নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুলাভাই যখন ধর্ষক

১০ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:১৩

দেশের আলোচিত ধর্ষক, আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে শাফাত আমার আপন খালাতো বোনের জামাই। সেই সূত্রে আমার অতি ঘনিষ্ট আত্মীয়। দেশে গেলে তাদের বাড়িতে আমার নিমন্ত্রণ খাওয়ার কথা। অথবা তারা এদেশে এলে আমার বাড়িতে ওঠার কথা।
কাজেই ব্যাপারটি অন্যান্য সব ধর্ষণ মামলার চাইতে আমার চোখে ভিন্ন। এখানে সরাসরি আমার একজন "আত্মীয়" জড়িত। আমার খালাতো বোনের "ভবিষ্যৎ," খালার পরিবারের "ইজ্জ্ত" সব জড়িয়ে আছে।
তা এই মামলার আসামিদের কী শাস্তি আমি চাই?
উমারের (রাঃ) ফিলোসফি, তুই ধর্ষক হিসেবে এক শাস্তি এমনিতেও পাবি, সাথে আমার আত্মীয় হয়েও ধর্ষক হয়েছিস সেজন্য ডবল শাস্তি ডিজার্ভ করিস।
আমি যদি বিচারক হতাম রে....এবং আমার হাতে যদি পাথর মেরে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের ভ্যালিডিটি থাকতো! এইসমস্ত জানোয়ারদের জন্য শিরোচ্ছেদ, লিঙ্গচ্ছেদও বড্ড নরম শাস্তি হয়ে যায়!
সমাজের লোকেদের নিয়ে আমি কখনই ভাবিনা।
ওরা "শুনলাম তোমার বোনের জামাই নাকি ঘটনা ঘটাইছে? সত্য নাকি?" বলে এমন একটা লুক দিবে যেন আমি ঘটনা ঘটিয়েছি। ওদের কুৎসিত মন মানসিকতা মসলা খুঁজে বেড়ায়। ওদের মুখে যদি জুতা মারতে পারতাম!
রকি আন্টির সামনে (আমার খালা) সামনে এমন প্রশ্ন করলে অবশ্য উল্টো প্রশ্নকর্তাদের নিয়ে আমি চিন্তিত। তাঁর মুখ মেশিনগান। প্রশ্নকর্তা যাতে কেয়ামত পর্যন্ত নিজের কৃতকর্মের জন্য আফসোস করে - সেই ব্যবস্থা তিনি করবেন। দেশের সবাই যদি তাঁর মতন হতো।
টু বি অনেস্ট, পিয়াশাকে (আমার বোন) নিয়ে খানিকটা ভয়ে ছিলাম। ভেবেছিলাম সে হয়তো শাশ্বত বাংলার কুলীন নারী সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে নিজের লম্পট স্বামীর চারিত্রিক সনদপত্র প্রদান করতে বলবে, "আমার স্বামী নির্দোষ, ওর মন শিশুর মতোই পবিত্র। ও প্রতিদিন কুরআন পাক তেলাওয়াত করে এবং পাঁচওয়াক্ত নামাজ পড়ে। অবসরে সে হাদিস গ্রন্থ নিয়ে গবেষণা করে। ঘটনার রাত্রিতে ও আমার সাথে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ছিল। ওকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র চলছে।"
তাহলে এই বোনের সাথে আমাদের সমস্ত সম্পর্ক ধুয়ে ফেলতে হতো। তুমি বাবাজি তোমার পয়সাওয়ালা স্বামীর সাথেই থাকো। আমাদের টাকার দরকার নেই।
যাই হোক - সে সেটা না করে বদমাইশটার পশ্চাৎদেশে লাথি দিয়ে ওর জীবন থেকে সরে এসেছে। মেয়েগুলোর বিচারে যতরকমের সাহায্যের প্রয়োজন সে করবে। তাঁর নিজের ভবিষ্যৎ এখন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছে। তারপরেও সে অটল! তাঁর এই সিদ্ধান্তে গর্বে এই মুহূর্তে বুক ফুলে যাচ্ছে।
সমস্যা একটাই - শাফাতের বাবা টাকাওয়ালা মানুষ। এবং আরেক আসামির বাবা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
এবং বাংলাদেশে টাকা ও ক্ষমতা থাকলে যেকোন কিছু করা যায়। পুলিশের মামলা নিতে আটচল্লিশ ঘন্টা দেরি, মেয়েদের হেনস্তা করা এবং আসামিদের মুক্তাবস্থায় অবাধ বিচরণ সেটাই প্রমান করে। তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে নিজেদের ছেলেদের মুক্ত করে আনতে। এবং সেই উদ্দেশ্যে তারা আমার বোনের সর্বোচ্চ ক্ষতি করতে হলেও পিছপা হবেনা। শুনেছি শ্বশুর সাহেব নাকি ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে বয়ান দিতে শুরু করেছেন।
এখনতো কেবল লড়াই শুরু হলো। আইনি লড়াই হবে, সন্ত্রাসী দিয়ে, পুলিশ দিয়ে, হয়তোবা মিডিয়া সহ আরও আগডুম বাগডুম কত কিছু দিয়ে যে তাঁকে কাবু করার চেষ্টা করা হবে! এছাড়া সাথে আছে মানসিক লড়াই। হাজার হোক, এই লম্পটের সাথে একটা সময়ে সে সংসার করেছে। ভালবেসেছে। শেকড় উপড়ে ফেলার মতন ঘটনা। আশা করি পিয়াশা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে পারবে। এইটা স্রেফ একটা ধর্ষণ মামলা না - এখন আরও অনেক কিছু যুক্ত হওয়া শুরু করেছে।
আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে নিজের বিরুদ্ধে যেতে হলেও যাও।
ন্যায়ের পথে আল্লাহ যদি সাথে থাকেন, তাহলে টেনশন কিসের?
পিয়াশার জন্য শুভ কামনা। ভাই হিসেবে তাঁর লড়াইয়ে পাশে আছি। সর্বশক্তিমান তাঁকে সবধরণের সহায়তা করুন। মেয়েগুলো বিচার পাক, এবং দোষীরা সর্বোচ্চ শাস্তি হোক। এমন শাস্তি যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন দুষ্কর্ম করার আগে হাজারবার চিন্তা করেও সাহস না পায়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:১৬

