নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
বিএসও প্রেসিডেন্ট সালমান তাহসান ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে, "ভাই, এ হচ্ছে আমাদের রাজীব ভাই। সিরিয়াস ট্যালেন্টেড একজন মানুষ! গল্প, নাটক, অভিনয় - এমন কিছু নাই যা সে করতে পারেন না।"
সালমান এই কাজটা করে। প্রশংসা করার সময়ে খুবই বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেয়। এমনকি একটা সময়ে আসলেই অবাক হয়ে ভাবতে হয়, আসলেই কী কথাটা সত্য?
কিন্তু এখন কার সামনে কী কথাবার্তা! সাথে সাথে বললাম, "ভাই, দশটা গাধা দৌড়ালে একটাতো ফার্স্ট হবেই। তাই বলে তাকে ঘোড়া ভাবা কী ঠিক?"
একটা সময়ে খুব লজ্জা লাগতো এইসব শুনতে। এখনও লাগে। আবার মাঝে মাঝে মজাও নেই। এমন শুনলে বলি, "হ্যা ভাই। ট্যালেন্ট একদম উপচে পড়ছে। এই যে পার্কিং লট থেকে এখানে আসতে আসতে দুয়েকটা ট্যালেন্ট রাস্তায় পরে গিয়েছিল। তুলিনি, কী দরকার? অনেক আছে!"
যাই হোক। এইটা ঠিক, লেখালেখি ছাড়াও টুকটাক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড নিয়ে নাড়াচাড়া করতে আমার ভালই লাগে। এবং যখন যা করি, তা সিরিয়াসলিই করি। যেন কোন খুঁত না থাকে। অভিনয় তার একটি।
তবে আমি সিরিয়াস থিয়েটার থেকে অবসর নিয়েছি বেশ কিছুদিন হলো। পুরো সপ্তাহ কাজ করে করে উইকেন্ডে কঠিন কঠিন নাটকের রিহার্সেল করার আর সময় হয়না। তারও বহু আগে থেকে রেডিও শো করা বন্ধ করেছি। বাচ্চা এখনও ছোট। এই সময়টা বাচ্চাকে না দিলে আর কখন দিব?তারপরেও এই কটা সপ্তাহ পাগলের মতন ব্যস্ত থাকতে হয়েছিল, কারন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের আয়োজনে বাংলাদেশ নাইট্স অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে আমাকে নাটক লিখতে হয়েছে, সেটা নির্দেশনা দিতে হয়েছে, এবং অভিনয়ও করতে হয়েছে। এছাড়া কোন অল্টারনেট ব্যবস্থা নাই। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের ঋণ, ছাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেই হবে। এখানে ফাঁকিবাজি করা যাবেনা। তাই প্রতিদিন কাজ শেষে বৌ বাচ্চাকে ঘরে নামিয়ে দিয়ে এসে রিহার্সেল করতে হয়েছে রাত ১১-১২ পর্যন্ত। দুই তিন রাত এক দুই ঘন্টার বেশি ঘুম হয়নি। সহজ হাল্কা পাতলা হাসির নাটক ছিল। এ ধরণের চরিত্র ফুটাতে রিহার্সেল লাগেনা। কিন্তু মঞ্চে অভিনয়টা এতটাও সহজ নয়। বিশেষ করে এর প্রায় প্রতিটা শিল্পীই যেখানে স্টুডেন্ট পোলাপান, জীবনেও অভিনয়ের অভিজ্ঞতা নেই। তবুও নাটক ভালবাসে বলেই অভিনয় করতে চায়। তিন চার সপ্তাহের মধ্যেই এদের তৈরী করে ফেলা কী সহজ কথা! যারা কাজটা করেছে, পরীক্ষা টরীক্ষা দিয়ে দিয়ে রিহার্সেল করে করে তারপর চরিত্র ফুটিয়েছে। ভালবাসা না থাকলে যেটা একটি অসম্ভব ব্যাপার।
