নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইব্রাহিমের (আঃ) তিন ধর্ম ও ইহুদি খ্রিষ্টানরা কেন মক্কায় হজ্জ্বে যেত না

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৪

এক পোস্টে এক ভাই তর্ক শুরু করলেন, "ইব্রাহিমকে (আঃ) ইহুদি খ্রিষ্টান ও মুসলিমদের জনক বলা হয়। তাহলে মক্কার মতন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের হজ্ব করার রেকর্ড নেই কেন? মক্কায়তো পেগানরা (পৌত্তলিক) হজ্ব করতো।"
খুবই বেসিক নলেজ। কিন্তু প্রশ্নকর্তা নিজেকে পন্ডিত মনে করে বিরাট প্যাঁচে ফেলে দিয়েছেন ভেবে পুলকিত হচ্ছিলেন। সমস্যা বাঁধলো যখন দেখলাম অনেক মুসলিমই এই বেসিক প্রশ্নেরই উত্তর জানেনা।
সমস্যার সমাধান কমন সেন্সে।
তবে আগে কিছু সাধারণ জ্ঞান বিতরণ করি। প্রতিটা মুসলিমই জানেন, তারপরেও ঝালাই করার জন্যই বলা।
ইব্রাহিম (আঃ) যখন ধর্ম প্রচার করেন, তখন বলেন "এক আল্লাহর উপাসনা করতে হবে, আর কারোর না।" মানে হচ্ছে, একেশ্বরবাদী ধর্মের প্রচার।
কিন্তু ঐ প্রশ্নকারী ভাইয়ের কমেন্ট পড়ে মনে হলো যে তিনি মনে করেন যে ইব্রাহিম (আঃ) একটি জাতিকে তিনভাগে ভাগ করে লাইনে দাঁড় করিয়ে বলেছেন, "আজকে থেকে তোমরা ইহুদি, তোমরা খ্রিষ্টান এবং তোমরা মুসলমান।"
ধারণাটা বেয়াক্কেলের মতন শোনাচ্ছে না? কিন্তু কমেন্টকারীর ধারণা বোধয় এটাই। কারন যতই তাঁকে বুঝানো হোক না কেন, উনি একই ত্যানা প্যাঁচায় যাচ্ছেন, "ইহুদি খ্রিষ্টানরাতো হজ্জ্বে আসার কোন রেকর্ড নেই, ওখানে আসতো শুধু পেগানরা।"
মুসলিম ঘরে জন্মে ইসলাম সম্পর্কে এত সাধারণ জ্ঞানটাই নেই, তা নিয়ে লজ্জাবোধতো দূরের কথা, উল্টো সেটা নিয়েই অহংকার করছে। বেহুদা প্রশ্নের উত্তর বারবার লিখতে গেলে মেজাজ খারাপ হয়না?

তা ইহুদি ধর্ম এসেছে কিভাবে?
ইব্রাহিম নবীর (আঃ) দুই ছেলে ছিল। ইসমাঈল (আঃ) এবং ইসহাক (আঃ)। ইসহাকের (আঃ) পুত্র ইয়াকুব (আঃ)। এই ইয়াকুবেরই (আঃ) আরেক নাম ইসরাঈল (আঃ)। যার পুত্র ছিলেন "রূপকুমার" ইউসুফ (আঃ), এবং তাঁর অন্যান্য ভাইয়েরা। এই ভাইয়েরা ও ইউসুফ (আঃ) নবীর বংশধরদেরই বলা হতো "বনু ইসরাঈল" (ইসরাঈলের গোত্র/পরিবার/সম্প্রদায়/বংশধর)। যারা এক সময়ে মিসরে স্থায়ী হন, এবং ফেরাউন বংশ তাঁদের উপর জবরদস্তি করে তাঁদের দাস বানিয়ে ফেলে। চলতে থাকে অকথ্য নির্যাতন। ওদের উদ্ধার হয় মুসা (আঃ) নবীর মাধ্যমে, যার ভাই হারুনও (আঃ) ছিলেন একজন নবী। এই উম্মতরাই (জাতি) ছিল "ইহুদি" - যাদেরকে আল্লাহ তখন পৃথিবীর অন্যান্য সব জাতির তুলনায় শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলেন। যা ওদের অহংকারের কারন হলো। এক পরিবারে প্রতি জেনারেশনে একটা করে নবী জন্মালে আমরাও অহংকারী হতাম। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেছেন।
তা এই ইহুদি বংশেই জন্মগ্রহন করেন মারইয়াম পুত্র ঈসা (আঃ)। ততদিনে ইহুদিদের অনেকখানি পরিবর্তন ঘটেছে। পার্থিব লালসা ওদের দুর্নীতিবাজ বানিয়ে দিয়েছিল। বিস্তারিত অন্যদিন লিখবো ইন শা আল্লাহ। তা ঈসা (আঃ) নবীও একই বাণী প্রচার শুরু করলেন যা তাঁর আগে ইব্রাহিম(আঃ), মুসা (আঃ), ইউসুফ(আঃ), দাউদ(আঃ), সুলাইমান(আঃ) তথা সব নবীই প্রচার করেছেন, "আল্লাহ এক, এবং তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নাই।"
সমস্যা হলো এতে ক্ষমতাবান ইহুদিদের স্বার্থে আঘাত লাগলো। ওরা ঈসাকে (আঃ) সরিয়ে দেয়ার মতলব করলো। আল্লাহ নিজের পরিকল্পনায় ওদের কুমতলবকে নস্যাৎ করে দিলেন। কিভাবে কি করলেন সেটার বর্ণনা কুরআনে বা হাদিসে নেই, তবে স্কলারদের ধারণা, যে লোকটা ঈসাকে (আঃ) ধরিয়ে দিতে এসেছিল, আল্লাহ তাকেই ঈসার (আঃ) রূপ দিয়ে দিলেন, এবং ঈসাকে নিজের কাছে তুলে নিলেন। লোকে ঐ বিশ্বাসঘাতককে ঈসা (আঃ) মনে করে ক্রুশবিদ্ধ করে। আসলেই কিভাবে আল্লাহ ঈসাকে (আঃ) রক্ষা করেছেন সেটা তিনিই ভাল জানেন, তবে এইটাই মুসলিমদের বিশ্বাস যে ঈসা (আঃ) নবীর কিছুই হয়নি, তিনি এখনও আল্লাহর কাছে জীবিত আছেন এবং কেয়ামতের আগে আবার পৃথিবীতে আসবেন। তখন স্বাভাবিক জীবন যাপন শেষে স্বাভাবিক মৃত্যু বরণ করবেন।

