নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এমন মুক্তিযোদ্ধাকে কেন জানি আমি সম্মান করতে পারিনা

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:১৪

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নিজের একটা অনুভূতির কথা বলি। নিজের ব্যক্তিগত অনুভূতি - কারোর যদি অপ্রিয় ঠেকে, তাহলে সেটা তাঁর ব্যপার। তবে মূল কথায় যাবার আগে একটা ব্যাকগ্রাউন্ড দিতে চাই।
পঁচিশে মার্চ যখন পাকিস্তান মিলিটারি ঢাকা সহ সারাদেশে হত্যাৎসব শুরু করেছিল - গ্রামের দিকের অনেকের ধারনা ছিল যেহেতু স্বাধীনতার সব আন্দোলন শহর কেন্দ্রিক ছিলম এবং গ্রামের মানুষ ছিলেন নিতান্তই নিরিহ - কাজেই হ্য়তো মিলিটারি গ্রাম আক্রমন করবে না। তাই দলে দলে মানুষ গ্রামে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছিল।
কিন্তু কয়েক দিনের মাথায় জানোয়ারগুলি গ্রামে গিয়েও হাজির হলো। এইবার মানুষের দেশত্যাগ ছাড়া আর কোন উপায় নাই। কিন্তু চোখের পলকে চৌদ্দ পুরুষের ভিটে মাটি ছেড়ে চলে যাওয়া কী এতই সহজ? আদৌ সম্ভব? কারও কারও ক্ষেত্রে অবশ্যই নয়। তাঁরা মাটি কামড়ে পরে রইলেন।
"আল্লায় যদি কপালে মরণ লিখেই রাখেন, তাহলে নিজের বাড়িতেই মরবো।"
কিন্তু কেই বা হাসিমুখে মৃত্যুকে বুকে জড়িয়ে ধরতে চায়? বিশেষ করে নিজের সাথে যদি নিজের পরিবারকেও নিঃশেষ হয়ে যেতে হয়? এখানেই কেউ কেউ স্বার্থপর হয়ে গেলেন। সে কথায় পরে আসছি, তার আগে মুক্তিযোদ্ধাদের কথা বলি।
সম্পূর্ণ খালি হাতে কেবল এক বুক সাহস, ইস্পাত দৃঢ় মনোবল এবং চোখে স্বাধীন দেশের স্বপ্ন নিয়ে অতি নিরিহ সাধারন এক দল মানুষ যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। কী হবে যুদ্ধক্ষেত্রে কোন ধারনা নেই। শুধু জানে অস্ত্র হাতে কিছু জানোয়ার মারতে হবে। ফুলবাগানে প্রচুর আগাছা জন্মেছে - আগাছা সাফ করতে হবে।
যুদ্ধের শুরুর দিকে আমাদের কৌশল ছিল হিট অ্যান্ড রান। ঝটিকা আক্রমন করো, শত্রুর যত পারো ক্ষতি করো, এবং পারলে নিজেকে অক্ষত রেখে পালিয়ে যাও। পরেরবার না হয় আরও বড় ক্ষতি করা যাবে।
এর কারন ছিল কেবল এই যে আমাদের পর্যাপ্ত ট্রেনিং ছিল না, তারচেয়ে বড় কথা - আমাদের লোকবলও তেমন ছিল না। প্রতিটা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তাই একেকটি রত্নস্বরূপ।
এখন সমস্যা বেঁধেছিল অন্যক্ষেত্রে।
পাকিস্তানিরা ঝটিকা আক্রমনে পর্যুদস্ত হয়ে পাল্টা আক্রমন করে দেখে মুক্তির কোন হদিস নেই। এদিকে তাদের স্বজাতি মরে পরে আছে ঝাকে ঝাকে। ক্রোধে উন্মাদ কাপুরুষ থেকে আর কিই বা আশা করা যায়? ধর নিরিহ গ্রামবাসী, মারো তাঁদের। উঠিয়ে আনো মেয়েদের, উপভোগ করো এবং তাঁদেরও মেরে ফেল। শিশুরা? তাঁরা কী কাজে আসবে? সাপের বাচ্চাতো সাপই হবে। মারো তাদেরও। শিশুদের কিভাবে মারা হতো তার একটা বর্ণনা শুনলে আপনি যত কঠিন হৃদয়ের বীর পুরুষই হোন না কেন, কেঁদে উঠবেন। পাখির মতন শুন্যে ছুড়ে দেয়া হতো এবং দূর থেকে জোওয়ান হাসিমুখে টার্গেট প্র্যাকটিস করতো! ভূমিতে লুটিয়ে পড়ার আগে বুক ঝাঁঝরা হয়ে যেত বুলেটে।
কতটা অমানুষ হলে "মানুষ" এই কাজটা করতে পারে! আমি ভাবি, ইবলিসেরও বুক হয়তো এদৃশ্যে কেঁপে উঠেছিল। হ্য়তো জিভ কেটে বলেছিল, "লোকে আমাকে শয়তান ডাকলে এরা কী!"
এখন আসি উপরে লেখা মানুষের স্বার্থপরতা ইস্যুতে।
