নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি "আলেম কমিটি" গঠন করার কনফিডেন্স আমাদের নেই।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:৩১

কিছু মানুষের ধারণা আমি ছুপা নাস্তিক, নাহয় মুনাফেক।

কারন আমি বাংলাদেশের "আলেম সমাজের" বিরুদ্ধে অনেক কথা অনেক স্পষ্ট ভাষায় লিখি। কোন ইনবিন করি না।

কথা হচ্ছে, যারা এই অভিযোগ করেন, তারা "আলেম" শব্দের মানে জানেন? কাদের আপনারা "আলেম" বলেন? তাঁদের সমাজটা কোনটা? যেটাকে আমি গালাগালি করছি?

"আলেম" শব্দের অর্থ জ্ঞানী। ইসলামের ভাষায়, যে ব্যক্তি কোরআন হাদিস সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রাখবেন, তিনিই আলেম। সংজ্ঞাটা আবার খেয়াল করুন, "সঠিক" জ্ঞান হতে হবে। বানোয়াট, মিথ্যা, ঠুনকো জ্ঞানের রাজভান্ডার নামিয়ে ফেললেও সেই লোকটিকে "আলেম" ডাকা যায় না। ওদেরকে বরং এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।

প্রমান লাগলে আমাদের জাল হাদিসের ইতিহাস পড়ুন। এইসমস্ত লোকেরাই যা তা বাণীকে নবীর বাণী বলে ছড়িয়েছিল। আজকে চৌদ্দশো বছর ধরেই এই জাল ছিড়ে বের হতে আমাদের কষ্ট করতে হচ্ছে।

বাংলাদেশে আলেম নেই? অবশ্যই আছে। কিন্তু যাদেরকে আমি সমালোচনা করি, তারা আলেম না, বরং আলেমের বেশধারী ভন্ড। ধর্মব্যবসায়ী। ওয়াজে, মাহফিলে বা অন্যান্য স্থানে এরা ইসলামের ভুল পরিচয় ভুল ব্যাখ্যা এবং ভুল শিক্ষা দিয়ে বেড়ায়। আল্লাহ হেদায়েত করুন।

কিছু উদাহরণ দেই। নাম উল্লেখ করবো না, আপনারাই বুঝতে পারবেন কাদের কথা বলছি।

সম্প্রতি করোনা ভাইরাসে দুনিয়া আক্রান্ত। চায়নায় ছড়াতে ছড়াতে এখন ইউরোপ-আমেরিকায়ও এটি পৌঁছে গেছে। প্রথমদিকে প্যানিক ঠ্যাকাতে বুঝ দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল যে এটি আসলে তেমন প্রাণঘাতী ভাইরাস নয়, তবে এখন মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়ানোর পরে এই নিয়ে কেউ টু শব্দটি পর্যন্ত উচ্চারণ করতে পারছে না।

বাংলাদেশের ওয়াজে কী বলা হলো? এটি "আল্লাহর অভিশাপ, গজব!"

লোকজনও "ঠিক ঠিক" বলে উল্লাসিত হলো।

কথা এগুনোর আগে কিছুটা ব্যাকগ্রাউন্ড দেই। অনেকেই জানেন, তবুও এর প্রয়োজন আছে।

চীনে সরকারি পর্যায়ে মুসলিমদের উপর ভয়াবহ অত্যাচার করা হচ্ছে। এইটা কোন গুজব না, বরং ফ্যাক্ট। উইঘুরের মুসলিমদের উপর ওদের অত্যাচার কোন পর্যায়ের সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। বিবিসির রিপোর্টে এও দেখলাম কিভাবে একে একে ওদের মসজিদ বন্ধ করে গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। China's vanishing mosques - BBC News লিখে ইউটিউবে সার্চ দিলেই দেখতে পারবেন। ইসলামের নাম শুনলেই যাদের গাত্রদাহ হয়, তাঁদের জ্ঞাতার্থে, BBC কোন মৌলবাদী সংগঠনের পেইড চ্যানেল না যে এখানে ফেইক নিউজ কভার করা হবে। ওরা দেখিয়েছে মানে আসলেই এটা ঘটছে।