কিন্তু ঘটনার সময়ে না কোন মুসলিম ছিল, না কোন খ্রিষ্টান ছিল। ইহুদি ছিল কেবল, এবং স্বাভাবিকভাবেই ওদের কিছু বিরোধীও ছিল।
এই সময়েই একদল বিশ্বাস করতে শুরু করে ঈসা বা যীশু (আঃ) মৃত্যুবরণ করেছেন, এবং কয়েকদিন পরে পুনরুত্থিত হয়ে ফিরেও এসেছেন। এই বিশ্বাসকারীদের থেকেই খ্রিষ্ট ধর্মের উৎপত্তি। ইব্রাহিমীরা আগে ছিল ইহুদি, এখন হলো ইহুদি এবং খ্রিষ্টান।
খ্রিষ্টানদের মধ্যেও ধীরে ধীরে বিভক্তি শুরু হলো। একদল বিশ্বাস করতো যীশু ছিলেন আল্লাহর মিরাকেল, অন্যান্য নবীর মতোই আজ্ঞাবহ দাস, যার কাজ ধর্ম প্রচার করা, এবং আরেকদল বিশ্বাস করতে শুরু করলো যীশু হচ্ছেন আল্লাহর সন্তান, যীশুও গড, এবং তিনশো বছরের বিবর্তনে ট্রিনিটিও যুক্ত হলো। আচ্ছা, এখানে একটা কথা বলে রাখি। অনেকেই মনে করেন, কোন নবীকে, মানে আমাদের নবীজীও ইনক্লুডেড, "আল্লাহর দাস" বললে বুঝিবা বিরাট অসম্মান করা হয়ে যাবে। তাই আমাদের দেশে সবাই প্রিয় নবীজিকে (সঃ) আল্লাহর দাস বললে ক্ষেপে উঠে। "বলেন আল্লাহর বন্ধু! উনি দাস কেন হবেন?"
অথচ এরাই কলিমা শাহাদাতে বলে "....আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু।" আরবি "আব্দ" শব্দের মানেই "দাস" - মানে হচ্ছে, "তিনি আল্লাহর দাস ও রাসূল।" নবী (সঃ) চিরজীবনই বলে গেছেন তিনি আল্লাহর আজ্ঞাবহ দাস। আল্লাহ নিজেই কুরআনে বলেছেন তাঁর কাজ হচ্ছে আল্লাহর নির্দেশ পালন করা। কিন্তু লোকে তা মানলেই না। ওদের দৃষ্টিতে "আল্লাহর দাস" হয়তো অসম্মানের হয়ে যাবে, তাই ঈসার (আঃ) উম্মতরা তাঁকে আল্লাহর পুত্রই ঘোষণা দিয়ে বসলো।
আল্লাহ কুরআনে ঈসা (আঃ) সম্পর্কে নিজে বলেছেন "আল্লাহর দাস" মোটেই অসম্মানের পদ না বরং সবচেয়ে সম্মানিত পদের একটি। মানে হচ্ছে, এই আয়াতটি যেকোন নবী রাসূলের জন্যই প্রযোজ্য। এরপরেও আমরা তর্ক তুলি।
যাই হোক, যীশুকে (আঃ) আল্লাহর আজ্ঞাবহ বার্তাবাহক বিবেচনা করা প্রথম দলকে বলতো জুডিও খ্রিষ্টান, মানে ইহুদি ধর্মের আপডেটেড ভার্সন। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী ওরাই ছিল সঠিক, সত্য পথে চলা জাতি, যারা এক আল্লাহ ছাড়া আর কারোরই উপাসনা করতো না। ওটাই "ইসলাম" কারন ইসলাম মানেই যে আল্লাহর নির্দেশের সামনে আত্মসমর্পণ করে। যে করবে, যে যুগে করবে, সেই মুসলিম। ইহুদি, খ্রিষ্টান বা মুসলিম যে নামেই আলাদা করার চেষ্টা করেন না কেন, কিছুই যায় আসেনা। এই একই যুক্তিতে অনেক মুসলিমই বাস্তবে মুসলিম না, কারন ওরা আল্লাহর নির্দেশের সামনে আত্মসমর্পণ করেনা।
যাই হোক, খ্রিষ্টানদের পরের ধারা স্পষ্টতঃই শিরকে লিপ্ত ছিল। "পিতাই ঈশ্বর, ঈশ্বরই পুত্র (যীশু), ঈশ্বরই পবিত্র আত্মা।" এক আল্লাহকে ওরা তিনের এক বানিয়ে ফেলে। তা যাই হোক, খ্রিষ্টানদের উপর নানান অত্যাচার চালিয়েছে রোমান সম্রাটরা। উন্মাদ সম্রাট নিরো খ্রিষ্টানদের আগুনে পুড়িয়ে সড়কবাতি হিসেবে ব্যবহার করতো। এবং একটা সময়ে রোমান পৌত্তলিক সম্রাট কন্সট্যান্টিন খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহণ করে, এবং তখন এক বৈঠক করে খ্রিষ্টান ধর্মের নিজস্ব সংস্করণ তৈরী করে। এই বৈঠকেই অনেক পৌত্তলিক প্রথা খ্রিষ্টান ধর্মে ঢুকে যায়। কন্সট্যান্টিন নিশ্চিত করে, রোমে বাস করতে হলে ওর সংস্করণের খ্রিষ্টান হতে হবে, নাহলে ভয়াবহ শাস্তি। কাজেই একটা বিরাট সংখ্যার পৌত্তলিক খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করে। অনেক জুডিও খ্রিষ্টান নিজ ধর্ম পালনের জন্য দেশ ত্যাগ করে (সালমান আর ফারিসি (রাঃ), নাজ্জাশী (রাঃ) প্রমুখ ছিলেন এমনই জুডিও খ্রিষ্টান)। অনেকে কন্সট্যান্টিনের ধর্মীয় রীতিই গ্রহণ করে।
রোম সম্রাট খ্রিষ্টান হয়ে গেছেন, তাহলে খ্রিষ্টানদের শক্তিতো বাড়বেই। এইবার ওরা ইহুদিদের উপর বদলা নেয়া শুরু করে। নানান অত্যাচার অনাচার চলে। সবচেয়ে বড় অত্যাচার হয়তো এই ছিল যে ওদের মহাপবিত্র বায়তুল মাকদিসকে ওরা আবর্জনা ফেলার স্থানে পাল্টে ফেলে।
আচ্ছা, এখানে বলে রাখা ভাল, খ্রিষ্টান ধর্মের অনেক শাখা প্রশাখায় ভাগ হতে থাকার শুরুটাও ঐ শুরু থেকেই। আমেরিকায় এসে দেখেছি খ্রিষ্টান কতপ্রকার ও কি কি। ক্যাথলিক, অর্থোডক্স এবং প্রটেস্ট্যান্ট এবং ওদেরও বহু উপবিভাগ আছে। রাস্তার এই পাড়ে একটা গির্জা, ওপারে আরেকটা, ঐ কোণায় আরেকটা। তিন গীর্জার মেম্বাররা একে অন্যের গীর্জায় যায় না। কারন "আকিদা" ভিন্ন। কেউ ট্রিনিটিতে বিশ্বাসী, কেউ না।
তা জেরুজালেম বরাবরই ছিল ইহুদিদের জন্য পবিত্র ভূমি (প্রমিস্ড ল্যান্ড)। "পবিত্র ভূমি" কনসেপ্টের মানে হচ্ছে, আল্লাহ একটা নির্দিষ্ট অঞ্চলকে পবিত্র ঘোষণা করেছেন, সেটা। আমি সিলেটকে "পুণ্যভূমি" ঘোষণা করলাম, কারন এখানে হজরত শাহজালাল (রঃ), শাহপরান (রঃ) সহ তিনশো ষাট আউলিয়া চিরনিদ্রায় শায়িত, এবং আধ্যাত্মিক শহর ইত্যাদি ইত্যাদি যে কারণই থাকুক না কেন, বাস্তবে এর মূল্য শূন্য। আল্লাহ ঘোষণা না করলে সবই সাধারণ। সিলেট যা, ঢাকাও তা। বেহুদা বাস ভরে ভরে বাবা শাহজালাল(রঃ) শাহ্পরানের (রঃ) মাজার জিয়ারত তাই নিছক সিলেট ভ্রমন ছাড়া কিছুই না। আধ্যাত্মিক মূল্য শূন্য।
আল্লাহ যদি জেরুজালেমকে পবিত্র ভূমি না বলে নেত্রকোনাকে পবিত্র ভূমি বলতেন, তাহলে এখানেই তিন ধর্মের লোক জড়ো হতেন।
তা আল্লাহ ইহুদিদের জন্য পবিত্র ভূমি হিসেবে ঘোষণা দিলেন জেরুজালেমকে। খ্রিষ্টানদের জন্যও এটি মহাপবিত্র নগরী হয়ে গেল। কারন, ঈসা (আঃ) নবীর জন্ম এই শহর থেকে মাত্রই কয়েক মাইল দূরে। তাঁর ক্রুশবিদ্ধ হবার স্থান এবং মৃত্যু (ওদের বিশ্বাস) এই শহরেই। তাঁর কবরও এখানেই। তাছাড়া ওরা যেহেতু ইহুদিদেরই আপগ্রেডেড ভার্সন, কাজেই এমনিতেও এই নগরী ওদের কাছে "প্রমিস্ড ল্যান্ড।" মুসা (আঃ) ওদেরও নবী, ইব্রাহিম (আঃ) ওদেরও পিতা।

