নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
কোত্থেকে শুরু করবো, বুঝতে পারছি না। অনেক ব্যাপক এবং অতি সেনসিটিভ ইস্যু বলে কথা। অগোছালোও শোনাতে পারে, এবং এই টপিকে অগোছালো হবার কোনই সুযোগ নেই। লেখা বড় হবে সন্দেহ নেই। তবে অর্ধেক পড়ে ছেড়ে দিলেই সমস্যায় পড়বেন।
কিছুদিন আগে আমি লিখেছিলাম, "হালাল হারাম অনেক সময়েই নিয়্যতের উপর নির্ভর করে।" উদাহরণ হিসেবে দিয়েছিলাম, ধরা যাক, আপনি মরুভূমিতে হারিয়ে গেছেন। আপনার সাথে কয়েক ক্যান শুকরের মাংস ছাড়া খাবার আর কিছুই নেই। এই মুহূর্তে প্রাণ বাঁচাতে হলে আপনি শূকর খেতে পারবেন। সেটা আপনার জন্য তখন হারাম থাকবে না।
এক ভাই লিখে দিলেন, "আপনি কোন দুঃখে মরুভূমিতে যাবেন? এবং যাবেনই যখন, তাহলে শুকরের মাংস নিয়ে কেন যাবেন? ফাজলামি বাদ দেন।" এবং তারপর সস্তা রসিকতা করে নিজের পান্ডিত্য ফলানোর চেষ্টা করলো। লোকটাকে বললাম, ধরেন আপনি প্লেনে ছিলেন, এবং প্লেন ক্র্যাশ করলো মরুভূমিতে। আপনি ছাড়া কেউ বাঁচেনি, সাথে কোন খাবারও না। শুধু শুকরের মাংসের কিছু ক্যান অক্ষত ছিল। তখন?
ভদ্রলোকের ক্যালানো দন্ত আর দেখা হলো না।
অথবা কিছুদিন আগেই লিখেছিলাম, "মুসলিমের বাড়িতে বিনা জবাই করা মাংস খাওয়া হারাম, কিন্তু হিন্দুর বাড়িতে যদি বিসমিল্লাহ বলে জবাই করা মাংস সার্ভ করা হয় - তাহলে সেটা খাওয়া হালাল হবে।"
একজন বুঝতে পারেননি, তাই তিনি বললেন, "হিন্দু বা অমুসলিমের বাড়িতে কিভাবে জবাই করা মাংস পাওয়া যাবে?"
তখন এক মহিলা দন্ত বিকশিত করে বললেন, "লেখকের ধারণা হিন্দুরা আল্লাহু আকবর বলে জবাই করে। অল্পবিদ্যা ভয়ংকর। হেহেহে।"
তো যেই ভদ্রলোকের কনফিউশন ছিল, তাঁকে ব্যাখ্যা করেছি - বিদেশে মুসলিম গ্রোসারি স্টোরগুলোতে জবাই করা মাংস বিক্রি করে, যা হালাল, টেস্টও ভাল। সাধারণ বিদেশী স্টোরে ইলেকট্রিক শকে বা অন্যভাবে হত্যা করা প্রাণীর মাংস বিক্রি করে, যা হারাম। এখন কোন অমুসলিম যদি মুসলিম স্টোর থেকে হালাল মাংস কিনে রান্না করে খাওয়ায়, তাহলে সেই মাংস খাওয়ায় কোন মুসলিমের জন্য বিন্দুমাত্র সমস্যা নেই। আর মুসলিম বাড়িতে যদি সাধারণ দোকানের মাংস খাওয়ায়, তাহলে সেটা হারাম।
ভদ্রলোক বুঝতে পারলেন। মহিলা তারপরেও নিজের ফাজলামি চালিয়ে গেলেন। পরে গ্রূপ থেকে ব্যান হয়ে ছড়িয়ে বেড়ালেন এডমিনের সাথে দ্বিমত প্রকাশ করলেই ব্যান করে দেয়। জ্বি না, এডমিনের সাথে দ্বিমতে সমস্যা নেই, সমস্যা অযথা ফালতু ফাজলামিতে। এইটা মাথায় রাখতে হবে সবাইকে।
প্রসঙ্গক্রমে একটি কথা বলে ফেলি। মাংসের ব্যাপারে ইসলামে হালাল হারাম নিয়ম কিন্তু খুবই স্পষ্ট এবং স্ট্রিক্ট। কুরআনে কমসেকম তিনটি জায়গায় আল্লাহ উল্লেখ করেছেন, তাঁর নামে জবাই ছাড়া অন্য কোন উপায়ে হত্যা করা প্রাণীর মাংস খাওয়া যাবে না। মদ খাওয়া যেমন হারাম, তেমনি জবাই ছাড়া বিফ খাওয়াও তাই। হ্যা, এক্সেপশন আছে। যেমন বনের হরিনের মাংস। অথবা উড়ন্ত পাখির মাংস। তাদের আপনি কিভাবে জবাই করবেন? সেক্ষেত্রে তাদের মৃত্যু যদি রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে হয়, তাহলে সেই মাংস খাওয়া হালাল। ভোতা অস্ত্র দিয়ে, উঁচু স্থান থেকে ফেলে বা দম বন্ধ করে কষ্ট দিয়ে হত্যা করলে সেই মাংস খেতে পারবেন না।
