নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাঝে দিয়ে বহাল তবিয়তে রাজত্ব করছে ও করবে করোনা।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৪১

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সেদিনের বক্তব্যে জনগণ খুশি হলেও ডাক্তাররা খুব ক্ষেপেছেন।

জনগনের খুশির কারন হচ্ছে, এরা কোন এক বিচিত্র কারনে ডাক্তার সম্প্রদায়কে দেখতে পারেনা। কসাই ডাক্তার কসাই ডাক্তার বলে বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলে। এরা ফেসবুক স্ট্যাটাসে দোয়া করে যাতে দেশের সব ডাক্তারের করোনা হয় এবং ওরা পটল তুলে। গাধী এইটা মাথায় আনেনাই যে এরপরে তার নিজের রোগ বালাই কে দেখা শোনা করবে।
আবার ছোটবেলা থেকে এরাই বাচ্চাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয় হয় ডাক্তার অথবা ইঞ্জিনিয়ার, দেশে এ ছাড়া আর কোন পেশাই নেই। জোর করে সায়েন্স পড়ানো হয়, জোর করে বায়োলজি শেখানো হয়, জোর করে মেডিকেল কোচিংয়ে পাঠানো হয়। হাজারে হাজার টাকা ঢালার পরে যদি বাচ্চা মেডিকেলে চান্স না পায়, তখন পাছায় বেত্রাঘাত করা হয়। আমার মাথায় ঢুকে না, কসাই বানানোর পেছনে এত আবেগ কেন জড়িত? নাকি, যেহেতু নিজেরা, বা নিজের ছেলেমেরা কসাই হতে পারেনি, এই জেলাসি থেকেই ফ্রাসট্রেশন?

ডাক্তারদের ক্ষেপার কারন হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী, যিনি দেশের অভিভাবক, সর্বোচ্চ পর্যায়ে বসে যিনি বক্তব্য দেন, যার উচ্চারিত প্রতিটা শব্দের গুরুত্ব অপরিসীম, তাঁর কথা থেকেই স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে তিনি কোন ডাক্তারের সাথে কথা না বলেই এমন কথা বলেছেন। আর যদি তিনি কোন ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে থাকেন, তাহলে সেটি কোন তেলবাজই হবে, যে প্রধানমন্ত্রীকে সেটাই শোনায় যা তিনি শুনতে চান।
