নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৬ই ডিসেম্বরের কোন জাদুকরি ক্ষমতা নেই

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৫৪

আমার কাছে কেউ অন্যের নামে বিচার নিয়ে আসেনা। মজা পায় না। দেখা যায় আমি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তাঁর নিজের দোষই ধরিয়ে দেই।
এটা এক বিশ্রী স্বভাব হয়ে গেছে। কারো সাথে ঝামেলা লাগলে আমি চেষ্টা করি নিজের দিক থেকে যেন আমি কোনরকম ভুল ত্রুটি করে না বসি। অন্যে গালাগালি করে খুন করে চলে যাচ্ছে - কোন সমস্যা নাই - আমি ভদ্র থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করি। অনেক সময়ে নার্ভের উপর কন্ট্রোল থাকেনা, দুর্ব্যবহার করে বসি। কিন্তু সেটাও সহ্য সীমা অতিক্রমের পরেই ঘটে।
তো যা বলছিলাম - আমার স্বভাব হলো নিজের ভুল ত্রুটি নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করা। অন্যের কী দোষ আছে বা নেই, আমার তাতে কিছু যায় আসেনা।
ফলে দেখা যায় আমার সমালোচনার প্রথম টার্গেট হয় বাঙাল মুলুকের জন সাধারন এবং তাঁদের ধর্ম যাকে তাঁরা "ইসলাম" নামে ডাকে, কিন্তু আদৌ সেটা ইসলাম নয়।
উদাহরণ দেয়া যাক।
আল্লাহ বলেছেন, তাঁর এবং নবীর দড়ি ধরে ঝুলে ঝুলে থাকতে, তাহলে ভেসে যাওয়ার সুযোগ থাকবে না।
নবী বলেছেন, "তোমরা সবাই এক উম্মাহ(জাতি)! তোমাদের অবস্থান হবে এক দেহের মতন। একটি অঙ্গ আঘাত পেলে সমস্ত শরীরে যেন ব্যথা অনুভূত হয়।"
আমরা কী করলাম? তাঁর মৃত্যুর দিন থেকেই নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা শুরু করে দিলাম। আমি শিয়া, আমি সুন্নি। এই বিভক্তির ভয়াবহতা বুঝতে হলে একবার মধ্যপ্রাচ্যে চোখ বুলান। ইরাকে চারশ মানুষকে বোমা মেরে এক রাতেই উড়িয়ে দেয়া হলো। কেউ কিচ্ছু বললো না। কারন মরেছেতো সব শিয়া। শিশুর লাশ পরে থাকে বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকতে - কিচ্ছু যায় আসেনা, কারন ওরা রহিঙ্গা!
ইরাক ইরান দ্বন্দতো ঐতিহাসিক ঘটনা। আইসিসের ফাজলামির নিয়মিত বলি হয় শিয়া জনগণ। বাংলাদেশেও শিয়াদের নিয়ে বাতাসে আজগুবি সব গুজব ভাসে। দুয়েকটা এমন, "ওরাতো মক্কার পরিবর্তে কারবালার দিকে ফিরে নামাজে সিজদাহ দেয়।" "শিয়াদেরতো কলিমা এবং কোরআনই ভিন্ন।" "শিয়ারা মুহাম্মদকে (সঃ) শেষ নবী হিসেবে মানে না, ওদের বিশ্বাস আলী হওয়ার কথা শেষ নবী। আল্লাহ ভুল করেছেন।"
কোন বিধর্মীর মুখে এমন কথা শুনলে কিছু যায় আসেনা, কিন্তু গুজবগুলো সুন্নি মুসলিমরাই ছড়িয়েছে। এবং এসব কথা শুনে ইসলামী চেতনায় চেতিত হয়ে তরুণ সুন্নি মুসলমান রাগে টগবগ করতে করতে হুংকার দিবে, "কী! ওরা এসব বিশ্বাস করে? তাহলেতো ওরা মুসলিমই না! নারায়ে তাকবীর! আল্লাহু আকবার!"
রিল্যাক্স!
