নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
ছোটবেলা থেকে প্রাইভেট স্কুলে পড়েছি। "বুলি" সেভাবে হইনি কখনই। তবে সব স্কুলে সব ক্লাসেই গুন্ডা টাইপ কিছু ছেলে ছিল, এবং সাথে ছিল সাতে পাঁচে না থাকা গোবেচারা কিসিমের ভাল ছেলেও। বুলিড হতে দেখেছি। সবই নির্দোষ ধরনের। গুন্ডা টাইপ ছেলেরা দুর্বলদের ধমক ধামক দিয়ে মজা নিত। দুর্বলরা খুব বেশি হলে কেঁদে দিত। টিচারদের বিচার দিতে পারতো না। ভয় পেত। তবে একটি ছেলের ফাটাফাটি থেরাপির কথা বলি। ছেলেটি পরিচিত। এবং আমার কাছে মজা লেগেছে গল্পটি শুনে।
তো ছেলেটা ছিল দুর্বল। এবং যে বুলি করছিল, সে টিচারের ছেলে। সেই সাথে চেহারা সুন্দর ও ভাল ছাত্র। এই ধরনের ছেলেরা মেয়ে মহলে জনপ্রিয় হয়। তাই ছেলেটার সাথে মেয়েরাও দুর্বল ছেলেটিকে বুলি করতো। ছেলেটা মন খারাপ করতো কিন্তু কিছু বলতো না।
তো, বুলি ছেলেটা একদিন স্কুলে একটি পেন্সিল বক্স নিয়ে এসে ভাব নিল খুব। "লন্ডন" থেকে সে কিনেছে। গল্ফ সেট। স্কেল হচ্ছে গল্ফের গর্ত, পেন্সিলের পিছনে লাগানোর জন্য মিনি গল্প ক্লাব। রবারের ছোট ছোট বল। খুবই ফ্যান্সি জিনিস। বলতেই হয়। ছেলেটি শো অফ করছিল, মেয়েরাতো মুগ্ধ ছিলই, পুরো ক্লাসের সবাই বাহবাহ করছিল।
টিফিন টাইমে যথারীতি ওরা সবাই মিলে দুর্বল ছেলেটাকে বুলি করতে লাগলো। স্কুলটা ছিল। সবাই সবাইকে চিনতাম। বড় ভাইদের সাথে এইবার যুক্ত হলো নিচু ক্লাসের বদমাইশ কিসিমের ছেলেপিলেও। দুর্বল ছেলেটা এতটাই ফ্রাস্ট্রেটেড হয়ে গেল যে সে বেচারা বাইরের খেলা বাদ দিয়ে ক্লাস রুমে গিয়ে মাথা নিচু করে রইলো।
ঠিক এই সময়ে তাঁর চোখ পড়লো বুলি ছেলেটার ব্যাগের দিকে।
টিফিনের ঘন্টা শেষে বুলি ভাই দলবল নিয়ে ফেরত এসে দেখে তাঁর ব্যাগে তাঁর পেন্সিল বক্স নেই। নেই তো নেইই। বুঝতে অসুবিধা হলো না। সাথে সাথে দুর্বল ছেলেটার দিকে ফিরে বলল, "তুমি কী আমার পেন্সিল বক্স দেখেছো?"