কিন্তু সাধারণ গৃহপালিত পশু, যা আপনার বশবর্তী, যেগুলোকে জবাই করার সুযোগ আছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে এই নিয়ম কোন শর্ত ছাড়াই প্রযোজ্য।
মুসলিমরা এই ব্যাপারে অনেকটাই উদাসীন। আমি নিজেও ছিলাম যতদিন না সেই আয়াতগুলো পড়েছি।
তো যা বলছিলাম। ঐ ফাজলামি করা ভাই বোনদের মূল সমস্যা হচ্ছে, তাঁরা খুবই ন্যারো মাইন্ডেড। কুয়ার ব্যাঙের মতন। তাঁদের মাথা নিজের পরিচিত এলাকার বাইরে কোন কিছুই প্রসেস করতে পারেনা। মনে করে যেহেতু তাঁর জীবন এমন, তাই দুনিয়ার যেকোন প্রান্তে সব মানুষের জীবনই তাই। নিজের খেয়াল খুশীমতোন হালাল হারাম ফতোয়া দিয়ে বেড়ান, নিজের খেয়াল খুশি মতন সেগুলো এপ্লাই করেন। এবং সবচেয়ে বড় সমস্যা যা, তা হচ্ছে, নিজের সেই সীমিত জ্ঞান নিয়ে অন্যকে বিচার করতে বসে যান। কথায় কথায় মানুষকে কাফির, মুনাফেক, জাহান্নামী বানিয়ে দেন।
এদিকে ইসলাম কিন্তু কেবল সেই বিশেষ এলাকার লোকজনের জন্য নাজেল হয়নি। পুরো বিশ্বের প্রতিটা মানব গোষ্ঠীর কথা মাথায় রেখেই এর নিয়মগুলো এসেছে। আফ্রিকা বা আমাজনের জংলী মানুষও এর রাডারের বাইরে নন।
দেশে এক গ্রূপ উলামা এবং তাঁদের ফলোয়ার পাবেন, যারা বলেন, কাফের নাসারাদের যেকোন কিছু ফলো করা হারাম। তাঁদের পোশাক দেখবেন পায়জামা পাঞ্জাবি, অথবা লুঙ্গি। এরা মেসওয়াক দিয়ে দাঁত মাজে। টেবিলে বসে খায়না। ইংলিশ শিক্ষার বিরুদ্ধে। আমার নিজেরই এমন এক হুজুর ছিলেন, তাঁর উদাহরণ দিলাম। খুবই ভাল মানুষ ছিলেন, হয়তো তিনি মারাও গেছেন এতদিনে। আল্লাহ বেহেস্ত দিন।
এখন তাঁদের পয়েন্ট অফ ভিউটা একটু ব্যাখ্যা করা যাক।
একটা সময়ে পুরো বিশ্বে মুসলিমদের রাজত্ব ছিল। ভারতবর্ষে ছিল মুঘলদের রাজ। ব্রিটিশরা এসে তাঁদের তছনছ করে দিল। শুরু হলো ব্রিটিশ শাসন। এবং তখনকার সময়ের মাওলানারা ফতোয়া দিলেন, ইউরোপীয়দের মতন ড্রেস পড়া, তাঁদের মতন চলাফেরা করা, তাঁদের ভাষা শেখা হারাম!
এখন আপনিই বলেন, আপনি তাঁদের জায়গায় থাকলে কী করতেন? মনে আছে, "উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা" - শোনার সাথে সাথে আমাদের পূর্বপুরুষগণ কেন এত খেপেছিলেন?
জ্বি, নিজের আইডেন্টিটির প্রশ্ন উঠলে এমন ফতোয়া কেবল যৌক্তিকই নয়, ফরজ।
আপনার দেশে একদল বিদেশী এসে আপনার মাথার উপর ছড়ি ঘুরাতে লাগলো। আপনার মা বোনদের তুলে নিয়ে গেল, আপনাদের সোশিও-ইকনোমিক সবদিক দিয়েই আক্ষরিক এবং প্রতীকী দুইভাবেই মার দিল - এই অবস্থায় আপনি যদি তাঁদেরই নকল করেন, তাঁদের মতন হতে চান - তাহলে লোকে আপনাকে তাঁদের পাচাটা দালাল ডাকবে। ওদের তর-তরিকা এড়িয়ে চলতে আপনাকে মুসলিম হতে হবেনা, সাধারণ ভারতীয় নাগরিক হলেও চলবে। ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্সে না ভুগলে আপনি অযথা ইংরেজ হতে চাইবেন না। মাইকেল মধুসূদন প্রাইম এক্সাম্পল। গিয়েছিলেন ইংরেজ হতে, পারেননি। পরে বঙ্গেতে ফিরে সাহিত্য সেবা করেছেন। আর আয়নায় গাত্রবর্ণ দেখে উপলব্ধি করেছেন "পর-ধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ
পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি।"
এই কারণেই তখনকার উপমহাদেশীয় আলেমগণ (দেওবন্দী বললে আরও ভালভাবে বুঝবেন) ঘোষণা দিয়েছিলেন, "ইহুদি-নাসারাদের যেকোন কিছুই পরিত্যাজ্য।"
