নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

"বোরখাওয়ালি ক্রিকেট খেলে"

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪১

একটা মা, সে তাঁর সন্তানের সাথে খেলছে, এ নিয়ে ফেসবুকীয় জনতার হাউকাউয়ের কি ঘটেছে বুঝলাম না। বিশেষ করে "নারীবাদী" দাবিকারী, যারা নাকি নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জানপ্রাণ দিয়ে দিচ্ছেন, তাঁদের কাউকে কাউকে অতি নোংরা ভাষায় এই ছবির বিরোধিতা করতে দেখছি।

বোরখায় সমস্যাটা ঠিক কোথায় একটু বুঝিয়ে বলবেন কি? ইসলামিক পোশাক বলেই সমস্যা? তাহলে তাদের সমস্যাটা নারীর স্বাধীনতায় নয়, তাঁর ধর্মচর্চায়। দুইটাকে এক করে নিজেরাই বিভ্রান্ত হয়ে গেছেন।
এক নারী কি পোশাক পরবে, তাঁর নিজের শরীরের কোন অংশ ঢাকবে কোনটা উন্মুক্ত রাখবে সেটা নির্ধারণ করে দিবে কতিপয় "নারীবাদী" মহিলা? মাস শেষে এই বোরখা পরিহিতা মহিলার কয়টা বিল (গ্যাস, বিদ্যুৎ, বাড়িভাড়া ইত্যাদি) এরা পরিশোধ করে একটু বলতে পারবেন? তাহলে মানুষের ব্যক্তিগত ব্যাপারে এত নাক গলানো কেন?

বোরখা সৌদি/পাকিস্তানী/আফগানী পোশাক বলেই আপত্তি? যদি তাই হয় তাহলে শার্ট প্যান্টে যখন মেয়েরা খেলে তখন এই একই মানুষেরা আপত্তি করেন? শার্ট প্যান্টওতো বাঙালি পোশাক না। ওটা ইংরেজদের পোশাক যারা প্রায় দুইশ বছর আমাদের লুটপাট করেছে। বাঙালি পোশাক দাবি করলে কেবলই শাড়ি পরে খেলতে হবে তাহলে। স্যালোয়ার কামিজও যতদূর জানি "বিদেশী"(পাকিস্তানী খুব সম্ভবত) পোশাক।
ওয়েট! তাহলেতো ক্রিকেটও খেলতে পারবে না। সেটা ইংরেজদের আবিষ্কার। দেশি খেলা কি আছে? কাবাডি! আর কিছু? একটা মা তাহলে শাড়ি পরিহিতাবস্থায় নিজের ছেলের সাথে কাবাডি খেললেই ইনাদের কলিজা শীতল হবে?
এত চেতনা! এত চেতনা! আহা!

স্বাধীন বাংলাদেশ কি তাঁর নাগরিকদের যার যার ধর্ম চর্চার পাশাপাশি যার যার রুচি অনুযায়ী পোশাক পরার অধিকার নিশ্চিত করে না? বোরখা পরলেও এদেশিদের গাত্রদাহ হয়, শাড়ি পরলেও আরেকদলের গাত্রদাহ হয়। এদেশের মেয়েরা করবেটা কি? মরে যাবে?

আচ্ছা, "নারীবাদী" দাবিকারীরা এইভাবে কেন দেখছে না যে, অন্তঃপুরবাসিনী এক রমণী বাড়ির চৌকাঠ পেরিয়ে নিজের সন্তানের সাথে ক্রিকেট খেলছেন? আমার স্কুল জীবনের এক বান্ধবী আপাদ মস্তক বোরখা পরিহিতা অবস্থায় মাইলের পর মাইল সাইক্লিং করে। নিজের স্বভাবটা পুত্রের মধ্যেও ঢুকিয়ে দিয়েছে। এখন মাতা পুত্রের সাইক্লিংয়ের ছবি নিয়মিতই দেখি। আলহামদুলিল্লাহ! লোকে কি আশা করেছিল, মেয়েরা বোরখা পরে রান্নাবান্না ছাড়া আর কিছুই করতে পারবে না? অথবা বাইরে বেরুতে হলে অবশ্যই বোরখা বাদ দিয়েই বেরুতে হবে?
একটি গ্লাসের সম্পূর্ণ ভরাট অংশ বাদ দিয়ে সামান্য খালি অংশকে হাইলাইট করার এ কেমন অসুস্থ প্রবৃত্তি?

