নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
এক চাচার বাসায় বেড়াতে গেছি। চাচা মুসলিমদের উপর খুবই বিরক্ত। কারন অনেক আছে, বিস্তারিততে যাচ্ছি না। তবে তার একটি কারন ছিল এই যে "মুসলিমরা এডপশনকে হারাম বলে।"
বিদেশে, বিশেষ করে অ্যামেরিকায় একটি খুবই মহৎ কালচার হচ্ছে শিশু দত্তক নেয়া। কেবল নিঃসন্তান দম্পতিই নয়, যাদের সন্তান আছে, তাঁরাও এই কাজটি করে থাকেন। এমন কাউকে কাউকে চিনি যারা ইচ্ছা করেই বিকলাঙ্গ, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী, ডাউন সিনড্রোম, অটিস্টিক শিশু দত্তক নেয়। এরা মানুষ না, মুখোশের আড়ালে এরাই ফেরেশতা।
এঞ্জেলিনা জোলিকে কে না চেনে? তাঁর ছয় সন্তানের কয়টা দত্তক নেয়া জানেন? হলিউডের অনেক সেলিব্রেটি এই কাজটি করেন। এক কালের দুনিয়া কাঁপানো ডিভা ম্যাডোনারও পালক সন্তান আছে। সন্তান দত্তক নেয়ার উদাহরণ বলিউডেও পাওয়া যায়। সবচেয়ে জনপ্রিয় দত্তক নেয়া সন্তানের জননী হচ্ছেন সুস্মিতা সেন। বিশ্ব সুন্দরী হয়ে রুটিন মোতাবেক সামাজিক কর্মকান্ড করতে গিয়ে হাজির হন মাদার তেরেসার আশ্রমে। সেখানে গিয়ে দেখেন অনাথালয়ে প্রচুর মেয়ে শিশু আছে, সেই তুলনায় ছেলে শিশু বলতে গেলে নেইই। বিশ্ব সংসার সম্পর্কে অনভিজ্ঞ মেয়েটি এই প্রশ্ন করতেই তাঁকে জানানো হলো, "সবাই ছেলে শিশুকে দত্তক নেয়। মেয়ে শিশুদের নয়।"
সেই কচি বয়সেই মেয়েটি সিদ্ধান্ত নেয় মেয়ে শিশু দত্তক নেয়ার। সেই বয়সেই দত্তক শিশুর মা হয়ে যান। কয়েক বছর পর আবারও আরেক শিশুর মা হন। বর্তমানে বিয়ে না করেও তিনি সেই দুই কন্যা সন্তানের গর্বিত মা।
সমসাময়িক আরেক বলিউড ডিভা রাভিনা ট্যান্ডনও সন্তান দত্তক নিয়েছিলেন। বড় করে বিয়েও দেন, সেই মেয়ের ঘরে এখন তাঁর নাতিও আছে।
সর্বনিন্দিত নায়িকা সানি লিওনিও শুনেছি শিশু দত্তক নিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার অতি বিখ্যাত ও বিধ্বংসী অলরাউন্ডার এন্ড্রু সাইমন্ডসকে মনে আছে? সেও কিন্তু আরেকজনের বাড়িতে পালিত সন্তান।
এখন এইটা ফ্যাক্ট যে অনাথ শিশু যদি কারোর বাড়িতে লালিত পালিত হয়, তবে সেই শিশুর জীবন পাল্টে যায়। ঠিক বাড়িতে ঠিক মানুষের হাতে পড়লে অনেকেই আকাশচুম্বী সফলতা অর্জন করে। আমার চিফ একাউন্টিং অফিসার অনাথালয়ে বড় হচ্ছিলেন। সঠিক দম্পতির হাতে পড়ে তিনি সিপিএ হন, চাকরি জীবনে অবশ্যই তিনি একজন সফল নারী। অথচ এতিম খানায় বড় হলে তিনি আজকে কী হতেন কোন গ্যারান্টি ছিল না। এইরকম হাজারো উদাহরণ আছে।
তাহলে ইসলাম, যে দাবি করে সে মানুষের কল্যাণের জন্য নাজেল হয়েছে, সে কেন এমন মহৎ কাজে বাঁধা দিবে?
