নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেসবুকে জ্বালাময়ী স্ট্যাটাসের মধ্যে দেশপ্রেম কিংবা ধর্মজ্ঞান সীমাবদ্ধ না রেখে দেশের মানুষের অ্যাকচুয়াল উপকারে এগিয়ে আসুন, তাইলে কাজের কাজ কিছুটা হলেও হবে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১২

মুসা (আঃ) নবীর জীবনের একটি ঘটনা আমি বারবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলি, আমার খুব ভাল লাগে। নবীদের জীবনীইতো আছে আমাদের জীবনের সাথে মিলিয়ে তুলনা করার জন্য। এরচেয়ে বড় শিক্ষাতো আর কিছু নেই। যদিও জানি, এই ঘটনা জানেনা পৃথিবীতে এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। তবে এই এঙ্গেল থেকে কয়জন দেখেন, সেটা অবশ্য নিশ্চিত নই।
গরিব ঘরে জন্মালেও মুসা (আঃ) বড় হয়েছেন ফেরাউনের রাজপ্রাসাদে, রাজপুত্রদের সাথে, তাদেরই একজন হয়ে। ফেরাউন তখনকার সময়ের বিশ্বের সর্বশক্তিমান ব্যক্তি, পৃথিবীর সব আভিজাত্য তার প্রাসাদের মেঝেতে লুটায়। এমনসময় একদিন ,মুসার (আঃ) হাতে দুর্ঘটনাবশত ফেরাউনের এক সৈনিক নিহত হয়। সে গোলাম এক ব্যক্তির সাথে দুর্ব্যবহার করছিল, মুসা (আঃ) বাঁধা দিতে গেলে সে উল্টো মুসার উপরই চড়াও হয়, এবং সেল্ফ ডিফেন্স করতে গিয়ে মুসা কেবল একটি ঘুষি মারেন, এতেই সিপাহী খতম। নিজের পেশী শক্তির ব্যাপারে এর আগে মুসার (আঃ) কোনই ধারণা ছিল না।
যাই হোক, ফেরাউনের লোক হত্যার শাস্তির ভয়ে মুসা (আঃ) তখন দেশ ছেড়ে দিলেন। তখনও তিনি নবী না, একজন সাধারণ মানুষ।
ও ভাল কথা, ততক্ষনে তিনি জেনে ফেলেছেন তিনি ফেরাউনের পুত্র নন, তিনি আসলে বনি ঈসরাইল, মানে ফেরাউনের গোলাম সম্প্রদায়ের এক ঘরে জন্মেছিলেন। ফেরাউন যাদের দাবিয়ে রেখেছে বছরের পর বছর। এমনই ছিল সেই দমন পীড়ন যে তার সেনারা তাঁদের বাড়িতে এসে তাঁদের শিশুদের হত্যা করে গিয়েছে, অথচ কেউ একটা টু শব্দ পর্যন্ত করতো না। একটু গভীরভাবে চিন্তা করুন, কোণঠাসা মানুষ কিন্তু নিজের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রত্যাঘাত করে। আমরা যেমন একাত্তুরে থ্রি নট থ্রি রাইফেল নিয়ে অটোমেটিক মেশিনগানের বিরুদ্ধে নেমে গিয়েছিলাম। এখানে কেউ কিচ্ছু করেনি। মানসিক নির্যাতনে কতটা ট্রমাটাইজ্ড হলে মানুষ এমন নির্জীব হতে পারে!
