নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামকে শুধুশুধু জটিল বানাবার চেষ্টা করবেন না।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩২

গতকালকের লেখার কিছু কমেন্টের জের ধরে কিছু কথা বলা যাক।
১. আমি লিখেছিলাম হালাল হারাম ব্যাপারটা নিয়্যতের উপর নির্ভরশীল। এক ভাই (ব্লগে) কমেন্ট করেছিলেন শূকরের মাংস হারাম। সেটা যতই ভাল নিয়্যত থাকুক না কেন, হালাল হবেনা।
কথাটা একদিক দিয়ে ঠিক। শুকরের মাংস, বা এলকোহল বা নখওয়ালা প্রাণীর মাংস হারাম। কিন্তু - সেটা সাধারণ অবস্থায়। এখন ধরা যাক আপনি সাহারা মরুভূমিতে হারিয়ে গেছেন। আপনার সাথে কোনই খাবার নেই, কেবল কিছু ক্যান ভর্তি পোর্ক সসেজ (শূকরের মাংস) আছে। এখন আপনি কী প্রাণ বাঁচাতে সেই মাংস খাবেন? হ্যা, খাবেন। কারন জান বাঁচানো ফরজ। আগে আপনাকে নিজের অমূল্য জীবন বাঁচাতে সম্ভাব্য সবকিছুই করতে হবে। যদি শূকরের মাংস খেতে হয়, তবে তাও খাবেন। যেমন নরহত্যা মহাপাপ। আল্লাহ বলেছেন "যে একজন নির্দোষ মানুষ হত্যা করলো, সে যেন পুরো মানবজাতি হত্যা করলো।" এই আয়াতটি আমাদের কুরআনে, ইহুদিদের তাওরাতেও আছে - বুঝেন কতটুকু গুরুত্ব দিয়েছেন আল্লাহ। কিন্তু কেউ যদি আপনার বাড়িতে ঢুকে আপনাকে হত্যা করতে উদ্যত হয়, তাহলে নিজের প্রাণ রক্ষার্থে সেই দুর্বৃত্তের হত্যা করলে আপনি কোন হারাম কাজ করবেন না। সেটা বরং হালাল হয়ে যাবে।
একই ব্যাপার ওষুধ সেবনের ক্ষেত্রে। আমি নিশ্চিত অনেক ডাক্তারই এই বিড়ম্বনার শিকার হন। রোগীরা বলেন এলকোহলমুক্ত ওষুধ দিন। এখন এলকোহলমুক্ত ওষুধ নেই বাজারে, কি করবেন আপনি? আপনার রোগ সারাতে অবশ্যই আপনাকে সেই ওষুধ সেবন করতে হবে। শুধু মনে রাখবেন, সুস্থ হবার পরে যেন সেই ওষুধ সেবন না করেন। ফেনসিডিল একটি কফ সিরাপ - কাশি হলে এই ওষুধ খায়। অনেকেই হয়তো জানেন না। কাশি ছাড়া খেয়ে লোকে ঝিমায় বলেই ওটা নেশা, এবং তখন ওটা হারাম।
২. কেউ বেশি দাম দিয়ে কিছু কিনলেই আমরা বলতে শুরু করি, "শো-অফ" "লোক দেখানো" "অহংকারী" ইত্যাদি।
হাদিসে আছে নবী (সঃ) বলছেন, "কারোর অন্তরে সরিষার দানা পরিমান অহংকার জমা থাকলেও সে বেহেস্তে যাবেনা।"
সাহাবীরা হায় হায় করে উঠলেন, "ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদেরওতো শখ হয় ভাল ভাল পোশাক পরার। আমাদের কী হবে তাহলে?"
রাসূল(সঃ) বললেন, "ভাল পোশাক পরা অহংকার না, বরং অহংকার হচ্ছে সত্যকে অস্বীকার করা।"
ব্যাখ্যায় যাই।
ধরুন আমার সামনে একজন গ্রাম্য কৃষক বসলেন। এখন যেহেতু আমি বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে বিদেশি কোম্পানিতে চাকরি করে ডলারে ইনকাম করে বাড়ি গাড়ি কিনে বসে আছি - কাজেই আমি কৃষকটিকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করলাম। তাহলেই কিন্তু আমি অহংকার করলাম। এবং এর ফলে আমি জাহান্নামে যাব।
কিভাবে "সত্যকে অস্বীকার করলাম"? হতে পারে আমি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দীক্ষায় এই কৃষকটি থেকে এগিয়ে আছি, কিন্তু কৃষিজ্ঞানে এই লোকটি আমার চেয়ে কয়েক হাজার মাইল এগিয়ে। এই লোকটি বাতাসের প্রবাহ এবং আকাশের দিকে তাকিয়েই বলে দিতে পারে কখন বৃষ্টি হবে, যেখানে আমাকে ওয়েদার ফোরকাস্টের জন্য ইন্টারনেটের সাহায্য নিতে হয়। এই লোকটি জানে কবে কোন ফসল উৎপাদন করতে হয়, কিভাবে সেগুলোর যত্ন নিতে হয়, কখন কাটতে হয়, কখন পোকা ধরলে কি করতে হয় ইত্যাদি। এছাড়া এই লোকটি মানুষ হিসেবেই আমার চেয়ে কয়েক হাজারগুন ভাল হতে পারে। সবকিছু তুচ্ছ করে স্রেফ টাকা পয়সা আর লেখাপড়ার ভিত্তিতে আমি লোকটিকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করলেই আমার দ্বারা পাপ হবে।
এই পর্যন্ত সবাই ক্লিয়ার?