এছাড়া রোহিঙ্গা নিধনে নির্লজ্জ্বের মতন মায়ানমারের পক্ষপাতিত্ব করার ঘটনাতো আছেই। এমনকি বাঙালি হত্যাযজ্ঞে তৎকালীন বদমাইশ চীনা সরকার পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল বলেই আমাদের লাখ খানেক বেশি মানুষকে শহীদ হতে হয়েছিল।

বর্তমানে চীনের কিছু অঞ্চলে মুসলিমদের দাড়ি রাখার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রমজানে জোর করে রোজা ভাঙ্গানো হয়, জোর করে শুকরের মাংস খাওয়ানো হয়। মারধর বা হত্যাতো কোন ব্যাপারই না। এইসব কোন গুজব না, ফ্যাক্ট। হাজারে হাজার নিউজ ক্লিপ, ভিডিও ক্লিপ আছে, প্রত্যক্ষদর্শী, ভুক্তভোগীদের জবানবন্দি আছে। দালিলিক প্রমান।

কিন্তু চীনের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলবে, এই সাহস কোন রাষ্ট্রপ্রধানের নেই। আরব বিশ্বের কথা বাদই দিলাম, খোদ আমেরিকাও চীনকে সমঝে চলে। তাই চীনা সরকার নিজের খেয়াল খুশিমতন নিজের দেশ পরিচালনা করছে।

এই সমস্ত অসহায় মানুষদের সাহায্য একজনই করতে পারেন, এবং তিনি হচ্ছেন স্বয়ং আল্লাহ।

এই পর্যন্ত সব ঠিক আছে।

কিন্তু তাই বলে মহামারী আসতেই আমাদের হুজুররা (কারোর ভাষায় "আলেম") যেভাবে বলে বেড়াতে শুরু করেছেন, "আল্লাহর গজব নাজেল হয়েছে" - এই তথ্য তারা কোথায় পেলেন? আল্লাহ বা তাঁর রাসূল (সঃ) কি আমাদের কোন মানুষকে এই ক্ষমতা দান করেছেন? হাদিস, কুরআন ঘাটুন, কোথাও খুঁজে পাবেন না। আমরা কেবলই সেই ঘটনাকে "আল্লাহর গজব" বলতে পারবো, যেটাকে আল্লাহ নিজে বলেছেন গজব। যেমন নূহ নবীর (আঃ) প্লাবন। যেমন আ'দ ও সামুদ জাতির পতন। যেমন ফেরাউনের মৃত্যু। এইগুলি কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে গজব হিসেবে। বাকিগুলির ক্ষেত্রে আমাদের নিয়ম হচ্ছে চুপ থাকা, আক্রান্তদের জন্য দোয়া করা, যাতে আল্লাহ আমাদেরও তা থেকে হেফাজত করেন। এইটা সাধারণ মুসলিমের বেসিক মানবিক আচরণ। আমাদের (আমেরিকায় ও বিশ্বের নানান প্রান্তে) মসজিদগুলোতে দোয়া করা হচ্ছে যাতে এই ভয়াবহ দুর্যোগের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করা হয়, আল্লাহ যেন মুসলিম-অমুসলিম প্রতিটা মানুষকে রক্ষা করেন। আর বাংলাদেশের ওয়াজে ছড়ানো হচ্ছে এটি "আল্লাহর গজব, ওদের পাপের শাস্তি" হিসেবে!

আরে পাগলা, এতে আমরাও আক্রান্ত হতে পারি! যেকোন সময়ে। তখন?