শিয়া সুন্নি দ্বন্দ শুরু হয়েছিল কেন জানেন? তাহলে সংক্ষেপে বলি, শুনেন।
নবীজি (সঃ) যখন ইন্তেকাল করেন, তখন আহলে বাইত (নবীর পরিবার) হিসেবে হজরত আলী ভেবেছিলেন তিনি খলিফা হবেন। কিন্তু তাঁর বয়স ছিল কম। খুব বেশি ধরলে ৩৩ হবে। এই বয়সে মক্কার আল আমিন মুহাম্মদকে (সঃ) আল্লাহ নব্যুয়াতিই দেননি, হজরত আলী তাহলে কিভাবে খলিফা হবেন? যে যাই বলুক, নেতৃত্বের ক্ষেত্রে বয়স একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বয়স মানুষকে ম্যাচুরিটি দেয়। ষাটোর্দ্ধ আবু বকর (রাঃ) সেই ক্ষেত্রে অনেক সিনিয়র সাহাবী। উমার ও তাই। উসমানও। হজরত আলী তখন খলিফা হয়েছেন যখন তাঁর সময় হয়েছে।
কিন্তু না। মানুষের অভ্যাসই হচ্ছে, নেতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের মধ্যে তাঁর ছায়া খোঁজার চেষ্টা করা। যে কারনে আমরা দেখি রাজতন্ত্রে রাজার মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে - সে দুগ্ধপোষ্য হলেও সিংহাসনে বসে পরে। জাহেলী আরব সমাজও এর ব্যতিক্রম ছিল না। কিন্তু ইসলাম কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় যে উত্তরাধিকার সূত্রে এর ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। কাজেই হজরত আবু বকর নির্বাচিত হলেন।
ইসলামিক লজিকে এটাই সঠিক। নবীর বংশে জন্মালেই কেউ পবিত্র হয়ে গেল - এই লজিকটাইতো ইসলামবিরোধী। নাহলে আমরা সবাই পবিত্র - আমরা সবাই আদমের(আঃ) বংশধর, আমরা সবাই নূহের(আঃ) বংশধর।
এখানে একটি বড় পয়েন্ট হচ্ছে, যদি আলীর(রাঃ) দ্বিমত থাকতো - তবে অবশ্যই তিনি এর প্রতিবাদ করতেন। তাঁর স্বভাব থেকে আমরা সেটাই জানি। কিন্তু আমরা কোন রেকর্ড পাইনা যে তিনি এমনটা করেছেন। বরং তিনি তিন খলিফার অধীনেই মহা গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। আলীর বিচার শুনে খলিফা উমার তাঁর ফতোয়া তুলে নিয়ে আলীর সমর্থন করেছেন - এমন ঘটনাও একাধিকবার ঘটেছে। কাজেই বুঝাই যায় প্রথম তিন খিলাফত যুগে আলীর (রাঃ) অবস্থান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
আবু বকর (রাঃ) খলিফা হবার পরে ফাদাক অঞ্চলের উত্তরাধিকার দাবি করেন নবীজির (সঃ) বিধবা স্ত্রীগণ। এটি ছিল একটি বিস্তীর্ণ সমতল, যা থেকে প্রচুর ফসল ফলত - এবং আধুনিক যুগে এর মূল্য কয়েক মিলিয়ন ডলার হবে।
আবু বকরের(রাঃ) কাছে নবীজির স্ত্রীদের পক্ষে এই দাবি নিয়ে আসেন উসমান (রাঃ) এবং আবু বকর তখন সবার সামনেই মনে করিয়ে দেন নবীজির (সঃ) উক্তি, যে নবীরা উত্তরাধিকারদের জন্য কোন সম্পদ ছেড়ে যান না। ওটা সদগা, গরিব মানুষের জন্য। যা তাঁরা ছেড়ে যান, তা হচ্ছে জ্ঞান।
উল্লেখ্য, সেই আসরে হজরত আলী ছিলেন - এবং তিনি কোন প্রতিবাদ করেননি, মানে তিনিও সেই উক্তি সম্পর্কে সচেতন ছিলেন।
এর পরে হজরত ফাতেমা (রাঃ) দাবি করেন ফাদাক অঞ্চল। কেন করেছিলেন, সেটা তিনিই ভাল জানেন। হতে পারে - তিনি তাঁর পিতার সেই উক্তি শোনেন নি, কিংবা তাঁর কাছে অন্য কোন প্রমান ছিল। কিন্তু আবু বকর (রাঃ) চরম বিনয়ের সাথে বলেছিলেন, "আমি কিভাবে রাসূলের নির্দেশের বিরুদ্ধে যেতে পারি?"
