নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
এমনটা কী প্রায়ই হয় না যে আমরা কোথাও ভাল কিছু খেলে মনে মনে ভাবি "ইশ! যদি নিজের পরিবারের লোকজনদের নিয়ে এটা খেতে পারতাম!"
প্রায়ই দেখা যায় ক্ষুধা জর্জরিত কোন মহিলাকে মাংস খেতে দিলে তিনি লুকিয়ে একটু আধটু নিয়ে যান বস্তিতে অবস্থানরত তাঁর সন্তানের জন্য।
কেন হয় এইটা?
ভালবাসা বিষয়টাই এমন অদ্ভুত এবং রহস্যময়। নিজের পাশাপাশি নিজের প্রিয়জনদেরও মঙ্গল কামনা করা হয়।
আবার একই সাথে, কেউ কী কখনও নিজের পরম পছন্দের কিছু নিজের শত্রুর জন্য নিয়ে যায়? কখনও কী এমন হয় যে আপনি হোটেল সোনারগাঁয়ের পেস্ট্রি খাচ্ছেন, এবং তখনই আফসোস করছেন, ইশ, মোতালেবও যদি এই পেস্ট্রি খেতে পারতো!
মোতালেব হচ্ছে সেই ছেলে যার কারনে জরিনা নামের মেয়েটির সাথে আপনার সেটিং হতে পারেনি।
না। আমরা শত্রু, বিশেষ করে যাদের ঘৃণা করি, তাদের জন্য মঙ্গলময় কিছু কখনই কামনা করি না। মানব চরিত্রের মধ্যে এটি নেই।
যদি কেউ জোর করে এমনটা চাপিয়ে দিতে চায়, সেই নির্দেশ মেক সেন্স করবেনা। মুখ থুবড়ে পড়বে।
উপরের কথা পরিষ্কার হয়েছেতো? সবাই একমততো?
তাহলে এইবার একটি মহাগুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আসা যাক।
মুসলিমদের জন্য আল্লাহর নবীর (সঃ) একটি স্পষ্ট নির্দেশ আছে (বুখারী ৩৪৬১), "প্রচার করো, যদি সেটি একটি আয়াতও হয়ে থাকে।"
আমাদের ধর্মে দ্বীনের দাওয়াতের ব্যাপারে প্রচন্ড উৎসাহ দেয়া হয়। মানে মুসলিমদের পাশাপাশি বিধর্মীদের কাছেও ইসলামের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়। তাঁরা যদি আপনার মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন, তাহলে তাঁর নিজের, তাঁর বংশধরদের যত সওয়াব হবে, সব তাঁদের পাশাপাশি আপনিও পাবেন। কিংবা কেউ যদি আপনার পরামর্শ শুনে একটি ভাল কাজ করে, সেই ভাল কাজের যত বেনিফিট আছে, ঐ ব্যক্তির পাশাপাশি সব আপনি পাবেন। একটি বীজের মতন। সেখান থেকে জন্ম নেয় একটি গাছ। সেই গাছে জন্ম নেয় হাজারো ফল। প্রতিটা ফলে লুকানো থাকে বীজ। এবং এইভাবেই চলতে থাকে।
তা, আপনাকে যদি বিধর্মীদের প্রতি বিদ্বেষ করতেই নির্দেশ দেয়া হয়, তাহলে কোন লজিকে ইসলাম, যা মুসলিম মাত্রই জানেন এটিই তাঁর সবচেয়ে বড় সম্পদ, সেই ইসলামকে ভাগাভাগি করতে বলা হচ্ছে জগতের সকল মানুষের সাথে? উপরে বর্ণিত মানব চরিত্র এপ্লাই করলে এইটা কমনসেন্সের বিষয় যে কোন অবস্থাতেই আপনি কোন মানুষকে ঘৃণা করতে পারবেন না। কোন অবস্থাতেই না।
হাদিস কুরআনের উদাহরণ না দিলে পাবলিক আবার বিশ্বাস করতে চায় না। কাজেই শুরু করলাম।