তা যাই হোক। এই যে একদিকে ইব্রাহিমের (আঃ) একেশ্বরবাদী ধর্মের অনুসারীরা ইহুদি হয়ে খ্রিষ্টান ধর্মে ভাগ হয়ে গেল, অন্য ছেলে, মানে ইসমাঈলের (আঃ) বংশধরদের ঘটনা কি? ইসহাকের (আঃ) ("আইজ্যাক" নামে পরিচিত) বংশে একের পর এক নবী এসেছেন বলেই সবাই একেশ্বরবাদী থাকতে পেরেছিলেন, ইসমাঈলের বংশধরে কোন নবী ছিল কি? না। হাজার বছর ধরে কেউ ছিল না যে ওদের গাইড করবে। ইসমাঈল (আঃ) মক্কায় থেকে যান, সেখানেই সংসার করেন, এবং সেখানেই তাঁর বংশধররা কাবা ঘর হেফাজত করেন। এখন স্বাভাবিকভাবেই, এক ভাইয়ের বংশে একের পর এক নবী জন্মাচ্ছে, সভ্য জনগোষ্ঠী ওরা। আরেক ভাই জনশূন্য মরুভূমি মক্কায় পরে আছে, প্রথম ভাইয়ের বংশধরদের অহংকারতো আসবেই। এই যুগে আমাদের দেশেই বড়লোক ভাইয়ের ছেলেমেয়েরা গরিব ভাইয়ের ছেলেমেয়েদের তাচ্ছিল্যের চোখে দেখে, দেখে না? এটাই স্বাভাবিক মানব আচরণ।
তা ইব্রাহিমকে (আঃ) দিয়ে কাবা প্রতিষ্ঠার পর আল্লাহ নির্দেশ দেন আজান (ইবাদতের জন্য আহ্বান, আমাদের প্রচলিত আজান না) দিতে। জনশূন্য প্রান্তরে ইব্রাহিম (আঃ) কাকে আজান দিবেন ভেবে পেলেন না। তবু যেহেতু রবের নির্দেশ তিনি দিলেন।
ইব্রাহিমের(আঃ) কাজ ছিল আজান দেয়া, সেটা ইব্রাহিম করেছেন। আর আল্লাহর কাজ ছিল মক্কায় হজ্জে মানুষ আনা, সেটা তিনি করেছেন। হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ ইব্রাহিমের (আঃ) সেই আহ্বানেই সাড়া দিতে প্রতিবছর কাবায় যায়। ইসমাঈলের বংশধররা, এবং যারা তাঁর থেকে ইব্রাহিমী একেশ্বরবাদী ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন, তাঁরাই তখন মক্কায় হজ্ব করতেন।
এখন দেখা গেল, ইব্রাহিমের (আঃ) অনুসারীদের একাংশ সেই মিশর হয়ে জেরুজালেমে গিয়ে স্থায়ী হলো। আরেকদল রয়ে গেল মক্কা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায়।
কাহিনী আরও অনেক বিস্তারিত আছে, তা না বলে মূল কথায় আসি। সেটা হচ্ছে, একটা সময়ে মক্কার অধিবাসী এক নেতা শাম অঞ্চলে গিয়ে দেখেন ওদের অধিবাসীরা মূর্তি পূজা করছে। মক্কাবাসীর চাইতে শামবাসির সবদিক দিয়েই অবস্থা ভাল ছিল। নাইজেরিয়ার কোন মানুষ হঠাৎ নিউইয়র্কে আসলে যেমনটা হবে, সেটাই হয়েছে। ও মনে করলো সিরিয়াবাসী যাই করে, সেটাই হয়তো ওদের এই উন্নতির কারন। যেমন আমাদের দেশের অনেকেই মনে করে পশ্চিমা সমাজের সবই বুঝি কল্যাণকর, এবং ওসব অনুকরণ করলেই আমরাও উন্নত হয়ে যাব। ওরা যে উন্নত হয়েছে নিজেদের শিক্ষা দীক্ষা, জ্ঞান চর্চা, ন্যায় বিচারের নিশ্চয়তা, সততা পরিশ্রম ইত্যাদির কারনে, সেটা অনুকরণ না করে বেয়াক্কেলগুলি অনুকরণ করে ওদের নাইটক্লাব, স্ট্রিপক্লাবের সংস্কৃতি, জুয়া, মদ্যপান ও মাদকের অভ্যাস এবং ইত্যাদি ইত্যাদি - যার সাথে অর্থনৈতিক বা জাতীয় উন্নতির কোনই সম্পর্ক নেই।
তা আমর ইবনে লুহাই (শাম ভ্রমন করা সেই ব্যক্তি) ধরে নেয়, হুবাল নামের ঐ মূর্তির পূজা করার কারণেই হয়তো শামবাসী এত উন্নত। যেহেতু সে নেতা শ্রেণীর লোক, সে কাবা ঘরে মূর্তি স্থাপন করায় কেউ কিছু বলে না। তাছাড়া ওদের বংশে শত শত বছর ধরে এমন কেউ জন্মায়নি যে বলবে এক আল্লাহ ছাড়া অন্য কারোর সামনে মাথা নত না করতে। আমাদের সমাজেই দেখেন না, মাজারে গেলেই দেখবেন লোকজন কেমন "মুসলমান।" সেখানে ওদের কি হাল হবে সহজেই অনুমেয়।
এই হুবালের পাশাপাশি ধীরে ধীরে মূর্তি আসতে লাগলো। তিনশো ষাট মূর্তি জমা হয়ে গেল কাবায়। এককালে একেশ্বরবাদী ইব্রাহিমের (আঃ) ধর্মের অনুসারীরা পুরোদস্তুর পৌত্তলিক হয়ে গেল। যদিও ওদের "ঈশ্বর" আল্লাহই রইলেন।
তারপরে এলেন আমাদের নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। মাত্র তেইশ বছরে গোটা আরব পাল্টে গেল। পৌত্তলিকতার অন্ধকারে নিমজ্জিত আরব উপদ্বীপ থেকে মূর্তি পূজা চিরতরে বিদায় নিল। সেই পৌত্তলিকরাই, যাদের পূর্বপুরুষরা একেশ্বরবাদী ছিলেন, তারপরে পৌত্তলিক হলেন, এখন আবার তাঁরাই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলো। ইব্রাহিমের হানাফী বা একেশ্বরবাদী ধর্ম তৃতীয়ভাগে ভাগ হলো, যার নাম হলো মুসলিম। অথবা বলা ভাল, ইব্রাহিমের প্রচার করা আসল ধর্মেই ফেরত গেল।