"প্লেগ" বা মহামারী মানেই "আসমানী গজব" নয়। আমাদের খলিফা উমারের (রাঃ) আমলেই মুসলিম বিশ্বে মহামারী দেখা দিয়েছিল। কিছু সাহাবীর মৃত্যু সেই মহামারীতে ঘটেছিল। উমার সেই অঞ্চলে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাঁকে অন্যান্য সিনিয়র সাহাবী বাঁধা দিয়ে বলেন, "রাসূল (সঃ) নিষেধ করে গেছেন এই ব্যাপারে। কেউ মহামারী আক্রান্ত অঞ্চলে বাস করলে সে যেন শহর ছেড়ে না বের হয়, এবং নতুন কেউ সেই অঞ্চলে প্রবেশ না করেন।"

কমন সেন্স বলে, মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা দিয়ে যদি "আল্লাহর গজব" নির্ধারণ করা হয়, তাহলে বাংলাদেশ প্রতি বছরই গজবের উপরই থাকে। আমাদের দেশে প্রতিবছরই বন্যা-ঘূর্ণিঝড়ে হাজারে হাজারে মানুষ মরে। আল্লাহর রহমতে যদি পার পেয়ে যায়, তাহলে সড়ক ও নৌ দুর্ঘটনাতো আছেই। তার উপর যোগ দিন ভবন ধস, অগ্নিকান্ড ইত্যাদি ঘটনা। একটা গবেষণা চালান, প্রতি বছর অস্বাভাবিক মৃত্যুর সংখ্যা কত, পিলে চমকে উঠবে। তাহলে সেই "আলেমদের" সংজ্ঞানুযায়ী বলতে পারি যে, আমরা নিজেরাই গজবের শিকার।

তাই অন্যের গজবে দাঁত ক্যালানোর কিছু নেই।

ধরে নিলাম বুদ্ধিহীনতার কারনে ওরা বুঝতে পারেনি কোনটা গজব কোনটা না।

ধরে নিলাম মুসলিম ভাইদের কষ্টে ব্যথিত হয়ে আবেগের বশবর্তী হয়ে বলেছেন ওদের উপর আল্লাহর গজব পড়েছে।

কিন্তু তারপরেই যখন জুড়ে দেয়া হয় মিথ্যা গালগপ্প, "চীনের প্রধানমন্ত্রী মুসলমানদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে অনুরোধ করছে আল্লাহর কাছে দোয়া চাইতে। মসজিদে মসজিদে গিয়ে দোয়া করছে।"

"অস্ট্রেলিয়াতে আগুন লেগেছে, ওদের প্রধানমন্ত্রী মসজিদে গিয়ে দোয়া করছে, "তোমাদের নবী আগুনে হেঁটে গেলে আগুন পানি হয়ে যায়।"

"আমি কুরআন স্টাডি করে দেখেছি, ওতে করোনা ভাইরাসের কথা উল্লেখ আছে।"

এইসব বাকোয়াজ খবর কোথায় পায় এরা? এইসবতো সরাসরি মিথ্যাচার। ইসলামে যে পাপকে সকল পাপের উৎস গণ্য করা হয়। মিথ্যাবাদীকে তীব্রভাবে তিরস্কার করা হয়, আদালতে ওর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়না। আন্দাজে বা অনুমান নির্ভর কথা বলাও কুরআনে স্পষ্টভাবে নিষেধ করা হয়েছে। অথচ এদের থেকে লোকে দ্বীন শিখছে? এদের বিরুদ্ধে কিছু বললে, উল্টা লোকে নাস্তিক ডাকে?

আরেকবার একটা ওয়াজে শুনলাম এক লোক ফতোয়া দিলেন অমুসলিমের বাড়ি ঘর সহায় সম্পত্তি বেদখল করলে আপনার গুনাহ হবে, কিন্তু এজন্য আপনাকে আল্লাহ জাহান্নামে পাঠাবেন না।

ফাজলামি করলো লোকটা? কোন হাদিসে পেয়েছে? কোন কুরআনে এমন আজগুবি কথা লেখা আছে? আরে বেয়াক্কেল, একটা বিড়ালের সাথে অন্যায় আচরণের জন্য আল্লাহর রাসূলের সাহাবী রমণী জাহান্নামী হয়ে গেছেন, আর তুই আসছিস ফতোয়া দিতে "মানুষের" হক নষ্ট করা লোককে আল্লাহ দোজখে দিবেন না!

এরাই গলাবাজি করে বেড়ায়, এরাই ওয়াজ মাহফিল গরম করে। এদের ডিমান্ড সাংঘাতিক!

