নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
আমাদের তামুর ভাই এবং জেনিফার তিলোত্তমা আপুর সংসারে কুকুরের সংখ্যা নেহায়েত কম না। এ নিয়ে তাঁদের এলাকাবাসীর ঘুম হারাম। "কুত্তা পালা হারাম" - মতবাদে বিশ্বাসী মুমিন মুসলিমরা রাস্তা দিয়ে আসতে যেতে কুকুরগুলোকে খোঁচাখুঁচি করে। বৃষ্টির সময়ে মাথায় ছাতা ধরে হলেও নিজের বাড়ি থেকে কষ্ট করে হেঁটে এসে ময়লা তুলে তাঁদের বাড়ির ভিতরে ছুড়ে মারবে। এতে কুকুরগুলো ঘেউ ঘেউ করে, তাদের মজা এবং উৎসাহ আরও বেড়ে যায়।
হারাম প্রাণী কুকুরকে শাস্তি দিতে গিয়ে প্রতিবেশীর অধিকার লঙ্ঘন করতে এদের কোন সমস্যা নাই।
কুরআনে কুকুর পোষা হালাল-হারাম নিয়ে কোন ঘটনা নেই। সূরা কাহাফের ঐ যে গুহায় ঘুমিয়ে যাওয়া যেসব মুমিন যুবকদের বর্ণনা করা হয়েছে, সেখানে তাঁদের সাথে একটি কুকুরও ছিল। কাজেই কুরআন কুকুর পোষাকে নেগেটিভ অর্থে বর্ণনা করেনি। ইন্টারেস্টিং না?
হাদিসে আছে "সেই ঘরে ফেরেস্তা প্রবেশ করবে না, যে ঘরে ছবি এবং কুকুর থাকে।"
এবং তারপর স্কলাররা নানান কন্ডিশন দিয়ে দিয়েছেন কুকুর পোষার ব্যাপারে।
তবে এই হাদিসের পেছনের সংক্ষিপ্ত ঘটনা হচ্ছে, একবার নবীজির (সঃ) ঘরে ফেরেস্তারা আসছিলেন না। তারপরে দেখা গেল তাঁর ঘরে বিছানার নিচে কুকুরছানা ছিল। সেগুলো সরানোর পরেই ফেরেশতারা ঘরে প্রবেশ করেন।
কুকুরছানাগুলো কার ছিল জানেন? হাসান(রাঃ), হোসেনের(রাঃ)।
ব্যস, এই পর্যন্ত পড়েই লোকজন বিরাট আলেম হয়ে যান। শুরু করে দেন কুকুর নিধন। দেশে লাঠির আঘাতে ঘুমন্ত কুকুর হত্যার ভিডিও করা হয়। জীবিত কুকুরকে বাচ্চাকাচ্চাসহ কবর দেয়ার ভিডিও করা হয়। কুকুরের গায়ে কেরোসিন ঢেলে তার শরীরে আগুন জ্বেলে পৈশাচিক আনন্দলাভ করা হয়। রেস্টুরেন্টের বাইরে ক্ষুধার্ত কুকুরের গায়ে গরম ভাতের মাড় ঢেলে তার শরীর ঝলসে দেয়া হয়। তবুও পেটের দায়ে সেই অবলা প্রাণী বারে বারে এখানে ওখানে গিয়ে করুন চোখে তাকিয়ে থাকে।
ফেরেশতা প্রবেশ নিয়ে আরেকটি সহীহ হাদিসের উল্লেখ করি।
নবীজি (সঃ) তখন মাত্রই মদিনায় হিজরত করেছেন। এক ব্যক্তির বাড়িতে আতিথ্য গ্রহন করেছেন। লাঞ্চের সময়ে সেই ব্যক্তি তাঁকে খাবার পাঠিয়ে দেন, এবং দেখেন যে নবীজি (সঃ) পেঁয়াজ-রসুন ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন। আনসার ভদ্রলোক খুবই কৌতূহলী হয়ে জানতে চান, "ইয়া রাসূলাল্লাহ (সঃ)। তাহলে কী আজ থেকে পেঁয়াজ রসুনও হারাম হয়ে গেল?"
