নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
কমিউনিজম সম্পর্কে আমার ধারণা কম। যতদূর বুঝি, আমার কাছে একটা বুলশিট কনসেপ্ট বলেই মনে হয়। আপনার কোন সম্পদ থাকবে না, রাষ্ট্রের হয়ে যাবে। রাষ্ট্র ঠিক করে দিবে আপনার কী করতে হবে। একটা ডাক্তার ডাক্তার হবে রাষ্ট্রের ইচ্ছায়, একটা মেথর মেথর হবে, সেটাও সরকারের ইচ্ছায়। আমি যতই পরিশ্রম করিনা কেন, যতই আয় করি, আমার কোন "স্বাধীনতা" থাকবে না। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বিজ্ঞানী হয়েও আমি যে বাড়িতে থাকবো, একটা লোক মেথরের কাজ করেও তেমনই বা কাছাকাছি মাত্রার বাড়িতেই থাকবে।
অ্যামেরিকায় কমিউনিস্টদের চমৎকার একটি নামে ডাকে, "ব্লাডি কমিস।"
উল্টোদিকে "ক্যাপিটালিস্ট" ইকোনোমি হচ্ছে আপনি পরিশ্রম করবেন, যত কামাই করবেন, সবই আপনার। হ্যা, সরকারকে নির্দিষ্ট পরিমান ট্যাক্স দিতে হবে, তারপরে আপনার টাকা দিয়ে আপনি কী করবেন সেটা আপনার ব্যাপার। আপনি কোটি কোটি টাকার উপর শুয়ে বসে থাকতে পারবেন, মৃত্যুর আগে কুকুর বিড়ালের নামে সম্পত্তি লিখে যেতে পারেন, কোনই সমস্যা নাই। আপনারই শহরের কিছু লোক হয়তো না খেয়ে থাকবে। ওদের সাহায্য করতে চাইলে করবেন, না করলে কেউ কিছু বলবে না।
অনেকেই ক্যাপিটালিস্ট অর্থনীতিকে গালাগালি করে। সবাই অ্যামেরিকাকে বলে ওরা পৃথিবীকে শোষণ করছে, ওরা গরিবকে লুটে খাচ্ছে। ইত্যাদি ইত্যাদি। অবশ্যই এইসব আঁতেলের সাক্ষাৎ বাংলাদেশেই মেলে। জীবনেও অ্যামেরিকায় আসেনি, অ্যামেরিকান ইকোনমির ব্যাপারে প্র্যাকটিকাল ধারণা নেই, কাজের অভিজ্ঞতা নেই, সব বিদ্যা ঐ পুঁথিগত বিদ্যা। কমিউনিস্ট গুরুরা যা লিখে গেছে, তাকে বেদবাক্য মনে করে সকাল বিকাল ক্যাপিটালিজমকে গালাগালি করাকে ইবাদত মনে করে।
আমি এইসব কমিউনিজম, ক্যাপিটালিজমের ডিটেইল প্যাঁচে যাব না। নিজের কথা বলবো। আমি পাঁচশো ডলার হাতে নিয়ে একটি সম্পূর্ণ অচেনা দেশে এসেছিলাম। আমার রাস্তায় থাকার কথা ছিল, ভাগ্য ভাল আমার ফুপাতো ভাইয়ের আলিশান বাসা ছিল, সেখানে থাকতে পেরেছি। চাকরি করেছি। দুই চার পয়সা যাই হোক উপার্জন করেছি।
এদেশে চাকরির ক্ষেত্রে একটি বিশেষ নিয়ম উল্লেখ করি। অ্যামেরিকান সরকার কোন রাজ্যের ইকোনোমি, লিভিং কস্ট ইত্যাদি গবেষণা করে মিনিমাম ওয়েজ সেট করে দেয়। রাজ্যভেদে এই স্যালারির পরিমান ওঠানামা করে। যেমন, টেক্সাসে মিনিমাম ওয়েজ ঘন্টায় সাত ডলার পঁচিশ পয়সা। নিউ ইয়র্কে মিনিমাম ওয়েজ এগারো ডলার দশ পয়সা। মানে, আমি ম্যাকডোনাল্ডসে কাজ করলে টেক্সাসে আমাকে ন্যূনতম সাত ডলার পঁচিশ পয়সা বেতন দিতেই হবে। এবং নিউইয়র্কে কাজ করলে আমার ঘন্টায় আয় হবে এগারো দশ। বেশি দিতে