যাই হোক, রাজধানী ছেড়ে মুসা (আঃ) একদম কপর্দকশূন্য হয়ে এক নতুন অঞ্চলে এলেন। আটদিন ধরে শুকনো পাতা চিবিয়ে কোনমতে ক্ষুধা মিটিয়ে তৃষ্ণার্ত, ক্ষুধার্ত, ক্লান্ত অবস্থায় এক গাছের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, এমন সময়ে তিনি দেখেন সেখানে এক বড় কুয়ার সামনে অনেক ভিড়। লোকজন নিজেরা পানি নিচ্ছে, নিজেদের সাথে পশুপালকে খাওয়াচ্ছে। নবী (আঃ) এও লক্ষ্য করলেন যে অদূরেই দুইটি কিশোরী কন্যা তাঁদের মেষপাল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। চেহারা দেখেই বুঝা যায় এরা দুইজন বোন। এত লোকের ভিড়ে তাঁরা সামনে এগুবার সাহস করছে না।
ভিড়ের লোকগুলো নিজেদের পানির ব্যবহার শেষে ঠেলাঠেলি করে কুয়ার মুখটা একটা ভারী পাথর দিয়ে ঢেকে দিয়ে গেল। মেয়ে দুটি অসহায় তাকিয়ে দেখলো, কিছু বললো না।
মুসা (আঃ) এগিয়ে গেলেন। জিজ্ঞেস করলেন তাঁদের কিছু লাগবে কিনা।
মেয়ে দুটি জানালো তাঁদের বাবা অতিশয় বৃদ্ধ, এবং তাঁদের কোন ভাই নেই যে এইসব কর্মকান্ডে তাঁদের সাহায্য করবে। তাই তাঁরা দুই বোন এখানে এসেছে বাড়ির জন্য যদি খানিকটা পানি নেয়া যায়।
মুসা (আঃ) তখন ঠ্যালা ধাক্কা দিয়ে একাই কুয়ার সেই পাথরের ঢাকনা সরিয়ে দিলেন। তারপর মেয়ে দুটির জন্য পানি তুলে দিলেন, তাঁদের মেষপালকে পানি খাওয়ালেন। নিজেও গলা ভিজিয়ে নিলেন। তারপর মেয়েগুলোকে বললেন, ভারী পানির পাত্র বয়ে নেয়ার দরকার নেই, তিনিই এই কাজটি করে দিবেন।
এবং যাওয়ার আগে কুয়ার মুখ ঢেকে দিতে ভুললেন না।
এখন এই ঘটনার মূল বিষয়টা আলোচনায় আনা যাক।
মুসা (আঃ) একদম নিঃস্ব অবস্থায় রাজধানী ছেড়েছিলেন। তিনি বড় হয়েছেন আভিজাত্যের প্রাচুর্যে, এবং কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই তাঁর জীবন থেকে সব প্রাচুর্য কেড়ে নেয়া হলো। এই সময়ে তাঁর নিজেরই অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের জন্য অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন, অন্যকে সাহায্য করারতো প্রশ্নই উঠেনা। তিনি তারপরেও তাঁর সামর্থ্যে যা আছে, মানে পেশী শক্তি, তাই নিয়ে তিনি সেই দুইটি মেয়ের সাহায্যে এগিয়ে এলেন। বলতে পারতেন, "তোমাদের পানি তুলে দেব, কিন্তু বালতি প্রতি দুইটাকা দিতে হবে।"
কাজটা অন্যায় হতো না হয়তো, কিন্তু তিনি বিনিময়ে কেবল দুইটা টাকাই পেতেন। তাঁর ফ্রী চ্যারিটি সার্ভিসের জন্য মুসা (আঃ) কী পেয়েছিলেন সেটা বলার আগে কুরআনের কিছু বিখ্যাত আয়াত মনে করিয়ে দেই। আয়াতুল কুর্সির আগে পরের কিছু আয়াত যা দান খয়রাত বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তবে আমার সবচেয়ে প্রিয়গুলো হচ্ছে, "এমন কে আছে যে, আল্লাহকে করজ (ঋণ, loan) দেবে, উত্তম করজ; অতঃপর আল্লাহ তাঁকে দ্বিগুণ-বহুগুণ বৃদ্ধি করে দিবেন। (২:২৪৫)"
