নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
আমার বোন অস্ট্রেলিয়া থাকে। সিডনিতে। করোনা নিয়ন্ত্রণে ওদের কী করা হচ্ছে মাঝে মাঝে বলে। আমি শুনি আর আফসোস করি।
সবাইকে বাড়িতে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। কোন বাড়ির সামনে যদি অতিরিক্ত গাড়ি দেখে, পুলিশ এসে দরজা ধাক্কা দিয়ে জিজ্ঞেস করে, বাড়িতে পার্টি চলছে কিনা। যদি পার্টি চলে, তাহলে মোটা অংকের জরিমানা। এই মোটা অংক মানে কয়েক হাজার ডলার।
রাস্তায় এক গাড়িতে দুইজন যাত্রী দেখলেই পুলিশ গাড়ি থামিয়ে জেরা করে। উল্টাপাল্টা কিছু শুনলে মোটা অংকের জরিমানা।
আউটডোরে কোথাও কোন গ্যাদারিং করতে দিচ্ছেনা পুলিশ।
আরও অনেক কিছু। যা আমরা আমেরিকানরা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছি। যেকারনে এখন হাত কামড়ে লাশ গুনছি।
আমাদের কালো আমেরিকান সম্প্রদায় বিশ্বাস করতো, করোনা ওদের কিছু করতে পারবে না। কারন, ওদের চামড়া ভারী, ওদের ত্বকে মেলানিন আছে। ওদের মাস্কের প্রয়োজন নেই। উল্টো, কেউ মাস্ক পড়লে হাসি তামাশা করতো। এখন বুঝতে পারছে করোনা কি জিনিস। করোনা আক্রান্ত মৃতের মাঝে সিংহভাগই আফ্রিকান আমেরিকান সম্প্রদায়ের লোকজন। এখন আর ওদের মোটা চামড়া, ত্বকে মেলানিন থিওরি কোন কাজে আসছে না।
ধরা খেয়েছে আমাদের বাঙালিরাও। করোনা সংক্রমণের দিনেও এরা চায়ের দোকানে আড্ডা দিয়েছে, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক নানান দলের আড্ডাবাজি, মহড়া ইত্যাদি চলেছে। এমনকি করোনা থেকে মুক্তি পেতে বিরাট আয়োজন করে দোয়া মাহফিলের আয়োজনও করেছে। ইতিমধ্যেই বাঙালি কমিউনিটিতে দাবানল ছড়িয়ে গেছে। এখন শুধু দীর্ঘশ্বাস ফেলা।
সাদা চামড়ার লোকেরাও কম বেয়ারা নন। প্রথমে এরাও মিডিয়া হোক্স বলে উড়িয়ে দিল। যারা সতর্ক হচ্ছিল, তাদের উপর মহাবিরক্ত ছিল। WHO বিশ্ব মহামারী ঘোষণা করাতেও এদের অনেককে বিরক্ত হতে দেখেছি। আমার এলাকাতেই আছে এমন কিছু উজবুক। ইচ্ছা করে এমন সব কাজ করেছে যে এই রোগটি ছড়ানোর সুযোগ পেয়েছে। এখন কাতারে কাতারে মরছে। লাশের স্তুপ জমা হচ্ছে সর্বত্র। গোটা দেশে ছড়াচ্ছে।
আর বাংলাদেশের কথা কি আর বলবো। আমাদের সরকার "ছুটি" ঘোষণা করেছেন, তাই সবাই ছুটি পালনে ব্যস্ত। আড্ডাবাজি, সোশ্যাল গ্যাদারিং ঠিকই চালু আছে। বাড়িতে বোরিং লাগছে, তাই তিন বন্ধু মিলে মোটরসাইকেল চড়ে এলাকায় লীলা করতে বেরিয়ে পড়েছেন। চায়ের দোকানে চা খেতে খেতে আড্ডা দিতে বেড়িয়েছেন। ত্রাণের নাম করে লোকজন ছবির ফ্রেমবন্দি হবার ধান্দায় জড়োসড়ো হয়ে ছবি তুলছে। সাংবাদিকরাও গাদাগাদি হয়ে ক্যামেরা ক্লিক করছেন। কারোর মাথাতেই নেই করোনা ক্যামেরায় পোজ দিতে দাঁত ক্যালাবে না। সে ঠিকই তার কাজ চালিয়ে যাবে। হ্যা, গরিবদের সোশ্যাল ডিস্টেনসিং ঠিকই শেখানো হচ্ছে। ওরা সুশৃঙ্খলভাবে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ নিচ্ছেন।
মসজিদ বন্ধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে বাড়িতে নামাজ পড়তে। আমাদের ঈমানে লেগে গেল। আমরা শবে বরাতের রাতে বাড়ির ছাদে নামাজের আয়োজন করলাম। আহারে ঈমান! ধর্ষণের সময়ে, দুর্নীতির সময়ে, চিটারি বাটপারির সময়ে, ত্রাণ চুরি, নকল হ্যান্ডওয়াশ তৈরী, মিথ্যা বলার সময়ে যদি এই ঈমানটা দেখাতো - তাহলে আজকে আমাদের দেশ কোথায় চলে যেত! চোখে পানি চলে আসে!