চাইলে সেটা ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার। এর কম দিতে পারবে না। যদি দেয়, তাহলে সরকার সেই মালিকের বিজনেস লাইসেন্স ক্যানসেল করে দিতে পারে। এই কাজটা সরকার এই কারণেই করে যাতে একজন লোক ছোটখাটো চাকরি করেও মোটামুটি খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারে। জ্বি, গরিবদের নিয়ে এই দেশের সরকারও ভাবে। বাংলাদেশী বাম ধারার বিপ্লবী চেতনার লোকেরা যে দাবি করে "ক্যাপিটালিজম গরিবের রক্ত শুষে নেয়" - বাক্যটি ঠিক না।
আমি চাকরি শুরু করলাম। বুঝতে পারলাম এইসব টুটাফুটা চাকরি করার জন্য আমি এদেশে আসিনি। আমাকে পড়াশোনা করতে হবে। ভর্তি হলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে ক্লাসে কিছু কেস স্টাডি পড়লাম যেটা ইন্টারেস্টিং। তাহলে বুঝতে পারবেন অ্যামেরিকান ইকোনমি কিভাবে রান করে।
এদেশে প্রায়ই দেখা যায় কৃষক প্রচুর ফসল উৎপাদন করে ফেলে। মার্কেটে চাহিদার তুলনায় দ্বিগুন, বা মাঝে মাঝে তিনগুন। এত বিপুল পরিমান ফসল মার্কেটে আসলে দাম পড়ে যাবে। কৃষক ন্যায্য মূল্য না পেলে বাঁচবে কিভাবে? তাই সরকার কৃষককে আগামী দুই তিনবছরের টাকা এডভান্স দিয়ে দেয়। তোমার কিছু করতে হবেনা, বসে বসে খাও। ফসল শেষ হলে আবার চাষ করো।
এই কারনে এদেশে কৃষকরা মহা কোটিপতি হয়ে থাকে। কৃষিকাজ অত্যন্ত সম্মানজনক পেশা।
আমাদের সিন্ডিকেটের প্যাঁচের কারনে মার্কেট আগুন গরম থাকলেও কৃষকের চুলা জ্বলে না। সেই আমরা আসি অ্যামেরিকান ইকোনোমির সমালোচনা করতে।
পড়ালেখা শেষ করলাম। ভাল চাকরিও শুরু করলাম। এখন মাশাল্লাহ ভালই আছি। একটা সময়ে এপার্টমেন্টে স্রেফ একটা ম্যাট্রেস ছিল। তারপরে এলো সোফা, টিভি, টেবিল ইত্যাদি। এখন গত কয়েক বছর ধরে নিজেরই বাড়ি আছে। যদি ফিরে তাকাই বারো বছর আগের গ্রীষ্মে, আমার পকেটে তখন মাত্র পাঁচশো ডলার। তারপরের কয়েক বছরে আমার বাৎসরিক আয় ছিল পভার্টি লাইনের নিচে। যা এইদেশে বেশিরভাগ ছাত্রেরই থাকে। মানে আমি আর্থিকভাবে, প্র্যাকটিক্যালি ও থিওরিটিক্যালি গরিবই ছিলাম। লেখাপড়াকে যদি পরিশ্রম বলে, তবে পরিশ্রম করেছি, কাজ করেছি, এখন মাশাল্লাহ ভালই আছি।
তাহলে ক্যাপিটালিজম "গরিবকে শুষে খায়", এই আজগুবি থিওরি আমি কোন লজিকে বিশ্বাস করবো? হ্যা, আমি বছরে যত আয় করছি, আমার সিইও তারচেয়ে বহুগুন বেশি আয় করছেন। "ব্লাডি কমিসদের" আপত্তি সেখানেই। এই উদাহরণ দেখিয়ে বলে এতে সমাজে বিরাট শ্রেণী বৈষম্য জন্মে গেছে। সাথে প্রলেতারিয়েত, বুর্জুয়া, কনজুমারিজম ইত্যাদি ফ্যান্সি টার্ম ইউজ করে লোকজনকে বিভ্রান্ত করা ছাড়া কোন অশ্বডিম্বটাও পাড়া হবেনা। ওদের মাথায় কখনই এইটা ঢুকে না যে আমার সিইও