নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
সূরা ইয়াসিনের একটি উদাহরণ টানি। এই সূরাটি আমাদের দেশে প্রতিটি ঘরে পড়া হয়। আমরা সবাই বিশ্বাস করি এই এক সূরা পাঠ করলেই নাকি দশবার কুরআন খতমের সোয়াব পাওয়া যায়। এই সূরা নাকি কুরআন শরীফের হৃদপিন্ড। যদিও তথ্যগুলো ভুয়া। তবু ছন্দময় ও প্রচন্ড সুন্দর এই সূরাটি আমাদের সবারই পড়া উচিৎ।
তা সূরা ইয়াসিনে ১৩ নম্বর আয়াত থেকে আল্লাহ বলছেন তিনি এক জনপদে দুইজন নবী পাঠিয়েছিলেন।
সাধারণত দেখা যায় এক জনপদের জন্য তিনি একজনই রাসূল পাঠান, এক্ষেত্রে তিনি দুইজন রাসূল দিয়েছেন। তারপরেও কাজ না হওয়ায় তাঁদের দুইজনকে শক্তিশালী করেন তৃতীয় একজনের মাধ্যমে। খুবই এক্সেপশনাল কেস।
তারপরেও কেউ তাঁদের উপর বিশ্বাস আনেনি। উল্টো তাঁদের পাথর নিক্ষেপে বা আরও যন্ত্রণাদায়ক উপায়ে হত্যার হুমকি দেয়। তাঁরা তবুও তাঁদের কাজ (লোকজনকে আহ্বান) চালিয়ে গেলেন। কে জানে, হয়তো তাঁদের পাথর নিক্ষেপে হত্যাও করা হয়েছিল। কোরআন আমাদের ঠিক ততটুকুই জানায় যা আমাদের প্রয়োজন। এর বেশি একটা বাক্যও বলে না।
এই সময়ে নগরীর প্রান্ত থেকে এক সাধারণ বান্দা ছুটে এলেন। তিনি রাসূলদের কথা মানেন, এবং এক সাধারণ উম্মাত।
তিনি রাসূলদের পক্ষ্যে কথা বললেন। নিজের লোকেদের বুঝানোর চেষ্টা করলেন। লাভ হলো না। খুব সম্ভব তিনিও নিহত হয়েছিলেন। কুরআনে আল্লাহ বলছেন, "তাকে বলা হল, জান্নাতে প্রবেশ কর। সে বলল হায়, আমার সম্প্রদায় যদি কোন ক্রমে জানতে পারত!(৩৬:২৬)"
আল্লাহ এরপরে ৩৭ নম্বর আয়াতে গিয়ে একটি চমৎকার উপমা দেন। দিন ও রাত্রির, সূর্যের ও চন্দ্রের। ভাল করে মনোযোগ দিন। এখানে অনেক গভীর কিছু শিখতে পারবেন।
আল্লাহ বলছেন, রাত্রি দ্বারা দিন অপসারিত হয়, সবাই অন্ধকারে থেকে যায়। সূর্য তার নির্দিষ্ট কক্ষপথে আবর্তন করে। চাঁদের জন্যও তিনি বিভিন্ন অবস্থান নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কখনও চিকন, কখনও পূর্ণিমা রূপে তাকে দেখা যায়। সূর্য ও চাঁদ, দিন ও রাত্রি কখনই একে অপরের সমকক্ষ হতে পারেনা। অর্থাৎ, এদের নিজের নিজের কাজ, দায়িত্ব ভাগ করা আছে। যে যার দায়িত্বে নিয়োজিত।
লক্ষ্য করুন, কিছুক্ষন আগেই আল্লাহ বলছেন, রাসূলদের কাজ একরকম, এবং উম্মতের কাজ ভিন্ন। ঠিক যেমনটা সূর্য ও চাঁদের। দিন ও রাত্রির। এইটুকু বুঝতে পারছেন?
