নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
একটি হাদিস আছে, ভুলে গেছি কোন গ্রন্থে, তবে সহীহ, এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। হয়তো বা মুসলিম শরীফের হাদিস, কেউ রেফারেন্স দিতে পারলে সুবিধা হবে।
হুবহু শব্দগুলো মনে নেই, তবে হাদিসটির সারমর্ম ছিল এমন, একবার নবী (সঃ) মদিনার কিছু কৃষককে একভাবে চাষ করতে দেখে বললেন, তোমরা অমনভাবে চাষ করোনা কেন?
কৃষকরা ভাবলেন, আল্লাহর নবীর পরামর্শ নিশ্চই আরও ভাল হবে। তাই তাঁরা পরের মৌসুমে সেভাবে কাজ করলেন যেভাবে নবী (সঃ) পরামর্শ দিয়েছিলেন। ঘটনা ঘটলো উল্টা। ফসল কম ফললো।
তাঁরা বললেন, "ইয়া রাসূলাল্লাহ, একি হলো!"
নবী (সঃ) বললেন, আমিতো কেবল পরামর্শ দিয়েছিলাম, তোমরাতো এই ব্যাপারে অভিজ্ঞ ও দক্ষ। দুনিয়ার ব্যাপারে তোমরা আমাদের চেয়ে বেশি জান, এবং দ্বীনের ব্যাপারে আমি তোমাদের চেয়ে বেশি জানি।
মূল কথা হচ্ছে, নবী (সঃ) পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ ছিলেন, কিন্তু এইটাও ঠিক, তাঁকে আল্লাহ কৃষি কাজ করতে পাঠান নাই। বিজ্ঞানের ফর্মুলা বলে দেয়ার জন্য পাঠাননাই। মেডিক্যাল ডাক্তার হিসেবে পাঠান নাই। বরং আল্লাহ পাঠিয়েছেন এইসব জ্ঞান অর্জন করে কিভাবে জীবন যাপন করতে হবে, সেই তরিকা শেখাতে। দুইয়ের পার্থক্য বুঝতে পারছেন?
অনেকেই বোঝেন না, তাই কুরআনের ভিতরে থিওরি অফ রিলেটিভিটি খুঁজে, মহাকর্ষ-অভিকর্ষ খুঁজে। বিজ্ঞানীদের গালাগালি করে বলে, ওরা কুরআন থেকে চুরি করে ফেলেছে। এবং নিজেদের বিরাট পন্ডিত ঘোষণা করে সব বিষয়ে নাক গলাতে শুরু করে।
নবী(সঃ) যখন মক্কার বাইরে ধর্ম প্রচারে বেরুতেন, তখন আবু বকরকে (রাঃ) সাথে নিতেন। কারন, আবু বকর (রাঃ) তখন গোটা আরব অঞ্চলে প্রতিটা গোত্রের ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন। যেই গোত্রের সাথে নবী (সঃ) দেখা করতে যেতেন, সেই গোত্রের ইতিহাস আবু বকর আগে থেকেই নবীকে (সঃ) শুনিয়ে দিতেন, যাতে তাঁর কথোপকথনে সুবিধা হয়। ভাল করে লক্ষ্য করুন, আল্লাহর নবী ইসলাম প্রচার করতে যাচ্ছেন, সেখানে তাঁর কোন আবু বকর উমার বা অন্য কারোর সাহায্যের প্রয়োজন হচ্ছে না। প্রয়োজন হচ্ছে কোথায়? গোত্রের ব্যাকগ্রাউণ্ড হিস্ট্রি জানতে, এবং সেখানে তিনি আবু বকরের সাহায্য নিয়েছেন। কারন, আবু বকর এই বিষয়ে তাঁর চেয়ে পন্ডিত ব্যক্তি ছিলেন।
আরেকটা উদাহরণ দেই।
বদরের যুদ্ধ ময়দানে নবী (সঃ) এক বিশেষ স্থানে অবস্থান নেন। দলে উপস্থিত এক সাহাবী জিজ্ঞেস করেন, "এটি কী আপনার নিজের সিদ্ধান্ত, নাকি আল্লাহর নির্দেশ?"