আরেকটি সাধারণ উদাহরণ দেই। অ্যামেরিকায় আমাদের গাড়ির ড্রাইভিং সিট গাড়ির বামপাশে, দেশে যেটা ডানপাশে। অ্যামেরিকায় রাস্তায় গাড়ি ডান পাশ দিয়ে চলে, দেশে বামপাশে। দেশে লাইটের সুইচ উপরে তুল্লে "অফ" হয়, আমাদেরটা হয় "অন।" দেশের ইলেক্ট্রিক ভোল্ট ২২০, আমাদের এখানে ১১০. মোট কথা, দেশে যা ঘটে, অ্যামেরিকায় ঠিক উল্টোটা হয় বা ভিন্নভাবে হয়। কেন? কারন ব্রিটিশরা ঐভাবে করে। আমাদের সেরকম করলে চলবেনা। একটা সময়ে এই অ্যামেরিকা ব্রিটিশদের থেকেই আলাদা হয়েছিল কিনা। গা থেকে ব্রিটিশ গন্ধ ঝেড়ে ফেলতে এবং নিজের আইডেন্টিটি দাঁড় করতে এরা চোয়ালবদ্ধ।
কথা হচ্ছে, সেই দেড়শো-দুইশো বছর পুরানো ফতোয়া এখন প্রযোজ্য? না। লেখা পড়তে থাকুন, ব্যাখ্যা পাবেন।
তো - আমাদের দেশে কিছু হাদিস সর্বদা প্রচার করা হয়। নবী (সঃ) নিজে ঘোষণা দিয়েছেন ইহুদিদের থেকে আলাদা হও। ওরা খালি পায়ে নামাজ পড়ে, আমরা জুতা পায়ে নামাজ পড়বো। (আমাদের সাহাবীগণ জুতা পায়ে নামাজ পড়তেন।) ওরা দাড়ি এবং মোচ বড় করে, আমরা দাড়ি বড় করবো, কিন্তু মোচ ছেটে ফেলবো। ওরা মহাররমের দিনে রোজা রাখে, আমরা আগে অথবা পরেরদিন মিলিয়ে মহাররমে দুইটা রোজা রাখবো। এমনকি ইহুদিরা একভাবে চুল আঁচড়ে, আমরা অন্যভাবে আঁচড়াবো। ইত্যাদি ইত্যাদি।
এখন নবীর এই হাদিসের পেছনে একটি বিষয় যা অনেক স্কলারই উল্লেখ করেননা, তা হচ্ছে, এই নির্দেশগুলো যখন তিনি দেন, ততদিনে ইসলাম একটি রাজনৈতিক শক্তি, একটি জাতি হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। তখন আর আমরা মাইনোরিটি নই। আমাদের আর কারোর অনুকরণ করতে হবেনা, আমরা নিজেরাই বরং স্ট্যান্ডার্ড সেট করবো। মক্কায় কিন্তু এইসব হাদিস নাজেল হয়নি।এইটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এই কন্টেক্স্ট বাদ দিলে সমস্যা শুধু বাড়বেই, কমবে না।
এরপরেও আমরা দেখি রাসূল (সঃ) কুরাইশদের মতনই পোশাক পড়তেন, কোন ফ্যাশন রেভ্যুলেশন তিনি আনেননি। বিদেশী ডেলিগেট আসলে তিনি তাঁর ইয়েমেনি পোশাক গায়ে চড়াতেন, আজকের যুগের হিসেব ধরলে টেইলর মেড ইটালিয়ান স্যুটের সাথে তুলনা করতে পারেন। বিদেশী রাজা মহারাজাদের কাছে চিঠি পাঠাতে হলে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী সীল মোহর ব্যবহার করতেন। বা খন্দকের যুদ্ধের সময়ে কুরাইশদের ঠ্যাকাতে তিনি পার্সিদের মতন খন্দক খনন করেন। কোথাওই তিনি বলেন নাই, ওরা কুফ্ফার, আমরা কুফফারদের অনুসরণ করিনা। যতক্ষণ না ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক, ততক্ষন পর্যন্ত "সেক্যুলার" নিয়মনীতিতে কোন সমস্যা নেই।
এখন আসি মূল টপিকে।
একদল বলেন, "জন্মদিন, এনিভার্সারি ইত্যাদি পালন করা হারাম।" কেন? কারন এইসব কাফিররা করে, এবং কাফিরদের যেকোন কিছু ফলো করা হারাম। মজার বিষয় হচ্ছে, এই মন্তব্য যিনি ফেসবুকে করছেন, তিনি নিজেও বুঝতে পারছেন না কতটা হাস্যকর শোনাচ্ছে এই দাবি। ইন্টারনেট, ফেসবুক ইত্যাদিতো কোন কাফিরেরই আবিষ্কার, নাকি?
অপর দিকেও এক্সট্রিমিস্ট আছেন। ফ্রেন্ডলিস্টের একজনকে সেদিন ঐতিহাসিক একটি ছবি পোস্ট করতে দেখলাম। তিন নারী একটি পত্রিকা ধরে আছেন, যার শিরোনাম, "এরশাদ অন্তরীণ।"
এক লোক মন্তব্য করে বসলেন, "বর্তমানে এই ছবি তোলা হলে দেখা যেত তিনজনের দুইজন হিজাব পড়া।"
"তাহলে সমস্যা কোথায়?"
