নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
সবাই জানেন এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকরতম স্থানের নাম নিউইয়র্ক। একে করোনা ভাইরাসের "গ্রাউন্ড জিরো" বলা হচ্ছে। প্রতিদিন হাজারে হাজারে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, শয়ে শয়ে মারা যাচ্ছেন। গোটা আমেরিকা জুড়েই অবস্থা ভয়াবহ। এই কয়েক মাসেই যতজন মার্কিনি মারা গেছেন, আস্ত ভিয়েতনাম যুদ্ধেও ততজন মারা যাননি। একটি প্রেডিকশন বলছিল মৃতের সংখ্যা কয়েক লাখ হবে। ইতিমধ্যেই অফিসিয়াল হিসাব বাদে সেই সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলেছি কিনা কে জানে।
এখন এইসব সংখ্যা পরিসংখ্যানের খোঁজও নেই না। লাভ নেই খোঁজ নিয়ে। শুধু শুধু টেনশন বাড়ে। তবে সেদিন নিউইয়র্ক গভর্নর বললেন, ওদের মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। মানে প্রতি চারজনের আড্ডায় একজন ব্যক্তি থাকবেন করোনা রোগী। ভয়াবহ ব্যাপার!
গোটা আমেরিকায় এই অবস্থা হলে বিভীষিকা কল্পনাও করতে পারছি না। ইংল্যান্ডে এরই মাঝে গণ কবর শুরু হয়ে গেছে। আমাদের এখানেও তাই হচ্ছে বোধয়। কারন শেষ যখন নিউইয়র্কের খবর দেখেছিলাম, তখন ওদের লাশ রাখার স্থান ছিল না। মৃতের বাড়িতেই জিপ লকড ব্যাগে লাশ রেখে সিরিয়াল ধরিয়ে চলে যেত কর্তৃপক্ষ। আগের লাশেদের দাফন শেষ হলে এই নতুন লাশের কবর হবে। সেটা এক দুইদিনও লাগতে পারে।
এরই মাঝে বিপুল সংখ্যক আমেরিকান জনতা চাইছেন দোকান পাট খুলে দেয়া হোক। খোদ নিউ ইয়র্কেই এই দাবি উঠছে।
পুরো পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে মার্কিনিদের এই আহাম্মকীপনায় হতভম্ভ।
কিছু কারন অতি ফালতু হলেও অনেকের যুক্তিই যথেষ্ট শক্তিশালী। গোটা আমেরিকা, বিশেষ করে নিউইয়র্ক হচ্ছে স্মল বিজনেসের তীর্থভূমি। এখানে আপনি নিঃস্ব অবস্থায় এসে খানিকটা পরিশ্রম করে কিছুটা পুঁজি জমিয়ে নিজেই স্বাধীন ব্যবসা খুলে বসতে পারবেন। আপনার প্রতিভা থাকলে কেউ আপনাকে দমিয়ে রাখতে পারবেনা। সেটা রাস্তার ধারে জিলাপি বিক্রি করার থেকে শুরু করে টেক কোম্পানি পর্যন্ত যেকোন কিছুই হতে পারে। আজকের গুগল, ইয়াহু ইত্যাদি বড় বড় কোম্পানিগুলো গতকালকেই কারোর বাড়ির গ্যারাজে অফিস চালু করেছিল। সেই স্বপ্ন নিয়েই প্রতিদিন এই দেশে শয়ে শয়ে নতুন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জন্মলাভ করে। তা এই করোনা ভাইরাসের লক ডাউনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এইসব স্মল বিজনেস এন্টারপ্রাইজগুলোই। বড় বড় কর্পোরেশনের যথেষ্ট পরিমান এসেট থাকে। ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত লস তাঁরা অনায়াসেই কভার করতে পারে। ছোট ব্যবসাগুলোর সেই অবস্থা থাকেনা। এক দুইমাসের মন্দাতেই তাঁদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা হয়ে যায়।