প্রকৃত সত্য হলো, ইসলামের ক্ষতি কোন অমুসলিমের হাতে হয়না। "আমেরিকা, ব্রিটেন, চায়না" বা "নাস্তিক-ইহুদি-খ্রিষ্টানরা" ষড়যন্ত্র করে সর্বোচ্চ কি করতে পারবে? আপনাকে গুলি করে, বোমা মেরে মারতে পারবে। কিন্তু তাতে ইসলামের কোন ক্ষতি হবে? না। বরং আপনি শহীদ হবেন, ইসলামের মান আরও বৃদ্ধি পাবে। মক্কার কুরাইশরা বিলাল, খাব্বাব, আম্মার, সুমাইয়া, ইয়াসিরদের এবং খোদ নবীর (সঃ) উপর অন্যায় অত্যাচার করছিল বলেই হজরত উমার, হামজার মতন বীরদের মুসলিম বানিয়ে আল্লাহ সম্মানিত করেছিলেন।
কিন্তু এইসমস্ত মূর্খের দল, উল্টাপাল্টা কথা বলে বলে মানুষকে গোমরাহ করে ইসলামের পথ থেকে বিচ্যুত করে ফেলে। সূরা ফাতিহার দোয়াটা তাই সবার জন্যই করি,

اهدِنَــــا الصِّرَاطَ المُستَقِيمَ

"আমাদের সরল পথ দেখাও!"

তাই বলে আমাদের দেশে কী ভাল আলেম নেই? কেন থাকবে না? কিন্তু তাঁরা এইসব ভন্ড ও ফাঁকা কলসীদের ভিড়ে সুযোগ পান না।

যেমন, আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ নামের একজনের দুয়েকটা ভিডিও ফুটেজ মাঝে মাঝে দেখেছি। যতটুকু দেখেছি, তাতেই এই লোকটার ভক্ত হয়ে গেছি। আমি জানিনা আরও ডিটেইলে তিনি কি বলে বেড়ান, কিন্তু তাঁর সাবজেক্ট সিলেকশন এবং তার উপর বলা বর্ণনায় আমি মুগ্ধ।

যেমন, তাঁকেই প্রথম দেখেছিলাম প্রকাশ্যে বলতে, "জাতি হিসেবে আমাদের উন্নতি হবে কিভাবে? চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখেন, বনের পশুকে আমরা বন্দি করে রেখেছি। না খেতে পেয়ে বাঘ সিংহ শুকিয়ে গেছে, বান্দর বাঁদরামি করা বন্ধ করে দিয়েছে, অসহায় প্রাণীগুলো আমাদের অত্যাচারের শিকার! এদের অভিশাপ আল্লাহর কাছে পৌঁছে না?"

ইসলামে মানুষের উপর পশুপাখির অধিকারের ব্যাপারে বাংলাদেশে আর কোন "আলেম" কখনও কথা বলেন? না। আমি অন্তত শুনিনি। আমরা শিখবো কাদের কাছ থেকে? যে কারনে আমাদের দেশে মা কুকুরকে সন্তানসহ জীবিত কবর দেয়া হয়, সেই দৃশ্য ভিডিও করে ভাইরাল করা হয়, এবং মুষ্টিমেয় কিছু "মানুষের" খারাপ লাগা ছাড়া কারোর মনে কোন দাগ কাটেনা।

আরেকবার তিনি বললেন শুনলাম, "কে কালো, কে ফর্সা, কে আফ্রিকান, কে কোন দেশের লোক - এইসব ব্যাপার না। মানুষ হিসেবে একজন মানুষ আরেকজনের কাছে ভাল ব্যবহার পাওয়া দাবি করেন। বান্দার প্রতি ভাল ব্যবহার না করে আপনি আল্লাহর কাছে ক্ষমা পেলেও তাঁর সাথে দুর্ব্যবহারের কারনে আপনি আখিরাতে এটকে যাবেন।"

"বান্দার হক আদায় করতে হবে। কেউ আপনার কাছে পাওনা পায়, সেটা যদি আপনি আদায় না করেন, তাহলে কাবা ধরে কান্নাকাটি করলেও লাভ হবেনা।"