মানে হচ্ছে, আল্লাহর নামে টাকা ব্যয় করা মানেই আল্লাহকে ঋণী করে ফেলা। এবং আল্লাহ সেই ঋণ অবশ্যই বহুগুন হিসেবে ফেরত দিয়ে ঋণমুক্ত হবেন।
"যারা আল্লাহর রাস্তায় স্বীয় ধন সম্পদ ব্যয় করে, তাঁদের উদাহরণ একটি বীজের মত, যা থেকে সাতটি শীষ জন্মায়। প্রত্যেকটি শীষে একশ করে দানা থাকে। আল্লাহ অতি দানশীল, সর্বজ্ঞ।
যারা স্বীয় ধন সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে, এরপর ব্যয় করার পর সে অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে না এবং কষ্টও দেয় না, তাদেরই জন্যে তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে পুরস্কার এবং তাঁদের কোন আশংকা নেই, তাঁরা চিন্তিতও হবে না।
নম্র কথা বলে দেয়া এবং ক্ষমা প্রদর্শন করা ঐ দান খয়রাত অপেক্ষা উত্তম, যার পরে কষ্ট দেয়া হয়। আল্লাহ তা’আলা সম্পদশালী, সহিঞ্চু।" (২:২৬১-২৬৩)
খুবই গুরুত্বপূর্ণ আয়াত। এর পরের আয়াতটিতেই আল্লাহ ব্যাখ্যা করেছেন দান করে শো অফ করা কিংবা উপকার করে পরে সেটা নিয়ে খোটা দেয়া কতটা ছোটলোকিপনা। আমাদের সমাজে যেটি খুব কপটভাবে দৃশ্যমান।
"শৈবাল দিঘিরে বলে উচ্চ করি শির, লিখে রাখো এক ফোঁটা দিলাম শিশির" টাইপ কেস আর কি। একটাকার সাহায্য করে এক হাজার টাকার কথা শোনানো। এরচেয়ে উপকার না করাই ভাল।
এবং তারপরেই সেই গ্র্যান্ড আয়াত যেখানে মুসলমানদের জন্য আসে ঈমানী পরীক্ষা, "শয়তান তোমাদেরকে অভাব অনটনের ভীতি প্রদর্শন করে এবং অশ্লীলতার আদেশ দেয়। পক্ষান্তরে আল্লাহ তোমাদেরকে নিজের পক্ষ থেকে ক্ষমা ও বেশী অনুগ্রহের ওয়াদা করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সুবিজ্ঞ।" (২:২৬৮)
মানে হচ্ছে, আপনি যখনই কারোর উপকার করতে চাইবেন, শয়তান আপনার মনের ভিতর ভয় ঢুকিয়ে দিবে। "আমার নিজেরইতো অভাব, সামর্থ্য নেই সাহায্য করার। দশটা টাকা ব্যয় করলে আমি গরিব করে যাব। আমার যখন অভাব হবে, তখন কে আসবে আমার পাশে এসে দাঁড়াতে? আমার বাচ্চাদের কী হবে? আমার বৌয়ের কী হবে? আমার সংসার!"
অথচ আল্লাহ প্রকাশ্যে বলছেন তিনি টেক কেয়ার করবেন। এই দশটাকা দ্বিগুন, দশগুন বহুগুন হয়ে ফেরত আসবে। আপনি বুঝতেই পারবেন না কোনদিন থেকে কিভাবে টাকাটা আসলো।
আল্লাহ এবং শয়তানের ডিরেক্ট দ্বন্দ তুলে ধরা হয়েছে। এখন আপনি কার কথা বিশ্বাস করবেন?