তাঁর অবস্থানে আসতে কতটা পরিশ্রম করেছেন। আমাকেতো কেউ বেঁধে রাখেনি। আমার যদি সেরকম পরিশ্রম করার দম থাকে (দিনে আঠারো থেকে বিশ ঘন্টা কাজ - আমি কখনই লোকটাকে বাড়ি যেতে দেখিনা। হয় অফিস, নয় কনফারেন্সে শহর থেকে শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এই বুড়ো বয়সেও), তাহলে আমিও তাঁর অবস্থানে একদিন না একদিন ঠিকই পৌছাবো। আমি ধন্যবাদ জ্ঞাপন পূর্বক স্বীকার করছি, ঐ পরিশ্রম আমাকে দিয়ে হবে না। আমি মিড লেভেল এম্পলয়ী হিসেবেই সুখে আছি।
কথা প্রসঙ্গে আরেকটা অভিযোগ বাঙালিদের করতে দেখি। "আজ আমি বাঙালি বলে আমার এই প্রমোশন হলো না। সাদারা সাদাদেরই নেয়।"
বিষয়টা আংশিক সত্য। রেসিজম, ফেভারিটিজম যে এইদেশে হয়না, তা না। আমরা বাঙালিরাই কী করিনা? পরিচিত বাঙালি ভাইকে চাকরির জন্য রেফার করিনা? নিজের ডিপার্টমেন্টে ভাল পজিশনের জন্য একজন সাদা, একজন কালো, একজন বাঙালির মধ্যে থেকে আমরা কী বাঙালির দিকেই সামান্য পক্ষপাত করিনা? কেন? নিজের ভাইয়ের উন্নতি হোক। এইতো চাওয়া। (অবশ্য, উল্টোটাই বেশি হয়। anyone but বাঙালি। আমি ছাড়া কেউ উন্নতি করে ফেলবে? উহু! কাভি নেহি!)
কিন্তু পাশাপাশি একটি বিষয়ও সত্য যে আমরা বাঙালিরা ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স করে চলা পাবলিক। আমাদের সংস্কৃতিই এইটা শিখায়। অ্যামেরিকান সাদারা ক্যারিয়ারের প্রয়োজনে স্বামী/স্ত্রী সংসার ছেড়ে দিতে দ্বিতীয়বার চিন্তা করেনা। আমার আগের ডিপার্টমেন্টে ভিপির ডিভোর্স হয়ে গিয়েছিল কারন সে অফিসেই পড়ে থাকতো। আজকে ডালাসে আছে, কালকে লাস ভেগাসে উড়তে হচ্ছে, পরশু ফিলিপিন, ইন্ডিয়া, ইংল্যান্ড.....। স্বামীকে সময় দিতে পারেনি, ডিভোর্স হয়ে গেছে। এই কাজ আমরা কয়জন বাঙালি করতে রাজি আছি? আমাদের পুরুষেরা দেশে বিদেশে ঘুরে বেড়ায়, স্ত্রীরা চুপচাপ মেনে নেয়। ওদের ক্ষেত্রে কিন্তু বিষয়টা এত সহজ না। আমার এক কলিগের স্বামীর সাথে ঝগড়া বাঁধতো এই কারনে যে বিকালে তাঁরা দুইজন টেনিস খেলতে যায়, যেহেতু মাসের বিশেষ সময়ে আমাদের কাজের চাপ বেশি থাকে। ঐ সময়টাতেই মহিলা অফিসে বেশি সময় কাটান। ফলে টেনিস খেলা হয়না। ফলে স্বামীর মনোক্ষুন্ন অবস্থা। বেশিদিন এইভাবে চলতে থাকলে ডিভোর্স হওয়াটা অত্যন্ত স্বাভাবিক ছিল।
তো যা বলছিলাম, ভিপি, সিইও, সিএফও ইত্যাদি পজিশনে কাজ করা অত্যন্ত পরিশ্রমের ব্যাপার। অফিসেতো কাজ করতেই হয়, সেই সাথে চব্বিশ ঘন্টা ফোনে একটিভ থাকতে হয়। অনেক সময়ে তাঁদের এপ্রুভালের জন্য কোটি কোটি ডলারের প্রফিট আটকে থাকে। আমাদের বাড়িতে অফিস ফোন বেজে উঠলেই বৌ/স্বামীরা কথা শোনাবে, "তুমি অফিসেই থাকো। বাসায় এসেছো কেন?"