আমরা ছোটখাটো জনতা, ছোট মুখে বড় কথা হয়ে যাবে, তবে নিজের বিচার বিবেচনা দিয়ে কিছু কথা বলি। কেউ যদি মনে করেন আমি ভুল, তবে অবশ্যই এ নিয়ে নিজের যুক্তি তর্ক তুলে ধরতে পারেন। তবে, আমি যেহেতু বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলছি, আপনারাও বর্তমান পরিস্থিতির উপরই নিজেদের যুক্তিতর্ককে সীমাবদ্ধ রাখবেন। ব্রিটিশ আমলে কোন ডাক্তার কি করেছিল, সেটা এখানে টানাটানি করবেন না প্লিজ।
তা যা বলছিলাম, সত্য হচ্ছে, করোনা ভাইরাস সম্পর্কে এখনও আমাদের অনেকেরই বিন্দুমাত্র ধারণা নেই। তাই এর ভয়াবহতা আঁচ করতে পারছি না। এটি কোন সর্দি জ্বর না, এটি ক্যান্সারের মতন জিনগত রোগও না। এটি ভয়াবহ ছোঁয়াচে। দাবানলের মতন দ্রুত ও ভয়ংকর গতিতে এটি জনপদে ছড়াতে পারে। আগে শোনা যাচ্ছিল এ কেবল বয়স্কদের যমদূত, এখন বিশ্বব্যাপী অনেক তরুণ যুবক যুবতী এমনকি শিশুও এর হাতে প্রাণ হারাচ্ছে। যেকোন দেশের স্ট্যাটিস্টিক্স দেখুন। ফেব্রুয়ারিতে গোটা আমেরিকায় কয়টা করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল বলতে পারেন? ঠিক এক মাস আগে, মার্চের আট তারিখে গোটা আমেরিকায় মোট করোনা রোগী সংখ্যা ছিল ৪২৩. আজকে (এপ্রিলের আট) এক মাস পরে সেই সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল কেবল চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে আঠারোশো লোক এই রোগে পরপারে যাত্রা করেছেন। কেবল মাত্র এক দিনে আঠারোশো লোক এক দেশ থেকেই মারা গেছে! এবং দুঃখের সংবাদ হচ্ছে, সামনে আরও কঠিন দিন আসছে। এখনও গোটা দেশে ছড়ায়নি, কেবল দুয়েকটা শহরে মহামারী আকার ধারণ করেছে এতেই এই অবস্থা। যখন দেশব্যাপী ছড়াবে, দিনে আঠারো হাজার মানুষ মরলেও আমরা বলবো আলহামদুলিল্লাহ, এত কম সংখ্যার জন্য। জ্বি, আমি কথা বলছি মানব ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী, সবচেয়ে সম্পদশালী, সবচেয়ে আধুনিক রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে। এই দেশেরই এই অবস্থা। সেই তুলনায় বাংলাদেশের কথা চিন্তা করতেও ভয়ে আঁতকে উঠছি। তারপরেও যারা ট্রেনের ভিড়ে দাঁত ক্যালিয়ে ভিডিও তৈরী করে বলে যে, "করোনা ভাইরাস! তুমি কী বা*টা ফালাবা। হেহেহে। করোনা ভরে দিবে, এদেশে করোনা চলবে না।" (সংগৃহিত ভিডিও) ওদের আর কি বলবেন? সময়ই বলে দিবে কে কাকে ভরবে।

