নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেরাজের ঘটনায় বোরাকের উপস্থিতি

২০ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:১২

এক ভাই সেদিন বললেন, "মেরাজের ঘটনাটা নিয়ে তুমি কী ভাব।"
আমি বললাম, "মেরাজের কোন ঘটনাটার কথা জিজ্ঞেস করছেন?"
"পুরো ব্যাপারটাই। মানে ইয়ে.....এই যেমন ধরো বোরাকের ঘটনাটা, একটা প্রাণীর পিঠে চড়ে নবী (সঃ) বেহেস্তে চলে গেলেন। মানে ব্যাপারটা নিয়ে অনেক অবিশ্বাসী হাসাহাসি করে। বিশেষ করে ঐ যে বায়তুল মুকাদ্দাসে বোরাককে বেঁধে রাখতে হয়েছিল, যাতে সে এদিকে সেদিকে না চলে যায়। তাদের দাবি যেহেতু রকেটের ধারণা তখন ছিল না, তাই নবী (সঃ) একটা প্রাণীর কথা বলেছিলেন।"
"অবিশ্বাসীরা কী বলেন সেটা নিয়ে নিশ্চই আপনি প্রশ্ন করছেন না, আপনার মন কী বলে সেটা বলেন।"
ভাই আমতা আমতা করে বললেন, "আসলেইতো। আল্লাহ চাইলে রকেটের মতন একটা আধুনিক যন্ত্র দিয়ে তাঁকে নিয়ে যেতে পারতেন। একটা ঘোড়ার মতন প্রাণী পাঠালেন কেন?"
জবাব দেয়ার আগে প্রথমে মেরাজের ঘটনার ঠিক পরবর্তী বর্ণনাটা দেই। সচরাচর শুনতে পাবেন না, অনেকেই অগুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। কিন্তু এই অতি ক্ষুদ্র ঘটনাতেই এই ব্যাপারটির গুরুত্ব নিহিত।
মেরাজের ঘটনা শেষে নবী (সঃ) যখন কাবা ঘরের সামনে বসে আছেন, তখন তাঁকে বেশ বিভ্রান্ত দেখাচ্ছিল। আগের রাতেই যা ঘটেছে তাঁর সাথে, এবং সেই সাথে আল্লাহর নির্দেশ এটি সবাইকে বলতে হবে; তিনি হয়তো মনে মনে দোটানায় পরে গেলেন এই চরম অবিশ্বাস্য এবং অদ্ভুত ঘটনা তিনি বললে লোকে তাঁকে বিশ্বাস করবে? তাঁকে পাগলও ভাবতে পারে।
জ্বি, তিনি ভালভাবেই বুঝতে পেরেছিলেন কতটা অবিশ্বাস্য ঘটনার বর্ণনা তিনি দিতে চলেছেন। অনেকের ঈমানের ভিত নাড়া খেয়ে যাবে এই ঘটনা শুনে।
কিন্তু আল্লাহর নির্দেশ বলে কথা! তাঁকে পৃথিবীতে পাঠানোই হয়েছে যাতে তিনি আল্লাহর বাণী মানুষের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে পারেন। এর জন্য কম অত্যাচার সহ্য করতে হয়নি। নাহয় আরেকটু বেশিই সহ্য করলেন।
এমন সময়ে আবু জাহেল তাঁর পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। কী অদ্ভুত আল্লাহর কৌশল। আবু জাহেলকেই তাঁর পাশ দিয়ে যেতে হলো। তাঁর সবচেয়ে বড় শত্রু, তাঁকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি হাসিতামাশা করনেওয়ালা লোক।
নবীজির (সঃ) বিভ্রান্ত চেহারা তার চোখ এড়ালো না। সে এসে জিজ্ঞেস করলো "কী মুহাম্মদ? কী হয়েছে তোমার? এমন দেখাচ্ছে কেন?"
নবী (সঃ) উত্তরে বললেন, "গতরাতে আমি বাইতুল মুকাদ্দেসে (মসজিদে আকসায়) গিয়েছিলাম, এবং সেখানে গিয়ে নামাজ পড়ে আমি এখানে চলে এসেছি।"
কথাটা শুনে আবু জাহেল খুবই মজা পেলো। মাথায় রাখুন, তখনকার যুগে মক্কা থেকে জেরুসালেমের মসজিদে আকসায় যেতে মাস খানেক সময় লেগে যেত। আর নবী (সঃ) কিনা দাবি করছেন তিনি এক রাতে সেখানে গিয়ে আবার ফেরতও চলে এসেছেন। এখনওতো সাত আসমান ভ্রমণের কথা বলার সুযোগই পান নি।
সে হাসিমুখে বললো, "তুমি নিশ্চিত তুমি গিয়েছিলে?"
