নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহ এবং নবীর দুশমনের" সাথে ফ্রেন্ডশিপ করে আমি জাহান্নামী হতে চাই না

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০০

আমার নবীর (সঃ) জীবনের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলে তারপরে লেখা শুরু করি।
তিনি হিজরত করার আগে মদিনায় তিনটি ইহুদি গোত্রের বাস ছিল। ওরা শত শত বছর ধরে মদিনার স্থানীয় বাসিন্দাদের নিকৃষ্ট শ্রেণীর মানুষ বলে গণ্য করতো। প্রকাশ্যেই অহংকার করতো। কারন তাঁদের আসমানী কিতাব আছে, তাঁদের "শরিয়া" (আইন) আছে, তাঁরা সভ্য জাতি।
বাস্তবেই কিন্তু ঘটনা সত্য। আরবের অন্যান্য অঞ্চলের লোকেদের কোন আইন শৃঙ্খলা সভ্যতা কিছুই ছিল না, তাওরাতের (ওল্ড টেস্টামেন) কারনে ইহুদিরা আসলেই এলিট শ্রেণীর ছিলেন। বর্তমান যুগের হিসাব নিলে পশ্চিমারা যেমন আমাদের তৃতীয় বিশ্বের লোকজনের দিকে তাকিয়ে নাক সিঁটকায়, আমরা বাঙালিরা যেমন রোহিঙ্গা থেকে শুরু করে আফ্রিকার কালোদের দিকে তাকিয়ে নাক সিঁটকাই, কালোরা আবার একে অপরের দিকে তাকিয়ে নাক সিঁটকায় (নাইজেরিয়ান ও কেনিয়ান দুই বাসিন্দাকে পাশাপাশি বসিয়ে মজা দেখুন) - এই নাক সিঁটকা সিঁটকি সর্বযুগে সর্বত্র ছিল।
এই নাক সিঁটকানো বা "অহংকার" কখনই ভাল না।
তা ইহুদিদের তাওরাত মতে শেষ নবী (সঃ) আগমনের সময় হয়ে এসেছিল। তাঁরা নিশ্চিত ছিল তাঁদের তিন গোত্র থেকেই তিনি নির্বাচিত হবেন। ঘটনা ঘটলো ঠিক উল্টো। যেই আরবদের তাঁরা নিকৃষ্টজ্ঞান করে আসছিল, শেষ পয়গম্বর নির্বাচিত হলেন সেই আরবদের থেকেই। তাঁদের প্রধান রাবি (ধর্মযাজক) রাসূলুল্লাহর সাথে দু চারটা কথা বলেই মুসলিম হয়ে গেলেন, কিন্তু ইহুদি নেতাদের অহংকারের কারনে তিন গোত্রের ইহুদিরা মুসলিম হলো না। প্রকাশ্য নিদর্শন থাকার পরেও। কেন? তাহলে যে এতদিন ধরে নিকৃষ্টজ্ঞান করা আরবদের সমান হয়ে যাবেন! আপনি পারবেন আপনার বাড়ির কাজের লোকের সাথে একই টেবিলে বসে ভাত খেতে? যদি না পারেন, তাহলে ভাই আপনি এখনও মুসলিম হতে পারেননি। দুঃখিত, তবে এটাই সত্য।
