নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হারিকেন হারবার

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪০

শনিবার সকালে উঠে মনে হলো অনেকদিন ওয়ার্ক আউট করা হয়না। শরীরের কলকব্জা ঠিক রাখার জন্য হলেও বেয়ামের প্রয়োজন আছে।
আমার বেডরুমের পিছনেই আমাদের অ্যাপার্টমেন্টের স্যুইমিং পুল। জানালা দিয়ে পানির শব্দ কানে আসতেই ছোটবেলায় স্কুলে শেখা ট্রান্সলেশন মনে পড়ে গেল, "Swimming is a good exercise."
"সাঁতার একটি ভাল বেয়াম!"
তাই মুখ ধোয়ার আগেই ঘোষণা দিলাম, "আজকে সাঁতার হবে। সন্তরণ।"
ঘরের বাইরে পা দিয়ে দেখি আসমান ভেঙ্গে রোদ পড়েছে। গায়ের চামড়া পুড়ে যায় এমন অবস্থা। টেক্সাসের বিখ্যাত সামার!
গরমের দিনে সাঁতারের সাথে বারবিকিউ জমে ভাল। ব্যাচেলর থাকা অবস্থায় প্রায় প্রতি সপ্তাহেই আমার বাড়িতে পুল পার্টি হতো। এখন সবাই ব্যস্ত, ডাক দিলে সবাইকে একসাথে পাওয়াও যায়না। তাছাড়া, বারবিকিউ করতে ব্যাপক আয়োজনেরও ব্যপার আছে।
হঠাৎ মনে হলো, হারিকেন হারবার চলে গেলে কেমন হয়? এটি টেক্সাসের একটি বিখ্যাত ওয়াটার পার্ক/ ওয়ার্ল্ড। সামার ছাড়া খোলাও থাকেনা। এই সামারে যাওয়া হয়নি।
বউকে বললাম, আজাইরা প্যাচালে (আমাদের বন্ধুদের ফেসবুকে একটা থ্রেড আছে, নাম 'আজাইরা প্যাচাল';) লিখে দাও, আমরা যাচ্ছি, সাথে কেউ যাবে কিনা।
পোলাপান রিপ্লাই দিল, "বাইরে একশো পাঁচ ডিগ্রী ফারেনহাইট টেম্পারেচার। ওখানে গেলে পুড়ে কয়লা হয়ে যাব।"
আমি মনে মনে বললাম, সমুদ্রে পেতেছি শয্যা, শিশিরে কি ভয়?
তাছাড়া আজকে না গেলে হয়তো এই সামারেও যাওয়া হবেনা। আমরা প্ল্যান প্রোগ্রাম করে কিছুই করতে পারিনা। সবাই খুব ব্যস্ত থাকি। জীবনে যতবার প্ল্যান প্রোগ্রাম করে কিছু করতে গিয়েছি, সব ধরা খেয়েছি। আমাদের সবকিছুই ধরো তক্তা, মারো প্যারেক থিওরিতে চলে।
আমরা স্বামী স্ত্রী দুইজনেই লাল গেঞ্জি গায়ে দিয়ে রওনা হলাম ডালাসের "নন্দন পার্কে" ভেজার জন্য। ইচ্ছা করেই সাদা গেঞ্জি পড়লাম না। সাদা গেঞ্জি পানিতে ভিজলে নিজেকে ঢালিউডের নায়িকার মত লাগে।

আমার এক বন্ধুর মা ইংল্যান্ড সফরের সময়ে বলেছিলেন, "আল্লাহ ইচ্ছা করেই এদের দেশে এত ঠান্ডা দিয়েছেন। এত ঠান্ডার পরেও তারা ন্যাংটো হয়ে ঘোরাফেরা করে। এই দেশে গরম পড়লেতো আর তাকানোই যেত না।"
আন্টি ডালাসে এসেও মাঝেমাঝে থাকেন। তিনি হয়তো এদের অবস্থা দেখে মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেন।

হারিকেন হারবারে গেলে প্রথমে মনে হতে পারে হাশরের ময়দানে চলে এসেছি।
শয়ে শয়ে মানুষ, আবাল, বৃদ্ধ, বনিতা - সবাই প্রায় ন্যাংটো (বিকিনি) হয়ে চলে এসেছেন। আমি এবং আমার বউই কেবল আপাদ মস্তক কাপড়ে ঢাকা। ওদের কাছে আমরা যেন এলিয়েন।
সুখের কথা, ভিতরে ঢুকার পরে আমাদের মত আরও কয়েকজনকে খুঁজে পেলাম যারা মোটামুটি "ভদ্রোচিৎ" পোশাক পড়ে এসেছেন।

