নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
বাঙালি সিনেমা বোদ্ধারা (সবই ফেসবুকীয়) ইদানিং তামিল সিনেমা সাজেস্ট করে দেখতে। বাহুবলি দেখেছিলাম, পরে কেজিএফ দেখলাম। এ থেকে কয়েকটি বিষয় জানলাম।
তামিল নায়ক গ্র্যাভিটি প্রুফ হয়ে থাকেন। উড়ে উড়ে মারেন, মহাকর্ষ, অভিকর্ষ, কোন কর্ষই তাঁর কিছু করতে পারেনা। তাঁর মার খেয়ে ভিলেনও সেভাবেই উড়ে যান যেভাবে ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে বল উড়ে গিয়ে গ্যালারির দর্শকের কোলে পড়ে। এখানেও অভিকর্ষ মহাকর্ষকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হয়। নিউটন মামার তিন সূত্র তামিল নায়কের বেলায় মাথা কুটে মরে।
তাঁরা বুলেট প্রুফও হয়ে থাকেন। ভিলেন দূর থেকে এক নিশানায় একটা বুলেটে একটা সাধারণ মানুষ ফেলে দিলেও অনেক কাছ থেকে নায়কের দিকে হাজার গুলি ছুড়লেও তা নায়কের পায়ের সামনের মাটিতে ঢুকে ধূলি উড়ানো ছাড়া কিছু করতে পারেনা। নায়কের শরীরে নিশ্চই বুলেটের শিশার সমধর্মী চৌম্বকীয় তরঙ্গ আছে, যে কারনে তীব্র গতিতে ছুটে আসা বুলেট চৌম্বক বলয়ে প্রবেশ করে বিপরীতমুখী বলের মুখোমুখি হয়ে গতি জড়তার কারনে পাশে ছিটকে পড়ে। সিক্সথ স্ট্যান্ডার্ড ফিজিক্স! মারহাবা!
নায়ক ডাস্ট প্রুফও হয়ে থাকেন। হাঁটার সময়ে মাটিতে ছ্যাঁচড়ায়ে ছ্যাঁচড়ায়ে হাঁটেন, ফলে ধুলোবালি উড়ে। এতটাই যে টর্নেডোর সময়েও এতটা উড়ে না। সাধারণ মানুষ হলে এই ধুলায় হাঁচি দিতে দিতে আধমরা হয়ে যেতেন। নায়ক সেভাবেই নির্বিকারভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নেন যেভাবে মাছ পানির নিচে নিয়ে থাকে। নায়কের শরীরে ভুল করে দুয়েকটা দায়ের কোপ পড়লে (যা সচরাচর ঘটে না) নায়ক মুঠোভর্তি "দেশ কি মিট্টি" তুলে নিয়ে সেই ক্ষতে ঘষাঘষি করেন। এতেই ক্ষতস্থান ভাল হয়ে যায়। কোন সেপ্টিক হয় না। মানে নায়ক ফিজিক্স প্রুফ হবার পাশাপাশি জার্ম্স তথা বায়োলজি প্রুফও। রোগ জীবাণু তামিল নায়কের কিছু করতে পারেনা।
তামিল ভিলেন তেমনই চেহারা প্রুফ হয়ে থাকে। সাধারণ কাউকে যদি কুৎসিত মানুষের চেহারা কল্পনা করতে বলা হয়, সে কল্পনায় যেখানে গিয়ে থামবে, তামিল ভিলেনের চেহারা তারও বহু ক্রোশ সামনে থেকে শুরু হবে। যেন চেহারা সুন্দর লোকজনের দুষ্টামি করার ক্ষমতা নাই।
তামিল সিনেমা হবে ডিপ্রেশন প্রুফ। কারন প্রতিটা দৃশ্যে মোটিভেশনের সুব্যবস্থা থাকবে। হয় ডায়লগ থাকবে, নাহয় কবিতা, নাহয় গান। দেখতে বসলে মাঝে মাঝে নিজেরই ইচ্ছা করে টিভি পজ দিয়ে বাইরে গিয়ে দুই চারটা ভিলেন পিটায়ে আসি।
এছাড়া তামিল সিনেমা বিশৃঙ্খলা প্রুফও হয়ে থাকে। করুন দৃশ্যে একশোজন একই সাথে মাথা ঝুঁকাবে, আবার যখনই প্রেরণা আসবে, একই সাথে একশো লোক মাথা তুলে তাকাবে, কিংবা থমকে পেছনে ফিরবে। ভিলেনের চামচারাও ছন্দে ছন্দে কাজ করবে। দেখে মনে হয় খুবই সুশৃঙ্খল কোন নাচের দৃশ্যের জন্য প্র্যাকটিস করেছিল। কাহিনীর প্রয়োজনে নাচ বাদ যাওয়ায় এখন সেটাই ফিট করে দিয়েছে। ন্যাচারাল একটিংয়ের মাম্মিকে ড্যাডি।
সর্বোপরি, এটি হতে হবে লজিক প্রুফ। পাঁচশো জন (ক্ষেত্রবিশেষে হাজার) তাগড়া ভিলেনকে এক বীর নায়ক পিটিয়ে ভর্তা করে দেয়া থেকে শুরু করে বহু কিছু দেখানো হবে। এজন্য আপনাকেও দর্শক হিসেবে হতে হবে এক্সপেক্টেশন প্রুফ।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০৯
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: জ্বি, ভাল বলেছেন।
২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৯
শায়মা বলেছেন: হা হা তামিল সিনেমা তো তাই ডিপ্রেসনের ঔষধ!!