আপনি কোন অশিক্ষিত মোল্লার কাছে যান, সে চোখ কান বন্ধ করে আপনাকে দালিলিক প্রমান সহ বলবে "হ্যা, এটি হারাম। জাইদ ইবনে হারিসাকে নবী (সঃ) পালক নিয়েছিলেন, তারপরে সেটা নিষেধ হয়ে গেল। তাই এটি কোনভাবেই জায়েজ নয়।"
একই লোককে আপনি বলুন, "এতিমের দেখভাল করা ইসলামে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ইবাদাত ঘোষণা করা হয়েছে। এই ব্যাপারে কী বলবেন?"
তিনি বলবেন, "সেটা এতিম খানায় করতে পারেন। সদকা দিবেন। কুলখানি, কাঙালিভোজ খাওয়াবেন। ইত্যাদি, ইত্যাদি।"
তাহলে একটু ডিটেইলে যাই, কী বলেন?
আরবদের নামগুলো খেয়াল করেছেন কখনও? বাপের নাম, বাচ্চার নাম, দাদার নাম, উপগোত্রের নাম, গোত্রের নাম সব যুক্ত থাকে। আমাদের নবীর সম্পূর্ণ নাম বলতে গেলে এমন হবে, আবুল কাসিম মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব আল হাশেমী আল কুরাইশী। এক নামের মধ্যেই সবার পরিচয় থাকে। আলাদা আলাদা করে বাপ দাদার নাম বলার প্রয়োজন নেই।
জাইদ (রাঃ) ছিলেন নবীর (সঃ) দাস। মা খাদিজা (রাঃ) বিয়ের সময়ে নবীর (সঃ) ছোটখাটো কাজে সাহায্যের জন্য তাঁর স্বামীকে বালক জায়েদকে বাজার থেকে কিনে আনেন।
কিছুদিন পরে জাইদের বাবা ও ভাই ইয়েমেন থেকে পুত্রের খোঁজে মক্কায় আগমন করেন। তাঁরা মুহাম্মদকে (সঃ) (তখনও নবী হননি) নিজেদের সমস্ত সম্পত্তির বিনিময়ে হলেও পুত্রের মুক্তি কিনে নিতে চান। মক্কার আলামিন তখন বলেন, "জাইদকে জিজ্ঞেস করো। যদি সে তোমাদের সাথে যেতে রাজি হয়, তবে স্বানন্দে যেতে পারে। কোন টাকা পয়সা লাগবে না।"
আব্দুল মুত্তালিবের মতন কিংবদন্তির দৌহিত্রের মুখে এমন কথা শুনে জায়েদের বাবা ও ভাই মুগ্ধ হয়ে গেলেন। খুশিতে আত্মহারা! কিন্তু জাইদ তাঁদের হতাশ ও তারচেয়ে বেশি অবাক করে দিয়ে বললেন, "না, আমি আপনার সাথেই থাকতে চাই।"
বাবা ও ভাই নানানভাবে বুঝানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু জাইদ কিছুতেই মানতে রাজি নন। এই ঘটনা থেকে আমরা বুঝতে পারি মানুষের প্রতি, সে হোক আশরাফ, হোক ক্রীতদাস, ,মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহর (সঃ) আচরণ কেমন ছিল। জাইদ নিজের পরিবার থেকে বিচ্যুত হয়েও এখানে এই ভিনদেশে একটি নতুন পরিবার খুঁজে পেয়েছে। নিজের হারানো পিতার স্নেহ বঞ্চিত হয়েও নবীর (সঃ) মাঝে পিতার স্নেহ ও ভালবাসা পেয়েছে। সে কিছুতেই এই পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চায় না।
অবশেষে নবী (সঃ) জাইদের এই ভালবাসার প্রতি সম্মান দিয়ে, তাঁর বাবা ও ভাইকে আশ্বস্ত করতে কাবা ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দেন, জাইদ কারোর দাস নয়! আজ থেকে ও আমার পালিত পুত্র হলো! ওর নাম জাইদ ইবনে মুহাম্মদ।
আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) বলেছিলেন, "রাসূলুল্লাহর (সঃ) আচরণ দেখে আমার বিশ্বাসই হতো না জাইদ অন্য কারোর সন্তান।"
খুব সুন্দর ঘটনা না? তাহলে সমস্যা কোথায়?