নবী (সঃ) বললেন, "অবশ্যই নিশ্চিত আমি গিয়েছিলাম।"
"তুমি এই কথাটা লোকের সামনে বলতে পারবে?"
নবী (সঃ) বললেন, "অবশ্যই আমি বলতে পারবো।"
আবু জাহেল ফুর্তিতে লাফিয়ে উঠলো। বহুদিন ধরেই সে প্রমান করার চেষ্টা করছে যে নবী (সঃ) আসলে ভুয়া নবী, আর আজকে সে নিজেই নিজের মরনফাঁদে পা দিতে চলেছে।
সে উৎফুল্ল কণ্ঠে চিৎকার শুরু করলো।
"ওহে মক্কাবাসী! ওহে মুসলিম জনসাধারণ! তোমরা তাড়াতাড়ি এদিকে আসো! শুনে যাও মুহাম্মদ ইব্ন আব্দুল্লাহ তোমাদের কিছু জরুরি কথা বলতে চায়!"
মক্কার লোকজন বেশ অবাকই হলেন। এই সেই আবু জাহেল যে পারলে কাউকে মুহাম্মদের (সঃ) কথা শুনতে দেয় না। কুরআনের বাণী পড়ার সময়ে ইচ্ছা করেই জোরে জোরে শব্দ তোলে যাতে কারোর কানে কুরআনের বাণী না পৌঁছে। সেই কিনা আজ যেচে সবাইকে দাওয়াত দিচ্ছে নবীর (সঃ) বাণী শোনার জন্য?
সবাই আসার পরে নবী (সঃ) সেটাই বললেন যা ঘটেছিল। লোকের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেল। অবিশ্বাসীরাতো অবিশ্বাস করে ব্যঙ্গবিদ্রূপ করেছেই, মুসলিমরাও কেমন চিমসা মেরে গেলেন। তাঁদের মনের মধ্যেও সন্দেহ দানা বাঁধলো, এ কিভাবে সম্ভব?
নবীকে (সঃ) নানাভাবে পরীক্ষা করা হলো। যারা এর আগে আল আকসা মসজিদে গিয়েছিল, তাঁরা বিভিন্ন খুঁটিনাটি জানতে চাইলো। নবী (সঃ) তাঁদের প্রতিটা প্রশ্নের জবাব দিলেন। তাঁর চোখের সামনে তখন আস্ত মসজিদে আকসার সাধারনের কাছে অদৃশ্য রেপ্লিকা ধরা।
তিনি সেই ক্যারাভানেরও খুঁটিনাটি বর্ননা দিলেন যাদের সাথে পথে তাঁর দেখা হয়েছিল। তারপরেও কেউ তাঁকে বিশ্বাস করলো, কেউ করলো না।
এখন মানুষের স্বভাবই এই। যদি সে না চায় কিছু বিশ্বাস করতে, সে নিজের পক্ষে যুক্তি ঠিকই দাঁড় করিয়ে দিবে।
যেমন কিছুদিন আগে ক্যানভাস থেকে বিতাড়িত এক ছাগশাবক আরেক বন্ধুর কমেন্টে আমাকে ধুমায় আক্রমণ করে বসলো। তার দাবি, আমি ইজরায়েলের স্পনসর দেশে বসে আছি, ফিলিস্তিনি মুসলিমদের হত্যা করছি - এবং শান্তির বাণী শোনাই। জনসাধারণের কল্যানে আমি কী করেছি? কিছু না। আমি আসলে মুনাফেক।
ভাই সাহেবকে বললাম, আমরা ঠিকই সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি। এবং আমি তখন শোনালাম আমি কোথায় কোথায় কী কী দান খয়রাত করি। এসব বলা শুধুমাত্র এইটা বুঝাতে যে আমি মুনাফেক নই। যা বলি, তা করার চেষ্টা করি।
এই কথা শোনার পর ভাইসাহেব বললেন, "এইসবতো কখনও তোমাকে লিখতে দেখলাম না ক্যানভাসে। উল্টা মুনাফেক সর্দার সৌদি আরবের সুনাম করে গেছো (কবে করলাম নিজেও মনে করতে পারলাম না অবশ্য :/)। এখন চাপাবাজি বন্ধ করো। তুমি ভন্ড, শয়তান। লোকের সামনে তোমার মুখোশ খোলার অপেক্ষায়।"
দান খয়রাত করে শো অফ করা আমাদের পছন্দ না, তাই কখনই লিখিনা। তবু এই ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করেছিলাম তিনি কী ঘোড়ার আন্ডাটা পেড়েছেন জীবনে, তো তিনি বললেন, "আমি ঢাকঢোল পিটিয়ে পুন্য করিনা, নীরবে কর্ম করে যাই। হজরত আলী বলেছেন, "পুণ্য কম করো সমস্যা নাই - কিন্তু পাপ করো না। বাংলাদেশে এনজিও গুলো বিদেশিদের কোটি কোটি টাকা মেরে দেয়....."" মানে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন আসলেই তিনি অশ্বডিম্ব প্রসব করেন। তার দৌড় ঐ ফেসবুকে দেশপ্রেম পর্যন্তই। দেশের মানুষের আসল প্রয়োজনের সময়ে তিনি দ্বেষ-প্রেমিক হয়ে যান। আমাকে তিনি ভন্ড মুনাফেক প্রমান করেই ছাড়বেন। আমার দান সহীহ দান না। তিনি এক পয়সাও খরচ করেন কিনা জানিনা, কিন্তু ওটাই সহীহ।