প্রতিদিন এই এক বিষয় নিয়ে ঘ্যান ঘ্যান করতে আমারও ভাল লাগেনা। কিন্তু সারাটাক্ষন মন অস্থির হয়ে থাকে। আমি সবুজে ঘেরা বেহেস্তের কাছাকাছি একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে দেখে অভ্যস্ত। আমাদের মানুষের ভিড়, আমাদের জনতার কোলাহলই আমাদের প্রাণশক্তি। সেই দেশটিকে শ্মশান হতে দেখতে চাই না। কিন্তু এখন সেই সম্ভাবনা আমাদের দুয়ারে কিল মারছে। নরকের দুয়ার খুলে গেছে, সেখান থেকে ভেসে আসা হাওয়ায় পুড়ে যাচ্ছে স্বর্গের ফুল। এইটা এখনও যারা উপলব্ধি করতে পারছেন না, তাঁদের প্রতি করুণাই হয়।
তাই আমরা দেখি করোনা রোগের স্পষ্ট লক্ষণ নিয়েও রোগী মিথ্যাচার করে হসপিটালে ভর্তি হয়। নিজের পাশাপাশি ডাক্তার নার্স এবং অন্য রোগীদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে। এমনিতেই আমাদের দেশে যথেষ্ট ডাক্তার নেই। কয়েক হাজারে বোধয় একটি হবেন। তার উপর অসংখ্য ডাক্তার আছেন যারা ফেসবুকে, ইউটিউবে, টিভিতে হিট হবার আশায় উল্টাপাল্টা বক্তব্য দিয়ে বেড়ান। হাতুড়ে চিকিৎসা করেন। সেগুলোকে বাদ দিন। তাহলে ভাল ডাক্তারের সংখ্যা কত? এর মাঝে যদি একজনও অসুস্থ হয়ে চৌদ্দদিনের জন্য ময়দান থেকে বিদায় নেন, তাহলে আমাদের শক্তি কতখানি হ্রাস পাবে বুঝতে পারছেন? এখন এইটাও বিবেচনায় রাখতে হবে, দেশে কেবল একটাই রোগ হচ্ছে না। অন্যান্য রোগও সমান তালেই সক্রিয় আছে। যে শ্বাসকষ্টের রোগী, যে কিডনি রোগী, যে উচ্চরক্তচাপের রোগী, হৃদপিণ্ডের রোগী, ডায়াবেটিক রোগী, গর্ভবতী নারী আরও ইত্যাদি যাবতীয় রোগের রোগী, যাদের ডাক্তারি পরামর্শ ও চিকিৎসার প্রয়োজন, তাঁরা কেন মাঝে দিয়ে ডাক্তারহারা হবেন? কয়েকজন ডাক্তার ইতিমধ্যেই করোনায় মারা গেছেন। এদের অভাব পূরণ করবে কে? জীবনতো আর হিন্দি সিরিয়াল না যে সাধারণ গৃহবধূ অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে সিঁদুরের শক্তি দেখিয়ে থাবড়ে থুবড়ে কথার জোরে মৃত স্বামীর প্রাণ ফিরিয়ে আনবে। ডাক্তারের পাশাপাশি গোনায় ধরুন নার্স থেকে শুরু করে চতুর্থশ্রেণীর কর্মচারী এবং হাসপাতালের প্রশাসনের সবাইকে। একজন রোগীর জন্য একটি হসপিটাল যদি লকডাউন হয়, তাহলে কি অবস্থা হবে কল্পনা করছেন?
আর যদি একজন করোনা রোগী কোনভাবে জেনারেল ওয়ার্ডে প্রবেশ করে, তখন যে কী কেয়ামত হবে সেটা ভাবতেও চাই না। কয়েকদিনের মধ্যেই বাংলাদেশ কবরখানা হয়ে যাবে এইটা নিশ্চিত।
আমরা হচ্ছি সেই জাতি যারা করোনা আক্রান্ত হলে প্রথমেই চিন্তা করবো মসজিদে জুম্মাবারে গিয়ে তওবা করতে হবে। সামনে আসছে শবে বরাতের রাত্রি, জামাতে দাঁড়িয়ে কান্নাকাটি করবো আল্লাহর দরবারে। অথবা মাজারে মাজারে, ভিড়ে ঠ্যালা ঠ্যালি করে ভাইরাস বিতরণ কর্মসূচিতে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করবো। এতে যে হাজারখানেক ভাইকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিব, তা আমরা বিবেচনাতেই আনবো না। যেমন গত কয়েকদিন আগে এক বৃদ্ধ মারা গেলেন, তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েই জুম্মায় গেছেন, ওরসেও গেছেন। সেই ওরসে বিশ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এরাই মেডিকেলে ভর্তির জন্য জেনে শুনে মিথ্যাচার করে। কাশি আটকে রাখে, জ্বর চাপা দেয়ার চেষ্টা করে। কিভাবে ডাক্তাররা এদের বিশ্বাস করবে? আমাকে একটা যুক্তি সঙ্গত কারন বলেন, প্লিজ।