আমি এই যে কিছুদিন আগে আরেকটি শিশুর হার্টের অপারেশনের জন্য সাহায্যের আবেদন চাইলাম, প্রথবারের মতন তেমন কোন সাড়া কিন্তু পেলাম না। দুইশ লাইকও হয়নি, শেয়ার কতটুকু হয়েছে কে জানে। আন্টির বিকাশে জমা পড়েছিল মাত্র সতেরোশো টাকা। যেখানে সিন্থিয়ার (প্রথম শিশু) সাহায্যের আহ্বানের প্রথম ঘন্টাতেই বিকাশ নম্বর জ্যাম হয়ে গিয়েছিল।
আমি কিন্তু হতাশ হইনি, জানতাম এইবার ভিন্নখাত থেকে টাকা আসবে। এলোও তাই। এক ভাই সাহায্য দেবার জন্য তাঁর অফিসে আড্ডা দেয়ার ফাঁকে আমাকে সেটাই বলছিলেন। বলছিলেন, "তুমি তোমার কাজ করে যাও - দেখবা আল্লাহ সিস্টেম করে ফেলেছেন।"
সেইদিনই হাত কাটা রাজীবের মৃত্যু সংবাদ শুনেছিলাম। বলছিলাম তাঁর ভাইদের জন্য মায়া লাগছে খুব। কিছু একটা যদি করা যায়।
বড় ভাই বললেন, "আমার বাবা বিয়াল্লিশ বছর বয়সে মারা যান, আমার মা তখন অকাল বিধবা। আমরা পাঁচ ভাইবোন বড় হয়ে ঠিকই মানুষ হয়েছি। আল্লাহ ঠিকই ব্যবস্থা নিবেন, তুমি দেখো।"
এবং তারপরই দেখি অনন্ত জলিল ঘোষণা দিয়ে দিলেন তিনি সেই বাচ্চাগুলোর ব্যবস্থা নিতে চান।
আমার কাছে এইবার অনেকেই আফসোস করে বলেছেন, "ভাইয়া, তেমন সাহায্য করতে পারছি না, স্যরি, মাত্র এত টাকা পাঠাতে পারছি।" তাঁকে কিভাবে বুঝাই এই দশ বিশ টাকাও যে সেই ছেলেটির চিকিৎসার দুই-তিন লাখ টাকার জন্য অনেক! এই দশ বিশ না জমলে দুই-তিন লক্ষ হতো কিভাবে? এর মূল্য উপরওয়ালার দরবারে যে কী, সেটা তাঁরা নিজেরাও জানেন না।
যাই হোক, শিশুর চিকিৎসার জন্য টাকা উঠে গেছে। আলহামদুলিল্লাহ। আপাতত শিশুটির ভয়াবহ চর্মরোগ আছে, এন্টিবায়োটিকের উপর রেখেছেন ডক্টর। ডোজ শেষ হলেই ইন শা আল্লাহ তাঁর অপারেশন হয়ে যাবে। আপডেট দেব। সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ! আপাতত আর টাকা পাঠাতে হবেনা। স্ট্যান্ড বাই থাকেন, পরবর্তীতে আবারও এইরকম আরেকটা বাচ্চাকে চিকিৎসা করাতে আপনাদের কাছেই হাত পাতবো। মাসে দুই মাসে বা বছরে একটি করে শিশুর জীবন বাঁচাতে পারার মাধ্যম হবার সৌভাগ্য কয়জনের হয়?
মন হতাশ হলেই ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে গিয়ে দেখুন, কত শিশু আপনার সাহায্যের জন্য অপেক্ষারত আছে। দেখবেন, মন ভাল হয়ে গেছে।
ভাবছেন গরিব হয়ে যাবেন? ট্রাস্ট মি, হবেন না। আমি এই কিছুদিন আগেও একটা এপার্টমেন্টে ভাড়া থাকতাম। আমার বৌ তিন চার ঘন্টা বাস বদল করে করে কাজে যেত। ওর কাজ শেষ হতো সন্ধ্যা সাতটায়, আমার কাজ শেষ হতে হতে রাত সাড়ে দশটা। বেচারি সারাটাক্ষণ একজনের বাড়িতে বসে থাকতো, আমি কাজ শেষে পুরানো টয়োটা গাড়িতে করে তাঁকে আনতে যেতাম। তাও এমন গাড়ি যা একটানা একঘন্টা চললেই ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তার পাশে পার্ক করে আধা ঘন্টা বিশ্রাম দিয়ে তারপর আবার চালু করতে হয়।
তারপর তাঁর কাজ হলো বাড়ির পাশেই, তখন পায়ে হেঁটে কাজে যেতে পারে। কিন্তু হাঁটা পথেও আধা ঘন্টা। তারপর আমরা আরেকটা গাড়ি কিনলাম। এটিও পুরানো, কিন্তু আগেরটার চেয়ে কিছুটা ভাল কন্ডিশনের।
তারপর আমারও কাজ বদল হলো। একদিন সাহস করে শোরুম থেকে লেটেস্ট মডেলের গাড়ি কিনে ফেললাম। ফকিরা গাড়ি থেকে একদম আপটু ডেট গাড়িতে চলে আসায় প্রথম প্রথম অসুবিধাও হচ্ছিল। গাড়ির কিছু গ্যাজেট কিভাবে কাজ করে এখনও (তিন বছর হয়ে গেল) জানিনা। জানার প্রয়োজনও নেই। আমার যে গাড়ি ঠিক মতন পয়েন্ট এ থেকে পয়েন্ট বিতে পৌঁছে দেয়, এবং এসি, হিটার ইত্যাদি ঠিকঠাক মতন কাজ করে, এতেই চলে যায়।
আজকে মাশাল্লাহ আমাদের কোন কিছুর অভাব নেই। কতদিনের মধ্যে এতকিছু ঘটেছে জানেন? চার বছরেরও কম সময়। বললাম না, আল্লাহকে লোন দিলে টাকা কতগুণ হয়ে কোনদিক থেকে আসবে কল্পনাও করতে পারবেন না।
একটা মজার বিষয় শেয়ার করি।
আগের বছরগুলোতে দান করার সময়ে আমি জানতাম প্রমোশন হবে, এবং বেতন বাড়বে। ঐ পথেই টাকা ফেরত আসবে।
কিন্তু গতবছর নতুন পজিশনে আসার পর জানতাম এখন থেকে প্রমোশন একটি ধীরে ধীরে হবে। এই বছর যে হবেনা এইটাতো নিশ্চিত। তাহলে দানের টাকা ফেরত আসবে কিভাবে?