টিকিট কেনার সময়ে তারা উৎসাহ দেয় সিজন পাস কিনে ফেলতে।
একজন অ্যাডাল্ট টিকেটের দাম বত্রিশ ডলার, আর সিজন পাস পঁচাত্তর ডলার। সিজন পাস কিনলে এক সিজনে যতবার খুশি আসা যাবে। জেনারেল অ্যাডমিশন টিকিট শুধু সেইদিনের জন্যই ভ্যালিড।
এর আগে প্রতিবার এসে সিজন পাস কিনেছি, এবং একবারও ফেরত আসা হয়নি। কাজেই এইবার সেই ভুল করলাম না।

হারিকেন হারবারের অভিজ্ঞতা বর্ণনার আগে দেশের ফ্যান্টাসি কিংডমের ওয়াটার ওয়ার্ল্ড এবং নন্দন পার্কের কিছু অভিজ্ঞতার কথা বলে নেই।
আমাদের দেশে এইসব ওয়াটার পার্কে মেয়েরা মোটামুটি ভদ্র পোশাকেই যায়। স্যালোয়ার কামিজ পড়েই পানিতে নামে। ভেজা কাপড়েও তাঁদের শরীর দেখা যায়না। কিন্তু এরপরেও দেখা যায় তাঁরা নানান হয়রানির শিকার হন।
বিশেষ করে ওয়েভ পুলে। সেখানে কিছু বঙ্গ পুরুষ পানির নিচে ডুব দিয়ে এসে মেয়েদের শরীর টিপে টুপে ডুব সাঁতার দিয়েই পালিয়ে যায়। কয়েক সেকেন্ডের মামলা। এতেই তাদের পয়সা উসুল!
মেয়েদের সাথে যাওয়া ভাই, বন্ধু, স্বামীদের দায়িত্ব থাকে তাদের পাহাড়া দিয়ে রাখা। এতে মেয়ে বা তাকে রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত পাহারাদার - কেউই ওয়েভ পুলের আসল মজাটা পুরোপুরি নিতে পারেনা।
এত সাবধানতার পরেও লাভ হয়না। টিপা তাদের খেতেই হয়। একসময়ে অতিষ্ট হয়ে মেয়েদের উঠে আসতে হয়।
মেয়েদের এই হ্যারাসমেন্ট দেশের যে কোন ভিড়েই চলে। সেখানে ওয়াটার ওয়ার্ল্ডগুলোতো এইসব ইভটিজারদের স্বর্গভূমি!
আমাদের দেশের যুবসমাজের একটি বড় অংশ তাদের জীবনের অনেকখানি মূল্যবান সময় ব্যয় করে কেবল এই চিন্তা করেই যে কিভাবে একটি মেয়ের (সুন্দরী হতেই হবে এমন কোন আবশ্যকতা নেই, পরনারী হলেই যথেষ্ট) শরীরকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও ছুঁয়ে দেখা যায়! স্কুলের "জীবনের লক্ষ্য" রচনায় যদি সত্যিকারের লক্ষ্য লেখার চলন থাকতো, তাহলে এরা লিখতো, "প্রত্যেকের জীবনেই একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকা আবশ্যক। লক্ষ্যহীন জীবন দাঁড়হীন তরীর মতন। নির্দিষ্ট লক্ষ্য ধ্রুবতারা হিসেবে পথ প্রদর্শন করে। সে কখনই পথভ্রষ্ট হয়না। আমার জীবনের লক্ষ্য যেমন মেয়েদের শরীর টিপাটিপি করা।"
আফসোস!
কোন কোন আঁতেল এখন বলতে পারেন, "এইভাবে ফেসবুকে সরাসরি দেশের ছেলেদের কুকীর্তির কথা বলে নিজের দেশের অসম্মান করা উচিৎ হচ্ছে না।"
তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, ভাই, দোষ লুকিয়ে রাখলে দেশের সম্মান এতটুকু বৃদ্ধি পাবেনা। উল্টা (ignore করলে) দিনের পর দিন ঐসব ফাজিলদের সাহস শুধু বাড়বেই। দোষ চেপে রাখা আর প্রশ্রয় দেয়ার মাঝে বিন্দুমাত্র পার্থক্য নেই।