তো এই ঘটনা এটাই প্রমান করে যে লোকে যখন কিছু বিশ্বাস করতে চায় না, আল্লাহ স্বয়ং সামনে এসে দাঁড়ালেও তারা তাঁকে বিশ্বাস করতে চাইবে না।
এই বিষয়ে তাই নিজের মাথা ঘামানোর কিছু নাই।
মেরাজের ঘটনায় আমাদের জবাব হওয়া উচিৎ আবু বকরের (রাঃ) মতন।
হজরত আবু বকরের (রাঃ) কাছে যখন লোকে সংবাদ নিয়ে গেল যে "ওহে আবু বকর! শুনেছ তোমার দোস্ত কি বলে বেড়াচ্ছে? বলছে যে সে নাকি এক রাতেই বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে ঘুরে আবার মক্কায় চলে এসেছে। হাহাহা। তুমি কী এই আজগুবি কথাবার্তা বিশ্বাস করো?"
আবু বকর(রাঃ) অতি বিচক্ষণ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি উত্তরে বললেন, "যদি সে নিজে বলে থাকে যে এমনটা ঘটেছে, তাহলে অবশ্যই আমি বিশ্বাস করি।"
লোকে অবাক হয়ে গেল। এই প্রথম কেউ এত কনফিডেন্সের সাথে বিশ্বাস করেছে এই কথা। তারা সরাসরিই জিজ্ঞেস করলো, "তুমি এত উদ্ভট অবিশ্বাস্য কথা কিভাবে বিশ্বাস করো?"
আবু বকরের (রাঃ) জবাব, "আরে আমিতো এরচেয়েও বড় অদ্ভুত ঘটনাটা বিশ্বাস করি, তা হচ্ছে তামাম বিশ্বজগতের স্রষ্টা তাঁকেই নিজের রাসূল হিসেবে নির্বাচন করেছেন, এবং তাঁর কাছে নিজের দূতের মাধ্যমে পবিত্র কুরআন নাজেল করেন। যিনি সর্বশক্তিমান, অসীম ক্ষমতাধর, তিনি কী তাঁর বান্দাকে সামান্য ভ্রমন করাতে পারবেন না?"
তাহলে মেরাজের ঘটনার বিশ্বাস-অবিশ্বাসের প্রশ্নের উত্তরটা কী হওয়া উচিৎ নিশ্চই বুঝে গেলেন। যদি আপনি বিশ্বাস করে থাকেন আল্লাহ আছেন, তিনি সর্বক্ষমতার অধিকারী, এবং মুহাম্মদ (সঃ) তাঁর রাসূল - তাহলে আপনার বিশ্বাস কেন নড়বড়ে হয়ে যাবে এই প্রশ্নে যে মেরাজ কী সম্ভব কী সম্ভব না?
যদি ভাবেন সম্ভব না, তাহলে আপনি আল্লাহকে সর্বশক্তিমান হিসেবে মানেন না।
এখন আসা যাক বোরাকের প্রশ্নে।
বাই দ্য ওয়ে - মেরাজের ঘটনা নিয়ে অনেক ফেব্রিকেটেড বা বানানো ঘটনা এদিকে সেদিকে প্রচলিত আছে। যেমন বোরাকের নাকি পাখা ছিল। এইটা ঐটা আরও নানা আজগুবি ডিটেইল। কাজেই অথেন্টিসিটি যাচাই না করে সব বিশ্বাস করবেন না। মেরাজের ঘটনা এমনিতেই অনেক নাটকীয় এবং অদ্ভুত। এতে আর বেশি রং চড়ানোর কোনই প্রয়োজন নেই।
বোরাকের বর্ণনায় আমরা যাবার আগে এইটা বুঝার চেষ্টা করি যে আমরা যখন চাঁদে গিয়েছিলাম, তখনকার রকেটের যে কম্পিউটার ছিল - তারচেয়ে কয়েকগুন শক্তিশালী কম্পিউটার এখন আমার গাড়িতে ব্যবহৃত হয়। আরও এডভান্স মডেলের গাড়িতে আরও এডভান্স টেকনোলজির কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে। এবং কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তায় নামতে যাচ্ছে পুরোপুরি অটোম্যাটিক গাড়ি। মানে চালকের আর প্রয়োজন হবেনা, গাড়ি চলবে কম্পিউটারে। আরেকটু স্পেসিফিক্যালি বললে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সে। রোবট আর কি।