এখন আসা যাক দামি গরু প্রসঙ্গে। গতকালও বলেছি, আবারও বলছি, কেউ যদি নিজের হালাল টাকা খরচ করে বাজারের সেরা গরু কিনতে চায়, তাহলে অবশ্যই তাঁর অধিকার আছে সেই গরু কেনার। লোকে এভারেজ সাইজের গরু কিনছে বলেই যে আমাকেও কিনতে হবে এমন কোন শর্ত ইসলামে নেই। তবে এখানে একটি কঠিন শর্ত আমার উপর আরোপ হবে। আমি এক কোটি টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছি বলেই কেউ দশ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনলে আমি তাঁকে তুচ্ছজ্ঞান করতে পারবো না। তাহলেই আমার পুরো পশু কোরবানি বরবাদ হয়ে যাবে। আমাকে অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই আমার পশু নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে, কে কি কোরবান করলো - সেটা নিয়ে কোনরকমের মন্তব্য করতে পারবো না। আমার সেই অধিকারও নেই।
তেমনি ভাইস ভার্সা। আমি দশ হাজার টাকা দিয়ে কুরবান দিচ্ছি, এবং বাকিরা লাখ টাকার পশু কিনছে বলেই আমি তাঁদের দুর্নীতিবাজ, চোর বাটপার বলে দিব - এটার অধিকার আমার নেই। হ্যা, সরকারি কর্মচারীদের যখন দেখবো লাখ টাকার গরু জবাই দিতে, এবং ৯৯% নিশ্চিত থাকবো তাঁদের এই টাকা দুর্নীতির টাকা, তারপরেও ঐ ১% অনিশ্চয়তার জন্য আমি জাজমেন্ট শুনাতে পারবো না। আল্লাহ বলেছেন, তিনি বিচারক। যেহেতু আমি নই - কাজেই চুপ থাকাই আমার জন্য ভাল হবে।
৩. এত টাকা (২৮ লাখ) দিয়ে কেন একটাই গরু দিল? এর বদলে সে পঞ্চাশটা পশু কোরবান দিতে পারতো। তাহলে বেশি গরিব খাওয়ানো যেত। ইত্যাদি।
কুরবানী প্রসঙ্গে সূরা হজ্জ্বের ২৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেছেন "......এবং নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর নাম স্মরণ করে তাঁর দেয়া চতুস্পদ জন্তু যবেহ করার সময়। অতঃপর তোমরা তা থেকে আহার কর এবং দুঃস্থ-অভাবগ্রস্থকে আহার করাও।"
মানে কোরবানির পশু কেবল দুস্থ-অভাবগ্রস্থের জন্যই নয় - আমার নিজেরও আহারের জন্য। এখন আমার যদি শখ হয় দামি পশু খাবার, যদি আমার সামর্থ্য থাকে, যদি আমি কাউকে না ঠকিয়ে, কাউকে ছোট না করে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে সাথে নিজের শখ মেটাতে দাম দিয়ে গরু কিনি - সেটা আল্লাহ সম্পূর্ণ হালাল করেছেন। আপনি হয়তো ভাবতে পারেন এটি টাকা পয়সার অপচয়। কিন্তু আপনার কাছে যা "অনেক" টাকা, অনেকের কাছেই সেটি "সামান্য।" যেমন আপনার কাছেও যেখানে ৫-১০ হাজার টাকা "সামান্য" সেটাই অনেকের কাছে "অনেক।" এই টাকায় কেউ কেউ তাঁদের এক দুই মাসের সংসার চালায়। আপনি পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছেন, সেটাও অন্যের যুক্তিতে অপচয় করেছেন। কারন সেই টাকায় আপনি গ্রাম থেকে সস্তায় দুইটা বা ক্ষেত্রবিশেষে তিনটা গরু কিনতে পারেন। মাংস বেশি হতো। বেশি গরিব খাওয়াতে পারতেন।
ইসলাম কেবল আপনার পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে নিয়ম করেনা। সবার সব দৃষ্টিকোণ বিচারে নিয়ে তারপরে কেবল ন্যায়ের পক্ষে নিয়ম করে। আবারও বলছি, আপনি যদি কারোর প্রতি কোন রকম ক্ষতি (দৈহিক বা মানসিক) না করে নিজের টাকায় গরিবের হক আদায় করে (যাকাত এবং সদকা) নিজের জন্য বিলাসবহুল কিছু কিনতে চান - ইসলাম আপনাকে সেই অনুমতি দেয়। নাহলে আমরা আজকে গাড়ি কিনতে পারতাম না, বাড়ি বানাতে পারতাম না, ভাল মন্দ খেতেও পারতাম না। সবই কারোর না কারোর চোখে বিলাস বহুল, অপচয়।
আরও কিছু পয়েন্ট উঠেছিল, মনে পড়ছে না। তবে বটম লাইন হচ্ছে, আল্লাহ ইসলামকে একারনেই আমাদের জন্য পাঠিয়েছেন যাতে আমাদের জীবন সহজ হয়। এর বাইরে গেলেই বরং আমাদের ক্ষতি হয়। আজকে না হলেও ধীরে ধীরে ভবিষ্যতে কখনও না কখনও হবেই। কাজেই ইসলামকে শুধুশুধু জটিল বানাবার চেষ্টা করবেন না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে বোঝার ক্ষমতা দান করুন।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৩

