নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দীঘিকে কখনই দেখবেন না একটা শব্দও উচ্চারণ করতে। শৈবালগুলিই ফালাফালি করে নিজের অস্তিত্বের জানান দেয়।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:১০

কিছুদিন আগে রসিকতা করে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। মানুষের ধারণা আমি খুবই গম্ভীর প্রকৃতির মানুষ, সিরিয়াস কথাবার্তা ছাড়া কিছুই বলিনা, লেখারতো প্রশ্নই উঠেনা। কাজেই একটা পোস্ট দিলাম যেখানে ইচ্ছা করেই সব বানান ভুল করে লিখলাম। ক্যানভাসে সত্যি সত্যিই এমন অনেক বানান ভুলওয়ালা পোস্ট জমা হয়।
দেখা গেল, কেউ কেউ ভুল বুঝলেন। সিরিয়াস অফেন্ডেডও হয়ে গেলেন কেউ কেউ। দেশের একটি অঞ্চলের মানুষ মনে করলেন আমি তাঁদের নিয়ে মজা করতেই সেই জোকটা করেছি।
একজন আমাকে বাক্যবানে আক্রমণ করে বসলেন। সিরিয়াস আক্রমণ। জবাব দেয়া যেত। কোমর বেঁধে ঝগড়াও করা যেত। কিছুই করলাম না। কারন লোকটাকে আমি হালকা পাতলা চিনি। এবং যতটুকু চিনি, তার ভিত্তিতে নিঃসন্দেহে বলতে পারি এই লোকটা মানুষ হিসেবে আমার চেয়ে কয়েক লক্ষ যোজন এগিয়ে আছেন। দুই একটা গালি যদি দিয়েও দেন, সেটাও আমার প্রতি তাঁর আশীর্বাদ।
এই লোক একটি এতিম শিশুকে রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়ে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে নিজের মেয়ের মতন বড় করছেন। এজন্য তাঁর প্রেমিকার সাথে দীর্ঘ প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে গেছে। এখনও তিনি বিয়ে করেন নি। এবং যতদূর বাঙালি সমাজকে চিনি, এই মেয়ের জন্য তাঁকে অনেক কানাঘুষা শুনতে হয়। তারপরেও তিনি মেয়েটিকে পিতৃস্নেহে বড় করছেন। এই লোকটির সাথে সামান্য গলা চড়িয়ে কথা বলবো, এই যোগ্যতা বা দুঃসাহস আমার আসে কোত্থেকে?
যে কারনে কথাগুলো বললাম, তার কারন হচ্ছে, ফেসবুকে প্রায়ই দেখি অমুক তমুকের নামে ইচ্ছামতন কেচ্ছাকাহিনী নিয়ে মানুষ দশ হাত লম্বা লেখা লিখে ফেলে। যাকে নিয়ে লেখা হচ্ছে, তিনি হয়তো বিখ্যাত কেউ। যে লিখছে, সে কোন ঘোড়ার আন্ডাটাও পারতে পারেনা। যদিও তার ধারণা সে বিরাট বুদ্ধিজীবী। ফেসবুকে স্ট্যাটাস লিখে পৃথিবী উদ্ধার করে ফেলেছে।
উদাহরণ সাকিব আল হাসান। বেচারার জীবনের সবচেয়ে বড় পাপ সে বাংলাদেশে জন্মেছে। দ্বিতীয় পাপ, বাংলাদেশে জন্মে পৃথিবীর সেরা অলরাউন্ডার হয়ে গেছে। তৃতীয় পাপ, সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করে ফেলেছে। চতুর্থ পাপ, বৌ পরিবারের সাথে তোলা ছবি ফেসবুকে আপলোড করে। এবং এখন আপনারা তাঁর যেকোন ছবির নিচের কমেন্টগুলো পড়ুন।
সাকিব ছাড়াও আরও অনেকেই ভিকটিম আছেন।