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০৯
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: হাহাহা। ঠিক তাই।
৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: সাউথ ইন্ডিয়ান মুভি গুলোর মধ্যে মালায়ালাম মুভি গুলো আসলেই ভালো হয়। সুন্দর কাহিনী, সুন্দর অভিনয়।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০৯
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: জ্বি, তাই শুনেছি।
৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২২
অনল চৌধুরী বলেছেন: *** বাহুবলী তামিল না, তেলেগু ছবি।
তামিল ছবির পৃথিবীর অন্যতম ব্যাবসাসফল ও মেধার সমন্বয়ে নির্মিত বলে সারা পৃথিবীতে বিবেচিত ।এজন্য ভারতের বাইরে জাপানীরা তামিল ছবির সবচেয়ে বড় দর্শক।
তারা যেমন সুস্থ বিনোদনমুলক ছবি বানায়, তেমনই হিন্দস্তানী-১৯৯৬, নায়ক-২০০১,অপরিচিত-২০০৫ এর মতো দুর্নীতিবিরোধী ছবি বানিয়েছে।
মাত্র ৬.৫ কোটি লোকের তামিল ছবি যেখানে গেছে, বাংলাদেশের ছবি সেখানে যাওয়া দূরে থাক, তামিলদের নকল করেই এখনো টিকে আছে।সবচেয়ে বড় কথা, তারা তাদের ছবিতে কারিনা-ক্যাটরিনা-দিপীকা-সানীর নোংরা আইটেম নাচ-গান রাখে না।জিসম, মার্ডর বা ডারটি পিকচার মার্কা নোংরা ছবিও তারা সবার জন্য বানায় না।
গ্রীক পূরাণ বা আরব্য রজনীর মদ্যে বাস্তবতা কোখায়? তাহলে চলচ্চিত্রে সমস্যা কি? মানুষ টাকা দিয়ে বিনোদনের জন্য ছিকবি দেখে, মরাকান্ন্ বা বিকৃতি দেখার জন্য না।
ছবির মধ্যে যদি সুস্থ বিনোদনের পরিবর্তে হতাশা দু:খ.দারিদ্র, মরা কান্না দেখতে চান ,তাহলে সত্যজিত- পথের পাচালী, ঋত্তিক ঘটক আর বাংলাদেশের ভাত দে, দহন.দুখাই, পোকামাকড়ের ঘর-বসতি দেখেন।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০৭
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ভাইরে ভাই! যেন আপনার মা বাপ তুলে গালি দিয়েছি! চিল ব্রো! এইটা একটা ফান পোস্ট ছিল।
৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৫
আমি সাজিদ বলেছেন: তিনটা ইন্ডাস্ট্রি আছে সাউথ ইন্ডিয়ায়, তামিল , তেলেগু আর মালায়ালাম। আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের রুমমেটের কল্যানে বেশ কিছু ভালো তেলেগু আর মালায়ালাম মুভি দেখা হয়েছে। ওদের একশন মুভিগুলো আমি একটাও দেখিনি। মোট ৭/৮ টা মুভি দেখেছি ওদের। লিস্ট দিচ্ছি, দেখতে পারেন।
১) মেমরীজ ( মালায়ালাম)
২) চার্লি ( মালায়ালাম)
৩) ওস্তাদ হোটেল ( মালায়ালাম)
৪) বেঙালুরু ডেজ ( মালায়ালাম)
৫) ৯৬ ( তামিল )
৬) সলো ( মালায়ালাম)
৭) লুসিয়া ( কান্নাডা)
আমার মতে আমার রুমমেট থেকে বেশী মুভি এই দেশে খুব কম মানুষ দেখেছে, ওর সংস্পর্শে থাকাতে যে লাভটা হয়েছে তা হলো, শুধুমাত্র ভালো মুভিজ গুলোর সন্ধান পাওয়া গেছে, অনেকগুলো মুভি দেখে সময় নষ্ট করা লাগেনি।
আপনি যদি গল্প আর অভিনয়প্রেমী হয়ে থাকেন তাহলে এই সাতটা মুভি দেখতে পারেন। আমি কিন্তু এই বাহুবলী দেখি নাই, কেজিএফও দেখি নাই। মারামারি ভালো পাই না।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০৮
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমাদের দেশে রোহিঙ্গা (ইলিয়াস কোবরা ) খলনায়ক হয়েছে ভবিষ্যতে নায়ক হবে তখন চাঁদ সুন্দর ছবিও হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৯
মুজিব রহমান বলেছেন: কিছু ভাল ছবি রয়েছে মারদাঙ্গা ছবির বািইরে। খুব অল্প বাজেটে কিছু ভাল ছবি। মারদাঙ্গা ছবিগুলোতে সবকিছুই অতিরিক্ত দেখায়। প্রভাষ, আল্লু অজুন, বিজয়, এনটিআর-জুনিয়র, রামচরণ এর মারদাঙ্গা সিনেমাগুলো এখন হিন্দির চেয়ে কম চলে না।