নবী (সঃ) ওহী নাজেলের সাথে সাথে কাদের কাছে ধর্মপ্রচার শুরু করলেন? খাদিজা, আলী, আবুবকর, যাইদ, সবাই তাঁর একান্ত আপনজন। নিজের পরিবারের লোকজনদের কাছে ইসলাম প্রচার করার পরে তিনি ধীরে ধীরে দূরের লোকেদের দিকে এগোলেন। নিজের চাচা আবু তালিব ইসলাম গ্রহণ না করেই মৃত্যুবরণ করলে যে কারনে তিনি সবচেয়ে বেশি আপসেট হন। যেমনটা পছন্দের জিলাপি নিজের বাচ্চাকে খাওয়াতে আনার পরে দেখলেন শিশুটি সেটা মাটিতে ছুড়ে ফেলেছে। সহজ উদাহরণ দিচ্ছি, যাতে বুঝতে সুবিধা হয়।
গেল নবীর উদাহরণ।
এইবার আসা যাক আমাদের দেশের ওয়াজ মাহফিলের আলেমদের ক্ষেত্রে। যারা কিনা ইসলামকে নবীর চেয়ে বেশি বুঝে বসে আছেন।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এসব ওয়াজে বিধর্মীদের প্রতি ঘৃণা ছড়ানো হয়। ইহুদিরা এই করেছে, খ্রিষ্টানরা ঐ করেছে। এবং হিন্দুরা সেই করেছে। কাজেই আমাদেরও এই ঐ সেই করতে হবে।
উপরের বর্ণনা অনুযায়ী কমন সেন্স এপ্লাই করলে এরা সহজেই বুঝতে পারতো, জোর করে ধর্ম চাপিয়ে দেয়ার নিয়ম ইসলামে নেই। তুমি যাকে বেশি ভালবাসো, সে যদি বিধর্মী হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই তাঁর জন্য বেস্ট গিফ্ট যা আপনি দিতে পারেন, তা হচ্ছে ইসলাম।
ইব্রাহিমের দোয়ার কথা মনে আছে? "হে আল্লাহ, তুমি আমার বংশকে তোমার প্রেরিত পুরুষদ্বারা গর্বিত করো।"
তাঁর একটার পর একটা জেনারেশনে নবী জন্ম নিয়েছেন।
মুসা নবী আল্লাহর কাছে নিজের ভাইকে (হারুন) নবী বানিয়ে দিতে দোয়া চাইলেন।
যেকারনে ইসলামানুযায়ী কোন পিতার নিজ সন্তানদের জন্য করা শ্রেষ্ঠ দোয়া বলা হয় ইব্রাহিমের (আঃ) দোয়া, এবং কোন ভাইয়ের করা শ্রেষ্ঠ দোয়া হজরত মুসার (আঃ)। কেন তাঁরা এমনটা করলেন? নিজের আপনজনদের ভালবাসেন বলেই। কমন সেন্স!
আচ্ছা, এইবার আসা যাক ইহুদি নাসারাদের ব্যাপারে।
হজরত উমার (রাঃ) যখন জেরুসালেম দখল করেন, তখন মুসলিমদের পাশাপাশি কারা বেশি খুশি হয়েছিলেন জানেন? ইহুদি এবং রোমান ক্যাথলিক বাদে অন্যান্য শাখার খ্রিষ্টানরা। কারন রোমানরা নিজেদের ধর্ম দিয়ে প্রতাপের সাথে শাসন করতো নিজেদের সাম্রাজ্য। অন্যান্য বর্ণের খ্রিষ্টানদের দমিয়ে রাখলেও ইহুদিদের একেবারেই কোনঠাসা করে রাখতো। ওদের জেরুসালেমে মন্দির গুড়িয়ে দিয়েই শান্তি পায়নি, ওটাকে আস্তাকুঁড় হিসেবে ব্যবহার করতো।
উমার (রাঃ) প্রথমে জেরুসালেমের চাবি নিলেন, নগরীর গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে গেলেন চার্চ অফ দ্য হোলি সাপালকারে। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, এখানেই যীশুকে (আঃ) ক্রুসিফাই করা হয়েছিল। "হোলিয়েস্ট অফ দ্য হোলি" বলে যদি কোন স্থান থেকে থাকে, এটি তাঁদের কাছে সেটি।