রাসূলাল্লাহ (সাঃ) উত্তরে বলেন, "আমি যাদের সাথে কথা বলি, তোমাদের তাঁদের সাথে কথাবার্তা বলতে হয়না।"
মুখে পেঁয়াজ-রসুনের গন্ধ থাকলেও ফেরেস্তারা কাছে আসেন না। তাঁদের সেইরকম শুচিবাই স্বভাব। তাহলে আনট্রেইন্ড ডগ্স বাড়িতে থাকলে, যেখানে কুকুর এখানে ওখানে পায়খানা করে ফেলে, ফেরেশতারা আসবে কিভাবে? সহজ লজিক।
কিন্তু একই সাথে যুক্তি উঠে, বিদেশে যেমন কুকুরকে মানুষের চেয়েও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয়, সেক্ষেত্রে ফেরেশতাদের এক্সকিউজ কী? বিশেষ করে এখানে সার্ভিস ডগ যারা ব্যবহার করেন, যেখানে অন্ধ বা অতিরিক্ত বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের যাবতীয় গৃহকর্মের জন্য ট্রেন্ড কুকুর ব্যবহার করতে হয়, যে কুকুর (অসম্ভব বুদ্ধিমান শ্রেণীর কুকুর এরা) তাঁদের এটা ওটা আনতে সাহায্য করে, এমনকি তাঁদের নিয়ে বাথরুমও করিয়ে আনে, সেক্ষেত্রে তাঁরা কী করবেন?
এই ব্যাপারটি গ্রে এরিয়ায় ফেলে দিল না ব্যাপারটিকে?
বিশ্বাস করেন, অ্যামেরিকায় কুকুর পালা মানুষ পালার চেয়েও এক্সপেন্সিভ। একটা কুকুরের পেছনে এখানে সপ্তাহে দুই তিনশো ডলার পর্যন্ত আরামসে খরচ হয়ে যায়, আমার নিজের পেছনেও তার অর্ধেক বা পৌনে অংশও খরচ হয়না। এখানকার কুকুরগুলো মরে যাবে, কিন্তু তবুও ঘরের ভিতরে পেশাব পায়খানা করবে না। কুকুরদের জন্য আলাদা ডগ পার্ক আছে। কুকুরদের বিউটি পার্লারও আছে, ডগ গ্রূমিং বলে, ওদের আলাদা হোটেলও আছে। বেবি সিটিংয়ের মতন পেট সিটিংও আছে। এখানকার "কুকুরদের" লাইফস্টাইল দেখলে অনেকেই আফসোস করতে পারেন এই ভেবে যে ক্যান অ্যামেরিকান কুত্তা হয়া জন্মাইলাম না!
তো - আমি এই ব্যাপারে এক্সপার্ট না অবশ্যই। এবং ইসলামে ফতোয়া দেয়া এতটাও সহজ না। বিশ্ববিখ্যাত এক স্কলারকে আমার এক ভাবি জিজ্ঞেস করেছিলেন কুকুর পোষা নিয়ে এখনকার জীবনের প্রেক্ষাপটে ইসলামিক আইন কী? উত্তরে সেই স্কলার বলেছিলেন, "আমি এই বিষয়ের এক্সপার্ট নই। আপনাকে বরং আমি আরেকজনের ফোন নম্বর দেব, তিনি এই স্পেসিফিক বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি আপনাকে সাহায্য করতে পারবেন।"
আগেও বলেছি, ফিক্হ ব্যাপারটা অনেক জটিল একটি বিষয়। একটা হাদিস randomly pick করে আমি আইন জারি করে দিলাম, এতটা সহজ হলেতো হতোই। কোন ফতোয়া জারির আগে সেই স্পেসিফিক টপিক নিয়ে হাদিস কুরআন নবীর জীবনী, সাহাবাদের জীবনী ঘাটাঘাটি করে ফালাফালা করে ফেলতে হয় - তারপর অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা করে তারপর ইমপ্লিমেন্ট করতে হয়। বৃষ্টির দিনে ছাতি মাথায় তামুর ভাইয়ের কুকুরকে উত্যক্ত করা ভদ্রলোক(?!) কয়টা হাদিস ঘাটাঘাটি করেন? তিনি কী এইটা জানেন না যে একটি তৃষ্ণার্ত কুকুরকে পানি খাওয়ানোর পুণ্যে আল্লাহ একজনের বিগত জীবনের যাবতীয় পাপ মাফ করে দিয়েছিলেন? আবার একটি ঘুমন্ত বেড়ালকে বিনা কারনে লাথি মারার গুনাহ তার অতীত জীবনের যাবতীয় পুণ্যের চেয়েও ভারী হয়ে গিয়েছিল? ক্লাস সেভেনে থাকতে ধর্মশিক্ষা বইয়ে একটি সহীহ হাদিস পড়েছিলাম, "যাবতীয় সৃষ্টি আল্লাহর আপনজন।"
