নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মন মতন হলে ভাল, আর যদি মন মতন না হয়, তাহলে আরও ভাল।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৬

অমিতাভ বচ্চন তখন স্কুলের ছাত্র। স্কুলের নাট্যদলের তিনি তুখোড় অভিনেতা, আগের বছরই সেরা অভিনেতার ট্রফিটি তিনি পেয়েছেন। এইবছরও তিনিই পাবেন এই ব্যাপারে তিনি মোটামুটি নিশ্চিত।
নাটক মঞ্চস্থ হবার আগের দিন তিনি অসুস্থ হয়ে স্কুলেরই হাসপাতালে শয্যাশায়ী হলেন। এবং তাঁর বিছানা এমন জায়গায় ছিল যে মঞ্চে কী ঘটছে না ঘটছে, দর্শক প্রতিক্রিয়া সবই স্পষ্ট শোনা যায়। একটি শিশুর জন্য ব্যাপারটি কতখানি মর্মবিদারক কল্পনা করতে পারেন?
প্যারেন্টস ডেতে নাটক মঞ্চস্থ হয়, তাঁর পিতাও এসেছেন পুত্রের সাথে দেখা করতে। নাটকের পুরোটা সময় পিতা পুত্রের শয্যাপাশেই ছিলেন। পুত্র নীরবে কেঁদেছে, পিতা তাঁর হাত ধরে বসেছিলেন। পুরো নাটক শেষ হবার পর তাঁর পিতা তাঁকে একটি কথা বলেন, যেটি অমিতাভ বচ্চন তাঁর সিনেমায়, বাস্তব জীবনে বহুবার ব্যবহার করেছেন। তাঁর পিতা সেদিন বলেছিলেন, "মন মতন হলে ভাল, আর যদি মন মতন না হয়, তাহলে আরও ভাল।"
পিতা ভারতখ্যাত কবি ছিলেন। কিন্তু তাঁর ভাষা তাঁর অতটুকু পুত্র বুঝতে পারেনি। শিশু অমিতাভ পিতাকে জিজ্ঞেস করেন, "কথাটা বুঝলাম না। মন মতন না হলে আরও ভাল কিভাবে হয়?"
পিতা ব্যাখ্যা করলেন , "তুমি তোমার মনের মতন কিছু পেয়ে গেলেতো খুবই ভাল, কিন্তু যদি সেটা না পাও, তাহলে মনে রেখো, সেটা ঈশ্বরের মন মতন ঘটছে, এবং ঈশ্বর কখনই তোমার মন্দ চাইবেন না।"
অমিতাভ বচ্চন রেডিও অডিশনে ফেল করেছিলেন, জীবনের প্রথম দিককার সব ছবিই ফ্লপ ছিল, ব্যর্থ মনোরথে তল্পিতল্পা গুটিয়ে বোম্বে থেকে ফেরত যাচ্ছিলেন। ট্রেন স্টেশনে তিনি জাঞ্জির সিনেমার প্রস্তাব পান। এবং বলিউডে নতুন ইতিহাস রচিত হয়। পরমেশ্বর চাইছিলেন তিনি "অ্যাংরি ইয়াং ম্যান" হবেন, তিনি লুতুপুতু মার্কা সিনেমায় নাম কামালে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতো?
হরিবংশ রাই বচ্চনের সেই বিখ্যাত উক্তিটাই কুরআন শরীফের সূরা বাকারায় আছে, "তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না।"
কেন এত কথা বললাম সেটার কারন হচ্ছে আজকে প্রথম আলোয় একটা নিউজ হেডলাইন দেখলাম, "তরুণীর বিয়ে, তরুনের আত্মহত্যা।" হেডলাইন শুনেই বুঝা যাচ্ছে ঘটনা কী, কাজেই বিস্তারিত লেখার কিছু নেই। কিছুদিন আগে ফেসবুকে পোলাপান খুব লাফালাফি করলো কোন এক আহাম্মক প্রেমের প্রস্তাবে রিজেক্টেড হয়ে নিজের পিরিতি জাহির করতে পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় ফেসবুকে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছে নিজের আবেগ। এতে আহ্লাদে গদগদ হয়ে অনেকেই বলেছে, "আহ কী কিউট! মেয়েটা কত লাকি! আমাকে যদি এমনভাবে কেউ ভালবাসতো!"
খুব কম মানুষ দেখলাম ব্যাপারটি যে একটি হ্যারাসমেন্ট ছাড়া কিছুই না, সেটা উপলব্ধি করেছেন।