উমার (রাঃ) ঘুরে ফিরে দেখেন, এবং তখন আসরের নামাজের সময় হয়ে যায়।
খ্রিষ্টান ধর্মগুরুগণ তাঁকে অনুরোধ করেন, তিনি যেন চার্চেই নামাজ পড়েন।
উমার (রাঃ) বিনয়ের সাথেই বলেন, "আমি আমার ফলোয়ারদের চিনি। আজকে আমি এখানে নামাজ পড়লে, কালকে ওরা একে মসজিদ বানিয়ে ফেলবে। আমি বরং বাইরে গিয়েই পড়ি।"
এবং দেখা গেল আসলেই চার্চের বাইরে shuk ha tsaba'im স্ট্রিটের অপর পাশে মসজিদ উমার (রাঃ) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা এখনও আছে।
বিধর্মীদের প্রতি কুরআনের নির্দেশ "লাকুম দ্বীনুকুম ওয়াল ইয়াদ্বীন" উমার জানতেন, আজকের মোল্লারা জানেনা। আফসোস।
এরপর উমার(রাঃ) গেলেন ইহুদি সিনাগগে। গিয়ে দেখেন সেটি আস্তাকুঁড় হয়ে আছে। ময়লা, আবর্জনায় ঠাসা। খলিফা নিজে ঝাড়ু হাতে নেমে পড়লেন ময়লা পরিষ্কারে। তাঁর দেখাদেখি অন্যান্য মুসলিমরাও ঝাঁপিয়ে পড়লো। এরপর তিনি তাঁর বিখ্যাত ঘোষণা দিলেন, "আমাদের ইবাদতে কেউ বাঁধা দিও না, এবং তোমাদের ইবাদতে কেউ বাঁধা দিলে আমাকে বলবে। আমি ব্যবস্থা না নিলে অবশ্যই আমি জালিম শাসকদের অন্তর্ভুক্ত হবো।"
ইতিহাস সাক্ষ্মী, মুসলিম সাম্রাজ্যে সবসময়েই ইহুদি জনসংখ্যার ঘনত্ব ছিল। যদি কেউ দ্বিমত করতে চান, ইতিহাস বই পড়ে আসুন। মুসলিম এবং ইহুদিদের সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে জায়নিস্ট ইহুদিদের ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। এর আগে যেসব খ্রিষ্টান এবং ইহুদি ইজরায়েলের বিরোধিতা করে এসেছিলেন, সবার যুক্তি তালিকার একটি ছিল, "এতে মুসলিম ও ইহুদিদের সহস্রাব্দ ধরে চলে আসা সহাবস্থানের/সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের অবনতি ঘটবে।"
এখনতো ফল দেখাই যাচ্ছে।
ইহুদিদের সবচেয়ে বড় শত্রু হবার কথা ছিল জার্মানি, যারা আরেকটু সময় পেলে, বিশেষ করে ইনিগমা মেশিনের ডিকোড আবিষ্কার না হলে ওদের আস্ত সম্প্রদায়কেই বিলুপ্ত করে দিত। উল্টো ওরা শত্রু বানালো তাদেরই আশ্রয় দেয়া ফিলিস্তিনি মুসলিমদের। দুনিয়া এবং এর রাজনীতি বড্ড অদ্ভুত!
তো এখন ওরা নিয়ম করে গাজায় বোমা হামলা করে, মানুষ মারে। নিরপেক্ষ মিডিয়া কর্মীরা এসব কভার করতে গেলে তাঁদের উপরেও হামলা চালায়। তারপরেও কিন্তু আস্ত ইহুদি সম্প্রদায়কে আমরা "খারাপ" বলতে পারবো না। এমনকি ইজরায়েলি ইহুদিদেরও নয়। সেখানে রকেট হামলা করে সিভিলিয়ান মারার অনুমতি ইসলাম দেয় না। প্রমান লাগবে? হুদায়বিয়ার সন্ধির সময়ে মুসলিমরা যখন মোটামুটি তৈরী মক্কা আক্রমণের জন্য, কুরআন তখন ঘোষণা করলো ওখানে কিছু মুসলমান আছেন যারা তাঁদের পরিচয় গোপন রেখেছে। মুসলিমরা আক্রমণ করলে ওরাও নিহত হবে, যা হবে ঘোর অন্যায়।