তা মুক্তিযোদ্ধারাতো ঝটিকা আক্রমন করেই হাওয়া হয়ে যেতেন - এর কনসিকোয়েন্স সামলাতে হতো নিরিহ গ্রামবাসীদের। নিজে মরলে সমস্যা নাই - কিন্তু নিজের পরিবারকে এইভাবে মরতে দেখতে কেই বা পছন্দ করবে? কাজেই যুদ্ধের একদম শুরু থেকে মাঝামাঝি পর্যায় পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধারা কিন্তু খুব একটা জনপ্রিয় ছিলেন না। মানে দেশের মানুষ তাঁদের ভালবাসতেন, কিন্তু অনেকেই চাইতেন না তাঁরা তাঁদের এলাকায় কোন অপারেশন করুক। এর ফল যে হবে নিশ্চিৎ মৃত্যু।
এই অবস্থায় যারা মুক্তিযোদ্ধাদের এক-দুই বেলা ভাত খাইয়েছেন, জানেন যে চারিদিকে পাকিস্তানিদের চরেরা গিজগিজ করছে এবং ধরা পড়লে মৃত্যুর চেয়েও কঠিন শাস্তি হবে, তারপরেও যারা নিজের বাড়িতে তাঁদের আশ্রয় দিয়েছেন, খবরাখবর এদিকে সেদিকে পৌছে দিয়েছেন - তাঁরা কী মুক্তিযোদ্ধা নন? যোদ্ধা কী কেবল সেই যে মাঠে গিয়ে বন্দুক চালিয়েছে? তাঁকে যুদ্ধে যেতে যিনি প্রস্তুত করেছেন, রসদ যুগিয়েছেন লড়বার, তাঁর কী কোনই কৃতিত্ব নেই?
প্রথম আলোর বেসিক আলীর ফ্লপ জোকটা এখানেই মুখ থুবরে পরে।
এই পর্যন্ত সব ঠিক আছে। এখন আসি মূল বক্তব্যে, যা অনেকের দ্বিমতের ইস্যু হতে পারে। আবারও বলি, আমি আমার নিজের অনুভূতির কথা বলছি - আপনাকে মানতেই হবে - তা না।
মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে সেনসিটিভ অংশটা হচ্ছে (আমার মতে; কারও অমত থাকলে তাঁর নিজস্ব ভাবনা) বীরাঙ্গনা এবং তাঁদের প্রতি আমাদের আচরণ। এই কথা দ্বিবালকের চেয়েও সত্য যে আমরা তাঁদের স্বানন্দে গ্রহণ করিনি। হাজার হাজার যুদ্ধশিশুদের আমরা দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছি। এবং স্বাধীন দেশে সমাজে মুখ রক্ষার খাতিরে আমরা আমাদেরই মা বোনদের পরিত্যাগ করেছি। নো সুগার কোটিং অন দ্যাট।
এক মেয়ের ঘটনা পড়ছিলাম যে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শুয়ে অপেক্ষা করতো তাঁর পরিবারের লোকজনদের। কেউ কখনও তাঁকে নিতে আসেনি। আরেক মেয়ে পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার পরে সেই পরিবারই তাঁকে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছিল - কারন সে যে নষ্ট হয়ে গেছে! সবচেয়ে খারাপ লেগেছে সেই মেয়েটির ঘটনা পড়ে যার স্বামী একজন যুদ্ধ ফেরত বিজয়ী বীর এবং বাড়ি ফিরে যখন দেখলো তার স্ত্রী গর্ভবতি তখন সবচেয়ে বড় কাপুরুষের মতন নিজের স্ত্রীকে সে পরিত্যাগ করলো। আমি নিশ্চিৎ, ধর্ষিতা হয়েও মেয়েটি এত কষ্ট পায়নি যতটা না তাঁকে তাঁর মুক্তিযোদ্ধা স্বামী প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছিল।
এমন মুক্তিযোদ্ধাকে কী নিঃশর্ত সম্মান করতে মন চায়? হেল নো! আই ডোন্ট কেয়ার তুই খালি হাতে কয়টা সৈন্য মেরেছিস, যুদ্ধক্ষেত্রে কী ছিল তোর বীরত্ব - তোর যদি অনুভূতি এতই সেন্সিটিভ থাকে, তাহলে তুই যুদ্ধে গিয়েছিলি কেন? তোর মতন একটা না গেলে আমাদের কোন ক্ষতি হতো না, কিন্তু সেই বোনটিকে অন্তত এই কষ্টের মধ্য দিয়ে যেতে হতো না। এমন মুক্তিযোদ্ধাকে কেন জানি আমি সম্মান করতে পারিনা।
এখানেই আসে আরেকটা পয়েন্ট - তাহলে যারা নিজেদের পরিবারকে রক্ষার খাতিরে যুদ্ধে যায়নি, তাঁরা কী কাপুরুষ ছিলেন? আমার চোখে অবশ্যই নন। তাঁরা নিজেদের মা-স্ত্রী-বোনদের আগলে রেখেছিলেন বলেই বীরাঙ্গনা সংখ্যা চার-পাঁচ লাখ হয়নি।
কাজেই কেউ যখন তাচ্ছিল্য করে বলেন, "আপনি সেভেন্টি ওয়ানে কী ইয়েটা ফেলেছিলেন?" - তাঁরা যেন মনে রাখে কারোর অবদানই কোন অংশে কম ছিল না। মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে রান্নাবান্নার কাজ করা লোকটির তো অবশ্যই না। কাউকে ছোট করার চেষ্টা যেন না করা হয়।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:

আপনি ভালোই ইডিয়ট রাজাকারদের পক্ষের লোক। আপনার কোন বর্ণনার সাথে কোন কিছুর মিল নেই।
কিছু ছেলেপেলে সঠিক ট্রেনিং পায়নি, তাই তারা অকারণে ২/৪ টা গুলি করে, গ্রামবাসীদের বিপদে ফেলেছে, সত্য; এগুলো শোধরানোর চেস্টা করা হয়েছে; ২/৪ জন মুক্তিযোদ্ধাও আপনার মতো বেকুব টাইপের ছিলো।

তবে, আপনি সেরা মগজহীন মানুষ

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:১৩

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আপনার মতন একটা কার্টুন চরিত্র আমি জীবনেও দেখিনাই। মানুষের ব্লগে ব্লগে গিয়ে জিভ নেড়ে নেড়ে ঘেউ ঘেউ করেন, কেউ হুশহাশ করার জন্যেও পাত্তা দেয়না, তারপরও ঘেউ ঘেউ করেই যান। ভাল - চালিয়ে যান। আপনাকে দিয়েই হবে।

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি হয়তো জাতে শিবির, ছোটখাট কিছু তুলে, আসল বিষ ছড়াচ্ছেন।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:১১

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: জ্বী ভাই, ঠিকই ধরেছেন। আপনার এত বুদ্ধি ক্যামনে হলো বলেনতো? মগজে নিশ্চই ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি মাখেন?

৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৪৯

বিলুনী বলেছেন: একজন মুত্তিযোদ্ধার কোন কর্মকান্ড তথ্যপ্রমান ও সুত্র সহ উল্লেখ না করে তাকে অসন্মান করা মানে সমস্ত মুক্তিযোদ্ধাকে অসন্মান করার সামিল । একজন খাটি মুক্তিযুদ্ধা মরে গেলেও আর একজন মুক্তি যুদ্বার নামে প্রকাশ্য কোন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচার করেনা যে তাকে অসন্মান করা হবে, কারণ তা নীজেদের গায়েই পরে । এটা প্রকাশ্য সংবাদ মাধ্যম তুল্য মিডিয়ায় দেয়না কেও ঘোষনা । মুক্তিযোদ্ধারা ছিল সেই সময়কার বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী । এখন যে সামরিক বাহিনী আছে সেখানে কি সেই বাহিনীর বর্তমান ও সাবেক কোন সদস্য কোন দিন তাদের কারো স্ত্রী ছাড়াছাড়ীর কাহিনী নিয়ে কিছু সংবাদ মাধ্যমে লিখে? কোন একজন নামকরা মুক্তিযোদ্ধা তো তাঁর স্ত্রীকে ঘরে তুলতে চাননি বলে অনেকেই জানে । বঙ্গবন্ধুর হন্তক্ষেপে তিনি স্ত্রিকে ঘরে তুলেছিলেন । কই এ কারণে কেও তাকে অসন্মান করার কথা তো কোনদিন বলেনি । যাহোক, একজন মুক্তি যোদ্ধা পরিচয়ে যে কাহিনী বয়ান করা হল তার নীচের অংশটুকু সম্পর্কে সঠিক তথ্যসুত্র ও প্রমানাদি আমাদেরকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হল । অকাট্ট প্রমান পেলে ভেবে দেখব সহমত হতে পারি কিনা । আর যেহেতু বিষয়টি মুক্তি যোদ্ধাদের ইমেজ সংক্রান্ত তাই এই পোস্টে লিখা নীচের বোল্ড করা অংশটুকু একটু খুটীয়ে দেখার জন্য সংস্লিস্টদের দৃস্টি আকর্ষন করা হল ।
এক মেয়ের ঘটনা পড়ছিলাম যে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শুয়ে অপেক্ষা করতো তাঁর পরিবারের লোকজনদের। কেউ কখনও তাঁকে নিতে আসেনি। আরেক মেয়ে পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার পরে সেই পরিবারই তাঁকে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছিল - কারন সে যে নষ্ট হয়ে গেছে! সবচেয়ে খারাপ লেগেছে সেই মেয়েটির ঘটনা পড়ে যার স্বামী একজন যুদ্ধ ফেরত বিজয়ী বীর এবং বাড়ি ফিরে যখন দেখলো তার স্ত্রী গর্ভবতি তখন সবচেয়ে বড় কাপুরুষের মতন নিজের স্ত্রীকে সে পরিত্যাগ করলো। আমি নিশ্চিৎ, ধর্ষিতা হয়েও মেয়েটি এত কষ্ট পায়নি যতটা না তাঁকে তাঁর মুক্তিযোদ্ধা স্বামী প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছিল।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:১০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আপনার সহমত না পেলে আমার জীবন অধন্য হয়ে যাবে, প্লিজ ভেবে হলেও আমার সাথে সহমত হবেন, প্লিজ!
লোল।
নিজেকে যে কী মনে করেন আল্লাই জানেন।
"আমি বীরাঙ্গনা বলছি" বইটা পড়েছেন? জীবনেও একটা বীরাঙ্গনার সাথেও কথা বলেছেন? আগে পড়াশোনা করবেন, তারপরে কথা হবে।

৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার শিবিরী টেকনিক ফেল করবে, এখনো মুক্তিযোদ্ধা আছে।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৫৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: হায় হায়! এখন তাহলে আমার কী হবে? আমার সব ষড়যন্ত্র দেখি আপনি ফাঁস করে দিলেন!

৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৬

বিলুনী বলেছেন: অাপনি কোন "আমি বীরাঙ্গনা বলছি" বই এর কথা বলছেন তা পরিস্কার করে বলেন নি , একটি বই এর রেফারেন্স দিলে তার পুরা বিবরণটাই দিতে হয় , সে বই কোন সংস্করণ , কোন সালে প্রকাশিত , কে লিখক , কে প্রকাশক, বই এর কোন পৃষ্টা হতে নেয়া হয়েছে, প্রয়োজনে কোটেশন প্রভৃতি বলাটা পোস্ট লিখকের জন্য অবশ্য কর্তব্য । এরকম করা হলে কোন অভিযোগ থাকলে সেটা সে বই লিখকের প্রতিই হতোধাবিত , আপনার প্রতি নয় । পাঠক বইটি পড়েছে কি পড়ে নাই তা আপনার বলার কথা না, সে বইটি থেকে যদি তথ্য নিয়ে থাকেন তবে কোটেশন ও সুত্র যথাস্থানে যথা নিয়মে দেয়াই নিয়ম , তা করা না হলে তাকে বলে Plagiarism , জানা না থাকলে অর্থটা ডিকশনারী থেকে দেখে নিবেন ।

একজন লিখকের কাছে একজন পাঠক সব সময় সন্মানীত , পাঠক যত তির্যকভাবেই মন্তব্য করুক না কেন । পাঠককে লোল জাতীয় কথা বলে মুল লিখক নীজেকে কোন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন সে জ্ঞানটুকুও যে নেই তা বুঝিয়ে দিলেন ভাল করেই । পাঠকের লিখার জবাব সকল অবস্থাতেই শালীনতার মধ্যে থাকাই কাম্য । পাঠকের বক্তব্যে কিছু বলার থাকলে তা যুক্তি দিয়ে তুলে ধরাই শুভন , তার জানা না জানার দিকে আঙ্গুল তুলে নয় , নীজে যেটা লিখবেন ধরে নিতে হয় সে বিষয়ে পাঠক আপনার মত ততটা ওয়াকিবহাল নয় , কেননা পারটিকুলার বিষয়টিকে তিনি হয়ত ততটা গভীরে গিয়ে দেখেন নাই , তাই আপনার লিখা হতে তার জ্ঞান আহরণের জন্যই করেছেন বিচরণ । তা না হলে তিনি তার মুল্যবান সময় নস্ট করে কেন করবেন তা পাঠ । লিখাটি পাঠে লিখায় উপন্থাপিত তথ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকেই তিনি করেন মন্তব্য । তার মন্তব্য পেয়ে আপনার লিখার বাইরে থেকে দ্বিতীয় চিন্তা হতে ধার করে সে মন্তব্যের জবাব দেয়া কতটা সমীচিন ভেবে দেখবেন দয়া করে । আপনার লিখার এক জায়গায় বলেছেন আপনার লিখায় দ্বিমত কেও হতেই পারেন । লিখার সাথে দ্বিমত হলে লোল জাতীয় কথা বলবেন তা কিন্তু বলেন নি কোথাও । এরকম বচন ব্লগীয় নীতির মধ্যে পরে কিনা তা নিশ্চয়ই জানা আছে অভিজ্ঞ ব্লগার মহোদয়ের ।

যাহোক ড: নীলিমা ইব্রাহিমের " আমি বীরাঙ্গনা বলছি" বইটি সাথে বিসতারিত পর্যালোচনাসহ পড়া হয়েছে অনেক আগেই । তাঁর বইটির বিষয়ে সামুতে বেশ কিছু পোস্টও আছে । বইটির মুল প্রতিপাদ্য বিষয় যুদ্ধ ও দেশ প্রেম , আপনার মত কোন মুক্তি যুদ্ধাকে অসন্মান করে বইটির নামকরণ হয়নি করা । অথচ ;"এমন মুক্তিযোদ্ধাকে কেন জানি আমি সম্মান করতে পারিনা' বলে আপনার লিখার শিরোনাম করেছেন , মুক্তিযোদ্ধার অসন্মানকেই শীরোনাম দিয়েছেন । লক্ষ্যটা যে কি তা পুর্বেই একজন পাঠক পরিস্কার করে দিয়েছেন । এবং তিনি যে বিশেষন আপনার প্রতি প্রয়োগ করেছেন তা এখন যতার্থ বলেই হচ্ছে মনে ।