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: বুঝতে হবে।

২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

উদুম্ভূত বলেছেন: হালাল হারাম নিয়্যতের উপরে নির্ভরশীল - আপনার এই কথাটা ঠিক না। বরং আমল কবুল হবে কি হবে না সেইটা নিয়তের উপরে নির্ভরশীল। হালাল হারামের বিষয়টা শরিয়ত নির্ধারণ করবে। আপনার আমার কাজ হল ইচ্ছার পক্ষে হোক আর বিপক্ষে হোক শরীয়ত মেনে চলা, এইটাই আপনার আমার পরীক্ষা -- যে আমরা আল্লাহ তায়ালাকে প্রতিপালক মানি নাকি নিজেরাই নিজেদের খোদা হয়ে বসে আছি।

জীবন রক্ষার জন্য যদি আর কোন উপায় না থাকে তাইলে হারাম খাবার খেয়ে জীবন রক্ষা করা যায়েজ - এইটা আপনাকে বলতে হবে না, এই কথা শরিয়তই বলে। কোন কন্ডিশনে কোন জিনিসের হালাল হারামের হুকুম কিভাবে পরিবর্তন হবে - এইটা নিয়তের উপর নির্ভর করবে না বরং শরীয়তের উপর নির্ভর করবে। নিয়তের মাসলা হইল এখলাসের মাসলা - আপনার বা আমার মনের মধ্যে কি আছে এইটা আপনি বা আমি এবং আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না। কেয়ামতের দিন মিজানের পাল্লায় এখলাস ওয়ালা সামান্য আমলের অনেক ওজন হবে, আবার এখলাস ছাড়া বড় বড় আমলের কোন ওজন হবে না। এই জন্যই আমল গননা না করে ওজন করা হবে।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৫৬