ইহুদিরা বনি ইস্রাঈলের বংশধর। ইসরাইল মানে হচ্ছে ইয়াকুব (আঃ) নবী, মানে ইসহাক (আঃ) নবীর পুত্র, মানে ইব্রাহিমের (আঃ) নাতি। আর আরবরা ছিলেন ইসমাঈলের (আঃ) বংশধর, মানে ইব্রাহিমের (আঃ) পুত্র। ইহুদি এবং আরবরা সম্পর্কে আপন কাজিন। কিন্তু যেহেতু ইসহাকের বংশধর মহাসমৃদ্ধ, প্রতি জেনারেশনে একটি করে নবী এসেছেন, এবং ইসমাঈলের বংশে এক মুহাম্মদ (সঃ) ছাড়া আর কোন নবী নেই, তাই ওরা নিজেদের কুলীন সম্প্রদায় ভাবতো।
যাই হোক, নবী (সঃ) আগমনের পরে ইহুদিদের সাথে কিছু চুক্তি সই করেন। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য যে চুক্তির কোন বিকল্প ছিল না।
বদরের যুদ্ধ পরে বনু কায়নুকাহ গোত্রের বাজারে এক মুসলিম নারী বাজার করতে গেলেন। এক ইহুদি দোকানি সেই মহিলার সাথে "ফ্লার্ট" করতে লাগলো। মহিলা খুবই বিরক্ত হচ্ছেন দেখে সেই ইভটিজিংয়ে আরও কয়েকজন যুক্ত হলো। একজন সেই মহিলার অজান্তে তাঁর কাপড়ের এক কোণে একটি ভারী বাটখারা রেখে দিল।
মহিলা বিরক্ত হয়ে সরে যেতে গেলে সেই বাটখারায় টান পড়ে এবং তাঁর কাপড় পুরোটা খুলে যায়। পুরো বাজারে ভদ্রমহিলা সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে যান এবং এ দৃশ্যে পুরো বাজার উল্লাসে ফেটে পড়ে।
এক সাহাবী সেই বাজারে তখনই উপস্থিত ছিলেন। "বোনের" এই অপমান তিনি সহ্য করতে পারেননি। হাতে ধরা তলোয়ার নিয়ে সেই ইভটিজার বদমাইশের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। ইহুদি গোত্রের সবাই সেই সাহাবীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তিনি শহীদ হবার আগে সেই বদমাইশটার ইহজগতের লীলা সাঙ্গ করেন।
খবরটা নবীর (সঃ) কানে পৌঁছাতেই তিনি সমস্ত মুসলিমদের ডাক দেন বনু কায়নুকাহর বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে। মুসলিম নারী লাঞ্ছনা ও সাহাবী হত্যার মাধ্যমে ওরা চুক্তিভঙ্গ করেছে। মুসলিমরা ইহুদি দূর্গ ঘেরাও করেন, ওদের আত্মসমর্পনে বাধ্য করেন, এবং মদিনা থেকে বিতাড়িত করেন।
এখন আসি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে।
"আল্লাহর দৃষ্টিতে পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র স্থান হচ্ছে মসজিদ, এবং সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্থান হচ্ছে বাজার।" এই ব্যাপারে মুসলিমদের কারোর দ্বিমত নেইতো? দ্বিমত থাকলেও কিছু করার নেই, নবীর (সঃ) সহীহ হাদিস (মুসলিম শরীফ)। বাহুবলীর ভাষায়, "তাঁর (নবীর) বচনই ইসলামের শাসন।"