ছেলেটা নির্বিকারভাবে বললো, "না।"
সে থমথমে স্বরে বললো, "আমি খুঁজে পাচ্ছি না।"
"আমি কী জানি? ভাল করে খুঁজো।" সে এখনও নির্বিকার। চেহারার একটা পেশিও নড়তে দিচ্ছে না।
বুলি চোখ পাকিয়ে বলল, "আমি কিন্তু সবার ব্যাগ চেক করবো।"
ছেলেটা বললো, "ভাল আইডিয়া। করো।"
শুরুটা তাঁর ব্যাগ দিয়েই হলো। তন্ন তন্ন করে খোঁজা হলো। ব্যাগ থেকে সব বইখাতা, পেন্সিল, টিফিন বক্স ইত্যাদি বের করে ব্যাগ উল্টে পাল্টে সব ভাবেই খোঁজা হলো। কিছুতেই পাওয়া গেল না। বাকিদের ব্যাগগুলোও রুটিনভাবে চেক করা হলো, এবং সেখানেও নেই।
পুরো স্কুল পিরিয়ড ছেলেটা ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা থমথমে হয়ে ছিল। জানে পেন্সিল বক্স কে সরিয়েছে, কিন্তু প্রমানের অভাবে কিছুই করতে পারছে না।
ছুটির ঘন্টা পড়লো। দুর্বল ছেলেটা নির্বিকারভাবে বেরিয়ে গেল। তাঁর বাবা মায়ের সাথে বাড়ি চলে গেল। ওদের বিশ্বাস ছিল আপাতত কোথাও লুকিয়েছে। ছুটির সময়ে নিশ্চই সেখান থেকে তুলবে। লুকিয়ে পিছু নিলেই ধরা খেয়ে যাবে। কিন্তু দেখলো কিছুই লাভ হলো না।
পরেরদিনও না। কড়া নজরদারিতে ছিল। কিন্তু ছেলেটা এমন কোথাও যায়নি বা কিছু করেনি যে কেউ সন্দেহ করবে পেন্সিল বক্স কোথায় থাকতে পারে।
এর পরের দিনও না।
আসল ঘটনা হচ্ছে, ছেলেটা প্রথমে ভেবেছিল পেন্সিল বক্সটা নিয়ে অন্য কোন বদমাইশের ব্যাগে ঢুকিয়ে দেয়া যাক। নিজেরা নিজেরা মারামারি করে মরবে।
তারপরেই তাঁর খেয়াল হলো, এতে তাঁর লাভটা কোথায়? আর যদি নিজেরা নিজেরা ভুল বুঝাবুঝি মিটিয়ে ফেলে? তাই সে পেন্সিল বক্সটা নিজের জন্যই নেয়ার পরিকল্পনা করলো। অবশ্যই সে জানে যে প্রথমেই তাঁর ব্যাগ চেক করা হবে। তাই নিজের ব্যাগে রাখার প্রশ্নই উঠে না। সে সেটি এমন জায়গায় লুকালো যেখানে সাধারণত অন্য ছেলেরা বা স্কুলের বুয়া কেউই ঘাটাঘাটি করবে না। এবং সে জানতো, তাঁকে ফলো করবে ওরা। তাই ওটা ওখানে তিন চারদিন বা এক সপ্তাহ পরে থাকতে পারবে। স্কুলের বাথরুমের ফ্লাশ, যা অনেক উঁচুতে ছিল, সেটার উপর সে পেন্সিল বক্স এমনভাবে রাখলো যে নিচের কোন এঙ্গেল থেকেই সেটা বুঝা যায় না। প্রতিদিন বাথরুমে গেলে সে দরজা বন্ধ করে চেক করে নিত জিনিস ঠিকঠাক মতন আছে কিনা। এর সপ্তাহ খানেক পরে যখন সবার নজর তাঁর উপর থেকে সরে গেছে, সে সেটা স্কুল ব্যাগে চালান করে বাড়িতে নিয়ে এলো। সেদিন বিকেলে জীবনে প্রথমবারের মতন বাড়ির বারান্দায় সে গল্ফ প্র্যাকটিস করেছিল। এবং বাকি জীবনে ঐ ছেলেটা বা তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের কেউ তাঁকে ঘাটায়নি।