যাই হোক, অ্যামেরিকায় মেয়েরা বিকিনি পড়েই পানিতে নামে। তারপরেও কোন মেয়ে বলতে পারবেনা তাকে পানির নিচ দিয়ে কেউ এসে 'টিপে' দিয়েছে। কেউ এটাও বলতে পারবেনা, তার শরীরের দিকে কোন পুরুষ ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে ছিল।
এইদেশে আসার পর শিখেছি, সভ্যতা আসলে মানুষের পোশাকে নয়, মানসিকতায়।

চারফুট গভীর একটি কৃত্রিম খাল বয়ে গেছে। সেখানে পানির তীব্র স্রোত। সবাই এসে সেখানেই প্রথমে নামে। পানির স্রোতে গা ভাসিয়ে দেয়ার মজাই আলাদা।
আমার আবার একটু শুচিবায়ু আছে। তাই নামার আগে সাইনবোর্ডে লেখা নিয়মাবলী পড়ে ফেললাম।
"আপনার যদি পাতলা পায়খানা রোগ থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে পানিতে নামবেন না।"
"টয়লেট থেকে ফেরার সময়ে ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে তবেই পানিতে নামুন।"
"শিশুদের পানিতে নামাতে হলে অবশ্যই স্যুইমিং ডাইপার পড়িয়ে নামাবেন।"
আরও দীর্ঘ লিস্ট। আমি বুঝে গেলাম পানি পরিষ্কার। নেমে গেলাম।

প্রতিটা বাঁকে বাঁকে লাইফ গার্ড বসে আছে। কেউ একটু ডুবি ডুবি করলেই হুইসেল বাজিয়ে লাইফ গার্ড ঝাপিয়ে পড়ছে।
তিন্নি বলল, "ভালইতো ব্যবস্থা।"
আমি এর আগেও এসেছি। বললাম, "এদের একফুট গভীরতার পানিতেও লাইফ গার্ড থাকে। এটাতো চার ফুট!"
তিন্নি যেন কথাটা বিশ্বাস করলো না। পরে দেখলো আসলেই যে অঞ্চলের গভীরতা একফুট, সেখানেও দুইজন লাইফগার্ড অন ডিউটি। মানুষের জীবনের মূল্য এই দেশে অনেক বেশি!
রাইড নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই। বাংলাদেশের একেকটি রাইড যদি হয় তিনতলা উঁচু, এখানকারগুলি নয়তলা উঁচু। বাঁকও অনেক বেশি।

দেশে আমার ফ্রেন্ড তাঁর ফ্যামিলি নিয়ে গিয়েছিল নন্দনে। নন্দন তখন মাত্রই খুলেছে।
প্রথমে তাঁর মামাতো ভাই টিউব নিয়ে একটি রাইডে ঝাপিয়ে পড়লো। বেচারা একটু স্বাস্থ্যবান। সে একটি বাঁকে গিয়ে আটকে গেল। যথেষ্ট পানি না থাকায় প্লাস্টিক পিচ্ছিল ছিল না। তার মোটা শরীর সেখানে ফেসে গেল।
পেছনে আমার বন্ধু ঝাপ দিল। সে এসে ঐ একই বাঁকে মামাতো ভাইয়ের কারনে এটকে গেল।
তার পিছনে বন্ধুর ছোট ভাইও এসে এটকে গেল। দুইজনের ধাক্কা খেয়েও বেচারা মামাতো ভাই ছুটলো না। এদিকে ছোট ভাই ভয় পাচ্ছে পেছন থেকে না জানি কে এসে তার সাথে ধাক্কা খায়!
সে সামনের জনকে চিৎকার দিয়ে বলতে লাগলো, "হারামজাদা মটুরে লাথি মার! জোরে লাথি মার! নাহলে সে ছুটবে না!"

এখানে সেই ভয় নেই। পানির স্রোত অনেক বেশি বলে এটকে যাবার সম্ভাবনা নেই। তারপরেও একজন কেউ ক্লিয়ার না হওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয়জনকে গ্রীন সিগন্যাল দেয়া হয়না।
এই প্রসঙ্গে আরেকটা গল্প মনে পড়ে গেল।

আমার ফ্রেন্ডের মামা মামী এসেছেন বিদেশ থেকে। সবাই মিলে গেল নন্দন পার্কে। মামী একটি রাইড চড়ে মাত্রই পানিতে পড়েছেন। নিয়ম হচ্ছে পড়ার সাথে সাথে সরে যাওয়া।
তিনি তখনও ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। ওখানে দাঁড়িয়েই চোখ মুখ থেকে পানি সরাচ্ছেন।
ঠিক তখনই তাঁর ঘাড়ের উপর এক অপরিচিত ভদ্রলোক আছড়ে পড়লো। ভদ্রলোক নাকি লুঙ্গি পড়ে এসেছিলেন। মামীর মুখ তখন লুঙ্গির ভিতরে। বিশ্রী অবস্থা!