ধরা যাক কেউ কোন বিষয়ে কোন মন্তব্য করেছেন। তিনি যা বলেছেন, তাতে কিন্তু একটাও ফালতু কথা নেই। কিন্তু যেহেতু আপনার তাঁকে পছন্দ নয়, আপনি শুরু করে দিবেন তাঁকে আক্রমণ করে আলতু ফালতু দুর্গন্ধময় বিষ্ঠা নিক্ষেপ। শুধুশুধু এমন সব ফালতু কথা বলবেন, যা পড়লে আপনার সম্পর্কে আপনারই কিছু কাছের মানুষের যা ধারণা ছিল, সেটাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠবে। "কী" বলা হয়েছে তা না ভেবে যারা "কে" বলেছে সেটা নিয়ে ফালাফালি শুরু করে দেয় - তখন বুঝে নিতে হবে তিনি হার্ভার্ড পিএইচডি বল্টু ভাই হলেও মানসিকতায় পদ্মা নদীর অশিক্ষিত মাঝি পাড়ার লোকজনেরও নিচে।
এইবার আসি, কুরবানী ও বন্যার্তদের সাহায্য প্রসঙ্গে।
সমস্ত দেশ বন্যায় ডুবে গেছে। মানুষ ভেসে যাচ্ছে পানিতে, ভেসে যাচ্ছে তাঁদের গবাদি পশু, ভিটে, বাড়ি। অসহায়, নিঃসহায় মানুষ স্বাধীন দেশেই না খেয়ে মারা যাচ্ছে। মারা যাচ্ছে বিভিন্ন রোগ শোকে। কবর দেয়ারও মাটি নেই কোথাও কোথাও। লাশ পানিতে ভাসিয়ে দিতে হয়। পরিস্থিতি ভয়াবহ। এই অবস্থায় যারা বলে দেশে বন্যার অস্তিত্ব নেই, তাদের মানুষ বলতে ইচ্ছে করে না।
বন্যার্তদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসা এই মুহূর্তে প্রতিটা বাঙালির জন্য অবশ্য কর্তব্য - আরবি ভাষায় ফরজ। না করার উপায় নেই।
কেউ টাকা দিয়ে সাহায্য করবে, কেউ খাবার দিয়ে, কেউ আশ্রয় দিয়ে, যার যা সামর্থ্য।
মেজাজ খারাপ হয় যখন কেউ সাহায্য করছে, এবং তাঁকে নিয়ে আজাইরা পোলাপান ট্রলিং করে। উদাহরণ অনন্ত জলিল। এই লোকটা সেই আদি যুগ থেকেই মানুষকে সাহায্য করে আসছেন। এমন বহু লোককেই দেখেছি চিকিৎসার জন্য টাকা প্রয়োজন, চারিদিকে হাত পেতে কোথাও সাহায্য পাননি, অনন্তের কাছে যেতেই তাঁর সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে গেল।
একবার খবরে এসেছিল এফডিসির এককালের নায়িকা এখন মানুষের বাড়িতে ঝি চাকরের (কিংবা ভিক্ষা, ভুলে গেছি, তবে অত্যন্ত গরিব কিছু এইটা মনে আছে) কাজ করেন। পরেরদিনই খবর এলো অনন্ত সেই মহিলাকে লাখপতি করে দিয়েছেন।
এফডিসির খবর কে কতটা রাখেন জানিনা, তবে রিয়েলিটি হচ্ছে, যখন কোন ফিল্ম বানানো হয়, তখন ফিল্ম সংশ্লিষ্ট কাজে অনেক লোকের কাজ জোটে। লাইটম্যান, ক্যামেরা এসিস্ট্যান্ট, স্পট বয়, ক্রু ইত্যাদি। এইসব কাজে কিন্তু কোটি কোটি লাখ লাখ টাকা নেই। দিনের উপার্জন দিনেই শেষ হয়ে যায়। ফিল্ম নেই, তো তাঁদের বাড়িতে চুলায় আগুনও নেই। নায়িকার পেছনে শাড়ির আঁচল ধরে দৌড়ানো নারীদের নিয়ে হাসাহাসি করার আগে একটু চিন্তা করে নিবেন। না দৌড়ালে তাঁদের ছেলেমেয়েরা না খেয়ে থাকে।
এমন লোকজনদের পাশেও অনন্ত জলিল দাঁড়িয়ে যান। এবং তাঁকে দেখে উৎসাহী হয়ে কেউ কেউ এগিয়েও আসেন। যেমন গত ঈদেই খবর এলো, এফডিসির এইসব ক্রুদের কারোর বাড়িতেই পশু কোরবান হবেনা। কারন কাজ নেই, পয়সাও নেই। কোন এক নায়িকা নিজের খরচে একটি গরু কোরবান দিলেন যাতে মাংসের ভাগ এফডিসিতে কর্মরত প্রতিটা হতদরিদ্রের বাড়িতে পৌঁছে। নায়িকার নাম খুব সম্ভব পরীমনি। (আবারও ভুলে গেছি। এফডিসির তেমন কাউকে চিনিনা।)