নবী (সঃ) বলেন, "আমার সিদ্ধান্ত।"
যুদ্ধবিদ্যায় অভিজ্ঞ সাহাবী বলেন, "তাহলে ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমার মনে হয় আমাদের আরেকটু এগিয়ে অবস্থান নেয়া উচিৎ, যাতে শত্রুপক্ষ পানির কুয়ার দখল নিতে না পারে।"
নবীর (সঃ) এই পরামর্শ পছন্দ হয়। এবং তিনি সেই পরামর্শ গ্রহণ করেন।
খন্দকের যুদ্ধের ঘটনাও নেয়া যাক। কুরাইশরা যখন গোটা আরবের প্রতিটা গোত্রকে কনভিন্স করে ফেলেছে মুসলিমদের একদম জড় থেকে উপড়ে ফেলতে হবে, এবং বিরাট সেনাবাহিনী নিয়ে মদিনার পথে রওনা হয়ে পড়ে, তখন মদিনার মুসলিমদের মনে স্বাভাবিকভাবেই আতংক ছড়িয়ে পড়ে। কারন শত্রু সেনা সংখ্যা দশ হাজারের বেশি। আর মুসলিম নারী, শিশু, বৃদ্ধ সহ সব মিলিয়ে দুই হাজারও না। এত বিপুল সংখ্যক সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ময়দানে গিয়ে লড়তে যাওয়া মানে আত্মহত্যা। আবার শহরে ঢুকে পড়লেও রক্তের নহর বইবে। এই ক্ষেত্রে কী করা যায়, সেই পরামর্শ চাইলেন সাহাবাদের কাছে। ভাল করে লক্ষ্য করুন, আল্লাহর নবী (সঃ), বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ইসলামী আলেম, যুদ্ধের সময়ে কী করা উচিৎ সেটার পরামর্শ অভিজ্ঞ সাহাবীদের কাছে জানতে চাইলেন।
এরপরের ঘটনা আমরা সবাই জানি। সালমান আল ফারিসি (রাঃ) বলেন, তাঁর অঞ্চলে (পারস্য) খন্দক খনন করে শত্রুকে রুখে দেয়ার রীতি চালু আছে।
নবী (সঃ) সাথে সাথে এই পরামর্শ গ্রহণ করলেন। আবারও লক্ষ্য করুন, আল্লাহর রাসূল, কাফির কুফফারদের যুদ্ধরীতির টেকনিক/টেকনোলজি গ্রহণে পিছপা হননি। কারন, তখন এটাই একমাত্র খোলা পথ। তাৎক্ষণিক নির্দেশ দিলেন, মদিনার প্রবেশদ্বারে খন্দক খনন শুরু করা হোক। শত্রুপক্ষ আসার আগেই যেন গর্ত খোঁড়া হয়ে যায়।
এইরকম আমরা দেখতে পাই, সিরাতুন্নবীর নানান মোড়ে আমাদের রাসূলুল্লাহ (সঃ) নানান ব্যক্তির কাছে পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। যারা এইসব দুনিয়াবী ব্যাপারে তাঁর চেয়ে অভিজ্ঞ। হ্যা, দ্বীনের ব্যাপারে, তিনি কখনই কারোর কাছে যাননি। সেটা সরাসরি আল্লাহর সাথে তাঁর যোগাযোগ। তিনি কাউকে জিজ্ঞেস করেননি পানি নেই, নামাজের সময় চলে যাচ্ছে, এই অবস্থায় ওযু কিভাবে করবো? বরং, এইসব প্রশ্ন লোকে তাঁর কাছে করেছে। কিন্তু যখন দুনিয়াবী সমস্যায় পড়তে হয়েছে, আল্লাহর কাছে ভরসার পাশাপাশি তিনি এইসব বিষয়ে অভিজ্ঞ লোকদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন।
এই পর্যন্তও সবাই ক্লিয়ারতো?