"না মানে, আমাদের দেশীয় পোশাক হারিয়ে যাচ্ছে। কাঁইকুঁইকুঁইই.....ইনানো বিনানো।"
খুবই হাস্যকর শোনায় এমন কথা। যে এই কথা বলছে সে নিজে প্যান্টশার্ট পড়া। অথেন্টিক দেশীয় পোশাকের প্রতি এত ভালবাসা থাকলে গান্ধীজির মতন চলাফেরা করুন। এই সমস্ত হিপোক্রেটদের আমার খুবই ফালতু ঠুনকো মনে হয়। একদিকে নারী স্বাধীনতার, তাঁদের পোশাকের স্বাধীনতার বুলি আওড়ায়, অন্যদিকে সেই নারী হিজাব পড়লেই হাউকাউ জুড়ে দেয়। আপনার অধীনস্থ না এমন কেউ যদি নিজের ইচ্ছায় বিকিনি পরে, তাহলেও যেমন আপনার বলার কিছু নেই, তেমনি কেউ যদি নিজের ইচ্ছায় হিজাব পড়ে, আপনি কিছু বলার কোন অধিকার রাখেন না। এইটা মাথায় গেঁথে না নিলে ফালতু বকবক করতে আসবেন না।
তো যা বলছিলাম, যারা "ইউরোপীয় লেবাস" পরিত্যাগ করে সুন্নতি পোশাক পড়েন, তাঁরা বেশিরভাগই কিন্তু সেই পোশাক পড়েন না যা আমাদের নবী (সঃ) পড়তেন। পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, কুর্তা ইত্যাদিতো তাঁর আমলে ছিল না। এরা যে ভাত খায় - নবী (সঃ) জীবনেও ভাত খাননি। এরা বিছানায় ঘুমায়, নবীর (সঃ) বিছানা ছিল খেঁজুর পাতার, কোন বালিশও ছিল না। তাঁর বাহন ছিল উট, ঘোড়া বা খচ্চর, রিক্সা, বাস, টেম্পো বা গাড়ি নয়। যা বলতে চাইছি, তা হচ্ছে, যুগের হাওয়া বদলের সাথে এমন কিছু নিয়ম যদি থাকে, যা এক্সক্লুসিভলি কোন জাতি, গোষ্ঠী বা ধর্মকে রিপ্রেজেন্ট না করে, এবং ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক না হয়, তবে সেটা পালনে ইসলামে কোনই বাঁধা নেই। জন্মদিন, বিয়ের এনিভার্সারি ইত্যাদি পালন যেমন সেসবের অন্তর্গত। চিন্তা করে দেখেন, পাঁচ বছরের এক শিশু, যার বন্ধুবান্ধবের জন্মদিনে সবাই তাঁদের বাড়িতে গিয়ে মজা করে, আপনি শুধু শুধু একটা নিয়ম বানিয়ে দিলেন, "জন্মদিন পালন হারাম!" - সেই শিশুটা তাঁর ধর্ম সম্পর্কে কী ধারণাটা পাবে? ও মনে করবে ইসলামে আনন্দ ফূর্তির কোন স্থান নেই।
আপনি বলতে পারেন, "টাকা পয়সা এবং সময়ের অপচয়।" - ভাই, আপনি নিজের অন্যান্য কর্মকান্ড দেখেন, সেখানে কত অপচয় করছেন - আর নিজের সন্তানের জন্মদিনেই আপনি সাচ্চা মুসলিম বনে গেছেন!
আপনি বলতে পারেন, জন্মদিনের কেক কাটা, মোমবাতি নেভানোর সাথে পৌত্তলিকতা জড়িয়ে আছে। কিন্তু আপনি আমাকে একটা কথা অনেস্টলি বলেন, কোন আহাম্মক এই যুগে কেক কাটা বা মোমবাতি জ্বালানো নেভানোর সাথে সুপারন্যাচারাল বা আধ্যাত্মিক ব্যাপার স্যাপার মেলায়? আপনি কী জন্মদিন পালন করছেন এই উদ্দেশ্যে যে আপনি বিশ্বাস করেন এইটা পালন করলে আল্লাহ আপনাকে বরকত দিবেন? না। এইটা স্রেফ আনন্দের জন্য পালন। যদি আপনার এই উৎসবের মধ্যে বিন্দুমাত্র ধর্মীয় লিংক থাকে, তাহলে পালন করা হারাম। সেটা বেদাত হয়ে যাবে।
পৌত্তলিক শব্দটি থেকে একটি বিষয় উল্লেখ করতেই হয়। আমাদের দেশে মেয়েরা মেহেদী শখ করে দেন। আপনি কী জানেন মেহেদী যে পৌত্তলিক চর্চা ছিল? ইজিপ্ট এবং ইন্ডিয়াতে লোকে মেহেদী পূজার অংশ হিসেবে ব্যবহার করতেন। এখন করেনা। উল্টো মেহেদী মুসলিমদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে।
আপনি কী জানেন এক সময়ে কফি খাওয়া ইসলামে হারাম ছিল? কারন সুফিরা কফি খেয়ে রাত জেগে তাঁদের মতন ঘুরে ঘুরে ইবাদত করতেন। সেটা রিচ্যুয়ালের একটি অংশ ছিল, যা ইসলামে নিষেধ, বেদাত, হারাম। মক্কায় এক লোককে কফি খাওয়ার অভিযোগে বেত্রাঘাতও করা হয়েছিল। পরে যখন স্কলাররা বুঝতে পারেন কফির মাঝে ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক কিছু নেই, তখন সেই ফতোয়া তুলে নেয়া হয়। সবাই বলেন আলহামদুলিল্লাহ!
বিয়ের এনিভার্সারি পালন না করলে ঘর কেয়ামত হয়ে যায়। আর তারিখ মনে রাখলে বৌয়ের মন পাওয়া যায়। আল্লাহ এবং রাসূল বলেছেন নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে বৌয়ের মন জয় করতে। আপনি হুদাই একটা ফতোয়া দিয়ে বসে আছেন।
আমার বৌয়ের বেবি শাওয়ার উপলক্ষে এক মহিলা আমাকে বললেন, "রাসূলুল্লাহ বলেছেন, তোমাদের জন্য দুই ঈদ এর বাইরে কোন উৎসব পালন করা নিষেধ।" তাহলে আপনি কিভাবে এইটা করলেন? আপনি হিপোক্রেট! (বাই দ্য ওয়ে, সেই মহিলাই আমাকে প্রথম হিপোক্রেট গালি দিয়েছিলেন। সবাই বলেন সুবহানাল্লাহ!)