ইসলামের সমস্যা এখানেই। পুত্র পালনে না, কারোর বায়োলজিক্যাল পিতার নামের স্থানে আপনি নিজের নাম যুক্ত করতে পারবেন না। জাইদ ছিল জাইদ ইবনে হারিসা, সে কোন অবস্থাতেই জাইদ ইবনে মুহাম্মদ হতে পারবে না। জন্মদাতা পিতার হক আপনি ছিনতাই করতে পারবেন না। আপনি যেই হন না কেন। পুত্রের পিতাও যেই হোক না কেন।
ধরুন আপনি একটি নবজাতককে দত্তক নিয়েছেন। আপনি তাঁকে নিজের সন্তানের মতোই বড় করতে চান। আপনার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী করতে চান। সবই ঠিক আছে। কিন্তু কোন অবস্থাতেই তাঁকে আপনি মিথ্যা ধারণা দিতে পারবেন না যে আপনিই তাঁর আসল পিতা। ইসলাম এই মিথ্যার উপর তৈরী সম্পর্ক এলাউ করেনা। এই ব্যাপারটি শুনতে আপনার কাছে নিষ্ঠুর মনে হতে পারে, কিন্তু পশ্চিমা দেশে, যেখানে শিশু দত্তক নেয়া খুবই সাধারণ ঘটনা, তাঁরা শিশুদের সত্য জানিয়েই বড় করেন। আমাদের দেশে, যেখানে শিশু দত্তক নেয়ই না বলা চলে, তারা আলগা সেন্টিমেন্টের দোহাই দেই। অদ্ভুত না?
ইসলামিক মতে কেন শিশুকে তাঁর আসল পিতার নাম বলতে হয়? এই নিয়ে আমি ডিটেইলে যেতে চাই না। যেহেতু কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, তাই এই নিয়ে কোন তর্ক বিতর্কের অবকাশ নেই।
তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে নানান কারণেই এর দরকার আছে।
ধরুন, একটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। খুনির ডিএনএ পাওয়া গেছে। খুনি শনাক্ত হচ্ছেনা। অনেক সময়ে পরিবারের নিকটাত্মীয়দের ডিএনএ এনালাইসিস থেকে শনাক্ত করা সম্ভব। কিন্তু যদি "পালক" পুত্রের পরিচয় পুলিশ না জানে, তাহলে এখানে ন্যায় বিচার পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
খুবই অদ্ভুতুড়ে উদাহরণ হলেও, ঘটনা সত্য। আরও অনেক কারন থাকে। কাজেই, ইসলামের প্রধান নিয়ম, "সত্যের সাথে থাকা" সেটা মেনে চলাই উত্তম। পশ্চিমাদের কারন কী সেটা নিজেরা গবেষণা করে বের করুন।
একটি ব্যাপার স্পষ্ট করে জেনে নিন। আমাদের নবী (সঃ) তিনবার এতিম হয়েছিলেন। প্রথমবার জন্মের আগেই পিতার মৃত্যুতে। তারপরেরবার তাঁর মায়ের মৃত্যুতে। তার পরেরবার তাঁর দাদার মৃত্যুতে। তাই নবী (সঃ) সবসময়ে এতিমের দেখভালের ক্ষেত্রে উৎসাহ দিয়ে গেছেন। যখন কুরআন নাজেল হতে শুরু হয়, যখন নামাজ রোজা ইত্যাদি কোনটাই ফরজ হয়নি, তখনও আল্লাহ হুকুম দিয়েছেন এতিমের যত্ন নিতে।