এখন আমাদের দেশের সমস্যা হচ্ছে, লোকে একজনের মধ্যেই সবকিছু দেখতে চায়। যেমন, একজন হুজুরকে জিজ্ঞেস করবে, হুজুর, করোনা হলে কী করবো?
হুজুর কি উত্তর দিবে তার আগে বেকুব প্রশ্নকারীকে কানে ধরে উঠবস করানো উচিৎ। কারন, করোনা একটি শারীরিক ব্যাধি, এর চিকিৎসা ঔষধে, হুজুর কোন ডাক্তার নন (যদিনা মেডিক্যাল ডিগ্রি থাকে) কাজেই এমন আহাম্মকি প্রশ্নের মানে কি?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হুজুরেরও উত্তর হয় সেইরকম জঘন্য।
"এই দোয়া প্রতিদিন এতবার পড়ে ফুঁ দিবেন, ইন শা আল্লাহ, করোনা হবে না। হলে কুরআন মিথ্যা হয়ে যাবে।"
খাইছেরে! এই ধরনের কনফিডেন্সতো রাস্তার ট্রাফিক সিগনালে ট্রাফিক কন্ট্রোল করা ন্যাংটা পাগলেরও থাকেনা।
হুজুর, সে যদি সত্যিকারের আলেম হয়ে থাকে, তবে সে অবশ্যই বলবে, "দেখুন, আপনি দোয়া করতে পারেন, কিন্তু আপনাকে সুস্থ হতে হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। দোয়া, এবং "দাওয়া" একসাথে হতে হবে, এবং বাকিটা আল্লাহর হাতে।"
এই বিনয়টাই আমরা দেখিনা। উল্টা অহংকারী হুজুরকে বলতে শোনা যায়, "ওরা আমাদের কুরআন থেকে ফর্মুলা চুরি করে ফেলেছে। একেকটা মহাচোর! বাটপার!"
হাদিসে আছে মধু আর কালিজিরায় শিফা আছে, তাই ক্যান্সার হলে আপনি মধু আর কালিজিরা খেলেন, কোন কেমো থেরাপি, কোন ওষুধ খেলেন না - এই শিক্ষাতো ইসলাম আপনাকে দিচ্ছে না। মাথায় রাখুন, চৌদ্দশো বছর আগে ওষুধপত্র ছিল না। তখন কিছু জটিল রোগে লোকে উটের পেশাবও খেত। এখন বিজ্ঞান অনেকদূর এগিয়েছে। কোটি কোটি বিজ্ঞানী গবেষণা করে ওষুধগুলো বানিয়েছে। আপনি আদর্শ মুসলিম হলে অবশ্যই এর এডভান্টেজ নেবেন। আমাদের নবী (সঃ) এই যুগে জন্মালে এমন নির্দেশই তিনি দিতেন। কালিজিরা-মধু আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে, কিন্তু পোলিও, জলাতংক ইত্যাদি ঠ্যাকাতে আপনাকে ভ্যাকসিন নিতেই হবে। বুঝাতে পারছি? নাকি তর্ক করতে চান?