দেখা গেল আমাদের পরমশ্রদ্ধেয় ডোনাল্ড ট্রাম্প সাহেব ট্যাক্স নিয়ে কিছু কাটাছেঁড়া করেছেন। এতে লাভের মধ্যে লাভ এই হলো যে আমার কম ট্যাক্স কাটা হতে লাগলো, পকেটে বেতনের ক্যাশ টাকা একটু বেশি আসতে শুরু করলো। হিসাবানুযায়ী আল্লাহ ঠিকই ফেরত দিলেন।
মুসা (আঃ) নবীও আল্লাহর উপর ভরসা রেখেছিলেন। সেই এক উপকারে তিনি ঐ দুই বোনের একজনকে স্ত্রী হিসেবে পান, তাঁর শ্বশুরের ফার্মে চাকরি পান, ঘর পান, সংসার পান। রাজবাড়ী থেকে ওভারনাইট হোমলেস থেকে আবারও ওভার নাইট গৃহস্থ হয়ে গেলেন। সবই সময়ের খেলা।
উপরে গেল দান খয়রাতের ধর্মীয় দিক।
এইবার আসা যাক সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গিতে।
অনেককে অনেক দেশপ্রেমের বাণী শোনাতে দেখি, অমুক তমুক চমৎকার সব কথা, কিন্তু দেশের মানুষের জন্য প্র্যাকটিক্যাল প্রয়োজনের সময় আসে, তখন দেখি পোলাপান নানান বাহানায় পিছলানোর চেষ্টা করে। তখন নানান অজুহাত শুরু হয়ে যায়, ও আওয়ামীলীগ করেনা, ও ছাগু, সে মুক্তমনা, ও হিন্দু, অমুক অমুসলিম ইত্যাদি নানান ক্যাটাগরিতে ফেলে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। মানবতাবাদের দাবিদার যখন নিজ স্বার্থে মানব সন্তানকে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করার চেষ্টা করে, তখন ইচ্ছা করে মন খুলে থুথু দেই তাদের মুখে। আর কাজটা যখন কোন মুসলিম করে, তখনতো থুথুর পাশাপাশি ইয়েও করে দিতে ইচ্ছে হয়। এক আদমের সন্তান হয়ে মানুষে মানুষে ভেদ সৃষ্টি করার সাহস পায় কিভাবে?
সহজ কথায় বলতে গেলে ফেসবুকে জ্বালাময়ী স্ট্যাটাসের মধ্যে দেশপ্রেম কিংবা ধর্মজ্ঞান সীমাবদ্ধ না রেখে দেশের মানুষের অ্যাকচুয়াল উপকারে এগিয়ে আসুন, তাইলে কাজের কাজ কিছুটা হলেও হবে। আপনি সুখী হবেন, একটা প্রাণ রক্ষা পাওয়ায় আরও অনেকেই সুখী হবে। একদিন দেখবেন আমরা সবাই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী দেশটির নাগরিক হয়ে গেছি।
ধন্যবাদ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.