নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

"শুধু আমার সাথেই কেন এমন হয়" ধরণের আল্লাদিমার্কা কথাবার্তা বলা আহাম্মকি।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪৬

জীবনের যেকোন দুর্যোগে মানুষ দুইটি কাজ করে।
এক, চোখ বন্ধ করে বিধাতার উপর সব দোষ চাপিয়ে দিয়ে হাহাকার করতে থাকে।
"ইয়াল্লাহ! আমি তোমার কাছে এত দোয়া করলাম, আর তুমি আমাকে এই দিলা? কে বলে তুমি রহমানুর রাহিম? কে বলে তুমি পরমকরুনাময়, অসীম দয়ালু? তুমি বড্ড নিষ্ঠুর। ব্লা ব্লা ব্লা।"
তারপর তাঁর দিন কাটে নিজের ভাগ্যকে গালাগাল করে। হতাশায়, ডিপ্রেশনে।
আর দ্বিতীয়টি হলো, ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে বের করার চেষ্টা করে তাঁর নিজের কোন কর্মফল তাঁকে এই অবস্থানে এনে ফেলেছে। তারপর সে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পরে, যাতে ভবিষ্যতে আর কোন ক্ষতি না হয়।
এখন আপনারাই বলুন, উপরের কোন কাজটি নিজের ও সমাজের জন্য মঙ্গলময়? বুদ্ধিমান হলে অবশ্যই বলবেন দ্বিতীয়টি।
ইসলাম কী বলে? উদাহরণ দেই।
আদমকে (আঃ) নিষেধ করা হলো বেহেস্তের কোটি কোটি বৃক্ষ থেকে মাত্র একটি স্পেসিফিক বৃক্ষের ফল না খেতে। তিনি কী করলেন? সেটাই খেলেন।
এবং ফল স্বরূপ তাঁকে শাস্তি দেয়া হলো। কিন্তু তিনি সাথে সাথে দুই হাত তুলে মোনাজাত করলেন, "হে প্রভু! আমরা নিজেদের উপর জুলুম করেছি - এবং আপনি যদি আমাদের ক্ষমা না করেন, তাহলে আমাদের আর কেউ নেই ক্ষমা করার।" (আক্ষরিক নয়, ভাবানুবাদ করলাম।)
ইউনূস (আঃ) নবীর ঘটনায় যাওয়া যাক। নিজের এলাকার লোকেরা তাঁর ধর্মপ্রচারে ইচ্ছে মতন ব্যঙ্গবিদ্রূপ করতে থাকলে তিনি আল্লাহর অনুমতি না নিয়েই সমুদ্র যাত্রায় বেরিয়ে যান। এবং ঘটনাচক্রে প্রাগৈতিহাসিক যুগের বিশালাকৃতির তিমি মাছের পেটে চালান হয়ে যান। মাছের পেটের ঘোর অন্ধকারে তিনি তখন নিজের ভুল সম্পর্কে উপলব্ধি করে পাঠ করেন সেই দোয়া যা আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত। "লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুন্তু মিনাজ্যুয়ালেমিন।"
ভাবানুবাদ, "আল্লাহ, তুমি পারফেক্ট! তোমার কোন খুঁত নাই (সুবহানাকা)। নিশ্চই আমি নিজের উপর জুলুম করেছি বলেই আজ আমার এই দশা।"
আমাদের নবীর (সঃ) উদাহরণ বাদ যাবে কেন?
তায়েফে ধর্ম প্রচারের সময়ে শহরবাসী যখন তাঁকে পাথর ছুড়ে মারছিল, এবং তাঁর অজ্ঞান হবার পর জ্ঞান ফেরার অপেক্ষায় ছিল যাতে প্রতিটা আঘাতের কষ্ট তিনি অনুভব করতে পারেন, সেই চরম মুহূর্তেও তিনি অন্যের দোষ না খুঁজে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন, "ইয়া আল্লাহ, আমি নিশ্চই ঠিকভাবে তোমার বাণী প্রচার করতে পারছি না। নাহলে ওরা বুঝতে পারবে না কেন? আমাকে তোমার বাণী সঠিকভাবে প্রচারের তৌফিক দাও।"
