নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডেঙ্গু - নিজে বাঁচলে অন্যেও বাঁচবে।

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ২:১৭

"কান কথার জাতি" বাঙালির গুজব ছড়ানোর অভ্যাস বহুদিনের। নিত্যনতুন গুজব না ছড়ালে তাঁদের রাতের ঘুম হয়না।
যেমন গত কয়েকদিনে আমার ইনবক্সে লোকজন একটি ভিডিও লিংক পাঠাচ্ছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি লোক লাইন ধরে ছোট ছোট শিশুদের অমানুষের মতন পেটাচ্ছে। ভিডিও লিংকে লেখা এটি অমুক স্কুলের অমুক শিক্ষকের ভিডিও। ছড়িয়ে দিয়ে এই লোকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আন্দোলন গড়ে তুলুন।
ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে লোকটা বা বাচ্চাগুলির কেউই বাংলাদেশী নয়। অমন ফর্সা চামড়ার মোটাতাজা মানুষ বাংলাদেশে হয়না। তারউপর যোগ হয়েছে ওদের মুখের ভাষা। কোন অবস্থাতেই ওটা বাংলাভাষা না। এইটা মূর্খেও বুঝবে। শুধুমাত্র গুজব ছড়ানো লোকেরা ছাড়া। তারা গুজব ফরোয়ার্ড করাকে নিজেদের পবিত্র দায়িত্ব মনে করে।
এখন যেমন নতুন গুজব শুরু হয়েছে ডেঙ্গু প্রতিরোধে হার্পিকের ইস্তেমাল নিয়ে। কমোডে প্রচুর পরিমান হারপিক ঢেলে দিন, ডেঙ্গু মরে সাফ হয়ে যাবে। লোকজন দেদারসে এই লিংক ফরোয়ার্ড করে করে অনলাইনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
কথা হচ্ছে ডেঙ্গু কী সেটা কী জানেন? এডিস মশা কোথায় জন্মে সেটা জানেন? সেই ছোটবেলা থেকে শিখে এসেছি এটি পরিষ্কার পানিতে জন্মায়। এখন আপনাদের বুদ্ধিবিবেচনা কী বলে? কমোডের পানি কতটা পরিষ্কার? সেই পানিতে এডিস জন্মাবে? তাহলে হুদাই পয়সা খরচ করে হারপিক ঢালাঢালি কেন?
এখন আরেকটু মাথা খাটান। হারপিক যে বিষ এইটা একটা গরুও বোঝে। এইযে হারপিক দিয়ে কমোড ভাসিয়ে দিচ্ছেন, এই পানি কোথায় গিয়ে মেশে বলেনতো? প্রকৃতিতে বিষের পরিমান বেড়ে গেলে আল্টিমেট ক্ষতি কার হবে? আপনার? আপনার সন্তানের? জ্বি, আমাদের সবার। দয়া করে কোথাও কিছু শুনেই লাফালাফি শুরু করে দিবেন না। বুদ্ধি খাটান। খোঁজ খবর নিন। ঘটনা সত্য হলে তারপরেই কেবল ফরোয়ার্ড করুন। নাহলে ফালতু, ভিত্তিহীন পোস্ট ফরোয়ার্ড করে নিজের বুদ্ধিমত্তা নিয়েই প্রশ্ন জাগাবেন।
এখন আসা যাক ডেঙ্গুর বিষয়ে।
সবার আগে বুঝতে হবে যেহেতু ডেঙ্গু ড্রেনের পানিতে হয়না, তাই ধরেই নিতে হবে সরকারি কর্মকর্তাদেরও আগে নিজেকে বেশি সচেতন হতে হবে। ধান্দাবাজ রাজনীতিবিদেরা কমান্ড স্টাইলে ছবি তুলতে হাস্যকর পোজ দিবে, কিন্তু যা করার আমাকে আপনাকেই করতে হবে।
ডেঙ্গু জম্মে বাড়ির ভিতরে বা ছাদে ফুলের টবে, ফুলদানিতে, এমনকি কমোডের ফ্ল্যাশের জমানো পানিতে। এসির পানি যেখানে জমা হচ্ছে, সেটি হচ্ছে ডেঙ্গুর অবাধ প্রজননক্ষেত্র। আপনাকে কী করতে হবে? ঘরের কোথাও যেন পানি জমা হতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করা। আপনি যদি বাড়ির মালিক হন, আপনার প্রতিটা ভাড়াটেকে এই ব্যাপারে সচেতন করুন। আপনারা যদি ভাড়াটে হন, তবে প্রতিটা প্রতিবেশীকে সচেতন করুন। ফুলের গাছ উপড়ে ফেলতে বলছি না, শুধু নিশ্চিত করুন যাতে সেখানে পানি জমতে না পারে।
এরপরে মনোযোগ দিন নিজের উঠানে, মাঠে ইত্যাদিতে। দেখুন কোথাও কোন পাত্র পড়ে আছে কিনা যেখানে পানি জমতে পারে। থাকলে এখুনই ব্যবস্থা নিন। এইগুলি আপনার এলাকা। এসবে আপনার ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকারি কর্মকর্তারা কী করবে জানেন? গতবছর এক কার্টুন চোখে সানগ্লাস পরে বিমানবন্দরে খোলা জিপের দুই সাইডে স্প্রে করতে করতে ছবির পোজ দিয়েছিল মনে আছে? এইবার তেমনই আরেক কার্টুন চরম গরমে স্যুটেড বুটেড হয়ে মেশিনগান সদৃশ্য মশার কামান হাতে পোজ দিয়েছে। মশা মরুক, মানুষ মরুক তাদের কিছু যায় আসেনা। তাদের কাজ হচ্ছে লোক দেখানো পোজ দেয়া। পাশাপাশি মশা মারার ওষুধের বিল দেখিয়ে সরকারি তহবিল থেকে টু পাইস হাতিয়ে নেয়া।
কাজেই আপনি নিজে সচেতন হন। আশেপাশের ভাই ব্রাদার সবাইকেই সচেতন করুন। নিজে বাঁচলে অন্যেও বাঁচবে।
একটি নবজাতকের ছত্রিশ দিনের মাথায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর মেনে নিতে পারছি না। কোন অকাল মৃত্যুর খবরই মেনে নেয়া অসম্ভব।
আল্লাহ সবাইকে ভাল রাখুন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৬:৩৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আল্লাহ কি করবে। আসল কাজ তো আমাদেরকেই করতে হবে। আমরা কেবল মোনাজাত করেই বসে থাকি। কাজ করতে হবে।

২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:১২

রাজীব নুর বলেছেন: হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন হাসপাতালে (ল্যাব এইড, স্কয়ার, এপোলো, ইউনাইটেড নামক কসাইখানা বাদ দিয়ে) লাইন দিয়ে দাড়িয়ে আছে। কেউ আতংকে কেউ সত্যি আক্রান্ত হয়ে।
ডাক্তাররা, হাসপাতালের স্টাফরা যতদুর দেখেছি যথা সম্ভব আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে চিকিৎসা দিতে, সাপোর্ট দিতে।

সব কিছু দেখেও উগান্ডায় বলা হচ্ছে, গুজব ছড়াবেন না। সামনে ভুরুঙ্গামারী একাদশের সাথে ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করা হইছে। এবার বাঘের গর্জন বিশ্ব শুনবেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.