যারা সেই পজিশনে হায়ার করেন, তাঁদের কনভিন্স করতে হবে যে আপনি সেই পজিশনে কাজ করতে কতটা তৈরী। আপনি যদি প্রমান করতে না পারেন, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই যে পারবে তাঁরই নিয়োগ হবে। সবক্ষেত্রে "সংখ্যালঘু" "মুসলিম" "কালো" "রেসিজম" ইত্যাদি কার্ড খেলার চেষ্টা করবেন না। বিষয়টা বিরক্তিকর।
তাহলে বুঝতে পারছেনতো যে ক্যাপিটালিজম পরিশ্রম করলেই সফল হওয়া যাবে? আপনি আপনার পরিশ্রম অনুযায়ী (অনেক সময়ে পরিশ্রমের তুলনায় বহুগুন বেশি) বেতন পাবেন, সেই অনুযায়ী একটি সুস্থ স্বাচ্ছন্দময় জীবন কাটাবেন। আপনার নিজের মাথার উপর ছাদ থাকবে, যাতায়াতের জন্য গাড়ি থাকবে। বাচ্চাকাচ্চারা ভাল স্কুলে পড়াশোনা করবে, স্বাস্থকর ও পুষ্টিকর খাদ্য খেয়ে বড় হবে, রোগে সুচিকিৎসা পাবেন - এক জীবনে আর কী প্রয়োজন? এখন সমাজের কিছু শ্রেণীর মানুষ অতিরিক্ত বিত্তবান হলে আপনার কেন জ্বলুনি উঠবে? ওরা রাজপ্রাসাদে থাকলে, লাক্সারি গাড়ি চালালে আপনার কেন ঘুম হারাম হবে? আপনার বিত্তশালী হবার ইচ্ছা থাকলে আপনি নিজে তাঁর মতন ব্যবসা করুন, পড়াশোনা করুন, পরিশ্রম করুন। অন্যের টাকায় ভাগ বসানোর ছোটলোকি চিন্তা কেন মাথায় আসবে? কমিউনিস্টদের ঠিক এইটাই মানসিকতা। ওদের মাথায় থাকে সরকার সমাজের উঁচু শ্রেণীর মানুষের টাকা এনে আমাকে দিয়ে দিবে। এদিকে নিজের যে সহায় সম্পত্তি নিয়ে যাবে, এই ব্যাপারটা ততক্ষন মাথায় আসেনা যতক্ষন না সেটা চলে যাচ্ছে।
ফিদেল কাস্ত্রো কিউবা দখলের সময়ে কিছু বেকুব চাষাকে এইভাবে বোকা বানিয়েছিল। বলেছিল তোমাদের এই সেই এনে দেব। পরে দেখে ঘরের লাঙল জমি সব গেছে। লেনিন স্তালিনরাও একই কাজ করেছে রাশিয়ানদের সাথে। বাংলাদেশের বিপ্লবী চেতনার চীনাপন্থীরাও আশায় থাকেন একদিন গুলশান বনানীর সিন্দুক থেকে সম্পত্তি এসে তাদের ভাঙা আলমিরায় স্থান নিবে। ভাইজানেরা বুঝেন না, ঐ আলমিরাটাই সরকার আগে নেবে।
চীনের কমিউনিস্ট সরকার বহু বছর ধরেই "উইঘার মুসলিমদের" উপর অত্যাচার করে আসছিল। ওদের জোর করে রোজা ভাঙ্গানো, জোর করে মদ ও শূকরের মাংস খাওয়ানো বা তিন মিলিয়ন মুসলিমকে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে অত্যাচার করার খবরগুলো পুরানো হয়ে গেছে। এখন ইতরামি শুরু করেছে পুরো চীন জুড়ে হালাল মাংস বিক্রি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়ে। তোরা সাপ কুকুর ক্যাচো খাচ্ছিস, সমস্যা নাই - মুসলিমরা আল্লাহর নামে জবাই করা মাংস খেলেই হায় হায় রব তুলিস! চীনা সংস্কৃতি রক্ষার নাম করে আরবি হরফের লেখা (যেখানে "হালাল" লেখা) নামিয়ে রাখতে হবে। তারপরে আর কী কী নিয়ম আরোপ করবে কে জানে। কমিউনিস্ট রাষ্ট্রের এও আরেক শর্ত। বিনা শর্তে সরকারের নির্দেশ মেনে চলা।
লোকে চীনের ইকোনমির উদাহরণ টানে। বলে যে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী পয়সাওয়ালা দেশ চীন। ভবিষ্যতের সুপার পাওয়ার হবে শুধু তারাই। ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু সেই ইকোনোমি টেনে তুলতে কী অমানুষিক পরিশ্রম করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে খোঁজ নিলেই দেখতে পারবেন। কখনও ভেবেছেন কী যে কেন চীনা শ্রমিকেরা এত ঘনমাত্রায় আত্মহত্যা করে?