জ্বি, বিনা কারনে একটি পিঁপড়ার প্রাণ নেয়ারও অধিকার আপনার নেই। এতে আল্লাহর আপনজনকেই হত্যা করা হবে।
সুলায়মান (আঃ) আল্লাহর এত বড় নবী হবার পরেও পথ চলার সময়ে নিচের দিকে তাকিয়ে হাঁটতেন, তাঁর পায়ের নিচে না পিষ্ট হয়ে একটি পিঁপড়া প্রাণ হারায়! উমার (রাঃ) তামাম মুসলিম বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা হবার পরেও প্রতিবার মোনাজাতের সময়ে হাউমাউ করে কাঁদতেন। আমরা মোটামুটি সবাই জানি যে উমার (রাঃ) অন্যায়ের বিরুদ্ধে কতটা কঠোর শাসক ছিলেন, তাঁর ভয়ে সাহাবীরা পর্যন্ত তটস্থ থাকতেন, সেই উমারকে (রাঃ) প্রতি মোনাজাতে এইভাবে কাঁদার কারন জিজ্ঞেস করা হলে তিনি উত্তরে বলেন, "আল্লাহ যে আমাকে এত বড় দায়িত্ব দিয়ে কী কঠিন পরীক্ষায় ফেলে দিলেন! আমার অধীনে একটি কুকুরও যদি না খেয়ে মারা যায়, আমাকেতো সেজন্যও আল্লাহর দরবারে জবাবদিহি করতে হবে। আমি সেদিন কী জবাব দেব?"
হজরত উমারের যেখানে একটি কুকুরের অনাহারে মৃত্যুর আশংকায় রাতের ঘুম হারাম হয়ে যেত, সেখানে আমাদের দেশে চৌদ্দটা অবলা নিরীহ কুকুরকে (যার বেশিরভাগই ছানা) জীবিত কবর দিয়ে ভিডিও করা হলো। আমাদের শাসকদের মন্তব্য কী?
আমার এক বন্ধু বাংলাদেশে গেলে প্রতিদিন সকালে কুকুরের কান্নার শব্দে তাঁর ঘুম ভাঙতো। খোঁজ নিয়ে দেখে প্রতিবেশীর ছয়টা কুকুরের বাচ্চা আছে। এবং এই বাচ্চাগুলো এবিউজের মাধ্যমেই তাদের দৈনন্দিন যাত্রা শুরু হয়। বন্ধুটা সবকটা কুকুরের বাচ্চাকে নিজের কাছে নিয়ে আসলো, অ্যামেরিকায়তো আনতে পারবেনা, তাই ওগুলোকে দেশের কিছু প্রাইভেট গ্রূপ, যারা এনিমেল রাইট্স নিয়ে কাজ করে, তাঁদের হাতে দিয়ে আসলো। খুব অবাক হয়ে বলল, দেশে সরকারি পর্যায়ে কোন এনিমেল শেল্টার নেই!
"দেশের মানুষ যেখানে না খেয়ে মরে, সেখানে কুকুর নিয়ে আল্লাদি...." এইধরণের মন্তব্য শুনতে হয় প্রায়ই। আপনার পেটে খাবার জোটেনি, তাই বলে কে অধিকার দিয়েছে আপনাকে অন্য প্রাণীর উপর সেই শোধ তোলার? মহাত্মা গান্ধী বলে গেছেন, "কোন জাতির যদি স্বভাব জানতে চাও, তাহলে এইটা দেখ তাঁরা তাঁদের নিম্নশ্রেণীর প্রাণীর সাথে কেমন আচরণ করে।"
এখন বলেন, আমাদের স্বভাব অনুযায়ী আমরা কেমন জাতি?
কিছু প্রশ্ন দিয়ে শেষ করি।
দেশে এনিমেল রাইটস নিয়ে কোন আইন কী আছে? থাকলে সেটার লঙ্ঘনকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি কী? যদি থাকে, তাহলে তার প্রয়োগ দেখিনা কেন? যদি না থাকে তাহলে কিভাবে আমরা আইনের জন্য দরখাস্ত করতে পারি? যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কিভাবে আকর্ষণ করা যাবে?