এদের মধ্যেও বেশি ধরা খায় সিজনাল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো। ধরুন হ্যালোউইনকে কেন্দ্র করে এদেশে অনেকে ব্যবসা করেন, দোকানের নাম স্পিরিট। সেখানে ভূত, ভূতের পোশাক, হ্যালোউইনের যাবতীয় সরঞ্জাম পাওয়া যায়। সেপ্টেম্বর-অক্টবর মাসেই তাঁরা ব্যবসা করে, তারপরে গোটা বছর দোকান বন্ধ রাখা যা, খোলা রাখাও তা। দশ মাসে দশটা ট্রানজেকশন হলেও আলহামদুলিল্লাহ।
অনেকেই আছেন কেবলমাত্র ক্রিসমাসেই খেলনা বিক্রি করেন। পুরো বছর তাঁদের কোন ব্যবসা নেই, কেবল ক্রিসমাসের আগের এক দুইমাস দোকান বসিয়ে খেলনা বিক্রি করে পুরো বছরের ক্ষতির পরিমান পুষিয়ে নেন।
আবার কেউ কেবলমাত্র স্বাধীনতা দিবসে আতশবাজি বিক্রি করে পেট পালেন।
এইরকম বিভিন্ন সিজনে সিজনাল ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত দিয়ে বসে যেতে হয় করোনাকালে। কারন যদি কোনভাবে সিজন মিস হয়, তাহলে গোটা বছরের উপার্জন শেষ।
কাজেই একটা সিজন দোকান বন্ধ থাকাটা তাঁরা মেনে নিতে পারেন না।
একই ঘটনা ঘটছে এখন আমাদের বাংলাদেশে।
পহেলা বৈশাখ আমাদের অর্থিনীতিতে একটি বিরাট মার্কেট। করোনার কারনে এটি বন্ধ ছিল। ফলে কয়েকশো কোটি টাকার লোকসান গুনতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। সামনে আসছে ঈদ। আমাদের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় বাজার। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে এটিও বন্ধ থাকতে চলেছে। পোশাক বিক্রেতারা পুরো বছরের আয় তোলেন এই এক মৌসুম থেকেই। যদি বন্ধ থাকে, তাহলে দেশে কয়েক হাজার কোটি টাকার লোকসান হয়ে যাবে। পোশাক ব্যবসায়ীরা এখনই তাঁদের মাথায় হাত দিয়ে বসে গেছেন।
এই হচ্ছে বিশ্বব্যাপী অবস্থা।
অর্থনৈতিক চরম মন্দা ধেয়ে আসছে। একে এড়ানো যায় কিভাবে তাই নিয়ে অর্থিনীতিবিদদের আপাতত মাথা ঘামছে। বিশ্বের সবচেয়ে স্মার্টেস্ট মাথাগুলো এ নিয়ে চিন্তা ভাবনায় ব্যস্ত। আমরা ওটা নিয়ে না ভাবলেও চলবে। আমাদের ভাবতে হবে আমাদের করণীয় নিয়ে।
এবং সেটা হচ্ছে, আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, অর্থ কষ্ট সহ্য করবো, নাকি মরে যাব?
জ্বি, এখন আর করোনা ভাইরাস "সামান্য জ্বর সর্দির" মতন হালকা বিষয় না, তা নিশ্চই সবাই বুঝতে পারছেন?