এখানে কয়েকটা রাইড আছে যেখানে অনেক বাঁক ঘুরানোর পর মানুষকে বারো ফিট উচ্চতার পানিতে এনে আছড়ে ফেলে। খুব ভাল সাঁতারু না হলে সেটাতে চড়া উচিৎ না। কিছু বেকুব তারপরেও সেসবে চড়ে। পানিতে পড়ার সাথে সাথেই পানির গভীরে তলিয়ে যায়। লাইফগার্ড থাকায় রক্ষা।
কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, "যে একজন মানুষের প্রাণ রক্ষা করলো, সে যেন গোটা মানবজাতির প্রাণ রক্ষা করলো।"
আমাদের চোখের সামনেই, কয়েক মিনিটের ব্যবধানে লাইফগার্ড তিনজনের প্রাণ রক্ষা করে ফেলল।
চাকরিটাতো দারুন! একটা 'ডাক্তার' 'ডাক্তার' ফিলিংস দেয়!

সবচেয়ে বিরক্তিকর ব্যপার হচ্ছে প্রতিটা রাইডের জন্য দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর সময় ধরে অপেক্ষা করা। পাঁচ সেকেন্ডও লাগেনা একেকটা রাইড শেষ হতে, কিন্তু তার জন্য এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়। রোদে পুড়ে পাপড় হতে হয়। অপেক্ষা সবসময়েই খুব বিরক্তিকর।

একটি রাইড আছে অনেক উঁচু থেকে (বারো-চৌদ্দ তলার কম হবেনা নিশ্চিত, আরও বেশি হবে হয়তো) খারা স্লিপ খেয়ে নিচে নেমে পড়ে। আগেও একবার উঠেছিলাম, সেবার আমাদেরই এক বন্ধু নিচে নেমে এসে হালকা আঘাত পেয়েছিল বলে রাইড লক করে দিয়েছিল। এইবারও উঠার পর আমাদের সামনের কেউ আহত হওয়ায় রাইড লক করে দিল।
আমাদের হাতে খুব বেশি সময় ছিল না। কাজেই এইবারও সিড়ি বেয়ে এত উঁচুতে উঠেও আবারও পায়ে হেঁটে নেমে আসতে হলো।

দুপুরে তেমন খিধে পায়নি, শুধু স্ন্যাকস খেয়েছিলাম। বেরোবার পর বুঝলাম পেটে তখন আগুন জ্বলছে।
মনে পড়লো, এখানেই আশেপাশে একটা চাইনিজ বাফে রেস্টুরেন্ট আছে, যাদের খাবার দুর্দান্ত। চলে গেলাম সেখানে। টয়লেটে হাত ধোয়ার সময়ে আয়নায় দেখি মুখ পুড়ে কৃষ্ণবর্ণ হয়ে গেছে। আগামীদিন একটি কনসার্টে যাবার কথা। মিকা সিংয়ের সাথে বিশিষ্ট ভদ্রমহিলা শিশুতোষ চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী সানি লিওনি আসছেন। তিনি বলিউডি সংগীতের উপর নৃত্য পরিবেশন করবেন। সেই সাথে এইবারের মিস ইন্ডিয়া এবং কোন এক অখ্যাত(চিনিনা) গায়ক/গায়িকা। আমাদের রেডিও সেটার স্পন্সর। সেই হিসেবে আমরা ভিআইপি টিকেট পেয়েছি।
সানি আপার সামনে রোদে পোড়া মুখ নিয়ে যাব?

তবু মন উৎফুল্ল থাকলো। বউকে নিয়ে একটি ওয়াটার ওয়ার্ল্ড ঘুরে আসলাম, এবং বউ কোনরকম ইভটিজিংয়ের শিকার হয়নি, এটাইতো শনিবার দিনের সবচেয়ে বড় আনন্দ!

(বহু পুরানো পোস্ট। চার বছরতো হবেই।)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো পোষ্ট।
পোষ্ট পুরান হলেও আমার জন্য নতুন।
তবে লেখার সাথে কয়েকটা ছবি দিলে খুশি হতাম।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:২৯

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: হাহা, ছবি সবই বিকিনিওয়ালি মেয়েদের হতো। বউ তাহলে মাইন্ড করতো একটু। ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.