কুকুরগুলোকে জীবিত কবর দেয়ার ভিডিওটা আমি দেখিনি। সার্চ করলেই খুঁজে বের করতে পারবো, দেখলে গা শিউরেও উঠবে। কিন্তু আপলোডকারীওতো এটাই চাইছিল। তার ভিডিও যেন বেশি বেশি মানুষ দেখে। ইউটিউব তাহলে তাকে টাকা দিবে। পয়সা না পেলেও সে ফেসবুক সেলিব্রেটিতো হবেই। তার ভিডিওতে প্রচুর লাইক, ডিসলাইক ও কমেন্টের ছড়াছড়ি হবে।
আর তাছাড়া মানুষের এই পৈশাচিক বর্বরতা দেখতে ইচ্ছেও করেনা। আমরাই সৃষ্টির সেরা জীব, এই ধারণা নিয়ে আমরা একটা বাবলের মধ্যে বাস করি। কী দরকার সেই বাবল ফুটা করে?
মৃত্যুর পরে আল্লাহ অবশ্যই আমাকে জিজ্ঞেস করবেন, "তুমি এই অন্যায় ঘটনা হতে দেখেছিলে, কিংবা শুনেছিলে। তুমি তখন কী করেছিলে?"
আমি যেন বলতে পারি আমার ক্ষমতার যেটুকু সম্ভব আমি করেছি।
আল্লাহ বলতে পারেন, তোমার আরও কিছু করার ক্ষমতা ছিল।
আমি বলবো, আমি হয়তো বুঝতে পারিনি ইয়া আল্লাহ। আমাকে আমার অক্ষমতার জন্য মাফ করো।
কিন্তু মৃত্যুর আগে, আজকে বলছি, ইয়া আল্লাহ তোমার কাছে বিচার দিলাম, তোমার সৃষ্ট অবলা প্রাণীগুলিকে যারা বিনা অপরাধে কষ্ট দেয় - হয় তুমি তাদের হেদায়েত দাও, নাহয় এমন কঠিন কোন শাস্তি দাও যেন তাদের আশেপাশের লোকেরা এইরকম অন্যায় করবার আগে একশোবার চিন্তা করে।
খুবই কঠিন একটি দোয়া করলাম। এর আওতায় আমিও পরে যেতে পারি। যদি তাই হয়, আল্লাহ যেন আমাকে এতটুকু সাবধানতা দান করেন যাতে আমার জানা মতে আমি বা আমার পরিবারের লোকজন, বা আমার বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজন প্রতিবেশীদের কেউই অবলা নিরীহ কোন প্রাণীর প্রাণনাশের কারন না হই।
বিঃদ্রঃ তামুর ভাই তাঁর কুকুরদের কতটা ভালবাসেন সেটা তাঁর "বিকু"কে নিয়ে লেখা ঘটনাতেই টের পাবেন। আমি বরং আমার একটা ইন্টারেস্টিং অব্জার্ভেশনের কথা বলি। রাঙামাটিতে যেদিন পাহাড় ধস হলো, রাত তিনটার সময়ে এই বিকুর চিৎকারেই আমাদের ভাবি ঘুম থেকে উঠে গিয়েছিলেন। তারপর দেখেন বাড়ি পানিতে ভেসে যাচ্ছে। এবং জেগে উঠেছিলেন বলেই তিনি সময় মতন নিজের বাচ্চাকাচ্চা এবং বিড়ালের ছানাপোনাসহ সবাইকে নিয়ে জীবিত ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে পেরেছিলেন। তাঁদের বাড়ি কিন্তু মাটিচাপা পরে গিয়েছিল। তাঁরা আল্লাহর সৃষ্ট একটি প্রাণীকে ভালবেসেছেন, হাদিস মতে যারা আল্লাহর আপনজন, সেই প্রাণীই ভয়াবহ দুর্যোগে তাঁদের প্রাণ রক্ষার উসিলা হলো।
জ্বি, আল্লাহ এভাবেই তাঁর খেলা খেলেন। কারোর প্রাণ রক্ষা এইভাবে যেমন হয়, কারোর প্রাণহরণও তেমনভাবেই হতে পারে।
২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১১
হাফিজ হুসাইন বলেছেন: . আপনার লেখাটুকু পড়লাম। একজন সামান্যতম ইসলামিক স্কলার হয়ে এতটুকু বলতে পারি ইসলামে কুকুর পালন নিরুৎসাহিত করা হয়েছে এরকম কয়েকটি কারণ যেমন, (১) এর মুখের লালা নাপাক। (২) সাধারণত এরা নাপাকি খায়, যেমন, ময়লা আবর্জনা। ইত্যাদি।( বাংলাদেশী কুকুর) আমেরিকার কুকুর কী খায় তা বলেন নি। (৩) অথবা কুকুর সত্তাগতভাবে নাপার এর কারণে। (৪) কিংবা কুকুরের লালার মাধ্যমে বিষক্রিয়া ছড়াতে ইত্যাদি কারণে।
