নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
আমেরিকায় এসে প্রথম প্রথম দেখলাম ধূমপায়ীদের বেশিরভাগই মেয়ে। আমাদের দেশে যেমন দেখতাম এটাকে ছেলেদের ব্যাপার হিসেবে ধরে নেয়া হয় এদেশে তেমনটা না। যুবতী থেকে বৃদ্ধা, সবার হাতেই ধূম্রশলাকা। মদ/বিয়ার ইত্যাদি যেকোন নারী পুরুষই খায়। তবে সিগারেটটা যেন এদেশে মেয়েলি ব্যাপার।
"কলেজে উঠেছিস অথচ সিগারেটে টান দিসনি? তাহলেতো তুই পুরুষই না!"
আমাদের দেশে শুধুমাত্র এই কারনে কিছু ছেলেছোকরা স্কুল লাইফ থেকেই বিড়ি ফুকা শুরু করে। বিশেষ করে মেয়েদের সামনে। ঠোঁটের উপরে এখনও গোঁফের রেখা ঠিকমতন গজায়নি, গালে ব্রোন ফুটতে শুরু করেনি, সিগারেট টেনে প্রমান করতে হবে আমি পুরুষ!
কিছু মেয়ে নিজেকে সাহসী ও স্মার্ট প্রমান করতেই সিগারেট টানতো। লোকদেখানো ব্যাপার, "আমি পুরুষের চেয়ে কম নই।"
এদেশে এগুলো নিতান্তই ফালতু হিসেবে বিবেচিত হয়। সিগারেট টানায় পুরুষত্বের কিছু নেই, স্টাইলের কিছু নেই, নেই স্মার্টনেস অথবা সাহসের কিছু। পয়সা খরচ করে নিজের শরীরে বিষ ঢুকানোর মধ্যে নির্বুদ্ধিতার কিছুতো অবশ্যই আছে। কোটি কোটি মানুষ যেখানে ক্যান্সারে মারা যাচ্ছে, সেখানে জেনে বুঝে এই রোগটাকে দাওয়াত দিয়ে আনা। পরিবারের লোকজন, বন্ধুবান্ধব যারা তাঁকে ভালবাসে, তাঁদেরকে সুখ বন্ধিত করার ষড়যন্ত্র।
এদেশে যারা সিগারেট টানে সাধারণত "স্ট্রেস" রিলিজের অংশ হিসেবে শুরু করে অথবা স্রেফ নেশার কারনে কাজটি করে।
তবে ধূমপানের উপকারিতা অপকারিতা বা ইত্যাদি নিয়ে কিছু বলতে বসিনি। একটা প্রশ্ন করতেই মূলত লেখা।
এদেশে দেখলাম বাপের সামনে বসে প্রাপ্তবয়ষ্ক ছেলে/মেয়ে সিগারেট খাচ্ছে, মদ খাচ্ছে ইত্যাদি। আমাদের দেশে যা অকল্পনীয় একটি ব্যপার। প্রশ্নটা এখানেই। "কেন?"
সিগারেট খাওয়া "অপরাধ" এই কারণেই কি বাবা মায়ের সামনে খাওয়া নিষেধ? "অপরাধ" না হলেতো আর কোন যুক্তি নেই। বাপের সামনে আমরা বিরিয়ানি খাই, কোক খাই, বোরহানি, কাবাব ইত্যাদি খাই, সিগারেট খেলেই সমস্যা।
এদেশে যেমন আঠারো বছরের নিচের বাচ্চারা যদি সিগারেট খায়, যা আইনত নিষেধ, তবেই মা বাবার থেকে লুকিয়ে কাজটি করে। অথবা যদি নিষিদ্ধ ড্রাগস নেয়, তখন। কিন্তু আমাদের দেশে "মুরুব্বিদের" থেকে সিগারেট লুকিয়ে খেতে হয়। সেটা পঞ্চাশ বছরের প্রৌঢ় হলেও তিনি একজন ষাট বছরের মুরুব্বির সামনে সিগারেট ধরাবেন না। তার মানে অবচেতন মন ঠিকই মানে যে এটি একটি অপরাধ কর্ম। ঠিক?