তা সেই নারী কোথায় গিয়েছিলেন? বাজারে। কাদের বাজারে? ইহুদি বাজারে। পর্দা ছিল? হয়তো ছিল, হয়তো ছিল না। ডিটেইল জানা নেই। যেহেতু ইহুদি বদমাইশ তাঁর সাথে ইভটিজিং করছিল, ধরে নেয়া যেতে পারে মুখ দেখা যাচ্ছিল। ড্রেস কেমন ছিল? জানিনা, তবে মনে হয় স্রেফ একটি চাদর জড়িয়ে গিয়েছিলেন, কারন একটি বাটখারার টানেই যেহেতু পুরো পোশাক খুলে গিয়েছিল, ধরে নেয়া যেতে পারে এয়ার টাইট পোশাক ছিল না।
শহীদ সাহাবীর কথা বাদই দিলাম, আমাদের নবী (সঃ) কী একবারও এইসব প্রসঙ্গ তুলেছেন? সাফ উত্তর, না।
ঘটনা যদি বাংলাদেশে ঘটতো, তাহলে বাঙালিরা কী বলতো? "পর্দা ঠিক ছিল না।"
"বেহায়া মেয়ে মানুষ অশ্লীল পোশাক পড়বে, ধর্ষণ হলেই কান্নাকাটি!"
"ইসলাম বলে পর্দা করতে, তোরা ইসলামী দেশে বেপর্দা হয়ে ঘুরবি, আর গায়ে হাত দিলেই চিল্লাচিল্লি করবি? মাগি, বেশ্যা.....।"
এই সমস্ত ইতর, অসভ্য, বর্বর "মুসলিম" বাঙাল মুলুকে প্রচুর পাবেন। একটা শূকরছানাকেও দেখবেন না সেই সাহাবীর মতন নিজের জীবনের পরোয়া না করেও নিজের মুসলিম বোনের লাঞ্ছনার জবাব দিতে অসভ্য ইতর জানোয়ারটার উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে। বনু কায়নুকার ঘটনা আজকে আমাদের নিউমার্কেটে ঘটলে সেই ইহুদি বদমাইশগুলোর মতন আজকের বাঙালি "মুসলিমগুলো" দাঁত ক্যালিয়ে মজা নিত। আমাদের নবী এদের বিরুদ্ধেই নিজের সাহাবীদের জড়ো করে ঢাকা ছাড়া করতেন।
"গা ঘেঁষে দাঁড়াবেন না" টিশার্ট থেকে শুরু করে মাদ্রাসা ছাত্রীর গায়ে আগুন জ্বালাবার ঘটনা গত কয়েকদিনে ঘটেছে। এইসব ঘটনা আমাদের অসভ্য, কুৎসিত রূপটাই বের করে আনে শুধু।
যারা টিশার্ট পরিহিতা মেয়েদের নিয়ে ট্রল করছে, ইসলামী পর্দাজ্ঞান শেখাতে আসছে, জেনে রাখুন, সুযোগের অভাবে এইসমস্ত জানোয়ারগুলো মেয়েদের ধর্ষণ করছে না। এদের একটু সুযোগ দেন, এরা মেয়েদের উপর ঝাঁপিয়ে না পড়লে আমি আমার নাম বদলে দিব।
যাই হোক, অনেক গভীর কথা বলে ফেললাম।
নিজের আচার আচরণ এবং নিজের আসল চেহারা নিয়ে ভাবতে থাকুন। শুধরে ফেললে ভাল। নাহলে আমাকে ব্লক করুন। "আল্লাহ এবং নবীর দুশমনের" সাথে ফ্রেন্ডশিপ করে আমি জাহান্নামী হতে চাই না।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: আজকাল মনে হছে খুব হাদীস পড়ছেন।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:২৬