এই উক্তি বুঝতে হলে আবু বকরের (রাঃ) স্বভাব সম্পর্কে ধারণা পেতে হবে।
নবীজি(সঃ) মৃত্যুর আগে উসামা ইব্ন যাইদের (রাঃ) নেতৃত্বে এক দল সেনা পাঠিয়েছিলেন রোম অভিযানে। কিন্তু নবীজির মৃত্যু ঘটায় সেনাবাহিনী মদিনায় ফিরে এসেছিল। আবু বকর খলিফা হবার সাথে সাথে সেই সেনাবাহিনীকে অভিযানে যাবার নির্দেশ দিলেন।
সাহাবীরা উমারকে (রাঃ) পাঠালেন আবু বকরকে (রাঃ) বুঝাতে যে এই মুহূর্তে সেনাবাহিনীকে শহর থেকে বের করে দেয়ার মূল্য অনেক কঠিন হতে পারে। নেতার মৃত্যু সংবাদ শত্রুর কানেও পৌঁছেছে। এখন শত্রুবাহিনী মদিনা আক্রমণ করলে তাদের ঠ্যাকাবার কেউ থাকবে না।
আবু বকর (রাঃ) উমারকে (রাঃ) ভর্ৎসনা করে বললেন, "তুমি আমাকে নবীর নির্দেশের বিরুদ্ধে যেতে বলছো? আল্লাহ সাক্ষ্মী, যদি আমি নিশ্চিৎ জানি যে ওরা শহর ছাড়ার পর একদল হিংস্র শ্বাপদ এসে আমাকে ছিঁড়ে খুবলে খাবে, তারপরেও আমি বলবো "যাও, নবীর শেষ নির্দেশ পালন করতে অভিযানে বেরিয়ে পড়ো।""
উমার (রাঃ) বেচারা মাথা নিচু করে এসে বাকি সাহাবীদের বললেন, "তোমাদের জন্য আজকে আমাকে বকা খেতে হলো।"
তিনি কুরআন পর্যন্ত লিখিতাকারে সংরক্ষনে রাজি হচ্ছিলেন না, কারন যে নির্দেশ নবীজি (সাঃ) দিয়ে যাননি, তিনি সেটা কেমনে দিবেন?
তো - এই ছিল আবু বকর। নবীর পরিবারকে নিজের পরিবারের চেয়েও বেশি ভালবাসতেন। কিন্তু নবীর নির্দেশ অমান্য করে নয়।
শিয়াদের অভিযোগ - আবু বকর (রাঃ) হজরত ফাতিমাকে বঞ্চিত করেছেন। কিন্তু তাঁদের মাথায় এই যুক্তি আসেনা যে প্রথমে তিনি তাঁর নিজের কন্যা আয়েশাকেই (রাঃ) ফিরিয়ে দিয়েছেন। এবং এই সম্পদ তিনি নিজেও ভোগ করেননি। সদগা হিসেবে গরিব মুসলিমদের উপকারে ব্যয় করেছেন।
শিয়ারা বলেন, প্রথম তিন খলিফাই খারাপ। কারন তাঁরা হজরত আলীকে ফাদাক বুঝিয়ে দেন নি।
প্রশ্ন হচ্ছে, আলী (রাঃ) যখন খলিফা হলেন, তখন কেন ফাদাক বুঝে নিলেন না? তার মানে আলী নিজেও জানতেন ওটা তাঁর নয় - ওটা মুসলিম জাতির। লজিক মেলে?
শিয়াদের বিশ্বাস, প্রথম তিন খলিফার সাথে আলীর (রাঃ) শত্রুতা ছিল। আবু বকরের বিধবা স্ত্রীকে আলী বিয়ে করেছেন। মুহাম্মদ ইব্ন আবু বকর বড় হয়েছেন আলীর ঘরে। পরে ইজিপ্টের গভর্নর হয়েছেন আলীর খিলাফতে। উমারের সাথে আলী নিজের কন্যা উম্মে কুলসুমের বিয়ে দিয়েছেন। উসমানকে যখন বিদ্রোহীরা হত্যা করার জন্য ঘেরাও করলো - আলী তাঁর চোখের মনি হাসান-হোসেনকে (রাঃ) সশস্ত্র প্রহরায় নিযুক্ত করলেন। "শত্রুতা" থাকলে এইসব ঘটনা কেন জানি লজিকে মিলে না।
তো, এখন কথা হচ্ছে, চৌদ্দশ বছর আগের এক জমি নিয়ে মারামারি করে এখন কিই বা লাভটা হবে? আবু বকরের বংশধর এবং আলীর বংশধর কেউই কাউকে চেনেনা। মাঝে দিয়ে শিয়া সুন্নি মারামারি করে মরছে।
ক্ষতিটা হচ্ছে কার? ইসলামের। কিভাবে? ঐ যে উপরে যে কয়েকটা গুজবের কথা বললাম, এইরকম হাজারটা গুজব সুন্নি-শিয়ারা একে অপরের বিরুদ্ধে ছড়িয়ে বেড়ায়। মাঝে দিয়ে লাভ হয় ইসলাম বিরোধীদের। রসালো এইসব গুজবে তারা আরও রস চড়ায়। এবং একটা সময়ে লেগে যায় ধুন্ধুমার কান্ড। এ ওকে মারে, ও তাকে। মধ্যপ্রাচ্যের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন। অসহায় পিতা সন্তানের ছিন্নবিচ্ছিন্ন লাশ, যে মরেছে মুসলিমের হাতেই, কোলে নিয়ে চিৎকার করে বলছে, "হে বিশ্ব মুসলিম, তোমরা কোথায়?"