আরেকটু গভীরে যাওয়া যাক।
আল্লাহ সূরা আহযাবে আমাদের নবীকে (সঃ) বলছেন, "হে নবী! আমি আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি। এবং আল্লাহর আদেশক্রমে তাঁর দিকে আহবায়করূপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপরূপে।(৩৩:৪৫-৪৬)"
আমাদের রাসূলকে আল্লাহ বলছেন তিনি যেন এক উজ্জ্বল প্রদীপ যা অন্ধকার দূর করে। "সিরাজুল মুনিরা।"
কুরআনে "সিরাজ" শব্দটি "সূর্য" বুঝিয়ে থাকে। তারমানে আমাদের নবীকে আল্লাহ সূর্যের সাথে তুলনা করেছেন। মানে, সূর্য উদিত হলে যেমন অন্ধকার দূর হতে বাধ্য, তেমনি আমাদের নবীর (সঃ) আগমনে অন্ধকার দূর হতে বাধ্য।
এইটাও স্পষ্ট বুঝা গেছে, তাই না?
এখন, সূর্যের নিয়ম হচ্ছে, একটা সময়ে তাকেও অস্ত যেতে হয়। তখন অন্ধকারে পৃথিবী ছেয়ে যায়। আমাদের নবীকেও একটা সময়ে চলে যেতে হবে, এবং অবশ্যই তখন পৃথিবী অন্ধকারে ডুবে যাবে।
আমরা এখন অন্ধকার যুগেই বাস করছি।
তবে প্রাকৃতিক নিয়মে সূর্য চলে গেলে আকাশের দখল নেয় চাঁদ। সূরা ইয়াসীনে আল্লাহ রাসূলদের সূর্য এবং উম্মতদের চাঁদের সাথে তুলনা করেছেন। যেহেতু নবী (সঃ) চলে গেছেন, আমাদেরকে "চাঁদ" হয়ে অন্ধকার দূর করার দায়িত্ব নিতে হবে। কুরআন বাদ দেন, বিজ্ঞান কী বলে? চাঁদ সূর্যের আলোকে প্রতিফলিত করে। সূর্য ছাড়া চাঁদ অচল। আল্লাহ বলছেন, আমরাও ঠিক তাই, নবীর আলো প্রতিফলিত করে পৃথিবী উজ্জ্বল করার দায়িত্ব আমাদের।
লক্ষ্য করুন, সূর্যের কখনও আকৃতিতে আমরা পরিবর্তন দেখিনা। সে সর্বাবস্থায় ধ্রুব। নবীর ঈমান সেরকমই স্থির।
কিন্তু চাঁদ কখনও পূর্ণিমা কখনও অমাবশ্যা কখনও অর্ধচন্দ্ররূপে দেখা দেয়। আমাদের ঈমানেরও এই রকম উঠানামা হয়। কখনও আমরা খুব সাধু পুরুষ হয়ে যাই, কখনও শয়তান। কখনও বা মাঝামাঝি অবস্থান করি।
এখন আমাদের এইটা বুঝতে হবে, সর্বাবস্থায় আমরা নবীজিকে (সঃ) রিপ্রেজেন্ট করছি। আমরা মানি অথবা না মানি, আল্লাহ আমাদের জন্ম থেকেই আমাদের উপর এই দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়েছেন। আমাদের আচার আচরণেই লোকজন যারা কখনও আমাদের নবীর নামও শুনেনি, তারা তাঁর সম্পর্কে ধারণা পায়।
তাহলে বুঝতে পারছেন আমাদের দায়িত্ব কত ভারী?
এখন দেখা যাক আমরা কী করছি?
দেশে একদল "দুর্বৃত্ত" টংয়ের দোকান থেকে শুরু করে হোটেল রেস্টুরেন্ট ভাংচুর করছে।
কেন?
কারন "রমজান মাসে ওরা খাবার বিক্রি করার সাহস করে কিভাবে?"