আপনারাও জীবনে বহুবার এই হাদিস শুনেছেন আমি নিশ্চিত। বিশেষ করে আমাদের বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, পহেলা বৈশাখ, নিউ ইয়ার ইত্যাদিতে।
পুরো হাদিসটা আগে বলি। মন দিয়ে পড়ুন।
আবু দাউদ, আহমাদ এবং ইব্নে হাজারে বর্ণিত হাদিস, রাসূলুল্লাহ (সঃ) মদিনায় যাবার পরে দেখেন মদীনাবাসী দুইটি বিশেষ দিনে উৎসব পালন করে। তিনি জানতে চাইলে তাঁরা বলেন সেই জাহেলী যুগ থেকেই তাঁরা এই দুই দিবস পালন করে আসছেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেন, আল্লাহ এই দুইদিনকে আরও উত্তম দুইটি দিবস দিয়ে "রিপ্লেস" করে দিয়েছেন - ঈদুল ফিতর, এবং ঈদুল আজহা।
হাদীসটির খুঁটি নাটি লক্ষ্য করুন। তখনকার পৌত্তলিক সমাজে যেকোন উৎসবই ধর্মীয় উৎসব ছিল। সবকিছুতেই দেবদেবী যুক্ত ছিল। আমাদের ক্যালেন্ডারই খেয়াল করুন, সপ্তাহের সাত দিন বা মাসের নামগুলো - বেশির ভাগই কোন না কোন দেবতার নামে। "সেক্যুলার" উৎসব কনসেপ্ট অনেক পরের ঘটনা।
রাসূল (সঃ) কিন্তু সহজেই বলতে পারতেন, "তোমরা এই দুই ঈদ উৎসব ছাড়া আর কোন উৎসব পালন করতে পারবেনা।" তাহলে কোন তর্ক থাকতো না। কিন্তু তিনি বলেছেন, এই দুই উৎসবের বদলে আল্লাহ ভাল দুইটি উৎসব দিয়েছেন। শব্দ চয়ন লক্ষ্য করেছেন?
এইটা অবশ্যই বিনা শর্তে মানতে হবে যে মুসলিমরা অন্য কোন ধর্মীয় উৎসব "পালন" করতে পারবেনা। দূর্গা পূজা বা ক্রিসমাস উপলক্ষে আমার বাড়িতে আমি পূজার আয়োজন করতে পারবো না। ওটা তাঁদের কাজ। আমার পার্টি দিতে হয়, লাইটিং করতে হয়, আমি ঈদে দিব।
এখানে আরেকটি বিষয়ও মাথায় রাখতে হবে, বিদেশে ক্রিসমাস সময়েই অনেক ছুটি পাওয়া যায়। অফিস ছুটি, বাচ্চাদের স্কুল কলেজ ছুটি। সেক্ষেত্রে আত্মীয়স্বজন দাওয়াত দিলে এই সময়ে সবাইকে একসাথে পাওয়া যায়। আমিতো জানি আমি কোন উদ্দেশ্যে দাওয়াত দিচ্ছি - কাজেই আমারটা কোন অবস্থাতেই যেন হারাম না হয়, আমাকেই সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি ক্রিসমাস ট্রি সাজিয়ে, মদ সার্ভ করে, ডান্স পার্টি করলে তখন অবশ্যই রেড ফ্ল্যাগ ওড়া শুরু হবে। যা এক্সক্লুসিভলি হারাম, তা নিয়ে তর্কের কোনই সুযোগ নেই।
কিন্তু যদি উৎসবটি সেক্যুলার হয়? যেমন বাংলা বা ইংলিশ নববর্ষ।
আমি যদি ফজরের নামাজ বাদ দিয়ে সূর্য ওঠার সাথে সাথে গান গেয়ে গেয়ে বৈশাখকে স্বাগত জানাই - তাহলে সমস্যা। কিন্তু আমি যদি ফজরের নামাজ পড়ে, মেলা দেখতে যাই, কুচকাওয়াজ, প্যারেড ইত্যাদি দেখি, বাড়িতে ভালমন্দ কিছু খাই, খাওয়াই - তাহলে ইসলামে কোথায় বাঁধা আছে দেখান?
কেউ তর্ক করবেন মঙ্গল প্রদীপ না জ্বালালে, পান্তা ইলিশ না খেলে, গালে আল্পনা না আঁকলে "সহীহ" বাঙালি হওয়া যাবেনা। কেন ভাই? কে নিয়ম করেছেন এইটা যে ওটা না মানলে আমার জাতীয়তা নষ্ট হয়ে যাবে? আপনি একভাবে পালন করছেন, করেন, আমি আমার মতন পালন করবো - আমাকে করতে দিন।
ডালাসে নববর্ষ উৎসব হয় ছুটির দিন বিকেলে। আমরা কী তাহলে অবাঙালি হয়ে গেলাম? সবকিছুতে আঁতলামি অসহ্য লাগে।
নিউ ইয়ারেও তাই। সারারাত মদ খেয়ে পার্টি করে পালন করলে ঈদও আপনার জন্য হারাম হয়ে যাবে। আবার, এই একটি দিনে আপনি যদি নিজের পরিবারের লোকজনকে একসাথে নিয়ে খাওয়া দাওয়া করেন, তাহলে কোন লজিকে এটি নিষেধ হবে? পার্সোনাল উৎসব পালনে ইসলাম সাইলেন্ট, আপনারা শুধু শুধু জীবনকে জটিল বানাবেন না।