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: না ভাই, এইসব জানা বিষয়। আমি শুধু ঘটমান ঘটনার সাথে লিংক করে দেই।

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৭

আরোগ্য বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৩৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৪৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারণ ভায়া!

মুগ্ধ পাঠ এবং সহমত।

ইতিহাসের সাথে সমসাময়িকতা, সেন্স অব হিউমারের ("বাহুবলী কোট" ;) দারুন প্রয়োগে মুগ্ধ :)

হুম। কথা সইত্য আল্লাহ এবং নবীর দুশমনের সাথে ফ্রেন্ডশিপ করে জাহান্নামে যেতে চাইনা।

+++++++++

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:২৬

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১৯

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: রেফারেন্স হিসেবে উইকির উদ্ধৃতি পছন্দ না করলেও ইহুদিদের সেই উইকিতেই লেখা আছে যে মহিলার মুখ ঢাকা ছিল। আর তাঁকে মুখ খোলার জন্য কর্মচারি কর্তৃক জোরাজুরি করার পর মুখ খোলাতে না পেরে তাঁর পরিধেয় কাপড়কে চেয়ারের সাথে পেরেক মেরে আটকে দেয়।

ইহুদিদের বনু কাইনুকা গোত্র ছিল পেশায় কর্মকার, স্বর্ণকার ও তৈজসপত্র নির্মাতা। বদর যুদ্ধের কিছুদিন পর তাদের বাজারে এক মুসলিম মেয়ে এক ইহুদি স্বর্ণের দোকানে একটি কাজে গিয়েছিল। ঐ মুসলিম মহিলা যখন ঐ দোকানে গিয়েছিলেন তখন ঐ ইহুদি কর্মচারী মুসলিম মহিলাটির মুখ খুলতে বলে। কিন্তু মহিলাটি তাঁর মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় মহিলাটি যখন স্বর্ণের দোকানের একটি চেয়ারে বসে তখন ইহুদি কর্মচারীটি ওই মহিলার পোশাকে পেরেক মেরে চেয়ারের সাথে আটকে দেয়, ফলে উঠতে গিয়ে ঐ মহিলার জামা ছিঁড়ে সারা শরীর অনাবৃত হয়ে যায়। মুসলিম মহিলার আর্তনাদ শুনে এক মুসলিম পথচারী এটা দেখে খেপে গিয়ে ঐ ইহুদি কর্মচারীকে হত্যা করেন, এরপর ইহুদি কর্মচারীর পক্ষের লোকেরা সবাই মিলে ঐ মুসলমানকে হত্যা করে ফেলে।[১৩][১৪]:122[১৫]

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:২৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: উইকি ঘাটাঘাটি আমার পছন্দ না। ওখানে যে কেউ যেভাবে খুশি লিখতে পারে।
মূল বিষয় এইটা না যে মহিলার পর্দা ছিল কি ছিল না। আমাদের রাসূলুল্লাহ এই প্রশ্ন করেননি। করলে অবশ্যই হাদিস গ্রন্থে লেখা থাকতো। তিনি মহিলার লাঞ্ছনা ও সাহাবী হত্যার জন্য ওদের শাস্তি দিয়েছেন। মহিলাকে কোন শাস্তি দেননি।
আমাদের মাতবররা এই ইস্যুতে ধর্ষিতাকে উল্টো শাস্তি দেয়। ভিকটিম ব্লেমিং আমাদের দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় কালচার।

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এক ইহুদি দোকানি সেই মহিলার সাথে "ফ্লার্ট" করতে লাগলো।
এক সাহাবী সেই বাজারে তখনই উপস্থিত ছিলেন। "বোনের" এই অপমান তিনি সহ্য করতে পারেননি। হাতে ধরা তলোয়ার নিয়ে সেই ইভটিজারে উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। উভয়ই নিহত হন।
খবরটা নবীর (সঃ) কানে পৌঁছাতেই তিনি সমস্ত মুসলিমদের ডাক দেন মদিনাবাসি ইহুদিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে।

মাত্র একজনের 'ব্যাক্তি অপরাধের' কারনেে একটি গোত্রের সকল পুরুষ হত্যা ও বাকি মহিলা শিশুসহ সমগ্র মদিনাবাসিদের বিতাড়িত করা বা দাসে পরিনত করা, মুল্যবান খেজুর বাগান দখল। এটা তো কোন ভাল উদাহরন হতে পারেনা।
এটা ইসলামের ইতিহাসের একটা করুণ, একটা অন্ধকার দিক।
আফটার অল মদিনাবাসি ইহুদি কৃষকরা মক্কা থেকে নির্বাসিত নবীজি (স) ও ওনার সঙ্গিদের আশ্রয়, খাদ্য ও তাবু স্থাপনে জমি দিয়েছিল।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:২৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আপনি ইসলামের ইতিহাস জানেন না, তাই অন্ধকার বলছেন। আমি "বনু কায়নুকার" কথা বলছি, যাদের হত্যা করা হয়েছিল, তারা ছিল বনু কুরাইযা। যারা খন্দকের যুদ্ধের সময়ে বেঈমানি করেছিল। কুরাইশদের সাথে মিলে ভিতর থেকে মুসলিমদের আক্রমন করার প্রস্তুতি ছিল তাদের। মুসলিম নারী ও শিশুদের উপর এক রাতে হামলাও করেছিল ওরা।
আর যে কারনে ওদের মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছিল, সেটা ওদের ওল্ড টেস্টামেনের নিয়ম অনুযায়ীই। চুক্তি ভঙ্গ ও যুদ্ধে বেইমানির শাস্তি।
ভাই, পড়াশোনা করলেই অন্ধকার ও আলোর মাঝে পার্থক্য বুঝবেন। মুসলিম হয়ে জন্মে নিজের নবীর জীবনী না জানাটা হতাশারই না, অপরাধও বটে।

৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১৭

কানিজ রিনা বলেছেন: সর্বাপেক্ষা উচ্চস্তরের ইতিহাস শিয়ার করার
জন্য প্রথমেই অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
সর্বজনন শিক্ষনীয় হাদীস উপস্থাপন।
আসলে কি জানেন এই হিজরির মুসমান
যে শুধু নামের মুসলমান হবে তা মোহাঃ
সাঃ আধো আধো বলেছিলেন সম্পুর্ন বলেন
নাই।
আর তেহাত্তর কাতার মাত্র এক কাতার
সফল হবেন অর্থাৎ জান্নাতে যাবেন।
আসলে একটি নারীর আব্রু কেরে নেওয়ায়
শুধু একজন সৎমানুষই ছিলেন যে প্রতিবাদ
করেছেন ও সহীদ হয়েছেন।
আসলে আমি হিটলারের একটা দিক সামর্থন
করি। সে হোল তিনি ইহুদীদের পৃথিবী থেকে
নিঃচিহ্ন করতে চেয়ে ছিল।

এরকম শিক্ষনীয় হাদীস আরও অনেক অনেক
আশা করছি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৩৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: প্রথম কথা ঠিক বলেছেন ।
তবে হিটলারের সমর্থন করাটা আপনার ভুল। ইসলাম কখনই কোন নরপিশাচের সমর্থন করেনা।
আপনার জ্ঞাতার্থে, ইহুদিদের সাথে আমাদের জাত শত্রুতা নেই। আমাদের নবী (সঃ) ওদের "ইহুদি" হবার অপরাধে শাস্তি দেননি, ওরা চুক্তি ভঙ্গ করায় এই শাস্তি পেয়েছিল। যদি চুক্তিভঙ্গকারী মুসলিম হতো, তাহলেও হয়তো একই শাস্তি দিতেন।
ঐতিহাসিকভাবে ইহুদিরা মুসলিমদের সাথে সহবস্থান করে এসেছে। ইজরাইল গঠনের পরেই সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে। তারপরেও সাধারণ ইহুদিরা "জায়নিস্ট" ইহুদিদের অপছন্দ করে।
আপনার জ্ঞাতার্থে, বিদেশে যেখানেই মুসলিমদের কোন বিপদ ঘটে, ইহুদিরা তাঁদের পাশে এসে দাঁড়ায়। সেটা আমেরিকা হোক, বা সম্প্রতি ঘটা ক্রাইস্ট চার্চের হামলা।
ইহুদি মারার জন্যে হিটলারের সমর্থন করে লাভ নেই। ইহুদি মেরে শেষ করার পরে হিটলার মুসলিমদের নিধন শুরু করতো। ওর ধারণা ছিল পৃথিবীতে কেবলমাত্র "নাৎজি জার্মান" ছাড়া আর সবাই গোলাম হয়ে থাকবে। আমরা নাৎজি জার্মান না, তাই আমাদের খুশি হবার কারন নেই।

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:২৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
প্রথমে আমি নিজে ভালো হবো।
আপনি ভালো তো জগৎ ভালো।
শুভ সকাল । ভালো থাকুন প্রতি দিন।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৩৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৬:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখা দেখে মনে হচ্ছে, জাহান্মামে বসেই লেখা হয়েছে।

৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রতিটি মন্তব্য মন্তব্যকারীর মানসিকতাকে তুলে ধরতে সাহায্য করে।

১০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



মুসলিম হয়ে জন্মে নিজের নবীর জীবনী না জানাটা হতাশারই না, অপরাধও বটে।

৫ নং মন্তব্যের প্রত্যুত্তরটা যথাযথ হয়েছে। সুন্দর প্রত্যুত্তর দেয়ায় ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন। বিশেষ করে এই লাইনটিতে কঠিন একটি সত্য উঠে এসেছে। ধর্মীয় শিক্ষায় আমাদের অব্যাহত উদাসীনতা এবং এই দৈন্যতা কেটে যাক।