এরমধ্যে আমাকে ও তারেককে অনুষ্ঠান উপস্থাপনাও করতে হয়েছে। ট্র্যাডিশনাল স্ক্রিপ্ট ফলো করে উপস্থাপনা করতে আমার ভাল লাগেনা। "আজ এই সুন্দর মায়াবী সন্ধ্যায় মনোমুগ্ধকর পরিবেশে মায়ামুগ্ধ হবার জন্য......আগডুম বাগডুম" ইত্যাদি কথাবার্তা শুনতেও বোরিং লাগে। চেয়েছিলাম এমনভাবে উপস্থাপন করতে যেন আমরা ভাইব্রাদাররা মিলে কারোর ড্রয়িংরুমে বসে আড্ডা দিচ্ছি। সবাই অনুষ্ঠানে মজা করতে এসেছে। বোর যাতে কেউ না হয়। তবে.....মঞ্চে দাঁড়িয়ে কী বলবো - সেটাও আমি বা তারেক কেউই চিন্তা করার সময়ও পাইনি। আমি নাটক নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তারেক পুরো অনুষ্ঠান নিয়েই ব্যস্ত ছিল। প্রোগ্রাম শুরু হবার পরে মঞ্চে দাঁড়িয়ে যা মনে এসেছে, বলেছি - ফলটা দর্শক প্রতিক্রিয়ায় বুঝতে পারলাম যখন তাঁরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বলেছেন যে আমাদের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা খুবই ভাল হয়েছে। কোন গান, নাচ, নাট্যাংশ থেকে কোন অংশেই কম না।
যাই হোক, প্রতি অক্টবরেই এই অনুষ্ঠান ঘটে, তবে এইবারের আয়োজনে একটা জীবন মরণ প্রশ্ন জড়িত ছিল। আসলে বেশ কিছু বছর ধরেই "বাংলাদেশি স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন অফ ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস অ্যাট ডালাস" (সংক্ষেপে BSO at UTD) এত ভাল অনুষ্ঠান করে আসছিল যে এর প্রতিটা আয়োজন নিয়ে দর্শকের এক্সপেক্টেশন অনেক উঁচুতে থাকে। নানা কারণেই গত এক দুইটি অনুষ্ঠান সেই আশা পূরণ করতে পারেনি। আয়োজকদের অনভিজ্ঞতাই ছিল মূল কারন। সমস্যা হয়েছে যে সবাই আমাদের খুঁত ধরতে ব্যস্ত ছিল। কিন্তু সেইসব খুঁত কাটিয়ে তুলতে যে সহযোগিতার প্রয়োজন, সেটাই কেউ করছিল না।
যেমন, গত মার্চ মাসেই একুশে ফেব্রুয়ারি ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল BSO-At UTD. নানা কারণেই মুখ থুবড়ে পড়েছিল সেই অনুষ্ঠানটি। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার ঝড়ও বয়ে গিয়েছিল।
তারেক সেখানে একটি নাটক লিখে অভিনয় ও নির্দেশনাও দিল। একদল আনকোরা পোলাপান। কারোরই কোন অভিজ্ঞতা নেই। সমস্যা হলো প্রপ্স নিয়ে। পাকিস্তান মিলিটারি ভাষা আন্দোলনের মিছিলে গুলি চালাবে, লুটিয়ে শহীদ হবেন আমাদের একদল সূর্যসন্তান। নেপথ্যে বেজে উঠবে ঐশ্বরিক সুর সংগীত, "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো...." খুবই আবেগী দৃশ্য।
কিন্তু দেখা গেল বন্দুক নেই। রিহার্সেলের শেষ দিন পর্যন্ত ডিরেক্টরকে আস্বস্ত করা হলো বন্দুক, মিলিটারি পোশাক, নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা, সব ব্যবস্থা আছে। অনুষ্ঠানের দিন সন্ধ্যায় তাঁর হাতে স্টার ওয়ার্সের সাদা, কমলা, কালো রংয়ের রংচঙা পিস্তল ধরিয়ে দিয়ে বলা হলো, "বস, বন্দুক জোগাড় করা সম্ভব হয় নাই। এইটা দিয়েই কাজ চালাতে হবে।"
তারচেয়েও ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে, মিলিটারি পোশাক হিসেবে অ্যামেরিকান মিলিটারি পোশাক জোগাড় করা হলো। খাকি নয়।
দর্শক যদি দেখতো ৫২ সালে পাকিস্তান পুলিশ অ্যামেরিকান আর্মির পোশাক পরে হাতে স্টারওয়ার্সের পিস্তল নিয়ে আমাদের যুবকদের শহীদ করছে, কিংবা ৭১ এ অ্যামেরিকান আর্মি উর্দুতে বাৎচিত করতে করতে মেয়ে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে (এখানেও স্টারওয়ার্সের পিস্তল) - সেইসব দৃশ্যে হাসি যদি নাও আসে, কান্না পাবেনা এইটা নিশ্চিত বলতেই পারি।
তারেকের নির্দেশনায় প্রথম নাটক, নার্ভাসতো ছিলই। তাঁর মাথা তখন কাজ করছিল না। আমাকে দেখিয়ে বললো, "এখন কী করা যায়?"
