নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিপদে মাথা ঠান্ডা রাখা

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:২৬

ছেলেকে প্রথমবারের মতন স্কুল বাসে করে স্কুলে পাঠানো হবে। তাই তাঁর মাকে অতি অতি ভোরে উঠতে হয়েছে। সূর্য ওঠারও আগে বাস এসে দরজায় উপস্থিত হবে। ঘড়ি ধরে দুই মিনিট অপেক্ষা করে চলে যাবে। এদেশে সময়ের কোন নড়চড় হয়না। তাই আমাদেরও দৌড়ের উপর থাকতে হয়।
আমার বৌ সন্ধ্যা নয়টা বাজতেই ঘুমে ঢুলু ঢুলু হয়ে যায়। তাঁর জন্য মাঝরাতে ঘুম থেকে ওঠা কোন ব্যাপারই না। ওয়ান টু বলা চলে। আমার জন্য অনেক কিছু।
তাই সকালে পুত্রকে তৈরী করার মহান দায়িত্ব সে নিজে বুঝে নিয়েছে। রাতে আমি ছেলেকে সামলাই।
অবশ্য আমিও ছেলেকে স্কুলের জন্য তৈরী হতে সাহায্য করি। যেমন, সকালে উঠে যাতে তৈরী হতে দেরি না হয়, সেজন্য তাঁকে রাতেই স্কুলে যাবার পোশাক পরিয়ে ঘুমাতে পাঠাই। তাঁর বাবাও ছোটবেলায় এই টেকনিক এপ্লাই করতো। তাঁর দাদাও একই কাজ করতেন কিনা কে জানে।
তো গতকাল "ভোরে" আমি বিছানায় শুয়ে আছি। বছরের এই সময়টায় আমাদের এখানে শীত যাওয়া আসার মধ্যে থাকে। মাঝে মাঝে মনে হয় সে বিদায় নিয়েছে। যেই আমরা সিদ্ধান্ত নেই গরম কাপড় তুলে রাখবো, অমনি সে পুনরায় ফেরত এসে বলে, "প্রেজেন্ট স্যার!"
আমি কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছি। পৃথিবীর মাঝে বেহেস্তের সুখ কেউ পেতে চাইলে এমন আবহাওয়ায় কম্বল মুড়ি দিয়ে বিছানায় শুয়ে থাকতে পারে।
হঠাৎ দুড়ুম দুড়ুম শব্দে আমাদের সদর দরজায় কিল পড়তে লাগলো। দরজাটা লোহার তৈরী, কিলের শব্দ অনেক জোরে বাজে। আমি ধরমর করে উঠলাম। বৌ বাইরে থেকে আর্তনাদ করছে, "দরজা খুলো! জলদি দরজা খুলো!"
দরজায় ডিজিটাল লক লাগানো। নাম্বার ডায়াল করলেই দরজা খুলে যাবার কথা। কারোর ভিতর থেকে দৌড়ে এসে দরজা খোলার প্রয়োজন নেই। আমি বৌয়ের চিৎকারে বেহেস্ত ছেড়ে এসে দরজা খুলতেই দেখি আতঙ্কে সে সাদা হয়ে গেছে। ঢুকেই দরজা লাগিয়ে দিল। যেন ভূত দেখেছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম "কী হয়েছে?"
সে আর অন্য দশটা বৌয়ের মতোই প্রশ্নের জবাব না দিয়ে ঝাড়ি দিল, "দরজা খুলতে এত সময় লাগে? মানুষ মরে যাওয়ার পরে দরজা খুলে লাভ আছে?"
ও যে মরার আগেই দরজা খুলেছি সেটা বুঝাতে গেলাম না। নারী জাতির সাথে তর্কে যাওয়া বৃথা।
আবারও জিজ্ঞেস করলাম, "কী হয়েছে?"
ও বললো, "কুকুর! বাইরে দুইটা বিশাল বিশাল কুকুর।"
অ্যামেরিকায় থাকলে একটা জিনিস আপনাকে মানতেই হবে এখানে এলাকায় বাচ্চাকাচ্চার চেয়ে কুকুরের সংখ্যা অনেক বেশি। প্রতিটা ঘরে ঘরে কুকুর পোষা হয়। কুকুরদের জন্য পার্ক থাকে, হোটেল থাকে, ডে কেয়ার, সেলুন ইত্যাদি সব ব্যবস্থা থাকে। মোট কথা, এদেশে কুকুরের ইজ্জ্ত থাকে। কুকুরের সাক্ষাৎ মেলাটা তাই মোটেও বিস্ময়কর ঘটনা না।
"এত্ত বড় একেকটার সাইজ!"
সে যে উচ্চতা দেখালো সেই সাইজে আমাদের দেশে ঘোড়া পাওয়া যায়।
আমি বললাম, "তোমাকে দৌড়ানি দিয়েছে?"
সে বলল, "দৌড়ানি দিলে কী আমি আস্ত থাকতাম? আমার দিকে এগিয়ে আসছিল।"
আমি বললাম, "মালিক ছিল না?"
সে দৃঢ় স্বরে বললো, "না। আমি কাউকে আশেপাশে দেখিনাই।"