মুসলিমরা তখন শিয়া সুন্নি আইসিস বকো হারাম আস্তিক নাস্তিক নিয়ে ব্যস্ত।
সেদিন শুনলাম ইয়েমেনে পাঁচ লাখ "সদ্য" এতিম শিশু না খেয়ে মরছে। কারা তাঁদের বাবা মাকে মেরেছে? এই মুসলিমরা। কেন? ওরাই ভাল বলতে পারবে।
এইবার চোখের লেন্সটা আরেকটু ঘোরান। ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের দেশটার দিকে তাকান। একই ঘটনা দেখতে পাবেন। ছোট বড় নানান দলে ভাগ হয়ে বসে আছে বিশ্ব মানচিত্রের বুকে অত্যন্ত ক্ষুদ্রাকৃতির দেশটা। "ও বিএনপি করে, আমি আওয়ামীলীগ" "ও মালাউন, আমি মুসলিম" "ও পাহাড়ি, আমি বাঙালি" "ও নোয়াখাইল্যা, ও চাটগাইয়া" "সিলেটি মানুষদের কাছে আমরা ভাই বিয়ে দিতে চাইনা।"
মেজাজ খারাপ করে আমরা সিলেটিরা বলি, তুমি শালী কোথাকার কোন রাজরানী এসে গেছো?
এইসবতো অনেক পুরানো। আমরা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রাইভেট ভার্সিটি নিয়েও মারামারি করি। Can you imagine? ছোটলোকের মতন একজন আরেকজনকে ছোট করার উদ্দেশ্যে বিশাল বিশাল স্ট্যাটাস লিখি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেও আবার নানান দল। ওরা বাংলা মিডিয়াম, আমরা ইংলিশ। ওরা বিজনেস ডিপার্টমেন্ট, আমরা কম্পিউটার সায়েন্স। ওরা আগডুম - তো আমরা বাগডুম। আজকাল ফিল্ম ডিরেক্টর নিয়েও মানুষ দলাদলি শুরু করেছে! অমিতাভ রেজা বনাম সারওয়ার ফারুকী! এদেরকে কী কানে ধরে উঠবোস করাবো, নাকি বেত দিয়ে পেটাবো?
ছোট ছোট নানান দলে ভাগ করে দশ বিশজনের নেতা হয়ে মনে করেন বিরাট সমাজ সেবা করে ফেলেছেন। এই দল ঐ দলকে ছোট করতে গিয়ে নিজেরাই কার্টুন হয়ে বসে থাকে। পাটায় পুতায় পেষাপেষি করে, মাঝখানে মরিচের মতন বাংলাদেশটার হয় দফা রফা।
ষোলোই ডিসেম্বর আর আট দশটা দিনের মতোই সাধারণ একটা দিন। সত্যি বলছি। ঐতিহাসিক একটা গৌরবময় বিজয় এই দিনে ঘটেছিল বটে - কিন্তু তার অর্থ এই না যে এই দিনের কোন ম্যাজিক ক্ষমতা আছে সব সুন্দর করে ফেলার। ম্যাজিক ক্ষমতা আছে আপনার আমার হাতে। আমরা ইচ্ছা করলেই তা প্রয়োগ করে বদলে দিতে পারি বাংলাদেশ। ছোটখাট বিষয় নিয়ে দলাদলি বন্ধ করে এক ছাতার নিচে এসেই দেখুন, দেশটা কোথা থেকে কোথায় পৌঁছে যায়। আমরা এক হলে শক্তিশালী পাকিস্তান মিলিটারি, যাদের পেছনে ব্যাকাপ ছিল চায়না এবং অ্যামেরিকার মতন পরাশক্তি, তারাও নাস্তানাবুদ হয়ে যায় - এখনতো আমাদের কোন যুদ্ধ লড়তে হচ্ছেনা।
শুধু বদলাতে হবে নিজেকে।
নিজেকে বদলানো কী খুব কঠিন কিছু?
ভাবতে থাকুন।
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.