কলেজে উঠে গেলাম সরকারি কলেজে। সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজ। সেখানে ক্লাস তেমন করতাম না। ক্যাম্পাসেও তেমন যাওয়া হতো না। পড়াশোনা যা করার কোচিংয়ে করতাম। র্যাগিং, বুলি ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা পাইনি। পোলাপান ক্যাম্পাসে পেলেই না র্যাগিং করবে। তাছাড়া ক্যাম্পাস ছিল ছাত্র শিবিরের ঘাঁটি। যতদূর মনে হয়, ওরা র্যাগিং ফ্যাগিং করতো না। কিছু করতে হলে একেবারে কুপিয়ে শেষ করে দিত। আমাদের সময়ে মদন মোহন কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের এক ছেলেকে ছাপ্পান্নটা কোপ দিয়ে খুন করা হয়েছিল। কুপিয়েছিল অবশ্যই শিবিরের লোকজন। আমাদের কলেজ সহ সিলেটের যাবতীয় কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ছাত্রদল তখন নিজেদের শক্তি দেখাতে হামলা করে আল হামরা শপিং কমপ্লেক্সে। বসুন্ধরা সিটির আগে যা ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শপিং সেন্টার। সিলেট কয়েকদিনের জন্য থমথমে হয়ে গিয়েছিল।
খুনের বিচার হয়েছিল কিনা মনে নেই। মনে হয়না হয়েছে। বাংলাদেশে এইসব খুনের বিচার হয়না। খুনিরা নিশ্চই এখন বড় বড় চাকরি করছে। হয়তো ইসলামী লেবাস ধারণ করে দ্বীনের খেদমত করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে আবার প্রাইভেটে ফেরত। রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস। তবে কিছু "বড় ভাই" নাকি আমাদেরই ব্যাচের কোন কোন ছেলেকে র্যাগিংয়ের শিকার বানিয়েছিল। আমাকে কেউ করেনাই। কেন, তার উত্তর তখন পর্যন্ত জানতাম না।
আরেকটা ব্যপারও লক্ষ্য করেছিলাম। তা হচ্ছে, ঢাকা শহরে রাত বিরাতে বা অতি ভোরে কতবার যে আমি একা হেঁটে বেড়িয়েছি। গুলশান, উত্তরা, বাড্ডা, সিদ্ধেশ্বরী, মালিবাগ, কাকরাইল এমনকি ছিনতাইয়ের অভয়ারণ্য, মোহাম্মদপুর এলাকাতেও....। কখনই কোন হাইজ্যাকারের শিকার হইনি। আমার নিজের বোনই কতবার ছিনতাকারী দ্বারা আক্রান্ত হলো। তাঁর জীবনের প্রথম মোবাইল থেকেই শুরু করে গলার নেকলেস, ক্যাশ টাকা - সব গেছে বহু ছিনতাইকারীর পেটে। পরিচিত বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় - খুব কম লোকজন ছিল যারা কখনই ছিনতাইকারীর কবলে পড়েনি।
এক বন্ধু ছিনতাইকারীর জন্য একটা কমদামি মোবাইল ফোন সাথে রাখতো। যদি কখনও হাইজ্যাকার তাঁকে ধরে, সে তাহলে সেটা ধরিয়ে দিবে। আল্লাহ তাঁর মনের ইচ্ছা পূরণ করেছিলেন। একদিন তাঁর রিকশার পথ রোধ করে দাঁড়ালো কয়েকটি যুবক।
কিন্তু তাঁর ফোন দেখে তারা এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছিল যে একজন রীতিমতন চড় দিয়ে বসলো তাঁর গালে। এত সস্তা আর ফালতু ফোন কেউ ইউজ করে?
আমার বৌকে একবার "গু ছিনতাকারী" ধরেছিল। ট্রাফিক সিগনালে সিএনজিতে বসে আছে। দরজায় এক যুবক এসে দাঁড়ালো। হাতে গু। সেটা মুখের দিকে এগিয়ে বলল, "ট্যাকা দ্যান, নইলে মুখে মাইখা দিমু!"