শুরু থেকে অনেকেই চিল্লাচিল্লি করে আসছিল, বারবার ইউরোপ আমেরিকার লাশের মিছিল দেখানো হচ্ছিল, তারপরেও অনেকেই পাত্তা দেন নাই। কথা শুনেন নাই। এখন পুরো দেশব্যাপী মহামারিটি ছড়িয়ে গেছে। প্রতিদিন মৃত্যুর খবর আসছে, আক্রান্তের খবর আসছে, লকডাউনের খবর আসছে। এখন আর বিষয়টা ফাজলামি পর্যায়ে নেই। করোনা আক্রান্ত পুলিশ, rab এবং ডাক্তার/স্বাস্থকর্মী সংখ্যা আশংকাজনক হারে বেশি। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আমাদের দেশে আগামী এক মাসের মধ্যেই কেয়ামত নেমে আসবে।
এর মাঝেও সরকার একটি ভয়াবহ ভুল করছেন। তাঁরা এখনও "সাধারণ ছুটির" মেয়াদ বাড়িয়ে গার্মেন্টস খুলে দিয়েছেন।
প্রথম কথা, "সাধারণ ছুটি" বিষয়টা আমাদের মাথায় ঠিক মতন ফিল্টার হয় না। শুরুতে এক দেড়মাস সাধারণ ছুটি না দিয়ে কারফিউ নামিয়ে দিলে আজকে পরিস্থিতি অনেক নিয়ন্ত্রণে চলে আসতো। লোকজন বাড়িতে থাকতে বাধ্য হতো। ফলে রোগ ছড়াতো না। সাধারণ ছুটির ফলে লোকজন ঢিলেঢালাভাবে বিষয়টাকে নিয়েছে, যার ফলটা হয়েছে এই যে মাসের পর মাস অফিস বন্ধ রেখে কোন লাভতো হয়ইনি, বরং কোটি কোটি মানুষকে স্রেফ ঘরে বসিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে অর্থনীতি মোটামুটি ধ্বসে গেছে। এখন বাধ্য হয়ে তাঁদের ছাড়তে হচ্ছে। যেখানে আমরা ভাল করেই জানি, করোনা এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে লাগামহীনভাবে ছড়াচ্ছে। জাতি হিসেবে আমরা শক্তের ভক্ত নরমের যম। শুরু থেকেই শক্ত অবস্থান নিয়ে বিটিভি সহ অন্যান্য প্রতিটা টিভি চ্যানেলে করোনার ব্যাপারে ব্যাপক সচেতনতা গড়ে তুললে আজকের পরিস্থিতি খানিকটা হলেও ভিন্ন হতো নিশ্চিত। মাঝে দিয়ে পুলিশ সদস্যরা লক্ষী জনতাকে বুঝাতে গিয়ে নিজেরা আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। আমাদের এক হাজারটা পুলিশ সদস্যও যদি হঠাৎ করে মাঠছাড়া হন, তাহলেও আমরা ভয়াবহ দুর্যোগে পড়বো। আর ডাক্তারদের কথাতো বাদই দিলাম। এমনিতেই যথেষ্ট ডাক্তার নাই দেশে, তারউপর শয়ে শয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন। সামনে আমাদের খবর আছে। এইটা ফ্যাক্ট, মানতেই হবে।
কিছুদিন আগেই লিখেছিলাম, আমাদের গার্মেন্টস কারখানা খুলতেই হতো। কারন পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস ইত্যাদি তৈরিতে গার্মেন্টসের বিকল্প নেই। যুদ্ধে গোলাবারুদ যেমন প্রয়োজন, এই যুদ্ধেও এইসব হচ্ছে গোলাবারুদ ও রসদ। কিন্তু সেটাও খুলতে হতো প্রচন্ড সতর্কতার সাথে। মানে প্রতিটা কর্মীর দৈনিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা থেকে শুরু করে প্রতিদিন বাধ্যতামূলকভাবে তাঁদের সচেতনতামূলক ক্লাস নেয়া, তাঁদেরকে পিপিই পরিয়ে কাজ করানো, সোশ্যাল ডিসট্যান্স, পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান দেয়া - নানান কার্যক্রম করতেই হতো।
যেমনটা আমাদের আমেরিকায় গ্রোসারি স্টোরগুলো, রেস্টুরেন্টগুলো খোলা ছিল। গ্রোসারি বন্ধ করে দিলে লোকজন না খেয়েই মারা যেতেন। তাই প্রতিটা কর্মীকে সেইরকম সতর্কতার সাথে সচেতন করে করে কাজ করানো হয়েছে। খুব জটিল বা খরুচে কিছু না। সামান্য বুদ্ধি এবং ম্যানেজমেন্ট স্কিলের ব্যাপার। আমাদের দেশে যোগ্য মানুষের অভাব নেই। কিন্তু সঠিক জায়গায় তাঁরা নেই, সেটাই সমস্যা।
পত্রিকার ছবি দেখে অন্তত মনে হয়না গার্মেন্টসে বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে একটিও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। হাজারে হাজারে শ্রমিক আইসোলেশনকে মধ্যাঙ্গুলি দেখিয়ে কাজে যাচ্ছেন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আমাদের দেশে করোনার বাম্পার ফলন না হলে সেটি হবে রমজান মাসে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে আমাদের প্রতি খাস রহমত।
নিউইয়র্কে এক সাংবাদিক গভর্নর ক্যুমোকে বলেন, "আপনি অফিস/ব্যবসা ইত্যাদি খুলে দিচ্ছেন না কেন?"