একজন আমাকে বললেন, "করোনায় মৃতের জানাজা কেউ ছুঁয়ে দেখছে না। অথচ মৃতের শরীর থেকেতো ভাইরাস ছড়ায় না। এই সম্পর্কে কোন হাদিস আছে কিনা।"
দেখুন, এই বিষয়ে ইসলামকে অবশ্যই ডাক্তার/বিজ্ঞানীদের সাথে হাতে হাত ধরে চলতে হবে। কারন বিজ্ঞানীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে এর গবেষণায়। ওরা যদি বলেন, করোনা আক্রান্তের শবদেহ ছোঁয়া যাবেনা, তাহলে অবশ্যই সেই শরীর ধরতে যাবেন না। ইসলাম আপনাকে বাধ্য করেনা। জানেন নিশ্চই, যুদ্ধক্ষেত্রের শহীদের গোসলের প্রয়োজন নেই, তাঁকে তাঁর পোশাকেই, রক্তাক্ত দেহেই আপনি কবরে শোয়াতে পারবেন। কেয়ামতের দিন, এই রক্তের কারণেই তাঁর শরীর হবে মৃগনাভির চেয়েও সুগন্ধময়। হাদিসের কথা।
যদি বলে জানাজা পড়া যাবেনা (এখনও বলেনি) তাহলে জানাজা পড়া জরুরি নয়। কারন শহীদের জানাজার প্রয়োজন হয়না। বদর, ওহুদ ইত্যাদি যুদ্ধের শহীদদের জানাজার নামাজ হয়নি।
যদি বলে কবরের স্থান হচ্ছে না, গন কবর দিতে হবে। তাহলেও সমস্যা নেই। কারন ওহুদের যুদ্ধে, ইয়ামামার যুদ্ধে একই কবরে একাধিক শহীদের লাশ দাফন করা হয়েছিল।
দেখুন, ইসলাম ধর্ম অনেক অনেক অনেক সহজ একটি জীবন ব্যবস্থা। আমরা জানিনা বলেই শুধু শুধু কঠিন করে তুলি। এই যে জুম্মার কথাই ধরা যাক, ইসলামে আমাদের বাধ্য করছে না ইমার্জেন্সি পিরিয়ডে মসজিদে গিয়ে জামাতে দাঁড়াতে। বরং নিয়ম আছে, বাড়িতে অবস্থান করে নামাজ আদায় করতে। হ্যা, যখন সবকিছু সুস্থ স্বাভাবিক, তখন যেকোন নামাজ জামাতে আদায় না করার জন্য আল্লাহ প্রশ্ন করবেন। আমরা করছি ঠিক এর উল্টা। আমরা যখন স্বাভাবিক জীবন থাকে, তখন জোহরের নামাজে এক আধ কাতারের বেশি মানুষ জামাতে দাঁড়াই না। এখন যেহেতু ইমার্জেন্সি পিরিয়ড, এখন আমাদের ধর্মীয় চেতনা বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে। কেরানীগঞ্জে এক করোনা রোগী যেমন জামাতে নামাজ আদায় করায় এখন গোটা শহর লকডাউন করতে বাধ্য হয়েছে। এইসব বেয়াক্কেলামির ফলেই। দিল্লির তাবলীগ পার্টি কি কেয়ামত নামিয়ে ফেলেছে সেটাতো এখন সবাই জানেনই। তারপরেও আক্কেল না হলে কিছু বলার নেই।
তা যা বলছিলাম, ইসলামের অনেক শিক্ষার একটি শিক্ষা হচ্ছে, দ্বীনের পরামর্শের জন্য আপনি আলেমের দ্বারস্থ হতে পারেন। আপনার প্রশ্ন হবে দ্বীন কেন্দ্রিক। বেতের নামাজে দুয়া কুনুত পারেন না, কি করতে হবে। নামাজে দাঁড়াতে হলে নিয়্যত কি আরবীতেই পড়তে হবে? কুরআন সঠিক তাজউইদ কোত্থেকে শিখতে পারেন ইত্যাদি। জ্বর এসেছে, প্যারাসিটামলের দাম পাঁচ টাকাও না, সরকারি ডাক্তার ফ্রিতে চেকাপ করে দিচ্ছেন, তারপরেও হুজুরের কাছে পানি পড়া নিতে যাওয়াটা আহাম্মকি। হুজুর সূরা ফাতেহা পড়ে আপনার পানিতে ফু দিবে, যেটা আপনি নিজে পাঠ করলে আপনার নিজের সোয়াব বেশি হতো। কমন সেন্স এপ্লাই করেন ভাই।