যদি মালিক থেকে না থাকে, এবং আসলেই এই সাইজের কুকুর হলে আসলেই অভিজ্ঞতা ভয়ংকর। আমার নিজেরও কুকুরভীতি আছে। ছোটবেলায় আমার মামারা কুকুরের কামড় খেয়ে নাভিতে ইনজেকশন দিয়েছেন। জলাতঙ্কের ব্যাপারে সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপনগুলো বিটিভিতে নিয়মিত দেখানো হতো। আমার বোন প্রতিমাসে অন্তত একবার এলাকার কুকুরের দৌড়ানি খেত। কুকুরকে ভয় না পাওয়াটাই বরং আমার জন্য অস্বাভাবিক হতো।
"তুমি নিজেই ডায়াল করলে লোক খুলে যেত।"
সে বললো, "নাম্বার ভুলে গেছি!"
দেখলাম আসলেই সে ভয়ের চোটে নম্বর গুলিয়ে ফেলেছে। এখনও মনে করতে পারছে না। বিপদের সময়ে মানুষের মাথা ঠিক থাকেনা, এইটাই তার প্রমান।
লম্বা উদাহরণ দিলাম কেবল এইটাই বুঝাতে যে বিপদের সময়ে মাথা ঠিক রাখাটা সবচেয়ে বেশি জরুরি বিষয়। মাথা গরম হলে শুধু নিজেরই না, অন্যেরও বিপদ বাড়ানো হয়।
সম্প্রতি দেশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে বলেই আবারও আগুনের উদাহরণ দেয়া যাক।
আমরা তখন প্রথম প্রথম বাড়ি কিনেছি। আমার বৌ সকালে নাস্তার জন্য প্যানে তেল বসিয়ে চুলা চালু করে কিছু একটা করছে। তেল অতি গরম হয়ে যাওয়ায় প্যানে দাউ দাউ করে আগুন ধরে গেল। আমাদের বাড়িঘরগুলো সব কাঠের। সেটা মাথায় আসতেই সে আতঙ্কে চিৎকার করে উঠলো।
আমি দৌড়ে গিয়ে দেখি সে মগে পানি ভরছে। আমার এক সেকেন্ড দেরি হলেই সে সেই পানি আগুনে ছুড়ে দিত। তাহলেই সর্বনাশটা হতো। তেলের আগুনে কখনও, আবার বলছি কখনই পানি ঢালবেন না। তেল পানির চেয়ে হালকা হওয়ায় সেটা পানিতে ভেসে ছড়িয়ে দিবে। তখন সেই আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ বেগ পেতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের বাড়ির কাঠের দেয়ালে, জানালার পর্দায় ইত্যাদিতে আগুন ধরে যাবার সুবর্ণ সুযোগ ছিল।
আমি দেখলাম আগুনের উচ্চতা তিন চার ফুট হলেও সেটি শুধু প্যানের উপরই জ্বলছে। আমি প্যানটি তুলে ধীরে ধীরে হেঁটে (যাতে তেল উপচে না পড়ে) দরজা দিয়ে বেরিয়ে ব্যাকইয়ার্ডে সিমেন্টের মেঝের উপর নামিয়ে রেখে দিলাম। সিমেন্টে আগুন ছড়ায় না। প্যানের জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে আপনাতেই আগুন নিভে যাবে।
খেয়াল রাখবেন, কার্পেটের উপরে আগুন ওয়ালা প্যান নামাতে যাবেন না। বা বেরিয়ে এসেই ছুঁড়ে ফেলার চেষ্টা নিবেন না। মরা ঘাসেও আগুন ছড়িয়ে যেতে পারে। কাঠের বাউন্ডারি দেয়ালেও আগুন লেগে যেতে পারে। মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে সবসময়ে।
সাধারণ ক্ষেত্রে দেখা যায় আগুন দেখলে আমাদের কারোরই মাথা ঠিক থাকেনা। সেদিন এক বন্ধু গল্প করলো। দেশে আমাদের পরিচিত এক বন্ধুর বাড়িতে ফ্রিজের কয়েল থেকে আগুন লেগেছে। আগুন নেভানোর জন্য সে তাঁর কাজের ছেলেটিকে বললো জলদি একটি কম্বল এনে দিতে। ছেলেটি আগুন দেখে কম্বল আনা আনি বাদ দিয়ে তিনতলা বাড়ির জানালা দিয়ে নিচে লাফ দিল। বন্ধু জানালায় এসে নিচে তাকিয়ে বললো, "কিরে, ঠ্যাং ভাঙছোস? লাফ দিলি ক্যান?"
ছেলে নিচে থেকে কাতরাচ্ছে। সে অনায়াসেই বাড়ির দরজা দিয়ে হেঁটে বেরিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসতে পারতো।
বন্ধু নিজে গিয়ে রুম থেকে কম্বল এনে আগুন চাপা দিয়ে নিভিয়ে তারপরে কাজের ছেলেকে নিয়ে হসপিটালে গেল।