একটা সময়ে স্তালিন যেমন দেশব্যাপী চার্চ বন্ধ করে দিয়েছিল। লোকজনকে বাধ্য করেছিল যীশু ও ম্যারির ছবি নামিয়ে নিজের ছবি টাঙ্গাতে। ইন্ডিরেক্টলি বলা যে এখন থেকে সেই তাঁদের গড। বিরোধিতা করলে গুম করে ফেলতো। হিটলার যত না ইহুদি মেরেছে, স্তালিন কী তারচেয়ে কম সংখ্যার রাশিয়ান মেরেছে? ওর কথায় তখন কোটি কোটি মানুষ উঠে বসে। নিজেকে অসীমক্ষমতাধর ঈশ্বর ভাবতেই পারে।
হিটলার যখন রাশিয়া আক্রমন করে সমানে মানুষ মারতে লাগলো, তখন "গড বাবাজি" গির্জা খুলে লোকজনকে নির্দেশ দিল আসল গডের কাছে প্রার্থনা করতে। হিটলার নামের ইবলিশের হাত থাকে বাঁচাতে হলে আসল গডের বিকল্প নাই।
আসল গড তখন বরফ ঝরালেন। সর্বজয়ী নৃশংস নাৎজি বাহিনী প্রথমবারের মতন পরাজিত হলো।
সেই দোর্দন্ড প্রতাপশালী সোভিয়েত ইউনিয়নও একদিন ভেঙেছিল। এইরকম ইতরামি চালু রাখলে চায়নাও ভাঙবে ইন শা আল্লাহ। সময়ের ব্যাপার মাত্র।
ব্লাডি কমিস!
https://www.reuters.com/article/us-china-religion-islam/sign-of-the-times-chinas-capital-orders-arabic-muslim-symbols-taken-down-idUSKCN1UQ0JF
০২ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২৬
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: কথা হচ্ছিল অ্যামেরিকানইকোনমিক সিস্টেম নিয়ে। এগিয়ে যাওয়া গোষ্ঠীর টাকা দিয়ে পিছিয়ে যাওয়া গোষ্ঠীর পুশিংয়ে সাহায্য করা হয়। যেমন বেকার ভাতা। যেমন ফ্রী এডুকেশন। যেমন ফুড স্ট্যাম্প। সরকারের পক্ষ থেকে আপনাকে যা ধাক্কা দেয়ার দিবে, বাকিটা আপনি নিজের পথ নিজে বানিয়ে নিন। আপনার উদাহরণ থেকেই বলি।
পাঁচ ভাইয়ের এক ভাই বিদেশে গিয়ে মিলিওনিয়ার হয়ে গেল। সে যদি বাকি চার ভাইয়ের জন্য একটি দোকান করে দেয়, বাকিটা চার ভাই যেন পরিশ্রম করে নিজেদের ভাগ্য পাল্টে দেয়। হ্যা, যদি মিলিওনিয়ার ভাই পল্টি মারে (ট্যাক্স ফাঁকি দেয়ার সাথে তুলনা করতে পারেন) তাহলে অবস্থা ভিন্ন। অ্যামেরিকায় ট্যাক্স ফাঁকি দেয়া ফেডারেল ক্রাইম। জেল খাটতে হবে।
কমিউনিজম থিওরি নিলে বাকি পাঁচ ভাইয়ের কেউই আগাতে পারতো না। আগালেও অতি স্লো হতো গতি। পরের জেনারেশনে সেই পাঁচ ভাইয়ের জমি দশভাগ হয়ে আরও গরিব হতো।
২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: বিল্পবীরা কোনো দেশেই সাফল্য পায়নি। বরং ওদের জীবন দিতে হয়েছে।
০২ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২৭
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: এইটাই বাস্তবতা।
৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৫০
জাহিদ হাসান বলেছেন: অর্থনীতির ব্যাপারে ইসলামে যে জাকাত ব্যবস্থা আছে তা সর্বশ্রেষ্ঠ । তুমি যতই ধনী হও সমস্যা নাই, কিন্তু বছর শেষে সম্পদের একটা অংশ গরীবদের দিতে হবে।এতে গরীবরা স্বচ্ছল হবে। বৈষম্য বলে কিছু থাকবে না।
কমিউনিজম আর ক্যাপিটালিজম এর চাইতে ইসলামইজম এক্ষেত্রে সর্বসেরা।
০২ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২৭
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: জ্বি, সত্য বলেছেন।
৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪
জগতারন বলেছেন:
এই লেখকের "কমিউনিজম" সম্পর্কে ধারনা কম বলে স্বিকার করেন,
আবার "কমিউনিজম"-কে একটা বুলশিট কনসেপ্ট বলেন !