কুরআন শরীফ ঘাটাঘাটি করুন। পুরো কুরআন জুড়েই বর্ণনা করা হয়েছে নবীদের জীবনে কী কী সংকট, কী কী দুর্যোগ উপস্থিত হয়েছিল। এবং সর্বক্ষেত্রে তাঁরা উপরওয়ালার কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন ঠিকই - সাথে নিজেদের ভুল শুধরে পারফেক্ট হবার জন্য চেষ্টা করে গেছেন। অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করেন নি। কারন সেটা কোন অবস্থাতেই প্রব্লেমের সলিউশন না।
যেখানে নবী রাসূলদের জীবনই দুর্যোগে পরিপূর্ণ, সেখানে আমি আপনি কোন ছাড়? আমাদের জীবনেতো দুর্যোগ আসবেই। এবং সেক্ষেত্রে চোখ বন্ধ করে "আল্লাহ আমাকে পছন্দ করেন না বলেই এমনটা করেছেন" বা "শুধু আমার সাথেই কেন এমন হয়" ধরণের আল্লাদিমার্কা কথাবার্তা বলা আহাম্মকিই।
জ্বি, আপনি যদি আল্লাহর উপর ভরসা রাখেন, তাহলে সবার আগে আপনাকে পরিশ্রমী হতে হবে। এসএসসি পরীক্ষা আসছে, আপনাকে পড়ালেখা করতে হবে। পাশ করার জন্য পড়ালেখা করতে হবে, আবার জিপিএ ফাইভ পাওয়ার জন্যও পড়ালেখা করতে হবে। আপনি সারাদিন নফল রোজা রাখলেন, পুরো রমজান মাস এতেকাফ করে কাটালেন, আর পড়ালেখা না করেই পরীক্ষা দিতে গেলেন এই ভেবে যে আল্লাহতো আপনাকে সাহায্য করবেনই। তাহলে সেটা আপনি ইসলামেরই অবমাননা করলেন। আল্লাহ বলেননি রোজা রাখলেই পার্থিব কামিয়াবী হাসিল হয়ে যাবে। কাজেই দুটাকে এক করার চেষ্টা নিবেন না।
আল্লাহ আপনার জন্য পরীক্ষার হলে জিব্রাইলকে (আঃ) ওহী সহ পাঠাবেন না। সেই আশা করে থাকলে আপনি বিরাট মূর্খ।
সূরা আল আনফালের ৫১ নম্বর আয়াতে বলেছেন, "এই শাস্তি হল তোমাদের সেই কাজেরই পরিণাম ফল যা তোমাদের দু’হাত পূর্বাহ্নেই আয়োজন করেছিল, আল্লাহ তাঁর বান্দাদের উপর কখনও অত্যাচারী নন।"
মানে হচ্ছে, আগুন নেভাতে হলে পানি বা বালি ঢালতে হয়, হাত দিয়ে নেভাতে গেলে অবশ্যি হাত জ্বলবে। পরীক্ষায় পাশ করতে গেলে পড়ালেখা করতেই হবে, অন্য কোন পদ্ধতি এপ্লাই করতে গেলেই ধরা খাবেন।
আল্লাহ "জুলুম" করতে আপনাকে ফেইল করাবেন না - এইটা মনের ভিতর গেঁথে নিন।
যেকোন সময়ে যেকোন বিষয়ের জন্য আপনি আপনার দিক থেকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিবেন। নিশ্ছিদ্র ব্যবস্থা গ্রহণের পর আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবেন সফলতার জন্য। তারপরেও যদি সফল না হন, বুঝতে হবে সেখানে আল্লাহর ভিন্ন কোন প্ল্যান আছে - যেটা খালি চোখে আপনি দেখতে পারছেন না। তবে আপনার এবং আরও দশের মঙ্গল সেখানে লুকানো আছে।