তো যাই হোক, এদের নিয়ে দাঁত ক্যালানো বাঙালির সংখ্যা কিন্তু হাজার হাজার, লাখ লাখ। এরা কিছু করলেই এদের ব্যঙ্গ করে দশ বারো হাত লম্বা পোস্ট লিখে ফেলবে। সেখানে হাহাহিহির রোল পরে যাবে। এবং তারপর কাজের কাজ কিছুই করে না।
অনন্ত ঠিকই হেলিকপ্টার করে বন্যা দুর্গতদের সাহায্যার্থে ছুটে যাচ্ছেন। বিলিয়ে দিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। তাঁকে নিয়ে কুমন্তব্য করনেওয়ালাদের কয়জন দুর্গত এলাকায় গিয়েছেন? তাহলে হাসাহাসির যোগ্যতা আপনি রাখেন?
অনেকেই বলেন, "এইসব শো অফ। পাবলিসিটি।"
আপনিও না হয় শো অফ করেন। পাবলিসিটি করেন। আমরাও দেখি।
কুরবানী নিয়ে নতুন একটা ফতোয়া শুনতে পাচ্ছি ফেসবুকের আকাশে বাতাসে।
"পশু কুরবান না করে সেই টাকাটা যদি গরিব অসহায়কে দান করে দেয়া হয়, তাহলে কী আল্লাহ বেশি খুশি হবেন না?"
যিনি এই আল্লাদি মার্কা কথা বলছেন, তাঁকে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছে, "ভাত না খেয়ে, নিজের গাড়ি মোটরসাইকেল বা অন্যান্য দামি সামগ্রী বেঁচে দিয়ে সেই টাকাটা গরিব অসহায়কে দান করে দিলে সেটাই কী বেশি মানবতা হতো না?"
অবশ্যই উত্তর আসতো, "এইসবতো নেসেসিটি!"
আমাদের মুসলিমদের জন্যও আল্লাহর নির্দেশ পালন নিশ্বাস নেয়ার চাইতেও বেশি নেসেসিটি। ভাত তরকারি খাওয়াতো তার পরের স্টেজ।
কুরবানী দেয়া প্রতিটা "যোগ্য" (দরিদ্ররা যোগ্য নয়) মুসলিমের জন্য অবশ্য কর্তব্য। দিতেই হবে। বাদ দিয়ে এই ঐ করা কোন অপশন না। বটম লাইন। সাহায্য করতে হয়, আমাদের অপশন হচ্ছে জাকাতের টাকা প্রদান। সদগাহ প্রদান। আমার যদি বন্যার্তদের সাহায্য করতে চাই, তাহলে আমার অন্যান্য খরচ কেটে সেই টাকা দিয়ে সাহায্য করবো, কিন্তু আমাকে কোরবানি আদায় করতেই হবে।
কেউ কেউ যখন আহাম্মকের মতন বলে, "রেড মিট খাওয়াতো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর" - তখন সেই বডি বিল্ডার ভাইকে জিজ্ঞেস করতে মন চায়, চিনি খাওয়া তারচেয়েও ক্ষতিকর। কুমিল্লার মাতৃভান্ডারের রসমালাই কী খাওয়ায় ছেড়ে দিয়েছেন? ভাত বেশি খাওয়াও ক্ষতিকর, ভাত খাওয়া ছেড়েছেন? কোরবানিতে গোগ্রাসে গেলার কথা বলে নাই, এমনকি যদি কেউ নিজে মাংস খেতে না চায়, তাহলেও সমস্যা নাই। কাজেই ফালতু কথা বলার আগে জেনে বুঝে বলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
আমি কোরবানি দিলে গরু ব্যবসায়ীর ঘরে চুলা জ্বলবে, গরিব মিসকিন, যাদের সারাবছরই মাংস খাওয়ার ভাগ্য হয়না, তাঁদের বাড়িতে মাংসের তরকারি রান্না হবে। পার্ট টাইম কসাইয়ের কাজ করে কিছু দরিদ্রের দু চার পয়সা বাড়তি উপার্জন হবে। এইসব কোন ফালতু বিষয় না।