একটা সময়ে আমাদের দেশের নারীদের পোশাক ছিল শাড়ি। ধীরে ধীরে স্যালোয়ার কামিজ এসে সে স্থান দখল করলো। স্যালোয়ার কামিজেরও বিভিন্ন ডিজাইন ছিল। শর্ট কামিজ, লং কামিজ ইত্যাদি। ধীরে ধীরে মেয়েরা প্যান্ট পরতে শুরু করে। কেউ কেউ কামিজের সাথে স্যালোয়ারের বদলে জিন্স দিয়ে শুরু করে, এবং একটা পর্যায়ে এখন প্রায়ই দেখা যায়, প্যান্ট, টিশার্ট বা শার্ট পরে মেয়েরা ঘুরছে। অফিসে হয়তো স্যুটও পরছে। যুগে যুগে এইভাবেই মানুষের পোশাকে বিবর্তন ঘটে। পুরুষেরাও একটা সময়ে ধুতি/পায়জামা কোট পরে অফিস করতে যেত, এখন প্যান্ট শার্ট পরে যায়। ফেসবুক এবং ইন্টারনেট যদি আরও বহু যুগ আগে থেকেই সস্তা থাকতো, তাহলে এইসব কুমন্তব্যের সাথে আমরা বহু আগে থেকেই পরিচিত হয়ে যেতাম।

নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিকারী এইসমস্ত মানুষদের অবশ্যই আগে নিজেদের বিবেক বুদ্ধি মন মানসিকতা পরিশুদ্ধির চর্চা করতে হবে। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা "সে ন্যাংটা থাকলো নাকি বোরখা পরলোর" উপর নির্ভরশীল নয়, বরং আমি যতদূর জানি, একটি নারী নিজের স্বাধীন ইচ্ছানুযায়ী নিজের দায়িত্ব নেয়ার যোগ্যতা অর্জন নিশ্চিত করাটাই নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা। এর মাঝে নিজের ইচ্ছানুযায়ী পোশাক পরার অধিকারও অন্তর্ভুক্ত। মানে নারীবাদী দাবিকারী নিজেরাই নারীস্বাধীনতা বিরোধী মন্তব্য করে বেড়াচ্ছেন। হোয়াট আ হিপোক্রেসি!
স্বামীর সাথে তালাক হয়ে গেলে, অথবা বিয়ে না হলে কোন রমণী যেন অন্য কারোর উপর নির্ভরশীল হয়ে না থাকেন, নিজেই সম্মানজনক কাজ করে নিজের ও নিজের নির্ভরশীলদের ব্যয়ভার বহন করতে পারেন, এমন পরিবেশ ও সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের নামই "নারীবাদ।"
বিদেশী নারীরা প্যান্ট শার্ট পরে বলেই তাঁরা এগিয়ে যায়নি, তাঁরা পরিশ্রমী, নিজেরা নিজেদের উপর নির্ভরশীল বলেই এগিয়েছেন। যারা নিজেরাই বুঝে না নারীর স্বাধীনতার মানে কি, তারা কিনা আন্দোলন করে, আবার নেতৃত্বও দেয়!
যারা পোশাক বা মাদক সেবনকে নারীর অধিকারের সাথে মিলিয়ে মিশিয়ে এক করে ফেলেন, তারা ভন্ড। মূলত বিভ্রান্তি ছড়ানো ছাড়া কোন কাজের কাজটা করে না। নিজের ভাল মন্দ বুঝতে পাড়ার ক্ষমতাও নারীবাদের অংশ। এবং প্রথম ধাপ হচ্ছে, এদের থেকে সাবধান হওয়া ও এদের পরিত্যাগ করা।