গেল বিশ্বকাপেরই উদাহরণ দেই। চোখ বন্ধ করে হট ফেভারিট ছিল আমাদের ব্রাজিল দল। এত পারফেক্ট দল নিয়ে বহুদিন ব্রাজিল বিশ্বকাপে আসেনি। সেই কবেই বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করে বিশ-পঁচিশটা ম্যাচ অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপে খেলতে এসে একের পর এক প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়ে বেলজিয়ামের সাথে এসে ধরা খেল। ছাব্বিশটা শটের অনেকগুলো ছিল গোল হবার মতন। নিশ্চিত পেনাল্টি পেল না। আত্মঘাতী গোল খেয়ে বিদায় নিল। এতকিছু ঘটেছে কারন উপর থেকে একজন চাচ্ছিলেন না ব্রাজিল জিতুক।
বেলজিয়ামের ক্ষেত্রেও দেখা গেল সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছে পাত্তাই পেল না। সেই মুহূর্তে বেলজিয়ামই ছিল বিশ্বের সেরা দল। তারপরেও কিছু একটা ঘটেছিল তাঁদের সাথে। তাঁরাও হারলো।
এবং ফাইনালে ফ্রান্স সবার হার্টথ্রব ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলো। দ্বিতীয় রাউন্ডে ক্রোয়েটরা পাত্তাই পেল না।
এইবার ভাল করে ফ্রেঞ্চ দলটিকে দেখুন। তাঁদের চেহারা দেখুন। কয়জনকে ফ্রেঞ্চ বলে মনে হয়? কয়জন ১০০% অথেন্টিক "গল" জাতি?
জ্বি, চলমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ইস্যু এখন রেসিজ্ম, ইমিগ্রেশন ইস্যু সেটারই আরেক রূপ - এবং অভিবাসী ফুটবলারদের নিয়ে গড়া ফ্রেঞ্চ দলের এই বিশ্বজয় সেই ইস্যুর উপর স্রেফ হিসি করে দিয়েছে। আল্লাহ বা বিধাতা বা ঈশ্বর/ভগবান যেই নামেই ডাকুন না কেন, তিনি একদম চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, যতদিন তোমরা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করবা - ততদিন ধরা খাবা। আর এক হয়ে থাকলে অবশ্যই সফলতা তোমাদের পায়ে এসে লুটাবে।
ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হলে আমার মতন কোটি ভক্তের মন রক্ষা হতো। আর্জেন্টিনা জিতলে হয়তো আরেক পার্টির মন রক্ষা হতো। কিন্তু আমাদের মন ভেঙ্গে এত বড় একটি সত্য প্রতিষ্ঠা হলো - সেটা কী গোটা মানবজাতির জন্যই মঙ্গলজনক না?
আমার বাবার শখ ছিল আমি ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করি।
আমার ইন্টারেস্ট ছিল হালকা পাতলা, কিন্তু পড়ালেখায় ফাঁকিবাজীও করেছি প্রচুর। পরিশ্রম ছিল না, তাই হয়নি। না হওয়াতে এই লাভ হয়েছিল যে এরপরই পড়ালেখাকে মোটামুটি সিরিয়াসলি নেয়া শুরু করি।