এই ইতিহাস যেকোন মুসলিম জানে। বিস্তারিত যদি নাও জানে, সংক্ষেপে হলেও জানে। এইটা বেসিক থেকে বেসিকতর নলেজ। এখন কমন সেন্স থাকলেই বুঝার কথা পেগান আরবরাই এককালে ইব্রাহিমী ছিল, পরে পেগান হয়েছে, এবং পরে মুসলিম। এবং ওরা হাজার বছর ধরে মক্কায় হজ্ব পালন করে এসেছেন। এবং ইহুদি ও খ্রিষ্টানরা জেরুজালেমকেই পবিত্রভূমি জ্ঞান করে এসেছে, কারন ওদেরকে আল্লাহ সেটাই বলেছেন। মক্কায় আসার নির্দেশ ওদের দেয়া হয়নি, কাজেই ওরাও মক্কায় আসেনি।
মুসলিমদেরও প্রথম কেবলা ছিল জেরুজালেম। মুসলিমরা সেদিকে ফিরেই নামাজ পড়তো। আমাদের নবীজিও (সঃ) তাই করতেন। কাবাকে কেবলা বানানো হয়েছে আমাদের নবীকে (সঃ) সম্মান দিয়েই। সূরা বাকারার একদম মাঝের দিকের আয়াতগুলোতে আল্লাহ সেটাই বলেছেন। এবং এটাই মূল বিষয়, আল্লাহ বলেছেন, তাই মুসলিমদের কাছে মক্কা পবিত্র হয়েছে। আল্লাহ যদি না বলতেন, তাহলে এখনও আমরা জেরুজালেমকে কেবলা বানিয়েই নামাজ পড়তাম। তাই বলে জেরুজালেমের সম্মানও আল্লাহ কমিয়ে দেননি। ওটাও আমাদের অতি সম্মানিত, পবিত্র ভূমি। গোটা বিশ্বে মুসলিমদের ইবাদতের জন্য তিনটিই পবিত্র ভূমি নির্ধারিত, মক্কা, মদিনা এবং জেরুজালেম। এ ছাড়া কেউ যদি আজমীর, সিলেট, বাগদাদ, তুর পাহাড়, ওহুদ পাহাড়, জাবালে নূর ইত্যাদিকে ধর্মীয়ভাবে পবিত্র মনে করে কিংবা ভাবে ওসব স্থানে ভ্রমনে পুণ্যার্জন হবে কিংবা মনোবাসনা পূরণ হবে ইত্যাদি, তবে সে ভুল। এই ভুল শুধু ভুল না, শিরক পর্যায়ের পাপ।

আবার বলি, আল আকসা মসজিদ কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে না হয়েছে, সেই মসজিদ থাকবে, নাকি ভেঙ্গে নতুন মসজিদ গড়া হবে ইত্যাদি কোনটাই ব্যাপার না, জেরুজালেম "এলাকাটা" তিন ধর্মের অনুসারীদের জন্যই পবিত্র। যেমনটা কাবা নয়, কাবার এলাকা মুসলিমদের জন্য পবিত্র। কোন কারনে যদি কাবা ঘর সেখানে নাও থাকে, তারপরেও সেই এলাকাটা আমাদের জন্য মহাপবিত্র। কেন? কারন আল্লাহ বলেছেন ওটা পবিত্র, ওদিকে ফিরে নামাজ পড়তে, ওখানে গিয়ে হজ্ব করতে।
যদি তিনি তা না করে বলতেন ব্রাজিলের রেইন ফরেস্টে বিশেষ এলাকাকে ঘিরে তাওয়াফ করতে, তবে আমরা সেটাই করতাম। যেমন ফেরেস্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল আদমকে (আঃ) সিজদাহ দিতে, তাই ফেরেস্তারা দিয়েছিল। আদমকে(আঃ) "প্রভু" বানাতে নয়, বরং আসল প্রভুর নির্দেশ মান্য করতেই সেটা দেয়া। কারন আমাদের কাছে আল্লাহর নির্দেশই হচ্ছে শেষ কথা, কি বা কেন সেটা কোন বিষয় না।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৪৮

সোবুজ বলেছেন: ইব্রাহীম কি কখনো মিশর গিয়েছিল?