যাহোক, উত্থাপিত একটি অভিযোগ প্রমানের জন্য একটি গল্পের বই সাক্ষ্য আইনে টিকেনা । আমি বীরাঙ্গনা বলছি বইটি হতে তথ্য নেয়ার পুর্বে বিষয়টি নিয়ে সরজমিন তদন্ত করে তথ্য পরিবেশন ছিল আপনার প্রয়োজন । আপনি অপনার লিখায় যে তথ্য সামুর মত একটি গনমাধ্যমে তুলে ধরেছেন তা প্রমান দেয়ার জন্য সেই মুক্তি যোদ্ধা , যাকে অসন্মান করার জন্য ঈঙ্গীত করছেন তাঁর বিস্তারিত বিররন , নাম ধাম ঠিকানা দিয়ে আপনার লিখার যতার্থতা প্রমান করুন । নাম ঠিকানা পেলে তথ্য গুলিকে আরো ভাল করে জানার জন্য প্রয়োজনে আমরাও গবেশণা করে দেখতে পারি । বিষয়টাকে হালকাভাবে নেয়ার অবকাশ নেই , কারণ এটা জাতির শ্রদ্ধেয় সুর্য সন্তান মুক্তিযুদ্ধাদের একজনকে নিয়ে লিখা। একজন মুক্তি যোদ্ধাদেরকে অসন্মান করার হেতু সম্বলিত লিখা সামুর মত বহুল পঠিত গণ মাধ্যমে প্রকাশ অনেকের কাছেই রেফারেন্স হিসাবে হতে পারে গন্য । ফলে বিষয়টা যে কোন সচেতন পাঠক সিরিয়াসলি নিতেই পারেন ।

আপনার লিখায় উপস্থাপিত প্রশ্নবিদ্ধ লিখার দায় মোচনের দায়ীত্ব আপনারই, সেটা অন্য কারো নয় । এ দায় হতে মুক্ত হতে হলে এ বিষয়ে অকাট্য প্রমান দিতেই হবে । আপনি কি বুঝতে পেরেছেন "আমি বীরাঙ্গনা বলছি" এ বইটিকে আপনার লিখার স্বপক্ষে প্রমান হিসাবে টেনে এনে নীজেকে আরো অনেক বেশী করেছেন সীমাবদ্ধ।

যাহোক, মনে রাখা প্রয়োজন জনগন এখন অনেক সচেতন, এক কথা বার বার বলে উদ্দেশ্য অর্জন এখন একটু কঠীন ই হয়ে যাবে এবং তা হয়ে যাচ্ছেও , জনগণ সত্য মিথ্যার ফারাকটা কেন যেন ধরে ফেলতে পারছে । মুক্তি যোদ্ধারা তাদের গৌরবময় কর্মের জন্য সবসময় শ্রদ্ধার পাত্র, কোন মুক্তিয়োদ্ধাকে শ্রদ্ধার পুর্বে এখন পর্যন্ত কোন শর্ত আরোপ করার দৃস্টতা দেখায় নাই কেহ । আপনার লিখাতেই দেখলাম একজন মুক্তিযোদ্ধাকে শর্ত সাপেক্ষে সন্মান করতে হবে !!! মনে রাখতে হবে এ লিখা যখন লিখছেন তখন বিরাঙ্গনারাও পেয়েছেন স্বীকৃতি মুক্তিযোদ্ধার । তাই মুক্তযোদ্ধা এখন আর কোন ব্যক্তি বিশেষ নয় , মুক্তি যোদ্ধা শব্দটি এখন আমাদের গর্ব , আমাদের অহংকার , মুক্তিযোদ্ধা শব্দটার সাথে মিশে আছে আমাদের আবেগ অনুভুতি, ভাল লাগা আমাদের আবেগের সে জায়গাটিতে সজ্ঞানে আঘাত করা কি কারো উচিত বলে হয় অনুভুত ?


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.