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আপনি কথাটার মানে বুঝেন নি। "নিয়্যতের উপর নির্ভরশীল" মানে হচ্ছে আমার নিয়্যতটা কি সেটার উপর। শরীয়ত সরাসরি একটি রেখা টেনে দেয় - সাথে কিছু এক্সেপশনও দেয়। সেই এক্সেপশনটাই নিয়্যত।
আমার নিয়্যত যদি হয় কারোর বা নিজের প্রাণ বাঁচানো, তাহলে এলকোহল যুক্ত ওষুধ সেবনও হালাল। আর আমি জানি আমার কোন সমস্যা নেই, স্রেফ ফূর্তির নিয়্যতে এলকোহল নিচ্ছি - সেটা এমনিতেই হারাম।

৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ব্যাখ্যা ঠিক আছে (আমি বিশেষজ্ঞ নই, সাধারণ জ্ঞানে বললাম)। বিশেষ প্রতিকূল পরিবেশে জীবন বাঁচানোর জন্য সবকিছুই খাওয়া যাবে। এটা বৈধ। এ ব্যাপারে কোথাও কোনো বিতর্ক আমার চোখে পড়ে নি।

বাবা দরিদ্র, অশিক্ষিত কৃষক। আমি শিক্ষিত বড়ো চাকরিওয়ালা/বড়ো নেতা হয়ে গেছি। বললাম আমার বাবা একজন সচিব ছিলেন। এটা সত্যকে অস্বীকার করা। কিংবা মানুষের সামনে বাবাকে বাবা বলে পরিচয় না দেয়া (আমাদের বাংলাদেশের ছবিতে এ উদাহরণ প্রচুর)।

৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০২

উদুম্ভূত বলেছেন: আগের লেখার শিরোনামের সাথে একমত নই, কিন্তু এই লেখার বিষয় বস্তুর সাথে একমত।
+++++++

৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: প্রথম বাক্য ছাড়া বাকীগুলো ঠিক আছে...

৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। আল্লাহ যেনো আমাদের সৎ পথে চলার তৌফিক দান করেন।

৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ইসলাম শান্তির ধর্ম
এবং খুব সহজ ধর্ম।
একে জটিল করে ফায়দা
লোটার চেষ্টা গর্হিত কাজ।

৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২২

সনেট কবি বলেছেন: আপনার সামান্য কিছু ত্রুটি ছিল।

৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৫৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: ঘুষ-দুর্ণীতি,ব্যাভিচার,মদ-মাদক হারাম জানার পরও অগণিত মানুষ এসব অপরাধ করে।
কঠোর শাস্তি না দিলে এদের সোজা করা যাবে না।

১০| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:২৮

আবু তালেব শেখ বলেছেন: আপনি সাহারা যাচ্ছেন ভালো কথা কিন্তু পোর্ক সসেজ আপনি কেন বহন করবেন??? আর জান বাচানো ফরজ আপনি কোন হাদিসে পাইছেন???

২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:০৬

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ফরজ আরবি অর্থে বলা হয়নি, বলা হয়েছে বাংলা অর্থে যার মানে অবশ্য কর্তব্য।
হ্যা, হাদিসে নেই, কুরআনেও নেই - কিন্তু ইসলামের মোটামুটি সব আলেমই হাদিস কুরআন ঘাটাঘাটি করে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন যে আপনি কোন অবস্থাতেই নিজের জীবন গিভ আপ করতে পারবেন না। মানে আপনাকে জীবন বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টাই করতে হবে। ইসলামের সব নিয়ম হাদিস কুরআনে সরাসরি থাকেনা, কিয়াস ইজমার মাধ্যমে আলেমরা বের করেন।
আর সাহারা মরুভূমির উদাহরণটা রূপক অর্থে দেয়া হয়েছে। তারপরেও আপনার মাথায় যখন ঢুকেনি, তাহলে বলি, প্লেনে করে মরুভূমি পারি দেয়ার সময়ে প্লেন ক্র্যাশ করলো, আপনি ছাড়া জীবিত কেউই বাঁচলো না। তখন প্লেনের ক্যান্টিন থেকে আপনি পোর্ক সসেজের ক্যান উদ্ধার করলেন। এখন বুঝেছেন? মাঝেমাঝে নিজের বুদ্ধিটাও খাটাতে হয়। একটু কষ্ট করে সেটা করবেন প্লিজ।
সাহারা মরুভূমিতে আপনি ঐ সংকটে পড়লে নিজের মৃত সহযাত্রীদেরও মাংস খেতে পারবেন। নিজের প্রাণ বাঁচানোটাই এখানে মুখ্য।

১১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৯

সিগন্যাস বলেছেন: সবাই যাকাত দিলে নাকি এদেশে দরিদ্র লোক খুঁজে পাওয়া যেত না । আপনি কি মনে করেন?