ভাঙা হচ্ছে মুসলমানের দোকান, ভাঙা হচ্ছে হিন্দুর দোকান। পর্দা টানিয়ে বেচারার খাবার বিক্রির চেষ্টা করেছিল। লাভ হয়নি।
আমার কথা হচ্ছে পর্দা টানাবে কেন? যুক্তিতে আসছি, পরে, আগে প্রসঙ্গের কথা শেষ করি।
ধর্মীয় চেতনায় উন্মাদ এইসব লোকের কয়জন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আমার জিজ্ঞাসা। খোঁজ নিলে দেখা যাবে একটাও না। মাথায় টুপি ও গালভর্তি দাড়ি রাখলেই মুসলিম হওয়া যায় না। এইটা মাথায় ঢুকিয়ে নিন।
বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে এগুলোকে বাদও দিতে পারছি না। একটা বিরাট জনগোষ্ঠী এর প্রতিবাদ করছে না। চুপচাপ দাঁড়িয়ে দেখা আর কুলাঙ্গারগুলিকে সমর্থন করা একই ব্যাপার। আপনি চুপ আছেন, মানেই হচ্ছে আপনি জালিমের পক্ষ্য নিয়ে মজলুমের প্রতি জুলুম করছেন। আপনারা কোন বাহানা আল্লাহর দরবারে টিকবে না। আপনাকে হাত দেয়া হয়েছিল, মুখ দেয়া হয়েছিল, আপনি কোনটাই কাজে লাগাননি। এই হিসেবে আমরা, মানে বাংলাদেশের বিরাট অংশের মুসলিমরা হচ্ছি অন্তর পঁচা মুসলমান। আমাদের ঈমানের আকাশে অমাবস্যা চলছে। তাকওয়ারতো অস্তিত্বই নেই।
একটি কমন সেন্সের কথা বলি। নামাজ, রোজা, পর্দা, হজ্ব, যাকাত, ঈমান কোনটাই জোর জবরদস্তি করে হয়না। আপনার গলায় ছুরি ধরলাম, আপনি কলিমা পাঠ করে ফেললেন, কিন্তু অন্তর থেকে মানলেন না, তাহলে আপনি মুসলিম হবেন না।
আপনাকে জোর করে আমি নামাজে দাঁড় করিয়ে দিলাম। আপনার মন পরে রইলো খেলার মাঠে, বাজারে, নারীর শরীরে, আপনার নামাজ হবেনা।
তেমনি আমি যদি পৃথিবীর সমস্ত দোকান রেস্টুরেন্ট ভেঙে গুড়িয়ে দেই, তারপরেও যে রোজা রাখতে চাইবে না, আমি জোর করে তাকে রোজা রাখাতে পারবো না। সে ঠিকই ভাঙার উপায় বের করে ছাড়বে।
ক্ষুদ্রমানসিকতার এইসব লোকেরা বুঝেই না যে মুসলিমদের অনেকের উপরই রোজা রাখা ফরজ না। যদি কারোর অসুখ থাকে, ঋতুবতী ও গর্ভবতী নারী হলে, অতিশয় বৃদ্ধ যে ভাল মন্দের পার্থক্য করতে পারেনা, পাগল হলে, নাবালক শিশু হলে, এবং যদি কেউ সফরে থাকে, তাঁদের রোজা ফরজ না। আমাদের বদরের যুদ্ধ, মক্কা বিজয় দুইটাই হয়েছিল পবিত্র রমজান মাসে। আপনাদের কী ধারণা নবী(সঃ) এবং সাহাবীগণ খালি পেটে তৃষ্ণার্ত বুকে মরুভূমিতে লড়াই করেছিলেন? জ্বি না। তাঁরা মদিনা থেকে বেরিয়ে এসে রোজা ভঙ্গ করেছিলেন। মুসাফিরদের উপর রোজা ফরজ না।
আর যারা অমুসলিম? তাঁদের কেন না খেয়ে থাকতে হবে?
এখন দুনিয়ার সমস্ত রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দিলে তাঁরা খাবার পাবেন কোথায়?
রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করে যাদের দিন চলে, যেসব কর্মচারী এখানে কাজ করে টাকা রোজগার করেন, একটা মাস দোকান বন্ধ রাখতে বাধ্য হলে এই সব মুমিন বান্দারা তাঁদের সংসার খরচ বহন করবে?