চীনে করোনা পেশেন্টদের কিভাবে ট্রিট করা হয়েছে একটু দেখুন। স্ট্রেচারে উঠানোর আগে ওদের একটা প্লাস্টিকের ব্যাগে ঢুকানো হয়েছে। ঝিপ লক্ড ব্যাগ, এয়ার টাইট। বাইরের কোন জীবাণু ভিতরে ঢোকা না ঢোকার আগে চিন্তা হচ্ছে ভিতরের কোন জীবাণু যেন কোন অবস্থাতেই বাইরে না যায়। আমাদের দেশের মতন উন্মুক্ত স্ট্রেচারে করে রোগী বহন করেনা। ওদের ভাইরাসের রোগীকে দেখলেই বুঝবেন ক্রিটিক্যাল পেশেন্ট। আমাদের রোগী যেন কনভার্টিবল গাড়িতে চেপে পিকনিকে যাচ্ছে। দোষ দিয়ে লাভ নেই, স্বাস্থখাতে আমাদের বাজেটই এই। ডাক্তারকে পলিথিন প্যাঁচিয়ে চিকিৎসা করতে হচ্ছে। অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে বড়লোকদের দান খয়রাতের উপর। আফসোস।
প্রধানমন্ত্রী যে বলেছেন প্রয়োজনে বিদেশী ডাক্তার আনবেন, বিদেশী নার্স আনবেন, এবং এই কথা শুনে জনগণ পুলকিত, তাঁরা দয়া করে একটু বিদেশী ডাক্তারের বাজেটটা হিসেব করুন। এক ডাক্তার ঠিকই বলেছেন, "দুই পয়সার পিপিই আনতে পাছার কাপড় উদাম হয়ে গেছে, বিদেশ থেকে ডাক্তার আনার খরচ টা কইত্থে আসবে, আমরা দেখতে চাই।"
প্রিয় জনতা, বাস্তবতায় ফিরুন। এই যুদ্ধে ডাক্তার সম্প্রদায়কে নিজের শত্রু বিবেচনা করলে খুব বাজে ভাবে হারবেন। সে যার কথাতেই হোক না কেন।
যাই হোক, যেসব রোগীদের সাধারণ হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে, ডাক্তারদের গালাগালির আগে অবশ্যই আমাদের মাথায় আনতে হবে সেইসব সাধারণ রোগীদের কথা, যারা সেইসব হাসপাতালে ইতিমধ্যেই ভর্তি আছেন। কেবলমাত্র একজন রোগীর কারনে সবাই মারা যাবেন। এই ভাইরাস যেকোন রোগকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রাণঘাতী বানিয়ে দিতে পারে, এইটা নিশ্চই এতদিনে সবাই জেনে গেছেন? ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই আইসিইউতে নিয়ে গেল কারন লোকটা একটু মোটা বলে। এছাড়া তার আর কোনই শারীরিক সমস্যা ছিল না। তাহলে যাদের শরীরে এমনিতেই রোগ ব্যাধি আছে, তাঁদের কী হাল করবে সেটা সহজেই অনুমান করতে পারার কথা।
আরেকটা বিষয়। করোনা আমাদের দেশে অনেক অনেক পরে এসেছে। চীন থেকে শুরু হয়ে সেটা মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়েছে, ইউরোপে ছড়িয়েছে, আমেরিকায় এসেছে, এরপরে আমাদের দেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হয়েছে। আমাদের হাতে আড়াই থেকে তিনমাস সময় ছিল, আমরা তেলবাজি করেছি।
"প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকতে আমাদের কোন ভাইরাস নিয়ে চিন্তা নেই।"
"আমরা ইউরোপ আমেরিকা থেকে বেশি প্রস্তুত।"
"এইটা সামান্য রোগ, একে আপনারা (মিডিয়া) বেশি বেশি হাইপ বাড়াচ্ছেন।"
"বিএনপি করোনার ব্যাপারে আতংক ছড়াচ্ছে।"
এইসব আমাদের নেতাদের মুখনিঃসৃত বাণী।
ধর্মব্যবসায়ী হুজুররা ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশে করোনা আসবেনা, কারন ওটা চীনাদের জন্য গজব, ওটা ইহুদিদের জন্য গজব, আমরা মুসলমান, আমাদের কিছুই হবেনা। মুসলিমরা কেউ আক্রান্ত হলে কোরআন মিথ্যা হয়ে যাবে।
এক ডাক্তার সাহেব ভিডিও সিরিজ বানালেন তেইশ ডিগ্রির উপরে এই রোগ ছড়ায় না। ছড়ানো শুরু করতেই তিনি ঢালাওভাবে সবাইকে ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে শুরু করলেন। এইটা যে কত বড় আহাম্মকি, সেটা যেকোন ডাক্তার জানেন। যেকোন ওষুধ দেয়ার আগে প্রথমে জানতে হবে রোগীর কোন মেডিসিনে/কেমিক্যাল এলার্জি আছে কিনা। কারন অনেক সময়েই এগুলো প্রাণঘাতী হয়ে দেখা দেয়। এইটা ডাক্তারি বিদ্যার এবিসিডি। এই কাজটা যে করেনা, সে ডাক্তারই না। তার কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়ে নিজের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলবেন না।