২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ২:৫৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মক্কার কাবা সবধর্মের লোকজনদের তির্থস্থান ছিল।
মক্কা দখলের পরও হজরত মোহম্মদ (স) বেচে থাকতেও কুরাইশ সহ ভিন্নধর্মিরা মক্কার হারেমসরিফ তাওয়াফ, পাথরে চুমু, শয়তানের স্তম্ভে ঢিল মারা ইত্যাদি পালন করে হজ করতে পারতো।
মক্কা থেকে বিতারিত (হিজরত) হজরত মোহম্মদের (সঃ) যোদ্ধা ও অনুসারি মুসলিমদের কেবলা ছিল জেরুজালেম। যদিও জেরুজালেমে তিনি কখনো যান নি। তখনো আল-আকসাতে কোন মুসলিমও নামাজ পড়েনি। এরপরও মুসলিমদের একমাত্র কেবলা ছিল জেরুজালেম।
মক্কা ছিল কুরাইশ ও প্যাগানদের অধিনে বা দখলে, তবে মক্কা ও জেরুজালেম তির্থস্থান সবধর্মের সবার জন্যই উম্মুক্ত ছিল।
মুসলিমরা জেরুজালেমের দিকে ফিরেই নামাজ পড়তো। আমাদের নবীজিও (সঃ) সেরকম হুকুম ছিল। কিন্তু কেন?
কারনটা পরিষ্কার। ৩ যুদ্ধের পরও নবীজি কখনো ভাবেন নি মক্কা তাদের করায়ত্ত হবে, কোন একদিন মক্কার দখল নেয়া সম্ভব হবে।
যখন নিশ্চিত হয়েছে যে মক্কা দখল অতি সন্নিকটে তখনি অহি নাজেল হয়েছে।

৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ভোর ৪:৫৮

এভো বলেছেন: ইব্রাহিমের (আঃ) তিন ধর্ম ও ইহুদি খ্রিষ্টানরা কেন মক্কায় হজ্জ্বে যেত না

আপনি ভাই অনেক দিন থেকে ব্লগ লিখেন এবং লিখার একটা কমন বৈশিষ্ঠ হোল অযথা লিখাটা টেনে লম্বা করা এবং কাম টু দা পয়েন্টে না এসে ইনিয়ে বিনিয়ে লিখাটাকে আকারে বিনা কারনে বড় করা ।
আরেকটা বৈশিষ্ঠ হোল -- কমেন্টের কোন জবাব না দেওয়া ।
কাবা শরিফ যে হযরত ইব্রাহীম (আ: ) প্রতিষ্ঠিত করেছিল , এটার কোন উল্লেখ ইহুদী বা খৃষ্ঠানদের টেক্সটে নেই এবং এটা মূলত মুসলমানদের দাবি ।
মুসলিম এই দাবির পিছনে কোন প্রত্নত্বাত্তিক প্রমাণ পাওয়া যায় না । ইহুদী খৃষ্ঠানরা ও মনে করে না এটা হযরত ইব্রাহীম (আ: ) কর্তৃক নির্মিত । যদি তারা মনে করতো এই কাবা শরিফ হযরত ইব্রাহীম (আ: ) নির্মান করেছিলেন , তাহোলে তারা ও কাবা শরিফের অধিকার দাবি কোরতো এবং কাবা শরিফকে দখল করে নিত ।
কাবা শরিফ হযরত ইব্রাহীম ( আ: ) বানিয়েছিল এটা একমাত্র মুসলমানদের দাবি - ইহুদী খৃষ্টানদের টেক্সটে এর পক্ষে কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না ।
---
আরেকটা কথা ব্লগ সংক্ষেপে লিখুন এবং কামটু পয়েন্টে কথা বলুন ।
----------
এই যে আমি এই মন্তব্যটা করলাম --- এটা যদি আপনি লিখতেন তবে ৫ পাতা লিখে ফেলতেন । ধন্যবাদ

৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৭:৩৯

জুন বলেছেন: একাধিকবার দেখা বিখ্যাত টেন কমান্ডসমেন্ট ম্যুভিটা দুদিন আগে আবার দেখলাম। শৈশব থেকে বনি ইসরাইলীদের নিয়ে রেড সী পার হয়ে আসা মুসা নবীর অলৌকিক সাথে অপার্থিব এক যৌবনকালের কাহিনী।

৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১৯

এভো বলেছেন: কমেন্ট ৫ --------
প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ নহে, আপনি তোরাহ ইঞ্জিল থেকে প্রমাণ দেখান, দুটোই আব্রাহামিক ধর্ম। কাবা ঘর যদি হযরত ইব্রাহিম আঃ বানিয়ে থাকেন, তাহোলে অবশ্যই এই বর্ণনা তোরাহ ইঞ্জিলে থাকত এবং তারা এটার অধিকার দাবি করতো কিন্তু তারা কোন দিন সেই দাবি করেনি।
একমাত্র ইসলামিক দলিলে এই দাবি করা হয়েছে।

৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০২

মোল্লা সাদরা বলেছেন: ভ্রাতঃ এভো, তৌরাত আর এঞ্জিল তো এছলাম মোতাবেক বাতেল কেতাব। ইহা মনুষ্যহস্তে পুনঃলিখিত হইয়াছে। তৌরাত এঞ্জিলে কি আছে, উহা আমাদিগের, অর্থাৎ মুছলিমদিগের পুছিবার কি প্রয়োজন? আমোরা তো কুরআন হাদিসে যাহা পাই - উহাই ধর্তব্য বলিয়া গননা করিব।

আপোনার জন্যে এছলামিক দলিলের বর্ণনা যথেষ্ট নহে?

৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:১১

জ্যাকেল বলেছেন: শয়তানের যত প্রচেস্টা সব থেকে মজার হইল ঈমানদারদের মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দেওয়া। এখন ইহারা এমন ভাব নিয়ে কথা বলবে যেন ইসলাম একদম তুচ্ছ এক ব্যাপার চাইলেই উড়িয়ে দেওয়া যায়। ব্লগে শয়তানের চেলা ২/১ টা আমি দেখে অবাক হই।
এই যে পরিস্কার লেখা আছে দেখেন প্রমাণভুকেরা। https://www.bible.com/bible/114/PSA.84.NKJV

https://www.researchgate.net/figure/A-map-of-the-Nabataean-kingdom-after-Villeneuve-Nehme-1999-164_fig12_275103298

In the Nabataean culture of roughly 300 BC through the Christianization of the 300s AD (after Constantine’s conversion of 312), such a sacred place or temple was called mḥrmt’ (mahramat?– we don’t have their vowels) in their sometimes Arabized Aramaic.