ক্যুমো বলেন, "কারন বাইরে অল্টারনেটিভ হচ্ছে মৃত্যু। কোনটা ভাল? ক্ষুধায় কষ্ট পাওয়া? নাকি মরে যাওয়া?"
সাংবাদিক বলেন, "লোকজনের সঞ্চয় ফুরিয়ে এসেছে, এখন কী হবে?"
"আমরা বেকার ভাতা দিচ্ছি, এছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে এককালীন বারোশো ডলার করে দিয়েছি, ছয়শো ডলার দিয়েছি। জানি এটি যথেষ্ট নয়, তারপরেও কিছুটাতো সাহায্য করছি। জানি দেরি হচ্ছে, তারপরেও টাকাতো আসছে। বাইরে বেরিয়ে আসলেই মৃত্যু ঘটবে। সেটা কী ভাল হবে?"
আসলেই কথাগুলো সত্য। করোনা আক্রান্ত হলে আপনার সুযোগ আছে মারা যাওয়ার। আপনার সাথে আপনার পরিবারের সদস্যদেরও মৃত্যুর সুযোগ আছে। সেটা ভাল হবে? নাকি কয়েকদিন অর্ধপেটে ঘুমাতে যাবার কষ্ট সহ্য করা ভাল? বাংলাদেশ সরকারের বাজেট নেই কোটি কোটি মানুষকে দিনের পর দিন বসিয়ে খাওয়ানোর। এক্ষেত্রে যাদের সামর্থ্য আছে, তাঁদেরও এগিয়ে আসতে হবে। যদি আপনার সামর্থ্য থাকে একজনকে পাঁচ কেজি চাল কিনে দেয়ার, তবে তাই দিন। যদি সামর্থ্য না থাকে, তাহলে সাহায্য নিন। দুঃসময়ে একে অন্যের সাহায্য নিবে, সাহায্য করবে। এতে মান অপমানের কিছু নেই। আপাতত টিকে থাকুন। পরেরটা পরে দেখা যাবে।
এই মহামারী, দুর্যোগ ইন শা আল্লাহ আমরা দ্রুতই কাটিয়ে উঠবো। তখন এইসব ক্ষুধার কষ্টের কথা মনেও থাকবে না। কিন্তু যদি আমরা মারা যাই, তাহলেতো সব শেষ। বুঝতে পারছেন?
তাই বাড়িতে থাকুন।
নিউজিল্যান্ডের সরকার ওদের বাড়িতে থাকতে নির্দেশ দিয়েছিল, ওরাও কথা শুনেছে, মাত্র কয়েকদিনেই এই অভিশাপ তাঁরা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। আমাদের বাড়িতে থাকতে অনেক কষ্ট হয়। কোথাও কোথাও একটি বাথরুম শেয়ার করতে হয় দুইশো পরিবারের মধ্যে। কোথাও কোথাও এক রুমের বাড়িতে পাঁচ ছয়জনকে ঠাসাঠাসি করে থাকতে হয়। সবই জানি এবং সবই বুঝি। কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের হাতে আর কোন সল্যুশন নেই। আছে কি কোন? থাকলে বলেন, শুনি।
আমরা যত দ্রুত এই কথাটি মেনে নিব, তত দ্রুত মুক্তি পাব। শয়ের হিসাবে এক দুইজনও যদি কথা না শুনে রাস্তায় নেমে রোগ ছড়াতে থাকি, তাহলেও এইভাবে আগামী এক দেড় বছর বা তারও বেশি সময় আমাদের গৃহবন্দী থাকতে হবে (যদি না ভ্যাকসিন বের হয়)। এবং ততদিনে আমাদের সবাইকেই রাস্তায় নেমে ভিক্ষা করতে হবে। এখনও এতটা অর্বাচীন আচরণ না করলেই কী নয়?