হ্যা, অপশন হচ্ছে, আমি এক লাখ টাকার গরু না কিনে, তিরিশ হাজার টাকার গরু কিনে বাকি সত্তুর হাজার দান করতে পারি।
এতে কোরবানিও আদায় হবে, সাথে দানও করা হবে।
কেউ কেউ বলবেন, গরুর বদলে ছাগল কুরবান করতে।
ছাগলের দাম ভাই গরুর চেয়ে অনেক বেশি। সাতটা ছাগল কোরবান করলে দেখা যাবে যতটুকু মাংস হয়েছে, তারচেয়ে এক গরুর মাংস হয় তারচেয়েও বেশি, তিন ভাগের দুইভাগ যখন বিলিয়ে দেয়া হয়, তখন আরও বেশি মানুষকে কভার করা যায়। এইদিকে সাত ছাগলের দামও হয়তো পড়েছে এক গরুর চেয়ে বেশি। আল্লাদি পোস্ট পড়ে আমি ছাগল কোরবান করে দিলে অনেক দরিদ্রের ঘরে মাংস পৌঁছানো সম্ভব হয় না (উট কোরবান দিলে আরও ভাল হতো)। প্র্যাকটিক্যাল কথাবার্তা বলছি, ফেসবুকিও থিওরি না।
আমার লেখা পড়েই নিশ্চই বুঝে গেছেন মানুষের ফালতু সমালোচনাকারীদের প্রতি আমি কতটা ভালবাসা পোষণ করি। কেন করি সেটা ব্যাখ্যা করি।
আমার পরম সৌভাগ্য হয়েছে এমন কিছু মানুষের সাথে পরিচিত হতে যারা মানুষের কল্যাণেই কাজ করে যান। তাঁদের কেউই নাম কামাতে আগ্রহী নন। কে কী বলেছে, কে কী করেছে কিছুতেই তাঁরা মাথা ঘামান না। তাঁদের চিন্তা চেতনায় একটাই ভাবনা, "আমি যা করছি তাতো মোটেও যথেষ্ট নয়। আরও কিভাবে কী করলে আরও বেশি সাহায্য করা যায়!"
সবার মধ্যেই এই একটা গুন কমন দেখেছি।
তার মানে যারা জেনুইন, তাঁরা অন্যের গীবত গান না। অনন্ত জলিল কী বলেছে, না দেখে তাঁরা দেখেন এই লোকটা আসলেই কতটুকু সাহায্য করেছেন।
তাঁরা দেখেন কাজটা "কী" করেছেন। অনন্ত জলিল, নাকি সাকিব আল হাসান, নাকি কোন রাজনৈতিক নেতা - তাতে তাঁদের মাথাব্যথা নেই।
ছোটবেলার সেই ভাব সম্প্রসারণের কথা মনে পরে যায়। "শৈবাল দিঘিরে বলে উচ্চ করি শির, লিখে রাখো দুফোঁটা দিলাম শিশির।"
দীঘিকে কখনই দেখবেন না একটা শব্দও উচ্চারণ করতে। শৈবালগুলিই ফালাফালি করে নিজের অস্তিত্বের জানান দেয়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:২০

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: মাথায় কিছু ঢুকেনি ভাই আরেকবার পড়ে দেখি কিছু ঢুকে কিনা।

২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৩৯

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: অনেকেই বলেন, "এইসব শো অফ। পাবলিসিটি।"
আপনিও না হয় শো অফ করেন। পাবলিসিটি করেন। আমরাও দেখি


-আমিও তা বলি, আর কিছু না হোক কয়েকজন নিরন্ন মানুষ এক বেলা হলেও খাবার পেতো।

আসল কথা হলো এরা নিজে যেমন কারো ভালো করে না, তেমন কারো ভালো দেখতেও পারে না।

৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৫৯

সুমন কর বলেছেন: দারুণ লিখেছেন। কেমন আছেন?

৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:২০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভাল লাগলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.