Thus we have the inscription:
d’ mhrmt dy bnh cnmw

which means “This is the consecrated place which PN built”

(M. O’Connor, “The Arabic Loanwords in Nabatean Aramaic,” Journal of Near Eastern Studies, Vol. 45, No. 3 (Jul., 1986), pp. 213-229, this phrase on p. 223).

বাইবেলের Psalms (৮৪) ভার্সে বাকা(মক্কার আদি নাম) উল্লেখ আছে অথচ বিশাল জ্ঞানের বাহার দাবী করা এইসকল শয়তানের চেলারা জানার পরেও মিথ্যাচার করবে। তবে এইসকল মানবীয় জ্ঞান/বিজ্ঞান দিয়ে যদি আলিমুল গায়েব আল্লাহকে কেহ কেহ জাজ/যাচাই করতেই থাকে তবে উনাদের জন্য এক বালতি সমবেদনা বৈ কিছু নাই।


৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:১১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ভালো লিখেছেন, পুরটা পড়লাম।

৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৫০

এভো বলেছেন: ছোট বেলায় পড়ে ছিলাম J তে জ্যাকেল মশাই চালাক কত ? শিয়ালকে শয়তানের চেলা ধরা হয় , তিনি নাকি অতি চালাক , তবে অতি চালাকের গলায় দড়ি । বাকা যদি মক্কা হোত তাহোলে কাবা ঘর ইহুদী নাসাদের দখলে থাকতো ।
মক্কা বনাম বক্কাঃ
إِنَّ أَوَّلَ بَيْتٍ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِي بِبَكَّةَ مُبَارَكًا وَهُدًى لِّلْعَالَمِينَ
The first House appointed for men was that at Bakka: Full of blessing and of guidance for all kinds of beings: (৩ঃ৯৬)

এই খানে খুবই ইন্টারেস্টিং একটা বিষয় আছে। অনেক অনুবাদক এই আয়াতের অনুবাদ করতে গিয়ে “বক্কা” শব্দের অনুবাদ করেছেন “মক্কা”। এইটা নিঃসন্দেহে পিউর ম্যানিপুলেশন। ট্র্যাডিশন দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এই অনুবাদ করার ফলে অনুবাদকগন এই ইচ্ছকৃত ভুল অনুবাদ করেছেন। যারা কোরআন সম্পর্কে কিছু জ্ঞান রাখেন তারা জেনে থাকবেন কোরআন শব্দ চয়নের ব্যাপারে খুবই সিলেক্টিভ। কোরআনে কোন বানান ভুল নেই, বা গ্রামারেও ভুল নেই। কোরআনে ৪৮:২৪ আয়াতে মক্কা শব্দটা এসেছে। সুতরাং আল্লাহ্‌ কেন একই স্থানের জন্য পৃথক দুইটি নাম ব্যাবহার করবেন? কোরআনে এই রকম কোন উদাহরণ নেই। আল্লাহ্‌ মক্কা শব্দ দিয়ে মক্কাই বুঝিয়েছেন এবং বক্কা শব্দ দিয়ে বক্কাকেই বুঝিয়েছেন।

এই জিনিষ কে গোঁজামিল দিতে যেটা সাধারণত বলা হয় (আমি তিনটা থিওরি পেয়েছি)

ক। মক্কার পূর্ব নাম বক্কা, অথবা

খ। বক্কা হচ্ছে মক্কার বিশেষ জনাকীর্ণ একটা জায়গা।

গ। আরবীতে “ম” এবং “ব” পরস্পর পরিবর্তনশীল

দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এই ধরণের কথার স্বপক্ষে এই পর্যন্ত কেউ কোন প্রমান দিতে পারেনি। কোন প্রাক-ইসলামিক কবিতা, আর্কিওলজিকাল রেকর্ড, ডকুমেন্ট- যে কোন কিছু। কোন প্রমান নেই, শুধু মুখের কথা ছাড়া। কেউ কেউ আবার বলেন আরবীতে “ম” এবং “ব” পরস্পর পরিবর্তনশীল। মনে রাখতে হবে আমরা আল্লাহর কোরআন নিয়ে কথা বলছি। কোরআনের ভাষা ট্র্যাডিশনাল ক্লাসিক্যাল আরবী ভাষা থেকেও উন্নত। (কোরআন এবং ট্র্যাডিশনের মধ্যে বিভিন্ন শব্দের প্রয়োগ দেখলেই বুঝতে পারবেন)।

মোট কথা হচ্ছে, প্রথম ঘর নিয়োগ করা হয়েছিল বক্কা তে, মক্কা তে নয়।
এবার সহি ইন্টারন্যাশনালের ৩--৯৬ এর অনুবাদ দেখুন
3:96
Sahih International
Indeed, the first House [of worship] established for mankind was that at Makkah - blessed and a guidance for the worlds.

১০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: হযরত ইব্রাহিম রাঃ স্বস্ত্রীক কেনান বা সিরিয়া থেকে মিসর গিয়েছিল অভাবের তাড়নায়।
ধর্ম যদি মানসিক, আর্থিক ও সুশৃঙ্খলা দেয় জীবনে তবে ধর্মহীন মানুষের দেশগুলো সুখী তালিকায় শীর্ষে থাকে কিভাবে?

১১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:১৫

মোল্লা সাদরা বলেছেন: ভ্রাতঃ এভোর সমীপে পুনরায় প্রশ্ন, কোন মুছলমানের ঘরে জন্ম নেয়া মুছলমানের ক্বাবা শরীফের নির্মাণের ইতিহাস প্রসঙ্গে কুরআন হাদিসে যাহা আছে - উহাই একিন রাখিবার জন্যে যথেষ্ট প্রমাণ।

মন্তব্যে উল্লেখ করিলেন - "কাবা শরিফ যে হযরত ইব্রাহীম (আ: ) প্রতিষ্ঠিত করেছিল , এটার কোন উল্লেখ ইহুদী বা খৃষ্ঠানদের টেক্সটে নেই এবং এটা মূলত মুসলমানদের দাবি।"

আমার দীর্ঘ হায়াতে এক ব্লগার এভো - আপনি ব্যতিরেকে আর কোন মুছলমানকে ক্বাবা শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হজরত আদম (আঃ), ও নূহ (আঃ) এর মহাপ্লাবনে ক্ষতিগ্রস্থ হইবার পর উহার পুনঃনির্মাতা হিসেবে হযরত ইব্রাহীম (আঃ)কে মানিতে আপত্তি করিতে দেখি নাই।

মুছলমান হিসেবে আপোনার এ দাবী মানিতে কি সমস্যা?

নাকি আপোনি আদতে মুছলমানই নহেন?