আমার বৌ যদি তখন বিল গেটসের সম্পদের মালিকও হতো, সে সেটাও পারলে লিখে দিত।
মলম পার্টির কবলে পরে অল্পের জন্য চোখ হারাতে বসেছিল পরিচিত একজন।
আলহামদুলিল্লাহ! আমার কখনও হয়নি।
অনেক পরে বুঝতে পেরেছিলাম কারন। সেটা বলার আগে আমার এক বন্ধুর কথা বলি।
ক্লাসে খুবই জনপ্রিয় ছিল সে। খুবই ভাল মানুষ, পরোপকারী, পড়ালেখায় ফাঁকিবাজ, দারুন আড্ডাবাজ এক ছেলে সে। সাথে বাপের আছে বিরাট সম্পদ ও ক্ষমতা। এমন ছেলেরা অবশ্যই জনপ্রিয় হয়। মদ গাঁজা কোন কিছুকেই সে কখনও "না" বলতে না পারলেও হেরোইনকে কখনও "হ্যা" বলেনি। তা এই ছেলে আমাকে অনেক দিন পর বলেছিল, "তোর চেহারায় একটা পারফেক্ট গানজুইট্টা ভাব আছে।"
তখন বেশ শুকনা রোগা ছিলাম। ডাম্বেল দিয়ে ব্যায়াম করতাম বলে চোয়াল শক্ত কিন্তু গাল ভাঙা ছিল। এইটা সে বুঝতে পারেনাই।
"আমি ভাবছি তুই মাল খাওয়া পাবলিক। মাল খেয়ে এই চেহারা এই শরীর বানাইছোস। তাই নিজ আগ্রহেই তোর সাথে ফ্রেন্ডশিপ করলাম। এখন দেখি ভুল, সবই ভুল!"
তখন বুঝতে পারলাম কেন ছিনতাইকারীরা আমাকে কখনও ধরেনি। ওরা হয়তো ভাবতো আমি ওদের চেয়েও বড় রংবাজ। ওরা ছুরি বাগালে আমি পিস্তল বের করবো। ওরা আমাকে লুটতে এলে, আমি উল্টা তাদের লুটে নিব। হাইজেকারের প্রফেশনাল চোখও আমার চেহারা ও বেশভূষায় ধোঁকা খেয়েছিল। বুঝলাম না একে কমপ্লিমেন্ট হিসেবে নিব, নাকি কমপ্লেন করবো।
প্রফেশনাল চোখ নিয়ে কথা উঠায় আরেক বন্ধুর কথা বলতেই হয়। খুবই কাছের বন্ধু, খুবই ভাল মানুষ, এবং দুর্দান্ত স্টাইলিশ। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে স্টাইল আইকন বলা যায় তাঁকে। আফসোস! একটা গার্লফ্রেন্ড পেল না সে। একে ভালবাসতে গিয়ে ওর প্রেমে পড়ে ফোকাস হারিয়ে সব মেয়ের বাচ্চার মামা হয়ে আছে এখনও বেচারা। একজনের প্রতি দৃষ্টি স্থির থাকলে বহু আগেই তাঁর নিজের বিপিএল ক্রিকেট টিম থাকতো।
তো সেই বন্ধুর সাথে একবার নিউমার্কেট নীলক্ষেত এলাকায় গেছি সস্তায় পাঠ্যবই কিনতে। তখন সেই এলাকায় প্রচুর নিষিদ্ধ সিডি বিক্রি হতো।
বাস থেকে নেমেই বন্ধু বললো, "দোস্ত! কোন এক অজানা কারনে আমি এই এলাকা দিয়ে গেলেই লোকে আমাকে টানাটানি করে। ওরা ভাবে আমি তাদের কাস্টমার। আমার চেহারা দেইখা কী মনে হয় আমি সারাদিন ঐসব মুভি দেখি?"