বিশ্বাসীদের মা উম্মে সালমা (রাঃ) যখন আবিসিনিয়ায় ছিলেন, তখন তিনি সেখানকার বিশাল বিশাল গির্জা, তাতে কারুকাজ করা পাথর, রংবেরংয়ের কাঁচ দেখে মুগ্ধ হয়ে নবীকে (সঃ) বর্ণনা দিচ্ছিলেন। নবী (সঃ) কী একবারও বলেছিলেন ওসব কাফিরদের জায়গায় তুমি গেলে কেন? আস্তাগফিরুল্লাহ! জ্বি না। এই কারণেই আমরা দেখতে পাই, জেরুজালেমের চাবি নিতে উমার (রাঃ) ওদের প্রধান গীর্জায় গিয়েছিলেন। সেই গির্জায়, যেখানে খ্রিষ্টানরা বিশ্বাস করে সেই স্থানেই যীশুকে (আঃ) ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল। আমরা যদি ক্রিসমাস প্যারেড দেখি, ফোর্থ অফ জুলাই বা নিউ ইয়ারের আতশবাজি দেখি, তখন ফতোয়া জারি হয়, খবরদার! ওসব কাফের কুফফারদের কাজ! প্রার্থনায় অংশ নেয়া এক জিনিস, এবং দূর থেকে দেখা আরেক জিনিস। ন্যারো মাইন্ড হলে এই পার্থক্য বুঝবেন না।
আরেকটা কথা।
ক্রিসমাস/পূজা উপলক্ষে কোন বন্ধু বা প্রতিবেশী যদি আপনাকে খাবার পাঠায়, তাহলে সেই খাবার খাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে আমি কয়েক মাস আগে বলেছিলাম, যতক্ষণ না পর্যন্ত মাংস দিচ্ছে, ততক্ষন সেটা খাওয়া হালাল। স্কলারদের রেফারেন্স ছিল তাতে।
তারপরেও লোকজন তেড়েফুঁড়ে এসেছিলেন। তাঁদের জন্য দুইটি ঘটনা উল্লেখ করি।
হজরত আলী (রাঃ) কুফায় (ইরাকের শহর) থাকা অবস্থায় তাঁর বাড়িতে ফিরে দেখেন একদল স্থানীয় তাঁর জন্য ফালুদা পাঠিয়েছে। তিনি জানতে চাইলেন ঘটনা কী? তাঁরা বললেন, তাঁদের "নওরোজ" (নববর্ষ, জোরাস্ট্রিয়ানদের ধর্মীয় উৎসব) চলছে। এই উপলক্ষেই তাঁকে মিষ্টান্ন পাঠানো। আলী (রাঃ) সেই ফালুদা চেখে বললেন, "প্রতিদিন যেন তোমাদের নওরোজ হয়!"
এ থেকে আমরা কী শিখলাম? আলী (রাঃ) ফালুদা খুবই পছন্দ করেছিলেন। এবং দুই, মাংস না হলে যেকোন মিষ্টান্ন, সবজি খেতে ইসলামে সমস্যা নেই। অমুসলিম ধর্মীয় উৎসব হলেও।
"প্রসাদ" - যেটা ভগবানকে "ভেট" দেয়া হয়, সেটা আপনাকে ওরা দিবেও না - ঐ চিন্তা বা আশাও আপনি করবেন না। ওটা এক্সক্লুসিভলি পন্ডিত বা এলিটদের জন্য হলেও হতে পারে। আপনি সাধারণ খাবারের ভাগই পাবেন।
একই রেফারেন্স হজরত আয়েশারও (রাঃ) আছে। এক মহিলা ডিরেক্ট জিজ্ঞেস করেছিলেন ভিন্নধর্মের উৎসবের সময়ে যদি ওরা খাবার পাঠায় - আমরা কী খেতে পারবো? মা (রাঃ) বলেন, অবশ্যই। যতক্ষণ না সেখানে মাংস আছে।
এখন আপনারা হজরত আলী এবং আয়েশার চেয়ে বেশি ইসলাম জ্ঞান রাখলে ভিন্ন কথা।
তো - বটম লাইন হচ্ছে, আপনি জন্মদিন, নিউইয়ার, এনিভার্সারি ইত্যাদি "সেক্যুলার উৎসব" পালন করেন - কোনই সমস্যা নাই। শুধু নিজের লিমিট সম্পর্কে সচেতন থাকেন। যখন লিমিট অতিক্রম করবেন, সেটা সেই "লিমিট অতিক্রমের কারণেই" ইস্যু হবে, সেই বিশেষ দিবস পালনের কারনে নয়।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৬
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ভাল বলেছেন।
২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:৪২
অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: শেষ কয়েকটা প্যারার বিষয়ে সন্দেহ ছিল আগে। পোস্টটা পড়ার পর মোটামুটি দূর হয়ে গেছে। ধন্যবাদ ভাই
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৬
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!
৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:২৪
ইমরান আশফাক বলেছেন: চমৎকার একটা লেখা পড়লাম দিনের শুরুতে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
নবীজি বিদায় হজ্বের ভাষনে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন যে, "সাবধান, ধর্ম নিয়ে তোমরা কোন বাড়াবাড়ি করো না। অতীতে বহু জাতী ধ্বংস হয়ে গেছে শুধু এই বাড়াবাড়ির কারনে"। (হাদিসটা হুবহু এরকম অথবা এর কাছাকাছি)।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৬
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১৭
কানিজ রিনা বলেছেন: তাহলে সাদৃশ দেখুন, মুসলিমদের হুরহুরী
হিন্দুদের কিন্নর কিন্নরি,বেহেস্ত দোজক,
স্বর্গ নরক,মুসলিম জায়নামাজ হিন্দু আসন।
মুসলিম তোছবী হিন্দু জপের মালা।
হিন্দু লক্ষলক্ষ দেবতা মুসলিম লক্ষলক্ষ
ফেরেস্তা। মসজিদ মন্দির, মুসলিমের ইবাদত
পশ্চিম হিন্দু পুর্ব দিক। মুসলিম কুরবানী,
হিন্দু জীব বলি। আরও অনেক অনেক
সাদৃশ রয়েছে খৃষ্টান হিন্দুর সাথে। আসলে
আল্লাহ্ সব মানুষকে চোখ মুখ নাক কান
একই রকম ভাবে সৃষ্টি করেছেন। কাউকে
কমতি করে সৃষ্টি করেন নাই সবাই মানুষ
মানুষের উ্বর্ধে আর কোনও জীব নাই
পৃথিবীতে। ইসলামের হাদীস অনুসারে কোনও
কোনও ধর্ম নিয়ে হিংসাত্বক মনভাব পোষন
করা যাবেনা। প্রতিটা ধর্মে ভাল কিছু শিখায়।
অনেক ভাল উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৭
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: মিলতো আছেই।
৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি ভালো লিখেন।
আপনার লেখা নিশ্চিন্ত মনে পড়া যায়। ভরসা আছে, জানি বিরক্ত লাগবে না।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৫
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আমার সব লেখা পড়ার জন্য।
৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বিষয়টি ভালো। তবে
পাঠক একখ ডিজিটাল
এত সময় কই তার পড়ার।
অন্তত তিনটি ভাগ করে পোস্ট
করলে পাঠকের ধৈর্যচ্যুতি ঘটতো নাা
পাঠক একখ ডিজিটাল
এত সময় কই তার পড়ার।
অন্তত তিনটি ভাগ করে পোস্ট
করলে পাঠকের ধৈর্যচ্যুতি ঘটতো না
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৭
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: একটি আস্ত বই লেখা সম্ভব এই টপিকে। আমিতো অনেক সংক্ষেপে লিখলাম। তারপরেও অনেকের কাছে ক্লিয়ার না।
৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৯
এ আর ১৫ বলেছেন: ভাই যদি কিছু মনে না করেন তাহোলে আপনাকে আমি দুটি কথা এবং একটি প্রশ্ন করবো---
১) আপনার লিখাটাকে আরেকটা সংক্ষিপ্ত করা উচিৎ এবং এত বড় লেখা হোলে মেকসিমাম পাঠক খেই হারিয়ে ফেলে এবং না পড়ে চলে যায় ।
২) আপনার মধ্য ব্লগারদের মন্তব্যের জবাব না দেওয়া প্রবণতা দেখা যায় এবং জবাব দিলে ও সাপ্তাহ খানিক পরে দেন ।
এবার আমার প্রশ্ন --
আপনি পরার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন --- এবার নিম্ম লিখিত লিংকে গিয়ে একটা পড়ুন ---
আচ্ছা ভাই মাথার হিজাব হারাম না হালাল ?
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৫
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আমি আসলে খুব একটা নিয়মিত ব্লগার নই। সময়ের অভাবেই অনেক সময়ে জবাব দেয়া হয়না সবার। ফেসবুকে সাধারণত সাথে সাথে জবাব দেয়া হয়। ফেসবুকে আমার গ্রূপের নাম ক্যানভাস।
৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৩
আলাপচারী প্রহর বলেছেন: Good
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৮
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: Thanks!
৯| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৫
ঢাকার লোক বলেছেন: ভাই, আপনার প্রচুর সময় নিয়ে এ লেখায় যথেষ্ট যুক্তি আছে সন্দেহ নেই, তবে কোনো কোনো বিষয়ে স্বীকৃত ইসলামিক স্কলারগণ যে ফতোয়া বা রুলিং দেন তা আমাদের মতো সাধারণ মুসলমান একেবারে উড়িয়ে দিতে পারেন না . কিছু কিছু বিষয় যুক্তির বিচারে আপাত দৃষ্টিতে অযৌক্তিক হলেও মেনে নেয়ার নামই ইসলাম, 'আত্মসমর্পণ' . এখানে নিজস্ব বিবেচনা বা বিচার, ভালো লাগা বা না লাগা বিবেচ্য নয় . ( যেমন আমরা অজুতে মাসেহ করার সময় পায়ের উপরি ভাগে মুছে নেই, পায়ের তলায় মাসেহ করি না, অথচ ময়লা লাগলে পায়ের তলায় লাগার সম্ভাবনাই বেশি এবং তলা মুছে নেয়াই বেশি যুক্তিযুক্ত !) . জন্মদিন পালন বা এ ধরণের অনুষ্ঠান সম্বন্ধে অনেক বিশ্বখ্যাত আলেমগণ দ্বিমত পোষণ করেন . নিচে একটা লিংক দিলাম, দেখবেন দয়া করে ,
https://islamqa.info/en/answers/115148/celebrating-special-occasions-and-festivals-what-is-permissible-and-what-is-not
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫০
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আমি যেই বিষয় নিয়ে লিখি সবগুলোতেই স্কলার লেভেলে মতপার্থক্য থাকে। এক গ্রূপ থাকেন আল্ট্রা কনজারভেটিভ। আরেক গ্রূপ থাকেন যুগের প্রয়োজনে শরিয়া ভিত্তিক ইন্টারপ্রিটেশনে বিশ্বাসী। সাহাবী লেভেলেও এমন ছিলেন। যেমন আবু বকর সিদ্দিক ছিলেন আল্ট্রা কনজারভেটিভ। রাসূলুল্লাহ (সঃ) যা সরাসরি বলেননি, করেননি, তিনি তার এক বিন্দুও নড়চড় পছন্দ করতেন না। এদিকে উমার (রাঃ) ছিলেন ইন্টারপ্রিটেশন এবং এডপ্টেশনে বিশ্বাসী। তাই তাঁর উদ্যোগেই কুরআন সংকলন, তারাবীহর নামাজ জামাতে আদায় বা এইরকম ছোট খাট নিয়ম চালু হতে দেখি।