তা একটি রোবট তৈরী করতে কী পরিমান কষ্ট-মেধা-শ্রমের ব্যয় হয় তা এই ফিল্ডে যারা কাজ করেন তাঁরা জানেন। রবোটিক টেকনোলজি অনেকটা ইম্প্রুভ করলেও আজও রোবটের "ভুল" করার ক্ষমতা নেই। মানে সে এখনও যন্ত্রই থেকে গেছে।
এখন মেরাজের ঘটনার বোরাক ছিল ইন্টেলিজেন্ট একটি প্রাণী। যাকে বেঁধে না রাখলে সে এদিকে সেদিকে চলে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। যাতে চড়ার সময়ে সে ঝাঁকি দিয়ে উঠেছিল, এবং জিব্রাইল বলেছিল "তোমার পিঠে চড়া ইনিই সবচেয়ে সম্মানিত যাত্রী হতে চলেছেন।"
সহজ কথায়, বোরাকের ভুল করার ক্ষমতা ছিল। যা আধুনিক বিজ্ঞানের জন্য হবে একটি স্বপ্নের যন্ত্র!
তাছাড়া একটি পিঁপড়ার সাথেও কী কোন যন্ত্রের তুলনা চলে? পিঁপড়ার খিধা পেলে সে নিজে নিজে খাদ্য সংগ্রহ করে, যন্ত্রের সেই ক্ষমতা থাকলেতো হতোই। আমাকে আর কষ্ট করে পেট্রলপাম্পে গিয়ে গাড়িতে পেট্রোল ঢালতে হতো না।
জ্বি, আল্লাহর ক্ষমতা এখানেই অসীমতা পায় যে তাঁকে লোহা লক্কড় দিয়ে কোন যন্ত্র তৈরী করতে হয়না, তিনি রক্তমাংসের প্রাণীই তৈরী করেন। এবং বোরাক ছিল ভিন্ন জগতেরই কোন প্রাণী, যার পিঠে অন্য যাত্রীরাও চড়েন। যাকে আমরা এলিয়েন বলি, এবং যাদের সন্ধান আমরা করে যাচ্ছি - হয়তো একদিন পেয়েও যাবো।
প্রশ্ন উঠতে পারে, তাহলে কী আমাদের জগৎ ছাড়াও ভিন্ন কোন জগৎ আছে বলে ইসলাম স্বীকার করে? ভিন্ন জগতের এলিয়েন প্রাণী? সংক্ষেপে বললে, হ্যা। এক্সপ্লিসিটলি স্বীকার করে না, তবে অস্বীকারও করেনা। ইব্ন তাইমিয়্যার মতন বিখ্যাত স্কলাররা বিশ্বাস করতেন আসলেই ইসলাম বলে এলিয়েন আছে। কুরআনিক রেফারেন্সও আছে তাঁদের এই বিশ্বাসের পেছনে। কিন্তু সেটা ভিন্ন আলোচনার বিষয়। আজকে সেসব নিয়ে আলাপ নয়।
পুরো বিষয়টাই মুসলিম ধর্ম বিশ্বাসের উপর নির্ভরশীল। যদি বিশ্বাস করে থাকেন আল্লাহ সর্বশক্তিমান, তাহলে সবই আপনার সামনে স্পষ্ট হয়ে যাবে। বায়ুমন্ডলের বিভিন্ন স্তর ভেদ করে দুটি প্রাণীর নভোমন্ডলে প্রবেশ এবং ফিরে আসা ইত্যাদি সবই সর্বশক্তিমানের প্রতি বিশ্বাসের উপর নির্ভরশীল। আদৌ তাঁকে এইভাবে নেয়া হয়েছিল নাকি টেলিপোর্টেশন ঘটেছিল সবই ভিন্ন আলোচনার বিষয়। বিশ্বাস করলে করবেন, না করলেও কোন জোর জবরদস্তি নাই। কিন্তু বিশ্বাস করলে সেটা যেন জেনে বুঝে জোরালো বিশ্বাসই হয়। অন্ধবিশ্বাস নয়।
এখানে আরেকটা ব্যাপার বলে রাখি। "শবে মেরাজ" নামে একটি উৎসব দেশে মহা ধুমধামে পালিত হয়। কিন্তু মজার তথ্য হচ্ছে, মেরাজের ঘটনার কোন নির্দিষ্ট তারিখ অথেন্টিক বইগুলোতে পাওয়া যায় না। মানে এই রাতের এমন আলাদা কোনই তাৎপর্য নেই যে ইবাদত করলে ডবল সোয়াব পাওয়া যাবে। যদি থাকতো তাহলে অবশ্যই লিপিবদ্ধ থাকতো। নবী এবং সাহাবীরা যেহেতু পালন করেন নি, কাজেই এই রাত নিয়ে আলগা ইবাদত করতে যাওয়াটা বেয়াদবি বলেই আমার বিশ্বাস।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:৪০