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৫৩

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: অবশ্যই। জাকাতের মতন জাকাত দিলে অবশ্যই দেশে কোন গরিব থাকতো না। কথা হচ্ছে, জাকাতটা কিভাবে দেয়ার নিয়ম? দেশে যেভাবে সস্তা লুঙ্গি-শাড়ি ধরিয়ে দেয় সেভাবে? না। সেটা ভিক্ষা, এবং আল্লাহর রাসূল তীব্রভাবে ভিক্ষাবৃত্তিকে ভর্ৎসনা করেছেন।
ধরা যাক আমার উপর এক লাখ টাকা জাকাত ফরজ হয়েছে। আমাকে তখন একটি গরিবকে খুঁজে বের করতে হবে যার জাকাতের প্রয়োজন। আমি তাঁকে তখন এমনভাবে ব্যবস্থা করে দিব যাতে আগামী বছর তাঁকে জাকাত দিতে না হয়। যেমন আমি তাঁকে একটি রিকশা কিনে দিতে পারি, তাঁর বৌকে সেলাইর মেশিন, শিশুদের স্কুলের ব্যবস্থা। সবই এক লক্ষ টাকায় সম্ভব। এখন এই লোকটা রিকশা চালিয়ে/ভাড়া দিয়ে, তাঁর বৌ কাপড় সেলাই করে এবং ছেলে মেয়েরা পড়ালেখা করে ভাগ্য পরিবর্তন করবে। এইভাবে অনেক অনেক লোকের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে - এটি পরীক্ষিত ফর্মুলা।
এইটাই জাকাত। নবীজি (সঃ) একটি ভিখারিকে তাঁরই টাকায় একটি কুঠার কিনে দেয়ার ঘটনা মনে নেই? এই সমস্ত লোকেরা ভাগ্য পরিবর্তন করতে আগ্রহী, পরিশ্রমের সামর্থ্য রাখে - শুধু ধাক্কার অভাবেই এগুতে পারেনা। আপনি আপনার জাকাতের মাধ্যমে সেই ধাক্কাটাই দিবেন।
হ্যা, দেশে এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা কোন কাজ করেনা, কিন্তু আশায় থাকে লোকে তাদেরকে দান করে করে জীবন কাটিয়ে দিবে। এই সমস্ত লোকেরা স্বভাব গরিব। এদেরকে কোটি টাকা দিলেও এদের ভাগ্য পরিবর্তন হবেনা।

১২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১২

মহসিন ৩১ বলেছেন: আমার একটা ধারনা আছে; সেটা খুব সামান্য মনে হলেও ওজনের দিক থেকে তা মারাত্মক। ---- আমার মনে হয় ইসলাম ধর্মের সবচাইতে বড় সমস্যাটা হচ্ছে "সময়ের" সাথে এটা খাপ খাওয়াতে ব্যর্থ। ব্যর্থ এভাবে যে ; এখনকার মুসলমানদের যখন কোন কাজ কর্ম থাকে না তখন তারা কোন কিছুই না করে ধরমালোচনায় লেগে পড়ে। একটু চিন্তা করলেই কিন্তু বোঝা যেত যে; ধর্মটাঃ- মত এবং পথের দিশা যতটা আছে; আলোচনায় ততই কমতি আছে। কারন কথায় আছে যে ; -----কথায় না বড় হয়ে কাজে... বড়।

আমার এখন চিন্তা আসে যে বিদেশীরা যে নিয়মে জীবন যাপন করতে অভ্যস্ত তাতে করে তাদের জীবন শুধুই কাজ ছাড়া আর কিছুই ভাবতে অক্ষম। সত্যই মানুষ কাজ ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারে না। আর আমরা তর্ক বিতর্ক করতে করতে উন্নত দেশের লোকদের কাজকর্ম নিজেরা নিয়ে নিচ্ছি কিনা।

১৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৮

উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনার পোস্টটি ফেসবুকে পড়েছিলাম। ভালো লিখেছেন।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৫৭

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ :)

১৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লিখেছেন ভাইয়া।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৫৭

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ :)

১৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২২

রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৫৭

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.