আমাদের দেশে প্রায়ই দেখা যায় ডাক্তারের চেয়ে রোগী বড় চিকিৎসক হয়ে যান। হয়তো আপনার শরীর খারাপ হয়েছে। কিন্তু ডাক্তার এমন কোন লক্ষণ পাননি যাতে আপনাকে ওষুধ প্রেস্ক্রাইব করতে হবে। আপনি তখন সবাইকে বলে বেড়াবেন, "কিসের ডাক্তার? একটা ওষুধ পর্যন্ত প্রেস্ক্রাইব করেনা। ফালতু!"
তেমনি, আগুন লাগলে দেখা যায় ফায়ার সার্ভিসের লোকজন প্রথমেই পানি ছিটানো শুরু করে না। তাঁরা প্রথমে বুঝার চেষ্টা করেন আগুনের উৎস কী। ইলেক্ট্রিসিটি হলে পানি ছিটানো যাবেনা। দেখতে হবে মেইন সুইচ অফ করা হয়েছে কিনা। তেল থেকে আগুন লাগলে পানি ছিটানো যাবেনা। বিপদ কমাতে গিয়ে উল্টো তাঁরা বিপদ আরও বাড়িয়ে দিবেন।
কিন্তু উৎসুক জনতা কিছু না বুঝেই গালাগালি শুরু করে দিবে। "*লের ফায়ার সার্ভিস! আগুনে মানুষ পুড়তেছে, আর তারা খাড়ায়া খাড়ায়া তামাশা দেখতাছে!"
ভাই, তাঁরা এই লাইনে কাজ করেন। তাঁরা এই লাইনেই ট্রেনিং নেন। তাঁদের জ্ঞান আপনার আমার চেয়ে বেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমরা না হয় মাতবরি না ফলাই?
এই অতি মাতবর শ্রেণীর লোকেরাই সাধারণ লোকজনের মধ্যে প্যানিক সৃষ্টি করে, স্বাভাবিক মানুষেরও নার্ভ বিগড়ে দেয়। এদের কারনে কোন দুর্ঘটনা আরও খারাপের দিকে মোড় নেয়। দয়া করে এইরকম মানুষ হবেন না।
এইবার বলি আগুন লাগলে কী কী বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখবেন।
১. আগুন লাগার সাথে সাথে প্যানিক না করে প্রথমেই মাথা ঠান্ডা রাখতে চেষ্টা করুন। মাথা আউলায় গেলেই বিপদে পড়বেন।
২. আগুন নেভানোর ব্যাপারে যদি ১০০% কনফিডেন্ট না হন, তাহলে নিজে নিরাপদ স্থানে সরে যান। অন্যকেও সরতে সাহায্য করুন।
৩. ফায়ার ব্রিগেডে ফোন দিন।
৪. যদি জানেন ইলেকট্রিকাল মেইন সুইচ কোথায়, এবং সেখানে কোন বিপদের আশংকা না থাকে, তাহলে ইলেকট্রিক সাপ্লাই বন্ধ করে দিন।
৫. যদি দেখেন আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি, সেক্ষেত্রে ঘরের জানালা দরজা বন্ধ করে (যাতে বাতাস না ঢুকতে পারে) দ্রুত সরে পড়ুন। অক্সিজেনের স্পর্শে আগুন ভয়ংকর হয়ে উঠবে। খবরদার! আগুনে বাতাস দেয়ার ব্যবস্থা করবেন না। এবং সেই ঘরেও নিজে থাকবেন না। তাহলে আগুন নেভার আগেই আপনি মারা যাবেন।
এই ধাপগুলো অগ্নিকান্ড শনাক্ত করার এক মিনিটের মধ্যেই করতে হবে। নাহলে বিপদ বেড়ে যাবে।
৫. নিজের জীবনের চেয়ে মূল্যবান কোনকিছুই নেই। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট, টাকা পয়সা সোনার গয়না ইত্যাদি উদ্ধার করতে সময় নষ্ট করবেন না। বেঁচে থাকলে সেগুলো পুনরুদ্ধার করার হাজারটা উপায় থাকবে। মরে গেলে সব শেষ।
৬. ধোয়া দেখলে সেখানে নিঃশাস নেয়ার চেষ্টা করবেন না। কার্বন ডাই অক্সাইড দূষণে আপনি মারা পড়বেন। যেখানে মনে হবে ধোয়া নেই সেখানে সরে পড়ুন।
৭. ঘরে ধোয়া ঢুকে গেলে সাথে সাথে নিচে শুয়ে পড়ুন। এখানেও ক্লাস ফোর ফাইভে শেখা বৈজ্ঞানিক জ্ঞান এপ্লাই করুন। "ধোয়া বাতাসের চেয়ে হালকা বলে উপরে ভেসে যায়।" মানে হচ্ছে ঘরের মেঝের দিকে বাতাসে অক্সিজেনের পরিমান বেশি থাকবে, এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমান কম। মাথা ঠান্ডা রেখে, হামাগুড়ি বা বুকে ভর দিয়ে (মিলিটারি স্টাইলে) নিরাপদ স্থানের দিকে আগান।
৮. বহুতল ভবন হলে খবরদার লিফ্ট ব্যবহার করবেন না। লিফটে আটকা পড়ার সম্ভাবনা আছে। সিঁড়ি ব্যবহার করুন।
৯. আল্লাহ না করুক, যদি শরীরে আগুন লেগে যায়, তাহলে মেঝেতে গড়াগড়ি করে আগান। আগুন নিভে যাবে। দাঁড়িয়ে থাকলে, বা দৌড়ালে আগুন ছড়াবার সুযোগ থাকে। সিল্ক বা এইজাতীয় সহজেই দাহ্য পোশাক এড়িয়ে চলুন।
১০. মৃত্যু না ঘটা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যান। আগুন লেগেছে এক তলায়, আপনি আটকা পড়েছেন চার তলায়, আগুনে ঝলসে মারা যাবার পরিবর্তে আপনি ঝাঁপ দিয়ে রাস্তায় পড়ে মরে গেলেন - এইটা কোন সমাধান না। একটু লড়াই করলে হয়তো দেখতেন দমকল বাহিনী বা সাধারণ জনতা থেকে কোন সুপারহিরো ঠিকই আপনাকে উদ্ধার করে ফেলতো। মনে রাখবেন, মৃত্যু মানেই সব শেষ। যতক্ষণ নিঃশ্বাস নিবেন, ততক্ষন লড়ে যান।
১১. যদি বাই চান্স শূন্যে লাফ দিতেই হয়, তাহলেও চেষ্টা করবেন পা যেন মাটির দিকে এবং মাথা যেন উপর দিকে থাকে। আপনি মেঝেতে আছড়ে পড়লে অবশ্যই আপনার হাত পায়ের হাড্ডি গুড়িয়ে যাবে, কিন্তু মাথা যেন বাড়ি না খায় সেটা চেষ্টা করবেন। আমার বন্ধু রেজওয়ান বাইশ তলা থেকে মেঝেতে পড়েও বেঁচে গেছে। মাথা যদি আগে পড়তো, তাহলেই সব শেষ হয়ে যেত।