এখন মেলান উপরের ঐ মাওলানার ফতোয়ার সাথে, যে বলছে "অমুসলিমের সম্পদ আত্মসাৎ করলে আপনি দোজখে যাবেন না।"

তারাতো যাবে যাবেই, সাথে উনাকেও নিয়ে যাবে।

তারপরে ঐ যে বালিশ কেলেঙ্কারির ঘটনা মনে আছে? তিনি সুন্দরভাবে বলেছিলেন যে "আমরা সবাই বালিশের কেলেঙ্কারি ধরতে পেরেছি কারন এটি সবাই বুঝি। কিন্তু অন্যান্য বিষয়, যে সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান নেই, ধারণা নেই, সেখানে না জানি কি হরিলুট চলছে!"

এইগুলি হচ্ছে আলেমের কথাবার্তা। সুন্দর, টু দ্য পয়েন্ট, এবং সত্য। কোন বুজরুকি গালগপ্পো না।

আপনি যদি বলে বেড়ান "আল কুরআনে আমেরিকার কথা লেখা আছে, আমি স্টাডি করে পেয়েছি" - তাহলে সেটা ফাইজলামি ছাড়া আর কিছুই না। জুলকারনাইন, ইয়াজুজ মাজুজকে একবার আপনি আমেরিকায় ফালায় দিবেন, পরের লাইনেই এন্টার্কটিকায় মাটির তলে ঢুকায় দেন - ভাই, পৃথিবীর মানচিত্র আগে দেখে তারপরে কথা বললে হয়না? কিছু বললেতো আবার "আবু জাহেল" খেতাব দিয়ে বসবেন। আপনার ভালোর জন্যই বলছি, অন্যকে আবু জাহেল না বলে, নিজের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করুন। নাহলে লাখে লাখে মানুষকে ভুল শিক্ষা দেয়ার অপরাধ আপনাদের কাঁধে এসে পড়বে।

"নিজের জ্ঞান সীমিত ও কম" এটি স্বীকার করতে দোষের কিছু নেই, বরং অনেক বড় গুন। এই গুন মুসা (আঃ) নবীর ছিল। আল্লাহ যখন জানালেন তাঁর চেয়েও জ্ঞানী ব্যক্তি (খিজির (আঃ)) একজন আছেন দুনিয়ায়, তখনই তিনি সেই জ্ঞানীর থেকে জ্ঞানলাভ করতে গৃহত্যাগ করেন। যেই সূরা (আল-কাহ্ফ) থেকে আপনি ইয়াজুজ মাজুজ ও যুলকারনাইনের ঘটনা উল্লেখ করেছেন, সেই একই সূরার ৬৫ নম্বর আয়াত থেকে এই বর্ণনা পাবেন। পড়েন।

আপনাকে যখন কেউ বলছে আপনি না জেনে উল্টাপাল্টা কথা বলছেন, তখন আপনি সঠিক জ্ঞান লাভের চেষ্টা করুন। এটাই ইসলামিক পথ।

কিছুদিন আগে প্রস্তাব দিয়েছিলাম আমাদের দেশে একটা আলেম সমাজ দরকার, যারা এইসব ইসলামিক কর্মকান্ড মনিটর করবেন। দায়ভার তাঁদের উপর বর্তাবে, তাই উল্টাপাল্টা কর্মকান্ড বন্ধ হয়ে যাবে। জেনুইন আলেমগণ এর পরিচালনা কমিটিতে থাকবেন। তাঁরা বিচার বিবেচনা করে লাইসেন্স দিবেন কে ইসলামিক সম্মেলনে বক্তব্য দিতে পারবেন, কে না।

লোকে তখন বললেন, "ভাই, এতে ঘুষের বিনিময়ে বা স্বজনপ্রীতির ফলে লাইসেন্সের প্রচলন শুরু হবে। পলিটিক্স শুরু হয়ে যাবে।"

একজন জেনুইন আলেম কখনই আল্লাহ এবং রাসূল ছাড়া অন্য কারোর সাথেই আপোষ করবেন না। ঘুষ, পলিটিক্স ইত্যাদিতো কল্পনাই করবেন না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, কোটি কোটি জনসংখ্যার একটি দেশে, হাজারে হাজারে ওয়াজ মাহফিল ইত্যাদি করে বেড়ানো হুজুরের মধ্যে থেকে একটি "আলেম কমিটি" গঠন করার কনফিডেন্স আমাদের নেই। এরপরেতো কিছু বলার থাকেনা। বুঝতেই পারছেন আমাদের দেশের ইসলামের অবস্থা!

