্টের উদাহরণটা চমৎকার দিয়েছেন। হ্যাঁ - আসলেই ঐভাবেই শুরু হয় আমাদের প্রতিবন্ধী হয়ে বেড়ে উঠার পথ চলা। কিছু করতে গেলে ভয় দেখিয়ে থামিয়ে দেওয়া। যাওবা কিছু সংখ্যক সাহস দেখিয়ে সুস্থ-স্বাভাবিক হতে চায়। তাদেরও প্রতিবন্ধী বানিয়ে দেওয়া হয় ধীরে ধীরে।

আমাদের সিস্টেমটাই এমনই। বাংলাদেশের হয়ে কীর্তিমান কোন কিছু করেছে - এরকম মানুষদের বেশির ভাগই দেখা যায় প্রবাসী। ঐ কারণেই তারা করতে পারে।

এই কারণেই মার্গারিটা মামুন অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন। আর, আমাদের অবস্থা - সাফল্য মানেই কোন একটা হ্যনস্তকর অবস্থায় পড়ার দ্বার খুলে যাওয়া।

১০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২

ছাসা ডোনার বলেছেন: বাফুফে তো অবশ্যই দায়ী। তারা শুধু দু:খ প্রকাশ করেই দায়িত্ব শেষ করে দিয়েছেন।থুতু দেওয়া দরকার বাফুফের সবাইকে। আর শিক্ষক নামের এই কলন্ককে নাকে ক্ষত দিয়ে ঘুরানো উচিত।

১১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আমাদের আগাছার জঙ্গলে কিছু গোলাপ ফুটেছে - যথাযথ কর্তৃপক্ষ যেন ওদের যত্ন নেন - আপাতত এইটাই দাবি।

সহমত জানালাম!

১২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কলসিন্দুরের আসল হিরোদের সালাম!
আমাদের আগাছার জঙ্গলে কিছু গোলাপ ফুটেছে - যথাযথ কর্তৃপক্ষ যেন ওদের যত্ন নেন - আপাতত এইটাই দাবি।

..........আশা করছি ভবিষ্যতে আমাদের এই সোনার মেয়েদের প্রতি আর কোন অবহেলা হবেনা।

১৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৬

বনসাই বলেছেন: কলসিন্দুরের আসল হিরোদের সালাম! আমাদের আগাছার জঙ্গলে কিছু গোলাপ ফুটেছে -মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেন ওদের খোঁজ রাখেন সব সময়।

মাথাভারী বাফুফে কমিটি বাতিল করা হোক।

১৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২০

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ভাগ্য ভাল মার্গারিটা মামুন বঙ্গদেশে বেড়ে উঠেনি। নাহলে সেই শৈশবেই মায়ের চড় খেয়ে খেলাধুলার সাধ সিন্দুকে তুলে রেখে অন্যের বাড়ির আদর্শ বৌ হবার জন্য তোড়জোড় করতো।

১৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:১১

তারেক৭০৭ বলেছেন: Please take care our heroes with all respect. This is the first step for adventure. 2nd. step will be coming soon then we conquer the world in near future. Salute our heroes wholeheartedly.

১৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:১২

তারেক৭০৭ বলেছেন: Special thanks to write for nice topics spread all over.

১৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩

গাওসেল এ. রাসেল বলেছেন: আলগা আবেগ ভাল্লাগে না।
প্রসঙ্গ 01: শরিরীক শিক্ষার শিক্ষক যে কথাটি বলেছেন, তার অনেকটাই অভিমান প্রসূত। এ মেধাবী মেয়েগুলোকে আজকের এই সম্মানের জায়গায় যাওয়ার বিষয়ে তার অবদান হাতে গোনা প্রথম কয়েকজনের একজন। যাইহোক চলেন আমরা পুরো ঘটনাটা জানার চেষ্টা করি।
প্রসঙ্গ 02: আমরা এমনই। এই মেয়েগুলোর জানা প্রয়োজন ছিল অধিকাংশ পুরুষ সমাজ কেমন? এবং তাই হয়েছে। ওদেরকে যদি বাফুফে মাইক্রো-তে করে পাঠাতো, তবে ওরাতো জানতোই না, বাঙ্গালী অধিকাংশ পুরুষ সমাজ কেমন হয়ে থাকে। আর মেয়ে বলে আলাদা প্রটেকশন দিয়ে মাইক্রোবাসে বাড়ী পাঠানো আর নিজস্ব নিরাপত্তার কথা বলে বোরকায় আবৃত করে বাড়ী পাঠানো আমার কাছে সমার্থক। কোনোটাই ভালো নয়। পরিবর্তন হতে হবে আমাদের। নিজেদের প্রয়োজনে গর্জে উঠতে হবে নিজেদেরই। মেয়েরা শিখুক এটা।
সবশেষে অশেষ শুভকামনা সবার জন্য।

১৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭

গিলগামেশের দরবার বলেছেন: ইহাই ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্ট। যাহাই দেখিবেন তাহাই আজিব। "সত্য সেলুকাস" কি বিচিত্র এই দেশ!

১৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৫

লিযেন বলেছেন: কি আর বলবো,সবই চোখ সয়া হয়ে গেছে। X((

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.