জীবন মৃত্যুর মালিক আল্লাহ। তিনি চাইলে পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ নগরীতে থেকেও আপনি অপঘাতে মারা যাবেন। তিনি না চাইলে জ্বলন্ত অগ্নিকুন্ড থেকেও সুস্থ দেহে বেরিয়ে আসবেন। আমাদের কাজ হচ্ছে বাঁচার জন্য চেষ্টা করে যাওয়া। দুর্ঘটনা থেকে সাবধান থাকা। রাসূলের(সঃ) সেই হাদিসটা অবশ্যই মনে রাখবেন, "Trust in Allah, but tie your camel."
ঘরে আগুন লাগলে পরে আপনি নামাজে না দাঁড়িয়ে নিরাপদ স্থানে সরে যান - ওটা প্রায়োরিটি। আল্লাহর রাসূল আপনাকে সেই নির্দেশই দিয়েছেন।
আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে নিরাপদে রাখেন। এবং আমাদের কারনে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে সেই তৌফিকও দেন।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:১৮

নতুন বলেছেন: দেশে স্কুল/ কলেজ থেকেই এই সব ট্রেনিং এবং ফায়ার ড্রিল বাধ্যতামুলক করা দরকার। তবে নতুন প্রযন্ম এই সম্পকে জানবে।

নতুন কাজের ক্ষে্ত্র তৌরি হবে এবং মানুষের জীবনও বাচবে।

বত`মানে আমাদের দেশেই গামেন্টসে আগুনে মানুষ মারার হার কমেছে।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৩৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ভাল বলেছেন

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো পরামর্শ দিয়েছেন।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৪০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:১১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর লেখা। প‌ড়ে ভা‌লো লাগ‌লো।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৩৯

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৯

অন্তরা রহমান বলেছেন: পরামর্শ নিঃসন্দেহে ভালো দিয়েছেন তবে কাহিনীগুলো আরো দারুন হয়েছে। খুবই আমোদিত হইলাম। চমৎকার লেখা।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৩৯

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আমি এভাবেই লিখি :)

৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০১

আনু মোল্লাহ বলেছেন: খুবই সাবলীল ভাষায় অগ্নি নিরাপত্তা নিয়ে লিখেছে। পড়ে খুব ভাল লাগ। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৪০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৩২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পরামর্শগুলো ভালো। ধন্যবাদ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৪০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.