"আপনি কি দেখেছেন তাকে, যে বিচারদিবসকে মিথ্যা বলে? সে সেই ব্যক্তি, যে এতীমকে গলা ধাক্কা দেয়।" (সূরা মাউন)
"তারা আল্লাহর প্রেমে অভাবগ্রস্ত, এতীম ও বন্দীকে আহার্য দান করে।" (সূরা আদ-দাহর ৮)
তাছাড়া সূরা আল ফজরের ১৫-২০ আয়াত পড়ে নিন।
গেল আল্লাহর নির্দেশনা।
এখন নবী (সঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি একটি এতিম শিশুর দায়িত্ব নিল, কেয়ামতের দিনে তাঁর সাথে আমার ব্যবধান এই টুকু থাকবে।" বলে তিনি দুই আঙ্গুল জোড়া লাগানো অবস্থায় তুলে ধরেন। (বুখারী ৫৬৫৯)
আরও অসংখ্য হাদিস আছে। মূল কথা হলো, ইসলাম ধর্মে এতিমের সাহায্য করাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ইবাদতের মর্যাদা দেয়া হয়েছে।
আপনি অতি সহজে বেহেস্তে যেতে চান? এতিমের দায়িত্ব নিন। আমাদের দেশে একটি এতিম খানায় শয়ে শয়ে শিশু শুধুমাত্র মুড়ি খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। ভিডিওটা দেখার পর নিজেকে ধরে রাখা কঠিন। এই ঘটনা কেন ৯০% মুসলিমদের দেশে ঘটবে যেখানে লোকে টাখনুর নিচে কাপড় গেলে বা কোন নারী পর্দা ছাড়া বেরুলে হৈহৈ করে তেড়ে আসে?
দেশের একটি বিরাট অংশের মানুষের ধারণা কেউ মারা গেলে এতিম খানায় শিশুদের একবেলা খাইয়ে দিলেই বুঝিবা দায়িত্ব পালন হয়ে যায়। কিন্তু ওটা কেবল ওয়ানটাইম ব্যাপার। আপনি যদি একটি শিশুর পড়াশোনার দায়িত্ব নেন, সেটা তাঁর জীবন পাল্টে দেয়। ওটার ইম্প্যাক্ট বেশি। ইসলাম সেটার কথাই আমাদের বলেছে।
শিশু দত্তক নেয়ার আগে একটি ব্যাপার মাথায় রাখবেন। সেটি হচ্ছে, আপনি কী সেই শিশুটিকে নিজের সন্তানের মতন আপন ভেবে ভালবাসতে পারবেন? যদি আপনার আপন ছেলের সাথে আপনার পালক ছেলের ঝগড়া হয়, এবং দেখা গেল দোষটা আপনার আপন ছেলের, তাহলে কী আপনি আপনার আপন ছেলের বিরুদ্ধে গিয়ে পালক পুত্রের পক্ষে দাঁড়াতে পারবেন? নিজের দুই সন্তানের মধ্যে যেমন বাবা মা পক্ষপাত করেন না, তেমনি আপনার আপন এবং পালক সন্তানের মধ্যে কী আপনি পক্ষপাত না করে থাকতে পারবেন?