পোস্ট ভালো হয়েছে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:১৭

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ভাই সত্য কথা বললাম। যেই নবীর উম্মতি করি, যার গাইডেন্সে বেহেস্তে যাবার আশা করি, তাঁর জীবনী যদি না পড়ি, তাঁকে যদি ভাল না বাসি, তাহলে সেটা অপরাধ হবেনা কেন? আমার মতে, কুরআনের পাশাপাশি রাসূলের জীবনী অবশ্যই অবশ্যই পড়া ফরজ। প্রতিটা ঘটনায় গাইডেন্স লুকানো।

১১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৩১

এ আর ১৫ বলেছেন: যারা খন্দকের যুদ্ধের সময়ে বেঈমানি করেছিল। কুরাইশদের সাথে মিলে ভিতর থেকে মুসলিমদের আক্রমন করার প্রস্তুতি ছিল তাদের। মুসলিম নারী ও শিশুদের উপর এক রাতে হামলাও করেছিল ওরা।
আর যে কারনে ওদের মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছিল, সেটা ওদের ওল্ড টেস্টামেনের নিয়ম অনুযায়ীই। চুক্তি ভঙ্গ ও যুদ্ধে বেইমানির শাস্তি।


আমার জানা মতে তারা শুধু বেঈমানি করছিল কিন্তু কোন আক্রমণ করেনি ----- এই ধরনের তথ্য বেশ কয়জন ব্লগার এই পেজেই দিয়েছিল রেফারেন্স সহ । কাইন্ডলি ক্লারিফাই করুন, ধন্যবাদ

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:২৩

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ওরা বেইমানি করেছিল। প্রস্তুতি নিয়েছিল কুরাইশদের সাহায্য করার ব্যাপারে। নুয়াইম ইব্ন মাসুদের কৌশলে তারা বোকা বনে যায়, কুরাইশদের সাথে ভুল বুঝাবুঝি হয়, এবং কুরাইশরা যুদ্ধ ময়দান ত্যাগ করায় ওদের সেই এটেম্পট সফল হয়না।
কিন্তু খন্দকের যুদ্ধের সময়ে মদিনায় অবস্থানকারী মুসলিম নারী ও শিশুরা যে দুর্গে আশ্রিত ছিলেন, সেখানে গভীর রাতে ওরা চোরা হামলা চালায়। বিখ্যাত সাহাবী হাসান ইবনে সাবেত (রাঃ) ছিলেন নারীদের মাঝে আশ্রিত একমাত্র মুসলিম পুরুষ। যিনি যুদ্ধে ভীতু ছিলেন। তিনি ডিফেন্ড না করায় নবীর (সঃ) ফুপু গিয়ে সেই চোরা হামলাকারীকে হত্যা করে লাশ দুর্গের নিচে ফেলে দেন। ইহুদিরা মনে করে উপরে ভাল প্রটেকশন আছে, তাই তারা পালিয়ে যায়।
ইবনে হিশামের বই পড়ুন।

১২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩

অজ্ঞ বালক বলেছেন: গাঁ ঘেইষা দাঁড়ানো নিয়া যারা কথা কয় তাগো মনে কি আসে সবতে জানে। তাদের ঠিক জায়গামতন, বাঁশ দিয়া বাড়ি দিলে লাইনে আইসা যাইবো। পিছে না, বাড়ি দিতে হইবো সামনে। আর আড়াআড়ি না, লম্বা লম্বি। আর উপ্রে থেইকা নীচে না, নীচ থেইকা উপ্রের দিকে। আর ভাইঙ্গা কইতে পারুম না। বুইঝা লন।

১৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:০১

এ আর ১৫ বলেছেন: আর যে কারনে ওদের মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছিল, সেটা ওদের ওল্ড টেস্টামেনের নিয়ম অনুযায়ীই। চুক্তি ভঙ্গ ও যুদ্ধে বেইমানির শাস্তি।
সেটা ওদের ওল্ড টেস্টামেন অনুযায়ি কেন হবে ? মদিনা সনদে ছিল প্রত্যেক সম্প্রদায়ের বিচার তাদের বিধান অনুযায়ি হবে , যদি এই চুক্তি মেনে চলা হয় । এখানে চুক্তি ভঙ্গ করা হয়েছে , তাহোলে তাদের বিচার শরিয়া আইণ অনুযায়ি হওয়ার কথা । আমার জানা মতে ইহুদিরা একজন যুদ্ধাহত বৃদ্ধ সাহাবিকে বিচারক করার জন্য সূপারিশ করে এবং সেটা মেনে নেওয়া হয় । সেইআহত কাতর গ্রস্থ একজন সাহাবি বিচারের রায় প্রদান করেন ।
কোরানের আইণ অনুযায়ি একজনে অপরাধের জন্য অন্য জনকে শাস্তি দেওয়া যায় না । বনু কুরাইযা গোত্রের শীর্ষ স্থানীয় কয়েক জন নেতা শেষ মুহুর্তে বিশ্বাষ ঘাতকতা করে । এটা ও জানা যায় যখন মুসলমানরা পরিখা খনন শুরু করে , তখন নগরে নিরাপত্তার জন্য বনু করাইযারা লজিস্টিক সাপ্লাই দিয়ে সহায়তা করে , যেমন শাবল , কোদাল , ঝুড়ি ইত্যাদি দিয়ে । যুদ্ধের বেশি ভাগ সময়ে তারা নিরপেক্ষ ছিল কিন্তু শেষ মূহুর্তে তাদের কিছু নেতার কারশাজির জন্য , তারা কুরাইশদের পক্ষ অবলম্বন করে । তারা সম্ভবত মনে করে ছিল মুসলমানরা পরাজিত হবে এবং কুরাইশরা তাদের উপর অত্যাচার চালাতে পারে --- এই ধরনের বিবিধ কারনে তারা হয়ত বিশ্বাষ ঘাতকতা করে কিন্তু এর পরে কুরাইশরা মক্কায় ফিরে যায় ।

কিন্তু খন্দকের যুদ্ধের সময়ে মদিনায় অবস্থানকারী মুসলিম নারী ও শিশুরা যে দুর্গে আশ্রিত ছিলেন, সেখানে গভীর রাতে ওরা চোরা হামলা চালায়। বিখ্যাত সাহাবী হাসান ইবনে সাবেত (রাঃ) ছিলেন নারীদের মাঝে আশ্রিত একমাত্র মুসলিম পুরুষ। যিনি যুদ্ধে ভীতু ছিলেন। তিনি ডিফেন্ড না করায় নবীর (সঃ) ফুপু গিয়ে সেই চোরা হামলাকারীকে হত্যা করে লাশ দুর্গের নিচে ফেলে দেন। ইহুদিরা মনে করে উপরে ভাল প্রটেকশন আছে, তাই তারা পালিয়ে যায়।

তাহোলে হুকুমের আসামিদের শুধু শাস্তি হওয়ার কথা , নিয়ম অনুসারে যারা বিশ্বাষ ঘাতকতা করেছিল শুধু তাদের ।
আমি মনে করি -- ৭০০ থেকে ৯০০ জনকে হত্যা করার কাহিণীটি ঠিক নহে এবং এ ও মনে করি রসুল (সা: ) কখনো কোরান বিরুধী কাজ করবেন না ( নাউযুবিল্লাহ ) --- তিনি শুধু গোত্রের শীর্ষ স্থানীয় নেতা ও আসল হুকুমের আসামীদেরকে শাস্তি দিয়ে ছিলেন , সমগ্র সম্প্রদায়কে নহে । এটা কোরানের আদেশ একজনের অপরাধের শাস্তি অন্য জনকে দেওয়া যাবে না ।

আপনি বলেছেন -- ইহুদী ধর্ম গ্রন্থ অনুযায়ি নাকি শাস্তি দেওয়া হয়েছে । কাইন্ডলিং যদি রেফারেন্স দেন তাহোলে খুব খুশি হব । আমি মনে করি কোন ধর্ম গ্রন্থে এমন কোন রুলিং থাকতে পারে না যে কেউ বেঈমানি করলে সেটার শাস্তি তার সমগ্র কমুনিটির উপর পড়বে ।
ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.