কোন System সমন্ধে ধারনা কম আবার ...... ।
০২ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২৮
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: "ধারণা কম" বলে লেখক বিনয় প্রকাশ করেছে। এই সামান্য কথা বুঝার ক্ষমতা নাই, ব্লগিং করতে এসেছেন? বাহ্!
৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
পোষ্টটা ইডিওটিক টাইপের
০২ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২৭
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: জ্বি ভাই। আপনি বিরাট জ্ঞানী মানুষ। এনলাইটেন করেন।
৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনি কি বাংলাদেশের কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যজুয়েট ?
০২ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২৯
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন?
৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯
অন্তরা রহমান বলেছেন: ফেবুতে পড়েছিলাম। কমিউনিজম ভালো পাই। ক্যাপিটালিজম ও। একটা হলেই হলো।
০২ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৩১
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: মজার কথা হচ্ছে, কমিউনিস্ট দেশের কাউকে এখনও খুঁজে পেলাম না যে কমিউনিজম ভাল পায়। না চায়না, না রাশিয়া, না ভেনিজুয়েলা, না ভিয়েতনাম, না কিউবা। সব প্রেম আমাদের বাঙালিদের। তাহলে কী বুঝা যায়?
"নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস...."
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:২৫
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ক্যাপিটালিজম' কমিউনিজম থেকে আধুনিক, উন্নত এটা ঠিক। আমেরিকার মতো দেশগুলোর জন্য ক্যাপিটালিজম ঠিকাছে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো রাস্ট্রের জন্য 'ক্যাপিটালিজম-কমিউনিজমের' সমন্বয়ে নতুম কোনো ধারনা চালু করা দরকার।
বাংলাদেশের ক্যাপিটালিজমের সঠিক ব্যবহার হচ্ছেনা বলেই উন্নয়নের স্পীড এতো কম। এবং নির্দিষ্ট কিছু মানুষ দিনদিন ধনী হচ্ছে। গরীবরা গরীব থেকে যাচ্ছে, মধ্যবিত্তরা গরীব হচ্ছে।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটা অনেকটা এমন, ফ্যামিলিতে ৫ ভাই আছে। ৫ জনের মধ্য ছোটজন পড়ালেখায় মেধাবী হওয়ায় বাবামা তুলনামূলক কম মেধাবীদের পড়ালেখা বন্ধ করে ছোটছেলেকে পড়ালেখা করালেন। চার ছেলের ভাগের জমি বিক্রি করে আম্রিকা পাঠালেন।
কিন্তু, ছোটছেলে পড়ালেখা করে প্রচুর উন্নতি করলে অন্যান্য ভাইদের সম্পূর্ণ ভুলে গেলেন। ফলাফল, ছোটছেলে মিলিয়নার। কিন্তু অন্যান্যরা ফকির।
কমিউনিজম থিওরি মেনে বাবা ডিসিশন নিলে ভাইএ- ভাইএ সম্পত্তির এই বিশাল তফাৎ সৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকতো না।
ক্যাপিটালিজমের সঠিক প্রয়োগ করতে হবে। এগিয়ে যাওয়া গুষ্টির টেক্সের টাকা পিছিয়ে থাকা গুষ্টির কল্যাণে ব্যয় করতে হবে। তবেই দেশ উন্নত হবে।