আপনাকে আপনার চেয়ে ভাল কেউ চিনে না, তাই আপনিই এই প্রশ্নের উত্তর ভাল দিতে পারবেন। যদি আপনি বুঝেন আপনি আপন পরের মধ্যে আপনের পক্ষেই থাকবেন (বলছি না এটি দোষ, এটিই স্বাভাবিক মানব চরিত্র) তাহলে কোন অবস্থাতেই পালক নিতে যাবেন না। সেক্ষেত্রে সামর্থ্যানুযায়ী এতিম খানায় কোন একটি দুটি দশটি বা আস্ত প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নিতে পারেন। কেন এমন বলছি সেটা বলি। কয়েক বছর আগে আমাদের পাশের শহরে একটি শিশুকে খুন করে এক ইন্ডিয়ান দম্পতি। শিশুটিকে ইন্ডিয়া থেকে দত্তক নিয়ে আসা হয়। পরে তারা জানতে পারে মেয়েটি অটিস্টিক। অটিস্টিক শিশুকে বড় করতে যে ধৈর্য্যের প্রয়োজন, দত্তক নেয়া দম্পতির সেই ধৈর্য্য ছিল না। নিজের সন্তান না হলে এমনটাই হওয়া স্বাভাবিক। সেই ছোট্ট শিশুকে বাড়িতে একা ফেলে দম্পতি নিজের আপন সন্তানকে নিয়ে বাইরে বেড়াতে চলে যেত। মারধরও করতো। এক রাতে ওরা বাচ্চাটিকে খুন করে আস্তাকুড়ে ফেলে দিয়ে পুলিশকে জানালো আগের রাতে মেয়েটিকে শাসন করতে সে বাড়ির বাইরে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল, আধঘন্টা পরে এসে দেখে মেয়েটি নেই। এখানকার পুলিশতো আর কলা খাওয়া বানর না, ঠিকই ধরে ফেললো ঘটনা। তারপরে কয়েক দিনের মধ্যেই ব্যাটাকে জেলের ভাত খাইয়ে ছাড়লো।
আমরা খুবই মর্মাহত হয়েছিলাম সেই ঘটনায়। আমাদের আদি অ্যাডমিন, আমি নিজে, এই ক্যানভাসেই পোস্ট করেছিলাম। কারোর কারোর হয়তো সেই ঘটনা মনে আছে।
কথা হচ্ছে, এমন আচরণ করতে হলে, সম্ভাবনা থাকলে, আপনার মহানুভব সাজার প্রয়োজন নেই। এতিম শিশুদের যদি সাহায্য করতে নাও পারেন, তবে হাসিমুখে তাঁদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিন। তাঁদের অনুভব করতে দিন তাঁরা ভাগ্যাহত হলেও পৃথিবীতে অনাহুত নয়। তাঁদেরও মানুষ ভালবাসে। অনাত্মীয়ও হাসিমুখে কথা বলে।
আর "ইসলামে এডোপশন হারাম" বলে ফালতু কথা বলা বন্ধ করুন। কুরআনের আয়াত নাজেল হবার পরে জাইদকে (রাঃ) নবী (সঃ) বাড়ি থেকে বের করে দেননি। শুধু নামটা পাল্টেছেন। ইসলামে যে ধরনের এডপশন হারাম, সেটা আর বর্তমান এডপশন পদ্ধতি এক না। এখানেও সন্তানের তথ্য দিয়ে ফর্ম ফিলাপের সময়ে লেখা থাকে সন্তান কী ফস্টার, নাকি বায়োলজিক্যাল।
২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৫৪
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ভালো লিখেছেন | আমরা নিজেদের প্রয়োজনে ধর্মের অনেক কিছু সত্যমিথ্যা মিশিয়ে নিজের মতো কাস্টমাইজ করে ফেলি | ফলে ধর্মের মহান বাণী ও নির্দেশগুলোর প্রতিফলন সমাজে খুব একটা দেখা যায় না |
৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৪৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো মঞ্জুরভাই আপনার বাস্তবমুখী পোস্টটি।না জেনে শুধুমাত্র এর তার মুখে শুনে আমরা প্রায়ই ইসলাম সম্পর্কে এমন হাজারো মিথ্যে প্রচার করে থাকি। নিজের অজ্ঞতায় ধর্মকে নিচে নামিয়ে ফেলি। আমাদের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পাক। মিথ্যা প্রোপাগান্ডা থেকে আমরা যেন নিবৃত হই।
বিষয়টির সুন্দর উপস্থাপনার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:২৩
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: বাচ্চা দত্তক নেওয়াটাকে আমার পৃথিবীর সবচেয়ে মানবিক কাজগুলোর একটি মনে হয়।
৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৫৭