বিয়েতে বনি বনা হচ্ছেনা, দৌড়ালেন হুজুরের কাছে। উনিতো ম্যারেজ কাউন্সিলর না। ফলে হয় তালাক হয়ে যাচ্ছে, নাহয় অসুখী জীবন টানতে হচ্ছে। আরে ভাই, প্রফেশনাল কাউন্সিলররা বসে আছেন আপনাদের বিয়ে বাঁচাতে। তাঁদের পরামর্শ নিন।
অথবা এই যেমন এখন, করোনা ভাইরাসের ফর্মুলা স্বপ্নে পেলেন একজন, সেটা বললেন হুজুর, এই নিয়ে আপনারা আনন্দে গদগদ হয়ে গেলেন। আরে ভাই, কোটি কোটি ডলার ব্যয় হচ্ছে, বিজ্ঞানীরা লম্বা লম্বা শিফটে কাজ করে যাচ্ছেন, এক চরম ঘোড়দৌড় চলছে গোটা বিশ্বব্যাপী কে কার আগে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে পারবে, এমন মুহূর্তে একদল গোমূত্র পান করছে, একদল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরামর্শ গ্রহণ করে বিষক্রিয়ায় মারা গেছে, আরেকদল থানকুনি পাতা খেয়ে ভাইরাস মারার চেষ্টা করছে , এইসব কি ভাই?
এতদিনে যা সর্বনাশ করার করে ফেলেছেন। এখনও যদি আক্রান্ত না হয়ে থাকেন, তবে এখনও সময় আছে নিজেদের বাঁচাবার। দয়া করে, যখন শুনবেন কোন বৈশ্বিক মহামারী ধেয়ে আসছে, তখন দয়া করে এই ব্যাপারে এক্সপার্টরা কি বলে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিবেন। আপনি যদি বাংলা সাহিত্য শিখতে আইনস্টাইনের কাছে যান, এবং আপেক্ষিক তত্ব বুঝতে রবীন্দ্রনাথের কোচিং করেন, আপনার ফেল হওয়া আটকাবে কার সাধ্য?
আরেকটা ব্যাপার, "আল্লাহর উপর ভরসা আছে" বলে এমন কিছু করতে যাবেন না যা জীবন মরনের প্রশ্ন না। "আল্লাহর উপর ভরসা আছে" বলে আপনি পিপিই শরীরে প্যাঁচিয়ে মানুষের চিকিৎসায় যেতে পারেন, কিন্তু মোড়ের দোকানে চা খেতে যেতে পারেন না। সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকেতো অবশ্যই, ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকেও আপনার অপরাধ দন্ডনীয়। শরিয়া আইন অনুযায়ী অন্যের জীবন ঝুঁকিতে ফেলার অপরাধে আপনাকে বেত্রাঘাত করা উচিৎ। আফসোস। সেটা সম্ভব হচ্ছে না। আপাতত বাংলাদেশে ইমিডিয়েট বেসিসে ১৪৪ ধারা জারি হওয়া জরুরি। নিউইয়র্কের অবস্থা দেখছেন? গোটা আমেরিকার অবস্থা আগামী কয়েকদিন শুধু দেখে যাবেন। আর শুধু মনে রাখবেন, আমেরিকান চিকিৎসা ব্যবস্থার ১%ও বাংলাদেশে নেই। এরপরেও আমাদের এই অবস্থা। তাহলে বাংলাদেশে কি হবে। ইয়া নফসি ইয়া নফসি পড়ার এখনই সময়।
২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯
এপোলো বলেছেন: পোস্টের মূল বিষয়বস্তু খুব সময়োপযোগী। পড়ে ভাল লাগল। আল্লাহতায়ালা অবুঝ "জ্ঞানী" দের বুঝ দিক।
৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩২
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: হাদিসটি মুসলিম শরীফের তুলে ধরছিঃ পরিচ্ছদঃ ৩৮. শারীআত হিসেবে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা আদেশ করেছেন তা পালন করা ওয়াজিব আর পার্থিব বিষয়ে তিনি যে অভিমত ব্যাক্ত করেছেন তা পালন করা ওয়াজিব নয়।