এখনও দুই ঘরানার স্কলার আছেন।
তবে, আমাদের বুঝতে হবে, আল্ট্রা কনজারভেটিভ ঘরানার স্কলারগণ সাধারণ মুসলমানদের সাথে ডিসকানেক্টেড হয়ে যান। ফলে লোকে আরও বিপথগামী হয়ে যায়। বরং ওদেরকে সঠিকভাবে গাইড করলে অনেককেই ফেরানো সম্ভব।
https://www.youtube.com/watch?v=O_EnD7bngcU
১০| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৬
ঢাকার লোক বলেছেন: Click This Link
১১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫২
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: পোস্টটি ভাল লাগল।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫০
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ
১২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৪
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আপনার লেখাটি মন দিয়ে পড়লাম । মন্তব্য না হয় পরে করব। আমার মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকুন।
মোটা দাগে বলছি। জন্মদিন ইত্যাদি পালন করা "হারাম" বলাটা চরমপন্থী অবস্থান। হারাম নির্দিষ্ট এবং হালাল নির্দিষ্ট। সুতরাং সরাসরি যা হাদীসে কিংবা মূল উৎস কোরানে নেই তাকে হারাম বানানোর চেষ্টা করাটা গ্রহনযোগ্য নয়। এখন হালাল হারামের মাঝখানের বিষয়গুলোতে ইসলামের নীতি হচ্ছে মুসলিমদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে প্রমোট করা। সেই হিসেবে কেউ যদি নববর্ষ উদযাপন নিয়ে নেতিবাচক অবস্থান ব্যক্ত করেন তবে সেটা করার অধিকার তার রয়েছে। বিশেষত নববর্ষে এমন অনেক কান্ড করা হয় যা সরাসরি ইসলাম বহির্ভূত।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫১
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: সেটাই লেখায় বলা হয়েছে। কোন "সেক্যুলার" দিবস "পালন" করায় সমস্যা নেই, সমস্যা নির্ভর করে "কিভাবে" পালন করা হচ্ছে সেটার উপর।
১৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৩৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ঈদ এ মিলাদুন্নবীকে কী আপনি হারাম বলবেন?
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:১৩
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: জ্বি, সাধারণ জ্ঞানে এইটা বেদাত। বেদাত মানেই নিষেধ। মানে হারাম।
তবে, হারামেরও বিভিন্ন পর্যায় আছে। যেমন কেউ যদি শরিয়ার গন্ডির ভিতরে থেকে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করেন, তাহলে সেটা বেদাত, এবং কম পর্যায়ের হারাম। আবার কেউ যদি মিলাদুন্নবী শরিয়ার গন্ডির বাইরে গিয়ে করেন, মানে শিরক কর্মকান্ড জড়িত হয়, তাহলে সেটা সর্বোচ্চ পর্যায়ের হারাম।
১৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৪৮
অনল চৌধুরী বলেছেন: ফেসবুক-ইন্টারনেট চালানো কি হালার না হারাম?
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:১৪
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ডিপেন্ড করে আপনি ফেসবুক ইন্টারনেটে কী করেন। আপনি যদি অপরিচিত মেয়েদের প্রোফাইল ঘাটাঘাটি করেন, ইনবক্সে লুইচ্চামি করেন, পর্ন দেখেন, তাহলে অবশ্যই হারাম।
আবার, আপনি জ্ঞান সাধনের জন্য যদি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তাহলে অবশ্যই হালাল।
১৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:০৫
অনল চৌধুরী বলেছেন: ধর্ম অনুযায়ী তো বেগানা মেয়েদের সাথে তৃতীয় ব্যাক্তির উপস্থিতি ছাড়া কথা বলাও হারাম।
অাপনি কি নিজের ইচ্ছামতো ধর্ম ব্যাখা করছেন কেনো?
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:২৭
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আপনি বেগানা আওরাত নাকি? আমি নাম শুনে ভেবেছিলাম পুরুষ।
আপনার কথা থেকে মনে হচ্ছে আপনি অনেক কিছুই জানেন না, বা জানলেও ভাসাভাসা। ধর্মের ব্যাখ্যা ইচ্ছেমতন দেয়ার নিয়ম নেই। দিলে সেটা ভয়াবহ পাপ। দুনিয়ায় আরও অনেক কাজ আছে, নিজের মতন ধর্মের ব্যাখ্যা দিয়ে শুধু শুধু পাপ কামাতে যাব - আমাকে এমন বুদ্ধিহীন মনে করায় আমি খুবই মর্মাহত হয়েছি।
১৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৫৮
অনল চৌধুরী বলেছেন: অাপনি শুধু মূর্খই না,বিকৃত মানসিকতারও,যেমন হয় মাদ্রাসায় পড়াদের বড় একটা অংশ।
এরা পবিত্র জায়গার ভিতরেও বিভিন্ন অপকর্ম করে।
অামি কোথায় অামার কথা বলেছি?
ফেসবুকে মানুষ কি করে?
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:১০
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমি সাধারণ এত বড় লিখা এড়িয়ে চলি। কোন একটা কারণে পুরোটাই পড়া হলো। আপনার কথাগুলোর পেছনের মূল ধারনা কে সমর্থন করছি। ঐ যে বলেছেন, লিমিট সম্পর্কে সচেতন থাকার কথা, ওটাই মূল বিষয়। দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য বেশীরভাগ মানুষ যারা নিজেদের মুসলিম বলে দাবী করে তারা অনেকেই প্রকৃত ইসলাম সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত নন। পরিশেষে বলবো, ধর্মভীরুতা ভালো, ধর্মান্ধতা নয়। লিখার জন্য ধন্যবাদ।