ঢাকার লোক বলেছেন: এডপ্ট করা হারাম বলা ঠিক নিশ্চয়ই না, তবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুইটি শর্ত ইসলাম আরোপ করেছে, তার একটি আপনার লেখায় আপনি তুলে ধরেছেন যা কিনা কাউকে তার আসল পিতার পরিচয়ে বড় করতে হবে, পালক বাবার সন্তান হিসাবে আসল বাবার পরিচয় না জানিয়ে বড় করা যাবে না । দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা অনুল্লেখিত রয়ে গেছে তা হচ্ছে এ শিশু বড় হলে অর্থাৎ প্রাপ্ত বয়স্ক হলে তার সাথে পরিবারের অন্যরা যথাযথ পর্দা মেনে চলতে হবে । অর্থাৎ পালক ছেলে বড় হলে মাকে অন্য গায়ের মাহরাম পুরুষের সামনে যেরকম পর্দা করা দরকার তার সামনে তেমনই পর্দা করতে হবে, পক্ষান্তরে মেয়ে হলে তাকেও পালক বাবার সামনে পরপুরুষের সামনে পর্দার মতোই পর্দা করতে হবে । তেমনি পরিবারে তাদের নিজস্ব সন্তান থাকলে তাদেরকে ও এই পালিত ভাই বা বোনের সামনে যথাযথ পর্দা মেনে চলতে হবে । মনে রাখতে হবে বায়োলজিকাল সন্তান না হলে তারাও গায়ের মাহরাম ! অবশ্য মহিলার ভাই বা বোনের ছেলে পালক আনলে বা স্বামীর ভাই বা বোনের মেয়ে পালক আনলে স্ত্রী বা স্বামীর পর্দার বিষয়টি এড়ানো সম্ভব যেহেতু এ দুই ক্ষেত্রে তারা মাহরাম। তবে তাদের সন্তানদের জন্য পর্দার জরুরত থেকেই যাবে কারণ তারা ওই ছেলে বা মেয়ের কাজিন। দুই বছরের কম বয়স্ক শিশু এনে যদি মহিলা বুকের দুধ খাওয়ান সে ক্ষেত্রে সেই শিশু বড় হলে পরিবারে সবার জন্য মাহরাম হবে এবং এভাবে পর্দার প্রয়োজন এড়ানো সম্ভব । এ বিষয়গুলো আমাদের সমাজে খুব একটা সহজ সাধ্য নয় , তাই অনেকে এডপ্ট করাকে নিরুৎসাহিত করে থাকেন । কেউ কেউ হতো বলবেন শরীয়ত নির্ধারিত পর্দা আমাদের সমাজে মানে কয়জন ? আমি বলবো পর্দার বিষয়টা যারা মানেননা, তাদের জন্য এডপ্ট করা হারাম না জায়েজ জেনে ফায়দা কতটুকু ?
ধন্যবাদ!
৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:০১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপনার পোস্টগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ
জাজাকাল্লাহ খাইরান।#ঢাকার লোক
আপিনর মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: ভাল লিখেছেন। ইসলাম ধর্মে এই সম্পর্কে কি বলা হয়েছে তা আসলে ভাল করে জানা নেই। তবে এডাপ্টেশন এর ভাল দিকের পাশাপাশি খারাপ দিকও আছে। অনেক উন্নত দেশে এ কারনে এডাপ্টেশনকে অনুৎসাহিত করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে অরফ্যানেজ এর একটা বাচ্চা ঢের বেশি নিরাপদ, পালক বাবা মায়ের বাড়ীর চাইতে। উন্নত দেশে অরফ্যানেজ গুলো অনেক উন্নত। সেখান থেকে বাচ্চারা বড় হয়ে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে অনায়াসে।
৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৪
ডার্ক ম্যান বলেছেন: ইসলামে দত্তক হারাম নয়। দত্তক সন্তানেরা সম্পত্তির কোন ভাগ পাবে না।
৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: হারাম হালাল ব্যপারটা বড্ড গোলমেলে।
আগে মানূষকে মানুষ ভাবতে শিখতে হবে। তারপর তার ধর্ম। সব ধর্মের বড় হলো মানব ধর্ম।
১০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৩
ইসিয়াক বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো ।
অনেক কিছু জানলাম ।
১১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৮
ঢাকার লোক বলেছেন: জাজাকাল্লাহু খাইরান, কাজী ফাতেমা ছবি !