দেখুন, এই ধরনের মহামারীর বিরুদ্ধে লড়তে আপনার টাকার গরমের প্রয়োজন নেই। আমেরিকা, ব্রিটেন, ইউরোপ, মিডলইস্ট ও চীনারা টাকার পাহাড়ের উপর শুয়ে আছে, তারপরেও এর বিরুদ্ধে কিচ্ছু করতে পারেনি। এদিকে ভিয়েতনামকে দেখেন। আমাদের মতোই ফকির, কিন্তু ওদের দেশে একটিও করোনা মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। একটা মাত্র বদমাইশ পেশেন্টের বদমাইশিতে ওদের রোগী সংখ্যা আড়াইশোতে গেছে। নাহলে ওরা কনফিডেন্ট যে সেই সংখ্যা তিরিশ চল্লিশের বেশি উঠতে দিত না। কিভাবে এটি সম্ভব হয়েছে? না, ওরা টেস্ট ঠিকই করছে। পাশাপাশি ওরা আমাদের মতন তেলবাজি করে বেড়ায়নি। ওরা ধর্ম ব্যবসা করেনি। স্বপ্নে প্রাপ্ত করোনা ইন্টারভিউ ও ফর্মুলা নিয়ে স্টান্টবাজি করেনি। ওদের কোন ডাক্তার ভিডিও বানিয়ে লাইক কামানোর ধান্দা করেনি। কেবলমাত্র সচেতনতা এবং রোগকে প্রতিহত করে করে ওরা মৃত্যুদূতকে বলে দিয়েছে, "Not today."
আমরা ওদেরকে রোল মডেল হিসেবে নিতে পারতাম। আমরা তাইওয়ান থেকে শিক্ষা নিতে পারতাম। সেখানেও এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আছে। আড়াইটা মাস আমাদের হাতে সময় ছিল। আমরা আশেপাশে দেখে যেকোন একজনের খাতা দেখে পরীক্ষা দিলেই পাশ করে ফেলতাম। এই পরীক্ষায় নকল করা জায়েজ। এই পরীক্ষায় নকল করে জিপিএ ফাইভ পাওয়া অবশ্য কর্তব্য। আমরা ভয়াবহভাবে ফেইল করেছি। এখন হাত কামড়ে কিচ্ছু হবেনা।
জার্মানির অর্থমন্ত্রী এই দুর্যোগে ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে আত্মহত্যা করে।
আমাদের জনগণ ও সরকার আপাতত উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে কিভাবে চাপানো যায় সেই ধান্দায় ব্যস্ত। এ বলবে ও কেন এই কাজটা করলো না, সে বলবে ও কেন করলো না। কেউ স্বীকার করবে না যে আমি আমার দায়িত্ব ঠিক মতন পালন করলাম না। মাঝে দিয়ে বহাল তবিয়তে রাজত্ব করছে ও করবে করোনা।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:০৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আপনার লেখার সাথে সহমত।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:১৪

বংগল কক বলেছেন: আমরা বলদ, কাজেই বলদামির ফলাফল পাইতে হবে।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: করোনা মহামারিকালে ডাক্তার-পুলিশ ও সাংবাদিকগণই এগিয়ে এসেছে। তাঁদের প্রতি রাষ্ট্র ও জনগণের কৃতজ্ঞতাবোধ থাকা উচিত।

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:০০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সহমত l

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৪৮

সোনালি কাবিন বলেছেন: :(

৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৩১

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আমাদের হাতে সুযোগ ছিল, আমাদের বুদ্ধি দিয়ে সেটা কাজে লাগাতে পারতাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.