বাংলাদেশী আইন ব্যবস্থায় সেই মেয়েটি ঐ ছেলের নামে মামলা ঠুকে দিতে পারতো। সেটিই উচিৎ ছিল। এইভাবে কোটি মানুষের সামনে তাঁকে অপমান করার মানে কী?
বিদেশী যেকোন মেয়েকে এই আহ্লাদীমার্কা গল্পটা শোনান, প্রথমেই সে বলবে, "ইয়ু.....He's a creepy dude!" তারপরেই বলবে, "এই পোলাতো একটা স্টকার, পুলিশে দেয়া উচিৎ।"
আমাদের দেশের বা বলিউডের সিনেমার প্রেমগুলোতে দেখায় বখাটে নায়ক নায়িকাকে উত্যক্ত করছে, মেয়েটা না করছে, এবং অবশেষে ছেলে এমন কিছু করে ফেলছে (রক্ত দিয়ে চিঠি, হাত কেটে ফেলা, আত্মহত্যার চেষ্টা করা ইত্যাদি) যেখানে মেয়েটি বুঝে যাচ্ছে এই ছেলেটিই তাঁর আসল প্রেমিক। তারপর হ্যাপিলি লিভ্ড এবার আফটার।
কিংবা বখাটে ছেলের সাথে ভাল মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে, এবং মেয়ে তাঁর আসল প্রেম দিয়ে বখাটেকে শুধরে ফেলছে।
কোন সিনেমায় দেখেছিলাম ধর্ষণ করে ফেলেছে নায়ক, এবং নায়িকা তাঁর ভালবাসা দিয়ে নায়ককে ভাল করে ফেলেছে।
একটি মেয়ে যখন না বলে দিয়েছে, প্রথম দুই একদিন সময় নিতে পারেন মেয়েটির মন জয় করতে। বোঝার চেষ্টা করুন কেন না করছে, যদি দেখেন মেয়েটি ভুল বুঝছে, তাহলেই কেবল সেটা ভাঙাবার চেষ্টা করুন। যদি দেখেন মেয়েটি জেনুইন, তাহলে ভাই বুদ্ধিমান ভাল মানুষের মতন সরে পড়ুন। অন্য কাউকে খুঁজে বের করুন যে ওসব গুনের জন্যই আপনার কদর করবে।
ধরা যাক, আপনার ধুম্রপানের অভ্যাসেই মেয়েটির আপত্তি। ছেড়ে দিতে পারবেন সিগারেট? তাহলে আগে ছাড়ুন, মেয়েটিকে তখন বলুন এখন সিগারেট টানেন না। দেখুন সে তাঁর মত বদলায় কিনা।
কিন্তু আপনার সবকিছুতেই মেয়েটির আপত্তি। তাহলে ঐ মেয়ের পিছনে যাওয়া আপনার উচিৎ না। জেনুইন থাকুন, আপনার জন্যও কেউ না কেউ অবশ্যই আছে।
উদাহরণ দেই।
স্কুল বয়সে আমার এক বন্ধু এক মেয়ের প্রেমে পড়লো। উথাল পাথাল প্রেম! বন্ধুটি দেখতে নায়কের মতন না হলেও নিখাদ ভাল মানুষ, মেয়েটিকে জান প্রাণ দিয়েই ভালবাসতো। কিন্তু ঐ বয়সী মেয়েদের আবার প্রায়োরিটি লিস্ট ভিন্ন থাকে। মেয়েটির প্রেম যে ছেলেটির সাথে হলো সে নিজের গাড়ি ড্রাইভ করে আসে, মেয়েটিকে নিয়ে দামি রেস্টুরেন্টে খেতে যায়, বিদেশ থেকে আসার সময়ে দামি গিফট আনে, নোকিয়া ৩১০০ মোবাইল সেট পর্যন্ত কিনে দিয়েছিল সেই ছেলে! ভাবা যায়? আমরা প্রথম মোবাইল সেট পেয়েছিলাম এইচএসসি পাশের পরে, তাও বাড়ি ছেড়ে দূরে আসায় বাবা মা যাতে খোঁজ রাখতে পারেন সেজন্য কিনে দিয়েছিলেন।
আমার মধ্যবিত্ত বন্ধুর খুব বেশি হলে ঐ পার্কে গিয়ে বাদাম খাওয়া পর্যন্তই সামর্থ্য হতো।