ডার্ক ম্যান, আপনি ঠিকই বলেছেন, পালক সন্তান ওয়ারিস হবে না , তবে অসিয়ত করে তাকে সম্পদের ভাগ দেয়া যেতে পারে এবং অসিয়তকৃত সম্পদের পরিমান সমস্ত সম্পদের এক তৃতীয়াংশের অধিক হতে পারবে না । ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি বিষয় উল্লেখ করার জন্য !
১২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার লেখাটা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। খুব যৌক্তিক মনে হলো আপনার কথাগুলি। আমরা না জেনেই অনেকসময়ই ইসলামের কিছু নিয়ম নিয়ে আন্দাজে ভুল ব্যাখ্যা দেই যেটা ঠিক নয়। এতীমদের সাহায্য করা মানবীয় আবেগের ব্যাপার, ধর্মীয় আদেশের কথাতো বাদই দিলাম।
আপনার লেখার সাথে @ ঢাকার লোক ভাইয়ের মন্তব্য যেন দারুন ভাবে সংযুক্ত। এত দারুন মন্তব্য করার জন্য উনাকে আমি অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ জানাই। আমি যেটা লিখতে চেয়েছিলাম উনি সেটাই লিখে দিয়েছেন।
সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য মঞ্জুর ভাইকেও শুভ কামনা রইল।
১৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫৯
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: বিদেশে, বিশেষ করে অ্যামেরিকায় একটি খুবই মহৎ কালচার হচ্ছে শিশু দত্তক নেয়া। কেবল নিঃসন্তান দম্পতিই নয়, যাদের সন্তান আছে, তাঁরাও এই কাজটি করে থাকেন। এমন কাউকে কাউকে চিনি যারা ইচ্ছা করেই বিকলাঙ্গ, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী, ডাউন সিনড্রোম, অটিস্টিক শিশু দত্তক নেয়। এরা মানুষ না, মুখোশের আড়ালে এরাই ফেরেশতা।
.................................................................................................................................................................................
বিষয়টা আমরা অন্যভাবে দেখতে পারি ।
দত্তক একটি সামাজিক প্রক্রিয়া ,
এতে মানসিক প্রয়োজনিয়তার পাশাপাশি সামাজিক অবস্হান ও অর্থনৈতিক মূল্যবোধের
বিষয়টি জড়িত ।
দত্তক নেয়ার যোগ্যতা এবং সামাজিক অবস্হান বিচার করে তা অনুমোদন করা আবশ্যক।
তাহলে আর মুসলিম সমাজে বিতর্ক থাকে না,
...................................................................................................................................................
আমাদের মুসলিম সমাজের আইনটি অত্যন্ত সুক্ষ এর্ং সূদুরপ্রসারী, সমাজে যেন বিশৃঙ্খলা না
দেখা দেয়, সে দিকে দৃষ্টি রাখা হয়েছে ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৩৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
অনেকে কুকুর পালাকেও হারাম বলছেন।
যদিও কোরান হাদিসে কুকুর হারাম বলে কিছু খুজে পাইনি।
অতচ কুকুর বাদে আমেরিকার নিরাপত্তা, উদ্ধার বাহিনী এয়ারপোর্টের নিরাপত্তা অচল। বাংলাদেশও অনেকটা কুকুর নির্ভরশীল হচ্ছে।