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: সহনশীল আলোচনা। নিজের বিশ্বাস বা জ্ঞান নিয়ে অন্যকে তুলোধুনা না করে মধ্যপন্থা অবলম্বনই শ্রেয়।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ :)

২| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:১৫

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: ধর্মীয় একটা বিষয় নিয়ে আপনি যেভাবে লিখলেন, সত্যিই অসাধারণ। আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে আমরা গঠনমূলক আলোচনা সমালোচনা করতে পারিনা, যে বা যারা তর্কে বিতর্কে লিপ্ত হই সবাই আগে থেকেই একটা আক্রমণাত্মক ভাব নিয়ে বসে থাকি, আর বদ্ধমূল ধারণা যে বিপরীত পক্ষ যাই বলুক না কেন সেটা মানা যাবেনা। যুক্তি তর্ক বা মনন দিয়ে বোঝার চেষ্টা না করে নিজেদের গোঁয়ার্তুমি টা বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আমরা যদি ভদ্রভাবে যুক্তি তর্ক করতে পারতাম, তাহলেতো হতোই।

৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:১২

কাইকর বলেছেন: সুন্দর আলোচনা

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

সনেট কবি বলেছেন: আলোচনা খুব ভাল লেগেছে তবে মিরাজের রাতকে গুরুত্ব প্রদান বিষয়ে আপনার মতের সাথে আমি একমত নই। যে রাতে নামাজ ফরজ হয়েছে সে রাতকে গুরুত্ব দেওয়া যেতেই পারে। আর সাহায়ে কেরামের (রাঃ) সব কথা লিপিবদ্ধ নেই।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৩

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: এটাই পয়েন্ট আংকেল। যে রাতটিতে নবী (সঃ) বা সাহাবারা আলাদা কোন গুরুত্ব দেননি, মানে বুঝতে হবে সেই রাতে আমাদের কিছু এক্সট্রা করতে যাওয়াটা হবে বিদআত। নবী (সঃ) স্পষ্টাক্ষরে বিদআত করতে নিষেধ করেছেন।

৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০০

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার লেখা।
কিন্তু আমি আমার মনের মতো মন্তব্য করতে পারবো না।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: :) :)

৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:২০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সবই ঠিক ছিলো, পরে এসে বোরাকের সাথে রোবট মোবট মিলেয়ে লেজেগোবরে হয়ে গেছে!

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: এটাইতো ছিল মূল আলোচনা, কেন রকেট না হয়ে বোরাক ছিল বাহন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.