৬০২১-(১৪০/২৩৬২) আবদুল্লাহ ইবনু রূমী ইয়ামামী, ‘আব্বাস ইবনু ‘আবদুল আযম আম্বারী ও আহমাদ ইবনু জাফার মাকিরী (রহঃ) ..... রাফি ইবনু খাদীজ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাদীনায় আসলেন। সে সময় লোকেরা খেজুর বৃক্ষ তাবীর করত। বর্ণনাকারী বলেন, অর্থাৎ- খেজুর বৃক্ষকে পরাগায়ন করাত। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা কি করছ? তারা বলল, আমরা তো এমন করে আসছি। তিনি বললেন, (আমার মনে হয়) তোমরা এমন না করলেই ভাল হয়। তাই তারা তা ছেড়ে দিল। আর এতে করে খেজুর ঝরে পড়ল কিংবা বর্ণনাকারী বলেছেন, তার উৎপাদন হ্রাস পেল।
বর্ণনাকারী বলেন, মানুষেরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এ ঘটনা ব্যক্ত করল। তখন তিনি বললেন, আমি তো একজন মানুষ মাত্র এতে কোন সন্দেহ নেই। দীনের ব্যাপারে যখন তোমাদের আমি কোন নির্দেশ দেই তোমরা তখন তা পালন করবে, আর যখন কোন কথা আমি আমার ধ্যান-ধারণা থেকে বলি, তখন (বুঝতে হবে) আমি একজন মানুষ মাত্র। বর্ণনাকারী ইকরামাহ্ (রহঃ) বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুরূপ বলেছেন। আর মা'কিরী (রহঃ) নিঃসন্দেহে শুধু নাফাযাত’ (ঝরে পড়ল) বলেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৯১৫, ইসলামিক সেন্টার ৫৯৫৩)
অন্য এক বর্ণনায় এভাবে হাদিসটি এসেছেঃ
৬০২২-(১৪১/২৩৬৩) আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ ও আমর আন্ নাকিদ (রহঃ) ..... আয়িশাহ্ (রাযিঃ) হতে বিভিন্ন সানাদে আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যারা খেজুর বৃক্ষ তাবীর করত এদের কতক ব্যক্তির নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বললেন, এটি যদি না করতে তাহলে তোমাদের ভাল হতো। লোকেরা বিরত থাকল। এতে চিটা খেজুর উৎপন্ন হলো। তারপরে কোন এক সময় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি প্রশ্ন করলেন, তোমাদের খেজুর বৃক্ষের কি হলো? ব্যক্তিরা বলল, আপনি এরূপ এরূপ বলেছিলেন (সেটি করায় এমন হয়েছে)। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাদের দুনিয়ারী ব্যাপারে তোমরাই ভাল জানো। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৯১৬, ইসলামিক সেন্টার ৫৯৫৪)
এ হাদিসে রাসুল সাঃ এই উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন যে, দুনিয়ার বিষয়ে আমাদের জ্ঞানকে কাজে লাগানো জন্য তবে ইবাদতের ক্ষেত্রে না। কারণ ধর্মের বিষয়ে রাসুল সা যা বলতেন তা আল্লাহ প্রদত্ত। দীনের ক্ষেত্রে আল্লাহর একচ্ছত্র ক্ষমতা তা রাসুল সা.কে উনি দেননি লক্ষ্য করুন সুরা আল হাক্বক্বাহ ৪৪-৪৮ “সে যদি আমার নামে কোন কথা রচনা করত, তবে আমি তার দক্ষিণ হস্ত ধরে ফেলতাম, অতঃপর কেটে দিতাম তার গ্রীবা। তোমাদের কেউ তাকে রক্ষা করতে পারতে না। এটা খোদাভীরুদের জন্যে অবশ্যই একটি উপদেশ”।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: রাস্তায় গান গাওয়া নিয়ে গতরাতে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৫০।
বলতে হবে কোন এলাকার ঘটনা?