আমি অনুষ্ঠানে কিছু করছিলাম না। আমার সেই টেনশনও ছিল না। কাজেই আমি সাথে সাথে ইম্প্রোভাইজ করে একটা বুদ্ধি দিলাম। মিলিটারি চরিত্রগুলোই বাদ দিয়ে দিলাম। বললাম অদৃশ্য থেকে গুলি আসছে দেখাবো। নেপথ্যে গুলির আওয়াজ হলেই হবে (শব্দ নিয়ন্ত্রক আমাদেরই গ্রূপ মডারেটর তানভীর ভাই, আপনা আদমি)। বন্দুক দেখানো লাগবেনা। উল্টো যে ছেলেগুলোর আর্মির চরিত্র করার কথা, তাঁদের বলা হলো রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই স্লোগানের মিছিলে যোগ দিয়ে গুলির শব্দ শোনার সাথে সাথে লুটিয়ে পড়তে।
যাই হোক। সেদিন আমরা বুঝে গেলাম যে এইসব বাচ্চাকাচ্চাদের দোষ খুঁজে না বেরিয়ে বরং সাহায্য করা দরকার। গাইড করা দরকার। কেউই মায়ের পেট থেকে আইনস্টাইন হয়ে জন্মায় না। ওকে আইনস্টাইন বানাতে হয়।
তো যা বলছিলাম, এইবারের আয়োজনটাও যদি দর্শকচাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হতো - তাহলে এর ভবিষ্যৎ রীতিমতন অন্ধকারে পরে যেত। বিশেষ করে স্পনসর পাওয়া, যারা টাকা না দিলে অনুষ্ঠানই হওয়া সম্ভব না। এবং যেকোন অনুষ্ঠানের প্রাণ, দর্শক - জেনেশুনে কে ভবিষ্যতে নিজের পকেটের টাকা নষ্ট করে ফাউল অনুষ্ঠান দেখতে আসবে?
সেই দিক দিয়েও বলতে গেলে বলতে হবে অনুষ্ঠান সফল। তাহসান ভাইয়ের এত ফ্যান যে ডালাসে থাকে, আমার ধারণা ছিল না। আমাদের সময়ে শুধু মেয়েরাই তাঁর জন্য পাগল ছিল। ছেলেরা আর্টসেল আর্টসেল করতো। ওয়ারফেজ, অর্থহীন, শিরোনামহীনদেরতো আলাদা ফ্যান ফলোয়ার্স ছিলই।
আমি ছিলাম জেমসের ভক্ত। জেমস ভক্তের পক্ষ্যে তাহসানের অনুরাগী হওয়া সম্ভব, "ফ্যান" নয়। কেন, সেটা বুঝতেই পারছেন আশা করি। কিন্তু এইবার কনসার্ট শেষে ছেলেমেয়েরা যেভাবে তাঁর সাথে সেলফি তোলার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়লো....আল্লাহরে আল্লাহ! দরগায় মাগনা শিন্নি বিতরণের সময়েও কাঙালদের এইরকম করতে দেখিনা। যেন মহামারী বন্যায় আমরা তাহসান বিতরণ করছি - দুর্যোগাক্রান্ত দর্শকরা বুভুক্ষের মতন তাঁর উপর হামলে পড়লো।
"তাহসান ভাই, একটা ছবি!" "এইদিকে তাহসান ভাই!" "তাহসান আই লাভ ইউ!"
যে আই লাভ ইউ বলছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সে বিবাহিতা, দুই তিন বাচ্চার মা। জামাই বাচ্চা কোলে নিয়ে গোবেচারার হাসি হাসতে হাসতে তারকার সাথে স্ত্রীর ছবি তুলছেন। কেয়ামতের আর দেরি নাই!
ভিড় ঠেলতে ঠেলতে আমাদের অবস্থা কাহিল। এবং অবশ্যই যারা ছবি তুলতে পারেনাই, তাঁদের চোখে আমরা ভিলেন। তাঁদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। কেউই একটা ছবিতে সন্তুষ্ট হচ্ছিল না। পারলে সারারাত ধরেই চলে ফটোসেশন।
দিনের শেষে বলতেই হবে এটি একটি সফল অনুষ্ঠান। পাবলিক কিছু দোষ ঠিকই ধরেছেন, এবং স্বীকার করছি সেসব দোষ আসলেই দোষ। এবং ভবিষ্যতের কোন অনুষ্ঠানের জন্য এইসমস্ত বিষয় মাথায় রাখা হবে।
তো যা বলতে এত লম্বা লিখে ফেললাম, তা হচ্ছে, অনুষ্ঠানের দুই রাত আগে তাহসান ভাই যখন প্রস্তুতি হিসেবে জ্যামিং করছেন, তারেক তখন আমাকে বললো এখন, একটা কথা বলবো যা শুনলে তোমার চোখে পানি চলে আসবে। (টাকলা ভাষায় বললো, চোখকে টাকলারা যা বলে আর কি।)
আমি গাড়ি ড্রাইভ করছিলাম। বললাম, "কী?"