আরেকটা ব্যাপার। অর্থনৈতিক দুর্যোগ প্রতিহত করার একটি সহজ উপায় হচ্ছে মানি সার্কুলেট করা। মানে, এখনও যাদের নিয়মিত বেতন আসছে, তাঁরা ভবিষ্যৎ নিয়ে প্যানিক না করে সবকিছু যেমনটা স্বাভাবিকভাবে চলছিল, সেভাবেই স্বাভাবিকভাবেই চালান। বাড়ি ভাড়া সময় মতন দিন। গ্যাস, বিদ্যুৎ, ডিশ, ইন্টারনেট ইত্যাদির বিল সময় মতন দিন। ড্রাইভার, বুয়া, স্কুল, টিউটর সবার বেতন সময় মতন দিন। কারন অর্থনীতি একটি নির্দিষ্ট সাইকেল মেনে চলে। আপনার অফিস আপনাকে বেতন দিলে আপনার পাড়ার দোকানদার মাল বিক্রির টাকা পাবে। তাঁর সংসার চলবে, তাঁর কর্মচারী বেতন পাবে। তাঁর পাইকারি বিক্রেতা টাকা পাবে, তাঁদের সংসার চলবে। আপনার অফিস ঠিক মতন বেতন না দিলে এই সাইকেল ভেঙে যাবে, ফলে পুরো চেইন নষ্ট হয়ে যাবে। যার ফল হবে অর্থনৈতিক মন্দা, যার শিকার আপনি হতে পারেন। তাই, যতক্ষন আপনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে, আপনিও স্বাভাবিক আচরণ করুন। এবং অযথা ফালতু খরচগুলো বাঁচিয়ে এখন সঞ্চয়ে মন দিন। আশা করি ভেঙ্গে বলতে হবেনা ফালতু খরচ বলতে কি বুঝিয়েছি।
আবারও বলি, সবাই মাথা ঠান্ডা রাখুন। নিয়ম মেনে চলুন। ইন শা আল্লাহ, মিনিমাম ক্যাজুয়ালটি নিয়েই এই যুদ্ধে আমরা জিতে যাব।
২| ০৪ ঠা মে, ২০২০ সকাল ১১:২১
বিড়ি বলেছেন: "ইন শা আল্লাহ, মিনিমাম ক্যাজুয়ালটি নিয়েই এই যুদ্ধে আমরা জিতে যাব"। চারদিকে হতাশার কথা শুনতে শুনতে ক্লান্ত লাগে ভীষন এমন আশাবাদী লেখা সাহস জোগায়
৩| ০৪ ঠা মে, ২০২০ সকাল ১১:৩৮
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সামনের দিনে কি হবে এই ভেবে বেশ টেনশন হয়।
এদেশের মানুষ তো কিছুই মানতে চাইনা।
সরকারেরও যথেষ্ট গাফিলতি আছে।এখন আমাদের জন্য আল্লাহই ভরসা।
৪| ০৪ ঠা মে, ২০২০ দুপুর ১২:০৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ইনশাল্লাহ!
আল্লাহ চাহেনতো বিজয়ী আমরা হবোই।
৫| ০৪ ঠা মে, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ সবাইকে মাফ করুক।
৬| ০৪ ঠা মে, ২০২০ দুপুর ১:৩৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: যাক ,দেখা যাক। কত সময় লাগে আর l
৭| ০৪ ঠা মে, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সংসার সাগরে দুঃখ তরঙ্গের খেলা
আশা তার একমাত্র ভেলা।
৮| ০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ৯:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: ভাই সাহেব মন্তব্যের উত্তর দেন না কেন??
৯| ০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ১০:০৩
আমি সাজিদ বলেছেন: সব দায় জনগনের। আর দেশের উজির শাহেজাদী রাজা মহারাজাদের করার কিছু নেই।
১০| ০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ১০:০৮
আমি সাজিদ বলেছেন: আপনার দেশে পুলিশ ডাক্তার সাংবাদিকদের নরসিংদীর দুই নাম্বার মাস্ক সরবরাহ করা হয়। আপনার দেশে হস্পিটালে ট্রায়াজ নাই। আই সি ইউ দূরের ব্যাপার, সাধারন বেডও নাই। শ্রমিকদের সাথে অমানবিক আচরণ করা হয়। এমন দেশে সরকার আমলারা আপনার চোখে ওভারলুক হয়ে গেলো? সব দোষ কি জনগণের?
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা মে, ২০২০ সকাল ১০:৩৮
জাফরুল মবীন বলেছেন: সঠিক উপলব্ধি ও বলিষ্ঠ উচ্চারণ।সাধুবাদ জানাই আপনাকে।