আর্মিতে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ফিজিক্যাল টেস্টে বাদ। হাঁটু একটু বেশিই বাঁকা। মনটা ভেঙে গিয়েছিল। আর্মিতে তখন আমার অনেক চাচা কাজ করছেন। প্রত্যেকের সুন্দরী সুন্দরী সব বৌ। মনের কোনে হয়তো একটা ধারণা ছিল আর্মি হলেই সুন্দর বৌ বিয়ে করা যায়। যেহেতু হয়নি, কপাল বুঝি ফাটলো!
কিন্তু আমার জীবনতো সেখানে থেমে থাকেনি।
পড়ালেখায় ফোকাস বাড়িয়ে দিয়েছি। আজকে যে অবস্থানে আছি বা যে অবস্থানে ভবিষ্যতে যাব ইন শা আল্লাহ, সবগুলিই অতি সুপরিকল্পিত নকশার অংশ। কে জানে হয়তো সেনাবাহিনীতে থাকলে আমি হয়তো বিডিআর বিদ্রোহে শহীদ হয়ে যেতাম। অথবা কঙ্গোতে ভিনদেশি দুর্বৃত্তের গুলিতে শহীদ হতাম। অথবা অন্য কিছু ঘটতো। বা আর্মির অতিরিক্ত ডিসিপ্লিন্ড জীবনটাই হয়তো আমার জন্য না। ছোটবেলা থেকেই আমি একটু আয়েশি, একটু আলসে, একটু বেশিই আরামপ্রিয় - সেনাবাহিনীর কঠোর জীবন আমার সহ্য হতো না নিশ্চিত।
আজকে যারা ভাল ফল করে নি, তাঁদের উচিৎ বাংলাদেশ এডুকেশন বোর্ড, বা শিক্ষক শিক্ষিকা, বা স্কুল বা অভিভাবক কিংবা স্বয়ং আল্লাহকে গালাগালি না করে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করতে বসা যে কেন তাঁদের ক্ষেত্রেই এই দুর্যোগ নেমে এসেছে। কী কী ভুল ছিল যার কারনে এমন ঘটলো? কোচিং ক্লাসে ফাঁকি দিয়ে আমেনা ফাতেমার সাথে টাংকিবাজি করেছি? আজকে থেকে সেটা বাদ দিয়ে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে হবে। অতিরিক্ত খেলা, গল্পের বই, ফেসবুক বা টেলিভিশন/মুভি/সিরিয়ালের কারনে এমনটা হয়েছে? সেটাও নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এবং দোয়া করতে হবে, ইয়া আল্লাহ, যা হবার হয়ে গেছে। আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি, আমি আজ থেকে কঠোর পরিশ্রম করবো। তুমি আমাকে সাহায্য করো।
ট্রাস্ট মি, তখন আপনি উপলব্ধি করবেন আপনার সাথে কিভাবে কিভাবে মিরাকেল ঘটে। অবাক হয়ে দেখবেন একশোটা বাঁধা একহাজারটা সমাধান হয়ে আপনার রাস্তা সাফ করে দিয়েছে। শুধু পরিশ্রম হলেই লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় না, ভাগ্যেরও ছোঁয়া থাকা লাগে। আপনি আপনার ভাগের পরিশ্রম আল্লাহকে দিন, ভাগ্য তিনি সামাল দিবেন।
এবং তারপরেও যদি কখনও মনে হয় কোথাও ভাগ্য আপনার সাথে ছিল না - তখন বুঝে নিবেন, এর চেয়েও বৃহৎ মহৎ কোন পরিকল্পনার অংশ আপনি। আপাত দৃষ্টিতে যেটাকে আপনার ব্যর্থতা বলে মনে হচ্ছে, একটা সময়ে সেটাই আপনার জন্য সবচেয়ে বড় সফলতা হয়ে আবির্ভূত হবে। হতেই হবে।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:০৩