খুব ভাল।
সমস্যা তাহলে অন্য জায়গায়। এমনটা হলে মুরুব্বিরা কেন ছোটদের সামনে সিগারেট খায়? যা অপরাধ, সেটাতো সর্বক্ষেত্রে সব বয়সেই অপরাধ হবার কথা। বিদেশে কোন মুরুব্বি নিষিদ্ধ ড্রাগস সেবন করলে সে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের থেকেও লুকিয়ে সেবন করে। তাহলে আমাদের দেশে সিগারেট পানের সময়ে মুরুব্বিরা এই বিষয়টা পালন করেন না কেন? অপরাধতো "আপেক্ষিক" হবার কথা না যে যখন আমি ভিড়ের মধ্যে মুরুব্বি তখন সেটার মাত্রা কমে যাবে, আবার আমি যখন বয়সে ছোট হবো, তখন সেটা বেড়ে যাবে।
শিষ্টাচারের দোহাই?
তাহলে মুরুব্বিদেরও কি শিষ্টাচার মানা উচিত নয়? ছোটদের সামনে এমন কিছু করা যাবেনা যা তাঁদের জন্য ক্ষতির কারন হবে? আমাদের দেশে আমরা কেন ধরে নেই বয়স বেশি হলেই যা খুশি তাই করা যাবে এবং ছোট হলেই মান্য করে চলতে হবে?
আপনাদের মতামত কি?
২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৯
এমেরিকা বলেছেন: সুগার বা গোস্ত সবার জন্য ক্ষতিকর না। কিন্তু সিগারেট সবার জন্য ক্ষতিকর এতে কোন সন্দেহ নেই। আর মদ খাওয়া তো সরাসরি হারাম। আমাদের দেশের আইনেও তা অপরাধ। যা অন্যায় বা অপরাধ, তা প্রকাশ্যে করা আরও বড় অপরাধ। অপরাধ করে তা বলে বেড়ানো বা জাহির করা আরও বড় অপরাধ।
৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১১
রাজীব নুর বলেছেন: ইদানিং আমাদের দেশে প্রচুর মেয়ে সিগারেট খায়। সেদিন গুলশানে এক ব্যাংকে গিয়েছি। লাঞ্চ টাইম। ছাদে বিশাল ক্যান্টিন। লাঞ্চ করলাম। দেখি, ব্যাংকের অনেক নারী ব্যাংকার সমানে সিগারেট খাচ্ছে। তাদের মধ্যে কোনো জড়তা নেই।
৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: হ্যাঁ, মুরুব্বিদেরও শিষ্টাচার মানা উচিত, বরং বেশি মানা উচিত যাতে অন্যেরা শিখতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশের ব্যাপারটা ভিন্ন। অনেকের ধারণা ছোটদের প্রদর্শন করতে হবে কঠোর শিষ্টাচার, কেবল বড় হয়ে গেলেই অশিষ্ট আচরণ করা গ্রহণযোগ্য হতে পারে। আমাদের ব্লগেই দেখবেন বলদ প্রকৃতির এক মুরুব্বি সারাক্ষণ অন্যকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য, গালাগালি এবং সাম্প্রদায়িক আচরণ করছেন; যেকোনো ভদ্র সমাজে তাকে মানসিক হাসপাতালে রেফার করার কথা, অথচ ব্লগে তার সাত খুণ মাফ এবং অশিষ্ট আচরণের জন্য বরং বাহবা পেয়ে যান।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:৫৪
ফটিকলাল বলেছেন: সুগারকেও এখন বিষ হিসেবে মানা হয়। একটা বয়স হলে গরুর গোস্ত খাসির গোস্ত খাওয়া মানেই নির্ঘাত মরন। তবে এগুলো নেশার সৃস্টি করে না। আবার যারা স্বাদের পাগল তাদের জন্য এটা নেশার মতোই। নেশার মূল ক্ষেত্রটা ডোপামিন। সুগার রাশে যে ডোপামিন নির্গত হয় তা অর্গাজমের সমান সেক্ষেত্রে সিগারেটের ডোপামিনের পরিমান কম।
তাহলে আমরা সিগারেটকে দোষ দিচ্ছি কেন? কেন বার্গার বা হোয়াইট সুগার নিষিদ্ধ করছি না?