প্রিয় মায়েরা ও বোনেরা। একটা সত্য কথা বলি, ভাল করে মন দিয়ে শুনেন। দয়া করে স্কুল কলেজে যাবেন, মন দিয়ে পড়াশোনা করবেন। নিজের সিলেবাসের বাইরেও যেখানে যে বই পাবেন, পড়ে ফেলবেন। সেলাই থেকে শুরু করে কম্পিউটার - যেখানে যা শেখার সুযোগ পাবেন, শিখে ফেলবেন। যত জ্ঞানী হবেন, যত স্কিলফুল হবেন, ততই আত্মনির্ভরশীল হবেন। নারীর স্বাস্থ, নারীর চিকিৎসা, নারীর বেতন, নারীর শিক্ষা ইত্যাদি অধিকার নিশ্চিত হবে তখনই যখন সে সুশিক্ষিতা হবে। কাজেই পড়ালেখার কোনই বিকল্প নেই। আপনি হিজাব মাথায় ডাক্তারি করছেন নাকি বিকিনি পরে, সেটা ম্যাটার করবে না। যা ম্যাটার করবে তা আপনার মস্তিষ্কে কি ভরা আছে সেটার প্রয়োগে কয়জনের প্রাণ রক্ষা করছেন বা নিজের ও সমাজের উপকার করছেন, সেটা। আজাইরা ফালতু কুমন্তব্যে বিভ্রান্ত না হয়ে বরং নিজের লক্ষ্যে ফোকাস্ড থাকুন।
বেগম রোকেয়াকে চিনেন না? তিনিই আসল নারীবাদী। তিনি পড়ালেখার দিকে জোর দিয়েছেন, তাই তাঁকেই মেনে চলুন।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কে কি পোশাক পরিধান করবে সেটা সম্পুর্ন তার নিজস্ব ব্যাপার।
কিন্তু জোড়পুর্বক চাপিয়ে দিলে সমস্যা। বা পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মত প্রমোট করা হলে সেটা নিন্দনিয়।
ডেইলি স্টারের মত একটি প্রধান দৈনিকে সোশাল মিডিয়ার একটি ছবি প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপিয়ে নারীদের বিভৎস বস্তাবন্দিত্ব প্রমট করা হয়েছে। খুবই নিন্দনিয়।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: যার মন যেমন। পরিষ্কার মনের মানুষেরা সেখানে মা ও সন্তানের ভালবাসা দেখে, আর কুৎসিত মনের মানুষেরাই কেবল "নারীদের বস্তাবন্দীত্ব" প্রমোশন দেখে।

২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি ফেইসবুকের লেখা পড়ি নাই ছবিও দেখি নাই। আপনার লেখায় যা বুঝলাম একজন মা তার ছেলের সাথে ক্রিকেট খেলছে বোরখা পড়ে। এর চেয়ে সুন্দর দৃশ্য আর কি হতে পারে।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪৩

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: সেটাইতো।

৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এই দৃশ্যটা অসাধারণ ছিলো, মা ছেলেকে অভিনন্দন ভালোবাসা আর দোয়া রইলো

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আমিন

৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: কত জনের কত রকম চুলকনি হয় । কিছু চুলকনিতে ক্ষত হয় এইটা হলো সমাজের ক্ষত সৃষ্টিকারী চুলকনি । মা ছেলের ক্রিকেট খেলা অকৃত্রিম ভালোবাসার এক নিদর্শন মুসলিম নারীর।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক।

৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: ছবিটা দেখেছি। ভালো লেগেছে। কোনো সমস্যা খুঁজে পাই নি ছবিতে। মা ছেলে ক্রিকেট খেলছে এটা মন্দ কিছু নয়।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪৬

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: মন পরিষ্কার থাকলে নোংরামি পাবেন না। কুৎসিত নোংরা মন হলেই সমস্যা পেতেন।

৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৮

শাহ আজিজ বলেছেন: এই প্যানডেমিকের শ্রেষ্ঠ ছবি এটি । একজন মাতা তার সন্তানকে সঙ্গ দিচ্ছে ক্রিকেটে অংশ নিয়ে । এর চেয়ে ভাল বিষয় কি হতে পারে আর ?

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪৭

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক

৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩২

স্থিতধী বলেছেন: শতভাগ একাত্মতা জানাই আপনার বক্ত্যব্যের সাথে।

নারী "বোরখা/ হিজাব" পড়ে ক্রিকেট খেলছে কি " জিন্স- টি শার্ট/ বিকিনি" পড়ে সমুদ্র সৈকতে ভলিবল খেলছে তাতে কিছুই আসে যায়না।একটি সভ্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে; নিজ ইচ্ছায় যেকোন পোশাকে, নিজের খুশি অনুযায়ী যেকোন নারী যদি দেশের যেকোন আইনগত বৈধ কাজ করে যেতে চায় তবে তাতে এসব তথাকথিত নারীবাদী আর ধর্মীয় মৌলবাদী কারোরই বাধা দেওয়া ও কটূক্তি করার কোন অধিকার নেই ।

আমাদের রাষ্ট্রের প্রতিটি মানুষ আরো সভ্য, পরিণত ও গণতান্ত্রিক হতে শিখুক।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ওরা নিজেরাই একেকটা চরম মৌলবাদী।

৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৮

ইসিয়াক বলেছেন: আমার কাছে, মা ও ছেলে ক্রিকেট খেলছে দৃশ্যটি ভালো লেগেছে। এতে অন্য মানুষের সমস্যা হচ্ছে কেন সেটাতো বুঝতে পারছি না। তারা তো কোন অন্যায় করেনি।
#মা ও ছেলের জন্য শুভকামনা।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: :)

৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২১

পদ্মপুকুর বলেছেন: ফেইসবুকে নাই, এই ছবি নিয়ে হাঙগামাও নাই। কিন্তু একটা টিভি নিউজ দেখলাম এখন আর হাসান ভায়ের মন্তব্য দেখে ডেইলি স্টারের নিউজটাও দেখলাম, দুই যায়গাতেই অ্যাপ্রিশিয়েট করা হয়েছে। এখানে খারাপ বলার কি আছে সেটাই তো বুঝলাম না।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪৯

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ফেসবুকে কিছু নারীবাদীর গায়ে ফোস্কা পড়েছে। বোরখা না হয়ে শর্টস পরলে আজকে ওরাই বাহবাহ দিত।

১০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: সমাজে নোংরা মানুষের অভাব নাই।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: সেটাই

১১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২১

নীলসমুদ্র নীল বলেছেন: এখানে সমস্যা হয়েছে মায়ের বোরখা পড়া আর ছেলের মাথার টুপি । আমাদের কথিত নারীবাদীদের সমস্যা আসলে নারীর পোশাক ও না । তাদের মূল কষ্টটা তো ধর্ম নিয়ে । যেমন এক ধরনের নাস্তিক আছে যারা ইসলাম ছাড়া আর কোন ধর্ম নিয়ে সমস্যা নেই । এখানে নারীর পোশাকে যদি ধর্মটা বুঝা না যেত তাহলেই ঠিক ছিল ।

১২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: “যারা পর্দাকে এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা মনে করেন, সেই সব বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষের জন্য এটা একটি দৃষ্টান্ত হতে পারে।”

মা-ছেলের সুন্দর এই মূহুর্তের ছবি দেখে মনে হয়-- একজন নারী যে সব পারে এই ছবিই সেটি প্রমাণ করে। সন্তানের স্বপ্ন পূরণে মা নিজেই মাঠে নেমেছেন। এমন মায়ের প্রতি শ্রদ্ধায় মাতা নত হয়ে আসে। এটা এ বছরের সবচেয়ে সেরা ছবি।

১৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২

মৌরি হক দোলা বলেছেন: আমি যখন ছবিটা প্রথমবার দেখি, দেখে মুগ্ধ হই। আমার মাথায় চট করে আসে, একজন মা তার ছেলের সাথে খেলছেন এবং ছেলেকে সময় দিচ্ছেন। তার বন্ধু হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন। তিনি হিন্দু কি মুসলিম, বোরখা না ছোট জামা পরেছেন, বোরখা পড়লে কিভাবে পড়েছেন, এটা সত্যিই আমার মাথায় আসেনি। অতঃপর ফেসবুকের শোরগোলে আমি টের পেলাম! সত্যি বলতে, আমরা এমন এক জাতি যারা কোনো জিনিসের খারাপ দিক তুলে ধরার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠি। পজিটেভনেসের বড্ড অভাব আমাদের!

আর কিছু কিছু নারীবাদীদের কথা শুনলে মনে হয়, আমাদের নারীবাদী লেখক বেগম রোকেয়া ও তাঁর দেওয়া শিক্ষাকে অপমান করা হচ্ছে। নারী স্বাধীনতা মানে অবশ্যই নির্লজ্জের মতো চলাফেরা নয়। কিন্তু কতিপয় ব্যক্তি এই টার্মটাকে খুব বাজেভাবে ব্যবহার করছে।

১৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৭

এইচ তালুকদার বলেছেন: ছবিটা গতকালই দেখেছি ছবিটা এই মহামারীর সময়ে আমার দেখা শ্রেষ্ঠ ছবি।একজন নারী মাহামারীর গুমোট সময়ের সমস্ত ভয় কে ঊড়িয়ে দিয়ে সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে আনন্দে মেতে ঊঠেছে এর চেয়ে সুন্দর দৃশ্য আর কি হতে পারে।তবে ছবি দেখে ফেসবুকে সরব কিছু ফেমিনিস্ট এর চেতে যাওয়া দেখে হাসি পেয়েছে আমার মনে হয়েছে যে তাদের আসল আপত্তি ঐ পর্দানশীল নারীর মিডিয়া এ্যটেনশন পাওয়ায়।যদিও ঐসব ফেমিনিস্টদের মদ্ধে কমপক্ষে দুইজন মিডিয়া কর্মী।

১৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২০

কিশোর মাইনু বলেছেন: আমি এইচ তালুকদার সাহেবের সাথে একমত। এটি এই মহামারীর সময়ে দেখা/ ভাইরাল হওয়া সবচেয়ে সুন্দর, মধুর, পবিত্র ছবি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.