কিন্তু এর পরেও কুকুর পালার অনুমতি অাছে বাড়িঘর পাহারা দেয়ার জন্য। এবং এ প্রাণী শুধু নয় ইসলামে সব প্রাণীর সাথেই ভালো আচরণ আর তাকে কষ্ট না দেয়ার কথা ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে আদেশ করা হয়েছে। তাতো সুলাইমান ( আঃ) এর ব্যবহার দ্বারাই প্রমান করেছেন।
তাই যারা এ ধরনের কাজ করেছে তাদের কঠিন শাস্তির দাবী জানাই।
কিন্তু লেখক লজিক্যালি বিষয় টা বুঝাতে গিয়ে উপরের দিকে কুরআন আর হাদিসের যেভাবে উপস্থাপন করেছেন তা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:০৯
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আপনার শেষ লাইনগুলো বুঝিনি ভাই।
৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৫০
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনার এই সুন্দর আর প্রয়োজনীয় লেখাটায় ""কুত্তা পালা হারাম" - মতবাদে বিশ্বাসী মুমিন মুসলিমরা রাস্তা দিয়ে আসতে যেতে কুকুরগুলোকে খোঁচাখুঁচি করে " -এই লাইনটা না লিখতেই চলতো না ? বাংলাদেশের মতো একটা দেশে যেখানে মানুষ প্রতিদিন থাকে অভাব অভিযোগের মধ্যে আর অনিশ্চয়তায় সেখানে যেকোনো প্রাণীর ব্যাপারে মানুষ নিস্পৃহ হতেই পারে | এখানে আমেরিকার মতো এনিম্যাল কনশাসনেসতো থাকার কোনো কারণ নেই | এর সাথে ইসলামকে জড়িয়ে দেওয়াটা দুর্বোধ্য লাগলো |
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:০৮
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ইসলামকে এই কারণেই জড়ালাম কারন যারা ঐ কাজগুলো এখনও করছে, তারা ইসলামের নাম ভাঙিয়েই করছে।
আর "বাংলাদেশে যেখানে অজস্র প্রব্লেম সেখানে অন্য প্রাণীর প্রতি অসহিষ্ণুতা স্বাভাবিক" জাতীয় যুক্তি অত্যন্ত ফালতু। আমি খারাপ আছি তাই বলে আল্লাহ বলেননি অন্যের সাথে খারাপ আচরণ করতে। আমি খারাপ আছি, এইটা আল্লাহর পরীক্ষা, এইটা দেখতে যে আমি তারপরেও অপর প্রাণীর সাথে কেমন আচরণ করছি।
৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:২১
টারজান০০০০৭ বলেছেন: হাফিজ হুসাইন বলেছেন:কিন্তু লেখক লজিক্যালি বিষয় টা বুঝাতে গিয়ে উপরের দিকে কুরআন আর হাদিসের যেভাবে উপস্থাপন করেছেন তা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এ দেশের দিন দুপুরে যে ভাবে প্রতিদিন মানুষ খুন আর গুম হয়ে যাচ্ছে তারই বিচার হয় না।
আর সামান্য প্রানী কুকুরের জন্য কি আর বিচার হবে?
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:০৯
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: এইটাই আফসোস।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০০
প্রামানিক বলেছেন: মৃত্যুর আগে, আজকে বলছি, ইয়া আল্লাহ তোমার কাছে বিচার দিলাম, তোমার সৃষ্ট অবলা প্রাণীগুলিকে যারা বিনা অপরাধে কষ্ট দেয় - হয় তুমি তাদের হেদায়েত দাও, নাহয় এমন কঠিন কোন শাস্তি দাও যেন তাদের আশেপাশের লোকেরা এইরকম অন্যায় করবার আগে একশোবার চিন্তা করে।
চমৎকার দোয়া