নব ভাস্কর বলেছেন: ন্যয় বিচার হোক।

২| ১০ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:২৩

Al Rajbari বলেছেন: ভেরী স্যাড, দুঃখকর ঘটনা।।
শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক.!

৩| ১০ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:২৫

সত্যের ছায়া বলেছেন: আমাদের দেশে স্হানীয় পাতি নেতা কিংবা বখাটেরা ধর্ষণে সেঞ্চুরি করে বুক ফুলিয়ে হাটে। তাদের কিছু হয়না এবং আলোচনায় তত একটা আসে না।। কারণ, ধর্ষক এবং ধর্ষিতার অটেল টাকা নেই এবং তারা জাতে কিছুটা ছোট!
আর,
যেগুলো আলোচনায় আসে সেগুলো মোটামুটি উচ্চমার্গীয় দ্বারা ঘটিত। অবাক বিষয় হলো বড় জাতের উপর সাধারণ ছোট জাতের ক্ষোভ আছে। এই ক্ষোভ মিটানের জায়গা ছোট জাতেরা সব সময় পায়না। বড় জাতেরা মাঝে মাঝে ক্ষোভ মিটানোর উপলক্ষ এনে দেন। এই সুযোগটা আমাদের মত গরীবরা লুফে নেয়। আগে ছোট জাতেরা বড় জাত কে বিচ্ছিন্নভাবে মুখে কয়েকটা গালি দিত, এখন ফেসবুকে সমস্বরে দেয়। এর একটা ভাল দিক আছে, অপরাধীরা কয়েক দিনের জন্য গা-ঢাকা দেয় এই যা।

সবাই স্বর্রণে দোকানের মালিক কুলাঙ্গার পিতার গুনধর ধর্ষক ছেলের বিচার চায়!

এই বিচার হলে লাভ না হলেও লাভ!

* লাভ- ধর্ষক গোষ্ঠী বুঝতে পারবে মাঝে মাঝে রুচি চেঞ্জ করতে গেলে ফাটা বাঁশের চিপায় পড়তে হয়।

* না হলে লাভ: দেশের মানুষ আরেকবার প্রমান পাইবে দেশে কত মেয়ে ধর্ষণের জ্বালা বুকে চেপে বেঁচে আছে।

(তবে বিচার হওয়াটাই কাম্য)

*** প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ করছি***

৪| ১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:১৫

খরতাপ বলেছেন: কিছুই হবেনা। মামলা নিয়ে তোড়জোর করতে করতেই আরেকটা ঘটনা ঘটবে - ফেসবুক ব্লগসহ সমস্ত চোখ সেদিকে গিয়েই পড়বে। ধর্ষণের ঘটনা সবাই ভুলে যাবে।

ফেসে যাবে আপনার বোন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.