নিজের অসহায়ত্বে বুক ভেঙে গিয়েছিল, খুব কষ্ট পেয়েছিল, কিন্তু আত্মহত্যা বা এসিড নিক্ষেপ জাতীয় কুবুদ্ধি তাঁর মাথায় আসেনি, আমরা বন্ধুরাও আসতে দিইনি। এখানে বন্ধুদের একটা বড় ভূমিকা থাকে। যেমন আমাদের স্কুল জীবনের এক হট কাপলের (আমাদের স্কুলের ব্র্যাঞ্জেলিনা ছিল তাঁরা) ব্রেকাপের অনেক বছর পরে মেয়েটির বিয়ে হয়, মেয়ের বিয়ের ছবি ফেসবুকে আপলোড হয়, এবং এক বন্ধু সেই প্রেমিককে ট্যাগ করে বলে, "কিরে, বুকে কষ্ট হচ্ছে খুব? দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে? হিহিহি।" বাকি সব ছেলে মেয়ে সেই পোস্টে কমেন্টের পর কমেন্ট, বুঝিয়ে দেয়া তুই কত বড় লুজার যে তোর প্রেমিকার বিয়ে অন্য ছেলের সাথে হয়ে গেছে। এইটা নাকি পচানি, ফ্রেন্ডশীপে এইসব চলে। এইসমস্ত পোলাপানকে থাপড়াতে ইচ্ছে করেনা? এরাই আবার নিজেদের বন্ধু দাবি করে! এদের কারণেই অনেক ক্ষেত্রে পরদিন পত্রিকায় সংবাদ শিরোনাম হয়, 'তরুণীর বিয়ে, তরুনের আত্মহত্যা।'
তা যাই হোক, বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠে এক মেয়ের সাথে আমার ঐ প্রথম বন্ধুর প্রেম হয়। এই মেয়ের প্রায়োরিটি লিস্ট হচ্ছে, ছেলের বেশি টাকা পয়সা থাকতে পারবে না। কারন সে দেখেছে, বড়লোকের ছেলেরা নষ্ট হয় দ্রুত। চেহারা ম্যাটার করেনা, কারন হ্যান্ডসাম পোলাপান লুইচ্চা হয়। ক্যারেক্টার হতে হবে নিখাঁদ। স্বামী যদি ভাল মানুষ হয়, তাহলে দশ নম্বর বাসে ধাক্কাধাক্কি করে চড়েও সে জীবন কাটিয়ে দিতে পারবে। লুইচ্চা স্বামীর মার্সিডিজ বেঞ্জে সে থুথু মারে।
ব্যস, মিলে গেল। ছেলেটা এখন সুখেই আছে। আর ঐ স্কুল জীবনের প্রেমিকা কেমন আছে সেটা ঐ মেয়েই ভাল বলতে পারবে।
আমার জীবনের ঘটনাও সংক্ষেপে বলে ফেলি।
আমি যখন আমার সহপাঠী মেয়েটিকে ভালবাসার কথা জানালাম, সে স্পষ্ট করেই বলে দিল তাঁর বাবা মা যদি রাস্তা থেকে একটা ছাগল ধরেও এনে বলেন বিয়ে করতে, ও বিয়ে করে ফেলবে।
আমি তখন তাঁর পাশাপাশি তাঁর বাবা মায়ের মন জয়ের চেষ্টা চালালাম। আমার শ্বাশুড়ির কোন এক বিচিত্র কারনে আমার উপর কনফিডেন্স ছিল। কোন কারনে তিনি ভরসা রেখেছিলেন আমার কথায়। আমাদের বিয়ে সম্ভব হয়েছিল মূলত তাঁরই প্রচেষ্টায়।
এদিকে আমাদের ক্যানভাসের বিখ্যাত লেখক তানকিউল ভাইয়ের জীবনের গল্পটাও বলার লোভ সামলাতে পারছি না।
এক আত্মীয়া মেয়ের সাথে তাঁর প্রেম হয়েছিল। দুয়েক মাসের মাথায় মেয়েটির বাড়ি থেকে তাঁর বাড়িতে সেই মেয়ের বিয়ের কার্ড আসে। বেচারা ভাঙা বুক নিয়ে সেই মেয়ের বিয়ে খেয়ে এসেছেন। আমি বলেছি অতি উত্তম করেছেন। প্রেমিকা মিস হয়েছে এটাই একটা লস, রোস্ট মিস করে ক্ষতির পরিমান আরও বাড়াবেন কেন?
বিদেশে আসলে বুঝবেন দেশি বিয়েবাড়ির মুরগির রোস্ট কতটা অমৃত। তানকিউল ভাই এইবার নিউ ইয়র্কে আমাদের সেই দেশি রোস্ট খাইয়েছেন। আহ! I love this man!
তো যা বলছিলাম, মেয়ে যদি নিষেধ করে দেয়, হুদাই ছ্যাবলামি করে বেড়াবেন না। মেরুদন্ড শক্ত করেন, চেষ্টা করেন তাঁর চেয়েও ভাল মেয়ে খুঁজে বের করে গলায় মালা পড়াতে। কিংবা আপনার যেসব "গুণাবলীর" জন্য মেয়েটি আপনাকে ছেড়েছে, সেসব শুধরে আরও ভাল মানুষ হতে। যতদিন না পারছেন, ততদিন কেবল একটি কথা মনে রাখবেন, "মন মতন হলে ভাল, আর যদি মন মতন না হয়, তাহলে আরও ভাল।"
কিংবা, আল কুরআনের সেই বিখ্যাত বাণী, "তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না।" (বাকারা, ২১৬)