যাই হোক, চিল্লায়ে লাভ নাই। ঈমান দেখতে থাকেন, আর লাশ গুনার প্রস্তুতি নেন। ভ্যান্টিলেটর কই? ডাক্তার কই? চিকিৎসা করলো না ক্যান? কবরে জানাজা হইলো না ক্যান? গণ কবর দিল ক্যান? দাফন করতে না পাইরা লাশ পুড়ায়া দিল ক্যান? এইসব প্রশ্ন যেই হারামজাদা করবে, তার মুখ বরাবর জুতা মেরে বলবেন, "হারামি কোথাকার। তুই সোশ্যাল ডিস্টেন্স মেইনটেইন করিস নাই ক্যান?"
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:০৭
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: এই যে গত তিন মাস ধরে যত সান্তনা এবং সাহস দিয়ে পোস্ট দিয়েছি, তখন কি আপনি ঘুমাচ্ছিলেন ভাই? বাঙালি জুতা না খাওয়া পর্যন্ত সোজা হয়না, এই হচ্ছে উপলব্ধি।
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১৯
ঊণকৌটী বলেছেন: অধিকাংশ মানুষ জানেনা তারা ভূল করছে। হয়তো সময় হারিয়ে বুজবে কিন্তু তখন দেরী হয়ে যাবে।
৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: আমি তো এতদিন আপনাকে বাঙ্গালী ভেবেছিলাম।
অথচ আপনি পোষ্টে বললেন- আপনি আমেরিকান।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:০৯
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: "আমেরিকান" বলতে দুনিয়ায় কারা আছে? দেশটাই ইমিগ্র্যান্টদের। সবাই আমেরিকান ইউরোপিয়ান, আমেরিকান আফ্রিকান, এশিয়ান আমেরিকান ইত্যাদি হয়ে থাকে।
৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৬
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: সময় থাকতে সিধান্ত নিতে হয়।
৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৭
ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: আপনার লেখার শেষ বাক্যটির সাথে একেবারেই একমত
৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৬
বংগল কক বলেছেন: ইমিউন সিসটেম বুষ্ট করার জন্য যা যা করা দরকার সব করতে হবে।
৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৮
সাইন বোর্ড বলেছেন: এ রোগ মহামারী আকারে ছড়ানোর জন্য আসলে মানুষই বেশী দায়ী ।
৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৩০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ঢাকা হতে করোনা নিয়ে গ্রামে চলে এসে মরার পর ডিসি জানে । সে ঢাকা হতে ২৪ তারিখে কিভাবে বাড়ি আসলো। এই দেশ
৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: We all know that people are the same wherever you go. There is good and bad in every one. We learn to live, we learn to give each other what we need to survive together alive. একটা গানের লাইন Paul McCartney " Ebony and Ivory".
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১৪
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: মানুষ সান্তনা দিন/ সাহস দিন।
দেশের করোনা মোকাবেলায় আপনার আমার ইতিবাচক ভূমিকা রাখা উচিত।
তেমন কিছু করে থাকলে পোস্ট দিয়ে জানাবেন প্লিজ।