নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
তখন কল সেন্টারে কাজ করতাম। লোকজনের ইন্টারনেট জাতীয় সমস্যা হলে কল দিত, ফোনে ফোনে সমস্যার সমাধান করতাম।
এমনই একদিন এক বৃদ্ধার ফোন এলো। হুমায়ূন আহমেদের কল্যানে আমাদের দেশের মানুষ আমেরিকান বুড়িদের স্বভাবের সাথে ভালই পরিচিত। জীবন সায়াহ্নে এসে এইসব নিঃসঙ্গ বৃদ্ধারা কোন কথা বলার সঙ্গী পেলে সহজে ছাড়তে চায় না। টুকটাক আলাপ শেষে তিনি বললেন, "তুমি কোন দেশ থেকে এসেছো?"
"বাংলাদেশ।"
এর পরের বাক্যটাই হয়, "আমরা ইন্ডিয়ার প্রতিবেশী।"
কারন এদেশের বেশিরভাগ মানুষই আমাদের দেশটাকে চিনতে পারেনা। এর বহু কারন আছে। ভারতীয় বা পাকিস্তানিদের মতন এত প্রবাসী সংখ্যা আমাদের ছিল না। তারচেয়ে বড় কথা, বিশ্বের সবাই আমাদের এক নামেই চিনে ফেলবে, এমন কীর্তি আমাদের খুবই কম আছে। তাই যেসব বাংলাদেশী খুবই বিরক্ত হন যে আমাদের দেশকে বিদেশিরা চিনতে পারেনা, আমার কাছে ব্যাপারটা খুবই অযৌক্তিক মনে হয়। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ইত্যাদি দেশগুলো ফুটবল না খেললে আমাদের দেশের প্রতিটা নাগরিক ওদের চিনতো? কোন দেশ বিশ্বের সেরা কফি বানায় আর কাদের গরুর মাংসের স্টেক মজা, সেসব জেনে আমাদের কি? আমরা নিজেরাও কি বিশ্বের প্রতিটা দেশের ভৌগলিক অবস্থান মুখস্ত করে থাকি?
কিন্তু বৃদ্ধা বললেন, "বাংলাদেশ? আমি এই দেশটা চিনি!"
আহা! এই অভিজ্ঞতাও আমার আছে। এর আগেও কিছু বিদেশী নাগরিক আমার দেশের নাম শুনেই বলেছিলেন, "চিনেছি! ভাল ক্রিকেট খেলে।"
"চিনেছি! তোমাদের দেশের "কটন" খুবই ভাল।"
"এইটা সেই দেশ যেখানে মাইক্রো ক্রেডিটের জন্ম হয়েছিল।"
ভাবলাম, এই বুড়িও নিশ্চই সেভাবেই চিনে থাকবেন।
কিন্তু তিনি বললেন, "কিছুদিন আগেই নিউজে পড়েছি, ওখানে এক ফ্যাক্টরিতে আগুন লেগেছিল, এবং একশোর বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল!"
তখন তাজরীন ফ্যাশনসের ফ্যাক্টরিতে আগুন ধরার ঘটনার এক দুই সপ্তাহ হয়েছিল কেবল। ক্ষতটা একদম দগদগে।
ভদ্রমহিলা বললেন, "মালিকপক্ষ আগুন লাগার পরেও ওদেরকে তালাবন্দি করে রেখেছিল। কেন? ওরা কি বুঝে না যে ওরাও মানুষ, কোন ইঁদুর না!?"
শেষের দিকে এসে তাঁর গলা ধরে এসেছিল। তিনি বাক্য শেষ করতে পারেননি। ভিনদেশের একদল গরিব শ্রমিকের জন্য এক বিদেশী বৃদ্ধার হৃদয় তখন হাহাকার করছে। আর স্বদেশী মালিকপক্ষের লোভের কারনে এক বিদেশিনীর সামনে আমার মাথা হেঁট হয়েছিল।
আজকেও বাংলাদেশে আগুনে পুড়িয়ে প্রচুর মানুষ মারা হয়েছে। নিহতদের তালিকায় প্রচুর শিশুও আছে।
আমরা সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা সবাই কিছুদিন ফেসবুকে হাউকাউ করবো, এবং তারপরে সব ভুলেও যাব। খুনিদের কোনই বিচার হবেনা। নিহতদের পরিবার কোন ক্ষতিপূরণ পাবেনা।
"গরিব মানুষও মানুষ! তাঁদের প্রাণেরও দাম আছে।" - এই বোধ বাংলাদেশে নাই।
২| ১০ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৩০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: যথাযোগ্য ক্ষতিপূরণ আবশ্যক সংক্ষিপ্ততম সময়ে ।
৩| ১০ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৫৩
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: এ ধরনের ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগলে আহত ও নিহতদের পরিবার ক্ষতিপূরণ পাবেন ।
,.............................................................................................................
কিন্ত তা সরকারের পক্ষ থেকে যা অপ্রতুল ।
মালিক পক্ষর থেকে প্রদানের বাধ্যতামূলক কিনা আমার জানা নেই ।
আইনের আশ্রয় নিলে সেখানে পাওয়া যায় তবে তা গরীব শ্রমিকদের পক্ষে
আদায় করা বেশ কঠিন ।
৪| ১০ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১:০১
নতুন বলেছেন: এই সব কারখানায় অনুমদনের জন্য সরকারী লোক আছে তারা অফিসে ঘুসের জন্য অপেক্ষা করে সময় কাটায়?
আরেকটা কথা হইলো এই সব শিশুরা কাজ করবে কেন? দেশের সরকারের সকল প্রকার শিশুশ্রম, ভিক্ষা এবং সরকারী হাসপাতালে চিকিতসার ব্যবস্থা করতে হবে। তারপরে অন্য সব প্রকল্প নিয়ে কাজ করুক।
৫| ১০ ই জুলাই, ২০২১ ভোর ৫:০১
আমি নই বলেছেন: আমাদের দেশে রাজা এবং তোষামোদকারিরাই শুধু মানুষ, বাকিরা ইদুর-বিড়ালের চাইতে বেশি কিছু না।
৬| ১০ ই জুলাই, ২০২১ ভোর ৬:৩৯
রানার ব্লগ বলেছেন: লোভি সমাজ, লোভি জাতি, লোভি রাস্ট্রের কোন আধিকার নাই আমাদের এই ভাবে বন্দী করে মেরে ফেলার। আমি এই হত্যার বিচার চাই। প্রকাশ্যে দিবালকে ফাসি দাবি করছি।
৭| ১০ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:২০
হাবিব বলেছেন: ক্ষতিপূরণ কোন সমাধান নয়। সরকারী কর্মচারীদের আগে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
৮| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৭
ইমরান আশফাক বলেছেন: আপনার পোষ্টগুলি পড়ার পর প্রায়ই মন খারাপে আক্রান্ত হই। এমন খোঁচা মেরে সত্য বলতে পারেন।
৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: যেমন প্রশ্রয়প্রবণ সমাজ ও রাষ্ট্র, অপরাধ ও অপরাধীদের প্রতি উদাসীন ও নির্বিকার, অপরাধের ভুক্তভোগীদের প্রতি নির্দয় ও কঠোর, তেমনি নির্বিকার সমাজের মানুষ। আগুনের শিখা নিজ লুঙ্গি স্পর্শ করা না পর্যন্ত নট নড়ন, নট চরণ! এ নির্বিকার সমাজে এসব ঘটতেই থাকবে, ঘটতেই থাকবে!
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:০১
কামাল১৮ বলেছেন: এদের মোটা অংকের জরিমানা করা দরকার এবং সেটা দ্রুত।