"জাওয়াদ আছে না? ঐ যে তোমার নাটকে পাসিং শট দিচ্ছে যে, সে গত সামারে দেশে গিয়েছিল। তখন তাঁর গার্লফ্রেন্ড ক্যানভাসের লিঙ্ক পাঠায় বললো, এই গ্রূপটাতে জয়েন করো। এখানে সুন্দর সুন্দর গল্প পড়তে পারবা।"
জাওয়াদের ফটোগ্রাফির শখ আছে। আলো ছায়ার খেলা নিয়ে চমৎকার সব ছবি সে তুলে। গার্লফ্রেন্ড বলল ফটোও আপলোড করতে পারবে।
তো সে বেচারা গ্রূপে ঢুকে ভারী ভারী লেখা, ফটোগ্রাফি ইত্যাদি দেখে বেশ ইম্প্রেসড হলো। সেই সাথে ভয়ও পেল। তাঁর টুকটাক ফটোগ্রাফিতে লোকে কি না কি রিয়্যাক্ট করে।
তারপর অ্যাডমিনদের নাম ধাম দেখে ভাবলো চেনা চেনা লাগে। এবং তারপর এই কিছুদিন আগেই বুঝলো এইটাতো আমরাই!
আহা! চোখে পানি আসার মতোই ঘটনা! ক্যানভাস যে কতটা জনপ্রিয় হয়ে গেছে সেটা বুঝতে কেবল উপলব্ধি করুন, গার্লফ্রেন্ডরা তাঁদের বয়ফ্রেন্ডদের সামনে আমাদের গ্রূপের প্রশংসা করছে!
ক্যানভাসের সমস্ত গার্লফ্রেন্ড যারা তাঁদের বয়ফ্রেন্ডদের আমাদের গ্রূপের কথা বলেন, তাঁদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
এর আগে টম আলভিন স্যারেরতো বিয়েই হলো ক্যানভাসের মাধ্যমে। আমাদের প্রথম ক্যানভাস জুটি! তাঁরা চিরসুখী হোক।
ইন শা আল্লাহ, আমাদের এক মডারেটরও শীঘ্রই সাত পাকে বাঁধা পড়বেন আরেক সদস্যের সাথে। যদিও তাঁদের পরিচয় ক্যানভাসের মাধ্যমে নয়। তবুও তাঁদের প্রতি অগ্রিম শুভকামনা।
সেইদিন এক বিয়েতে এক ছোট ভাই এসে আমাকে বলে গেল, "ভাইয়া ক্যানভাসে আপনার লেখা পড়তে ভাল লাগে।" কে জানে, একেও তাঁর গার্লফ্রেন্ড আমাদের খোঁজ দিয়েছে কিনা। নাহলে এ যে তাঁর গার্লফ্রেন্ডকে আমাদের খোঁজ দিবে, সেটা ধরে নিতেই পারি।
এছাড়া স্বামী স্ত্রী মিলে ক্যানভাসের লেখা পড়েন, লিখেন - এমন উদাহরণতো অনেক।
আহা! ক্যানভাসকে এত ভালবাসার জন্য আপনাদের সবার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। আপনারা আছেন বলেই আমরা এতদূর এসেছি।
ওহ, শেষে বলি, তাহসান ভাই আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, "কোথায় লিখেন আপনি?"
"ফেসবুক আর ব্লগে। ক্যানভাস নামের একটা গ্রূপে।"
"ক্যানভাসের নামতো আমি শুনেছি।"
তারপর তিনি মোবাইলে সার্চ করে বের করে বললেন, "এই গ্রূপ না?"
"জ্বি।"
তারেক বললো, "আপনিওতো লিখেন। দিবেন মাঝে মাঝে।"
তিনি বললেন, "অবশ্যই চেষ্টা করবো।"
তানভীর ভাইকে বললাম, "এপ্রুভ দিযেপ্রুভ করার দায়িত্ব কিন্তু আপনার।"
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৮
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ছোট করে না লিখলে কেউই পড়বেনা।
ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।