আমাদের সন্দেহ নিরসন করুন। নিয়মিত কুরআন হাদিস লইয়া লম্বা লম্বা কমেন্ট আর লিঙ্ক শেয়ার করেন। আমি তো সব দেখিয়া শুনিয়া ভাবিয়াছিলাম আপনি বড় পাক্কা মুহাক্কেক আলেম। আপোনার পবিত্র হস্তে হস্ত রাখিয়া বাইয়াত হইয়া এছলাম শিখিবো। আমার স্বপ্ন কি স্বপ্নই রহিয়া যাইবে তবে? আপোনি মুছলমান না হইলে আপোনার কাছে এছলাম শিখিবো কীভাবে? :(

১২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২৬

জ্যাকেল বলেছেন: এই খানে খুবই ইন্টারেস্টিং একটা বিষয় আছে। অনেক অনুবাদক এই আয়াতের অনুবাদ করতে গিয়ে “বক্কা” শব্দের অনুবাদ করেছেন “মক্কা”। এইটা নিঃসন্দেহে পিউর ম্যানিপুলেশন। ট্র্যাডিশন দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এই অনুবাদ করার ফলে অনুবাদকগন এই ইচ্ছকৃত ভুল অনুবাদ করেছেন।

দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এই ধরণের কথার স্বপক্ষে এই পর্যন্ত কেউ কোন প্রমান দিতে পারেনি। কোন প্রাক-ইসলামিক কবিতা, আর্কিওলজিকাল রেকর্ড, ডকুমেন্ট- যে কোন কিছু। কোন প্রমান নেই, শুধু মুখের কথা ছাড়া।

আব্রাহাম = ইব্রাহিম, ডেনিয়েল = দানিয়েল, জোসেফ = ইউসুফ, জ্যাকব = ইয়াকুব, মোসেজ = মুসা, টরাহ = তাওরাত হইতে পারে অথচ বক্কা = মক্কা হইতে পারে না। হাঃহাঃহাঃহাঃ

হাসলাম কিছুক্ষণ। কি পরিমান ফ্যালাসি থাকলে নিজের কোন ডকুমেন্ট/প্রমাণ ছাড়াই একটা সহজ জিনিস মুখের ওপর বাতিল করা যায়। বিজ্ঞ ব্লগারগণের সমীপে ব্যাপারটা থাকল।

কোরআনে ৪৮:২৪ আয়াতে মক্কা শব্দটা এসেছে। সুতরাং আল্লাহ্‌ কেন একই স্থানের জন্য পৃথক দুইটি নাম ব্যাবহার করবেন?

আল্লাহ কি বাক্কা ব্যবহার করেছেন কোরআনে? যদি না হয় তবে আল্লাহর নামে কেন এই মিথ্যাচার?

মোট কথা হচ্ছে, প্রথম ঘর নিয়োগ করা হয়েছিল বক্কা তে, মক্কা তে নয়।

প্রথম ঘর বক্কা/মক্কা যেকোন নাম হোক, নিয়োগ করা হইছিল এটা স্বীকার করার হেতু পাইতেছি কম। কারণ প্রথম ইবাদতের ঘর তো অবিশ্বাসীদের জন্য জানা জরুরত নহে।

কোরআন শব্দ চয়নের ব্যাপারে খুবই সিলেক্টিভ। কোরআনে কোন বানান ভুল নেই, বা গ্রামারেও ভুল নেই।

এই কথা হাত ফসকে বেরিয়ে গেছে এবং ইহা কোরআন যে সেই মধ্যযুগের নিরক্ষর মানুষের লিখিত নহে সেইটা স্বীকার হইয়া যাইতেছে না? খিয়াল কৈরা কিন্তু।

১৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩১

এভো বলেছেন: কমেন্ট ১২ ---আমার দীর্ঘ হায়াতে এক ব্লগার এভো - আপনি ব্যতিরেকে আর কোন মুছলমানকে ক্বাবা শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হজরত আদম (আঃ), ও নূহ (আঃ) এর মহাপ্লাবনে ক্ষতিগ্রস্থ হইবার পর উহার পুনঃনির্মাতা হিসেবে হযরত ইব্রাহীম (আঃ)কে মানিতে আপত্তি করিতে দেখি নাই।


আমি অস্বিকার করেছি কোথায় বলুন তো ? আমি বলেছি এটা মুসলমানদের দাবি বা ইসলামিক দলিলের দাবি । এই বাক্যটার অর্থ কি মুসলমানদের বিশ্বাষ বা দাবি নহে । আমি তো বল্লাম এটা শুধু মুসলমানরা মানে , ইহুদী খৃষ্ঠানরা নহে । নাকি এই কথা ভুল ?
তাহোলে আপনি কি বলতে চান --- এই দাবি ইহুদী , নাসা এবং মুসলমানদের সবার । তাহোলে এর মানে হোল ইহুদী নাসা মুসলমান সবাই কাবা শরিফকে হযরত ইব্রাহীম আ: বানিয়েছেন বিশ্বাষ করে ।
বস্তুত ইহুদী নাসারা এমন বিশ্বাষ বা দাবি করে না ।

১৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩৩

মোল্লা সাদরা বলেছেন: ভ্রাতঃ জ্যাকেল, ব্লগার এভোর সহিত লম্বা কমেন্টের গেইম খেলিয়েন না। আপোনার মাথা গিটটু লাগাইয়া ছাড়িয়া দিবে। উহাকে বাস এতোটুকু প্রশ্ন করুন এভো যদি মুছলমান হইয়া থাকে, তবে ক্বাবার ইতিহাস সংক্রান্ত এছলামে, বা মুছলমানদিগের মধ্যে প্রচলিত ন্যারেটিভ মানিতে উহার কি সমস্যা। যদি উহা মুছলমান না হইয়া থাকে, উহার সঙ্গে বাহাস নিরর্থক।

১৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩৫

মোল্লা সাদরা বলেছেন: কমেন্ট ১৪ - ভ্রাতঃ এভো, এয়াহুদি বা খ্রেস্তানরা কি বিবেচনা করে, উহা আমার ধর্তব্য বিষয়ই নহে। আপোনি ক্বাবার ইতিহাস সংক্রান্ত এছলামি ন্যারেটিভ মানেন? হ্যা বা না এ উত্তর দিন।

১৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৪৩

এভো বলেছেন: মি: জ্যাকেল -- আল্লাহ কি বাক্কা ব্যবহার করেছেন কোরআনে? যদি না হয় তবে আল্লাহর নামে কেন এই মিথ্যাচার?