মক্কায় আমাদের নবীর (সঃ) পাশের বাড়ির প্রতিবেশীর নাম ছিল আবু লাহাব। তাঁর মদিনার বাড়ির প্রতিবেশী ছিল এক ইহুদি। একবারও কী তিনি কাউকে নির্দেশ দিয়েছেন রমজান মাসে ওদের রান্নাঘর পুড়িয়ে দিতে? ছোটলোকগুলি কিসের চেতনা দেখাতে আসে? আবু লাহাবকি কখনও অভিযোগ করতে পারবে আমাদের নবী(সঃ) তার বাড়ির দরজায় কাটা, ময়লা ইত্যাদি ফেলেছিলেন? না। ওটা তার বৌ আমাদের নবীর (সঃ) সাথে করেছিল।
বেকুবের দল বুঝতেও পারছে না, ওরা মুহাম্মদের(সঃ) নাম নিয়ে বাস্তবে আবু লাহাবের পদাঙ্ক অনুসরণ করছে।
জীবনের ছয়টা মাস একটা ফাস্টফুড রেস্টুরেন্টে কাজ করেছি যার এক মাস ছিল রমজান মাস। টেক্সাসের মতন তীব্র গরম রাজ্যে আঠারো উনিশ ঘন্টা না খেয়ে রোজা রেখেছি। আমার সামনে বীফ প্যাটি ভাজা হতো, হটডগ বানানো হতো। আমাদের জন্য ড্রিংকস ছিল ফ্রী, যত ইচ্ছা খাওয়ার অধিকার ছিল। একবারের জন্যওতো আমার রোজা ভাঙার ইচ্ছা মনে জাগেনি। তোমার ঈমান, তাকওয়া কতটা ঠুনকো হলে কাউকে খেতে দেখেই তোমার রোজা ভেঙে ফেলতে হয়? এই দুর্বল ঈমান নিয়ে বেহেস্তে যাবার আশা করো? বাহ্! চমৎকার!
একদিকে সিরিয়ান - ফিলিস্তিনিদের দেখি। গত কয়েক বছর আগেও যারা নিজেদের দেশের প্রাসাদে বসে রাজকীয় ভোজ খেয়েছে, আজকে রিফিউজি হয়ে অন্য দেশে এসে সামান্য খেজুর আর পানি খেয়ে ইফতার করেও বলছে "আলহামদুলিল্লাহ।"
আরেকদিকে আমাদের বাংলাদেশী ভাই ব্রাদারদের দেখি। যে নিজের দেশের গরিব রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে, গরিবের সম্পদ বিনষ্ট করে, ওরা রমজান মাসে খাবার বেঁচে বলে!
আমাদেরই দেশের মেয়ে আত্মহত্যা করে শ্বশুরবাড়ির খোটা শুনে, বাপের বাড়ি থেকে ট্রাক ভর্তি ইফতার আসেনা কেন? সামনে আসছে কোরবানির ঈদ। আরও কত মেয়ে আত্মহত্যা করবে কে জানে, যখন বাপের বাড়ির থেকে গরু পাঠানো হবেনা! এখনতো শুধু গরুতে হয় না, ঘরের মুরুব্বি থেকে শুরু করে কাজের লোক পর্যন্ত সবার জন্য ঈদের পোশাকও পাঠাতে হবে, নাহলে ইজ্জত থাকে না। বাহ্! আমি ঠিক এই কারণেই হজরত উমারকে (রাঃ) খুব মিস করি। তিনি আজকে থাকলে এইসব জানোয়ারকে প্রকাশ্য রাজপথে লাঠি পেটা করতেন। কিছু ছোটলোক বেত্রাঘাত না খেলে লাইনে আসে না।
আল্লাহ কিনা আমাদেরই আকাশের চাঁদ বানিয়েছেন! যারা নবীর আলো প্রতিফলিত করে অন্ধকার পৃথিবীকে আলোকিত করার দায়িত্বে নিয়োজিত।
আফসোস। খুবই আফসোস! সূরা ইয়াসীনের সেই লোকটি ঠিকই বলেছিলেন, "হায়, আমার সম্প্রদায় যদি কোন ক্রমে জানতে পারত!"
১৭ ই মে, ২০১৯ সকাল ৮:০৯
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: হাদিসটা জাল ভাই। "রুহুলমায়ানি, মাজহারি" কতটা সঠিক? "ইসনাদ" গবেষণা করে হাদিস জাল বা সহীহ নির্নয় করা হয়। খুবই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি।
২| ১৭ ই মে, ২০১৯ রাত ২:৪৮
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক সুন্দর পোস্ট। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রাসুলের পথ অনুসরণ করার তৈফিক দান করুন। আপনাকে উত্তম যাযা দান করুন।
১৭ ই মে, ২০১৯ সকাল ৮:০৯
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আমীন।
৩| ১৭ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: এ সময় একজনের মাথায় ভাবনা আসে যদি তাদের প্রতিকৃতি বানিয়ে রাখা যায় তবে মৃত ব্যক্তিদের তারা বেশি বেশি স্মরণ করতে পারবে। চিরকাল তাদেরকে মনের মাঝে ধারণ করতে পারবে।
.
এরপর ধীরে ধীরে এক একটা সম্প্রদায় এক একজন বুজুর্গ মানুষ তাদের নিজেদের জন্য নির্ধারণ করে নেয়।
১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ২:২১
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: এবং এভাবেই লোকে মূর্তিপূজার দিকে ঝুকে।
৪| ১৭ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:০২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বরাবরের মতোই সত্যন্বেষী পোষ্ট!
জ্ঞানের অজ্ঞতাই এসবে দায়ী।
না ঘরকা না ঘাটকা টাইপ এইসব চেতনাবাজরাই ধর্মের বদনাম করতে যথেষ্ট! আইএসে যোগ দিতে টাকা পেলে এরাই দৌড়ায়!
আর ইমাম নামধারী লোকগুলো যে কি করে??? খালি মৃত্যুর পরের বানানো কিসসায় ব্যস্ত!
দুনিয়াতে চলার যথেস্ট যোগ্য বাস্তবতার বয়ান করনে ওয়ালা লাখেও বুঝী মিলবেনা! কোটিতে যদি গুটি কয় মেলে!!
পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ!
১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ২:২১
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আপনাকেও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই মে, ২০১৯ রাত ২:৪৬
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ধার্মিক হতে হলে আগে ধর্মকে বুঝতে হবে।ধর্ম এসবকে কখনও সমর্থন করে না।আল্লাহ্ সবাইকে হেদায়েত দান করুন।
হাদীস শরীফে রাসূল (সা বলেছেন, ‘সূরা ইয়াসিন কুরআনের হৃদয়।’যে ব্যক্তি সূরা ইয়াসিন আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালের কল্যাণ লাভের জন্য পাঠ করবে তার মাগফিরাত হয়ে যায়। তোমরা তোমাদের মৃতদের জন্য এ সূরা তিলাওয়াত করো। (রুহুলমায়ানি, মাজহারি)
ইমাম গাজ্জালী (রহ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সূরা ইয়াসিনকে কুরআনের হৃদয় এ কারণে বলা হয়েছে যে, ‘এ সূরায় কেয়ামত ও হাশর-নশর বিষয়ে বিশদ ব্যাখ্যা ও অলঙ্কারসহকারে বর্ণিত হয়েছে। পরকালে বিশ্বাস ঈমানের এমন একটি মূলনীতি, যার ওপর মানুষের সব আমল ও আচরণের বিশুদ্ধতা নির্ভরশীল। পরকালের ভয়ভীতি মানুষকে সৎকর্মে উদ্বুদ্ধ করে এবং অবৈধ বাসনা ও হারাম কাজ থেকে বিরত রাখে। তাই দেহের সুস্থতা যেমন অন্তরের সুস্থতার ওপর নির্ভরশীল তেমনি ঈমানের সুস্থতা পরকালের চিন্তার ওপর নির্ভরশীল।