আসুন, আবারও আল্লাহর কাছে দোয়া করি,

اهدِنَــــا الصِّرَاطَ المُستَقِيمَ

"আমাদের সরল পথ দেখাও!"

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি অবশ্যই আস্তক।
আপনি সব সময় ধর্মের কাছাকাছি থাকতে চেষ্টা করেন।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:০৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: সেটাই চেষ্টা থাকে

২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সেই কমিটির সভাপতি কোটি কোটি টাকার মালিক হবে। বাড়ি হবে, কয়েকটা গাড়ি হবে।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:০৩

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: এটাই আফসোস :(

৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাদের সমস্যা হলো সুভাষ দত্তকেও আদাব না দিয়ে লম্বা সালাম দেই হুজুর ভেবে ;)
আইডেন্টিফিকেশনের এই যখন বাস্তবতা তখন ঈমান আর ইলমের সন্ধান জানা লোক কই?
লেবাসিই আটকে আছে -চেতনা। আর এই সুযোগে টুপাইস কামাতে ধমকে নিয়ে যাচ্ছে তাই করে যাচ্ছে
দাড়ি টুপি ধারী স্বার্থন্ধরা!

পোষ্টে +++

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:০৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ভাল বলেছেন।

৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
চীনে কাউকে নামাজ রোজা করতে দিছে না, জোড় করে রোজা ভাংগানো হচ্ছে, এসব ফালতু অতি কথা।
চীনে কেউ কেউ নামাজ রোজা করে কাজ টাইম মাফিক করলে, দোকান চালালে সমস্যা নেই।

ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে শুধু অতিরিক্ত কট্টরপন্থী লেবাসধারীদের।
যারা রোজা রেখে কাজ কম করে,
বেতনভুক্ত কাজ বাদ দিয়ে বা দোকান বন্ধ করে ইফতারের আসর বসায়।
কাজ ফেলে নামাজে চলে যায়,
হাসপাতাল বা সরকারি চেকপোস্টএ বোর্খা খুলতে মুখ খুলতে অস্বীকৃতি জানায়
সুধু তাদেরকে চীনা সংস্কৃতিকে সম্মান করতে সেখাতে ক্যাম্পের ব্যবস্থা। সেটা মাস খানেক।
কারন পৌর আইনে মুদি দোকান, খাবারের দোকান নির্ধারিত টাইমের আগে বন্ধ করা যায় না।
চীন কেন? আমেরিকা সহ উন্নত দেশে সিটি আইনে মুদি দোকান, খাবারের দোকান, গ্যাস স্টেশন (পেট্রল পাম্প) ইত্যাদি নির্ধারিত টাইমের আগে বন্ধ করা যায় না। বড় অংকের জরিমানা, একাদিক বার করলে লাইসেন্স বাতিল হবে।

যারা দাংগা হাংগামার উষ্কানি বা অপরাধে জড়ায় তাদের জন্যই কয়েদীদের মতো ক্যাম্প।
আর মসজিদ ভেঙ্গে দিচ্ছে, এটা সত্য।
তবে মসজিদ ভাঙ্গার আগে আলেমদের সাথে চীনা কতৃপক্ষ বৈঠকে আলেমরা 'মসজিদ বাদে বাসায় নামাজ হবেনা' এমন কোন কথা, আদেশ, বাক্য, কিতাব থেকে দেখাতে পারেনি।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:০৬

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: যে ডকুমেন্টারির কথা বললাম, সেটা ইউটিউবে দেখুন। বিবিসি বানিয়েছে। এরপরেতো কথা থাকে না।

৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫২

বোকা পুরুষ বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষন, কিন্ত বিড়ালের গলা্য় ঘন্টা বাধবে কে??

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:০৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.