আমি বললাম, "আরে না। সেটা কেন হবে? ওরা নিশ্চই অন্যান্যদেরও একইভাবে বিক্রির চেষ্টা করে।"
সে বললো, "না। না দেখলে তুই বুঝবি না। এই যে তুই আমার সাথে আছিস, দেখবি, তোকে ডাকবে না। আমাকে টানাটানি শুরু করবে। সবসময়ে এইটা হয়।"
এবং দেখলাম ঘটনা আসলেই সত্য।
এমনিতে আশেপাশে দিয়ে শয়ে শয়ে লোক হেঁটে যাচ্ছে, তারা সেভাবে এগিয়ে এলো না, কিন্তু আমার বন্ধু সেখানে উপস্থিত হতেই ওরা চুনিলালের মতন দেবদাসের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো। "আরে মামা আসেন, 'বাংলা' আছে আমার কাছে।"
"মামা আমার কাছে আসেন, নতুন মাল আসছে।"
"মামা, আমার কাছে!"
"মামা! এইদিকে!"
"মামা!"
যেন এক ঝাঁক ক্ষুধার্ত মাছিকে হঠাৎ করেই প্রিমিয়াম সুইটসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি অবাক হয়ে তামাশা দেখছি। আমি তাঁর পাশে দাঁড়ানো। আমাকে কেউ পাত্তাই দিল না।
বন্ধু তখন স্বভাবসুলভ গম্ভীর গলায় বললো, "মামারা, এখন কী আর এসব দেখার বয়স? এখনতো করার সময়।"
ওরা বাহবাহ দিয়ে উঠলো।
আমরা চোরাবালি থেকে উদ্ধার হলাম দুজন।
আহারে প্রফেশনাল দৃষ্টি। :/
২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম আপনার বাড়ি সিলেট।
আমি ভেবেছিলাম রাজশাহী।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৪২
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: না ভাই, আমি সিলেটি।
৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৩:৫৬
অভি চৌধুরী বলেছেন: আপনার ঘটনা গুলো শুনে একটু স্মৃতিতে ফিরে গেলাম, মনে পড়লো মোবাইলে দেখতে দেখতে যাচ্ছিলাম নীলক্ষেত মোড় হয়ে কাঁটাবনের দিকে রিক্সা নিয়ে, ঠিক থানা পার হতেই আমাকে আটকালো, একবার তাদের দিকে তাকাই আরেকবার থানার গেটে। খুব আফসোসের হাসি পাচ্ছিলো এটা ভেবে যে ওরা কতটা আমাদের প্রশাসনের পালিত পুত্র যে এমন জায়গায় আমার পথ আটকালো,হেসেই ওদের বললাম এবং হাতের ইশারায় (কোন একজনের নাম নিয়ে) যে তার বাসা ঐটা আমি সেখানেই যাচ্ছি।ওরা এক গাল হাসি দিয়ে বললো ভালো থাকবেন ভাই।
যেই জন্য আসছিলাম আপনার পোষ্টে- আপনার একটা সহযোগিতা লাগবে- আমি খুব অধর্য্য মানুষ। তাই কোন বিষয় নিয়ে খাটা খাটি ভালো লাগেনা, সোজা বুঝি আর সোজা চলি সামনে যাই পড়ুক। আপনি প্রচুর পড়েন সেটা বুঝা যায়, কোন এক আত্মীয় পীর ভক্ত (পুরুষ)।এতটাই যে যা সীমাহীন। তাকে আমার কিছু বলতে হবে এবং তা হতে হবে হাদিস এবং কোরাণের আলোকে, যা আমার জানা খুব বেশি না, যতটুকু জানি তা দিয়ে তাকে ঘায়েল করতে পারবো বলে মনে হচ্ছেনা, একটা পোষ্ট দিন এই নিয়ে অথবা আমার যে কোন একটা পোষ্টে মন্তব্যে আমাকে সহযোগিতা করুন।
আপনাকে ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন।
৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৪৪
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আমার অনেক পুরানো (চার পাঁচ বছর আগেরতো হবেই) কিছু পোস্ট আছে এইসব পীর ফকির নামের ছদ্মবেশী ডাকাতদের নিয়ে। আপনি আমার প্রোফাইলের পেছনের দিকের পোস্টগুলো পড়ুন। পেয়ে যাবেন ইন শা আল্লাহ।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:২৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এটাই বাস্তবতা।
ভাল একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন।