নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
শুনলাম দেশে নাকি একটি নতুন যন্ত্রনা শুরু হয়েছে, মাঝরাতে সব মসজিদ থেকে আজান দেয়ার।
যন্ত্রনা এই কারনেই বলছি, ইসলাম ধর্ম মতে এটি সম্পূর্ণ "বেদাত" ঘটনা, এর সাথে ইসলামের কোনই সম্পর্ক নেই। নতুন ধরনের ইবাদত সংযোজন, যার ফল উল্টো গুনাহ।
আরেকটা ছবি দেখলাম, এক পাল ছাগল (পরে বলছি কেন ছাগল বললাম) ময়দার গুলি বানাচ্ছে। বিশেষ দোয়া পাঠ করে সেগুলি বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিবে। তারপরে আল্লাদি মার্কা ডায়লগ, "আল্লাহ নিশ্চই এত কষ্ট বৃথা যেতে দিবে না।"
আরে ছাগল (আবারও বললাম) তোদেরকে কী আল্লাহ বলেছেন এইভাবে দোয়া পড়ে পড়ে ময়দার গুলি বানাতে? তোকে স্পষ্ট নিষেধ করেছেন অপচয় করতে। দুই লাখে লাখে ময়দার গুলি বানাতে গিয়ে কত কেজি ময়দা নষ্ট করেছিস খেয়াল আছে? এই দুর্মূল্যের বাজারে, যেখানে গরিব মানুষ খেতে পারছে না, দিন মজুরদের ঘরে চুলা বন্ধ হয়ে গেছে, এই বদমাইশগুলি ময়দা সাগরে ভাসিয়ে দিচ্ছে। এখন আপনারাই বলেন, এগুলিকে কী ছাগল বলে ভুল করেছি? বেত দিয়ে পেছনে পিটানো উচিৎ।
আরেকদল কিউট ভাইয়েরা ট্রাম্পের প্রেসক্রিপশন ফলো করে বাজার থেকে কালিজিরা গায়েব করে ফেলেছেন। আরে ভাই, ট্রাম্পের প্রেসক্রিপশন ফলো করে এক আমেরিকান ছাগল ইতিমধ্যেই পরপারে চলে গেছে। তার বৌও মোটামুটি সেই পথেই আছে। এসব ক্ষেত্রে ট্রাম্প না, কোন ডাক্তারও না, FDA (Food and Drug Administration) approved কোন ওষুধ হলে তখন নিশ্চিন্তে খাবেন। এর আগে চোখ বন্ধ করে কিছুতেই বিশ্বাস করবেন না। আপনাদের অবগতির জন্য, করোনার ওষুধ নিয়ে এখনও কাজ চলছে। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঢালা হচ্ছে। বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। শুধু ভাইরাসের মৃত্যু নিশ্চিত করনই না, একই সাথে রোগীরও যেন মৃত্যু বা লং টার্ম ক্ষতি না হয়, সেটাই মূল ফোকাস। এবং এইসব ওষুধ দ্রুত বাজারে আসে না। সময়ের ব্যাপার।
যাই হোক, অসময়ের আজানে ফেরা যাক। এক ভাই সেদিন জানতে চেয়েছিলেন, এটি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কতটা সঠিক। উত্তরে বলেছিলাম পুরাটাই বেদাত, মানে ভুল। এখন ব্যাখ্যা করি।
মূল ঘটনা হচ্ছে, করোনা আতঙ্কের দিনে, পাকিস্তানে রাত দশটা এগারোটার দিকে সব মসজিদ থেকে একযোগে আজান দেয়ার রীতি চালু হয়েছে। আমাদের বাঙালি মৌলবীরাও মনে করেছেন, দারুন আইডিয়া! দেয়া যাক আজান। আল্লাহর নাম উচ্চারণ হচ্ছে, রাসূলের নাম উচ্চারণ হচ্ছে, সমস্যাতো নেই।
তেমনি কিছুদিন আগেই ফেসবুকে সবাই ইনবক্সে বললেন, অমুক সময়ে আমরা সবাই মোনাজাতে হাত তুলবো। এক সাথে একই সময়ে বিশ্ববাসী যদি একযোগে হাত তুলি, আল্লাহ নিশ্চই শুনবেন।
এখানেও বলতে পারেন, মোনাজাতেতো আমরা আল্লাহর কাছেই চাচ্ছি। একসাথে এক সময়ে সবাই মোনাজাত করছি। তাহলে এতেই বা সমস্যা কি?
সমস্যা আছে।
ইসলামে কঠিনভাবে নিষেধ করা হয়েছে কোন কিছু যোগ বা বিয়োগের ব্যাপারে।
যেদিন আল্লাহ ঘোষণা দিয়েছেন "আমি তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ন করে দিয়েছি" - সেদিন থেকেই সীল মোহর পড়ে গেছে। এরপরই রাসূলুল্লাহর (সঃ) পৃথিবীতে প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়, এবং লক্ষ্য করুন, আল্লাহ এর মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁকে তাঁর কাছে নিয়ে যান। মুহাম্মদ (সঃ) পৃথিবীতে কেবলমাত্র এই কারণেই এসেছিলেন যাতে আল্লাহর ইবাদত কিভাবে করতে হবে, সেটা আমাদের শেখাতে পারেন। তিনি যেটা করেছেন, আমরা সেটাই করতে পারবো, তিনি যেটা করেননি, সেটা করতে পারবো না। এখন কেউ যদি নিজের মাতবরি ফলাতে গিয়ে কিছু সংযোজন বা বিয়োজনের চেষ্টা করে, এর মানে হচ্ছে, সে বুঝাতে চাচ্ছে, আল্লাহ ভুল ছিলেন, তাঁর রাসূলও ভুল ছিলেন, যে কারনে এই বিশেষ ইবাদত তাঁরা আমাদের শেখাতে পারেননি, বা ভুলে গেছে। এখন আমরা বেশি জানি, তাই এইভাবে ইবাদত করছি। রাত তিনটার সময়ে এলার্ম দিয়ে ঘুম থেকে উঠে বিশ্ব মুসলিমের সাথে একযোগে হাত তুলে মোনাজাত করবো, কিংবা রাত বারোটার সময়ে পাকিস্তানের মসজিদের টাইমিংয়ের সাথে মিল করে আজান দিব।
আমাদের অঞ্চলের লোকজ বিশ্বাস, মহামারী বা মহাবিপদের সময়ে আজান দিলে বিপদ কাটে। একটি হাদিসের সূত্র টেনে বলে, আজানের ধ্বনি যতদূর শোনা যায়, শয়তান সেখান থেকে পালায়। কিন্তু প্রিয় ভাইয়েরা, ওটা সঠিক ওয়াক্তের আজানের কথা বলা হয়েছে। মন চাইলো আজান দিয়ে দিলাম, এমন ঘটনার জন্য না।
আজান মানে কি কখনও কেউ চিন্তা করে দেখেছেন?
এর সংজ্ঞা হচ্ছে, এটি "শরিয়া সম্মত" কিছু শব্দমালা, যা মুয়াজ্জিন উচ্চারণ করেন, যার মাধ্যমে মুসল্লিদের নামাজের উদ্দেশ্যে আহ্বান করা হয়। দিনে মাত্র পাঁচবার আজান ডাকার নিয়ম। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, মুসল্লিদের অবগত করা যে এখন নামাজের সময় হয়েছে।
খেয়াল করুন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাঁর সাহাবীদের সাথে এই উদ্দেশ্যেই পরামর্শে বসেছিলেন যে, কিভাবে মুসল্লিদের জানানো যাবে যে নামাজের সময় হয়েছে। এরপরে একেকজন একেকটা বুদ্ধি দিচ্ছিলেন, এবং সবগুলোই রিজেক্টেড হচ্ছিল। মনে পড়ে সেই কাহিনী?
এখন খেয়াল করুন এই বাক্যগুলো, "হাইয়া আলাস সালাহ", মানে "নামাজের জন্য এসো।" "হাইয়া আলাল ফালাহ", মানে "কল্যাণের জন্য এসো।"
এখন রাত বারোটায় আপনারা আজান দিয়ে কী করোনা ভাইরাসকে নামাজের জন্য ডাকছেন? নাকি নিজেরা নামাজ পড়ছেন? কোন ওয়াক্তের নামাজ? এশাতো সময় মতই পড়া হয়েছে। ফজর আসতে পুরো রাত বাকি। এই সব ননসেন্স আইডিয়া কোত্থেকে পান আপনারা?
ভাল করে খেয়াল করুন, ঈদের নামাজের কোন আজান দেয়া হয়না। সূর্যগ্রহণের সময়ে যে নামাজ পড়া হয়, সেটিরও কোন আজান দেয়া হয়না। বৃষ্টির জন্য যে নামাজ পড়া হয়, সেখানেও আজান দেয়া হয়না। এগুলো কিন্তু শরিয়া সম্মতই নামাজ। তারপরেও না। মাথা খাটান একটু। প্লিজ।
আর যদি হাদিস কুরআনের রেফারেন্স চান, তাহলে জেনে রাখুন, আসলেই হাদিস বা কুরআনের কোথাও এমন আজানের কোন নির্দেশনা, বর্ননা নেই।
কথা প্রসঙ্গে, একটি নতুন বিষয় শিখলাম। আপনাদেরও শিখাই। আমি নিশ্চিত আপনারাও জানেন না, এবং শুনেই আমাকে গালাগালি করবেন। কথা হচ্ছে, নবজাতকের জন্মের সময়ে আমরা আজান দেই। একদল দেয় কেবল পুরুষ শিশুর জন্মের সময়ে। আরেকদল দেয় পুরুষ ও মেয়ে উভয় শিশুরই জন্মের সময়ে। আমি নিজেই আমার দুই দুইটা ছেলের কানের সামনে আজান দিয়েছি। আমার জন্মের সময়ে আমার কানে আজান দিয়েছিলেন আমার দাদা। এইসব বংশানুক্ৰমে আমরা চর্চা করে আসছি। বাস্তবে এর কোন ইসলামিক ভিত্তি নেই। না রাসূলুল্লাহ (সঃ), না তাঁর সাহাবীগণ এই কাজ করতেন। এটিও আমাদের সাধারণ লোকেদের আবিষ্কার। আল্লাহ মাফ করুক। শাফেঈ স্কুল অফ থটে এইরকম সময়ে অসময়ে আজান দেয়ার শিক্ষা শিখানো হয়। মালেকী স্কুল অফ থট যাকে পরিষ্কার বিদাত বলে ঘোষণা করে। কারন, হাদিস বা কুরআনিক ভিত্তি নেই। কোন মাওলানার মন চাইলো, আর তিনি ইবাদত বানিয়ে ফেললেন, এটি ইসলামে সম্পূর্ণ নিষেধ।
সঠিক ইবাদত করতে চান? রাত বারোটায় আজান না দিয়ে বরং তাহাজ্জুদের নামাজে দাঁড়িয়ে যান। কারন আমাদের রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। এটি একটি শরিয়াসম্মত ইবাদত। নিজে, রাত জেগে আল্লাহর সাথে একান্তে ইবাদতে মশগুল হন। তখন আল্লাহর কাছে যা চাইবার চান। কেন মনে করছেন আপনার দোয়া আল্লাহ শুনবেন না? সেটা ভাবলেতো রাহমানুর রহিমকে আপনি অপমান করবেন।
একশো জনের ইনবক্সে দোয়া ফরোয়ার্ড করে লাখ খানেকবার পাঠের খতম করতে বলাটাও বেদাত। আপনারতো সোয়াব হবেই না, উল্টো নতুন ধরনের ইবাদত যুক্ত করার অপরাধে গুনাহ হবে। বরং সোমবার, এবং বৃহস্পতিবার রোজা রেখে ফেলুন। এটি সহীহ নফল ইবাদত। আমাদের রাসূলুল্লাহ (সঃ) রাখতেন। রোজা রেখে ইফতারের আগে আগে দোয়া করুন, যাতে আল্লাহ এই বিপদ থেকে সবাইকে রক্ষা করেন।
একটু মাথা খাটান। যদি আজান দিলেই বিপদ কেটে যেত, তাহলে খন্দকের যুদ্ধের সময়ে, যখন গোটা আরব সমাজ একত্রিত হয়ে মুসলিমদের হত্যার উদ্দেশ্যে মদিনার দিকে আসতে থাকে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) তখন সাহাবীদের বলেননি বাড়ির ছাদে উঠে আজান দিতে বা তিনি মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায়ে ব্যস্ত হয়ে যাননি। তিনি বলেছেন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে, এবং সেটি হচ্ছে খন্দক খনন করে শত্রুর গতি রোধ করে দেয়া। খেয়ে না খেয়ে, পেটে পাথর বেঁধে দিনরাত পরিশ্রম করে তাঁরা খন্দক খনন করেছেন। কোন আসমানী ফেরেস্তা ক্রেন, বুলডোজার ইত্যাদি নিয়ে এসে সাহায্য করেনি। প্রিয় নবীজির (সঃ) কয়েক ওয়াক্তের নামাজ ছুটে গিয়েছিল, তিনি যুদ্ধের ময়দান ফেলে নামাজ আদায়ে ছুটে যাননি। রাসূলুল্লাহ (সঃ) হবার পরেও। আপনারা জুম্মার নামাজ বাদ দিয়ে ঘরে জোহর পড়তে গেলে বলেন ঈমান ছুটে যাবে। আপনাদের ঈমান দেখি রাসূলের চেয়েও বেশি। ভালই তো।
খন্দকের যুদ্ধে মুসলিমদের অমন কঠোর পরিশ্রমের পর অবশেষে দিনের পর দিন টানটান উত্তেজনা শেষে আল্লাহর সাহায্য ঠিকই এলো। আবহাওয়া ক্রমশ খারাপ হতে হতে একদিন টর্নেডো শুরু হলো। টর্নেডো আঘাত হানলো ঠিক কুরাইশ শিবিরে। কনকনে ঠান্ডার দিনে ঘূর্ণি বাতাসের আঘাতে কুরাইশদের রসদ নষ্ট হয়ে গেলে এবং বনু কুরাইযার সাথে ভুল বুঝাবুঝির ফলে ওরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। এর মানে হচ্ছে, আমাদের জন্যও আল্লাহর সাহায্য নিশ্চই আসবে, অতি দ্রুত আসবে। হয়তো বা এসেই গেছে। আমাদের কেবল সঠিক কাজটা ঠিক মতন করতে হবে। বেকুবের মতন যে যা বলল তাই বিশ্বাস করে লাফালাফি শুরু করে দিলে আমাদের নিস্তার নেই।
ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন। মিশর দখল করতে ফরাসি বাহিনী যখন শহরে ঢুকছিল, আলেম উলামারা জনতাকে বলেন, "তোমরা সহীহ আল বুখারী পড়তে শুরু করো। ওতে বরকত আছে। আমাদের কোন ক্ষতি হবে না।"
"সহীহ আল বুখারী" পাঠ ফরাসি সৈন্যদের ঠেকাতে পারেনি। সেটা সহীহ আল বুখারীর কাজ না। এই ক্ষেত্রে তাঁদের উচিৎ ছিল শহর রক্ষার জন্য যুদ্ধের ময়দানে যাওয়া। তাঁরা সেটা না করে কিতাব পাঠে বসে গেছেন। এই কারণেই হেরেছেন। আমাদেরও বুঝতে হবে।
প্রতিটা মানুষকে আল্লাহ পরীক্ষা করেন। কারোর সহ্য ক্ষমতার বাইরে গিয়ে আল্লাহ কখনই পরীক্ষা নেননা। যার পরীক্ষা যত কঠিন, পাশ করলে তাঁর পুরস্কারও তত বেশি। আমাদের আগেও বহুবার মানবজাতির পরীক্ষা হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে পুরুষদের বাড়ি ছেড়ে যুদ্ধের ময়দানে ছুটতে হয়েছে হিটলার নামের আগ্রাসী নরাধমকে বধ করে মানবজাতিকে উদ্ধার করতে। ৭১ এ দেশের স্বাধীনতা রক্ষার্থে আমাদের যা কিছু ছিল তাই নিয়ে লড়তে হয়েছিল অত্যাধুনিক যুদ্ধসাজে সজ্জিত সুশৃঙ্খল ও একই সাথে নৃশংস পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। এখন আমাদের দৌড় ঐ অনলাইনে এক্টিভিজম পর্যন্তই। তাই আল্লাহও আমাদের এমনই পরীক্ষা দিয়েছেন যে বাড়িতে থাকতে পারলেই জিতে যাব। কত সহজ এই যুদ্ধ। আলহামদুলিল্লাহ! কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কিছু মানুষের জন্য সেটাও সম্ভব হচ্ছে না।
আরে বেয়াক্কেল ভাইয়েরা! আপনারা বাইরে গেলে আমাদের শত্রুরই উপকার হচ্ছে। আপনারা বেঈমান, যুদ্ধাপরাধীর কাজ করছেন। নিজেরা আক্রান্ত হয়ে ভাইরাসকে শক্তিশালী করছেন, অন্যকে আক্রান্ত করে আমাদের সৈন্যবাহিনীর ক্ষতি করছেন। এবং এর ফলে অর্থনৈতিক ধস, বেকারত্ব ইত্যাদি অপরাধতো আছেই।
আজকে যমুনা টিভিতে দেখলাম ঝিনাইদহের আনন্দবাগ গ্রামের গ্রামবাসী পুরো গ্রামকে লকডাউন করেছে। প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ভিতরে আসতে দেয়া হয়না, বাইরেও যেতে দেয়া হয়না। জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে। দুস্থদের জন্য খাবার দেয়া হচ্ছে, সেটাও দূরত্ব বজায় রেখেই, সম্পূর্ণ ডিসিপ্লিনের সাথে। আমাদের শহরের পোলাপান বরাবর গ্রামের মানুষকে গেরাইম্যা ক্ষেত বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতো। এখানে এই গ্রামের মানুষেরা ঢাকা থেকে শুরু করে ইউরোপ বা নিউইয়র্ক মিশিগানের লোকজনের চাইতেও বেশি স্মার্টনেস প্রমান করে দেখিয়েছে। আমরা যদি এদের মতন স্মার্ট হতে পারি, এইসব ক্যারিনা ম্যারিনা আমাদের সাথে সুবিধা করতে পারবে না। আর বলদের মতন কাজ করলে বলদের মতোই কসাইর ছুরির নিচে কুরবান হবো।
২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:১৬
হাফিজ রাহমান বলেছেন: একটি লেখা এবং তার উত্তর
প্রথমে লেখাটি পাঠ করে নেয়া যাক।
‘মহামারিতে আযান দেয়ার শরয়ী বিধান ও গুরুত্ব-
আযান ইসলামের এক মৌলিক ইবাদত নামাজের
দিকে আহবানের মাধ্যম। আযানের মাধ্যমে
আল্লাহর রহমত অবতীর্ণ হয়,বিপদ ও আযাব
দূরীভূত হয়। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.)
থেকে বর্ণিত হাদীসে হুযুর (ﷺ) এরশাদ করেন-
"اِذَا اُذِّنَ فِیْ قَرِیَةٍ اٰمَنَھَا اللہُ مِنْ عَذَابِهٖ فِیْ ذٰلِكَ الْیَوْمِ"
-যখন কোন গ্রামে আযান দেয়া হয়,তখন মহান আল্লাহ (ﷻ) সেদিন ওই গ্রামকে তার আযাব থেকে নিরাপদে রাখেন।
[আল-মু'জামুল কবীর-১/২৫৭ হাদিস ৭৪৬ মুদ্রণ: মাকতাবায়ে ফয়সলীয়া, বৈরুত। ফতোয়ায়ে
রযভীয়্যা ৫/৩৬৯ রেযা ফাউন্ডেশন, লাহোর]
মহামারীর সময় আযান দেয়া একটি মুস্তাহাব
বিষয়। ফিকহে হানাফীর প্রসিদ্ধ গ্রন্থ রদ্দুল
মুখতার বা ফতোয়ায়ে শামীতে আযানদানের
১০টি মুস্তাহাব সময়ের মধ্যে মহামারীর সময়
আযানের কথা উল্লেখ রয়েছে। মুজাদ্দিদে দীনো মিল্লাত, ইমামে আহলে সুন্নাত,শাহ ইমাম আহমদ
রেজা খান (রা.)লিখেন-
”وبا کے زمانے میں اذان دینا مستحب ہے“
- মহামারীর সময় আযান দেয়া মুস্তাহাব।
[ফতোয়ায়ে রযভীয়্যা ৫/৩৭০ মুদ্রণ-রেযা
ফাউন্ডেশন লাহোর। বাহারে শরীয়ত, প্রথম
খন্ড অংশ- ৩/৪৬৬ মাকতাবাতুল মদীনা করাচী]
কারণ এ মহামারীর কারণে জনমনে ভয় ও অাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে,যার ফলে জনগণ উদ্বিগ্ন থাকে, ভীতি
ও ত্রাসের শিকার হয়,এমন পরিস্থিতিতেও আযান আত্নার প্রশান্তি ও ভয়-ত্রাস দূর করার মাধ্যম।
আবু নাঈম ও ইবনে আসাকির হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণণা করেন,হুযুর (ﷺ) ইরশাদ করেন,
نَزَلَ آدَمُ بِالْھِندِ فَاسْتَوْحَشَ فَنَزَلَ جِبْرَئِیْلُ عَلَیْه الصَّلَاۃُ وَالسَّلَام فَنَادیٰ بِالْاَذَاَنِ-
যখন হযরত আদম (আ.)জান্নাত থেকে ভারতবর্ষে অবতরণ করলেন,ভীত-সন্ত্রস্থ হলেন,তখন জিবরাইল (আ.)নেমে (ভয় দূর করার জন্য) আযান দিলেন।
[হিলয়াতুল আউলিয়া ২/১০৭ হাদিস: ২৯৯
মুদ্রণ-দারুল কিতাব আল-আরাবিয়্যা বৈরুত]
মুসনাদুল ফিরদৌসে আমীরুল মু'মিনীন হযরত
আলী আল-মুরতাদ্বা (রা.) থেকে বর্ণিত-
قَالَ رَایٰ النَّبِیُّ صَلّٰی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْهِ وَسَلَّم حُزِیْناً فَقَالَ یَا ابْنَ اَبِیْ طَالِبٍ اِنِّیْ اَرَاكَ حُزِیْناً فَمُرْ بَعْضَ اَھْلِكَ یُؤَذِّنُ فِیْ اُذُنِكَ فَاِنَّهٗ دَرْءُ الْھَّمِ
-তিনি বলেন,হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন আমাকে চিন্তিত অবস্থায় দেখে বললেন,
হে আলী! আমি তোমাকে উদ্বিগ্ন অবস্থায় দেখছি, তোমার পরিবারের কাউকে তোমার কানে আযান
দিতে বলো,কেননা তা চিন্তা ও উদ্বিগ্নতা দূরকারী।
[মিরকাতুল মাফাতীহ শরহে মিশকাতুল মাসাবীহ, আযান পর্ব ২/১৪৯ মুদ্রণ-মাকতাবায়ে ইমদাদীয়া মুলতান]
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারি থেকে
রক্ষায় অন্যান্য আমলের পাশাপাশি আযান
দেয়া একটি শরীয়ত সমর্থিত মুস্তাহাব আমল।
এটার জন্য কোন সময় নির্ধারিত নেই। মহান
রাব্বুল আলামীন আমলের তাওফিক নসীব
করুন। তদীয় প্রিয় হাবীব (ﷺ)'র উসীলায়
মুসলিম মিল্লাতকে সকল প্রকার বিপদাপদ ও
মহামারী থেকে হেফাজত করুন, আমীন।’
লেখাটি সম্বন্ধে আমাদের বক্তব্য
লেখাটিতে প্রথমে যে হাদীসটি উল্লেখ করা হয়েছে তাতে সূত্রগত সমস্যা রয়েছে। দেখুন, মাজমাউয যাওয়ায়িদ, হাদীস ১৮৪৭ (আলমাকতাবাতুশ শামিলাহ)। দ্বিতীয়ত এখানে নামাজবিহীন আযানের কথা বলা হয় নি। এখানে মূলত নামাজের আযানের কথা বলা হয়েছে। রদ্দুল মুহতারের কোন জায়গায় মহামারির সময় আযান দেয়ার কথা বলা হয়েছে অনুগ্রহপূর্বক তা উল্লেখ করুন।
এ ছাড়া আবু নুআইম আসফাহানী রহ. কৃত হিলইয়াতুল আওলিয়া থেকে যে হাদীসের রেফারেন্স দেয়া হয়েছে তাও সূত্রগত দিক থেকে সমস্যামুক্ত নয়। দেখুন, https://islamqa.info/ar/answers/141280/
উপরন্তু হাদীসটিতে এ কথাও আছে, যখন জিবরীল আ. আযান দিলেন তখন আযানের ভিতর মুহাম্মাদ শব্দ শুনে আদম আ. জিবরীল আ.কে জিজ্ঞেস করলেন মুহাম্মদ কে? তখন জিবরীল আ. বললেন, আপনার সন্তানদের মধ্য হতে সর্বশেষ নবী। এতে প্রতীয়মান হয়, পৃথিবীতে আসার আগে আদম আ. মুহাম্ম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে চিনতেন না। অথচ আপনাদের পক্ষের লোকেরা বিশ্বাস করেন, আদম আ. আরশে কালিমা লেখা দেখে মুহাম্মাদ নামের উসিলায় দুআ করে আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা লাভ করেছিলেন। অথচ এ বর্ণনা থেকে প্রতীয়মান হয়, আদম আ. মুহাম্মা নামে কাউকে চিনতেন না।
আর মিরকাতুল মাফাতীহ এর উদ্ধৃতিতে যে হাদীসটি উল্লেখ করা হয়েছে তা নিতান্তই দুর্বল। এ জাতীয় দুর্বল হাদীস কোনোভাবেই দলীল হিসেবে বিবেচিত হয় না। দেখুন, http://www.rafiqtahir.com/play-164.html
আমরা স্বীকার করি, বিপদের সময় আযান দেয়ার ব্যাপারে কোনো কোনো আলেমের মত রয়েছে। যদিও আমাদের দৃষ্টিতে দালীলিক দৃষ্টিকোণ থেকে এ মতটি শক্তিশালী নয়। সে হিসেবে যদিও ধরে নিই বর্তমান পরিস্থিতিতে বিপদ থেকে রক্ষা পেতে আযান দেয়ার একটা অবকাশ হতে পারে; কিন্তু কথা হলো, গত বৃহস্পতিবার যে প্রক্রিয়ায় আযান দেয়া হলো এ প্রক্রিয়াকে কেউ সমর্থন করবে? জানি না আপনি আযান দিয়েছেন কিনা? তবে যারা এক যোগে আযান দিয়েছে তারা কেন দিয়েছে? আমাদের জানামতে তারা নিছক বিপদের কারণে আযান দেয় নি; বরং গুজবে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে আযান দিয়েছে। বিভিন্ন সূত্র মতে বৃহস্প্রতিবার রাত ১০টা থেকে মসজিদগুলো থেকে আজানের শব্দ ভেসে আসে। এ আজান চলে রাত ১২.৩০ পর্যন্ত। বিভিন্ন স্থানে মিছিল হতেও দেখা যায়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উলুধ্বনি দিতে দেখা যায়। মুয়াজ্জিন ও মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্ন করলে তারা জানান, করোনা হতে বাঁচতে ফেইসবুকের একটি আহবানে সাড়া দিয়ে তারা আজান দিয়েছেন। অনেকে আবার বলেন ভূমিকম্প ও পাথর বৃষ্টি হবে এই ভয়ে তারা রাস্তায় নেমে আসেন।
ফেইসবুকের এইসব মিথ্যা গুজবগুলো হল-
১, বাচ্চা জন্ম নিয়ে বলেছে আযান দাও রং চা খাও। বিপদ দূর হয়ে যাবে।
২, রাতে শেষের দিকে ভূমিকম্প হবে।
৩, আকাশ থেকে শিলাবৃষ্টি পড়বে।
৪, করোনা ভাইরাস দূর হয়ে যাবে সারাদেশে সম্মিলিত আজান দিলে।
অনেকেই আতংকিত হয়ে আত্মীয় স্বজনদের কাছে জন্য ফোন করতে থাকেন। জনমনে একটা বড় ধরনের আতঙ্ক তৈর হয়ে যায়। বিপদের সময় আযান দেয়ার সুযোগ থাকলেও মাঝরাতে গুজব ছড়িয়ে এভাবে আজান দেয়ার যৌক্তিকতা কি ইসলামী শরীয়াতে আছে? গুজব ছড়ানো মানে মিথ্যা প্রচার করা। হাদীসের ভাষ্য মতে যা শোনে তাই বিনা যাচাইয়ে অন্যকে বলে দেয়াটাই মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ট। তো মিথ্যা প্রচারণা করে কি বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে নাকি এতে বিপদ আরো প্রকটাকার ধারণ করবে? আল্লাহ আমাদের সুমতি দান করুন।
৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৪৫
ইকবাল সরদার বলেছেন: এতে মিথ্যা কথা আসতে পারবে না এর সামনে থেকে, আর এর পেছন থেকেও নয়। এ হচ্ছে একটি অবতারণ মহাজ্ঞানী পরম প্রশংসিতের কাছ থেকে(৪১ঃ৪২)
সুন্দর উপস্থাপনা, এখন ধর্মের অবস্থা এমন যে ছাত্ররা শিক্ষক নির্ণয় করতেছে, এমতাবস্থায় ছাত্রের অবস্থান অজান্তেই শিক্ষকের উপরে অবস্থান করে।
আপনার প্রতি অনুরধ, চোখ কান খোলা রাখবেন, আল্লাহপাক আমাদের ইহকালিন ঐক্য ও শান্তি এবং পরকালিন মুক্তির কোন বেবস্থা (কোরআন হাদিসে বর্ণিত বর্ণিত আমির, সাবেকুন বান্দা, সাক্ষী, সুপারিশ কারি, অলি, হেদায়েতের পথ দেখানোর নেতা, মজাদ্দেদ, নায়েবে নবী, রাসুলের ওয়ারিশ) রেখেছেন কি না। এই ধরনের বেবস্থা আল্লাহ পাক সব সময়ই রাখেন, এবং আমাদেরকে প্রার্থনা করতে বাধ্য করেছেন।
ٱهْدِنَا ٱلصِّرَٰطَ ٱلْمُسْتَقِيمَ
Ihdina alssirata almustaqeema
“আমাদের তুমি সহজ-সঠিক পথে পরিচালিত করো, ” (১ঃ৬)
৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:১০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালো লাগলো। ভালো থাকুন।
৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:১৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লেখকের যুক্তি আর মন্তব্যকারী হাফিজ ভাইেযের যুক্তি
কি করে খন্ডাবো? যারা আমার মতো কোরআন ও হাদিস
বিশারদ নই তাদের জন্য সহজ পন্থা কোনটি তা নিয়ে
দ্বিধান্বিত হলাম।
আমার জিজ্ঞাসা আপনারা কি ফতোয়া দেবার বিধান
রাখেন। আপনারাকি মুফতি মোহাদ্দেস?
আমরা কোরআনকে বিশ্বাস করি, আল্লাহ রসুল (সঃ) কে
বিশ্বাস করি। তাঁদের উপদেশ নির্দেশ মানার চেষ্টা করি
সাধ্য অনুসারে যা আমরা শুনি জুম্তার নামাজের বয়ানে
ওয়াজ মাফফিলে এবং মুফতি মোহাদ্দেসের কাছে।
আপনারা উভয়ে কোরআন হাদিসের আলোকেই
আপনাদের যুক্তি প্রদর্শন করেছেন। এখন কোনটা
মানবো।
কুরআন ও হাদীছে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে
ধারণ করার নির্দেশ থাকলেও মুসলমানগণ বিভিন্ন সময়
আক্বীদা ও আমলের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে।
আর সকল দলই নিজেদেরকে মুক্তিপ্রাপ্ত দল দাবী করেছে
এবং অন্যদেরকে পথভ্রষ্ট বলে আখ্যায়িত করেছে।
হাদীছে রাসূল (ছাঃ) উম্মতে মুহাম্মাদীর বিভক্তির কথা
উল্লেখ করে মুক্তিপ্রাপ্তদের বর্ণনা দিয়ে বলেন,
‘নিশ্চয়ই বনী ইসরাঈলরা ৭১ দলে বিভক্ত হয়েছিল।
তাদের মধ্যে ৭০ দল ধ্বংস হয়ে গেছে এবং একটি দল
নাজাত পেয়েছে। আর আমার উম্মত অচিরেই ৭২ দলে
বিভক্ত হয়ে যাবে। তাদের মধ্যে ৭১ দল ধ্বংস হবে (জাহান্নামে যাবে)
এবং একটি দল মুক্তিপ্রাপ্ত হবে। ছাহাবাগণ বললেন,
মুক্তিপ্রাপ্ত দল কোনটি? রাসূল (ছাঃ) বললেন, তারা
একটি দল, তারা একটি দল’।[
অন্য হাদীছে রাসূল (ছাঃ) বলেছেন,
‘ওহে, অবশ্যই তোমাদের পূর্বে আহলে কিতাবগণ (ইহুদী ও নাছারা)
৭২ দলে বিভক্ত হয়েছিল। আর নিশ্চয়ই এই উম্মত অচিরেই ৭৩ দলে
বিভক্ত হবে। তন্মধ্যে ৭২ দল জাহান্নামী ও একদল জান্নাতী। (জান্নাতীরা হ’ল)
একটি জামা‘আত বা দল’।
উপরোক্ত হাদীছ থেকে স্পষ্ট বুঝা গেল যে, মুসলমানদের মধ্যেই
৭২/৭৩টি দল হবে। তন্মধ্যে ৭১/৭২টি দল জাহান্নামে যাবে এবং
একটি দল জান্নাতে যাবে। সেটিই মূলত মুক্তিপ্রাপ্ত দল।
সুতরাং কেয়ামতের দিনে ৭২/৭৩ কাতার মুসলমানের
দোজখ ফয়সালা হবে শুধুমাত্র কোরআন ও হাদিসের ভুল
ব্যখ্যা প্রদানের কারনে। অনুগ্রহ করে কোরআন হাদিসের
ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে আমাদের গোমরাহ করবেন না।
আল্লাহ আমাদের সহায় হোন সঠিক বুঝবার জন্য।
৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: বিপদ আপদের সময় মুসলমানরা অনেক হাস্যকর কাজ করে। এই সমস্ত হাস্যকর কাজ দিয়ে বিপদ থেকে বাঁচা যায় না।
৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫
মেটালক্সাইড বলেছেন: আর অসময়ে পোস্ট কেন???
সিন্নি পার্টিগুলান আযান দিছিল ২৬শে মার্চ রাইত আর আজকে আসলেন ফতোয়ার পেপার নিয়ে।
হাসুম না কান্দুম!!!
৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:২১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
চারিদিকে কোন্দোল দেখে হজরত মোহম্মদ (স) হতাস হয়ে বলেছিলেন -
বনী ইসরাঈলরা ৭১ দলে বিভক্ত হয়েছিল। তোমরা (উম্মত) অচিরেই ৭৩ দলে
বিভক্ত হবে। তন্মধ্যে ৭২ দল জাহান্নামী ও একদল জান্নাতী।
কিন্তু উম্মত ৭৩ নয় ৩৭৩ দলে বিভক্ত হয়েছে, চৌদ্দ পদের হাদিস চৌষট্টি পদের ব্যাখ্যা। গলা খাঁখারি দিয়ে হাঁক দেয় ,
তুমি ফতোয়া দেয়ার কে? ফতোয়া দিব আমরা, ফতোয়া দিবে দাঁড়িওয়ালারা, দাঁড়ি কাঁচাপাকা চৌদ্দ ইঞ্চি লম্বা হতে হবে!
৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:০৫
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ওই যে বলছেন,একটু মাথা খাটাতে।আমাদের মাথা থাকতেও এই মাথাটাই আমরা খাটাই না।
তাই যে যা বলে অন্ধের মত বিশ্বাস করি।
অনেকে বলে আযান দিচ্ছে খারাপ কিছু তো করছে না।বেশিরভাগ মানুষ বেদাত বিষয়টাই তো বুঝে না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৩৪
ঈশান মাহমুদ বলেছেন: ভালো লিখছেন।