নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতরের ইতরামি

১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:০২

ফুড রিভিউ দিয়ে ফেসবুক পেজ খোলা কোন বিষয় না। সারা বিশ্বেই চলছে, বাংলাদেশেও আছে।
সেই পেজ বা গ্রূপে লাখ লাখ সদস্যের উপস্থিতি অতি স্বাভাবিক। আমরা সবাই খাই, খেতে পছন্দ করি, এবং খাবারের গল্প শুনতে আগ্রহী। কোন দেশের কোন রেস্টুরেন্টের কী কী খাবার অতুলনীয়, এই নিয়ে বিশ্বজুড়ে তুমুল দর্শকপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। ফেসবুক পেজগুলো পিছিয়ে থাকবে কেন? মান সম্মত ফুড রিভিউ আমাদের আনন্দিত করে। এতে অপরাধের কিছু নাই।
লাখ লাখ সদস্যের পেজগুলো যদি কোন নির্দিষ্ট রেস্টুরেন্টের প্রোমোশনের জন্য কাজ করে থাকে, তখন সামান্য ভ্রু কুঞ্চিত হলেও, আমার মনে হয়না এইটা খুব উচ্চ পর্যায়ের অপরাধ। যেমন ধরেন, আমি "আমেরিকান বার্গারের" কাছ থেকে টাকা নিয়ে বললাম আমি তাঁদের প্রোডাক্টের প্রশংসা করে পোস্ট দিব। বাস্তবেই আমি আমেরিকান বার্গারের বার্গার পছন্দ করি। দেশে গেলে অবশ্যই যা করি, তার একটি হচ্ছে এই রেস্টুরেন্টের বার্গার খাওয়া। প্যাটির মধ্যে ওদের স্মোকি ফ্লেভারটা আমার অসাধারন লাগে। তাই আমি একটি ভাল প্রোডাক্টের প্রশংসা করতেই পারি। বিনিময়ে কিছুটা টাকা পেলে ক্ষতি কী?
ভ্রু কুঞ্চনের কারন হচ্ছে, আমি পেজটা খুলেছি ফুড রিভিউর উদ্দেশ্যে। আমার কাজ হবে লোকজনকে ভাল খাবারের দোকান সম্পর্কে অবহিত করা, এবং আমার কাছে যা কুৎসিত লেগেছে, সেই সম্পর্কে সতর্ক করা। আমি যদি টাকা খেয়ে জব্বার এন্ড সন্স রেস্টুরেন্টের বাসি পঁচা বার্গারকে shake shack এর বার্গারের চেয়েও ভাল বলি, তাহলে আমার লাখো ফলোয়ারের সাথে বেইমানি করা হবে। কাজটা অনৈতিক হয়ে যাবে। হ্যা, যদি আমার পেজটা কমার্শিয়াল পেজ হতো, ফুড "রিভিউ" না, বরং ফুড "প্রোমোশনের" গ্রূপ হতো, তখন এই কাজটি ভুল হতো না। আমাদের শাবনূরকে দেখতাম তিব্বতের এড করতে, ঐশ্বরিয়াকে লাক্সের। আপনাদের কী ধারণা তাঁরা ওসব প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন? পকেটে সামান্য টাকা আসা শুরু করলেই বাঙালি লাক্স ফেলে ডাভ ধরে। ইহা নিপাতনে সিদ্ধ সত্য।
এখন বলি বাঙালি ফুড রিভিউ পেজের এক এডমিন কী করেছে সেই কথা।
সে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টকে গিয়ে বলেছে তাকে মাসে মোটা অংকের টাকা দিতে হবে। তাহলে সে নিজের পেজে সেসব রেস্টুরেন্টের প্রশংসা করবে। এতে ওসব রেস্টুরেন্টের ব্যবসা দাঁড়িয়ে যাবে।
খুবই উত্তম প্রস্তাব। রেস্টুরেন্ট মালিক নিজের ব্যবসার প্রোমোশনের জন্য এমন করতেই পারেন।
তারপরে ঐ এডমিন হুমকিও দিয়েছে যে যদি টাকা না দেয়, তাহলে নেগেটিভ রিভিউ দিয়ে এমন ব্যবস্থা করবে যে রেস্টুরেন্টের মালিককে তাঁর দোকানে তালা ঝুলাতে হবে। এইটাকে বলে ব্ল্যাকমেইল। অনৈতিকই না, অপরাধও।
বদমাইশটা নিজের পালতু বন্ধুবান্ধব লেলিয়ে দিয়ে ইচ্ছা করেই নেগেটিভ রিভিউ দিয়ে রেস্টুরেন্টের মালিকের সাথে যোগাযোগ করে। প্রস্তাব দেয় টাকার বিনিময়ে অনেকগুলো পজিটিভ রিভিউ দিবে। তাহলে এই নেগেটিভিটি ধুয়ে মুছে যাবে।
সামান্য এক ফেসবুক পেজের চার আনার এডমিনের হাতে রেস্টুরেন্ট মালিকরা জিম্মি হয়ে গেলেন। কারোর কারোর ব্যবসা লাটে উঠলো।

এই কাজটা শুধু ফুড পেজগুলোই নয়, অনেক গ্রূপ ও পেজও করে থাকে। মেম্বারদের থেকে টাকা নিয়ে নিজেরা লাল হয়ে যাচ্ছে। ক্যানভাসের সদস্যসংখ্যা সাড়ে তিন লাখ শোনার পরে অনেকেই বলেন, আমরা কেন টাকা কামাচ্ছি না? আমরা নাকি বোকা।
আপনারাই বলেন, কালকে এইভাবে অবৈধ টাকা কামাতে গিয়ে ধরা পড়ার পরে আপনারা যখন আমাদের মুখে থুথু দিবেন, সেটা কী আমাদের ভাল লাগবে? দুই চারপয়সার লোভে নিজের ঈমান বিক্রি করবো কেন? এই কারণেই ক্যানভাস চ্যারিটি/হেল্প পোস্ট ছাড়া অন্য কোন প্রমোশনে বিশ্বাসী নয়। তাও তৃতীয় পক্ষ হিসেবেও আমরা কাজ করিনা। আমরা সরাসরি সাহায্যপ্রার্থীর নাম, ঠিকানা ও একাউন্ট নম্বর দিয়ে দিই। কারোর সন্দেহ থাকলে সে যোগাযোগ করে ভ্যারিফাই করুক। কেউ সাহায্য করতে চাইলে সরাসরিই করুক। ক্যানভাস এক পয়সাও নিবে না।

একটু গভীরভাবে চিন্তা করে বলুনতো, আমরা বাঙালিরা কোথায় গিয়ে ঠেকছি কেউ কী বুঝতে পারছেন? সবকিছুতে বদমাইশি, দুর্নীতি ঢুকিয়ে দিচ্ছি। ঈদের পশুর চামড়া, যার বিক্রির অর্থ আমাদের ৯০% এরও বেশি মানুষ গরিবদের জন্য তুলে রাখেন, সেই পশুর চামড়া নিয়ে সিন্ডিকেট তৈরী করে ইতরের ইতরামি শুরু করে দিয়েছি। কোরবানির চামড়া নিয়েও ব্যবসা?
ফেসবুকে পশুর চামড়ার রেসিপি খুব শেয়ার হচ্ছে। গা ঘিন ঘিন করার কিছু নেই। হাঁস মুরগি পাখি ও মাছের চামড়া মশলা দিয়ে খেয়ে আমরা অভ্যস্ত। পশুর লোম ছাড়িয়ে নিয়ে ঠিক মতন রান্না করতে পারলে সেটাও খেতে সমস্যা হবার কথা না। আমার ধারণা চাইনিজরা খায়। ওদের দোকানে গেলে কাউ ব্লাড, পোর্ক ব্লাড, গরু ও শুকরের কান ইত্যাদি বয়ামে করে বিক্রি হয়। ডালাসেরই এক ফার্মে আফ্রিকার এক নারীকে দেখেছিলাম ram এর (এক জাতের ভেড়া) চামড়া পুড়িয়ে কসাইকে দিয়ে পিস্ পিস্ করে কাটিয়ে বাড়ি নিয়ে যেতে। খেতে কুৎসিত হলে নিশ্চই তিনি তা করতেন না।
ছোট বেলায় সিলেটে আমাদের পশুর চামড়া নিয়ে এইভাবে ইতরামি করতে দেখিনি। ঢাকায় আসার পর দেখেছি এলাকার বড় ভাই, দুই পয়সার গুন্ডা লোকজনকে পরোক্ষ হুমকি ধামকি দিয়ে সস্তায় চামড়া কিনে নিত। তখনই বুঝেছিলাম একদিন এইদিন আসবেই। আপনাদের কাছ থেকে কোরবানির পশু ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে না এইতো অনেক। আরও অপেক্ষা করুন, আগামীতে কোরবানির দেয়ার জন্যও এদের চাঁদা দিতে হবে।

লিংকের ভিডিওটি দেখুন। টিভি উপস্থাপকের উপস্থাপনা অতিমাত্রায় বিরক্তিকর হলেও ভিতরের কন্টেন্ট ভাল। চিনে নিন "ফেসবুক সেলিব্রেটিদের।"

https://www.youtube.com/watch?v=1Nb-5Nm_Mro

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:২৪

বিষন্ন পথিক বলেছেন: লিংক কাজ করে না

২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৫:১৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আমাদের মরালিটি বা নৈতিকতা, ধর্মীয় বিশ্বাস বা ঈমান যে কোন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে তার প্রমান হচ্ছে চামড়া নিয়ে দুই নম্বরির এই ঘৃণ্য কারসাজি | কোরবানির মতো একটি ধর্মীয় ও চরম আত্মত্যাগপূর্ণ উদযাপনের মধ্যেও ইতর ব্যবসায়ী, আমলা ও নেতৃত্বের সিন্ডিকেট এর মধ্যে নিজেদের আখের ( ! ) ঘোচানোর পথ খুঁজে পেয়ে গেছে !!!!!

১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৪৩

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: :(

৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: পশুর চামড়া আমি কোনো দিনও খাবো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রান্না করে দিলেও খাবো না।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৪২

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: হাহাহা

৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০

মাহের ইসলাম বলেছেন: আমি এক দাওয়াতে গিয়ে খাসির চামড়ার এক আইটেম খেয়েছি।
না বললে বুঝতেই পারতাম না, এটা চামড়ার আইটেম।
খারাপ লাগেনি। হয়ত আগেি জেনেছিলাম, এই জন্যেই।
না জানা থাকলে হয়ত, বেশি ভালো লাগতো।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৪২

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: খারাপ হবার কথা না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.