নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যতদিন বাংলা ভাষার সম্মান ঠিক মতন দিতে পারবো না, ততদিন শুধু \'cool act\' করতে শহীদ মিনারে যাব না।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৪

সার্জিলের বাসায় পাঁচ বন্ধু এক হয়েছে। এক্সবক্সে গেম খেলছে। ফিফা ২০১৭। চারটা কন্ট্রোলার থাকায় পালা বদল করে খেলতে হচ্ছে। এই মুহুর্তে যেমন সার্জিলের বসে থাকার পালা। সে বাকি চারজনের খেলা দেখতে দেখতে প্রিয়মকে বলল, “Dude, are you in for tomorrow?”
প্রিয়ম টিভি স্ক্রীন থেকে চোখ না সরিয়ে বলল, “Da.”
তাহসিন কিছু বুঝলো না। সে প্রশ্ন করলো, “What for?”
সার্জিল বলল, “Come on dude! How come "ekushe" slipped out of your mind?”
তাহসিন জিভ কেটে বলল, “O crap! Sorry guys. Totally forgot! Mohona is giving me hard time, and then assignments and projects…. so much stuffs going on you know…”
আয়ান বলল, “So are you in or what?”
তাহসিন এইবার জোর গলায় বলল, “Of course in. And I’m gonna sponsor the flowers to compensate, how about that?”
সার্জিল তুড়ি দিয়ে বলল, “Cool! And after that saeed meenar ceremony, we’re gonna celebrate the lunch in grand style! Panta bhat, and Ilish bhaji!"
আয়ান খিলখিল করে হেসে উঠলো। "Panta bhat, and Ilish bhaji! Are you serious dude?"
সার্জিল বুঝতে পারলো না আয়ান হাসছে কেন। "What’s wrong with that? Aren’t we suppose to eat Panta Ilish on ekushe?"
আয়ান বলল, "No Dumbo! That’s a Baisaak thing."
সার্জিল বলল, "Then what do we eat on ekushe?"
তাহসিন বলল, "I know a few restaurants offering ekushe special dishes. We should give ’em a shot."
তারপর তানজিমের দিকে তাকিয়ে বলল, "Hey Tanzim, you’re sitting quiet out there, is everything alright dude?”
তানজিমও টিভির দিকে তাকিয়ে জবাব দিল, “হ্যা সব ঠিক আছে।”
“So you are in too, right? Counting heads for ride you know. And we have to head out early to beat the traffic.”
"নাহ। আমি বাদ। তোরা যা।"
তানজিমের জবাব শুনে প্রিয়ম ভীষণ অবাক গলায় বলল, “Are you serious? You’re gonna skip the ekushey?”
তানজিম নির্বিকার গলায় বলল, "হু। চিন্তা করছি এইবার আমি তোদের সাথে শহীদ মিনারে যাব না। দরকার হলে একাই যাব, আর নাহলে না।"
সার্জিল গলার স্বর পাল্টে জানতে চাইলো, “anything happened dude?”
তাহসিনও একই প্রশ্ন করলো, “did anyone tell you anything?”
তানজিম এইবার খেলা pause দিয়ে বন্ধুদের দিকে ফিরে বলল, "আমার ধারনা, আমরা ভাষা শহীদদের ঠিক মতন শ্রদ্ধা জানাতে পারছি না। একুশে ফেব্রুয়ারিতে ফুল দিয়েই হাত ধুয়ে ফেলছি। এইটা ঠিক হচ্ছে না।"
প্রিয়ম একটু খোঁচা দিয়ে বলল, “Then what do you suggest Mr. Intellectual?”
বাকিরাও বাঁকা হাসি হাসতে লাগলো।
তানজিম বলল, "সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার, শফিউররা একশো চুয়াল্লিশ ধারা এই কারনে ভঙ্গ করেননি যাতে বাংলাদেশের মানুষ বাংলায় কথা বলাকে "খ্যাত" মনে করে। সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার, শফিউর এই কারনে পুলিশের গুলি বুকে নেননি যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম বছরে শুধু একদিন শহীদ মিনারে গিয়ে 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো' গাইতে গাইতে ফুল দিয়ে দায়িত্ব সারে। সালাম রফিক বরকত জব্বার শফিউর শহীদ হয়েছিলেন বাংলা ভাষার জন্য। যাতে তাঁদের সন্তানরা বাংলায় কথা বলতে পারেন। তাঁরা এই কারণেই শহীদ হয়েছিলেন যাতে তাঁদের সন্তানদের মুখের ভাষার মাধ্যমে বেঁচে থাকতে পারেন। বাৎসরিক আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে নয়। পাকিস্তানি হানাদাররা সালাম রফিক বরকত জব্বার এবং শফিউরের বুকে, মাথায়, পিঠে গুলি করেও হত্যা করতে পারেনি, কিন্তু আমরা, আজকের "dude generation" তাঁদের একদম গলা টিপে হত্যা করেছি!"
তারপর একটু দম নিয়ে সে চার বন্ধুর দিকে তাকিয়ে দৃঢ় স্বরে বলল, "তাই ঠিক করেছি, যতদিন বাংলা ভাষার সম্মান ঠিক মতন দিতে পারবো না, ততদিন শুধু 'cool act' করতে শহীদ মিনারে যাব না। তোরা যেতে চাস, যা।"

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.