নতুন নকিব বলেছেন:




Excellent writing! +++

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: থ্যাংকইউ। :)

২| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১৮

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: কথাগুলো পড়ে মনে হল-আল্লার চেয়ে মানুষ অতি বুদ্ধিমান! আপনার গল্পে-আদম,ইউনূস,মোঃ নিজেদের চিন্তা-ভাবনা অহেতুকভবে আল্লার উপর চাপিয়ে দিচ্ছে মনে হল।

ধরুন আপনি একটি রোবর্ট নিয়ন্তুনের জন্য এক ধরনের সফটওয়্যার তৈরী করে সেট করে দিলেন। তো রোবর্ট নিশ্চই আপনার তৈরী সিলেক্টকৃত সফটওয়্যারের ধারনার সেটআপের উপর ভিত্তি করে চলবে। এক্ষেত্রে রোবর্ট যদি উল্টোপাল্টা বা ভাল কাজ করে তাহলে রোবর্ট এর দোষ গুন হবে নাকি সৃষ্টিকারীর। (ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ্দা হাটিয়া চলিল) কথাটার অর্থ কেমন হতে পারে!

সুতরাং সৃষ্টিকর্তা কেমন বা তার কত পর্ব আছে সেসব আমাদের মত মানবজাতীর ধারনার বাইরে! অতীতের কেউ পারার কথাতো নয়ই-বর্তমানে কেউ পারবেওনা-ভবিশ্যতেও কেউ সৃষ্টিকর্তাকে আবিস্কার করা অসম্ভব! অতএব এপৃথিবীতে মানবজাতীর ভাল মন্দ মঙ্গল অমঙ্গল সুখ দুঃখ ধংশ ও প্রেতিশোধের আগুনের নিয়ন্ত্রনের ভার ও সমাধান-একমাত্র মানুষেরা নিজেরাই যুক্তি ও লৌকিকতার মাধ্যমে আলোচনা করে সমাধান করতে পারবে এবং প্রকৃতির নিয়মের সাথে তাল মিলিয়ে সেটা সম্ভব হবে।

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:২৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ROBOT বাংলায় রোবট হবে, রোবর্ট না।
আপনার কথার মানে বুঝিনি। আপনি রোবটের সাথে মানুষের তুলনা কিভাবে করছেন সেটা মাথায় ঢুকছে না। কম্পিউটার এখনও যথেষ্ট স্মার্ট হয়নি, এর এখনও ভুল করার ক্ষমতা জন্মায় নি। সফটওয়ারে গ্লিচ থাকলে সেটা সফটওয়্যার নির্মাতার সমস্যা, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এখনও এতটা স্মার্ট হয়নি যে নিজে নিজে ভুল করতে পারে।
সে তুলনায় সৃষ্টির যে কোন প্রাণী ভুল করার ক্ষমতা নিয়েই জন্মায়। একটা পিঁপড়া, একটা মাছির তুলনায়ও অতি আধুনিক সুপার কম্পিউটার চালিত রোবট তুচ্ছ। কাজেই তুলনারতো প্রশ্নই উঠে না।
আর মানুষের ভুল ত্রুটির জন্য স্রষ্টার ভুল ধরার চেষ্টা করছেন? তাহলে বলছি লেখাটি পড়ুন, তাহলে আপনি আপনার প্রশ্নের জবাব পেয়ে যাবেন। :)

৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: চমৎকার অনুপ্রেরণাদায়ক লেখা...

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:২৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!

৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন।
পোষ্ট টা সুন্দর করে বুঝার জন্য আমাকে দুইবার পড়তে হলো।

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:২৬

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ! :)

৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৩১

অগ্নিবেশ বলেছেন: উপমহাদেশে শিশুমৃত্যুর হার বেশী। তারাও কি কর্মদোষে মরে?

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:২০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: জ্বি ভাই, উপমহাদেশে শিশুমৃত্যুর হার বেশি কারন আমাদের বড়রা ওয়েস্টার্ন দেশের মতন শিশুমৃত্যুর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় না।

৬| ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫১

অগ্নিবেশ বলেছেন: বুঝছি, তারা তাদের বাপের দোষেই মরে। বোঝেনা শুধু সর্বজান্তা, বাপের দোষে পোলার জান লয়।

২৫ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: এতো দেখি মহা যন্ত্রণায় ফেললেন। সব কথাকে এইভাবে এক্সট্রিমভাবে চিন্তা করলে শিখবেন কিভাবে?
"বড়দের দোষ" বলতে কোথায় কোন লেখায় বুঝানো হয়েছে "বাপের দোষ?" কেন শুধু শুধু নিজের বুদ্ধির পরিচয় দিচ্ছেন?
বড়দের দোষ মানে যারা ডাক্তার, যারা নেতা বা রেস্পন্সিবল এইসব ব্যাপারে, তাদের কর্মদোষেই শিশু মৃত্যুর হার বেশি। যদি তারা নিজেদের কাজ ঠিকঠাকমতন পালন করতেন, তাহলে এইটা হতো না।
এত সহজ ব্যাপার যার মাথায় ঢুকেনা, তাঁকে দিয়ে কী আশা করা যায়?

৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:২৫

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: ধন্যবাদ,ভূল ও সঠিক যদি আপেক্ষিক হয় তবে আপনি ভূল বলবেন কোনটাকে? আর রোবট এর সাথে মানুষের তুলনা করব কেন! মানুষের তৈরী বা সৃষ্টি রোবট কি মানুষের চেয়ে বুদ্ধিমান হতে পারে! ঠিক তেমনি সৃষ্টিকর্তার চেয়ে বুদ্ধিমান বা জ্ঞানী নিম্চয় তার কোন সৃষ্টি হতে পারেনা! ইজি এন্ড সিম্পল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.