দেখুন বাক্কা শব্দটা ব্যবহার হয়েছে কিনা সুরা ৩-৯৬ আয়াতে ৭ নং শব্দে ।

(3:96:1)
inna
Indeed, ACC – accusative particle
حرف نصب
(3:96:2)
awwala
(the) First N – accusative masculine singular noun
اسم منصوب
(3:96:3)
baytin
House N – genitive masculine indefinite noun → Kaaba
اسم مجرور
(3:96:4)
wuḍiʿa
set up V – 3rd person masculine singular passive perfect verb
فعل ماض مبني للمجهول
(3:96:5)
lilnnāsi
for the mankind P – prefixed preposition lām
N – genitive masculine plural noun
جار ومجرور
(3:96:6)
lalladhī
(is) the one which EMPH – emphatic prefix lām
REL – masculine singular relative pronoun
اللام لام التوكيد
اسم موصول
(3:96:7)
bibakkata
(is) at Bakkah, P – prefixed preposition bi
PN – genitive proper noun → Bakkah

جار ومجرور
(3:96:8)
mubārakan
blessed N – accusative masculine indefinite (form III) passive participle
اسم منصوب
(3:96:9)
wahudan
and a guidance CONJ – prefixed conjunction wa (and)
N – accusative masculine indefinite noun
الواو عاطفة
اسم منصوب
(3:96:10)
lil'ʿālamīna
for the worlds. P – prefixed preposition lām
N – genitive masculine plural noun
جار ومجرور

১৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৫৫

এভো বলেছেন: মোল্লা সাদরা -- আপনার যদি আই কিউ গত সমস্যা থাকে তাহোলে বলার কিছু নেই । আপনি নিজে ইহুদী খৃষ্ঠান মুসলমান বানান ঠিক করে লিখতে পারেন না ।
এবার আপনার একটা আই কিউ টেস্ট --
খৃষ্ঠানরা বিশ্বাষ করে জেসাস ঈশ্বরের পুত্র কিন্তু ইহুদী মুসলমানরা সেটা মানে না ।
---- এই বলার জন্য কি আমি আমার বিশ্বাষ চূত হয়ে গেলাম ? নাকি বাক্যটা ভুল ?
তাহোলে -- এখন যদি বলি -- কাবা ঘর হযরত ইব্রাহীম আ: বানিয়েছেন -- এটা মুসলমানরা মানে কিন্তু ইহুদী নাসারা মানে না ।
--- এই বাক্যটার মধ্যে কি কোন মিথ্যা আছে ?

১৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০৩

মোল্লা সাদরা বলেছেন: ভ্রাতঃ এভো, উত্তেজিত হইবেন না। মুখোশ আস্তে আস্তে উন্মোচন হউক। আবারো প্রশ্ন রাখিতেছি আপোনার সমীপে। হ্যা বা না এ উত্তর দিন - আপোনি মুছলমান ?

১৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৩৭

এ আর ১৫ বলেছেন: মক্কা বাক্কা নিয়ে একটা বিতর্ক আছে , এখানে একটা লিংক শেয়ার করছি এই বিষয়ে --

Please Click here

২০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটেনিকা অনুযায়ী মক্কা আর বাক্কা একই স্থান।

বাক্কাহ বা মেক্কাহ

PSALMS 84 অনুযায়ী আরও কিছু মিল খুঁজে পাওয়া যায় মক্কার সাথে। যেমন সাফ, মারওয়া এবং জমজম কুপের ইঙ্গিত আছে এই শ্লোকে।

জমজম কুপঃ
6. As they pass through the Valley of Baca,
They make it a spring;

The rain also covers it with pools. ( মক্কা বহুবার বন্যায় ভেসে গেছে)

7.They go from strength to strength ( As per another translation 'They go from height to height';)
এখানে সাফা এবং মারওয়া তওয়াফের কথা বলা হয়েছে। হাজিরা দুই পাহাড়ের উচ্চতায় গিয়ে থাকে বারবার।

বাইবেলের বাক্কাহ আর কোরআনের বাক্কাহ যে এক এটা বুঝানোর জন্যই সম্ভবত আল্লাহতায়ালা 'বাক্কাহ' শব্দ ব্যবহার করেছেন। অন্য জায়গাতে মক্কা বলা হয়েছে।

২১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাক্কাহ অথবা মেক্কাহ

২২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ভোর ৫:২৪

এভো বলেছেন: কমেন্ট ২১
আমি ৬ টা অনুবাদ দেখলাম সেখানে strength to strength বাক্যটি আছে ।

The rain also covers it with pools. ( মক্কা বহুবার বন্যায় ভেসে গেছে)


এর বাংলা অনুবাদে আছে --- তারা নির্ঝরের মত, বাকা উপত্যকা, য়েটি ঈশ্বর তৈরী করেছিলেন, সেটা পার হয়ে যাত্রা করে| শরতের বৃষ্টিতে পুকুরগুলো ভরে রয়েছে|

২৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪১

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ও ভাই, জেনে বুঝে মন্তব্য করা ভাল। নাহলে লোকে গাধা বলবে।
কিবলা পরিবর্তন হয় প্রথম/দ্বিতীয় হিজরীতে। এরপরে ওহুদ, খন্দক ইত্যাদি যুদ্ধ হয়েছে এবং হুদাইবিয়া পর্যন্ত মুসলিমদের কোনই আশা ছিল না মক্কা জয়ের। ফাউল থিওরি আজাইরা বিশ্বাস করার আগে একটু পড়াশোনা করে নিবেন।

২৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ও ভাই, এত লম্বা লেখা লিখলাম আপনাদের মতন মানুষদের যেন মাথায় ঢুকে যে তোরাহ্ ইঞ্জিল ইব্রাহিমের এক ছেলের লাইনে এসেছে, কাবা এসেছে অন্য ছেলের লাইনে। এত লম্বা ফাউল লেকচার দিলেন কে আমি বেশি লম্বা লিখি। এত লম্বা লিখেও আপনাদের মতন মানুষদের মাথায় ঢুকাতে পারিনা, ছোট করলেতো কিছুই বুঝতেন না। ফাউল।

২৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: বাইবেল পড়েছেন কখনও যে দাবি করছেন উল্লেখ নাই? মক্কাকে ”বাক্কা” উল্লেখ করা হয়েছে। আগে পড়েন, পরে ফাউল কথা বলবেন।

২৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪৯

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: এই যে ভ্রাতা কার্টুন, বাইবেল পড়েছেন কখনও যে দাবি করছেন উল্লেখ নাই? মক্কাকে ”বাক্কা” উল্লেখ করা হয়েছে। আগে পড়েন, পরে ফাউল কথা বলবেন।

২৭| ২৪ শে মে, ২০২২ বিকাল ৩:০৯

এভো বলেছেন: কোরআনে বর্ণিত মক্কা কি আসলেই বর্তমান মক্কা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.