অবাক হয়ে ভাবতে পারেন ইজরায়েলে আবার মুসলিম আসবে কোত্থেকে। তাহলে ইন্টারেস্টিং একটি ঘটনা শেয়ার করি। চোখ কপালে উঠে যাবে।
কিছুদিন আগে অ্যামেরিকান এক বিখ্যাত মুসলিম স্কলার আল আকসা মসজিদে গিয়েছিলেন। এর কিছুদিন আগে থেকেই এক ইজরায়েলি ইহুদি মহিলার সাথে তাঁর ইমেইলে যোগাযোগ হতো। মহিলা পশ্চিমা বিশ্বে জন্মে ইজরায়েলে গিয়ে এগনোস্টিক (আস্তিক-নাস্তিকের মাঝামাঝি) হয়ে গিয়েছিলেন। তারপর তিনি অন্যান্য সব ধর্মীয় বই পড়তে পড়তে সবশেষে কুরআন তুলে নেন। এবং অবাক হয়ে লক্ষ্য করেন তাঁদের এতদিন যা শিখিয়ে এসেছিল, সব ভুল। কুরআনের কথাবার্তা আউট অফ কন্টেক্স্ট ব্যবহার করে করে তাঁদের মধ্যে মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা তৈরী করা হয়েছিল। বাস্তবে কুরআনে শান্তির আহ্বান ছাড়া তিনি আর কিছুই পান নি।
তিনি অনলাইন ঘাটাঘাটি করেন। এবং এই স্কলারের সাথে নানান প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করেন। এবং একদিন তিনি মসজিদে আকসায় এই স্কলারের হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন।
তা ইজরায়েলে কনভার্টেড মুসলিমদের একটি গ্রূপ আছে, নিজেদের পরিচয় গোপন রাখেন তাঁরা। সংখ্যায় তাঁরা হাজারের মতন। প্রত্যেকের আলাদা আলাদা গল্প আছে। আরেকটা ইন্টারেস্টিং গল্প শেয়ার করাই যাক।
এক মেয়ে ষোল বছর বয়স থেকেই ফিলিস্তিনি মুসলিম দাওয়াত সংগঠনের সাথে যোগাযোগ করতে শুরু করে, সে মুসলিম হতে চায়।
ফিলিস্তিনি গ্রূপটি দারুন ভয় পেয়ে গিয়েছিল। কারন একে মেয়েটি মাইনর (আঠারো বছরের নিচে), তার উপর ইহুদি। ইজরায়েল জানতে পারলে একেবারে বারোটা বাজিয়ে দিবে।
তাই ওরা বললো, "না, তুমি যেহেতু মাইনর, সেহেতু তুমি মুসলিম হতে পারবে না। যখন বয়স আঠারো হবে, তখন এসো, দেখা যাবে। বিদায়।"
এখন একটি ইজরায়েলি মেয়ে এত সহজে হার স্বীকার করলেতো হতোই। সে অনলাইন ঘাটাঘাটি করে যা জানার জেনেছে, নিজের বেডরুমের ক্লজেটে লুকিয়ে নামাজ পড়েছে। এবং যখন বয়স আঠারো হয়েছে, সে বললো, "এখন আমাকে নিয়ে যাও। আমি ভাল করেই জানি এ বাসায় আমাকে থাকতে দিবে না।"
এইবারও ফিলিস্তিনি ভাই ব্রাদাররা দারুন ভয় পেলেন। তাঁরা সন্দেহ করলেন হতে পারে, এটি কোন ফাঁদ। সেখানে জীবন অতি সস্তা হলেও কেউই হারাতে চায় না।
এদিকে ইজরায়েলের নিয়ম হচ্ছে আঠারো বছর বয়সী সবাইকেই মিলিটারি ট্রেনিং নিতে হবে। মেয়েটিরও কাগজপত্র চলে এসেছিল।
মেয়েটি লিটারেলি হিজাব পরে মিলিটারি অফিসে গিয়ে কাগজ ধরিয়ে দিয়ে বলল, "আমি মুসলমান। এখন কী করার তোমরা করে দেখাও।"
মাত্র আঠারো বছর বয়সেই এই মেয়েটির এত সাহস!