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১০

প্রামানিক বলেছেন: দারুণ লেখা

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৫৯

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ :)

২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৯

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: সুন্দর লেখা। ধন্যবাদটা দিয়েই দিলাম।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৫৯

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ :)

৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কোরআন হাদীস আর ইসলাম মেনে প্রেমটাই না করলে কী হয়? বিয়ের আগে প্রেমই বা করতে হবে কেন?

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৫৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ইসলামে প্রেমে পড়া হারাম না, হারাম হালাল নির্ভর করে কিভাবে আমরা সেটিকে হ্যান্ডেল করছি তার উপর।
হজরত খাদিজা নবীজির (সাঃ) প্রেমে পরেই তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। মুসা (আঃ) নবীর বিয়ের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার ঘটেছিল। মেয়ে প্রেমে পরে নিজের পিতাকে বলেন, এবং তারপর তাঁদের বিয়ে হয়।
ধন্যবাদ।

৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫১

ওমেরা বলেছেন: ইসলাম কি বিয়ের আগে প্রেম সাপোর্ট করে ? ন

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৫৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ইসলামে প্রেমে পড়া হারাম না, হারাম হালাল নির্ভর করে কিভাবে আমরা সেটিকে হ্যান্ডেল করছি তার উপর।
হজরত খাদিজা নবীজির (সাঃ) প্রেমে পরেই তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। মুসা (আঃ) নবীর বিয়ের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার ঘটেছিল। মেয়ে প্রেমে পরে নিজের পিতাকে বলেন, এবং তারপর তাঁদের বিয়ে হয়।
ধন্যবাদ।

৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮

আটলান্টিক বলেছেন: প্রেমিকা মিস হয়েছে এটাই একটা লস, রোস্ট মিস করে ক্ষতির পরিমান আরও বাড়াবেন কেন?
হা হা হা আপনার সেন্স অব হিউমার তো চরম :)
আপনি এই পোষ্টে বিদেশি মেয়েদের কে সাপোর্ট করে কথা বলেছেন কিন্তু তারাও তো কাপড় পাল্টানোর মত বয়ফ্রেন্ড পালটায়।সত্যিকারের ভালবাসা কোন দেশেই নাই

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক মতন মেয়ে ধরতে পারলে এরা থাকে। সাধারণত দেখা যায় বয়ফ্রেন্ডগুলোর ছোকছোকানি স্বভাবের জন্য ওরাও অন্য কোথাও ছোকছোক করে। আমার পরিচিতের মধ্যে যতজন বিদেশি বৌ বিয়ে করেছে, এখনও টিকে আছে। কিন্তু বিদেশী ছেলে বিয়ে করেছে, এমন মেয়েদের সংসার কম টিকেছে। বাঙালি স্বামীরা তাঁদের স্ত্রীদের বিদেশী স্বামীদের চেয়ে বেশি ভালবাসে বোধয়। একারনে বিদেশী স্ত্রীরা থেকে যায়।

৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন।


ধন্যবাদ ভাই মঞ্জুর চৌধুরী।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ :)

৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: শেষে কোরানের বানীটা আমার খুব প্রিয়।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আমারও।

৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২১

আল ইফরান বলেছেন: লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগলো।
আমি আমার কাছের লোকজনদেরকে এই ধরনের পরামর্শই দিয়ে থাকি। অযথা স্টকিং,ভালোবাসার পরিবর্তে বিরক্তি বয়ে নিয়ে আসে। আর বুদ্ধিমানরা কখনোই স্টকিং এর পর্যায়ে যায় না, সময়ের জন্য অপেক্ষা করে। আর সেই সময় যদি না আসে তাহলে বুঝে নিতে হয় সেই মেয়ে আসলে আমার কপালে নাই।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৯

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫

সাইন বোর্ড বলেছেন: জীবন থেকে নেওয়া অভিজ্ঞতা, দারুণ বর্ণনা করেছেন ।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২২

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!

১০| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

খাঁজা বাবা বলেছেন: দামি কথা। ভাল লাগল

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২২

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.