এবং তারপর সবচেয়ে বড় ট্রাজেডির গল্প। এক রেবাইর (ইহুদি ইমাম) স্ত্রী মুসলিম হয়ে গেলে তাঁকে তাঁর স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, এবং আদালতকে কনভিন্স করতে সক্ষম হয় যে মহিলা তাঁর তিন সন্তানের জন্য ক্ষতিকর। আদালতের রায়ে এই মহিলা বাকি জীবন নিজের সন্তানদের সাথে দেখা করতে পারবেন না। আজ তিন চার বছর হয়ে গেল মহিলা তাঁর সন্তানদের দর্শন পান নি। তারপরেও এই মহিলা বলেন, "আমাকে যদি ওরা কারাগারে পাঠায়, কিংবা অন্ধকার গুহায় বন্দি করে রাখে, তারপরেও আল্লাহর কসম, আমি ইসলাম থেকে সরে আসবো না।"
এই সমস্ত ভাইবোনরা যারা ইহুদি পরিবারে জন্মে, ইজরায়েলে থেকে, স্বজনদের বিরুদ্ধে গিয়েও আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের "ঘৃণা" করবেন কোন যুক্তিতে? ওদের ঘটনাই প্রমান করে পৃথিবীর সবাই পটেনশিয়াল মুসলিম, মানে আমাদের ভাই বোন। যেকারনে দেখা যায় সাধারণ ফিলিস্তিনিরাও হামাসের সাথে সহমত পোষণ করেনা। নিজেরা মরে গেলেও কোন সাধারণ ইহুদীর মৃত্যু তাঁরা কামনা করেন না। জ্বি, খোদ ফিলিস্তিনিদের মুখ থেকে শোনা। যারা প্রতিদিন সকালে এই ভেবে উঠে যে আজকেই হয়তো নিজের কোন প্রিয়জনকে কবরে শোয়াতে হবে, কিংবা আজকের ঘুম কবরে গিয়ে ভাঙবে। এদের কলিজা আল্লাহ কী দিয়ে বানিয়েছেন এইটা নিয়ে গবেষণা হতে পারে।
আবু বকরের (রাঃ) একটি ঘটনা দিয়ে শেষ করি। আগেও বলেছি, কথা প্রসঙ্গে উঠে আসছে আবার।
তিনি তখন খলিফা। সাহাবীদের এক আড্ডায় তিনি একটি তীর এনে বললেন, "এটি কার বলতে পারো?"
এক সাহাবী বললেন, "এটি আমার। এই যে আমার চিহ্ন আঁকা আছে। কেন ইয়া আল্লাহর রাসূলের খলিফা?"
আবু বকর বললেন, "আলহামদুলিল্লাহ! এই তীরেই আমার সন্তান শহীদ হয়েছিল। আল্লাহ আমার সন্তানকে সম্মানিত করেছিলেন তাঁকে শহীদ করার মাধ্যমে, এবং তোমাকেও সম্মানিত করলেন ইসলামের মাধ্যমে।"
এখন যোগ করে নিন মুসা (আঃ) নবীর প্রতি আল্লাহর নির্দেশের, (ফেরাউনের সাথে নম্রভাবে, ভদ্রভাবে দ্বীনের দাওয়াত দিবে।)
কাজেই কোন অবস্থাতেই বিধর্মীদের প্রতি আপনি ঘৃণা পোষণ করতে পারবেন না। যদি রাখেন, তাহলে আপনি মুসলিম নন। রমজান মাসে এই বিষয়টা মাথায় রাখুন।
২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৮
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আমিও তাই জেনে এসেছি, ইদানিং এর অপপ্রচার হচ্ছে খুব।
২| ২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:০৫
পলাশবাবা বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে এই অপ্রাসঙ্গিক ছবি টার কথা মনে পড়ে গেল । শেয়ার না করে পারলাম না।
২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৭
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: হাহাহাহা, ছবিটা আসলেই মজার এবং সত্য।
৩| ২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মৌলিক এই সত্য থেকে অজ্ঞানতায় সাধারন মুসলমানরা দূরে চলে গেছে!
আর যারা বরকন্দাজ! ভারবাহী তারা কেন এই সত্যকে গোপন করে?
তারাকি ইয়াজিদী ঘৃণা আর বিদ্বেষর রাজনীতির অনুসারী?
ইসলাম বিশ্ব জয় করলো প্রেম দিয়ে! অথচ রটানো হলো ইসলাম তরবারীর ধর্ম!
ইসলাম বলছে কি? আর লেবাসধারীরা প্রচার করছে কি???
সত্যালোকে উদ্ভাসীত দারুন প্রবন্ধে কৃতজ্ঞতা!
রমজানের উছিলায় শতগুন বেশী প্রতিদান আল্লাহ আপনাকে দান করুন।
+++++++++
২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৭
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আমিন!
৪| ২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন:
মোবারকবাদ। সুন্দর লিখেছেন। সত্য জাগরিত হোক।
২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৮
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আমিন!
৫| ১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০১
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: অসাধারণ লেখা। আপনার লেখাগুলো যতই পড়ছি ততই ভালো লাগছে।
২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:২৯
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ! সাথে থাকবেন।
৬| ১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩১
ইমরান আশফাক বলেছেন: সহমত।
২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:২৯
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমি তো ছোটবেলা থেকেই জানি- ইসলামে বিধর্মী তথা অমুসলিমদের জন্য ইনসাফপূর্ণ ব্যবহার পাওয়ার অধিকার রয়েছে।